Author: suman-das

  • Nadia: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে চাকদায় ইডির হানা! মিলেছে পাকিস্তানের যোগসূত্র, আটক ২

    Nadia: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে চাকদায় ইডির হানা! মিলেছে পাকিস্তানের যোগসূত্র, আটক ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সাতসকালে জাল পাসপোর্ট (Fake Passport Case) কাণ্ডে ফের নড়েচড়ে বসল ইডি। নদিয়ার (Nadia) চাকদায় মিলল জাল পাসপোর্টের খবর। ইতিমধ্যে একই পরিবারের দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে তদন্তকারী অফিসারদের শুধু যে দুই ভাইয়ের দিকেই নজর তা নয়, নজরের রয়েছে তাদের বাবাও। জাল পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তান বা বিদেশে পাঠানোর একটা বড় চক্র বহুদিন ধরে এলাকায় সক্রিয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। টাকার বিনিময়ে এই জাল পাসপোর্ট, আন্তর্জাতিক স্তরে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কিনা, সেই দিকও খোঁজ খবর করছে ইডি। জাল পাসপোর্ট (Fake Passport Case) দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য কতটা ক্ষিতকর সেইদিকের কথা ভেবেই অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলা জুড়ে।

    ৪-৫ ঘণ্টা টানা চলে তল্লাশি (Nadia)

    এদিন ভোর বেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের একটি দল অভিযান চালায় চাকদার (Nadia) দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পড়ারি গ্রামে। ইতিমধ্যে কাঠমিস্ত্রী বিপ্লব সরকার এবং তাঁর ভাই রাজমিস্ত্রী বিপুল সরকারকে আটক করা হয়েছে। তবে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন তাঁদের বাবাও। সকাল ছটা নাগাদ চারটি গাড়িতে করে মোট চারজন ইডির আধিকারিক পৌঁছায়। এরপর বিপ্লব এবং বিপুলের বাড়িতে মোট ৪-৫ ঘণ্টা টানা চলে তল্লাশি। একে একে খতিয়ে দেখা হয় পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল। তবে দুই ভাইয়ের পাসপোর্টে কোনও জাল নথি (Fake Passport Case) ব্যবহার করে করা হয়েছিল কিনা তাও সবিস্তারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ৩০০-র বেশি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার

    সম্প্রতি পাকিস্তানের নাগরিক আজাদ মল্লিক নামক এক ব্যক্তিকে জাল পাসপোর্ট মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধান মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার (Nadia) গেদে সীমান্তের একাধিক সংযোগের তথ্য। নদিয়ার শিবপুর থেকে ইন্দুভূষণ হালদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী অফিসাররা। তার অবশ্য নিজের একটি সাইবার ক্যাফে ছিল। সেখান থেকেই জাল পাসপোর্ট তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তদন্ত চালিয়ে, হানা দিয়ে এবং সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা করে এখনও পর্যন্ত ৩০০-র বেশি জাল পাসপোর্ট (Fake Passport Case) উদ্ধার করেছে ইডি। পাকনাগরিক আজাদের পাসপোর্ট নাকি ইন্দুভূষণই স্বয়ং রিনিউ করে দিয়েছিল। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে ইন্দুর সঙ্গে আজাদের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের হিসেবও মিলেছে। এবার এই তথ্যের ভিত্তিতেই বিপ্লব-বিপুল এবং তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

    চাকদায় অভিযান চলে ২-৩ বার!

    উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা আগেও ২-৩ বার অভিযান চালিয়েছিল চাকদায় (Nadia)। ইতিমধ্যে ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আরও নানা তথ্যকে ক্ষতিয়ে দেখছে। মোবাইলের কল লিস্টের তথ্য অনুসন্ধান করে সমস্ত কথাবার্তার সূত্রগুলিকে খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। ভারতের শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তান যোগ এবং আন্তর্জাতিক পাচারচক্র, জালিয়াতি চক্রের বড়সড় কোনও পরিকল্পনা এই জাল পাসপোর্টের (Fake Passport Case) মধ্যে রয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছেন অফিসাররা। একদিকে এসআইআর অপর দিকে সীমান্তে বাংলাদেশিদের গ্রেফতার এই ঘটনার পাশাপাশি জাল পাসপোর্টচক্র সীমান্তে চোরাকারবার এবং পাচার সম্পর্কেও বিরাট ইঙ্গিত বহন করছে।

    হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে জাল পাসপোর্ট

    ইডির এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, “চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে এই ভুয়ো পাসপোর্টের মামলায় বিরাটি থেকে আজাদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই ব্যক্তি তার নাম মিথ্যে বলেছিল। তার আসলে আসল নাম আহমেদ হোসেন (Nadia)! হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে দিতো এই আহমেদ হোসেন। তাকে গ্রেফতার করেই ইন্দুভূষণের বিষয়ে জানতে পেরেছিল ইডি। এখন তদন্ত চলছে। কীভাবে এই জালিয়াতির (Fake Passport Case) কারবার চলতো সেই বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।”

  • Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষা (SIR) ঘোষণার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়তে শুরু করেছে। অবৈধ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ৪ নভেম্বর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর কাজ শুরু হবে। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তোপ দেগে বলেন, “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। এখন সাপ বেরোচ্ছে।”

    বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ (Suvendu Adhikari)

    ৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিএলওরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করবেন। টানা তিন মাস কাজ চলবে। ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আর তাই কাগজে কলমে ধরা পড়ার আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারত ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট কথায় বলেন, “আজকে বলছি পালাও, হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা রয়েছে। ৪ তারিখের আগেই পালাও। ৪ তারিখের পর যে ফর্মগুলি রিটার্ন (SIR) আসবে না, বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ। যে রাস্তা দিয়ে এসেছেন সেই রাস্তা দিয়ে পালান। ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে রাজ্যের পুলিশও বাঁচাতে পারবে না।”

    ২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণার করার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েকদিনে প্রচুর বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। আসলে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে যাতেই এই লোকগুলি ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকার গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নিউটাউনে কাজের লোকেগুলি নেই। গর্তে কার্বলিক দিলে সাপ বেরোয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অ্যাসিড দিয়েছে। সাপগুলি এখন বেরহচ্ছে।”

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে এতো বিরোধিতা কেন? এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সারা দেশে মোট ১২টি রাজ্যে হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন সাহেবের রাজ্যে হচ্ছে, শুধু অবিজেপি শাসিত নয়, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এইআইআর হচ্ছে। কোথাও তো কোনও আন্দোলন বা হইচই নেই। সব কিছুতেই যেন গেল গেল রব। এই রাজ্যেই কেন?”

    অপর দিকে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এসআইআরে গরিব লোকেরা খুব কষ্টে পড়বে, তাদের কাছে কাগজ কম আছে।” আবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি ব্যবহার করছে।” তবে নরমেগরমে ভোটের আগেই এসআইআর আবহে বঙ্গরাজনীতি এখন বিরাট উত্তাল।

  • Kirit Somaiya: মহারাষ্ট্রে ৫১১টি বাংলাদেশি-রোহিঙ্গার জাল জন্ম প্রমাণপত্রের খোঁজ দিলেন কীর্তি সোমাইয়া  

    Kirit Somaiya: মহারাষ্ট্রে ৫১১টি বাংলাদেশি-রোহিঙ্গার জাল জন্ম প্রমাণপত্রের খোঁজ দিলেন কীর্তি সোমাইয়া  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি সোমাইয়া (Kirit Somaiya)। অমরাবতীতে জন্মের প্রমাণপত্র দেওয়ার কেলেঙ্কারি উন্মোচন করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ শত শত অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের (Bangladeshi Rohingya) বেআইনি ভাবে জন্ম সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট তৈরি করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এসআইআর আবহে এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    নিখোঁজ ৫০০ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা (Kirit Somaiya)

