Author: subhra-katwa

  • Bishnoi Gang: ‘এ বার তোর পালা’! সলমনের পরে লরেন্স গ্যাংয়ের নিশানায় ছোটপর্দার অভিনব

    Bishnoi Gang: ‘এ বার তোর পালা’! সলমনের পরে লরেন্স গ্যাংয়ের নিশানায় ছোটপর্দার অভিনব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সলমন খান একের পর এক হুমকি পেয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Bishnoi Gang) থেকে। শুধু তাই নয় বলিউডের এই তারকার বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’ লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছিল বিষ্ণোইয়ের দুষ্কৃতীরা। একইসঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে হুমকি পেতে হয়েছিল সলমনের বাবা সেলিম খানকেও। তার পর থেকেই এঁদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। সলমনের বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’র জানলায় বসানো হয় বুলেটপ্রুফ কাচও। এ বার সলমনের মতোই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একই রকমের হুমকি পেলেন অভিনেতা অভিনব শুক্লা (Abhinav Shukla)। অভিনেতার দাবি, হুমকিদাতা নিজেই জানিয়েছে সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের লোক।

    তোর বাড়িতেও একে ৪৭ দিয়ে তেমনই গুলি চালাব (Bishnoi Gang)

    ওই হুমকিদাতা জানিয়েছে, সলমন খানের বাড়িতে যেমন গুলি চালানো হয়েছিল, সেই একই কায়দায় অভিনবের বাড়িতেও গুলি চালানো হবে। এমনটাই দাবি করেছেন অভিনব (Abhinav Shukla)। ছোট পর্দার অভিনেতা অভিনব তাঁর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন। অঙ্কুশ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি অভিনবকে ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগত ভাবে সেই হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই হুমকি বার্তায় লেখা ছিল, “আমি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোক। তোর বাড়ির ঠিকানা আমার জানা আছে। আসব নাকি? সলমন খানের বাড়িতে যেমন গুলি করেছিলাম। তোর বাড়িতেও একে ৪৭ দিয়ে তেমনই গুলি চালাব।” শুধু তাই নয়, এই হুমকি বার্তার মধ্যে একাধিক অশালীন শব্দও জুড়ে দিয়েছিল অঙ্কুশ। এমনটাই অভিযোগ অভিনবের।

    অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে ওই ব্যক্তি

    প্রসঙ্গত, সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি (Bishnoi Gang) অভিনবের প্রতি দিনের চলাফেরার বিষয়ে ওয়াকিবহাল বলেও জানিয়েছে। অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে ওই ব্যক্তি । হুমকিবার্তা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে অভিনব লেখেন, “আমার পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, এই ব্যক্তি চণ্ডীগড় বা মোহালির বাসিন্দা (Bishnoi Gang)। যাঁরা এই ব্যক্তিকে চিনতে পারছেন, তাঁরা পদক্ষেপ করুন।” তবে এখানেই শেষ নয়। অভিনবের স্ত্রী রুবিনা দিলাইকও এমন হুমকিবার্তা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে সেই হুমকিদাতা আবার নিজেকে ‘বিগ বস্‌’ খ্যাত আসিম রিয়াজের অনুরাগী বলে দাবি করেছে নিজেকে।

  • Seaweed: পুষ্টিগুণে ভরপুর সামুদ্রিক শৈবাল, কেন এই সুপারফুড জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতে?

    Seaweed: পুষ্টিগুণে ভরপুর সামুদ্রিক শৈবাল, কেন এই সুপারফুড জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপান, চিন, কোরিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবে পরিচিত সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)। এই খাদ্য নিয়ে এখন ভারতেও চলছে জোর চর্চা। বিশাখাপত্তনমের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজি (CIFT) সামুদ্রিক শৈবালের সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ নিয়ে অনেক তথ্যই সামনে এনেছে।

    স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হল সামুদ্রিক শৈবাল (Seaweed)

    অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষজন সামুদ্রিক শৈবালের স্বাস্থ্যগুণ বিবেচনা করে নিয়মিত এটি খেতেও শুরু করেছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সামুদ্রিক শৈবালকে কেবল একটি সমুদ্রের আগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হত কিন্তু এখন, এটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, তামা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে।

