Author: subhra-katwa

  • Saraswati Puja 2025: জানেন হলুদ পোশাক কেন পরা হয় সরস্বতী পুজোতে?

    Saraswati Puja 2025: জানেন হলুদ পোশাক কেন পরা হয় সরস্বতী পুজোতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রীতি অনুযায়ী সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja 2025) হলুদ রঙের পোশাক পরার চল রয়েছে। চলতি বছরে ৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে সরস্বতী পুজো। পঞ্চমী পড়েছে আজ রবিবার ২ ফেব্র‌ুয়ারি বেলা ১২টা ৩৪ মিনিটে। অন্যদিকে ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে পঞ্চমী ছাড়বে। সেই কারণে অনেকেই আজ রবিবারেও সরস্বতী পুজো করবেন। এদিন ছেলেদের হলুদ পাঞ্জাবি ও মেয়েদের হলুদ শাড়ি পরতে দেখা যায়। তবে ঠিক কোন কারণে হলুদ পরা হয়? সে কারণই আমরা জানব। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে (Saraswati Puja) আরাধিত হন দেবী সরস্বতী। অনেকে মনে করেন, এই দিন থেকেই আগমন ঘটে বসন্ত ঋতুর। তাই একে বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়ে থাকে। সরস্বতী পুজোর সঙ্গে হলুদ রঙের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    হলুদ রঙকে শুভ বলে মানা হয় (Saraswati Puja 2025)

    হলুদ রঙকে শুভ বলে মানা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, হলুদ রঙ জীবনে আনে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি। ঠিক এই কারণেই মা সরস্বতীকে হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করা হয়। অন্যদিকে এর বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। মনে করা হয়, হলুদ রঙ মানসিক চাপ দূর করে মনে গভীর শান্তি আনে। এর পাশাপাশি হলুদ রঙ আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করে।

    হলুদ রঙে থাকে পজিটিভ এনার্জি (Saraswati Puja 2025)

    সরস্বতী পুজোর সময়ে সর্ষে ফুলে (Saraswati Puja 2025) ছেয়ে যায় চারিদিকে। তাই কেউ কেউ বলেন, হলুদ ফুল দিয়ে ঘর সাজালে পজিটিভ এনার্জি থাকে। একইসঙ্গে হলুদ রঙকে সুখ, আশা, জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও রোদের প্রতীক বলে মানা হয়। বসন্ত ও বন্ধুত্বের রঙও হল হলুদ।

    বাস্তুশাস্ত্র মতেও হলুদ রঙের আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে

    বাস্তুশাস্ত্র মতেও হলুদ রঙের আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। হলুদ রঙের অর্থ কোনও কিছুর নতুন সূচনা। হলুদ রঙ শুভ ও মঙ্গলদায়ক শক্তির দিকে আমাদের আকর্ষণ করে। হলুদ রঙ আশার রঙ হিসেবেও পরিচিত অনেকের কাছে। একে জীবনের এবং শুভবুদ্ধির রঙ বলে মানা হয়। বসন্তের শুরুতে এই রঙ মনে নতুন আশার সঞ্চার (Saraswati Puja 2025) ঘটায় আবার সুস্বাস্থ্যেরও প্রতীকও হলুদ রঙ।

  • Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় এবার বড়সড় সংস্কার আনতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। আজ শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কারের কথা স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, নতুন আয়কর বিল তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড (New Income Tax Bill) আগামী সপ্তাহে সংসদে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নতুন এই কর আইনটি আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা একেবারেই কমাতে সক্ষম হবে। এর পাশাপাশি, দেশের বিপুল সংখ্যক করদাতাদের জন্য এটি আরও সহজবোধ্য হবে। পাশাপাশি, নয়া এই আইনের লক্ষ্য হতে চলেছে কর সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা হ্রাস করা। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ক আইনের কিছু অস্পষ্টতা দূর করাও এই সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য বলেই মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

