Author: user

  • RSS: জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে কী বললেন আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে?

    RSS: জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে কী বললেন আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এবিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে এর প্রয়োজন আছে কি নেই! মঙ্গলবার হরিয়ানার পানিপথে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতিভেদ প্রথা শুরু করেছে ব্রাহ্মণরা, তা  ভগবানের সৃষ্টি নয়। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এদিন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে। এপ্রসঙ্গে সঙ্ঘের সরকার্যবাহ আরও জানিয়েছেন, জাতিভিত্তিক জনগণনা এর আগেও হয়েছে। তবে তা কখনও প্রকাশিত হয়নি। হতে পারে নির্দিষ্ট কিছু কারণ ছিল হয়তো এর পিছনে। সঙ্ঘের সামাজিক কার্যপদ্ধতিরও উল্লেখ করে তিনি এবং বলেন, সঙ্ঘের কার্যকর্তারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন। নাগরিক কর্তব্য, সঙ্ঘের কাজে মহিলাদের যোগদান করানো প্রভৃতি নানা বিষয় উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৪০০ এর বেশি প্রতিনিধি হাজির হয়েছেন এই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন: ‘এবার থেকে সঙ্ঘের শাখা চালাতে পারবেন মহিলারাও! জানুন বিস্তারিত

    ২০২৫ সালে শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শতবর্ষ পূর্ণ হবে ২০২৫ সালে। শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নানান কর্মসূচি নিচ্ছে তারা। জানা গেছে ৩,০০০ জন বাছাই করা স্বয়ংসেবক (RSS) নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘শতাব্দী বর্ষ বিস্তারক’, যারা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেবে সঙ্ঘের ভাবনা এবং আদর্শকে। ইতিমধ্যে এই পরিকল্পনায় ১৩০০ স্বয়ংসেবককে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আরও ১৫০০ স্বয়ংসেবককে খুব শীঘ্রই বাছা হবে বলে জানা গেছে সঙ্ঘ সূত্রে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারত হিন্দুরাষ্ট্রই, পৃথক ঘোষণার দরকার নেই’’, বললেন সঙ্ঘনেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    আরও পড়ুন: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র করছিল পিএফআই, চার্জশিটে এনআইএ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি গেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ গায়কের স্ত্রীর, কে জানেন?

    Scam: দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি গেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ গায়কের স্ত্রীর, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রুপ সির নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  এবার নাম জড়াল তৃণমূলপন্থি সংগীত শিল্পী পর্ণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোহিনী চক্রবর্তীর। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইজিরও এই তালিকায় নাম রয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক নেতার আত্মীয়দের নামও চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে।  আদালতের নির্দেশে রাজ্যে ৮৪২জনের যে চাকরি বাতিলের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তারমধ্যে ৬৩১ নম্বর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। পর্ণাভের বাড়়ি খড়দহের রহড়া এলাকায়। তৃণমূলের দলীয় সভায় তাঁকে মঞ্চে উঠে গান গাইতে দেখা যেত। এমনিতেই সংগীত শিল্পী হিসেবে টলিউডের অনেকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনিতেই শাসকদলের এক দাপুটে নেতার আত্মীয় টলিউডের একটি বড় অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে। টলিউডে শাসক দল ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বেশি ওঠাবসা ছিল। পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়কের সঙ্গে পর্ণাভ এবং তাঁর স্ত্রীর সুসম্পর্ক ছিল। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, উত্তর ২৪ পরগনার দাপুটে নেতা তথা বিধায়ক নারায়ণ গোম্বামী, অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীসহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর সঙ্গে সোহিনীর ছবি রয়েছে। এমনকী খড়দহে প্রয়াত এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন পর্ণাভ। তাঁর সঙ্গে একাধিক মঞ্চে দেখা যেত। তবে, সংগীত শিল্পীর স্ত্রীর চাকরি টলিউডের কোনও দাপুটে কারও সুপারিশে হয়েছে, না তৃণমূলের কোনও বড় মাপের নেতা সুপারিশ করেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, সোহিনী চক্রবর্তী খড়দহ পাতুলিয়া হাইস্কুলে ক্লার্কে চাকরি করতেন। তাঁর চাকরি চলে যাওয়ার খবর জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন পাতুলিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক? Scam

    ২০১৮ সালে পাতুলিয়া স্কুলে সোহিনী যোগ দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস বলেন, নিয়মিত সোহিনী স্কুলে আসতেন। বছরখানেক একবার তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে স্কুলে কিছুদিন আসেনি। পরে, ও নিয়মিত স্কুলে আসত। গত ৮ মার্চ  তিনি স্কুলে এসেছিলেন। তবে, এভাবে তাঁর চাকরি চলে যাওয়ায় ঘটনায় খারাপ লাগছে। আর তার এই চাকরি যাওয়ার ঘটনায় খড়দহ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে, এই বিষয়ে পর্ণাভ ও তাঁর স্ত্রী সোহিনী চক্রবর্তীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: বৃহস্পতিবার বিয়ে, শনিবারে ছিল বৌভাত! কোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই চাকরি গেল যুবকের 

