Author: সুশান্ত দাশ

  • SOURYA  CHAKRA: প্রথম বাঙালি শৌর্য চক্র বিজেতার সঙ্গে দেখা করার সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর

    SOURYA CHAKRA: প্রথম বাঙালি শৌর্য চক্র বিজেতার সঙ্গে দেখা করার সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তাঁর স্লোগান জয় বাংলা। নির্বাচনে জয়ঢাক বাজিয়ে তিনি দাবি করেন, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। কখনও বলেন বাংলার গর্ব মমতা। কিন্তু বাঙালির বিরল কৃতিত্বে তাঁর সাড়া নেই। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম শৌর্য চক্র বিজেতা, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অন্যতম কৃতিত্বের দাবিবার হুগলির বরগাছিয়ার বাসিন্দা দিলীপ মালিকের সঙ্গে দেখা করার সময় পান না তিনি। দুবার চিঠি দিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর দর্শন পাননি সিআরপির কোবরা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট। স্বাধীনতা-৭৫ এ দেশজুড়ে যখন বীর শহিদ, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জওয়ানদের স্মরণ করা হচ্ছে তখন বাংলায় উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছেন একমাত্র শৌর্যচক্র বিজেতা।

    তবে বাংলায় উপেক্ষিত হলেও দেশজুড়ে দিলীপবাবুকে উচ্ছ্বসিত সকলেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা জানাচ্ছেন, শৌর্য চক্র পাওয়া এমনিতেই বিরাট কৃতিত্বের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শৌর্য চক্র প্রাপকেরা মরনোত্তর পদক পান। অর্থাৎ কোনও অপারেশনে গিয়ে বা যুদ্ধ ক্ষেত্রে গিয়ে লড়াইয়ে ময়দানে প্রাণ দিয়ে দেশের সম্মান রক্ষাকারীদের এই পদক দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সেনাবাহিনী থেকেই এই পদক প্রাপকের সংখ্যা বেশি। দিলীপবাবুর কৃতিত্ব এই কারণেই আরও বিরল। কারণ, তিনি জীবিত অবস্থা শৌর্য চক্র পেয়েছেন। যার অর্থ, অপারেশনে নেতৃত্ব শুধু নয়, সফল অপারেশনে নিজেকে ও তাঁর জওয়ানদের সুরক্ষিত রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়ত দিলীপবাবু আধা সামরিক বাহিনী সিআরপির অফিসার।

    ২০১৯ সালে বিহারের ঔরঙ্গাবাদে বাংলা বাগিচায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। কোবরা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট হিসাবে সামনে থেকে লড়ে সেই অপারেশনে বিজয় পেয়েছিল সিআরপি। নধরপুষ্ট আম বাঙালির চেহারা যাঁদের মনে থাকে তাঁরা ভেবে দেখবেন হুগলির দিলীপ মালিক কোবরা বাহিনীর মতো ভয়ঙ্কর এক কমান্ডো বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডান্ট ছিলেন।

    ২০২২ এর মে মাসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁকে শৌর্য চক্র সম্মানে ভূষিত করেছেন। দেশ তাঁকে সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম বাঙালি শৌর্য চক্র বিজেতা বার বার চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। অনেকে মনে করছেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে মাওবাদীদের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া ছিল তৃণমূলের। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকার নন্দীগ্রাম আন্দোলন সম্পর্কে সরকারি অবস্থান জানাতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পর্যন্ত হলফনামা দিয়ে সে কথা জানিয়েছিল। বিহারে মাওবাদীদের নিকেশ অভিযানে নামা কোবরা বাহিনীর অফিসারের সঙ্গে সেই কারণেই কি দেখা করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।   

  • Salman Rushdie: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    Salman Rushdie: ভাল আছেন রুশদি, এবার প্রাণে মারার হুমকি হ্যারি পটারের স্রষ্টাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদি (Salman Rushdie)। তাঁর আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেছিলেন আর এক সাহিত্যিক হ্যারি পটারের (Harry Potter) স্রষ্টা জেকে রাউলিং (JK Rowling)। এবার হামলার হুমকি দেওয়া হল তাঁকেও। তাঁরই করা ট্যুইটের নীচে হুমকি দিয়ে লেখা হয়েছে, এরপর আপনার পালা।

    রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্যুইটারে একটি পোস্ট করেছিলেন হ্যারি পটারের স্রষ্টা। তিনি জানিয়েছিলেন, বর্ষীয়ান সমমনের জখম হওয়ার খবরে অসুস্থ বোধ করছেন। রুশদির দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি। সেই ট্যুইটের নীচেই জনৈক ইউজার লেখেন, ভাববেন না। এরপর আপনার পালা। ওই ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেই সলমন রুশদির ওপর হামলাকারী হাদি মাতারের প্রশংসাসূচক পোস্টও করা হয়েছে। ইউজারের মন্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন রাউলিং। অন্য একটি পোস্টে লেখিকা জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ওই ইউজারকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকেই তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান হ্যারি পটারের স্রষ্টা।  

    আরও পড়ুন :ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    দিন দুই আগে নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলার শিকার হন রুশদি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখক যখন মঞ্চে গিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন আচমকাই এক যুবক সেখানে পৌঁছে গিয়ে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে শুরু করেন রুশদিকে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি জানান, রুশদির শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। সামান্য কথাও বলেছেন। করেছেন স্বভাবসিদ্ধ রসিকতাও। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছে তাঁকে। রুশদি যে আগের তুলনায় ভালো আছেন, ট্যুইটবার্তায় তা জানিয়েছেন তাঁর বন্ধু সাহিত্যিক আতিশ তাসির। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, রুশদি এখন আর ভেন্টিলেশনে নেই। কথা বলেছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রুশদির লিভার, স্নায়ু এবং একটি চোখে গুরুতর চোট রয়েছে।

    এদিকে, রুশদির হামলাকারী বছর চব্বিশের হাদি মাতারকে আটক করেছে পুলিশ। নিউ জার্জির ওই বাসিন্দার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, সে শিয়া চরমপন্থী।

     

  • Commonwealth Games: ট্রিপল জাম্পে সোনা-রুপো, বক্সিংয়ে জোড়া সোনা, কমনওয়েলথে ইতিহাস ভারতের

    Commonwealth Games: ট্রিপল জাম্পে সোনা-রুপো, বক্সিংয়ে জোড়া সোনা, কমনওয়েলথে ইতিহাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুষদের ট্রিপল জাম্পে ভারতের ইতিহাস। এই প্রথম এই বিভাগে সোনা এল ঘরে। ১৭.০৩ মিটার লাফ দিয়ে সোনা জিতলেন এলধোস পল। এই বিভাগেই রুপো জিতলেন আবদুল্লা আবুবকার। তিনি লাফিয়েছেন ১৭,০২ মিটার। এলধোস আবদুল্লার মতো এদিন মাঠ কাঁপিয়েছেন সন্দীপ কুমারও। ১০ কিমি রেস ওয়াকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। বক্সিংয়ে সোনা জিতেছেন অমিত পাঙ্গল ও নীতু গঙ্গা। জ্যাভলিন থ্রো-তে ব্রোঞ্জ জিতেছেন অন্নু রানি।  ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারতীয় মহিলা হকি দল। সবমিলিয়ে কমনওয়েলথের দশম দিনে জয়জয়কার ভারতের।

    টেবিল টেনিসে পুরুষদের সিঙ্গলসে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ভারতের অচন্ত শরথ কমল (Achanta Sharath Kamal)। ব‌্যাডমিন্টনে মহিলাদের সিঙ্গলসে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন পিভি সিন্ধু। এর পাশাপাশি ফাইনালে উঠেছে ভারতের পুরুষ হকি দল, মহিলা ক্রিকেট টিম। ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের ফাইনালে পৌঁছে গেছেন লক্ষ্য সেন। দশম দিনে এখনও পর্যন্ত ভারতের ঝুলিতে ৪৭টি পদক। ১৬টি সোনা, ১২টি রুপো আর ১৯টি ব্রোঞ্জ।

    শনিবার বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2022) নবমতম দিন ছিল। আর এই নবম দিন পর্যন্ত ভারতের ঝুলিতে এসেছিল মোট ৪০ টি পদক। গতকাল মোট ১৪টি পদক জিতেছে ভারতীয় খেলোয়াড়রা। এদিন স্বর্ণপদক পেয়েছেন রবি কুমার দাহিয়া (Ravi Kumar Dahiya), ভিনেশ ফোগাট, নবীন। এই তিনজনই কুস্তিতে সোনার পদক পেয়েছেন। এছাড়াও ভাবিনা হাসমুখভাই প্যাটেল প্যারা টেবিল টেনিসে সোনা পেয়েছেন। অন্যদিকে এদিন ভারতীয় অ্যাথলিটরা স্বর্ণপদকের পাশাপাশি তিনটি রুপো ও সাতটি ব্রোঞ্জ ভারতকে এনে দেয়।  