    বিজেপি নেতা সোমাইয়া (Kirit Somaiya) বলেছেন, অমরাবতী মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (এএমসি) কর্তৃক ১৭০০ টিরও বেশি জন্ম সনদ অবৈধভাবে জারি করেছে। যার মধ্যে ৫১১টি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের (Bangladeshi Rohingya) দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলেই তারা ভারতীয় নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট এবং সরকারের নানা জনকল্যাণ মুখী প্রকল্পের সুবিধা পেতে সক্ষম হয়েছে।” এই তথ্য জানাজানি হতেই মহারাষ্ট্র পুলিশ ৫০৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। বর্তমানে ৫০০ জনেরও বেশি সুবিধাভোগী নিখোঁজ। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা ভেবে ইতিমধ্যে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারায় মামলা

    সোমাইয়া (Kirit Somaiya) ২৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে অমরাবতী পুর কমিশনারকে চিঠি লিখে এই দুর্নীতির কথা জানান। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জারি করা সকল জন্ম সনদের আরেকবার তদন্ত করে দেখা উচিত। এরপর অমরাবতী জেলাশাসক ১৮ মার্চ, ২০২৫ তারিখে একটি আদেশ জারি করেন, যাতে এই ধরণের সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা প্রয়োগ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ধারা ৩৩৬(৩), ৩৪০(২), এবং ৩১৮(৪) ধারা। গোটা মামলায় তদন্তের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নরেশ এম গিরঘুসেকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

    আগেও মেলে ভুয়ো জন্ম প্রমাণপত্র

    তবে জানা গিয়েছে অমরাবতীর ঘটনাটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সোমাইয়া (Kirit Somaiya) ছত্রপতি সম্ভাজি নগর বা ঔরঙ্গাবাদে একই ধরণের ঘটনার কথা আগেও একবার প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন। সেখানে ২০২৪ সালে ২০,০০০ এরও বেশি সার্টিফিকেটে তারিখ পিছিয়ে দিয়ে জন্মসনদের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা ছিল মহারাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ। তদন্তে দেখা গেছে যে এই আবেদনগুলির মধ্যে ১০,০০০টি সম্পূর্ণ ভাবে ভূয়ো। সোমাইয়া মহারাষ্ট্র জুড়ে তার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি কেবল দুর্নীতি নয়, এটি জাতির বিরুদ্ধে একটি অনুপ্রবেশ অপরাধ। যারা অবৈধভাবে বিদেশীদের (Bangladeshi Rohingya) নাগরিকত্ব পরিচয়পত্র দিয়েছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

  • PM Modi: আরজেডি কংগ্রেসের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদ নিয়েছে, তোপ মোদির

    PM Modi: আরজেডি কংগ্রেসের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদ নিয়েছে, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার নির্বাচনে (Bihar Election) জমজমাট প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিপক্ষ মহাজোটকে নিশানা করে বলেন, “আরজেডি কংগ্রেসকে বন্দুকের মুখে দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে।” বিহার নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আরজেডির মধ্যে মতভেদকে তুলে ধরে আমজনতাকে এনডিএ সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন মোদি। অপারেশন সিঁদুর থেকে মহাকুম্ভ একাধিক বিষয়ে লালুর দলকে আক্রমণ করলেন মোদি।

    মহাজোটে দ্বন্দ্ব চরম শিখরে (PM Modi)

    বিহারের আরাতে একটি নির্বাচনী (Bihar Election) প্রচার সভাতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস আরজেডি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে চাননি। কিন্তু আরজেডি কংগ্রেসের কানে বন্দুক ঠেকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর পদ দখল করে নিয়েছে। নির্বাচন আবহেই মহাজোটের একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভেদ এবং ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম শিখরে উঠেছে। ভোটের পরেও তারা একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। আরজেডি নিজেদের নির্বাচনী সংকল্পে কংগ্রেসের দাবিগুলিকে উপেক্ষা করেছে। জোর করে কংগ্রেসের বিষয়গুলিকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনের আগে যাদের মধ্যে এতো ঝগড়া, নির্বাচনের পরেও তাদের মধ্যে কোন্দল অব্যাহত থাকবে। তাদের বিশ্বাস করলে মস্ত বড় ভুল হবে।”