    কেন্দ্রীয় সরকারও এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে (Seaweed) জোর দিচ্ছে

    কেন্দ্রীয় সরকারও ‘নীল বিপ্লব’ এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক শৈবালের (বিশেষ করে কাপ্পাফাইকাস, গ্র্যাসিলারিয়া, উলভা এবং সারগাসাম) ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে সবাইকে।

    সামুদ্রিক শৈবালের (Seaweed) রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পারকিনসন্স ডিজিজ বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাওয়া দ্বিতীয়-সবচেয়ে সাধারণ ডিজেনারেটিভ রোগ। পারকিনসন্স রোগ নড়াচড়াকে প্রভাবিত করে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যে সামুদ্রিক শৈবাল পারকিনসন্স রোগের অগ্রগতি ধীর করতে সক্ষম হতে পারে। অন্যদিকে গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে সামুদ্রিক শৈবাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং এমনকি শরীরকে (Powerhouse Of Nutrients) সালমোনেলা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

    সমুদ্রের শৈবাল নয়, এটা হল সবজি, বলছেন গবেষকরা

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, পালং শাকের (Powerhouse Of Nutrients) মতো সামুদ্রিক শৈবালকে কেবল আগাছা নয়, একটি সমুদ্রের সবজি হিসেবেই দেখা উচিত। ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস,কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় সামুদ্রিক শৈবাল। এর পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

  • Maharashtra: বরফ যুগের শেষে বাস করত ভারতে, ২৫,০০০ বছরের পুরনো হাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার মহারাষ্ট্রে

    Maharashtra: বরফ যুগের শেষে বাস করত ভারতে, ২৫,০০০ বছরের পুরনো হাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার মহারাষ্ট্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া হাতির জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। মহারাষ্ট্রে এই ধরনের আবিষ্কার প্রথম করেছেন এক গবেষক। সে রাজ্যের চন্দ্রপুরে গবেষক অধ্যাপক সুরেশ চপান মহারাষ্ট্রে বিলুপ্ত স্টেগোডন গণেশের বিরল জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। যা একটি প্রাচীন হাতির প্রজাতি। একে আধুনিক কালের এশিয়াটিক হাতির পূর্বপুরুষ বলা হয়। অধ্যাপক চোপান জানিয়েছেন, জীবাশ্মগুলি ২৫,০০০ বছরের পুরনো এবং তা প্লাইস্টোসিন যুগের শেষের দিকে ছিল পৃথিবীতে। এই জীবাশ্মগুলি ওয়ার্ধা এবং পাইনগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে পাওয়া গিয়েছে (Fossils Of Extinct Elephant)।

    ৯ বছর ধরে চলেছে গবেষণা

    জানা যাচ্ছে, এই কাজে গবেষকরা (Maharashtra) নয় বছর ধরে একটানা গবেষণা চালিয়েছিলেন। এই জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করার পর, ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির প্রাক্তন অধ্যাপক এবং গবেষক অবিনাশ নন্দ সহ অন্যান্য বিদেশী গবেষকরাও জানিয়েছেন যে জীবাশ্মগুলি বিলুপ্ত স্টেগোডন হাতির। অধ্যাপক সুরেশ চপান এবিষয়ে বলছেন, ‘‘ বিলুপ্ত হাতিদের এশীয় হাতির পূর্বপুরুষ বলা হয়। এই স্থানে বিলুপ্ত হাতির মতো মাথা এলিফাস নামাডিকাসের আবিষ্কার করা গিয়েছে। এই প্রজাতির হাতি ২ লক্ষ থেকে ১১,৭০০ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগে ভারতে বাস করত। বরফ যুগের একেবারে শেষের দিকে। যখন এই বরফ যুগ শেষ হয়, তখন ভারতে বিশাল বন্যা হয়। এই বন্যায় অনেক প্রজাতি ভেসে যায়।’’

    জীবাশ্মের হাতিটি ছিল ১৫ ফুট লম্বা (Fossils Of Extinct Elephant)