    রবি কুমার দাহিয়ার হাত ধরেই কমনওয়েলথ গেমসের দশম সোনা জেতে ভারত। কুস্তির ৫৭ কেজি বিভাগের ফাইনালে রবি হারালেন নাইজেরিয়ার প্রতিপক্ষ ওয়েলসনকে। একাদশতম সোনা এনে দেয় ভিনেশ ফোগাট। ভিনেশের পর ভারতের হয়ে দ্বাদশ সোনাটি জেতেন নবীন। আবার প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী (Priyanka Goswami), অবিনাশ সাবলে (Avinash Sable) পেয়েছে রুপো। পুরুষদের লন বল ফোরসেও রুপো পেল ভারতের পুরুষ দল। বক্সিং-এ ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভারতের জ্যাসমিন লাম্বোরিয়া (Jasmine Lamboria), মোহাম্মদ  (Mohammad Hussamuddin), রোহিত টোকাস (Rohit Tokas)। এছাড়াও ব্রোঞ্জ পেয়েছে পূজা গেহলট, দীপক, সোনালবেন প্রমুখ অ্যাথলিটরা।

     

     

     

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বকেয়া অর্থ আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু জানান, পশ্চিমবঙ্গে এই বিশাল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজরে আনার জন্যই চিঠি লেখা হয়েছে তাঁকে।

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, দিনের পর দিন এই দুর্নীতি চলছে। একশো দিনের কাজ দিয়ে গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অথচ কোনও কাজ না দিয়েই টাকা খরচ করা হয়েছে। আর তা প্রমাণ করতে ভুল শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজে বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাঁচ পাতার ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, নথিতে রাজ্য সরকার দেখিয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ ও অন্য চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। আধিকারিকরা যখন পরিদর্শন করতে যান, তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় ইয়াস, আমপান এবং অন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারাগাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগুলিকে দেখিয়ে দাবি করা হয় একশো দিনের প্রকল্পের অধীনেই সে সব গাছ রোপণ করা হয়েছে। কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্র, জয়নগর-২ ব্লক সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুন : এটা তো সবে ট্রেলার, পুরো সিনেমা এখনও বাকি! ট্যুইটে কাকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    এই দুর্নীতির জন্য রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা এই একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে টাঁকশালে পরিণত করেছেন।গরিব চাকরি প্রার্থীদের হয় টাকা দেওয়া হয়নি, নয় তো জব কার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় নেতারা। ওই চিঠিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, অন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই দুর্নীতি হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম। বদলে নিজেদের ইচ্ছামতো নাম দিয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তদারকি করতে গেলে রাতারাতি সেসব নামের ফলক, সাইনবোর্ড বদলে দেওয়া হয়েছে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদলে করা হয়েছে বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম রাজ্য সরকার বদলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নানা দুর্নীতির অভিযোগও তুললেন শুভেন্দু।

     

  • Jagdeep Dhankhar: একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড় 

    Jagdeep Dhankhar: একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্দশতম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে জয়ী হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বিজেপির (BJP) ধনখড় এনডিএর (NDA) প্রার্থী ছিলেন। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সম্মিলিত প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে (Margaret Alva) আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছেন তিনি। ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮টি ভোট। আর আলভা পেয়েছেন মাত্র ১৮২টি ভোট। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম কোনও উপরাষ্ট্রপতি জয়ী হলেন এত ভোটে।

    পেশায় আইনজীবী ধনখড়ের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ মে, রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার কিথানায়। স্কুলের পাঠ শেষে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন ধনখড়। আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজস্থান হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। পরে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮৯ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুন লোকসভায় জনতা দলের প্রার্থী হন ধনখড়। জয়ীও হন। তার পরের বছরই হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজস্থানের কিষণগড়ের বিধায়ক। ২০০৩ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। ২০১৯ সালে রাজ্যপাল হয়ে আসেন বাংলায়।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    এহেন ধনখড়কে চতুর্দশতম উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত করে এনডিএ। ৭২.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তাঁর জয়ের ফলে দেশের প্রধান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিল গেরুয়া শিবির। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং লোকসভার স্পিকার। প্রধানমন্ত্রী তো আছেনই। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে ৭২৫টি। এর মধ্যে ধনখড় পেয়েছেন ৭২.৮ শতাংশ। ১৯৯৭ সালের পর আর এত ভোটে জয়ী হননি কোনও উপরাষ্ট্রপতি। ১৯৯২ সালে ৭০১টি বৈধ ভোটের মধ্যে ৭০০টি পেয়ে রেকর্ড করেছিলেন কেআর নারায়ণন। ২০১৭ সালে বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু যে ভোট পেয়েছিলেন, তার চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন ধনখড়। নাইডু জয়ী হয়েছিলেন ৬৭.৮৯ শতাংশ ভোটে। ২০০৭ সালে কংগ্রেসের হামিদ আনসারি উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন ৬০.৫১ শতাংশ ভোটে। তিনি ওই পদে ছিলেন পর পর দুটো টার্ম।