    অনুপ্রবেশকারীদের কড়া তোপ

    নির্বাচনী প্রচারে (Bihar Election) অপারেশন সিঁদুরের কথা মনে করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “যখন পাকিস্তানে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারের ঘম ভেঙে গিয়েছিল। পাকিস্তান এবং কংগ্রেস অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কা থেকে সেরে উঠতে পারেনি। আরজেডি হিন্দু ভাবাবেগকে সম্মান করে না। মহাকুম্ভকে ‘ফালতু’ শব্দ প্রয়োগ করেছিল। একই ভাবে পবিত্র ছটপুজোকেও। রাজ্যের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার বিহারের জনগণের থাকা উচিত, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কংগ্রেস সরাসরি বিআর আম্বেদকরকে অপমান করেছে কারণ তিনি কংগ্রেসের প্রথম পরিবারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। বাবা সাহেবকে সবচেয়ে বেশি অসুবিধার মধ্যে ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতারাই।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “আরজেডি বিহারে জঙ্গল রাজ এবং তোষণের রাজনীতি এনেছেকংগ্রেস পরিচালিত ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল আরজেডি আপনারা ভুলবেন না ১৯৮৪ সালের ১ ও ২ নভেম্বরের দিনগুলিকে। কংগ্রেসের সদস্যরাই দিল্লি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে কীভাবে শিখদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল।

  • Ramakrishna 497: “সচ্চিদানন্দ নিজে রসাস্বাদন করতে রাধিকার সৃষ্টি করেছেন, সচ্চিদানন্দকৃষ্ণের অঙ্গ থেকে রাধা”

    Ramakrishna 497: “সচ্চিদানন্দ নিজে রসাস্বাদন করতে রাধিকার সৃষ্টি করেছেন, সচ্চিদানন্দকৃষ্ণের অঙ্গ থেকে রাধা”

    শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীরাধিকাতত্ত্ব—জন্মমৃত্যুতত্ত্ব

    পণ্ডিতজী বসিয়া আছেন, তিনি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লোক।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে, মাস্টারের প্রতি) — খুব ভাগবতের পণ্ডিত।

    মাস্টার ও ভক্তেরা পণ্ডিতজীকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ Ramakrishna (পণ্ডিতের প্রতি)—আচ্ছা জী! যোগমায়া কি?

    পণ্ডিতজী যোগমায়ার একরকম ব্যাখ্যা করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—রাধিকাকে কেন যোগমায়া বলে না?

    পণ্ডিতজী এই প্রশণের উত্তর একরকম দিলেন। তখন ঠাকুর নিজেই বলিতেছেন, রাধিকা বিশুদ্ধসত্ত্ব, প্রেমময়ী! যোগমায়ার ভিতরে তিনগুণই আছে—সত্ত্ব রজঃ তমঃ। শ্রীমতীর ভিতর বিশুদ্ধসত্ত্ব বই আর কিছুই নাই। (মাস্টারের প্রতি) নরেন্দ্র এখন শ্রীমতীকে খুব মানে, সে বলে, সচ্চিদানন্দকে যদি ভালবাসতে শিখতে হয় তো রাধিকার কাছে শেখা যায়।

    “সচ্চিদানন্দ নিজে রসাস্বাদন করতে রাধিকার সৃষ্টি করেছেন। সচ্চিদানন্দকৃষ্ণের অঙ্গ থেকে রাধা বেরিয়েছেন। সচ্চিদানন্দকৃষ্ণই ‘আধার’ আর নিজেই শ্রীমতীরূপে ‘আধেয়’,—নিজের রস আস্বাদন করতে—অর্থাৎ সচ্চিদানন্দকে ভালবেসে আনন্দ সম্ভোগ করতে।

    “তাই বৈষ্ণবদের গ্রন্থে আছে, রাধা জন্মগ্রহণ করে চোখ খুলেন নাই; অর্থাৎ এই ভাব যে—এ-চক্ষে আর কাকে দেখব? রাধিকাকে দেখতে যশোদা যখন কৃষ্ণকে কোলে করে গেলেন, তখন কৃষ্ণকে দেখবার জন্য রাধা চোখ খুললেন। কৃষ্ণ খেলার ছলে রাধার চক্ষে হাত দিছলেন। (আসামী বালকের প্রতি) একি দেখেছ, ছোট ছেলে চোখে হাত দেয়?”

