Author: subhra-katwa

  • Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন! আর সেই উৎসবের তালিকায় অন্যতম হলো জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। বাঙালির আর পাঁচটা উৎসবের মতোই এই উৎসবেও থাকে দেদার খানাপিনা! ভুরিভোজ বাদ দিয়ে বাঙালির কোনো উৎসবের উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে সুস্থ শরীরের জন্য খাবারে বিশেষ রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে পরিমাণে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উৎসব উপভোগ সম্ভব।

    জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন দিকে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    পরিমাণে বাড়তি রাশ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাবার খেয়ে নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বেশি পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই বারবার অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, যত সুস্বাদু খাবার থাকুক না কেন, একসঙ্গে না খেয়ে, সারাদিনে ভাগ করে খেলেই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে।

    কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বাঙালির ভুরিভোজে লুচি, পোলাও, ভাত আর আলুর দম, এগুলো‌ বাদ দেওয়া খুব মুশকিল (Jamai Sasthi)। বেশিরভাগ বাঙালির পছন্দের এই খাবার কিন্তু বিপদ ডাকতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থুলতা এই তিন সমস্যা এখন প্রায় দেখা যায়। তাই খাদ্যাভাস নিয়ে মানুষের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, ডায়েবেটিস এবং স্থুলতার মতো সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই লুচি, ভাত কিংবা পোলাওয়ের মতো‌ খাবার একসঙ্গে একেবারেই খাওয়া চলবে না বলে‌ই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের দিনে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যেকোনও একটি পদ অত্যন্ত কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

    প্রাণীজ প্রোটিনের দিকে নজরদারি জরুরি!

    হরেক পদের মাছ কিংবা মাংস ছাড়া বাঙালির খাওয়া-দাওয়া অসম্পূর্ণ! তবে এক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জামাইষষ্ঠীর মেনুতে ইলিশ (Jamai Sasthi), চিংড়ির মতো মাছের পাশপাশি মটন কারির মতো পদ রাখেন। আর এর জেরেই বড় সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার মটনে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট (Jamai Sasthi Special)। একসঙ্গে এত রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পরিমিত পরিমাণে যেকোনও এক রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। তবে কখনোই যথেচ্ছ নয়।

    মিষ্টির ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন! (Jamai Sasthi)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। ডায়বেটিস এবং স্থুলতার মতো রোগ রুখতে নিয়মিত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি। বাঙালির ভুরিভোজে মিষ্টি থাকেই। শেষ পাতে মিষ্টি দই থেকে রসগোল্লা, সন্দেশের নানান পদ। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে, মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তবে ডায়বেটিস না থাকলেও‌ মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়বেটিস। তাই কমবেশি সকলের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই মিষ্টি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সমস্যা জটিল হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    স্বাস্থ্যকর কোন পদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারেও উৎসব উদযাপন সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামাই ষষ্ঠীতে (Jamai Sasthi) নানান রকমের পদ তৈরি করে সাজিয়ে খাবার দেওয়ার রেওয়াজ জারি থাকুক। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। তাঁদের পরামর্শ, নানান রকমের মিষ্টিতে প্লেট সাজানোর পরিবর্তে, নানান রকমের ফল দেওয়া যেতে পারে। আপেল, আম, বেদানা, জামের মতো নানান রঙের ফল একসঙ্গে সাজিয়ে দিলে, দেখতেও ভালো লাগবে আবার সবগুলোই স্বাস্থ্যকর। ফলে সমস্যা হবে না।
    দুপুরের ভুরিভোজে ময়দার তৈরি লুচির পরিবর্তে বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাগি, মিলেট কিংবা বাজরার তৈরি রুটির ভিতরে বিভিন্ন সব্জির পুর ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নানান স্বাদ এবং রঙের খাবার হবে। এগুলো স্বাস্থ্যকর। শরীরে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। বরং এই সব দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি বা পরোটা শরীরের জন্য উপকারি। পেশি মজবুত করতে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার রকমারি পদ ও হবে।
    মটন কিংবা চিকেনের অতিরিক্ত মশলা দেওয়া পদের পরিবর্তে গ্রিলড‌ কিংবা বেকড করা পদ‌ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে তেল ও মশলা কম লাগবে। আবার প্রাণীজ প্রোটিনের গুণ শরীরে পৌঁছবে। হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে।

  • Daily Horoscope 01 June 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 01 June 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) সারা দিন সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) অর্থ রোজগার ভালোই হবে।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে সবাই আপনার নাম করবে।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে শুভ সময় কাটাবেন।

