Author: subhra-katwa

  • Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরে ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, থাকবেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডিসেম্বরে ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ, থাকবেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বছর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হয়েছিল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’। লোকসভা ভোট ঘোষণার কয়েক মাস আগেই সেই অভিনব কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। এবার বিধানসভা ভোটের আগে আবারও ব্রিগেডে একই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছেন, এ বার অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটবে।

    পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর ঘোষণা (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিজেপির নামে নয়, ‘সনাতনী ঐক্য মঞ্চ’ নামক সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল। হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে আয়োজন করা হয় এই বিক্ষোভ মিছিল। মিছিল শেষে চণ্ডীপুর থানার সামনে জনসভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় সাধু সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ব্রিগেডে ‘পাঁচ লক্ষ হিন্দুর গীতা পাঠ’-এর (Gita) কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    ৭ ডিসেম্বরের দিন হবে গীতা পাঠ, জানাচ্ছে আয়োজক সংস্থা

    শুভেন্দুর কথায় (Suvendu Adhikari), ‘‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাগেশ্বর ধাম থেকে ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী আসবেন। ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ হিন্দু একসঙ্গে গীতা পাঠ করবেন।’’ আয়োজক সংগঠন ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’-এর সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ৭ ডিসেম্বরের দিন ধার্য হয়েছে। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী এতে যোগদানের সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দ্বারকাপীঠের শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী, যিনি হিন্দু ধর্মের চার শীর্ষ পদাধিকারীর অন্যতম।

    মূল দায়িত্বে কার্তিক মহারাজ

    ২০২৩ সালের গীতাপাঠের (Gita) আয়োজন করেছিল একাধিক ধর্মীয় সংগঠন। তবে ২০২৪ সালে শিলিগুড়িতে যে সমবেত গীতাপাঠ হয়, তা একাই আয়োজন করে ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’, সংগঠনের নেতা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দের (কার্তিক মহারাজ) নেতৃত্বে। এ বারও মূল দায়িত্ব তাদের কাঁধেই থাকছে। যদিও শুরু থেকেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই উদ্যোগকে নেপথ্য থেকে সমর্থন দিয়ে এসেছেন। চণ্ডীপুরের সভায় তাঁর ঘোষণাই স্পষ্ট করে দিয়েছে, এবারও তাঁর দলবল জমায়েতের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। আয়োজকদের বক্তব্য, এবারের গীতাপাঠ হবে আগের সব আয়োজনের থেকে অনেক বেশি বিস্তৃত ও ঐতিহাসিক। তাঁদের দাবি, গতবারই লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল, যা রাজ্যে একটি নজির তৈরি করেছিল। তবে এবারের আয়োজনকে তারা আরও বৃহৎ আকারে গড়ে তুলতে চাইছেন।আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু কলকাতা বা আশেপাশের জেলাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এ বার ব্রিগেডে আসবেন। এ জন্য আগেভাগেই বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।

    জুন মাসেই গীতা পাঠের এই অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেছিলেন কার্তিক মহারাজ

    এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, ব্রিগেডে গীতাপাঠের প্রসঙ্গ প্রথম সামনে আসে চলতি বছরের জুন মাসে। সেই সময়েই ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ আয়োজনের কথা ঘোষণা করেছিলেন পদ্মশ্রী-পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। তিনি জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে একাধিক ধর্মগুরুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং নানা বিষয়ে আলাপ-আলোচনার পরই তিনি এই পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের ঘোষণা করেন। রাজ্যে হিন্দু ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই গীতাপাঠকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আয়োজকদের মতে, সমবেত গীতাপাঠ কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং হিন্দু সমাজকে একত্রিত করার এক মহৎ প্রচেষ্টা। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে যে বিভাজনের ছবি স্পষ্ট হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ আরও বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ সম্প্রতি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ উঠেছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে তাদের হিন্দুবিরোধী চিত্রও প্রকাশ্যে এসেছে।

    অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই

    যদিও কার্তিক মহারাজ সবসময় স্পষ্ট করেছেন যে, উদ্যোক্তারা জানেন— এই কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। গত জুন মাসেই তিনি এ কথা পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন। কার্তিক মহারাজ বলেছিলেন, “এখন গ্রামে গ্রামে, জেলায় জেলায় গীতা পাঠ হচ্ছে। যার ফলে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তনও হচ্ছে। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “রাজনীতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। গীতা এমন এক ধর্মগ্রন্থ যা হাজার হাজার বছর ধরে মানবজাতির কল্যাণে নিয়োজিত। বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও গীতা পড়েন। পৃথিবীর সমস্ত ভাষায় গীতা অনুবাদ হয়েছে। এখন সনাতন হিন্দু ধর্মের কথা বললেই বিজেপির কথা বলা হলে তো হাস্যকর ব্যাপার।”

  • Daily Horoscope 12 September 2025: কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 12 September 2025: কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 465: গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়

    Ramakrishna 465: গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়

    “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সমস্ত ব্যবসায়ীরা, কত কোলাহল, বাজার, গাড়ি, ঘোষা — কতক্ষণ ধরে কাছ নিয়ে চলে গেল। ব্যাধের কিন্তু লেশ নাই। সে জানিতে পারলো না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল।

    “একজন একলা একটি পুকুরের ধারে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ পরে ফাঁসাটা নড়তে লাগল, মাঝে মাঝে কাট হতে লাগল। সে তখন ছিপ হাতে করে টান মারবার উদ্যোগ করিতেছে। এমন সময় একজন পথিক কাছে এসে জিজ্ঞাসা করিতেছে, মহাশয়, অমুক বাঁড়ুজ্জেদের বাড়ি কোথায় বলতে পারেন? সে ব্যক্তি শ্ল্ধ নাই। তার হাত কাঁপিতেছে, কেবল ফাঁসার দিকে দৃষ্টি। তখন পথিক বিরক্ত হয়ে চলেগেল। সে অনেক দূরে চলে গিয়েছে, এমন সময় ফাঁসাটা ডুবে গেল, আর…

    ও ব্যক্তি টান মেরে মাছটাকে আড়ায় তুলল। তখন গাছটা দিয়ে মুখ পুঁতে, চিৎকার করে পাখিটাকে ডাকছে—ওহে—শোনা—শোনা! পাখি ফিরিতে চায় না, অনেক ডাকাডাকি পর ফিরিল। এসে বলছে, কেন মুখ্যধম, আবার ডাকছ কে? তখন সে বলল, তুমি আমায় কি বলছিলে? পাখি বললে, তখন অত্যন্ত করে জিজ্ঞাসা করলুম—আর এখন বলছ কি বললে! সে বলল, তখন যে ফানায় ডুবছিল, তাই আমি কিছুই শুনিতে পাই নাই।

    “ধ্যানে এইরূপ একাগ্রতা হয়, অন্য কিছু দেখা যায় না শোনাও যায় না। স্পর্শবোধ পর্যন্ত হয় না। সাপ গায়ের উপর দিয়ে চলে যায়, জানিতে পারে না। যে ধ্যান করে সেও বুঝিতে পারে না—সাপটাও জানিতে পারে না।

    “গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন বহির্মুখী থাকে না—যেন বার-বাড়িতে কপাট পড়ল। ইন্দ্রিয়ের পাঁচটি বিষয়: রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—বাহিরে পড়ে থাকে।

    “ধ্যানের সময় প্রথম প্রথম ইন্দ্রিয়ের বিষয় সকল সামনে আসে—গভীর ধ্যানে সে সকল আর আসে না—বাহিরে পড়ে থাকে। ধ্যান করতে করতে আমাদের কত কি দর্শন হয়। প্রত্যক্ষ দেখলাম—সামনে টাকায় কাঠি, শাল, একখানা সুন্দর টালি—তাদের মধ্যে কি সুন্দর জ্যোৎস্নার আভা—সব বাহিরের বস্তু।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে’’, মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ সেনা নাকি তাঁকে দেখে পালিয়েছে, এরই প্রতিবাদে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। সেই মঞ্চে বৃহস্পতিবার যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেনাকে কেন অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন শুভেন্দু। তিনি বললেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)।” শুভেন্দু আরও বলেন, “সেনারা কেন পালাবে, সেনাদের দেখেই ছারপোকা পালিয়েছে ডোরিনা ক্রসিং। আমাদের দেশের সেনাকে দেখে চিন পালায়, পাকিস্তান পা ধরে।”