    সংসারী ব্যক্তি ও শুদ্ধাত্মা ছোকরার প্রভেদ

    পণ্ডিতজী ঠাকুরের কাছে বিদায় লইতেছেন।

    পণ্ডিত—আমি বাড়ি যাচ্ছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna) সস্নেহে—কিছু হাতে হয়েছে।

    পণ্ডিত—বাজার বড় মন্দা হ্যায়। রোজগার নেহি! —

    পণ্ডিতজী কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া বিদায় লইলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি) দেখো,—বিষয়ী আর ছোকরাদের কত তফাত। এই পণ্ডিত রাতদিন টাকা টাকা করছে! কলকাতায় এসেছে, পেটের জন্য,—তা না হলে বাড়ির সেগুলির পেট চলে না। তাই এর দ্বারে ওর দ্বারে যেতে হয়! মন একাগ্র করে ঈশ্বরচিন্তা করবে কখন? কিন্তু ছোকরাদের ভিতর কামিনী-কাঞ্চন নাই। ইচ্ছা করলেই ঈশ্বরেতে মন দিতে পারে।

    “ছোকরারা বিষয়ীর সঙ্গ ভালবাসবে (Kathamrita) না। রাখাল মাঝে মাঝে বলত, বিষয়ী লোক আসতে দেখলে ভয় হয়।

    “আমার যখন প্রথম এই অবস্থা হল, তখন বিষয়ী লোক আসতে দেখলে ঘরের দরজা বন্ধ করতাম।”

  • Suvendu Adhiakri: “অমলেন্দুর মুখের ভাষাই প্রমাণ করে হিন্দুদের কি চোখে দেখেন মমতা!” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhiakri: “অমলেন্দুর মুখের ভাষাই প্রমাণ করে হিন্দুদের কি চোখে দেখেন মমতা!” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নামটাই যথেষ্ট! কারণ কালীপুজোয় কাকদ্বীপে যারা কালীমায়ের মূর্তি ভেঙেছে তাদের গ্রেফতার না করে মাথা ভাঙা মূর্তিটিকেই প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এদিকে শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভাসানের দিন আগত ভক্তদের কৃষ্ণনগর (Krishnagar) কোতোয়ালি থানার আইসিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা গেল। আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের হুমকি দিয়ে বলেন, “মাটিতে ফেলে কেলাবো, দেখে নেব এক একটাকে।” এটাই কি পুলিশের আসল চরিত্র? পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakri) ও সুকান্ত মজুমদার।লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম (Suvendu Adhiakri)

    শনিবার কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন চলছিল। একাধিক ক্লাব ও বারোয়ারীর ঠাকুর রাজবাড়ি থেকে কদমতলা গঙ্গারঘাটে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। ঠাকুরের ভাসানকে ঘিরে রাজপথে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছিল। জেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে প্রচুর ভক্ত, দর্শনার্থী এবং পর্যটকরা এসেছিলেন। কিন্তু এদিন এই প্রতিমা ভাসানোকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সমস্ত হিন্দু দর্শনার্থী এবং ভক্তদের উদ্দেশ্যে আচমকা লাঠিচার্জ করতে শুরু করে নদিয়া পুলিশ। এই সময়ই কোতোয়ালি থানার আইসিকে গালিগালাজ করতে শোনা যায়, হুমকিও দেন। ব্যাপক মারধরও করা হয়। পরে শুরু হয়ে যায় নির্বিচারে লাঠিচার্জ। পুলিশে লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম হন বেশ কিছু মহিলা এবং তরুণী।

    অসহযোগী পুলিশ!