    মীন

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না

     

     

  • Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    গিরিশ মন্দিরে জ্ঞান ভক্তি সমন্বয় কথা প্রসঙ্গ (Ramakrishna )

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ গিরিশ ঘোষের বসুপাড়ার বাটিতে ভক্ত সঙ্গে বসিয়া ঈশ্বরীয় কথা কবিতেছেন। বেলা তিনটা বাজে। মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। আজ বুধবার ১৫ ফাল্গুন শুক্লা একাদশী, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ। গত রবিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম মহোৎসব হইয়া গিয়াছে। আজ ঠাকুর গিরিশের বাড়ি হইয়া স্টার থিয়েটারে বিষকেতুর অভিনয়ে দর্শন করিতে যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)- জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা। যারা জ্ঞান বিচার করে তারা তিন অবস্থাই উড়িয়ে দেয়। তারা বলে যে ব্রহ্ম তিন অবস্থারই পার। সত্ত্ব রজ তম তিন গুণের পার। সমস্তই মায়া। যেমন আয়নাতে প্রতিবিম্ব পড়েছে। প্রতিবিম্ব কিন্তু বস্তু নয়।
    ব্রহ্ম জ্ঞানীরা আরও বলে দেহাত্মবোধ থাকলেই দুটো দেখায়। প্রতিবিম্ব টাও সত্য বলে বোধ হয়। ওই বুদ্ধি চলে গেলে সোহম। আমিই সেই ব্রহ্ম। এই অনুভূতি হয়।

    একজন ভক্ত- তাহলে কি আমরা সব বিচার করব (Ramakrishna )

    শ্রীরামকৃষ্ণ- বিচার পথ আছে (Ramakrishna )। বেদান্তবাদীদের পথ। আরেকটি পথ আছে ভক্তি পথ। ভক্ত যদি ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, ব্রহ্মজ্ঞানের জন্য সে তাও পায়। জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ- দুই পথ দিয়েই ব্রহ্ম জ্ঞান হতে পারে। কেউ কেউ ব্রহ্ম জ্ঞানের পরেও ভক্তি নিয়ে থাকে। লোক শিক্ষার জন্য। যেমন অবতারাদি। দেহাত্মবুদ্ধি কিন্তু সহজে যায় না, তাঁর কৃপায় সমাধিস্থলে সমাধিস্থ হলে যায়। নির্বিকল্প সমাধি, জড় সমাধি।

  • Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মে জন্মদিন লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai)। ৩০০ বছর আগে ১৭২৫ সালে আজকের দিনেই জন্ম নেন লোকমাতা অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণের কারণে তাঁর শাসন ব্যবস্থা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের শাসন ছিল ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এভাবেই তাঁর রাজত্বে প্রতিধ্বনিত হত প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর শাসনব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি সুশাসন ছিল না, উপরন্ত একটি পবিত্র জনকল্যাণমূলক পরিষেবা ছিল। যার ভিত্তি ছিল প্রাচীন ভারতের আধ্যাত্মিকতা। প্রতিদিন ভোর ৪টেতে উঠতেন রানি। শৈব, বৈষ্ণব এই দুই মতে সারতেন পুজো। তারপর বসতেন নিজের দরবারে।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ।

    নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির। সামরিক অভিযানে স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর মালহার, হোলকার সাম্রাজ্যকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে শুরু করেন।

    রাজধানী ছিল মাহেশ্বর (Ahilyabai)

    অহল্যা বাঈ হোলকারের রাজধানী ছিল মাহেশ্বর। এই জনপদকেই তিনি সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং সুশাসনের কেন্দ্র ভূমিতে পরিণত করেন। তাঁর রাজত্বে ছিল সুবিচার, জনকল্যাণ ও অহিংসা- এই সমস্ত কিছুরই প্রাণকেন্দ্র। অহল্যা বাঈকে জানতে গেলে আগে বুঝতে হবে, তাঁর মাহেশ্বর সাম্রাজ্যকে। কীভাবে তিনি তাঁর এই রাজধানীকে গড়ে তুলেছিলেন নর্মদা নদীর ধারে। এটি পরিণত হয়েছিল একটি কর্মভূমিতে। যেখানে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা প্রতিধ্বনিত হত। সহাবস্থান করত প্রাচীন ভারতীয় নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতা। তাঁর দরবারে ছিলেন বিদ্বান, জ্ঞানী, পণ্ডিত, শিল্পী, সাধু সন্তরা এবং কূটনীতিকরা।

