Author: subhra-katwa

  • World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day) ছয়টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, যার মধ্যে রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও (World Record)। এই ছয়টি বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয় একেবারে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের দিনেই।

    অন্ধ্রপ্রদেশে জোড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (World Record)

    ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত। আরকে সৈকতে ৩,০৩,৬৫৪ জন একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন। এখানেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যোগ অনুশীলনের সর্ববৃহৎ রেকর্ডের (World Record) স্বীকৃতি পায় এই সমাবেশ। একই সঙ্গে ২২,০০০ আদিবাসী ছাত্রছাত্রী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

    মোহালির এইমস তৈরি করল এশিয়ার রেকর্ড

    মোহালির এইমস-এ স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় যোগ দিবসে। একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন তাঁরা। এই যোগ শিবিরের মাধ্যমে তাঁরা এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে (World Record) নাম তোলেন।

    গুজরাটে ভুজঙ্গাসনে গিনেস রেকর্ড

    গুজরাটের ভাটনগরে ২,১২১ জন একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day)। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হন তাঁরা।

    কুরুক্ষেত্রের ব্রহ্মসরোবর-এ রেকর্ড জমায়েত

    হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ এক লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছিল স্কুল ছাত্রছাত্রী। তারা বিভিন্ন আসন ও প্রাণায়াম অনুশীলন করে। এখানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। এই বিশাল শিবির একাধিক রেকর্ড ভেঙে দেয়।

    কৃষ্ণা নদীর উপর ভাসমান যোগাভ্যাস

    আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীতে একটি অভিনব রেকর্ড তৈরি হয়। সেখানে এক হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রায় ২০০টি জলযানে ভাসমান অবস্থায় যোগাভ্যাস করেন। এই উদ্যোগে সহায়তা করে এনটিআর জেলা প্রশাসন।

    লখনউয়ে সূর্য নমস্কার ভেঙে দিল পুরনো রেকর্ড

    উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে সূর্য নমস্কার অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় হয়। সরদার প্যাটেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই যোগ শিবিরে প্রায় ১,২০০ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও। এই আয়োজন অনেক আন্তর্জাতিক রেকর্ড ভেঙে দেয় (World Record)।

  • RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক। সংঘ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বৈঠক শুরু হবে ৪ জুলাই এবং চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। সেখানে দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘের সাংগঠনিক দৃষ্টিতে ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে

    বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর বিবিধ ক্ষেত্রের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদকরাও (Prant Pracharak Baithak) এই বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-এর প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজেদের রাজ্যের রিপোর্ট দেবেন, প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে।

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। প্রান্ত প্রচারকদের এই বৈঠকে হাজির থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত। সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও সমস্ত সহ-কার্যবাহরাও উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডঃ মোহন ভাগবত ২৮ জুন দিল্লিতে হাজির হবেন।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) যুগ চলছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যাতে কৃত্রিম মেধার বিষয়ে পরবর্তী প্রজন্ম শুধুমাত্র সচেতনই নয়, তারা এটিকে প্রয়োগ করার ব্যাপারেও প্রস্তুত হতে পারে।

    ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স চালু হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। পড়ুয়াদের কেবল প্রযুক্তি সম্পর্কে নয় বরং চারপাশের সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কেও সচেতন করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলাফল কী হতে পারে, তাও তাদের জানাতে হবে, সেটা চ্যাটজিপিটি হোক বা ভারতীয় মডেল ‘সর্বম’ হোক। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স (Artificial Intelligence) চালু হচ্ছে, এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই বিষয়ে শিক্ষাদান করা হবে। এই কোর্সের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে AI for Everyone – AI for All.

    শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও জানিয়েছেন, এই কোর্সটি প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে এবং ভারতবর্ষের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং এই কোর্সটির বিভিন্ন দিক দেখভাল করছে। শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৩০ হাজারেরও বেশি স্কুল ইতিমধ্যেই স্কিল হাব তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা চালাতে পারবে (Artificial Intelligence)।

    সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) ওপর চালু হয়েছে AI Readiness Program। এই প্রোগ্রাম শুরু হবে জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে। প্রসঙ্গত, জওহর নবোদয় বিদ্যালয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আবাসিক স্কুল যা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্কুল পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের পরিকল্পনার বিশদ ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের এই প্রচেষ্টা কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। সরকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে এনসিআইআরটি-র সঙ্গে কাজ করছে। একইসঙ্গে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য ১০ হাজার ল্যাবরেটরির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, ৫০,০০০ স্কুলে এই ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তিনি (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও বলেন, Skill India Digital Hub, FutureSkills-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন পড়ুয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোর্স অফার করছে।

  • Daily Horoscope 24 June 2025: ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 24 June 2025: ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) কিছু কেনাকাটার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

    Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

     এইবার ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতে কহিতে ঘরে ফিরতেছেন। বকুলতলায় ঘাটের কাছে আসিয়া বসিলেন, আচ্ছা এই যে কেউ কেউ অবতার বলছে তোমার কি বোধ হয়?

    কথা কহিতে কহিতে ঘরে আসিয়া পড়িলেন। চটি জুতা খুলিয়া ছোট খাটটিতে বসলেন। খাটের পূর্ব দিকের পাশে একখানে পাপোশ আছে। মাস্টার তাহার উপর বসিয়া কথা কহিতেছেন। ঠাকুর ওই কথা আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন। অন্যান্য ভক্তরা একটু দূরে বসিয়া আছেন। তারা এ সকল কথা কিছু বুঝিতে পারিতেছেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি কি বলো?

    মাস্টার- আজ্ঞা আমারও তাই মনে হয়। যেমন চৈতন্যদেব ছিলেন।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- পূর্ণ না অংশ? না কলা? ওজন বলোনা।

    মাস্টার- আজ্ঞে ওজন বুঝতে পারছি না। তবে তাঁর শক্তি অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি তো আছেনই।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- হ্যাঁ চৈতন্যদেব শক্তি চেয়েছিলেন (Kathamrita)।

    ঠাকুর কিন্তু চুপ করিয়া রহিলেন। পরেই বলিতেছেন- কিন্তু ষড়ভুজ

    মাস্টার ভাবিতেছেন। চৈতন্যদেব ষড়ভূজ হয়েছিলেন। ভক্তরা দেখিয়াছিলেন ঠাকুর একথা উল্লেখ কেন করিলেন!

    (পূর্বকথা- ঠাকুরের উন্মাদ ও মার কাছে ক্রন্দন, তর্ক বিচার ভালো লাগেনা)

    ভক্তেরা অদূরে ঘরের ভেতর বসিয়া আছেন। নরেন্দ্র বিচার করিতেছেন। রাম সবে অসুখ থেকে সেরে এসেছেন। তিনিও নরেন্দ্র সঙ্গে (Kathamrita) ঘোরতর তর্ক করছেন। ঠাকুর দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)- আমার এসব বিচার ভালো লাগেনা।

    শ্রী রামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)- থাম তোমার একে অসুখ

    মাস্টারের প্রতি- আমার এসব ভালো লাগেনা। আমি কাঁদতুম। আর বলতুম, মা এ বলছে এই এই। ও বলছে আর একরকম। কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে।

  • National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার (National Emergency) ২১ মাসে অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী দফতর, এমনই দাবি পিএন. ধরের। যিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রধান সচিব। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক ধরনের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন মুখ্যসচিব পিএন. ধর। তাঁর লেখা বই “Indira Gandhi, Emergency and Indian Democracy”–তে। ধরের অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী-র প্রত্যক্ষ প্রভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কার্যক্রম বিপথ পরিচালিত হতে থাকে। তিনি লিখেছেন, মোরারজি দেশাইয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনকে কার্যত প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।

    সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব (National Emergency)

    তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বংশী লাল, এবং তাঁদের অনুগতরা জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একচ্ছত্র প্রাধান্য অর্জন করেন। এই সময় তাঁরা সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি নতুন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পি. এন. ধর লেখেন, ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    ইন্দিরা গান্ধী বেশি চিন্তিত ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে

