Author: subhra-katwa

  • Daily Horoscope 30 May 2025: ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 30 May 2025: ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা সারতে পারেন।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 366: ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া দাঁড়াইয়া গিরিশের হাতে হাত দিয়া গান গাহিতেছেন

    Ramakrishna 366: ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া দাঁড়াইয়া গিরিশের হাতে হাত দিয়া গান গাহিতেছেন

    জন্মোৎসব রাত্রে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে প্রেমানন্দে

    সন্ধ্যা হইল। ক্রমে ঠাকুরদের আরতি শব্দ শোনা যাইতেছে। আজ ফাল্গুনের শুক্ল অষ্টমী। ৬-৭ দিন পরে পূর্ণিমায় দোল মহোৎসব হইবে।

    সন্ধ্যা হইলেও ঠাকুরবাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণ, উদ্যানভূমি, বৃক্ষ, চন্দ্রালোকে মনোহর রূপ ধারণ করিয়াছে। গঙ্গা এখনে উত্তর বাহিনী। জোৎস্নাময়ী মন্দিরের গা দিয়ে যেন আনন্দে উত্তরমুখ হইতে প্রবাহিত হইতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের ঘরে ছোট খাটটিতে বসিয়া নিঃশব্দে জগৎ মাতার চিন্তা করিতেছেন।

    উৎসবান্তে এখনও দুই একটি ভক্ত রহিয়া আছেন। নরেন্দ্র আগেই চলিয়া গিয়েছেন। আরতি হইয়া গেল ঠাকুর আবিষ্ট হইয়া দক্ষিণ পূর্বের লম্বা বারান্দায় পদচারণ করিতেছেন। মাস্টার সেইখানে দন্ডায়মান আছেন। ও ঠাকুর কে দর্শন করিতেছেন।

    ঠাকুর হঠাৎ মাস্টারকে সম্মোধন করিয়া বলিতেছেন, আহা নরেন্দ্রর কি গান!

    মাস্টার- আজ্ঞা, নিবিড় আঁধারে ওই গানটি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যা ও গানের খুব গভীর মানে। আমার মনটা এখনও যেন টেনে রেখেছে।

    মাস্টার- আগে হ্যাঁ।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- আঁধারে ধ্যান এইটি তন্ত্রের মত। তখন সূর্যের আলো কোথায়।

    শ্রীযুত গিরিশ ঘোষ আসিয়া দাঁড়াইলেন। ঠাকুর গান গাইতেছেন।

    মা কি আমার কালো রে
    কালো রূপে দিগম্বরী হৃদি পদ্ম করে আলো রে

    ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া দাঁড়াইয়া গিরিশের হাতে হাত দিয়া গান গাহিতেছেন

    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশি কাঞ্চি কেবা চায়
    কালি কালি বলে আমার অজপা যদি ফুরায়
    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়
    সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফিরে কভুসন্ধি নাহি পায়
    দয়া ব্রত দানা আদি আর কিছু না মনে লয়
    মদনেরই যাগযজ্ঞ ব্রহ্মময়ীর রাঙ্গা পায়

  • Daily Horoscope 29 May 2025: আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময় এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 29 May 2025: আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময় এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 365: যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত, কৃপণের ধন উড়ে যায়, দাতার ধন রক্ষা হয়

    Ramakrishna 365: যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত, কৃপণের ধন উড়ে যায়, দাতার ধন রক্ষা হয়

    সুরেন্দ্রর প্রতি উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি যে দান ধ্যান করো খুব ভালো। যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত। কৃপণের ধন উড়ে যায়। দাতার ধন রক্ষা হয়। সৎ কাজে যায়। ও দেশে চাষারা খানা কেটে খেতে জল আনে। কখনও কখনও জলের এত তোড় হয় যে ক্ষেতের আল ভেঙে যায়। আর জল বেরিয়ে যায় ও ফসল নষ্ট হয়। তাই চাষারা আলের মাঝে মাঝে ছেদা করে রাখে। তাকে ঘোগ বলা হয়। জল ঘোগ দিয়ে একটু বেরিয়ে যায়। তখন জলের তোড়ে আর আল ভাঙ্গে না। আর ক্ষেতের উপর পলি পড়ে। আর সেই পলিতে খেত উর্বর হয়। আর খুব ফসল হয়। যে দান ধ্যান করে (Ramakrishna 364) সে অনেক ফল লাভ করে। চতুর বর্গ ফল।

    ভক্তেরা সকলে ঠাকুরের শ্রী মুখ হইতে এই দান ধর্ম কথা এক মনে শুনিতেছেন

    সুরেন্দ্র- আমার ধ্যান ভালো হয় না। মাঝে মাঝে মা মা বলি (Kathamrita)। আর শোবার সময় মা মা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তাহলেই হবে স্মরণ মনন তো আছে (Ramakrishna 364)।