    সুরেশ জানিয়েছেন, যে জীবাশ্ম মিলেছে ওই হাতিটি ১৫ ফুট লম্বা ছিল এবং এর জীবাশ্মগুলি প্রথমবারের মতো মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) পাওয়া গিয়েছে। গবেষক জানিয়েছেন, এই জীবাশ্ম আবিষ্কারের পর তিনি কলকাতায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদর দফতরে এই বিষয়ে অবহিত করেন। গবেষক জানিয়েছেন, নয় বছর আগে, তিনি ওয়ার্ধা নদী থেকে আনা বালিতে জীবাশ্ম প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন। এই জীবাশ্মগুলি খুবই ছোট এবং ভঙ্গুর ছিল।এরপর তিনি নদীর তলদেশে আরও জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। ২০২০ সালে, চন্দ্রপুর তালুকে ওয়ার্ধা এবং পাইনগঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থলে তিনি জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন।

  • MK Stalin: ডিএমকে জোটে আসছে না পিএমকে, জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন

    MK Stalin: ডিএমকে জোটে আসছে না পিএমকে, জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu)। কোন দল কোন জোটে থাকবে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের সফর করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ফের একবার বিজেপি ও এআইএডিএমকে জোটের কথা ঘোষণা করেন এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সময়ই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে তামিলনাড়ুর অন্যতম ছোট রাজনৈতিক দল পিএমকে তারা শাসক দল ডিএমকে জোটে যোগ দিতে চলেছে। কিন্তু তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে একথা অস্বীকার করেছেন। স্ট্যালিন (MK Stalin) এই ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

    তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) জোট রাজনীতি নিয়ে চলছে চর্চা

    প্রসঙ্গত, এআইএডিএমকে ও বিজেপির জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে ফের একবার ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই সাংবাদিক বৈঠকেই ঘোষণা করেন এই জোটের গৌরবময় অধ্যায় নিয়ে। তখন তাঁকে বলতে শোনা যায়, একসময় এই জোটই তামিলনাড়ুতে ৩৯টির মধ্যে ত্রিশটি লোকসভার আসনে জয়ী হয়েছিল। অন্যদিকে ডিএমকে জোটসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস-ভিসিকে এবং অন্যান্য বামপন্থী দলগুলি। এই অবস্থায় জল্পনা ছড়ায় যে তামিলনাড়ুর দল পিএমকে, ডিএমকে জোটে যোগ দিতে আগ্রহী হয়েছে। কিন্তু এমন দাবি নস্যাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)।

    উত্তর তামিলনাড়ুতে ভালোই ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে পিএমকে দলের

    বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, উত্তর তামিলনাড়ুতে পিএমকে-র বেশ ভালোই ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। অন্যদিকে, ডিএমকে দলের জোট সঙ্গী ভিসিকে দলের সে রাজ্যের তপশিলি জাতিদের মধ্যে ভালো প্রভাব রয়েছে। এবার পিএমকে, ডিএমকে সঙ্গে জোটে এলে ভিসিকে জোট ছেড়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন (MK Stalin)। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় পিএমকে-র সঙ্গে ডিএমকে জোট নিয়ে। তারই জবাবে স্ট্যালিন জানান, সাংবাদিক যে ধরনের প্রশ্ন করছেন সেটি একটি গুজব। তাঁদের এধরনের জোটের কোনও ইচ্ছা নেই।

  • Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    Benjamin Netanyahu: ‘‘আমাদের কোনও বিকল্প নেই, গাজায় হামলা হবে আরও তীব্র’’, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) গাজায় অভিযানকে আরও তীব্র করার কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবারই তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে গাজাতে ইজরায়েলের লড়াই জারি থাকবে। প্রসঙ্গত শনিবার রাতেই এক ভিডিও বার্তা জারি করা হয়। সেখানেই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমাদের কাছে অন্য কোনও বিকল্প নেই। শুধু আমাদেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতেই হবে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। যতক্ষণ না আমরা জিতছি ততক্ষণ।’’

    হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ নয় (Benjamin Netanyahu)

    এর পাশাপাশি নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) আরও বলেন, ‘‘আমরা যদি এখন হামাসের দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করি, তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী যে সমস্ত সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, সেটাকে অসম্মান জানানো হবে। অসম্মান জানানো হবে আমাদের সেই সমস্ত বীরদের প্রতিও, যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়েছেন এবং তাদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন।’’

    হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত

    ইজরায়েরেল প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu) আরও জানান, রাফাহ দখল, ফিলাডেলফিয়া করিডোরের নিয়ন্ত্রণ ও হামাসের শীর্ষনেতাদের হত্যা না করলে এ যুদ্ধ অনেকখানি কঠিন হয়ে যেত। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার,সম্প্রতি ইজরায়েল মধস্থতাকারীদের মাধ্যমে গাজায় (Gaza) যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস। জঙ্গি গোষ্ঠী জানায়, তারা অবিলম্বে এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত, যেখানে যুদ্ধের অবসান হবে।

    ইজরায়েলের হামলায় ৫২ জন নিহত, দাবি  সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার

    এদিকে গত শনিবার দিনভর ইজরায়েলের হামলায় গাজা উপত্যকায় আরও ৫২ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার খান ইউনিসের মাওয়াসির এক উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েলের সেনারা।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। সেই শুরু। প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে যুদ্ধ।

  • Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    Bagha Nacha: ওড়িশায় দেবী বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করতে বাঘের পোশাক পরে নাচ করেন শিল্পীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার (Odisha) গঞ্জামের ঐতিহাসিক লোকনৃত্য় হল বাঘা-নাচ বা বাঘ নৃত্য (Bagha Nacha)। এই উৎসবে নৃত্যশিল্পীদের বাঘের পোশাক পরে নাচতে দেখা যায়। তাঁরা দেবীকে বুধি ঠাকুরানিকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন এভাবেই। এরসঙ্গে শুরু হয় ঠাকুরানি যাত্রা। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে দেবী সন্তুষ্ট হন।

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে কী বলছেন জনৈক নৃত্যশিল্পী?

    বাঘা নাচ (Bagha Nacha) সম্পর্কে বলতে গিয়ে একজন শিল্পী রাজকুমার বেহারা বলেন, ‘‘এখানে নাচটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেমন পরিবেশন হল সেই নাচটা, সেটাও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে এই নৃত্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আধ্যাত্মিকতার এবং দেবত্ব লাভের। দেবীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই বাঘা নাচ (Bagha Nacha) অনুষ্ঠিত হয়। এটি এক ধরনের ব্রত বলা যেতে পারে। ভক্তরা যাঁরা এই নৃত্যশিল্পীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং বাঘা নাচে অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা এই ব্রত পালন করেন। তাঁদেরকে উপবাস পালন করতে হয়। এই সময়কালে ব্রহ্মচর্য বজায় রাখতে হয়। এর পাশাপাশি মানসিকভাবে শান্ত থাকতে হয়। তাঁরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং পবিত্র পোশাক পরেন। গোটা গায়ে তাঁরা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে হলুদ এবং চন্দনের গুঁড়ো লাগান। একইসঙ্গে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ দিয়েও তাঁরা শরীরে নকশা করেন।’’

    সারা রাত ধরে চলে বাঘা নাচ (Bagha Nacha)

    জানা যায়, এভাবে সেজে উঠতে প্রত্যেক ব্যক্তির পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগে। ব্যবহৃত রঙ গুলিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে নানা রকমের পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়। যাতে তা খুব সহজে গা থেকে উঠে না যায়। নৃত্যশিল্পী বেহেরা আরও বলেন,‘‘এই রঙ গুলি তৈরি করতেও আমাদের দু মাসের বেশি সময় লাগে। সারা শরীর এইভাবেই আমরা চিত্রকর্ম করি। দেবী বুধি ঠাকুরানীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই শিল্পীরা বাঘের মুখোশ পরেন।’’ তবে, নৃত্যশিল্পীরা যে ধরনের পোশাক ব্যবহার করেন, তার দাম কিন্তু খুব একটা কম নয়। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে এই পোশাক তাঁরা কেনেন। নিজেরাই কেনেন। দেবী বুধি ঠাকুরানির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভক্তি অর্পণ করতেই তাঁরা এই কাজ করেন। এই পোশাক প্রস্তুত হয়ে গেলে নৃত্যশিল্পীরা এক একটি স্থানে যান। সেখানে অনেক মানুষের জমায়েত হয়। সারা রাত ধরেই তাঁরা নৃত্য পরিবেশন করতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে যে সমস্ত মানুষ বা ভক্তবৃন্দ বাঘা নাচ দেখতে আসেন, তাঁরাই এই শিল্পীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যান।

  • Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 April 2025: বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 19 April 2025: পেটের রোগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 April 2025: পেটের রোগ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের রোগ বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • UNESCO: ইউনেস্কোর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হল গীতা ও নাট্যশাস্ত্র, ‘গর্বের মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    UNESCO: ইউনেস্কোর রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হল গীতা ও নাট্যশাস্ত্র, ‘গর্বের মুহূর্ত’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে (Memory of World Register) লিপিবদ্ধ করা হল হিন্দুদের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবত গীতা এবং ভরত মুনি রচিত নাট্যশাস্ত্র। এই ঘটনাকে গর্বের মুহূর্ত বলে আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, গতকালই ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হয় ৭৪টি নতুন বিষয়। ইউনেস্কো জানিয়েছে, নতুন খোদাই করা সংগ্রহগুলির মধ্যে ১৪টি বৈজ্ঞানিক তথ্যচিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই প্রাচীন বিষয়গুলির মধ্যে ছিল ভারতের এই দুই প্রাচীন শাস্ত্র। এর ফলে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে মোট লিপিবদ্ধ সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৭০।

    এক্স মাধ্যমের পোস্টে কী লিখলেন নরেন্দ্র মোদি?

    নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘সারা বিশ্বের ভারতীয়দের পক্ষে এটা একটা খুব গর্বের মুহূর্ত। গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের প্রাচীন ভারতের জ্ঞান এবং সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতিকে বহন করছে গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র। এই দুটোই ভারতীয় সভ্যতাকে লালন-পালন করে আসছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এখনও পর্যন্ত এই দুই গ্রন্থ বিশ্বকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে।’’ ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনারেল অড্রে আজোলে ৭৪টি নতুন বিষয় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    কী জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি এবং পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দর সিং শেখাওয়াত

    গীতা এবং নাট্যশাস্ত্রের এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির (UNESCO) বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন দেশের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি আমাদের দেশবাসীর জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন গীতা এবং নাট্যশাস্ত্র ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রেজিস্টারের স্থান পাওয়াতে এদেশের মোট ১৪টি প্রাচীন লিপি স্থান পেল সেখানে। তিনি বলেন, ‘‘এটি ভারতের সভ্যতা এবং ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। যে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং ভারত মুনির লেখা নাট্যশাস্ত্র বর্তমানে ইউনেস্কোর মেমোরিয়াল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সম্মান জানাল প্রাচীন ভারতের শাশ্বত-সনাতন সংস্কৃতিকে। প্রাচীন ভারতের এই দুই গ্রন্থ আক্ষরিক অর্থে একটি জ্ঞান এবং জীবন দর্শনের ভাণ্ডার। এই দুই গ্রন্থের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে বিশ্বের কাছে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের অনুভূতি, আমাদের ভাবনা, আমাদের জীবন শৈলী- এই সমস্ত কিছুই প্রতিফলিত হয়েছে এই দুই গ্রন্থে। এর ফলে আমাদের দেশ থেকে ১৪টি ধরনের লিপি বর্তমানে আন্তর্জাতিক রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে।’’

    ১৯৯২ সালে শুরু হয় ইউনেস্কোর (UNESCO) মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারের পথ চলা

    আন্তর্জাতিক প্রাচীন ঐতিহ্যশালী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংরক্ষণের কথা রাষ্ট্রসংঘের বেশ কয়েকটি অধিবেশনে আলোচিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভা কনভেনশন উল্লেখযোগ্য। এক্ষেত্রে বলা দরকার ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে তৈরি হয়েছিল ১৯৯২ সালে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বহু অসামান্য মূল্যবান প্রামাণ্য নথি এবং ঐতিহ্য এখানে তালিকাভুক্ত হয়ে রয়েছে। ইউনেস্কোতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রয়েছেন বিশাল শর্মা। তিনি এই ঘটনাকে দেশবাসীর জন্য একটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয়দের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত এবং ভারতীয় চিন্তা ভাবনার প্রতিফল ঘটায় ভগবত গীতা। এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী। অন্যদিকে, ভারত মুনির নাট্যশাস্ত্রের পান্ডুলিপি হল অন্যতম মৌলিক পাঠ।’’

    ভারতের আর কী কী তালিকাভুক্ত হয়েছে এই গ্রন্থে?

