Author: user

  • AAP: টাকার কোড ‘ঘি’ ব্যবহার করতেন কেজরি! দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

    AAP: টাকার কোড ‘ঘি’ ব্যবহার করতেন কেজরি! দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তিহাড় জেল বন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর ফের একবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে।  ১৫ কোটি টাকা টিআরএস অফিসে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন কেজরিওয়াল, এই দাবি সুকেশ চন্দ্রশেখরের। শুধু তাই নয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তার এই প্রসঙ্গে  কথোপকথনের সম্পূর্ণ চ্যাট এখনও তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সুরেশ চন্দ্রশেখর। তাঁর আরও সংযোজন ১৫ কোটি টাকা টিআরএস অফিসে পৌঁছে দেওয়ার পরে সেটার প্রাপ্তি চিঠি অবশ্যই সঙ্গে রাখতে বলেছিলেন কেজরিওয়াল । দিল্লির আম আদমি পার্টি (AAP) নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ তুলেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। সুকেশ চন্দ্রশেখরের দাবি যে এই চ্যাট পরিষ্কারভাবে জানান দিচ্ছে যে কিভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। ১৫ কোটি টাকার অঙ্কের ক্ষেত্রে কোড ব্যবহার করতেন কেজরিওয়াল, এমনটাই দাবি সুকেশের। এই কোড ছিল ১৫ কেজি ঘি।

    আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    নার্কো টেস্ট করতেও প্রস্তুত কনম্যান সুকেশ

    সুকেশ চন্দ্রশেখরের আরও দাবি যে তিনি যে কোন রকমের নার্কোটেস্ট পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রাজি আছেন।  কিন্তু আসল সত্যটা বেরিয়ে আসুক সবার সামনে। তিনি বলেন যে আমি প্রমাণ দেব ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত কী কী ভাবে দুর্নীতি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুকেশ চন্দ্রশেখরের দাবি যে তার কাছে মোট ৭০০ পাতার হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের চ্যাট আছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে এবং ২০২০ সালেই তিনি টিআরএস অফিসে ৭৫ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত এর আগেও কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন সুকেশ। জেলে তাঁর প্রাণ সংশয়ও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সুকেশ।

     

    আরও পড়ুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China demographic crisis: ডুবিয়েছে একসন্তান নীতি, জনসংখ্যা হ্রাসে সংকটে চিন

    China demographic crisis: ডুবিয়েছে একসন্তান নীতি, জনসংখ্যা হ্রাসে সংকটে চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেমোগ্রাফিক সংকট (China demographic crisis) চিনে। এরজন্য বিশেষজ্ঞ মহল সেদেশের এক সন্তান নীতিকেই দায়ী করছেন। প্রসঙ্গত, জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চিন। এর ফলে সেদেশের নাগরিকরা ইচ্ছা থাকলেও একের অধিক সন্তান নিতে পারতেন না। এবার এই এক সন্তান নীতিই যেন ব্যাকফায়ার শুরু করেছে।  ডেমোগ্রাফিক সংকটের (China demographic crisis) কথা ভেবেই গত ২০১৬ সালে দুই সন্তানের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে গতবছর চিনের পলিটব্যুরোতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, এবার থেকে তিন সন্তানের জন্ম দেওয়ার অনুমতি পাবেন নাগরিকরা।