    কেন প্রয়োজন নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধি (Budget 2025)?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ১৯৬১ সালের আয়কর আইন কার্যকর রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কর দেন দেশের নাগরিকরা। জানা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে এই আইনটি (Budget 2025)। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই আইনে ২৩টি অধ্যায় ও ২৯৮টি ধারা রয়েছে, যা সাধারণ করদাতাদের জন্য বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, নতুন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আয়কর আইনের পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ কমানো হবে। এছাড়া, নয়া আয়কর আইন আনার উদ্দেশ্য হল দেশের কর ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল উপযোগী করে তোলা। নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি ঠিক কী কী। সেই নিয়েই আমাদের আলোচনা।

    নয়া বিধির মূল বৈশিষ্ট্য (Budget 2025)

    ১. আয়কর কাঠামো সরল করা

    বর্তমানে আয়কর ব্যবস্থায় (Budget 2025) দুই ধরনের কর ব্যবস্থা চালু রয়েছে (পুরনো কর ব্যবস্থা ও নতুন কর ব্যবস্থা) রয়েছে। তবে নতুন বিধি চালু হলে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে দেশের সব নাগরিকদের করদাতাদের জন্য একটি অভিন্ন কর কাঠামো কার্যকর হবে।

    ২. অর্থবর্ষ ও হিসাববর্ষের বিভ্রান্তি দূর করা

    বর্তমান ব্যবস্থায় আর্থিক বছর (FY) এবং হিসাব বর্ষ (AY) রয়েছে। এটা নিয়ে অনেক করদাতাই বিভ্রান্ত হয়ে যান। নতুন প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় খুব সম্ভবত এই আলাদা আলাদা বছরের ব্যাখা বিলুপ্ত করা হবে, এরফলে কর প্রদানের সময়ে করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

    ৩. করের হার সংক্রান্ত পরিবর্তন (Budget 2025)

    নতুন বিধি অনুযায়ী, উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে করের হার কমানোও হতে পারে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে? সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি হল—

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে (বর্তমানে ৩০ শতাংশ + সারচার্জ রয়েছে)।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম (যা বর্তমানে করদাতার আয়ের সঙ্গে যোগ করে স্ল্যাব অনুযায়ী কর নির্ধারণ করা হয়) ১৫ শতাংশ নির্দিষ্ট হার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে

    ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের জন্য পৃথক মূলধনী লাভ কর (Capital Gains Tax) কাঠামো বাতিল করে অভিন্ন করহার চালু করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪. বিমা নীতির আয়ের ওপর বসতে পারে কর

    বর্তমানে এলআইসি-র মতো জীবন বিমা একেবারে আয় করমুক্ত। তবে নতুন বিধিতে এই আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর বসানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫. কর নিরীক্ষার দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে

    বর্তমানে কর নিরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে (Tax Audit) শুধুমাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টরাই (CA) করতে পারেন। তবে নতুন আইনে কোম্পানি সেক্রেটারি (CS) এবং কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (CMA) জন্যও কর নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সরকার কীভাবে নতুন আইন তৈরি করছে?

    জানা গিয়েছে, এই আইন প্রণয়নের আগে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির অধীনে ছিল ২২টি সাব-কমিটি। এরাই বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করেছে। এছাড়া, গত বছরের অক্টোবর মাসে এবিষয়ে সরকার সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতও আহ্বান করে। জানা গিয়েছে, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে ৭,০০০টির বেশি পরামর্শ জমা পড়ে।

    নতুন আয়কর আইন: কী প্রভাব ফেলবে?

    সাধারণ করদাতাদের জন্য সহজতর হতে চলেছে কর ব্যবস্থা

    কর দাখিলের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সরল হবে

    ব্যবসা ও করপোরেট সংস্থাগুলোর জন্য কম জটিলতা

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে করের বোঝা বাড়তে পারে

    এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হলে ভারতের আয়কর ব্যবস্থায় বৃহৎ পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এরফলে, করদাতাদের অভিজ্ঞতা সহজ করবে ও আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।

  • Daily Horoscope 01 February 2025: ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 February 2025: ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ২) নিঃসঙ্গতা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি নিয়ে চলতে হবে।