    এই অভব্য এবং অসৌজন্যমূলক আচরণকে ঘিরে মমতা সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমাদার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কৃষ্ণনগরের (Krishnagar) ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোয় নবমীর রাত থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয়েছে। উৎসব মুখর হিন্দু জনতাকে পুজোর আনন্দ দিতে সবরকম পরিস্থিতিতে পুলিশের সহযোগী মনোভাবের পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে মানুষের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে।”

    হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা?

    মমতার পুলিশ প্রশাসনকে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhiakri)। তিনি বলেন, “কৃষ্ণনগরে (Krishnagar) জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের মূহুর্তে হিন্দুদের ওপর অন্যায় নির্যাতন চালানোর সময় কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের মুখের ভাষা থেকেই বোঝা যায় যে হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসন! কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বিসর্জনের জন্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নাগরিক সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও পুলিশ ব্যর্থ। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণকে লাঠি পেটা করেছে মমতার পুলিশ। অমরনাথ কে এবং অমলেন্দু বিশ্বাস দু’জনেরই অদক্ষতা প্রমাণিত ও এদের রেকর্ড হল প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজি। জনগণের স্বার্থের চেয়ে নিজদের স্বার্থ তাঁদের কাছে অনেক বেশি অগ্রাধিকার পায়। এই ভাষায় মানুষকে অপমান করার অধিকার এঁদের কে দিয়েছে?

  • UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডে কেমব্রিজশায়ারের একটি ট্রেনে ভয়াবহ ছুরির হামলায় দশজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ন’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার, ২ নভেম্বর ডনকাস্টার থেকে লন্ডন কিংস ক্রসগামী (UK Incedent) একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে এই হিংসাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকা ছুরির (Knife Attack) হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ভয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    গ্রেফতার-২ (UK Incedent)!

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হান্টিংডনে ছুরিকাঘাতের (Knife Attack) ঘটনা কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের তরফে এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে করা হয়েছে। তবে কোন সংগঠন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। কেমব্রিজশায়ারের পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রফতারও করা হয়েছে। ঘটনাটি যে বড়সড় আক্রমণের ঘটনা তা আঁচ করেই একাধিক পুলিশ অফিসার এবং আপৎকালীন বাহিনীকে নিয়ে হান্টিংডন স্টেশনে পৌঁছে যান। উল্লেখ্য, এই খানেই ট্রেনটি (UK Incedent) থেমে গিয়েছিল। সন্ত্রাস দমনকারী একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছেন। যদিও হামলার পিছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদেরও এখনও শনাক্ত করা হয়নি।

    উদ্বেগজনক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী

    ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হান্টিংডনের কাছে একটি ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরি (UK Incedent) চালানো হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা একপ্রকার সংকেত দিয়ে ঘটনার কথা পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবাগুলিকে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে জানায়। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সকলকে পুলিশের পরামর্শ মেনে চলার কথা বলব।”

    ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রমবর্ধমান ছুরির হামলার ঘটনা সত্যিই উদ্বেগের। ওই দেশের সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ছুরি-সম্পর্কিত অপরাধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত একবছরে, ছুরি নিয়ে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৬০ হাজার ছুরি (Knife Attack) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু অপরাধী আত্মসমর্পণও করেছে।

  • Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সরকারি জমির অবাধ ব্যবহার সম্পর্কে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার একটি পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য একটি হিন্দু সংগঠনকে (Hindu Community) অনুমতি দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) মাদুরাই বেঞ্চ। গত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে খ্রিস্টান ইস্টার উদযাপনের জন্য এই স্থানটি একচেটিয়াভাবে সংরক্ষিত ছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি বলেছেন, দেশের সংবিধান ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে সকল ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে নিশ্চয়তা দেয়। আর তাই হিন্দু সংগঠনের পক্ষে রায় দেয় কোর্ট।