    পরিসংখ্যান বলছে করোনাতেই গত বছরে মৃত্যু হয় ১ কোটি মানুষের

    আবার সেদেশের বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে, চিনের বর্তমান প্রজন্ম ছোট পরিবারেই সুখী থাকতে চাইছে, তাই একের অধিক সন্তান নিতেও অনীহা দেখা দিচ্ছে দম্পতিদের মধ্যে। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে বর্তমান প্রজন্মের একটা অংশ অবিবাহিত থাকতে চায়, এটাও ডেমোগ্রাফিক সংকটের (China demographic crisis) অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। অবিবাহিত থাকার অন্যতম কারণ হিসাবে বেকারত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে চিনে গত ৩ বছর ধরে চলা ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিকেও এর জন্য অনেক বিশেষজ্ঞ দায়ী করছেন। বর্তমানে চিনা মহিলারা সেভাবে সন্তান ধারন করতে চাইছেন না। পরিসংখ্যান বলছে, করোনা ফলে গতবছর মৃত্যু হয়েছে সেদেশের ১ কোটির বেশি মানুষের। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের সরকারি হিসেব বলছে, ২০২২ সালের শেষে চিনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,৪১,১৭,৫০,০০০। বেজিংয়ের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, আগের বছরের শেষের তুলনায় এই সংখ্যাটা সাড়ে আট লাখ কমেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চিনে জন্ম নিয়েছে ৯৫.৬ লাখ শিশু। এদিকে গতবছর চিনে মৃত নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১.০৪ কোটি। এর আগে ১৯৬০ সালে চিনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। সেবার চিন সম্মুখীন হয়েছিল আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের। মাও সে তুঙের ভুল নীতির কারণেই সেই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: এটাই বোধহয় তৃণমূলের উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে ৩৫ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে

    BJP: এটাই বোধহয় তৃণমূলের উন্নয়ন! ভাঙাচোরা রাস্তার প্রতিবাদে ৩৫ টি পরিবার শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কথার ফানুস উড়িয়ে যিনি সবসময়ই প্রচারের আলোয় থাকতে ভালবাসেন, এটি সেই অনুব্রত মণ্ডলের বিখ্যাত উক্তি। সত্যি, মালদহের এই গ্রামে গেলে দেখা যাবে, উন্নয়ন রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে। এখানে কবি শঙ্খ ঘোষের সেই লাইনগুলিই যেন মনে পড়ে যায়। “রাস্তাজুড়ে খড়্গহাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।” আর তারই খেসারত দিতে হল শাসকদলকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মালদহের গাজোলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন ধরালো বিজেপি। গাজোল ব্লকের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাজিলাপাড়া এলাকায় তৃণমূলের প্রায় ৩৫টি পরিবারের শতাধিক কর্মী-সমর্থক দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করলেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। বিধায়ক নিজে উপস্থিত থেকে এদিন প্রায় ৩৫ টি তৃণমূল পরিবারের শতাধিক কর্মী-সমর্থকের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন।

    কেন এতগুলি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ? 

    আসুন, শোনা যাক, এক বয়স্ক মহিলা কী বলছেন। তিনি জানালেন, রাস্তার যা অবস্থা, তাতে দৈনন্দিন মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে। রাস্তা সারানোর দাবি নিয়ে গাজোলে যাওয়া হয়েছে, ডিএম অফিসে যাওয়া হয়েছে, দরবার করা হয়েছে ব্লক অফিসেও। আমাদেরকে কথা দিচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। আমাদের প্রধান সাহেবও বিষয়টা জানেন। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। ডেলিভারির জন্য মায়েদের নিয়ে যেতে পারছি না, রাস্তাতেই বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা গাজোল যেতে পারছি না। সন্ধ্যার পর এখানে বাইরের কোনও গাড়ি ঢুকছে না। ওই মহিলা পরিষ্কারই বলেন, আমরা খাওয়া-দাওয়া চাইছি না, ঘরবাড়িও চাইছি না। আমরা চাইছি শুধু রাস্তাটা হোক।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ? 

    বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মন জানিয়েছেন, শাসক দলের দুর্নীতি, অনুন্নয়ন, সন্ত্রাস এসব দেখেই মানুষ এখন অসন্তুষ্ট ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই যোগদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীদিনে আরও বহু শাসকদলের কর্মী, এমনকী নেতারাও বিজেপিতে আসার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: গুলাম নবির মোদি বন্দনা! একহাত নিলেন রাহুলকেও, কী বললেন বর্ষীয়ান নেতা?  