    ২) ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে হাতে আসা কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা সফল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে এগোনো উচিত।

    ২) শেয়ার বাজারে লাভ দেখা যাচ্ছে, তবে খুব চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ২) কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ২) সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ২) বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ২) প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) শরীরের সমস্যায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ২) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Budget 2025: ১২ লাখ পর্যন্ত দিতে হবে না আয়কর, বাজেটে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    Budget 2025: ১২ লাখ পর্যন্ত দিতে হবে না আয়কর, বাজেটে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Budget 2025) আয়কর ছাড় ১২ লাখ পর্যন্ত, বড় ঘোষণা মোদি সরকারের (Modi Government)। চাকরিজীবীদের এই ছাড় হবে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কারণ তাঁরা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ছাড় পান। এর ফলে খুশির হাওয়া মধ্যবিত্ত মহলে। এদিন বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় আমাদের মূল লক্ষ্যই হল ব্যক্তিগত আয়করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে সুরাহা দেওয়া। সেই সঙ্গে স্বেচ্ছায় আয় ঘোষণার পথ প্রশস্ত করা। তা ছাড়া উৎসমূলে কর আদায়ের হার কমিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা করে দেওয়া।’’ এরপরেই নির্মলা সীতারামন এদিন ঘোষণা করেন ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। একইসঙ্গে ষাটোর্ধ্ব বা প্রবীণ নাগরিকদের প্রাপ্ত সুদের ওপর কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হল ১ লক্ষ টাকা।

    নয়া কর কাঠামো

    বাজেটে জানানো হয়েছে, নতুন কর কাঠামোয় শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ। এর পর চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পাঁচ শতাংশ, আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ  কর দিতে হবে। তবে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বিভিন্ন ভাবে করে ছাড় দেবে সরকার। যার জেরে, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত হবে। এছাড়া, চাকরিজীবীরা অতিরিক্ত ৭৫ হাজারের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পান। ফলে, তাঁদের ক্ষেত্রে, এই ঊর্ধ্বসীমা ১২.৭৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ।

    এর পর, ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা যাঁদের আয়, তাঁদের দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স। ১৬ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা আয়ে ২৫ শতাংশ। এরপর ২৪ লাখের বেশি রোজগার হলে ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। গত বছরের বাজেটে আয়করে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ থেকে ৭৫ হাজার করা হয়েছিল। এবছর, তাতে বদল করা হয়নি।

    এছাড়া অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করেছেন, আগামী সপ্তাহে পেশ করা হতে চলেছে নতুন আয়কর বিল। একইসঙ্গে প্রবীণদের জন্যও বড় ঘোষণা করা হল এদিনের বাজেটে। ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় পাবেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, প্রবীণদের জন্য এটা নিঃসন্দেহে সুখবর। অন্যদিকে, ২ লক্ষ ৪০ হাজার বেড়ে টিডিএস-এ ৬ লক্ষ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হল। নতুন বিলে আয়কর কাঠামো আরও সরল করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    শুক্রবারই দুর্গা এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাজেট জনকল্যাণমুখী হতে চলেছে।গতকালই তিনি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য দুর্গা এবং লক্ষ্মী দেবীর আশীর্বাদ কামনা করেছিলেন।শনিবার বাজেট পেশের সময় সেটাই স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

  • Karnataka: কর্নাটকে চালু ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি, কার্যকর কঠিন ব্যাধির ক্ষেত্রে, লাগবে পরিবারের সম্মতি

    Karnataka: কর্নাটকে চালু ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি, কার্যকর কঠিন ব্যাধির ক্ষেত্রে, লাগবে পরিবারের সম্মতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ বা ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি চালু করল কর্নাটক সরকার (Karnataka)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই চালু হল এই নীতি। এই নিয়ম অনুযায়ী, যে সব রোগী কঠিন রোগে আক্রান্ত এবং নিরাময়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তাঁদের ‘মৃত্যু’ উপহার দেওয়া যেতে পারে। রোগী এবং তাঁর পরিবারের সম্মতি লাগবে এক্ষেত্রে। তারপরেই চিকিৎসকরা ওই রোগীর ‘শান্তিপূর্ণ মৃত্যু’ (Right to die) নিশ্চিত করতে পারবেন। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করেছে। এবিষয়ে মুম্বইয়ের প্রখ্যাত চিকিৎসক রূপ গুরসাহানি জানিয়েছেন, কর্নাটক রাজ্য প্রথম এই নীতি চালু করল। এধরনের কিছু নিয়ম ইতিমধ্যে চালু রয়েছে গোয়া, মহারাষ্ট্রে ও কেরলে।