    জনগণ তাঁর দরবারে আসতে উৎসাগহিতবোধ করত

    তাঁর প্রতিদিনকার শাসনের মধ্যে থাকত তন্ত্র চুক্তি এবং রাজধর্ম। এই দুই নীতির উপর ভিত্তি করেই তিনি রাজত্ব চালাতেন। যেটি তিনি অর্থশাস্ত্রের মতো গ্রন্থগুলি থেকে নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের জীবনোন্নয়নের মানকে তিনি অনেক ওপরে তুলতে পেরেছিলেন। তাঁর দরবারে আসতে জনগণ উৎসাহিত বোধ করত। কারণ তারা জানত এখানেই মিলবে সুবিচার। এখানেই মিলবে সুশাসন। তিনি তাঁর মন্ত্রীদের বলতেন যে প্রত্যেকটি প্রশাসনিক পদক্ষেপে যেন নৈতিকতা এবং সুবিচারের আবরণ থাকে। অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন। তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    সংস্কারমূলক কাজ

    অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai Holkar) শাসন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কার। যেসময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হচ্ছে এবং ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করছে। আফগান আক্রমণ হচ্ছে ও মারাঠা সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ছে। সেই সময় তিনি নতুনভাবে এই ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে গাঁথার কাজ শুরু করেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার সাধু মহাত্মাদের জন্য আশ্রম তৈরি করে দিতেন। ভগ্ন মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করতেন। যে মন্দিরগুলিকে ইসলামিক আক্রমণকারীরা বারবার হামলা করে ভেঙে দিয়ছিল। এর পাশাপাশি তিনি অনেক বাণিজ্য পথ তৈরি করেছিলেন, মধ্য ভারতের ওপর দিয়ে। অহল্যা বাঈয়ের আগে যেভাবে ভারতবর্ষ শাসন হয়েছে, সেখানে ইসলামিক আমলে মধ্যযুগের শুধুমাত্র ধ্বংস এবং হিংসার রাজনীতির দেখা দিয়েছে।

    আগ্রাসনে বিশ্বাস রাখতেন না

    দেশীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে তিনি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন। শুধু তাই নয়, সেখানে তিনি দূত নিয়োগও করতেন। তিনি কখনও আগ্রাসনকারীর ভূমিকা নেননি। পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক তত্ত্বগুলিতে যে ধরনের কূটনীতি দেখা যায়, অহল্যা বাঈ হোলকার (Ahilyabai Holkar) সম্পূর্ণ তার বিপরীত পথে হেঁটেছিলেন এবং তাঁর কূটনীতিতে একেবারেই ব্রাত্য ছিল আগ্রাসন।

  • Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবারই বঙ্গ সফরে অমিত শাহ। ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩১ মে থেকে ১ জুন রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ। ১ জুন নেতাজি ইনডোরে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতেও যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে সাধু-সন্তদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে।

    মোদির পরেই শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

    কী কী কর্মসূচি

    এরপর রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সমাপ্ত করে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ (Amit Shah)। এরপর, হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবেন তিনি। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। এর পাশাপাশি থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গাতেই নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে আনা হয়েছে নতুনদের। অন্যদিকে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

  • ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    ISI Assets: ইঞ্জিনিয়ার থেকে ট্রাভেল ব্লগার! সাধারণ ভারতীয়রা কীভাবে হয়ে উঠছে পাক গুপ্তচর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এপ্রিল মাসে পেহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির (ISI Assets) হাতে কমপক্ষে ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক হয়েছে। এদের প্রত্য়েকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ গুজরাট এবং পাঞ্জাবে থেকেই বেশিরভাগকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ ট্রাভেল ব্লগার তো কেউ সরকারি কর্মচারী, কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ার।

    সিআরএফ কর্মী মতি রাম জাট (ISI Assets)

    সম্প্রতি, গ্রেফতার করা হয় সিআরপিএফের একজন জওয়ান মতি রাম জাটকে। জানা গিয়েছে, সে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিল না কিন্তু কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অনেক জায়গাতেই তার যাতায়ত ছিল। একেই কাজে লাগাতে শুরু করে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এন আই এর সূত্রে জানা গিয়েছে মতিরাম যার ২০২৩ সাল থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। অর্থের বিনিময়ে গোপন তথ্য সে পাচার করতে থাকে। ২০২৫ সালের মে মাসের শুরুতেই দিল্লি থেকে মতি রামকে গ্রেফতার করা হয়।

    ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মা (ISI Assets)

    সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এটিএস গ্রেফতার করে ২৭ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ার রবীন্দ্র ভার্মাকে। মুম্বাইয়ের একটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করত এই ইঞ্জিনিয়ার। দক্ষিণ মুম্বাইয়ে অবস্থিত ভারতের নৌ ঘাঁটিতে রবীন্দ্রের যাতায়াত ছিল বলে জানা যায়। সে সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ সম্পর্কিত নানা কাজে যুক্ত ছিল। নৌ বাহিনী সংক্রান্ত বিভিন্ন স্কেচ, ডায়াগ্রাম এবং অডিও শেয়ার করতে শুরু করে সে পাক এজেন্টদের সঙ্গে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে রবীন্দ্র পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে বলে জানা গিয়েছে।

    ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রা (ISI Assets)

    দেশের মধ্যে সবচেয়ে চর্চা শুরু হয় পাকিস্তানের গুপ্তচর জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে। হরিয়ানার এই ট্রাভেল ব্লগার সরাসরি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের তথ্য সরবরাহ করত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয় জ্যোতি দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করে (ISI)। পাকিস্তান সফরের সময় আইএসআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়। এছাড়াও চিনসহ একাধিক বিদেশ ভ্রমণের জন্য তার টাকার যোগান দেয় পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।

    স্বাস্থ্যকর্মী সহদেব সিং গোহিল

    পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি (ISI) করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সহদেব সিং গোহিলকে। জানা গিয়েছে, সহদেব সিং গোহিল ২৮ বছর বয়সি এবং সে গুজরাটে একটি নবনির্মিত বিমান ঘাঁটি এবং বিএসএফের গোপন ছবি ও ভিডিও পাকিস্তানি এজেন্ট এর সঙ্গে শেয়ার করেছিল। ২০২৩ সালেই সে হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আছে। আসলে এই অদিতি ছিল পাকগুপ্তচর। ছদ্মনাম ব্যবহার করত।

    দরিদ্র যুবকদের টার্গেট

    এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, হরিয়ানা সমেত দেশের অন্যত্র অর্থনৈতিকভাবে যারা দুর্বল, সেই সমস্ত যুবকদের টার্গেট করছে আইএসআই এবং এজেন্ট বানানোর চেষ্টা চলছে। পাতিয়ালাতে ২৫ বছর বয়সি এক ছাত্র দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে সে পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিল এবং গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছিল।

    ২৪ বছর বয়সি নওমান ইলাহিকে হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। দেখা যায় সে তার শ্যালকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আইএসআই হ্যান্ডেলারদের কাছে বিভিন্ন তথ্য পাঠিয়েছে।হরিয়ানাতেই ২৩ বছর বয়সি আরমান এবং তারিফ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    আমলা যখন পাক গুপ্তচর

    রাজস্থানের সরকারি আধিকারিক সাকুর খানকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ৪৯ বছর বয়সি সাকুর খান, অশোক গেহলটের জমানায় এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত বলে জানা যায়। সে ৭ বার পাকিস্তান সফর করে, এরপরেই তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তদন্ত শুরু করে। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    সিমকার্ড সরবরাহকারী

    দিল্লি পুলিশ সম্প্রতি রাজস্থানের এক ৩৪ বছর বয়সি যুবক কাসিমকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে পাকিস্তানের এজেন্টদেরকে মোবাইলের সিম কার্ড সরবরাহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সে দুবার পাকিস্তানও ভ্রমণ করেছে।

    ব্যবসায়ী এবং প্রযুক্তিবিদ

    উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ীকে আটক করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। যার নাম শাহজাদ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের এই এজেন্ট একাধিকবার সে দেশে সফর করে এবং গুপ্তচরদের হাতে বিভিন্ন তথ্য তুলে দেয়। জলন্ধরে আর এক ব্যবসায়ী মহম্মদ মুরতাজাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গুপ্তচরদের সাহায্য করার।

  • Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তান (Balochistan) প্রদেশের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল বিদ্রোহীরা। এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে সরকারি ভবনের দখল নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিএলএ বা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি ঘোষণা করেছে যে শহরে পুলিশ স্টেশন, প্রধান ব্যাংক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস সহ পুরো সুরাব শহরকেই তারা দখল করেছে। বালোচ কমান্ডাররা দাবি করেছেন যে তাদের দাপটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী পিছু হঠে। অভিযানের সময় একজন স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হত্যার দায়ও তারা নিয়েছে (Balochistan Liberation Army)। পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্রও তারা কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি তাদের।