    Narendra Modi: গুলাম নবির মোদি বন্দনা! একহাত নিলেন রাহুলকেও, কী বললেন বর্ষীয়ান নেতা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মোদির (Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ জম্মু কাশ্মীরের দলত্যাগী কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সম্প্রতি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রশংসা করে তাঁকে ‘২৪ ঘণ্টার রাজনীতিক’ এবং ‘যোগ্যতমের উদবর্তন’ বলে প্রশংসা করেন। লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন মোদি। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীর প্রতিও আক্রমণ শানিয়েছেন এই প্রবীণ নেতা। তাঁর মতে, ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধী যা করেছেন তার ১ শতাংশ কাজ করলেই তিনি ‘সফল’ হতেন। তিনি আরও বলেন, রাহুলই প্রধান কারণ যে তিনি এবং আরও অনেকে আজ কংগ্রেসে নেই। এমনকী তাঁর দাবি, এতদিনের পুরনো একটি দলের সদস্য হয়ে থাকতে কেউই ‘মেরুদণ্ডহীন’ হবে না। প্রসঙ্গত, এই নতুন নয় এর আগে ২০২১ সালেও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রশংসা করেছিলেন গুলাম নবি আজাদ। তখন কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওই নেতা বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নিজের সাধারণ জীবনযাপনের অতীতকে অকপটে বলতে পারেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ২০২৪ সালের ভোটের আগে এমনিতেই ব্যাকফুটে কংগ্রেস। দল ছাড়ছেন একের পর এক কংগ্রেস নেতা, সেই আবহে বর্ষীয়ান এই প্রবীণ নেতার মোদি (Narendra Modi) স্তুতি বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ‘ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি’ নামে একটি দল গঠন করেন আজাদ 

    গুলাম নবি আজাদ, গত বছর দলের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে ‘ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি’ নামে একটি দল গঠন করেছিলেন। কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী এবং  কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-র তার দলের ফেরার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। এদিন নবি আরও বলেন, ‘রাহুলের অপরিণত এবং শিশুসুলভ আচরণের জন্যই কংগ্রেসের এই বিপর্যয়’। এদিন তিনি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দলের অনান্য নেতাদের সুরাটের আদালতে যাওয়া নিয়েও পালটা প্রশ্ন তোলেন। আজাদ তার বিবৃতিতে বলেন, ‘সমস্ত রাজনৈতিক দলের কিছু ত্রুটি রয়েছে, কংগ্রেসেও কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমি আশা করি কংগ্রেস দল নিজেদের সেই ভুলগুলি সংশোধন করবে।’ তিনি আরও বলেন, সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বা তাঁর মতাদর্শকে তিনি পছন্দ করেন না বলে মন্তব্য করে নবি জানান, কিন্তু তিনি চব্বিশ ঘণ্টার রাজনীতিক, তাঁর সঙ্গে লড়াই করার সময় সেটা উপেক্ষা করা উচিত নয়। যদিও এটা বলার পর কংগ্রেস নেতারা আমাকে ‘মোদি-ভক্ত’ বলে কটাক্ষ করছেন, কিন্তু আমি ‘আজাদি-ভক্ত’। গুলাম নবি আজাদ দাবি করেন, তিনি কংগ্রেস পার্টি ছেড়ে দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু রাজনীতির প্রতি তাঁর দৃষ্টিকোণ বদলায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • XBB.1.16: করোনার নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানি! সংক্রমণের ৩৮ শতাংশই এক্সবিবি.১.১৬, বলছে রিপোর্ট

    XBB.1.16: করোনার নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানি! সংক্রমণের ৩৮ শতাংশই এক্সবিবি.১.১৬, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙানি করোনার (Covid)। নতুন প্রজাতি এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)  সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে নতুন সংক্রমণের ৩৮.২ শতাংশই করোনার নতুন প্রজাতি, এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)। মার্চ মাসে এ দেশের সংক্রমণের পরিসংখ্যান দেখে সে কথাই জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম বা INSACOG বুলেটিন।

    আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন এবং তার সাবভ্যারিয়েন্টরাই এখন দ্রুত হারে  সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতে সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি।
    ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট হল করোনা এক্সবিবি (XBB) প্রজাতির জিনগতভাবে পরিবর্তিত (Genetically Mutated) রূপ। এই প্রজাতিকে ওমিক্রনের এক্সবিবি উপরূপেরই নিকট আত্মীয় বলা যেতে পারে। ওমিক্রনের BA.2.10.1 এবং BA.2.75 উপপ্রজাতির সঙ্গে এর অনেক মিল আছে। বিশেষজ্ঞদের তাই অনুমান, ওই দুই উপপ্রজাতি বদলে গিয়েই এই নয়া রূপ তৈরি করেছে।
    জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়েপিটে নেবে। সংক্রামক থেকে অতি সংক্রামক হয়ে উঠবে।

    আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    ১২ টি দেশেই চলছে নতুন প্রজাতির দাপট

    জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ১২টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার এই নতুন প্রজাতি, নাম এক্সবিবি.১.১৬ (XBB.1.16)। INSACOG জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার আক্রান্তের থুতু-লালার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে ওই প্রজাতির হদিশ মিলেছে। ভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে সে জন্য করোনা টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Presidency University: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    Presidency University: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency University)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করা যাবেনা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে  চলতি বছরে সরস্বতী পুজো প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হোস্টেল চত্বরে ইফতারের আয়োজন নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই যদি আপত্তি থাকে তবে তা শুধুমাত্র সরস্বতী পুজোর ক্ষেত্রেই কেন? সমাজের বিশিষ্টজন থেকে নেটিজেন অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন। প্রসঙ্গত, বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনের ধরন নিয়ে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছে প্রেসিডেন্সির (Presidency University) নাম। আন্দোলনের নামে মহিলাদের অন্তর্বাস পড়ে বামপন্থী ছাত্রনেতার ছবি কয়েক বছর আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, প্রেসিডেন্সিতে (Presidency University) ঠিক জেএনইউ-এর ছায়া দেখা যাচ্ছে। তাই এমন ঘটনা ঘটছে।

    সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় ইফতারের ছবি
       

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু হস্টেল চত্বরে করা হয়েছে ইফতারের আয়োজন। এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইরফান সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট থেকে এই ইফতারের ছবি ভাইরাল হয়। ক্যাপশনে লেখা ছিল, দাওয়াত-এ ইফতার ইডেন হিন্দু হোস্টেল। ওই পোস্টে একাধিক কমেন্ট আসে।

     

    তবে এই ঘটনার গুজব ছড়ানোর দাবি করে এক ব্যক্তি লেখেন, ‘হিন্দ হোস্টেলে পুজো আর ইফতার দুটোই হয়, সব সময়ই হয়। ডিসপিউটটা কাম্পাসের মধ্যে পুজো করা নিয়ে হয়েছিল। হোস্টেলে আগাগোড়াই পুজো হয়, ইফতার হয়। এতকাল হয়ে এসেছে আগামীতেও হবে। ভুয়ো খবর ছড়াবেন না!’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করা নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। পরে অবশ্য ছাত্রছাত্রীদের একটা বিরাট অংশের চাপে পড়ে অবশেষে সরস্বতী পুজো করার অনুমতি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Oxfam India: অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক! কেন জানেন?

    Oxfam India: অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’ (Oxfam India) সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) বা বিদেশি অবদান বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। আয়কর বিভাগের এক সমীক্ষায়, ধরা পড়েছিল যে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন অ্যাক্টের বিধানকে ফাঁকি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

    কী অভিযোগ সংস্থার বিরুদ্ধে

    ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে বিদেশি অনুদান আইন লঙ্ঘন করেছে তারা। বলা হচ্ছে, করোনার সময় থেকেই বিদেশি অনুদানের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কিছু নিয়ম-কানুন। অভিযোগ, তার পরও ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’ ‘বেআইনি’ উপায়েই বিদেশি অনুদান নিয়ে চলেছে। আয়কর বিভাগের নজরে সম্প্রতি সংস্থার বেশ কিছু ই-মেলে অনিয়ম চোখে পড়ে। অলাভজনক সংস্থা মারফতই বিদেশ থেকে অনুদান নিয়ে চলেছে OXFAM, এমনই অভিযোগ উঠছে। 