    ‘মৃত্যুর অধিকার’ (Karnataka) কী ভাবে প্রয়োগ করা হবে?

    এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও রোগীকে ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ দেওয়া হবে না। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি দু’টি ধাপে পরীক্ষা করে দেখবেন চিকিৎসকরা (Karnataka)। দুটি ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই ওই নির্দিষ্ট রোগীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে আদালতের তরফে। প্রথমে তিন জন চিকিৎসকদের নিয়ে গঠন করা হবে বোর্ড। এই প্রাইমারি বোর্ড রোগীকে পর্যবেক্ষণ করবে। এই বোর্ড যদি মনে করে রোগীর বেঁচে থাকার আশা একেবারেই নেই, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা এবং পর্যালোচনা হবে রোগীর বিষয়ে। দ্বিতীয় মেডিক্যাল বোর্ডে আরও তিন জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং এক জন সরকার নিযুক্ত চিকিৎসক থাকবেন। এরপরে দু’টি বোর্ডের রিপোর্ট জমা পড়বে আদালতে।

    সম্প্রতি সুপ্রিম রায়ে উঠে আসে ‘মৃত্যুর অধিকার’ নীতি

    আদালত (Karnataka) যদি রোগীর মৃত্যুতে সম্মতি দেয়, তখনই একমাত্র চিকিৎসকরা তা নিশ্চিত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যে রোগী লাইফ সাপোর্টে আছেন, তাঁর লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে গোটা প্রক্রিয়া নির্ভর করবে রোগীর পরিবারের ওপর। পরিবার যদি রোগীর ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’র জন্য আবেদন জানায়, তখনই প্রক্রিয়া শুরু করবেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যে সব রোগী কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং যাঁদের রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে মৃত্যুর অধিকার দেওয়া যেতে পারে। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পরেই ‘নিষ্কৃতিমৃত্যু’ নীতি কার্যকর করা হচ্ছে কর্নাটকে।

  • Suvendu Adhikari: হেলে পড়া বাড়ি! মেয়রের গ্রেফতারির দাবিতে বিধানসভা উত্তালের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হেলে পড়া বাড়ি! মেয়রের গ্রেফতারির দাবিতে বিধানসভা উত্তালের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় একাধিক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। এনিয়ে চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। এবার এর প্রতিবাদে কলকাতা পুরসভার সামনে সভা করে বিধানসভা উত্তাল করার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা দেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে পুর-প্রতিনিধিদের লুকিয়ে রাখা টাকা ‘পাতাল ফুঁড়ে বার’ করে আনার হুঙ্কারও দেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে মেয়রের গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি, “আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অধিবেশনে মেয়রের গ্রেফতারি এবং মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহির দাবিতে বিধানসভা উত্তাল করে তুলব।’’