    আগেও সেনাকে অপমান করেছেন মমতা

    তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “প্রত্যেক ঘটনাতে সেনাকে অপমান করা হয়েছে। অবন্তিপোরায় জঙ্গি হামলার পর যখন আমাদের বায়ুসেনা যখন ভিতরে ঢুকে মেরে এসেছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, প্রমাণ কোথায়?” শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) একবার সারা রাত নবান্নে কাটিয়েছেন। কেন জানেন? আর্মি একটা সার্ভে করে। বড় বড় ব্রিজে কত গাড়ি যাতায়াত করে ইন্টারন্যাশানালি, সেটাকে কাউন্ট করার একটা সার্ভে হয় কয়েক বছর অন্তর অন্তর। এক বছর গাড়ি কাউন্ট করছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, আর্মি ঢুকে পড়েছে!” ঘটনার রেশ ধরেই শুভেন্দু বলতে থাকেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যেন আলাদা দেশ, যে সেনা ঢুকে পড়ল? কেন? তার প্রতিবাদে তিনি সেই রাতে নবান্নে ছিলেন।” শুভেন্দুর প্রশ্ন, “এটা কোন ধরনের মানসিকতা? এটা দেশ বিরোধীদের মানসিকতা।” তখনই তিনি অভিযোগ করেন, “টুকরে টুকরে গ্যাঙের মানসিকতা মুখ্যমন্ত্রীর।”

    প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে দেখে ২০০ সেনা পালিয়েছে। আমি বললাম আপনারা কেন পালাচ্ছেন। আপনারা বিজেপির কথায় এটা করেছেন। আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। কোনও সমস্যা থাকলে আমাদের আগে জানাতে পারতেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মেয়ো রোডে প্রতিবাদে বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশ তাঁদের অনুমতি দিচ্ছে না, এমন অভিযোগও ওঠে। সে প্রসঙ্গেও এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওঁদের কেউ পঁচিশ বছর, কেউ কুড়ি বছর, জীবনের যে প্রাইম টাইম, তাঁরা দেশের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। এখনও দেশকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছেন। তাঁদের যে অপমান করা হয়েছে, তাঁরা প্রতিবাদ করতে এখানে বসতে চান। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকার অনেক শর্ত চাপিয়েছে, যাতে এখানে কোনওভাবেই করতে না পারেন।”

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, চার্জ গঠন পার্থ-পরেশ-অঙ্কিতাদের বিরুদ্ধে, এ বার শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-র (SSC Scam) একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-সহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ (SSC Scam) গঠন করল আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক বিশ্বরূপ শেঠ এই চার্জ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলে এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন

    এই মামলায় শুধুই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, তাঁর কন্যা, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান-সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নাম। আদালত সূত্রে খবর, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (IPC 120B), প্রমাণ নষ্ট করা (IPC 201), প্রতারণা (IPC 420), নথি জাল করা (IPC 467, 468) ও জাল নথি ব্যবহার (IPC 471)— এই ধারাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে।

    কারা রয়েছেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় এই প্রথমবার চার্জ গঠন হলো। মামলার শুনানি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে। মামলার নথি অনুযায়ী অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন— পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, সমরজিৎ আচার্য, নিয়োগ কর্তা (SSC Scam) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, আধিকারিক অশোক সাহা ও পর্ণা বসু। নাম রয়েছে বেশ কিছু এজেন্টেরও, পাশাপাশি নাইসা আধিকারিক পঙ্কজ বনশল ও নীলাদ্রি দাসের।

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ

    শারীরিক অসুস্থতার কারণে (SSC Scam) দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারও তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে সওয়াল করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য— “আমায় মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন। জেলের অন্ধকারে আমাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।” তবে আদালত তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দেয়। একইভাবে পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আর্জি জানালেও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। তাঁদের দাবি ছিল— তাঁরা নির্দোষ। আইনজীবীর সওয়ালে বলা হয়, অঙ্কিতা নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছিলেন। তখন পরেশ অধিকারী কোনও পদে ছিলেন না, তাই প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই ওঠে না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। কিন্তু সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে আরেক প্রার্থী। ২০২২ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেয় এবং প্রাপ্ত বেতনের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

  • Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন বিধানসভায় রক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী? স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশ করার ঘটনায় স্পিকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা (Contempt Of Court) দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশেই বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল— মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না।

    স্পিকারের আদালত অবমাননা (Contempt Of Court)!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষীদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে স্পিকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন। শুধু তাই নয়, আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী আবেদন করেছেন যাতে বিধানসভার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে। তার আগেই রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ছড়িয়েছে। যদিও তৃণমূল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বিজেপির অভিযোগ— স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করার সামিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়

    বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়— তাহলে কি বিধানসভায় আইন সমানভাবে প্রযোজ্য নয়? শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর যুক্তি, বিধানসভার স্পিকার নিজেই জানিয়েছিলেন কোনও বিধায়ক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষীসহ প্রবেশ করেছেন, যা আদালত অবমাননার সমান।

    শুভেন্দুর মামলায় কী রায় দিয়েছিলেন বিতারপতি অমৃতা সিনহা?

    এর আগে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল— তৃণমূল বিধায়কদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশাধিকার রয়েছে, অথচ বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সে সময় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, বিধানসভার আইন অনুযায়ী সেই নোটিস বহাল থাকবে। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল— বিধানসভার সচিবকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নিয়ম সব দলের বিধায়কদের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হয়।

  • PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    PM Modi: অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, সংঘ প্রধানের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ৭৫তম জন্মদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), আরএসএসের সর সংঘচালককে নিয়ে একটি লেখা লেখেন। নিজের লেখায় প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন মোহন ভাগবতের জীবন ও ব্যক্তিত্বের নানা দিক।

    অসাধারণ ব্যক্তিত্ব মোহন ভাগবত, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের ৭৫তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছেন— মোহন ভাগবত একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাজীবন সমাজ পরিবর্তন, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা শক্তিশালী করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

    জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একটি প্রবন্ধে তাঁকে জ্ঞানী ও পরিশ্রমী সরসংঘচালক বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন— “মোহনজি (Mohan Bhagwat) তাঁর কাজের ধারা ও মননে দুটি বিষয় সবসময় ধরে রেখেছেন— ধারাবাহিকতা ও অভিযোজনক্ষমতা। সংঘকে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবুও কখনও মূল আদর্শে আপস করেননি। একইসঙ্গে সমাজের পরিবর্তিত চাহিদার প্রতিও সাড়া দিয়েছেন। যুবসমাজের সঙ্গে তাঁর সহজ যোগাযোগ আছে, তাই তিনি সবসময় বেশি সংখ্যক তরুণকে সংঘ পরিবারে যুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি নিয়মিত আলোচনা ও মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, যা আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল যুগে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে।”

    ভারতের এক অন্ধকার সময়ে সংঘকাজে যোগ দেন মোহন ভাগবত

    মোদির (PM Modi) বক্তব্যে উঠে এসেছে যে, মোহন ভাগবতের সংঘজীবনের শুরু হয়েছিল ভারতের এক অন্ধকার সময়ে—জরুরি অবস্থার সময়। মোদি লিখছেন, “তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল দেশের উপর। যাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করতেন, তাঁদের কাছে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার কাজ মোহনজি এবং অসংখ্য স্বয়ংসেবক করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের গ্রামীণ ও অনুন্নত অঞ্চল, বিদর্ভে অনেক কাজ করেছেন তিনি। এতে তিনি গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষের সমস্যাগুলো গভীরভাবে বুঝতে শিখেছিলেন।”

    মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) তাঁর ও মোহন ভাগবতের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি সৌভাগ্যবান যে মোহনজির বাবা, প্রয়াত মধুকররাও ভাগবতজির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। দেশ গঠনের কাজে তিনি নিজের ছেলেকে নিবেদিত করেছিলেন। যেন এক পরশপাথর আরেকটি পরশপাথর গড়ে তুলেছিলেন।”