    অন্যায্য আচরণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Madras High Court)

    আদালত (Madras High Court) ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, এই অধিকার রক্ষা করা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তব্য। তারা কেবল সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কথা উল্লেখ করে কোনও অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করতে পারে না। পরিবর্তে, পুলিশকে অবশ্যই একজন ব্যক্তির অধিকারের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং উদ্ভূত যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কালীয়াম্মন মন্দিরের কাছে একটি উন্মুক্ত জন সাধারণনের ময়দানে অন্নধনম অনুষ্ঠান (Hindu Community) করতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাঠ ব্যবহারের অনুমতি তো দেওয়াই হয়নি, উল্টে তাঁকে পাবলিক রাস্তার পাশে একটি জায়গায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে তাঁর প্রতি অন্যায্য আচরণ মনে করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত পুলিশকে জিজ্ঞাসা করে কেন অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে? পুলিশের উত্তর, এটি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা তাদের।

    জমির মালিকানা সরকারের

    মামলা চলাকালীন জানা গিয়েছে ১০০ বছর আগে ময়দানের একপাশে একটি মঞ্চ করা হয়। আর এই মঞ্চ কেবলমাত্র ইস্টারের উৎসবের সময়ে খ্রিষ্টানরাই ব্যবহার করতে পারত। তবে ২০১৭ সালে শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ১০০ বছর ধরে যারা অনুষ্ঠান করে আসছে কেবলমাত্র তারাই পারবে এই অনুষ্ঠান করতে। তবে মামলায় উঠে আসে জমির মালিকানার অধিকার রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন বলেন, সরকারি জমিতে সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত।

    আদালত গ্রামের জনসংখ্যার দিকেও নজর দিয়েছে। যেখানে প্রায় ২,৫০০ খ্রিস্টান পরিবার এবং ৪০০ হিন্দু পরিবার রয়েছে। মনে হচ্ছে পুলিশ কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরোধিতাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হিসাবে উল্লেখ করেছে। বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথন তাই প্রশাসনের এই ভাবনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্যান্য ধর্মের লোকদের (Hindu Community) অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

  • 150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপন পর্বে ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রার প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক সংগঠন আর্য সমাজের (150 Years Arya Samaj) ১৫০ বছর অর্থাৎ সার্ধশতবর্ষের পূর্তিকে মাথায় রেখে ১৫০ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। আর্য সমাজের বিশেষ প্রতীক হল জ্ঞান, আলো এবং সত্যের চিন্তা। এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে ১৫০ টাকার মুদ্রায় দেবনাগরী লিপিতে খোদাই করে পবিত্র গায়েত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

    বর্ণ বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার বিরোধী আর্য সমাজ (150 Years Arya Samaj)

    ব্রিটিশ ভারতের ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষকে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক জাগরণের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় কাজ করেছে আর্য সমাজ। ‘বিশ্বকে মহৎ করুণ’-এই নীতিবাক্য নিয়ে শিক্ষা, নারীর সম্মান, ক্ষমতায়ন, বৈদিক মূল্যবোধের বার্তাকে সকল জনসমাজের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। তবে গায়েত্রীমন্ত্রের গভীর আধ্যাত্মিক শিকড় এবং সংস্কার মূলক ভবানার কথাকেই বেশি বেশি করে প্রচার করত এই সংগঠন। তাঁদের আরেকটি বড় কাজ ছিল সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক সামাজিক কুপ্রথাগুলি থেকে মানুষকে বাঁচানো। হিন্দু সমাজের মধ্যে সংস্করণ আনাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।

    উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা

    নতুন স্মারক মুদ্রাটি ১৫০ টাকার। এটি নিকেল এবং রূপার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি। স্থায়িত্ব এবং মূল্যের বিচারে এই মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম এবং আর্য সমাজের প্রতীক। এই মুদ্রায় গাঁথা গায়েত্রী মন্ত্র (Gayatri Mantra) স্বয়ং ঈশ্বর জ্ঞানের প্রতীক। এই মুদ্রা স্বামী দয়ানন্দের (150 Years Arya Samaj) দৃষ্টিভঙ্গিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরে। এই প্রতীকী মুদ্রার মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা, জ্ঞান প্রদীপের প্রকাশ দিয়ে হিন্দু সমাজের জাগরণের বিরাট কাজ করেছেন স্বামী দয়ানন্দ। একদিকে খ্রিষ্টান মিশনারি এবং অপর দিকে কট্টর ইসলাম দুইয়ের মধ্যে হিন্দু সামজকে সংহত করার কাজ করেছে আর্য সমাজ। ভারতীয়ত্ববোধ, ভারতীয় ইতিহাস, মূল্যবোধ, ধর্মচিন্তা, দর্শন, সাহিত্যকে উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের মধ্যে ভারতীয়ত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছে আর্য সমাজ। ভারত কীভাবে শতশত বর্ষ ধরে নিজের জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আর্য সমাজ। এই সামাজিক সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।

  • Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রাসপূর্ণিমায় দেব দীপাবলি (Dev Deepavali) উদযাপনে বারাণসীর রাজঘাটে বিরাট প্রস্তুতির আয়োজন করেছে যোগী সরকার। কাশীধাম (Varanasi) জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা এই আলোর উৎসব উদযাপন দেখে ভিড় করবেন। কাশীর গঙ্গাবক্ষের ঘাটগুলিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে পালিত হয় দেব দীপাবলি। এই বছর লেজার শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের বিশেষ আয়োজন করেছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে এখন থেকেই ভক্তদের সমাগম হতে শুরু করেছে তীর্থধাম শিবনগরী।

    রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে (Dev Deepavali)

    দেব দীপাবালি (Dev Deepavali) উপলক্ষে এই ভব্য আয়োজনকে সামনে রেখে বারাণসীর বিভাগ কমিশনার এস রাজলিঙ্গম বলেন, “মানুষ এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহী হয়ে রয়েছেন। এই বছর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেব দীপাবলির আয়োজন করা হবে। গতবারের মতো এই বারেও লেজার শো-এর আয়োজন করা হবে। রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে। অনেক শিল্পীরা থাকবেন। সকলের সহযোগিতা এবং উদ্যোগ দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করবে।”

    ১ নভেম্বর থেকে শুরু অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর ৫ নভেম্বর পালিত হবে দেব দীপাবলির আসল উৎসব। কাশী (Varanasi) এখন দেবদীপাবলির জন্য সম্পূর্ণভাবে সেজে উঠেছে। রাজঘাটে ইতিমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বড় বড় শিল্পীরা যোগদান করেছেন। প্রতিদিনের পরিবেশনায় উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন পণ্ডিত মাতা প্রসাদ, পণ্ডিত রবিশঙ্কর মিশ্র, দিবাকর কাশ্যপ, পণ্ডিত সন্তোষ নাহার, পদ্মশ্রী গীতা চন্দন, বিদুষী কবিতা দ্বিবেদী, পদ্মশ্রী মালিনী অবস্থি, রাহুল রহংসী, রাহুল রাজকন্যা।

    ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে

    কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমস্ত প্রদীপ গোবর থেকে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত প্রদীপ পরিবেশ বান্ধব, ঐতিহ্যবাহী এবং গুণমান সম্পন্ন। পরিবেশের সঙ্গে সবরকম ভারসাম্য বজায় রেখে এই প্রদীপ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনও উৎসব পার্বন যাতে পরিবেশ বান্ধব হয় সেই দিকে বিচার করেই এই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করেছে যোগী সরকার। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গঙ্গা মহোৎসব (Varanasi) পালন করা হবে। এরপর ৫ নভেম্বর পূর্ণিমায় পালিত হবে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। বাংলায় অবশ্য এই সময় রাস পূর্ণিমা বা রাস মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। শান্তিপুর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর এবং কোচবিহারের রাস জগৎ বিখ্যাত।

LinkedIn
Share