    হেলে পড়া বাড়ি

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা এতদিন শুনে এসেছি প্রাচীন বাড়ি, ঐতিহ্যের বাড়ি, রাজবাড়ি, রবি ঠাকুরের বাড়ি… এই প্রথমবার কলকাতা মহানগরীর ছাপ্পা মেরে চেতলা থেকে জেতা মুখ্যমন্ত্রীর আলালের দুলাল জনাব ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একটা নতুন সংযোজন করেছেন, হেলে পড়া বাড়ি। নতুন সংযোজিত বাড়ি।” গতকাল শুক্রবারই কলকাতা পুরসভার সামনে সভা করতে চেয়েছিল বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলা। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি এই সভার। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল গেরুয়া শিবির। পরে আদালতের সভার অনুমতি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যার সভায় বিরোধী দলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ, বিজেপির দুই পুর-প্রতিনিধি ও দলের নেতা তাপস রায় প্রমুখ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    সভায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ তোলেন, বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়ে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা তুলছেন। তাঁর আরও দাবি, “সব জায়গায় অবৈধ সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। আর রয়েছে নব্য প্রোমোটাররা। তাঁরাই ভোটের সময়ে ভোট লুট করে। পাঁচ হাজার জলাশয় বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। যে পুর-প্রতিনিধিরা পয়সা খেয়েছেন, অর্পিতা (মুখোপাধ্যায়), হামিদদের চেয়েও বেশি পয়সা রয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাটি ফুঁড়ে হলেও সেই টাকা উদ্ধার হবে!” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও দাবি করেছেন, “যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসন দিয়ে তার পরে যেন বাড়ি ভাঙা হয়।”

  • Marichjhapi Massacre: হিন্দু উদ্বাস্তুদের ওপর বাম সরকারের বর্বরোচিত অত্যাচার, ফিরে দেখা মরিচঝাঁপি গণহত্যা

    Marichjhapi Massacre: হিন্দু উদ্বাস্তুদের ওপর বাম সরকারের বর্বরোচিত অত্যাচার, ফিরে দেখা মরিচঝাঁপি গণহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ জানুয়ারি মরিচঝাঁপি দিবস (Marichjhapi Massacre)। ১৯৭৯ সালের এই দিনেই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপকে মৃত্যুপুরী করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৯ সালের মরিচঝাঁপি গণহত্যা, আজও সভ্য সমাজের কাছে লজ্জার অধ্যায় হয়ে আছে। শরণার্থী হিন্দুদের (Hindu Refugees) ওপর সংঘটিত একটি নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল কমিউনিস্ট শাসনে, এমনটাই মত গবেষকদের। অনেকে বলেন, এই ঘটনা শুধু নৃশংসতার জন্য নয়, বরং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্টদের শ্রেণি-রাজনীতি ও উদ্বাস্তু বিরোধিতার এক কালো অধ্যায়।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট (Marichjhapi Massacre)

    ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর, লক্ষ লক্ষ হিন্দু শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। বিশেষ করে, নিম্নবর্ণের হিন্দুরা (যেমন নমঃশূদ্র সম্প্রদায়) পাকিস্তানে অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সরকার তখন তাঁদের যথাযথ পুনর্বাসন দিতে ব্যর্থ হয়। ১৯৫০-এর দশকে, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার হিন্দু শরণার্থীদের অপসারণের উদ্দেশ্যে মধ্য ভারতের দণ্ডকারণ্য অঞ্চলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দণ্ডকারণ্যে থাকা উদ্বাস্তু পরিবারগুলি মানিয়ে নিতে পারেনি সেখানকার আবহাওয়া। কারণ পূর্ববঙ্গে নরম আর্দ্র জল-হাওয়ার পরিবেশেই বেড়ে ওঠা তাঁদের। এই আবহে দণ্ডকের রুক্ষ পাথুরে জমি, দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ১৯৫৮ সাল থেকেই উদ্বাস্তুরা যখনই সুযোগ পেয়েছেন ছোট ছোট দলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছেন। জানা যায়, ১৯৭৬ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন বামফ্রন্টের নেতা জ্যোতি বসু দণ্ডকারণ্যের একটি উদ্বাস্তু শিবির (Marichjhapi Massacre), মানা ক্যাম্পের কাছেই ভিলাই শহরে এক বিরাট জনসভায় বক্তব্য় রাখেন। সেদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আপনাদের এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা ক্ষমতায় এলে উদ্বাস্তুদের সুন্দরবনে বসতি স্থাপনের ন্যায্য দাবি অবশ্যই মানা হবে।’’ অবশেষে ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসে। ১৯৭৮ সালের প্রথমদিক থেকেই উদ্বাস্তুদের দল দণ্ডকারণ্য থেকে আসতে থাকে দলে দলে। সুন্দরবনের জনমানবশূন্য মরিচঝাঁপি দ্বীপে তাঁরা বসতি স্থাপন করেন।