    ধরের মতে, ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি চিন্তিত (National Emergency) ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে। কারণ, সঞ্জয়ের দাদা রাজীব গান্ধী তাঁর আচরণে বিরক্ত ছিলেন। পি. এন. ধর লেখেন, একদিন রাজীব গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে বলেন, তিনি মায়ের জন্য খুব চিন্তিত, কিন্তু ভাইয়ের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অসহায়। তিনি বলেন, “আমি কেবল দর্শক মাত্র।”

    কমিউনিস্ট তত্ত্বকেই মেনে নেন ইন্দিরা গান্ধী

    পি. এন. ধর আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ছিল কমিউনিস্টরা। বামপন্থীদের মতে, জেপি আন্দোলন ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী এই ধারণাকেই গ্রহণ করেন, যার ফলেই জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়, এমনটাই মত পিএন ধরের। পিএন ধর (PN Dhar) তাঁর বইতে আরও লেখেন ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, ইন্দিরা গান্ধী হঠাৎ ঘোষণা করেন যে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দুই মাস পরেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরাসরি ভাবে মৌলবাদীরা সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে বেশ কিছু ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগও আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা থেকে এমনই এক খবর সামনে এসেছে।

    বাবা-ছেলেকে নির্যাতন (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ধর্ম অবমাননার (Bangladesh) মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিন্দু পরিবারের বাবা ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক নির্যাতন করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিত হওয়া ওই বাবার নাম পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলের নাম বিষ্ণুচন্দ্র শীল। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মৌলবাদী গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হযরত মহম্মদ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন ওই বাবা এবং ছেলে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীরা বাজারে জড়ো হয় এবং বাবা ও ছেলেকে নির্যাতন শুরু করে।

    ২২ জুন রবিবার ঘটে এই ঘটনা (Bangladesh)

    স্থানীয় একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত ২২ জুন মৌলবাদীরা ওই বাবা ও ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর শুরু করে। পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল দুজনেই মৌলবাদীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা এই ধরনের কাজ করেননি। কিন্তু মৌলবাদীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আধঘণ্টা ধরে এভাবেই মারধর চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে মৌলবাদীদের কবল থেকে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এর পরে স্থানীয় এক মৌলবাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে হিন্দু (Hindu) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অজস্র সংখ্যালঘু হিন্দুকে টার্গেট বানানো হচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে আসছে এমন সব ঘটনা।

  • Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ জুড়ে‌ই রাজ্যে হবে ঝড়-বৃষ্টি, এমন সম্ভাবনার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Rain Forecast)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। এই আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal)।

    মঙ্গল ও বুধবারে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে (Rain Forecast)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি মঙ্গল, বুধবারেও ঝড়-বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্তই চলবে এমন ঝড়-বৃষ্টি। অন্যদিকে, এই আবহাওয়ায় তাপমাত্রার পারদও কিছুটা কমছে। কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি।

    উত্তরবঙ্গে সোমবার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেও সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে ঝড়ের পূর্বাভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা সময় আগে, এই ২৯ মে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল বর্ষা (West Bengal)। তারপর থেকে টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার (Rain Forecast) প্রবেশ ১৭ জুন ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে মাঝেমাঝে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা শক্তি বাড়িয়ে পরে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে এই বর্ষা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাত হলেও ভরসা গরম বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।

  • Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি পালিত হতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করার জন্য সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। নিজেদের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেছে (Constitution Murder Day)। এই কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে মশাল মিছিল, বিভিন্ন প্রদর্শনী, স্কুল ও কলেজে গণপ্রচার প্রভৃতি রয়েছে।

    এক বছর ধরে চলবে এই কর্মসূচি

    একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সাংবিধানিক নীতির প্রতিফলন ঘটাবে। প্রসঙ্গত, ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) উপলক্ষে এই কর্মসূচি এক বছর ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

    ২০২৬ সালের মার্চে মশাল যাত্রার সমাপ্তি, হাজির থাকবেন মোদি

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গৃহীত (National Emergency) এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৫ জুন এবং চলবে ২০২৬ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত। এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে মশাল যাত্রা বা টর্চ মার্চ। ২০২৫ সালের ২৫ জুন দিল্লি থেকে গণতন্ত্রের চেতনার প্রতীক হিসেবে ছয়টি মশাল নিয়ে যাত্রা শুরু হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ২০২৬ সালের ২১ মার্চ দিল্লির কর্তব্যপথে এই যাত্রার সমাপ্তি হবে (Constitution Murder Day) বলে জানা গিয়েছে।