    কী বললেন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচ (Balochistan)

    সুরাব শহরকে দখলের পরেই বিবৃতি সামনে আসে বিএলএ মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যোদ্ধারা সুরাবের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর পাশাপাশি কোয়টা ও করাচির যে জাতীয় সড়ক, সেই সড়কের চেকপোস্টগুলি এবং টহলদারি ব্যবস্থাও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

    শুক্রবার সন্ধ্যাতে চলে হামলা (Balochistan)

    প্রসঙ্গত, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গোটা শহর। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সড়ক যেগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও তারা সিল করে দিয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যাতে বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীরা জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলিতে হামলা শুরু করে। পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

    জোর করে বালোচিস্তান দখল করে পাকিস্তান (Balochistan)

    বালোচিস্তান (Balochistan) হল পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। আফগানিস্তান, ইরান এবং আরব সাগরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং ইউরেনিয়াম সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় এই প্রদেশ আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান জোরপূর্বক এই অঞ্চলটি দখল করে। সেই থেকেই শুরু বিদ্রোহ।বর্তমানে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধরাণ করে। পাকিস্তানি সেনা ও সরকার কোনওভাবেই নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

  • NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    NDA: ঐতিহাসিক মাইলফলক! ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক মাইলফলক এল দেশের সামরিক ইতিহাসে। পুণের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে বের হল ১৭ মহিলা ক্যাডেটের প্রথম ব্যাচ (NDA)। এর পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট হলেন পুরুষ বিভাগেরও ৩০০ জন। ত্রি-সেবা প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির ক্ষেত্রপাল প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘Antim Pag’ (শেষ ধাপ) পেরিয়ে যান এই ক্যাডেটরা। ২৯ মে পাসিং আউট প্যারেডের রিভিউ অফিসার হিসাবে হাজির ছিলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং ও মিজোরামের বর্তমান রাজ্যপাল।

    ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় (NDA)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২২ সালে এনডিএ-র ১৪৮তম কোর্সে যোগ দিয়েছিলেন মহিলা ক্যাডেটের এই প্রথম ব্যাচ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতেই ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে মহিলাদের আবেদনের অনুমতি দেয় ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)। এরপরেই অ্যাকাডেমি ক্যাডেট ক্যাপ্টেন উদয়বীর নেগি ১৪৮ তম কোর্সের প্যারেডের নির্দেশ দেন।

    কী বললেন ভিকে সিং

    জেনারেল ভিকে সিং বলেন, ‘‘আজ অ্যাকাডেমির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। কারণ, NDA থেকে বেরোল মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচ। বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষমতায়নের দিকে আমাদের সম্মিলিত যাত্রায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এই তরুণীরা “নারী শক্তি”র অনিবার্য প্রতীক, যা কেবল নারী উন্নয়নই নয়, নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নেরও প্রতীক। আমি এমন একটি ভবিষ্যৎ কল্পনা করি, খুব বেশি দূরে নয়, যেখানে এই তরুণীদের মধ্যে একজন তাঁদের (Women Cadets) সেবার সর্বোচ্চ পদে উন্নীত হচ্ছেন।’’

    কী বললেন শ্রীতি দক্ষ

    ১৭ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩৯ জন ক্যাডেটেরই দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন ক্যাডেট পেয়েছেন বিএসসি ডিগ্রি। ৮৫ জনকে দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি, ৫৯ জনকে ব্যাচেলর অফ আর্টস ও ১১১ জন বি.টেক ডিগ্রি পেয়েছেন। ব্যাচেলর অফ আর্টস স্ট্রিমে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন শ্রীতি দক্ষ। অ্যাকাডেমিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দক্ষ বলেন, ‘‘এখানে তিন বছরের প্রশিক্ষণ আবেগের মিশ্রণ। প্রাথমিকভাবে এখানে আয়ত্ত করতে একটু সময় লেগেছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠি। ইন্সট্রাক্টর, স্টাফদের সাহায্যে অ্যাকাডমির (NDA) সঙ্গে একাত্মবোধ করি।’’