    সরসংঘচালকের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    প্রসঙ্গত, মোহন ভাগবত (PM Modi) গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘের দিশারি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি ১৯৫০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আরএসএস-এর ইতিহাসে তিনি তৃতীয় দীর্ঘতম সময়ের প্রধান। তাঁর আগে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন বালাসাহেব দেওরস ও এম এস গোলওয়ালকর। মোহন ভাগবতের বাবা মধুকর রাও ভাগবত ছিলেন একনিষ্ঠ স্বয়ংসেবক এবং আরএসএস-এর প্রচারক। মোহন ভাগবত তাঁদের জ্যেষ্ঠ সন্তান। তাঁর আরও দুই ভাই ও এক বোন আছে। প্রথমে তিনি ‘লোকমান্য তিলক বিদ্যালয়’-এ পড়াশোনা করেন। এরপর চন্দ্রপুরের জনতা কলেজে পড়েন। পরে আকোলার ‘পাঞ্জাবরাও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পশুচিকিৎসা ও পশুপালনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে তিনি পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে আরএসএস-এর প্রচারক হন। সেই সময় দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।

    ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের কঠোর দমননীতির বিরুদ্ধে তিনি আত্মগোপনে থেকে কাজ করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মোহন ভাগবত ‘অখিল ভারতীয় শারীরিক প্রধান’ ছিলেন (আরএসএস-এর শারীরিক প্রশিক্ষণের জাতীয় দায়িত্বে)। পরে তিনি ‘অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান’ হন, যেখানে পূর্ণকালীন কর্মীদের দায়িত্ব তাঁর হাতে ছিল। ২০০০ সালে তিনি আরএসএস-এর সরকার্যবাহ (সাধারণ সম্পাদক) নিযুক্ত হন। এরপর ২০০৯ সালের ২১ মার্চ মোহন ভাগবত আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ষষ্ঠ সরসংঘচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    তিনি আরএসএস-এর ইতিহাসে অন্যতম কনিষ্ঠ প্রধান। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, কার্যকর্তাদের প্রতি আন্তরিকতা এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁকে আলাদা মর্যাদা এনে দেয়। লক্ষ লক্ষ স্বয়ংসেবক, অসংখ্য শাখা এবং নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে একসঙ্গে চালানোই সরসংঘচালকের প্রধান দায়িত্ব। মোহন ভাগবত দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ সামলাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখেনি, বরং সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন দিশাও খুঁজে পেয়েছে। তিনি যুবসমাজের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্মকে সংঘের কাজে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আরএসএস গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সম্প্রীতি, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজের বিস্তার ঘটিয়েছে। শুধু সংগঠন বিস্তার নয়, সমাজে সংঘের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করা এবং বৃহত্তর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোও তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব।

  • Ramakrishna 464: গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়

    Ramakrishna 464: গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়

    “আমি সর্বপ্রকার সাধন করেছিলাম। সাধনা তিন প্রকার—সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক। সাত্ত্বিক সাধনায় তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকে বা তাঁর নামটি শুনে নিয়ে থাকে। আর কোনো ফললাভ নেই। রাজসিক সাধনে নানারকম প্রক্রিয়া—এতবার পুষ্পচর্চন করতে হবে, এত তীর্থ করতে হবে, পঞ্চগব্য করতে হবে; যজ্ঞোপবীতধার পুজা করতে হবে ইত্যাদি। তামসিক সাধন—তোমাকে আঘাত করে সাধনা। জয় কালী! কি, তুই খাস নির্নিমেষ। এই গলায় ছুরি দে। যদি দিয়া না দিস্ এ সাধনায় ফললাভ নাই। —যেমন তন্ত্রের সাধনা।

    “সে অবস্থায় (সাধনার অবস্থায়) অদ্ভুত সব দর্শন হত, আমার রমন প্রত্যক্ষ দেখলাম। আমার মতো রূপ একরকম আমার শরীরের ভিতর প্রবেশ করল। আর মড়কসম প্রতাপে পদ্মের মতো রমন করতে লাগল। ঘটল হৃদয়ে হয়েছিল—ঠাকুর বলতেন রমন কথার আর একটি পদ প্রবর্তিত হয়—আর উদ্বোধিত হয় রমন। এইরূপ মূর্তিমান, স্থাণু, অচঞ্চল, অনাহত, বিভক্ত, অখণ্ড, সহজাত সকল প্রত্যক্ষ ফুটে উঠত। আর নিচে মূর্ছা ছিল উদ্বোধক হল, প্রত্যক্ষ দেখলাম।”