    মনোযোগ ও কর্মযোগ, পূজা, তীর্থ, জীব সেবা ইত্যাদি গুরুর উপদেশে কর্মকরার নাম কর্মযোগ। জনকাদি যা কর্ম করতেন, তার নামও কর্মযোগ। যোগিরা যা স্মরণ মনন করেন তার নাম মনোযোগ (Ramakrishna 364)।

    আবার ভাবি কালীঘরে গিয়ে, মা মন তো তুমি। তাই শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধি, শুদ্ধ আত্মা একই জিনিস।

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ভক্তেরা অনেকেই ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া বাটি প্রত্যাগমন করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna 364) পশ্চিমের বারান্দায় গিয়েছেন। ভবনাথ ও মাস্টার সঙ্গে আছেন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    PM Modi: লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠন, দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে ফের একবার দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে এমনটা আমাদের করতেই হবে।’’ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের গান্ধীনগরে। সেখানে একটি সভাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। এখন সময় এসেছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার।’’ প্রতিটি নাগরিককে জাতির উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমরা যদি ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে চাই এবং আমাদের অর্থনীতিকে বিশ্বের চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে বিদেশি পণ্যের ওপর আমরা নির্ভর করব না।’’ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘এভাবেই গ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে যে তাঁরা যেন বিদেশি পণ্য বিক্রি না করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের গণেশ মূর্তিও বিদেশ থেকে আসে। হোলির রং-ও আমাদের বাইরে থেকে আসে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনারা তালিকা তৈরি করুন। নিজেদের বাড়িতে যান এবং ২৪ ঘণ্টায় আপনি কতগুলি বিদেশি পণ্য ব্যবহার করেন, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন যে চুলের কাঁটা থেকে চিরুনি সবটাই বিদেশে তৈরি।’’

    এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য (Indian Made Goods)

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি ভারতকে আত্মনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে চাই, ভারতকে উন্নত করতে চাই, তাহলে এটা কেবল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব নয়। এটা ১৪০ কোটি নাগরিকের কর্তব্য।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ওয়ান ডিসট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট, ভোকাল ফর লোকাল-এই সরকারি কর্মসূচিগুলো দেশীয় পণ্যের ব্যবহারকেও বৃদ্ধি করবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, মেড ইন ইন্ডিয়া ব্র্যান্ডের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গর্ব হওয়া উচিত।’’

  • Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    Vinayak Damodar Savarkar: দিয়েছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা, জন্মদিনে জানুন সাভারকরের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে উঠে আসে বিনায়ক দামোদর সাভরকরের (Vinayak Damodar Savarkar) নাম। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাঁকে জীবনের ১১ বছর কাটাতে হয়েছিল দ্বীপান্তরে। সকলের থেকে আলাদা করে সাভারকরকে রাখা হয়েছিল কালাপানির সেলুলার জেলে।

    জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৮৮৩ সালের ২৮ মে মহারাষ্ট্রের নাসিকের ভগুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিনায়ক দামোদর সাভরকর। তাঁর মা ছিলেন রাধাবাই সাভারকর এবং পিতা ছিলেন দামোদর পন্ত সাভারকর (Freedom Fighter)। রাধাবাই এবং দামোদর পন্ত সাভারকরের চার সন্তান ছিল, তিন ছেলে এবং এক মেয়ে। বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar) প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন নাসিকের শিবাজি স্কুলে। তিনি শৈশব থেকেই ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হন। ১১ বছর বয়সে মাঙ্কি আর্মি গঠন করেন তিনি। পরে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।

    হিন্দু শব্দের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন সাভারকর

    আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেলে নিজের কুঠুরিতে বন্দি বিনায়ক দামোদর সাভারকর কারাগারেই রচনা করেছিলেন ‘হিন্দু’ শব্দের সংজ্ঞা। এর ফলে ‘হিন্দু’ কে? যুক্তিসম্মত, প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা পেয়েছিল দেশবাসী। সাভারকরের ভাষায়,

    ‘‘আ সিন্ধু, সিন্ধু পর্যন্তা যস্য ভারত ভূমিকা
    পিতৃভূ, পূণ্যভূশ্চৈব সবৈ হিন্দু রিতি স্মৃত’’

    অর্থাৎ, সিন্ধু নদ থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত এই বিশাল ভূখণ্ডকে যিনি পূণ্যভূমি ও পিতৃভূমি বলে মনে করেন, তিনি আস্তিক হতে পারেন, নাস্তিক হতে পারেন, প্রতিমাপূজক অথবা নিরাকারবাদীও হতে পারেন, তিনিই হিন্দু। কোনও ব্যক্তি যদি ভারতীয় পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টিকে মেনে চলেন তিনিই হিন্দু। হিন্দু শব্দের ব্যাপকতা তাই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভারত-ভূমির সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবোধের নামই হিন্দুত্ব।

    লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল

    সাভারকর ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী (Freedom Fighter), রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং লেখক ও দার্শনিক। ‘হিন্দু মহাসভা’-তেও সাভারকর ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীনই সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ শুরু করেন বলে জানা যায়। পুণের ফার্গুসন কলেজে পড়াশোনা করতেন তিনি। লোকমান্য তিলকের দর্শন তাঁকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। ব্রিটেনে আইন পড়তে যান তিনি। সেখানে পড়াশোনা করার সময় ইন্ডিয়া হাউস এবং ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটির মত স্বাধীনতাকামী দলগুলির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন (Vinayak Damodar Savarkar)

    ১৯০৫ সালে দশেরার দিনে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা সমস্ত জিনিসপত্র এবং কাপড় পোড়ানো শুরু করেন সাভারকর। এরপর আইন নিয়ে পড়তে লন্ডন পাড়ি দেন সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। কিন্তু ব্রিটিশদের ঘরে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কৌশল রপ্ত করতে থাকেন তিনি। গঠন করেন অভিনব ভারত সোসাইটি, ফ্রি ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে দুই সংগঠন। ১৯১০ সালে তাঁকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। নাসিকের জেলা কালেক্টর জ্যাকসনকে হত্যার জন্য নাসিক ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ১৯১১ সালের ৭ এপ্রিল কালাপানির সাজা দেওয়া হয় বিনায়ককে। ১৯১১ সালের ৪ জুলাই থেকে ১৯২১ সালের ২১ মে পর্যন্ত পোর্ট ব্লেয়ার জেলে ছিলেন তিনি।

    স্বাধীনতার জন্য সমুদ্রে ঝাঁপ (Vinayak Damodar Savarkar)

    সাভারকরকে (Vinayak Damodar Savarkar) যখন লন্ডন থেকে ভারতে আনা হচ্ছিল তখন তিনি ব্রিটিশদের হাত থেকে পালানোর জন্য এসএএস মোরিয়া জাহাজের শৌচালয়ের জানলা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দেন। মৃত্যুভয় তাঁর ছিল না। শুধু স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে যে কোনও উপায়ে তিনি মুক্তির চিন্তা করেছিলেন। ভূমধ্যসাগরের দীর্ঘ জলপথ সাঁতরে তিনি ফরাসি উপকূলে পৌঁছেছিলেন। চেয়েছিলেন আশ্রয়। কিন্তু ব্রিটিশ বিরোধিতায় রাজি হয়নি ফ্রান্স। তাঁরা সাভারকরকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আন্দামানের সেলুলার জেল। যেখানে অন্ধকারে চলে নির্যাতন। কিন্তু জেল থেকেও স্বাধীনতার জন্য কবিতা-প্রবন্ধ লিখতে থাকেন তিনি। স্বাধীনতার জন্য চলে তাঁর নিরলস সংগ্রাম।

  • Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    Murid Air Base: অপারেশন সিঁদুর! নয়া উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল পাকিস্তানের মুরিদ বিমানঘাঁটির ধ্বংসের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাক-ভূমে ভারতীয় বায়ুসেনার তাণ্ডবের নতুন চিত্র সামনে এসেছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো সেই চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্থানের মুরিদ বিমান ঘাঁটির (Murid Air Base) ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের ছবি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে প্রায় তিন মিটার একটি গভীর গর্ত। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পূর্ব এবং পরবর্তী উপগ্রহ চিত্র এভাবেই সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে আঘাত হানা হয়েছে তা পাকিস্তানের একটি ভূগর্ভস্থ গোপন অবকাঠামো থেকে মাত্র ৩০ মিটার দূরে অবস্থিত।

    মুরিদ বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস (Murid Air Base)

    অপারেশন সিঁদুরের পরেই দেখা যাচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটির ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিমানঘাঁটির (Operation Sindoor) দেওয়ালগুলির ধ্বংসাবশের ছবি সামনে এসেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে হামলা ঠিক কতটা তীব্র ছিল! প্রসঙ্গত এই মুরিদ বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের চাকওয়ালে অবস্থিত (Murid Air Base)। জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানেই অপারেশন সিঁদুরে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।

    ১০ জায়গায় হামলা ভারতের (Murid Air Base)

    প্রসঙ্গত, ভারত পাকিস্তানের দশটি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সারগোধা (মুশাফ), ভোলারি, জাকোবাবাদ, সুক্কুর এবং রহিম ইয়ার খান বিমান ঘাঁটি। জাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতে উপগ্রহ চিত্রে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ সামনে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ভোলারিতে ধ্বংসের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিন্ধুতে অবস্থিত সুক্কুর বিমান ঘাঁটিতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এর পাশে ঝলসানো গাছপালাও দেখা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পরেই এই ছবি সামনে এসেছে। দক্ষিণ পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানের বিমানঘাঁটির রানওয়েতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারপরেই ৭ মে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।

  • Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    Kailashahar Airport: লালমনিরহাটে বেজিং-ঢাকার যুদ্ধ ঘাঁটি! পাল্টা ত্রিপুরার কৈলাশহর বিমানবন্দরকে সাজাচ্ছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে চিন। সূত্রের খবর, এই আবহে এলাকা তদারকিও করেন চিনা আধিকারিকরা। যার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ত্রিপুরার পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটি কৈলাশহরকে (Kailashahar Airport) নতুনভাবে সাজাতে শুরু করেছে ভারত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরে পাকিস্তানি বায়ুসেনা এবং একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সেটি ব্যবহার করত বলে জানা যায়। পরে সম্প্রতি, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইউনূস সরকার। পাশে রয়েছে চিন।

    চিকেন নেক থেকে কুড়ি কিমির মধ্যে লালমনিরহাট

    জানা যাচ্ছে, লালমনিরহাটের যে বিমানঘাঁটি বেজিং ব্যবহার করতে চায় তা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কুড়ি কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত। এই অংশ সামরিক ও কূটনৈতিক (Kailashahar Airport) দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরবঙ্গের এই অংশ শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নামে পরিচিত। এখান থেকেই অনতিদূরে গড়ে তোলা হচ্ছে লালমনিরহাট বিমানবন্দর। প্রসঙ্গত, দেশের এই অংশকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। তাই কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল চিকেন নেক। জানা যায়, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি তৈরি হয় ১৯৩১ সালে। মায়ানমারে (তৎকালীন বর্মা) সামরিক অভিযানের সময় এই বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিমানঘাঁটির তাৎপর্য কমতে শুরু করে। একসময় অসামারিক বিমান পরিবহণের কথাও ভাবা হয়েছিল অতীতে। সেই মতো ১৯৫৮ সালে অসামরিক বিমান চলাচল শুরু করে পাকিস্তান। তবে তা দীর্ঘমেয়াদী হয়নি। এরপর ধীরে ধীরে প্রাসঙ্গিকতা হারায় লালমনিরহাট।

    ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দর (Kailashahar Airport)

    লালমনিরহাটে চিন-বাংলাদেশের পরিকল্পনার পাল্টা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে নয়াদিল্লিও। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার পুরনো বিমানবন্দর কৈলাশহর, এটিকে ফের একবার নতুনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরের অবস্থান কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল কৈলাশহর। আবার শিলিগুড়ি করিডর থেকেও খুব বেশি দূরে নয়। এই বিমানবন্দরটি ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত। ইতিমধ্যে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এটিকে নতুনভাবে গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছে।

    ২৬ মে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা

    গত ২৬ মে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্ব আঞ্চলিকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম রাজু কিশোর, আগরতলার বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কেসি মিনাকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশহর বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে কেসি মিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাজ্য সরকারের অনুরোধ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্বের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৈলাশহর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁরা পরিকাঠামো, জমি, বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা- এই সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন।

    একাত্তরের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কৈলাশহর বিমানবন্দর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরার উনাকোটি জেলায় অবস্থিত কৈলাশহর বিমানবন্দরটি (Kailashahar Airport) প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযান এবং নজরদারি পরিকল্পনা করার সময় এই বিমানবন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তবে তারপরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিণত হয় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরে। জানা যায়, একাত্তরের যুদ্ধের সময় (1971 War Base), এই বিমানবন্দর থেকেই ভারতীয় বিমান বাহিনী অপারেশনাল কমান্ডের অধীনে বাংলাদেশ বা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছিল।

    দিল্লির বার্তা বেজিং ও ঢাকাকে

    কৈলাশহর বিমানবন্দর নতুনভাবে গড়ে তোলা হলে উত্তর পূর্ব ভারতের পরিবহণ ক্ষমতাও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর পাশাপাশি, যে কোনও ধরনের রসদের যোগানও খুব দ্রুত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ত্রিপুরাতে শুধুমাত্র একটি প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে সেটি আগরতলা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কৈলাশহর বিমানবন্দর (1971 War Base) গড়ে উঠলে আগরতলার সঙ্গেও দ্রুত সংযোগ তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট বিমানবন্দর ভারতীয় ভূখণ্ডের খুব কাছাকাছি হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মনে করছেন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কৈলাশহরকে সাজাতে শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এখানে ঢাকা এবং বেজিং-কে বার্তা দেওয়া হল যে লালমনিরহাটে তাদের কার্যকলাপের ওপর ভারত শুধু পর্যবেক্ষণ করছে না বরং তার পাল্টা হিসেবে পদক্ষেপও করতে শুরু করেছে।

  • Daily Horoscope 28 May 2025: ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 May 2025: ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে।

    ২) আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ২) মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ২) আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ২) ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ২) বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share