    প্রসঙ্গত, একই স্কোয়াড্রনের এক্স-এনডিএ হলেন শ্রীতি দক্ষের বাবা । তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’’ জানা গিয়েছে, বি টেক স্ট্রিম থেকে নৌ ও বিমান বাহিনীর ক্যাডেটদের যথাক্রমে তাঁদের নিজ নিজ প্রাক-কমিশনিং প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি- ভারতীয় নৌ অ্যাকাডেমি এবং বায়ুসেনা অ্যাকাডেমিতে এক বছরের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর তাঁদের ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

  • Daily Horoscope 31 May 2025: চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 31 May 2025: চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 367: পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য

    Ramakrishna 367: পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য

    (শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার- পরমহংস অবস্থা)

    ভক্তিই সার। সকাম ভক্তি আছে, আবার নিষ্কাম ভক্তি, শ্রদ্ধা ভক্তি, অহেতুক ভক্তি এও আছে। কেশব সেন ওরা অহেতুক ভক্তি জানত না। কোনও কামনা নেই। কেবল ঈশ্বরের পাদপদ্মে ভক্তি।

    আবার আছে ঊর্জিতা ভক্তি। ভক্তি যেন উথলে পড়ছে। ভাবে হাসে কাঁদে নাচে গায়। যেমন চৈতন্যদেবের। রাম বললেন লক্ষণকে, ভাই যেখানে দেখবে ঊর্জিতা ভক্তি, সেইখানে জানবে আমি স্বয়ং বর্তমান।

    ঠাকুর কি ইঙ্গিত করিতেছেন? নিজের অবস্থা, ঠাকুর কি চৈতন্যদেবের ন্যায় অবতার জীবকে ভক্তি শিখাইতে অবতীর্ণ হইয়াছেন?

    গিরিশ- আপনার কৃপা হলে এই সব হয়। আমি কি ছিলাম কি হয়েছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- ওগো তোমার সংস্কার ছিল তাই হচ্ছে। সময় না হলে হয়না। যখন রোগ ভালো হয়ে এল তখন কবিরাজ বললে এই পাতাটি মরিচ দিয়ে বেটে খেও। তারপর রোগ ভালো হল। তা রোগ মরিচ দিয়ে ঔষধ খেয়ে ভালো হলো না আপনা আপনি ভালো হলো কে বলবে?

    লক্ষণ লব কুশকে বললেন, তোরা ছেলে মানুষ। তোরা রামচন্দ্রকে জানিস না তাঁর পাদস্পর্শে অহল্যা পাষাণী মানবী হয়ে গেল। লব কুশ বললে, ঠাকুর সব জানি সব শুনেছি। পাষাণী যে মানবী হল সে মুনিবাক্য ছিল। গৌতম মুনি বলেছিলেন যে ত্রেতা যুগের রামচন্দ্র, ওই আশ্রমের কাছ দিয়ে যাবেন তার পাদস্পর্শে তুমি আবার মানবী হবে। তা এখন রামের গুনে না মুনিবাক্যে কে বলবে বল!

    সবই ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে। এখানে যদি তোমার চৈতন্য হয়, আমাকে জানবে হেতুমাত্র। চাঁদ মামা সকলের মামা। ঈশ্বর ইচ্ছায় সব হচ্ছে।

    গিরিশ- ঈশ্বরের ইচ্ছায় তো। আমিও তো তাই বলছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সরল হলে শীঘ্রই ঈশ্বর লাভ হয়। কয়জনের জ্ঞান হয় না। প্রথম যার বাঁকা মন, সরল নয়। দ্বিতীয়, যার শুচিবাই, তৃতীয় যারা সংশয় আত্মা।

    ঠাকুর নিত্য গোপালের ভাবাবস্থার প্রশংসা করিতেছেন

    এখনো ৩-৪ জন ভক্ত ওই দক্ষিণ পূর্ব লম্বা বারান্দায় ঠাকুরের কাছে দাঁড়াইয়া আছেন ও সমস্ত শুনিতেছেন। পরমহংসের অবস্থা ঠাকুর বর্ণনা করিতেছেন। বলিতেছেন, পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য। হাঁসেরই শক্তি আছে দুধকে জল থেকে তফাৎ করার। দুধে জল যদি মিশিয়ে থাকে, তাদের জিহ্বাতে একরকম টক রস আছে, সেই রসের দ্বারা দুধ আলাদা জল আলাদা হয়ে যায়। পরমহংসের মুখেও সেই টক রস আছে। প্রেম ভক্তি, থাকলেই নিত্য অনিত্য বিবেক হয়। ঈশ্বরের অনুভূতি হয় ঈশ্বর দর্শন হয়।

LinkedIn
Share