    ধনখড়ের আগে রাজস্থান থেকে আরও একজনকে দেশ পেয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে। তিনি হলেন ভৈঁরো সিং শেখাওয়াত। ধনখড় উঠে এসেছেন জাঠ কৃষক পরিবার থেকে। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আইনবিদ্যাকে। যে বিজেপির প্রার্থী হয়ে আজ তিনি বসতে চলেছেন উপরাষ্ট্রপতি পদে, এক সময় তিনিই একাধিক মামলা লড়েছেন আরএসএস নেতাদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?

  • Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে গোহারা হেরেছেন বিজেপি বিরোধী সম্মিলিত জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। তার পরেই বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছেন আলভা। নাম না করে তৃণমূল (TMC) সহ ‘ষড়যন্ত্রী’ বিরোধীদের আক্রমণ শানান তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড় জয়ী হয়েছেন ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোটে। ওই ভোটে পরাস্ত হয়েছেন আলভা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এই ভোটেও ক্রস ভোটিং হয়েছে। যার জেরে শক্তি খুইয়েছেন আলভা। স্ফীতকায় হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবিরে থেকেও এবার ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী শিবিরে থেকেও যাঁরা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন আলভা। বলেন, কিছু বিরোধী শক্তি বিরোধী অবস্থানে থেকেও বিজেপিকে সমর্থন করছে। যা ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের ধারণাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে এবার মোট ভোট পড়েছে ৭২৫টি। তার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১৫টি ভোট। বৈধ ভোটের ৫২৮টি পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। যার অর্থ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এবারেও হয়েছে ক্রশ ভোটিং।এই ফল প্রকাশ্যে আসার পর ভাবী উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলভা। তার পরেই তোপ দেগেছেন বিরোধীদের। ট্যুইটবার্তায় আলভা লেখেন, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধনখড়কে ধন্যবাদ। এর পরেই বিরোধী সমস্ত নেতা এবং দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষ করে যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। অন্য একটি ট্যুইটে আলভা লেখেন, এই নির্বাচনে বিরোধীদের জন্য এক সঙ্গে কাজ করা, অতীতকে পিছনে ফেলা এবং একে অপরের বিশ্বাসের একটা জায়গা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বিরোধী দল সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করতেই ব্যস্ত। তাঁর মতে, বিরোধীদের এই প্রয়াস বিরোধী জোটের ভাবনাকে চালিত করছে বিপথে। এই সব বিরোধী দল ও তাদের নেতারা অজান্তেই লোকসান করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সব শেষে আলভা লিখেছেন, এই নির্বাচন তো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সংবিধান রক্ষা, গণতন্ত্র মজবুত ও সংসদের গরিমা বজায় রাখার লড়াই জারি থাকবে।

    আরও পড়ুন :একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড়

     

  • Taiwan China Conflict: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    Taiwan China Conflict: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান চিনের উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। এমতাবস্থায় রহস্য মৃত্যু তাইওয়ানের (Taiwan) ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিকের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে। তাইওয়ান সীমান্তের খুব কাছে মহড়া দিচ্ছে চিনা (China) ফৌজ। এমন আবহে ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) নির্মাণকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকের মৃত্যুতে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। মৃত্যুর কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    চুং শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজির সহ প্রধান ছিলেন আউ ইয়াং লি-সিং (Ou Yang Li-hsing)। এই চুং শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি রয়েছে তাইওয়ান সেনার অধীনে। শনিবার সকালে দক্ষিণ তাইওয়ানের একটি হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় আউ ইয়াং লি-সিংয়ের দেহ।

    জানা গিয়েছে, পেশাগত কাজে দক্ষিণ তাইওয়ানের পিংটুং প্রদেশে গিয়েছিলেন আউ ইয়াং লি-সিং। এদিনই  ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা ছিল তাঁর। চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান। এহেন আবহেই রহস্য মৃত্যু তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকের।