    অন্যান্য ভারতীয় লিপির মধ্যে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান পেয়েছে পুনের ভান্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আর্কাইভ থেকে সংগ্রহ করা ঋগ্বেদের ৩০টি পাণ্ডুলিপি, ২০০৫ সালে পন্ডিচেরি থেকে শৈব পাণ্ডুলিপিকে ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে স্থান দেওয়া হয়। ঠিক ৮ বছর আগে ২০১৭ সালে ইউনেস্কোতে স্থান পায় গিলগিট পাণ্ডুলিপি এবং ২০২৩ সালে মৈত্রেয়বরকরণ তালিকাভুক্ত হয় ইউনেস্কোতে।

    গীতা এবং ভরত মুনি রচিত নাট্যশাস্ত্র

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮টি অধ্যায়ে ৭০০টি শ্লোক রয়েছে গীতায়। গীতা হল মহাভারতের অংশ। প্রাচীন এই গ্রন্থের ভীষ্মপর্বে (অধ্যায় ২৩-৪০) পাওয়া যায় গীতা। গীতায় মূল বিষয় হল জ্ঞান যোগ, কর্ম যোগ, ভক্তি যোগ। অন্যদিকে, ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র ভান্ডারকর ওরিয়েন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সংরক্ষিত ছিল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর কাছাকাছিতে সংকলিত হয় এই শাস্ত্রটি। এটি গন্ধর্ববেদ নামে পরিচিত। ৩৬,০০০ শ্লোক নিয়ে তৈরি এই শাস্ত্রে নাট্য (নাটক), রসবোধ, ভাব (আবেগ) এবং সঙ্গীত রয়েছে।

  • Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    Karnataka: পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার নামে পৈতা ছেঁড়া হল ব্রাহ্মণ ছাত্রের, শোরগোল কর্নাটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তার নামে কর্নাটকে (karnataka) এক ব্রাহ্মণ পরীক্ষার্থীর যজ্ঞোপবীত বা পৈতা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুয়াদের মধ্যে দেখা দেয় ব্যাপক ক্ষোভ। জানা গিয়েছে, শিবমোগগার আদিচুঞ্চনগিরি সিইটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার নামে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করার অভিযোগও আনা হয়েছে এক্ষেত্রে। বলা দরকার, হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের মধ্যে পৈতা পরার একটি রীতি রয়েছে। হিন্দু ধর্মে ব্রাহ্মণদের কাছে পৈতা হল ধর্ম এবং আস্থার প্রতীক। কিন্তু সেই পবিত্র পৈতা ছিড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিরাপত্তার অজুহাতে। এক্ষেত্রে শাসক দল কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি না আসায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

    ছাত্র অরাজি ছিল পৈতা খুলতে, তাও জোরপূর্বক খোলা হয় পৈতা

    কর্নাটকের (karnataka) আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ওই পড়ুয়াকে তাঁর কব্জির ধাগা খুলে ফেলার কথা বলে। একই সঙ্গে তাঁকে বলা হয়, পৈতাও খুলতে হবে। কিন্তু ওই ছাত্র দৃঢ়ভাবে একথার প্রতিবাদ জানায়। নিরাপত্তা আধিকারিকদের সামনে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, কেন এগুলোকে খোলা হবে? এরপর ওই ছাত্র জানায়, যা ইচ্ছা আপনারা করতে পারেন আমি কোনওভাবেই আমার পৈতা খুলব না। এরপরেই তাঁর পৈতে কেটে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পড়ুয়া মহলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা নিজেদের অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন।

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন

    ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সংগঠন। রঘুরাম নামের ব্রাহ্মণ সমাজ নামের এক প্রতিনিধি, ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক কেবি সহ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতা প্রসন্নকুমার ও দত্তাত্রেয়-এই চারজনের প্রতিনিধি দল ওই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসেন। কেন ওই ছাত্রের সঙ্গে এমন আচরণ করা হল তা কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান। একইসঙ্গে জেলা শাসকের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

    এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে (karnataka)

    প্রতিনিধি দলটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরিদর্শন করার পরে এধরনের কাজের তীব্র নিন্দা করেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। পৈতা খুলে নেওয়া এবং তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াকে চরম অবমাননাকর উল্লেখ করেছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ ধরনের ঘটনা ধর্মীয় অধিকারকে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করে ওই প্রতিনিধি দল। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে ওই ছাত্রের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, সংবিধানে যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করা আছে। সেখানে এভাবে একটি হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে কোন স্বার্থে? অনেকেরই প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যেখানে সংখ্যালঘুদের রীতিনীতিগুলিকে সুরক্ষিত রাখা হয়, সেখানে হিন্দুদের রীতিনীতিকে এইভাবে অপমান কেন করা হল?

    নীরব থেকেছে ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস

    বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মুসলিম পড়ুয়ারা যখন স্কুলের ভিতরে হিজাব পরার জন্য জোর করে আন্দোলন শুরু করে তখন কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য চিৎকার করে আওয়াজ তোলে, গলা ফাটায়। তবে হিন্দু পড়ুয়াদের পৈতা যখন জোর করে খুলে দেওয়া হয়, হাতের ধাগা কেটে দেওয়া হয়, তখন ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস হিন্দু ঐতিহ্যকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য কোনও আন্দোলনেই নামে না। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার পৈতা কোনও বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য পরা হয় না। বরং তা হিন্দু ধর্মের এক গভীর আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয়ভাবের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণ সমাজ এই পৈতা ধারণ করে।

    এর আগে কর্নাটকে মঙ্গলসূত্র খোলার অভিযোগও এসেছে

    অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি হিন্দু বিরোধী অবস্থান প্রথম থেকেই নেয়। হিন্দুদের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে যে কোনও সময় আঘাত করলে তারা রাজনৈতিকভাবে নীরব থাকে। কিন্তু যখন উগ্র মৌলবাদীরা যে কোনও ধরনের দেশদ্রোহি কাজ করে তখনও নীরব থাকে কংগ্রেস সমেত অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলি। এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন! কংগ্রেস দলের ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কি কেবল সংখ্যালঘু তোষণেই সীমাবদ্ধ? দেখা যায় যে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে একটা দূরত্ব তারা বজায় রেখেই চলে। যেখানে যে কোনও মন্দিরকেন্দ্রিক (Yajnopavita) ঘটনা হোক পৈতা খুলে নেওয়া হোক- সবকিছুতেই তারা অদ্ভুতভাবে নীরব থাকে। একি কেবলই তোষণের জন্য? এমন প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অনেকে উদাহরণ দিচ্ছেন এক বছর আগের একটি ঘটনা। কর্নাটক রাজ্যেই ঘটেছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীকে মঙ্গলসূত্র খুলতে বাধ্য করা হয়। এখানেও কংগ্রেস নীরব (karnataka) ছিল। কারণ মঙ্গলসূত্র হিন্দু ধর্মের প্রতীক।

    চাপে পড়ে জেলা প্রশাসন রিপোর্ট তলব করেছে

    এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পরেই চাপে পড়ে যায় জেলা প্রশাসন। সরকারের এক আধিকারিক গুরুদত্ত হেগড়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে ধর্মীয় অনুভূতিতে যে কোনও ধরনের আঘাতের ঘটনা কখনও সহ্য করা হবে না। এই ঘটনায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যায় যদি প্রমাণিত হয় তাহলে দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন ওই জেলা প্রশাসনের আধিকারিক। প্রসঙ্গত, অনেকে বলছেন এই ঘটনাতে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তার কারণ পৈতা খুলে নেওয়ার এই ধরনের ঘটনাগুলির মাধ্যমে হিন্দু প্রতীকগুলিতে অত্যন্ত সুক্ষভাবে আঘাত আনা হচ্ছে। তাই এগুলি কেবলমাত্র কোনও ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়, একটি সমাজকে (karnataka) লক্ষ্যবস্তু বানানোর প্রচেষ্টা। এই পরিস্থিতিতে ওই ব্রাহ্মণ সংগঠন সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছে।

LinkedIn
Share