    শুধু তাই নয়, আয়কর বিভাগের একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, কিছু বিদেশি সংস্থা এবং তাদের শাখা ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়াকে ব্যবহার করে বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করছে। ভারতে সামাজিক কাজকর্মের জন্যই নথিভুক্ত হয়েছিল ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’। অভিযোগ, সংস্থার কর্মী, সহযোগী এবং অন্য মাধ্যমে বিদেশি অনুদানের টাকা সংগ্রহ করে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চে ঢুকিয়েছে ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) বা বিদেশি অবদান বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন)-এর আওতায় নথিভুক্ত ছিল ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’ (Oxfam India)। এর মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর থেকে ২০২০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। এই সংশোধিত বিধি অনুযায়ী কোনও সংস্থা, বিদেশ থেকে পাওয়া সহায়তা অন্য কাউকে স্থানান্তর করা যায় না। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেখেছে, সংশোধিত আইনটি চালু হওয়ার পরও বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থ বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া (Oxfam India)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন এনজিওগুলিতেও অর্থ স্থানান্তর করেছে অক্সফ্যাম।
    সূত্রের খবর, কমিশন হিসেবে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে তাদের কর্মী বা সহযোগীদের মাধ্যমে অর্থ পাঠাত অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া। টিডিএস ডেটাতেও এটা ধরা পড়েছে। দেখা গিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে ১২,৭১,১৮৮ টাকা পেমেন্ট করেছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Guiness World Records: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    Guiness World Records: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবনে কিছু অর্জন করতে হলে বয়স যে কোনও বাধাই নয়, তা প্রমাণ করে দিল একটি ফুটফুটে বাচ্চা। বয়স মাত্র ৪ বছর ২১৮ দিন। কিন্তু এরই মধ্যে একটি আস্ত বই প্রকাশ হওয়ার পর তার হাজার কপি বিক্রিও হয়ে গিয়েছে। আর এমন দুর্লভ গুণের জন্যই সে অর্জন করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর মতো দুর্লভ সম্মান।
    আবু ধাবির শহিদ রাশিদ আল মেহেরি সব থেকে কম বয়সে বই প্রকাশ করার মতো দুর্লভ কৃতিত্ব অর্জন করেছে। পুরুষদের বিভাগে তাই তার দখলে চলে এসেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। 
    হাতি এবং ভল্লুকের বন্ধুত্ব হওয়া নিয়ে লেখা ওই বই ইতিমধ্যেই আরব দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।
    শুধু এই বাচ্চাটিই নয়, অসম্ভব গুণের অধিকারী তার আট বছরের বড় বোন। যাবতীয় উৎসাহ সে পেয়েছে তারই ওই বোনের কাছ থেকে। বাইলিংগুয়াল বই প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই সে একই ধরনের রেকর্ডের অধিকারী। এই বয়সে সে রীতিমতো একটি পাবলিশিং হাউসও চালায়। এক সাক্ষাৎকারে আবু শহিদ জানিয়েছে, সে তার বোনের সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা করে, লেখে, আঁকে এবং না জানি আরও কত কীই করে। এই বই লেখার পিছনে মূল অনুপ্রেরণা তার এই বোনই। বোনকে দেখেই তার মনে হয়েছিল, সেও কিছু করে দেখাতে পারে।

    তার লেখা বইয়ের মূল বিষয়বস্তুটা ঠিক কী ? 

    গল্পটা মূলত একটি ভল্লুক আর একটি হাতিকে নিয়ে। একটি হাতি ভল্লুককে দেখে ভেবেছিল সে বোধহয় তাকে খেয়ে নেবে। কিন্তু পরিশেষে দেখা গেল আদৌ তা হল না। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠল নিবিড় বন্ধুত্ব।

    কী বলছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ ? 

    গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, তার এই সৃষ্টি রেকর্ড গড়ল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয় ২০২৩ সালের ৯ই মার্চ। যদিও তখন সেই বইটির হাজার কপি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। দুটি পশুর মধ্যে অভাবনীয় বন্ধুত্ব অসাধারণ মনে হয়েছে পাঠককূলেরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality: বালুরঘাটে সম্পত্তিকর বেড়েছে ব্যাপকহারে, ক্ষোভে ফুঁসছে শহর, আন্দোলনে নাগরিক মঞ্চ

    Municipality: বালুরঘাটে সম্পত্তিকর বেড়েছে ব্যাপকহারে, ক্ষোভে ফুঁসছে শহর, আন্দোলনে নাগরিক মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে (Balurghat Municipality) লাগামছাড়া বেড়েছে সম্পত্তিকর। এই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ শহরে। ইতিমধ্যেই সম্পত্তিকর কমানোর দাবি নিয়ে এসডিও, জেলাশাসক ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে বালুরঘাটের সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চ কমিটি। অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কর ধার্য করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বর্ধিত সম্পত্তিকর নিয়েও ধন্দে তারা। কার কত কর (Property Tax) বাড়ল, কীসের ভিত্তিতে সম্পত্তিকর বাড়ল, তাও স্পষ্ট নয়। এদিকে এ নিয়ে বিরোধী দলগুলিও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।   

    কী বলছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ? 

    এবিষয়ে সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বলেন,  সম্পত্তিকর বেড়ে বহুগুণ হয়েছে। আমরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছি। হিয়ারিং-এর নামে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা সম্পত্তিকর দিতে চাই। কিন্তু সবার সাধ্য কতটুকু, দেখা প্রয়োজন।

    কোনওরকম স্বচ্ছতা নেই, অভিযোগ আরএসপির

    আরএসপির জোনাল কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ বলেন, বালুরঘাট শহরে (Balurghat Municipality) পুরকর বেড়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১০০০ গুণ সম্পত্তিকর বাড়ানো হয়েছে। কোনওরকম স্বচ্ছতা নেই।  ফলে সমস্যা হচ্ছে মানুষের। এটা নিয়ে আমাদের তরফে আন্দোলনে নামা হবে। 

    বৈষম্য চরমে, অভিযোগ বিজেপির 

    বিজেপির বালুরঘাট শহর মন্ডল সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, শহরে উন্নয়ন স্তব্ধ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ির ট্যাক্স কম, অথচ সাধারণ মানুষের বাড়ির ট্যাক্স বেশি। কার কত ট্যাক্স বাড়ল, তাও জানতে পারছে না মানুষ। এ নিয়ে আমরা আন্দোলনে (Movement) নামব। 

    কী বলছেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান ?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার (Balurghat Municipality) চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ২০১৮ সালে ভ্যালুয়েশন বোর্ড (Valuation Board)যেভাবে সম্পত্তিকর ধার্য করেছে, সেভাবেই কর নেওয়া হচ্ছে। সকলের সাধ্যমতোই সম্পত্তিকর নেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ কেউ রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধিতা করছে। যারা আপত্তি করছে, তারা আবেদন করলে, তা আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাব।

    প্রসঙ্গত, বিগত তৃণমূল বোর্ড ২০১৮ সালের ভ্যালুয়েশন বোর্ডের ধার্য করা এই সম্পত্তিকর চালু করতে চাইলেও পরে সাধারণ মানুষের চাপে তা করতে পারেনি। এই বোর্ড নতুন কর ধার্য করতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কয়েমমাস আগে এনিয়ে সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চের তরফে গণ কনভেনশন, ডেপুটেশন ও আন্দোলন হয়। এরপরে গত ১৫ মার্চ থেকে শহরের শতাধিক বাসিন্দাকে শুনানিতে ডাকা হয়। অভিযোগ, হিয়ারিং হলেও ট্যাক্স কমাচ্ছে না পুরসভা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toto: রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার টোটো! কোথায় জানেন?