    কর্মসূচি সফলে বেশ কিছু স্লোগানও বানিয়েছে সরকার

    এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় আরও রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান (National Emergency)। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচিকে সফল করতে কেন্দ্রীয় সরকার নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে এবং কেন্দ্রশাসিত ও অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। এই উপলক্ষে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি স্লোগান নির্ধারণ করেছে। এই স্লোগানগুলির মাধ্যমে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হবে। নির্ধারিত স্লোগানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ‘গণতন্ত্রের জননী ভারত’, ‘গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক’, ‘গণতন্ত্রের চেতনায় সেঙ্গলকে জানাই প্রণাম’।

  • Syama Prasad Mookerjee: স্বাধীন ভারতের প্রথম ব্যক্তি শ্যামাপ্রসাদ যিনি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় করেন জীবন উৎসর্গ

    Syama Prasad Mookerjee: স্বাধীন ভারতের প্রথম ব্যক্তি শ্যামাপ্রসাদ যিনি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় করেন জীবন উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন জম্মু-কাশ্মীরে জেলবন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্য়ু হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mookerjee)। দেশজুড়ে এই দিনটি বিজেপি পালন করে বলিদান দিবস হিসেবে। চলতি বছরে তাঁর ৭৩তম প্রয়াণ দিবস। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও আন্দোলন সম্পর্কে।

    জন্ম ১৯০১ সালের ৬ জুলাই (Syama Prasad Mookerjee)

    বিজেপির পূর্বতন ভারতীয় জনসংঘ গঠন, পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানে যেতে না দেওয়া, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের দাবিতে আন্দোলন-এই সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বাঙালি নাম। তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯০১ সালের ৬ জুলাই। ‘বাংলার বাঘ’ বলে খ্যাত আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও যোগমায়াদেবীর পুত্র একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ, অন্যদিকে একজন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর জন্মস্থান কলকাতার ৭৭ রসা রোডে (বর্তমানে আশুতোষ মুখার্জি রোড)।

    শিক্ষাজীবন ও বিবাহ (Syama Prasad Mookerjee)

    – ১৯০৬ সালের ২৩ জুলাই কলকাতার ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।

    – ১৯১৭ সালে মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় মেধা বৃত্তি (১০ টাকা প্রতি মাসে) সহ উত্তীর্ণ হন।

    – ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আর্টসে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

    – ১৯২১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন, ইংরেজি অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

    – ১৯২২ সালের ১৬ এপ্রিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ডাঃ বেণীমাধব চক্রবর্তীর কন্যা সুধাদেবীর সঙ্গে।

    – ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

    মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো

    ১৯২৪ সালের ২৫ মে বিহারের পাটনায় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই ঘটনা গভীর রেখাপাত করে যুবক শ্যামাপ্রসাদের মনে। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, পিতার মৃত্যুতে তাঁর জীবন থেকে সমস্ত আনন্দ উধাও হয়ে যায়। এরপরেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে আইন পড়তে তিনি ইংল্যান্ড যান। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্মেলনে ওই বছরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। কলকাতায় ফিরে আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে যোগদান করেন। তবে হাইকোর্টের কর্মজীবনকে তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। ১৯৩৩ সালে তাঁর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে, প্রয়াত হন স্ত্রী সুধাদেবী।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই সময়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। নতুন কোর্স হিসেবে এগ্রিকালচারের ওপর ডিপ্লোমা তিনিই চালু করেন। চিনা ও তিব্বতীয় ভাষাশিক্ষার ওপরে কোর্স চালু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর আমলে নতুনভাবে তৈরি হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি হল। তিনি উপাচার্য থাকাকালীন প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতেন। ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি প্রথমবারের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমন্ত্রণ জানান বক্তব্য রাখতে।

    হিন্দু মহাসভায় যোগদান

    ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ওই বছরেই হিন্দু মহাসভায় যোগদান করেন তিনি। ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি-লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৩৯ সালে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের সভাপতিত্বে কলকাতায় বসে হিন্দু মহাসভার অধিবেশন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mookerjee)। ১৯৪০ সালে তিনি হিন্দু মহাসভার কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন।

    শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা

    ১৯৪১ সালে সাম্প্রদায়িক মুসলিম লিগকে বাংলার ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য হিন্দু মহাসভার সঙ্গে জোট হয় ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির। এই জোট জনপ্রিয় ছিল শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা নামে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ওই মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন।

    দাঙ্গা বিধ্বস্ত বাংলায় উদ্বাস্তুদের পাশে

    ১৯৪৪ সালে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে বসে হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় অধিবেশন। ওই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সে বছর থেকেই চালু করেন ‘ন্যাশনালিস্ট’ পত্রিকা। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ এবং নোয়াখালি দাঙ্গা করে মুসলিম লিগ। সে সময় আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে থাকা, উদ্বাস্তুদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, সবটাই তিনি নিজে হাতে করেছিলেন। সে সময় তিনি তৈরি করেছিলেন হিন্দুস্থান ন্যাশনাল গার্ড।

    পশ্চিমবঙ্গ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা

    ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় এক ভোটাভুটির মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পশ্চিমবঙ্গ। বাঙালি হিন্দু পায় তার নিজস্ব বাসভূমি। মুসলিম লিগের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে এই দিনটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’। হিন্দু সংখ্যাগুরু পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের ৫৮-২১ ভোটে বাংলা ভাগ করার পক্ষে রায় যায়। পৃথক হয় পশ্চিমবঙ্গ। সরকার ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণাও করে।

    স্বাধীন ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নেহরুর মন্ত্রিসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় শিল্পমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পর হিন্দু মহাসভাকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। ভারতের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন শিল্প উন্নয়ন নিগম, প্রথম শিল্পনীতি প্রণয়ন, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ স্থাপন, সিন্ধ্রি সার কারখানা-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। খড়্গপুরে ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি স্থাপনা, কলকাতার প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্থাপনার ভাবনা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে চলে। হত্যা, লুন্ঠন, নারীর সম্ভ্রমহানি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৫০ সালের ১৪ এপ্রিল নেহরু মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হয়েও এর প্রতিবাদে লোকসভায় গর্জে ওঠেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং পদত্যাগ করেন।

    ভারতীয় জনসংঘ গঠন

    দেশভাগের পরবর্তীকালে হিন্দু শরণার্থীদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের বন্দোবস্ত তিনিই করেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। একমাত্র জাতীয়তাবাদী সাংসদ হিসেবে তিনিই আইনসভায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতেন। এমন সময় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল স্থাপনের উদ্দেশ্যে গুরুজি গোলওয়ালকারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। রাজনীতি ক্ষেত্রে গুরুজি কয়েকজন স্বয়ংসেবককে পাঠান, তাঁরা হলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, জগদীশ মাথুর, সুন্দর সিং ভাণ্ডারি প্রমুখ। ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির রাঘোমাল গার্লস স্কুলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয় জনসংঘ। তিনিই ছিলেন প্রথম সভাপতি। প্রতীক ছিল প্রদীপ। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জনসঙ্ঘ তিনটি আসন পায়। যার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা থেকে জেতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিজে।

    জেলবন্দি অবস্থায় রহস্যজনক মৃত্যু

    দেশের প্রধান বিরোধী কণ্ঠস্বর তখন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mookerjee Martyrdom Day)। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিলোপের জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন। দাবি ছিল ‘এক প্রধান-এক নিশান-এক বিধান’। কারণ কাশ্মীরের জন্য ছিল তখন আলাদা পতাকা। কাশ্মীরে চালু ছিল না ভারতের সংবিধানও। বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল ৩৭০ ধারার মাধ্যমে। এই ধারা কার্যত কাশ্মীরকে পৃথক করে রেখেছিল ভারত থেকে। কাশ্মীরে প্রবেশ করতে ভারতীয়দের লাগত অনুমতিও। এর প্রতিবাদ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিনা পারমিটে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে গেলে ফারুক আবদুল্লার সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে ১৯৫৩ সালের ১১ মে।জম্মু ও কাশ্মীরে জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু (Syama Prasad Mookerjee Martyrdom Day) হয় ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন।

LinkedIn
Share