    [ধ্যানযোগ সাধনা — ‘নিবৃত নিস্পন্দমিরপ্রদীপস্ফূর’]

    “সাধনার সময় আমি ধ্যান করতে করতে আবেশ করতাম প্রভূপদের শিখা—
    যখন হওয়া নাই, একটুও নড়ে না — তার আবেশ করতাম।

    “গভীর ধ্যানে বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়। একজন ব্যাধ পাখি মারবার জন্য তাগ করছে। কাছ দিয়ে বর চলে যাচ্ছে, সমস্ত ব্যবসায়ীরা, কত কোলাহল, বাজার, গাড়ি, ঘোষা — কতক্ষণ ধরে কাছ নিয়ে চলে গেল। ব্যাধের কিন্তু লেশ নাই। সে জানিতে পারলো না যে কাছ দিয়ে বর চলে গেল।

    “একজন একলা একটি পুকুরের ধারে মাছ ধরছে। অনেকক্ষণ পরে ফাঁসাটা নড়তে লাগল, মাঝে মাঝে কাট হতে লাগল। সে তখন ছিপ হাতে করে টান মারবার উদ্যোগ করিতেছে। এমন সময় একজন পথিক কাছে এসে জিজ্ঞাসা করিতেছে, মহাশয়, অমুক বাঁড়ুজ্জেদের বাড়ি কোথায় বলতে পারেন? সে ব্যক্তি শ্ল্ধ নাই। তার হাত কাঁপিতেছে, কেবল ফাঁসার দিকে দৃষ্টি। তখন পথিক বিরক্ত হয়ে চলেগেল। সে অনেক দূরে চলে গিয়েছে, এমন সময় ফাঁসাটা ডুবে গেল, আর…

  • Daily Horoscope 11 September 2025: বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 September 2025: বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে লক্ষণীয় কোনও পরিবর্তন না ঘটলেও সামান্য আয় বৃদ্ধি।

    ২) নতুন কোনও যোগাযোগ উৎসাহিত করবে।

    ৩) বন্ধুসঙ্গ প্রীতি বৃদ্ধি।

    বৃষ

    ১) দৈহিক অস্বস্তি ও মানসিক চাপ দিনের অধিকাংশ সময়কে বিব্রত করে তুলবে।

    ২) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র কিছুটা উদ্দীপনা বৃদ্ধি করবে।

    ৩) পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা সাময়িক মানসিক শান্তি নষ্ট করবে।

    মিথুন

    ১) কর্ম ও আর্থিক ক্ষেত্র উৎসাহ বৃদ্ধি করবে।

    ২) উদ্বেগের মধ্যে কোনও সুযোগ লাভ।

    ৩) অপ্রত্যাশিত সামান্য কিছু অর্থ লাভ।

    কর্কট

    ১) ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়বে নিঃসন্দেহে।

    ২) কিছু উটকো পয়সা হাতে আসবে।

    ৩) শারীরিক দিক থেকে অস্বস্তি বোধ করবেন।

    সিংহ

    ১) গৃহে শান্তির অভাব ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে।

    ২) পুরনো বন্ধুস্থানীয়ের সাথে যোগাযোগ ও কোনও গুণের জন্য সম্মানিত হবেন।

    ৩) কোনও শুভাশুভ কর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে যাবেন।

    কন্যা

    ১) টুকটাক অর্থ হাতে আসবে।

    ২) উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে সামান্য আর্থিক উন্নতি ও অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসবে।

    ৩) শরীর কিছুটা গোলমাল করবে। কোনও ব্যাপারে ক্ষণস্থায়ী মতবিরোধ জনিত অশান্তি ভোগ করবেন।

    তুলা

    ১) আর্থিকটান থাকলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র চলনসই।

    ৩) দূর আত্মীয়ের সম্পর্কে উৎকণ্ঠা কিংবা তাদের কোনও অশুভ সংবাদ পেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রবল ভাবে মানসিক চঞ্চলতা দেখা দেবে।