    কৃষিকাজ-মাছধরা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন উদ্বাস্তুরা

    প্রথমদিকে, মরিচঝাঁপিতে বসতি গড়ে তোলার পরে শরণার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে কৃষিকাজ, ছোটখাটো ব্যবসা এবং মাছ ধরা শুরু করে। কিন্তু তখনই বামপন্থী সরকার দাবি করল, সুন্দরবনের এই এলাকা পরিবেশগতভাবে সংরক্ষিত এবং সেখানে বসবাস অবৈধ। গবেষকরা বলেন, আসল সত্যি হল, শরণার্থীরা সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু সিপিআই(এম) সরকার তা মানেনি। বরং, তাঁদের উচ্ছেদ করতে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

    শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান (Marichjhapi Massacre)

    ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শরণার্থীদের খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি, পুলিশের কঠোর অবরোধের ফলে দ্বীপের ভেতর খাদ্য সংকট ও রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। ১৯৭৯ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ১১ মে পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ ও বামপন্থী ক্যাডারদের যৌথ অভিযানে হাজার হাজার শরণার্থীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের এই অভিযানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মারাত্মক অভিযোগ ওঠে বাম সরকারের বিরুদ্ধে, শরণার্থীদের নৌকায় করে নদীতে কুমিরমারি এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। যাতে করে মৃত, অর্ধমৃত দেহগুলি কুমিরে খেয়ে ফেলতে পারে। এভাবেই অত্যাচার চালায় বাম সরকার। সুন্দরবনের বাঘ যে এলাকায় সংরক্ষিত আছে, সেই এলাকায় মৃত অর্ধমৃত দেহগুলিকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অর্ধমৃত মানুষগুলি আমাদের বাঘের পেটে দেবেন না বলে চিৎকারও করেন।

    প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন

    বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। যদিও কমিউনিস্ট সরকার এই সংখ্যা কখনও স্বীকার করেনি এবং এই অপরাধের জন্য কোনও বিচারও হয়নি আজ পর্যন্ত। জানা যায়, ১৯৭৯ সালের এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পরেও গণমাধ্যম এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নীরব ছিল। বামপন্থী সরকার এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে একাধিক সংবাদপত্রের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় কিছু সাংবাদিক মরিচঝাঁপি কভার করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদেরকে আটকে দেওয়া হয় এবং তথ্য সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি।

    আজও কারও হয়নি সাজা

    অনেক গবেষেক বলেন, মরিচঝাঁপির শরণার্থীরা মূলত নমঃশূদ্র ও অন্যান্য তথাকথিক নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল। ফলে, বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের অবহেলা করে এবং নিষ্ঠুর দমননীতি গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত,রাষ্ট্রীয় মদতে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কোনও রাজনৈতিক নেতা বা প্রশাসনিক কর্মকর্তার আজও বিচার হয়নি। বামফ্রন্ট সরকার এই ঘটনার দায় আজও স্বীকার করেনি। দীর্ঘকাল ধরে এই গণহত্যার কথা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছে। গবেষক বিমল দাসের মতে, ‘‘মরিচঝাঁপি গণহত্যা ভারতের শরণার্থী নীতির এক নিষ্ঠুর রূপ এবং কমিউনিস্ট সরকারের অত্যাচারের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় বরং দলিত নিপীড়নের এক চরম উদাহরণ, যা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এক কালো দাগ হয়ে চিরদিন থাকবে।’’

  • Washington Plane crash: বিমান দুর্ঘটনার দায় ওবামা-বাইডেনের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

    Washington Plane crash: বিমান দুর্ঘটনার দায় ওবামা-বাইডেনের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটনে (Washington Plane crash) বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সকলেই। জেট বিমানের সঙ্গে সেনা কপ্টারের ধাক্কায় বিমানের ৬৭ জন যাত্রীই মৃত। তথ্য বলছে, বিগত দুই দশকে মার্কিন ইতিহাসে এটাই সবথেকে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। সম্প্রতি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তারপরেই সামনে এসেছে এই দুর্ঘটনা। তবে দুর্ঘটনার সব দায় তিনি প্রাক্তন দুই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বারাক ওবামার কাঁধেই চাপিয়েছেন।