    আরও পড়ুন : ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরিক মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। এই  আবহে ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার সহ প্রধানের মৃত্যুতে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য।

     

  • Mamata Banerjee Cabinet: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি 

    Mamata Banerjee Cabinet: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হল। পাঁচ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং তিন জন প্রতিমন্ত্রী বুধবার শপথ নিয়েছেন। বাদও গিয়েছেন কয়েকজন। মন্ত্রী হলে কার না আনন্দ হয়, কিন্তু জানেন কি মমতার ভাঁড়ে মা ভবানী সরকারের মন্ত্রীদের কতটুকু ক্ষমতা রয়েছে? কত টাকা খরচ করার ক্ষমতা রয়েছে? আর কাজ করার ক্ষমতাই বা কতটুকু রয়েছে? অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ফলে মন্ত্রিদের কাজ করার জন্য আর্থিক স্বাধীনতা প্রায় নেই। যেটুকু রয়েছে তাতে নতুন মন্ত্রিদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। 

    আরও পড়ুন : মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯

    নবান্নের অর্থ দফতর সূত্রের দাবি, নতুন-পুরনো সব মন্ত্রীরাই এখন কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে দেড় কোটি এবং চলতি স্কিমের ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাজ করাতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কাজ করাতে হলেই সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ফাইলটি নবান্নে পাঠিয়ে অনুমোদন নিতে হবে। যা দেখা যাচ্ছে, এক বার নবান্নে ফাইল পৌঁছালে তা আর বেরতে চায় না। তার উপরে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, সারা বছরের বাজেট বরাদ্দের মাত্র ২০% স্টেট ডেভেলপমেন্ট স্কিমে খরচ করা যাবে। বাকি টাকা জোগানোর অবস্থা নেই। মন্ত্রী হয়ে সকলেরই ইচ্ছা হয়, জনকল্যাণের কাজ করতে। কিন্তু যে রাজ্যে উন্নয়নের কাজের ৮০ ভাগ টাকা ছাঁটাই হয়ে গিয়েছে, সেখানে মন্ত্রীদের আর কাজ কি?

    সবচেয়ে মজার ব্যাপার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি নগদ উদ্ধারের পর চোখ কপালে উঠেছে সরকারি মহলে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলস্তরে দুর্নীতির ইস্যুটি যে সামনে আসবে তা সবার জানা। সেই কারণে যে কোনও সরকারি বরাতে ১ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হলেই তার জন্য ই-টেন্ডার করার নির্দেশ জারি করেছে সরকার। গত পাঁচ-ছয় বছরে যা ৫০ লক্ষ টাকা থেকে কমে ১ লক্ষ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের কপালে নীলবাতি, পুলিশের স্যালুট আর পাইলট গাড়ি ছাড়া বিশেষ কিছু ক্ষমতাই থাকছে না। 

    যে সব মন্ত্রীর কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে টাকা আসার কথা তাঁরাও যে বিশেষ আনন্দে রয়েছেন তেমন নয়। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাম পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রের টাকা আসাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে মন্ত্রী হয়ে সরকারি বোর্ডে নাম তোলা ছাড়া বিশেষ কিছুই থাকছে না বলে প্রশাসনিক মহলে চর্চা চলছে।

  • Partha Chatterjee: ১৪ দিন শ্রীঘরে! পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের

    Partha Chatterjee: ১৪ দিন শ্রীঘরে! পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshall court)। খারিজ করা হল তাঁর জামিনের আবেদন। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিনের আবেদন জানাননি। তাঁকেও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে (Partha Arpita 14 day judicial custody) পাঠানো হল। 

    আজই ২ দিনের ইডি (ED) হেফাজত  শেষ হয়েছিল। যে কারণে, এসএসসি কাণ্ডে ইডি-র হাতে ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে পেশ করা হয় বিশেষ আদালতে। সেখানে ধৃতদের জেল হেফাজতের জন্য আবেদন করা হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

    শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, জেরায় অর্পিতা সহযোগিতা করলেও, একেবারেই তা করছেন না পার্থ। ইডি সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে মিলছে না পার্থর বয়ান। জেরায় তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আদালতে এই বিষয়টি জানানো হয়, দাবি ইডি সূত্রে।

    আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল পার্থ-অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছিল। জেরায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেন পার্থ। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক তো দূরের কথা, তাঁকে ভালোভাবে চেনেন না বলে দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি অর্পিতাকে চেনেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, না, তেমনভাবে নয়, অনেকেই তাঁর কাছে আসতেন। অর্পিতাকেও সেভাবে মাঝেমাঝে দেখেছেন। মুখোমুখি জেরায় পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, অর্পিতা কি আপনার ঘনিষ্ঠ? সরাসরি অস্বীকার করে পার্থ জানান, নাকতলার পুজোয় দেখেছেন। 

    ইডি-র তদন্তকারীরা প্রশ্ন করেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কথা পার্থ জানেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, তিনি শুনেছেন। প্রশ্ন করা হয়, ওই টাকা কি আপনার? জবাবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জানান, একদমই না। তাহলে কার টাকা, প্রশ্ন করেন ইডি-র তদন্তকারীরা। জবাবে পার্থ জানান, কার টাকা, সেটা তাঁর জানা নেই।

    আরও পড়ুন: ১৮ জোড়া দুল, ১১টি বালা…! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা

    সব বিচার করে, বিচারক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পার্থ থাকবেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। অর্পিতা আলিপুরে। ১৮ তারিখ  দু’জনকে ফের আদালতে তোলা হবে।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির  আগে রেখে এসেছিলেন কে?  ‘ষড়যন্ত্র’?

    Partha Chatterjee: পার্থর বাড়িতে নথির ফাইলটি তল্লাশির  আগে রেখে এসেছিলেন কে?  ‘ষড়যন্ত্র’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের পর তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। সময় এলে তিনি যে সব জানাবেন তাও জানিয়েছেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদ্য প্রাক্তন ভারী মন্ত্রী। কিন্তু কেন পার্থবাবু ষড়যন্ত্রের কথা মুখে আনলেন? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অন্দরের খবর রাখা একটি বিশেষ সূত্র জানাচ্ছেন, অর্পিতার নামে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পত্তি বা অর্থের হদিশ সংক্রান্ত নথি পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে আগে ছিল না। গত ২২ জুলাই ইডি পার্থবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালায়, ঠিক তার দিন সাতেক আগে ওই সংক্রান্ত একটি ফাইল পার্থবাবুর বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি যদিও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর একেবারে বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি। নথিপত্র বাড়িতে রেখে আসার দিন সাতেকের মধ্যেই যে ভাবে ইডি তল্লাশি শুরু হয় তাতে ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব পোক্ত হচ্ছে বলে পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে।

    আরও পড়ুন : ‘অপা’-য় হানা ইডির, শান্তিনিকেতনে পার্থ-অর্পিতার সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি

    সূত্রের খবর, ইডি তল্লাশি শুরু হওয়ার পর তদন্তকারীরা নথিপত্রের ফাইলটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, যেন মনে হচ্ছিল ইডি ফাইলটি যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে পাওয়া যাবে তা জানতেন। সেই নথি পেতেই পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো তদন্তের কাজ এগিয়েছে। অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পত্তি গুলির খোঁজ পেতেই দেখা যাচ্ছে, নানা জনের নামে সে সব কেনা রয়েছে। সে সব খুঁজতে গিয়ে দুর্নীতি চক্রের জালে জড়িয়ে পড়েছে বহু রাঘববোয়ালও। 

    আরও পড়ুন : অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠসূত্রের দাবি, অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে থাকা নথিগুলি নাকতলার বাড়িতে রেখে এসেছিলেন এক আইনজীবী। সেই আইনজীবী পার্থবাবুর কাছের হলেও ইদানীং তৃণমূলের এক অতীব প্রভাবশালীর কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। এছাড়া যে ভাবে নির্দিষ্টভাবে পর পর দুদিনে ৫০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে তাতে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের নামও উঠে আসছে। সিনিয়র ওই পুলিশ অফিসার তৃণমূলের অন্দরের খবর রাখতেন। তবে ইদানীং নবান্নর বিরাগভাজন হয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন : অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, চাকরি দুর্নীতির মূল টাকা উঠেছিল  ২০১৪ সাল নাগাদ।সেই টাকা এখন আর মজুত নেই। ঘরবাড়ি, জমি জায়গা কিনে তা শেষ হয়ে গিয়েছে। সদ্য উদ্ধার হওয়া টাকা তা হলে কিসের টাকা? অনেকের মতে, এখানেই লুকিয়ে আছে পার্থবাবুর ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আসল কাহিনী। কেন তিনি উদ্ধার হওয়া টাকা নিজের নয় বলে উল্লেখ করলেন? ইডি সেই পথেই হাঁটছে বলে জানা যাচ্ছে।

LinkedIn
Share