    ২) কর্মক্ষেত্র পূর্বের তুলনায় চিন্তামুক্ত ও নতুন যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে।

    ধনু

    ১) কোনও ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি ও মানসিক শান্তি নষ্ট করব।

    ২) বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন।

    ৩) গৃহে আত্মীয়ের আগমন ও পরিচিতের গৃহে নিমন্ত্রিত হতে পারেন।

    মকর

    ১) অবাঞ্ছিত কোনও ঘটনা মানসিক আনন্দ নষ্ট করবে।

    ২) কোনও গুণের জন্য সম্মানলাভ করবেন।

    ৩) দেবালয় ভ্রমণ হবে। কোনও দ্রব্য অথবা অযাচিত কিছু অর্থ লাভ হবে।

    কুম্ভ

    ১) গৃহে আত্মীয়ের আগমন অযথা ব্যয় বৃদ্ধি করবে।

    ২) কোনও তীর্থ বা নিকট ভ্রমণ হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় মনোভাব ও আধ্যাত্মিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) গৃহে শান্তির অভাব ও কারও সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে।

    ২) পুরনো কোনও বন্ধু স্থানীয় ব্যক্তির সাথে হঠাৎ যোগাযোগ হবে।

    ৩) কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    SIR: রাজ্যে এসআইআর-এর আগে মার্চ থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশি আবেদন বাতিল করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে বেশ সতর্ক নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ১ মার্চ থেকে ৩১ মে-এর মধ্যে কমিশনের কাছে নতুন ভোটারের বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। এসআইআর-এর (SIR) খবর আসতেই অনেকেই ফর্ম ৬ ও ফর্ম ৮-এর মাধ্যমে আবেদন করছিলেন। ফর্ম ৬ হল নতুন ভোটারের আবেদন, আর ফর্ম ৮ হলো ঠিকানা বা তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন। অন্যদিকে, কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জুন থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ আবেদনপত্রে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। বাকি বাতিল হয়েছে।

    মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন

    জানা গিয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত নতুন ভোটারের ৫০ শতাংশের বেশি আবেদন বাতিল করেছে কমিশন (SIR)। এই তিন মাসে মোট ২ লক্ষ ৩৩ হাজার আবেদন এসেছে, যার মধ্যে ১ লক্ষ ১৬ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। আবেদন বেশিরভাগ এসেছে বাংলার সীমান্তবর্তী জেলা—মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনা থেকে। বিশেষত মুর্শিদাবাদ থেকে ৩০ হাজার, দুই ২৪ পরগনা থেকে যথাক্রমে ২০ ও ২৫ হাজার আবেদন বাতিল হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফর্ম পূরণের সময় কয়েকটি কলাম এবং নির্দিষ্ট নথি পূরণ করা বাধ্যতামূলক। যদি কোথাও খামতি থাকে বা কোনও কলাম ফাঁকা থাকে, তবে আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।

    ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে

    রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় (SIR) ১ জুন থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ১০.০৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৬.০৫ লক্ষ আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বাকি ৪০.২৩ শতাংশ আবেদন বাতিল করা হয়েছে কারণ সেগুলিতে ভুয়ো নথি ছিল। বিভিন্ন জেলায় বাতিলের হারও অনেকটাই বেড়েছে। মুর্শিদাবাদে বাতিলের হার ৫৬.৪৪ শতাংশ, কোচবিহার ৪৪.৮৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর ৪৪.৮১ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৪৪.৬৮ শতাংশ, মালদা ৪১.২৫ শতাংশ এবং নদিয়ায় ৪২.১১ শতাংশ।

    এসআইআর-এর আগে তালিকায় নাম তুলতে হিড়িক

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর (SIR) ভয়ে অনেকেই হঠাৎ করেই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছেন। প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে না পারায় আবেদনের একটি বড় অংশ বাতিল হয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার আগে অনেকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে অনলাইনে ভোটার কার্ডের আবেদন করলে তা সরাসরি বাড়িতে পৌঁছাত। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি আবেদন শুনানি-এর মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share