    ট্রাম্পের দাবি (Washington Plane crash)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ফেডেরাল ডাইভার্সিটি পলিসি বা নীতির জন্যই (Washington Plane crash) এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, ওই বিমানে আমেরিকান ইগল ফ্লাইট ৫৩৪২-র সঙ্গে মার্কিন সেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের ধাক্কা লাগে, রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সামনে। বিমানে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। হেলিকপ্টারে তিনজন জওয়ান ছিলেন। ওয়াশিংটনে রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর একাধিক সংস্থা বিমানবন্দর লাগোয়া পটোম্যাক নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। মুখোমুখি সংঘর্ষে বিমানটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং পটোম্যাক নদীতে পড়ে। ডুবুরিরা নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালায়। হেলিকপ্টারটিও পড়ে ওই একই নদীতে।

    কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও সামনে আসেনি। তদন্ত চলছে। মনে করা হচ্ছে, রেডিও কমিউনিকেশনে শোনা গিয়েছিল যে হেলিকপ্টারকে গতিপথ বদলাতে বলা হচ্ছিল। এরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। এই আবহে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন সেনার হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। ফেডেরাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সুরক্ষা ব্যবস্থা শিথিল করে দিয়েছে কি না, সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা জানি না কী করে দুর্ঘটনা ঘটল, তবে বেশ কিছু ধারণা ও মতামত উঠে আসছে।’’ ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি নিরাপত্তাকে সবার ওপরে রাখি। কিন্তু ওবামা, বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা নীতিকে (পলিসি) কে প্রথমে রাখেন। তাঁরা আসলে বলতে চেয়েছেন আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ। কিন্তু আমরা বলেছি যোগ্য লোকদের চাই।’’

  • Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাব্বির আলি। অভিযোগ, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিয়েছেন সরস্বতী পুজো করলে খুন করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এক আইন পড়ুয়াকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। এই নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। মমতা সরকারকে এই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় ইমেল মারফত কলেজের পড়ুয়ারা অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলেজের পরিচালনা সমিতিতে থাকা মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকে। এঁদের দুজনই আবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রী। মালা রায় দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও বটে। পড়ুয়াদের (Saraswati Puja) করা সেই ইমেলেরই স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফিরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    সমাজমাধ্যমে (Saraswati Puja) কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম ‘আনোয়ার শাহ’ হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পুজোর কোনও আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গিয়েছে। একটু ভেবে দেখুন- তুষ্টিকরণ চালানো অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা কতটা সাহসী হলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে? এক মুহূর্ত ভেবে দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে ঘটছে। তবুও তিনি কিছুই জানেন না!’’

    শুভেন্দু অধিকারীর বিবৃতি

    গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরস্বতী পুজো বন্ধ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোয় কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে মন দিন।’’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সনাতনীরদের একটা কর্মসূচি দেখে ওদের হিংসা হয়। তাই এই কথা বলছেন! বিরোধীরা তুষ্টিকরণের কাজ করছে। হরিণঘাটায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সরস্বতী পুজো রুখছে, সেদিকটা দেখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’

    ‘‘সাব্বির আলির দাপটে কলেজ যেতে পারি না’’, দাবি অধ্যক্ষের

    এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমি সাব্বির আলির দাপটে কলেজে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়। কলেজে গেলেই ওর ছেলেরা আমায় হেনস্থা করে। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন দেখিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। আছে অর্থনীতি। অর্থাৎ পয়সা খোলামকুচির মতো দাও। নয়ত ঝামেলা করবে।’’

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতিতে কোনও কালেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হত না। যদি কলকাতার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যেমন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছেন, তেমন হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালি তৃণমূলের কারাগারের বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলাকে তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি করতে হবে।’’

    এবিভিপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

    এই ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সংঠনের রাজ্য নেতাদের সাফ কথা, আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ও পুজো বন্ধ করার নিদান দিয়ে ফের একবার নিজেদের ছাত্রবিরোধী প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবিভিপি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এমন অবস্থায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে টালিগঞ্জে নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এবিভিপি।

    গুন্ডাগিরির অভিযোগ আগেও উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে

    উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো করলে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাব্বির আলি। এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন অধ‍্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের বিস্ফোরক অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলের নেতা সাব্বির আলি। একইসঙ্গে ওই পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। এর আগেই সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তাঁর শাগরেদরা ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকার নগরউখড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হুমকি দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন। পুজো করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই আলিমুদ্দিন। এরপরে ফের সামনে এল দক্ষিণ কলকাতার ঘটনা।

  • Indian C-17: জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক উদ্ধার, কমান্ডোদের রোমাঞ্চকর অভিযান সামনে আনল কেন্দ্র

    Indian C-17: জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক উদ্ধার, কমান্ডোদের রোমাঞ্চকর অভিযান সামনে আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের মার্চ মাসে সোমালিয়াতে ঘন অন্ধকারে ১৭ জন নাবিককে জলদস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করে ভারতীয় বাহিনী। উপকূল বাহিনী ও বিমান বাহিনীর (Indian C-17) যৌথ অভিযানের রোমাঞ্চকর কাহিনী জনসমক্ষে আনল মোদি সরকার। একই সঙ্গে সম্মান জানানো হয়েছে পাইলট অক্ষয় সাক্সেনাকে। কারণ তিনি এই অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল মিশনকে সফল করতে সামরিক বিমান উড়িয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে ভারতীয় বায়ু সেনা সঙ্গে যুক্ত অক্ষয় সাক্সেনা।

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস c17 বিমানের দায়িত্ব পান অক্ষয় সাক্সেনা

    ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তাঁকে c17 বিমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের আবহে তাঁর অসীম সাহস এবং বীরত্বের জন্য বায়ু সেনা পদক দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে উইং কমান্ডার অক্ষয় সাক্সেনা যে মিশনের (Indian C-17) দায়িত্বে ছিলেন, তা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদসঙ্কুল ছিল। কারণ অন্য দেশের আকাশ সীমাকে ব্যবহার করতে হয়েছিল এই মিশনে। একই সঙ্গে জলদস্যুদের আটক করতে বিভিন্ন দুটি কম্ব্যাড রাবার বোটকে এবং ১৮ জনের একটি দলকে বিমান থেকে নামাতে হয়েছিল।

    রোমাঞ্চকর অভিযান (Somali Coast)

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিমানের (Indian C-17) ক্যাপ্টেন উইং কমান্ডার অক্ষয় সাক্সেনা অত্যন্ত সতর্কভাবে বিমান ওড়াতে থাকেন এবং দেশের সীমার বাইরে যে সমুদ্র পড়ছে সেখানে তিনি অত্যন্ত নিচুস্তর দিয়ে উড়ে যান। সন্ধ্যার সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি কমান্ডোদের রবার বোটে নামানো সিদ্ধান্ত নেন, যাতে তাঁদের কেউ শনাক্ত না করতে পারে। নামার আগে নির্ভুলভাবে এবং অত্যন্ত নিরাপদে তিনি ড্রপ করেন কমান্ডোদের। যার ফলে জলদস্যুতের আটক করা সম্ভব হয় এবং এর পরেই এমভি রুইন-র ১৭ নাবিককে বাঁচানো সম্ভব হয়। অত্যন্ত রোমাঞ্চকর এই অভিযানের নেতৃত্ব দানের জন্য বিশেষ সম্মান পেয়েছেন অক্ষয় সাক্সেনা। জানা গিয়েছে, গোটা অভিযানটি হয়েছিল ১০ ঘণ্টা ধরে। ভারতীয় নৌ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান সম্পন্ন করে বায়ু সেনা। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার এই অভিযানে সমস্ত দিক থেকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল।

LinkedIn
Share