    Toto: রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টার টোটো! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও ঘুরপাক খায় বীরভূমের এক রাজমিস্ত্রির নিজের হাতে বানানো বাড়িটি। মনে আছে? একদম বাসের আদলে নিজের বসত বাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ওই রাজমিস্ত্রি। তার আগে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল ট্রামের কামরার আদলে চায়ের দোকান। কেটলির আকারে ফুটপাতের চায়ের স্টল বা বাড়ির ছাদে ফুটবলের আকৃতির জলের ট্যাঙ্ক ইত্যাদি তো রাজ্যের অনেক গাঁ গঞ্জেও এখন দেখা যায়। কোন গ্রামের যুবকের তৈরি অভিনব সাইকেল, বাইক ইত্যাদিও মাঝে মাঝে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। এবার সামনে এলো একেবারে হেলিকপ্টারের মতো দেখতে টোটো (Toto)। “চাকদা এক্সপ্রেস” ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর নিজের শহরে হেলিকপ্টার টোটো এখন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নদিয়ার চাকদহের এক যুবক গৌতম মালাকার এমন অদ্ভুত টোটো (Toto) বানিয়ে নজর কাড়লেন।

    কেন এই অভিনব ভাবনা?

    গৌতম পেশায় মেকানিক। চাকদহ চৌরাস্তার কাছে সাইকেল, টোটো ইত্যাদি বিক্রি ও সারাইয়ের দোকান আছে তাঁর। দোকানে অন্য কর্মচারী থাকলেও মেরামতির মূল কাজটা নিজের হাতেই করেন। কারিগরী বুদ্ধি দিয়ে নিজের হাতে নতুন কিছু একটা তৈরি করার ব্যাপারটা তাড়া করে বেড়ায় গৌতমকে। সেই ভাবনা থেকেই একদম হেলিকপ্টারের মতো দেখতে একটা টোটো (Toto) বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। রাস্তায় চলা হেলিকপ্টার তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগে থেকেই তার দোকানে ভিড় করছিলেন স্থানীয় লোকজন। এরপর সেই টোটোতে (Toto) কোন আরোহী আগে চাপবেন সেই আবদারও শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে এই অদ্ভুত দর্শন টোটো (Toto) পথে নামাতে গিয়ে যাত্রী পিছু দশ টাকা করে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, বাস রাস্তায় বা শহরের অলি গলিতে হেলিকপ্টারের মতো দেখতে টোটো (Toto) চলছে দেখে তাতে চড়া এবং সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। পথে থাকা সাধারণ টোটো (Toto) ছেড়ে এই টোটোতে ওঠার আবদার বাড়তে থাকে। কিন্তু, এই টোটো (Toto) নিয়মিত পথে নামলে বন্ধু টোটো চালকদের ভাড়া কমে যাবে বলে মন কাঁদলো হেলিকপ্টার টোটোর (Toto) নির্মাতা গৌতমের। তাই মত বদলালেন তিনি। গৌতমবাবু বলেন, সব সময় নতুন কিছু করতে মন চাইত। নিজের বুদ্ধি দিয়ে এটা তৈরি করে ফেললাম। এই অল্প সময়ের মধ্যে এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে তা ভাবতে পারিনি। তাই, অন্য টোটো (Toto) চালকদের ব্যবসার ক্ষতি হোক তা আমি চাই না। তাই, ঠিক করেছি, বিয়ে, অন্নপ্রাশন, জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠান বাড়িতে এই টোটো (Toto) ভাড়া দেব।

    হেলিকপ্টার টোটোর মধ্যে কী কী আছে?

    ভিতরে চারটে আসন। গদি আঁটা। লাইট অ্যান্ড সাউন্ডে ভিতরের পরিবেশ সাজাচ্ছেন এখনও। চালকের আসন, স্টিয়ারিং, বাইরের দিকের  জানালা, হেলিকপ্টারে ওঠার ধাপ, কিংবা বাইরের ছাদে ফ্যান ইত্যাদি হেলিকপ্টারের আদলেই জোড়া হয়েছে। দু লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি টোটোর (Toto) মালিকের। আসল হেলিকপ্টারে নিজে চড়ার সুযোগ পাননি গৌতম। তাতে কী ! নিজের সখ কিছুটা তো মিটলো। এখন অনেকের মুখে সেই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে দিতে চান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share