    SSC Scam: বৃহস্পতিবার বিয়ে, শনিবারে ছিল বৌভাত! কোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই চাকরি গেল যুবকের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাত্র সরকারি চাকুরে বলে কথা! আজকের দিনে এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে নাকি! ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির জনৈক বাসিন্দা। পাত্র ওই জেলারই রাজডাঙ্গা কেন্দা মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। নাম প্রণব রায়। সূত্রের খবর ২০১৭ সাল থেকেই ওই স্কুলে গ্রুপ সি পোস্টে চাকরি করতেন প্রণব বাবু। বৃহস্পতিবার তাঁর বিয়ে হয় ধুমধাম করে। শুক্রবারে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার পরেই ঘটল বিপত্তি। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগে সেদিন ৮০০ এর বেশি প্রার্থীর চাকরি বাতিল বলে ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবং ওই লিস্টে নাম ছিল জলপাইগুড়ির প্রণব বাবুরও। বিষয়টি জানাজানি হতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় প্রণবের বিবাহ বাসরের ছবি। নেটপাড়ায় হৈচৈ পড়ে যায় ওই ছবি নিয়ে। অবশ্য এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বর বা কনে পক্ষের কেউই। প্রতিক্রিয়া মেলেনি যাঁকে ঘিরে এত কাণ্ড সেই প্রণব রায়ের কাছ থেকেও।

    আরও পড়ুন: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের

    শনিবারে ছিল বৌভাত, শুক্রবার গেল চাকরি

    বৃহস্পতিবারে বিয়ে হয়, সেইমতো বৌভাত হওয়ার কথা ছিল শনিবারে কিন্তু তার আগেই ছন্দপতন ঘটল। কালরাত্রির দিনেই চাকরি গেল নববিবাহিত বরের। কিন্তু এখন উপায়ও কিছু নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গেছে নবদম্পতির ছবি। নেটিজেনরা ওই ছবি নিয়ে নানারকম মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ছবি পোস্ট করে লিখছেন যে পৃথিবীর একমাত্র বিচারপতি যার সৌজন্যে বিয়ে তো হল কিন্তু বৌভাত হবে না।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রী সঠিক মানুষ চেনেন, আরআরআর-এর অস্কার জয়ই প্রমাণ’’, কেন এ কথা বললেন পীযুষ?

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদীপ রায় বলেন, আইন অনুযায়ী সব কিছু হবে। ওই যুবক আমাদের স্কুলে জয়েন করেছিলেন ২০১৭ সালে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Security:  রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    Security: রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ছোট, মাঝারি, বড় মাপের নেতাদের নিরাপত্তার জন্য কারও কাছে একজন, কারও কাছে আবার দুজন করে নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। কিন্তু, আচমকাই কমিশনারেটে পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৪১ জন দাপুটে তৃণমূল নেতার কাছে থেকে রাতারাতি নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল। এরমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। এছাড়া এই তালিকায় জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক পরশ দত্ত, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী রয়েছেন। আর ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় যে সব নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, খড়দহ পুরসভার কাউন্সিলর সুকণ্ঠ বনিক, নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, খড়দহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য সনত্ দে, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য অমিত গুপ্তা, ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্ম সহ একাধিক নেতা রয়েছেন। অবশ্য বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট এর বক্তব্য, পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পুলিশ কমিশনারেটের এই নির্দেশিকা ঘিরে শাসক দলের অন্দরে নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই অনেক নেতা তাঁদের ক্ষোভের বিষয়টি চেপে রাখতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় নিরাপত্তা না তোলায় দরকার ছিল। অনেকেই ফের নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করা শুরু করেছেন। একটি সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকজন নেতার ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে, অনেকে ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পেতে পারে।

    তৃণমূল নেতাদের কেন নিরপত্তা রক্ষী দেওয়া ছিল?

    ২০২২ সালে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় পুরভোট হয়। পুরভোটের সময় ১৩ মার্চ পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে আগরপাড়া স্টেশন রোডে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা। পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে কমিশনারেট এলাকায় অধিকাংশ দাপুটে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের নিরপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের

    RSS: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন ভারতের উত্থানে বিপদ সংকেত দেখছেন অনেকে। দেশের ভিতরের একাংশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু বৈদেশিক শক্তি। পানিপথে তিনদিন ধরে চলা সঙ্ঘের সর্বভারতীয় বৈঠকের গৃহীত প্রস্তাবে উঠে এল এমনই কথা। পাশাপাশি সঙ্ঘের প্রস্তাবে মোদির লালকেল্লার পাঁচ পণের কথাও বলা হয়েছে। যার অর্থ মোদী সরকারের অভিমুখে সিলমোহর দিল সঙ্ঘ (RSS)।  প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে গুজরাট হিংসার উপর তৈরি হওয়া বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে দানা বেধেছে বিতর্ক। ওই তথ্য চিত্রকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ ব্রিটেনেরই এক সাংসদ। দেশের বদনাম করতে সক্রিয় বেশ বেশকিছু শক্তি! এমন কথা শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রীরও মুখে। সঙ্ঘের (RSS) প্রস্তাবে তারই প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

    প্রস্তাবে ঠিক কী বলা হল

    অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার ওই গৃহীত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গেই ভারতের সুসম্পর্ক এবং এবং সদ্ভাব বজায় রয়েছে। কিন্তু অনেক দেশই নতুন ভারতের উত্থানকে মেনে নিতে পারছেনা। ভারতবিরোধী এই বৈদেশিক শক্তিগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে দেশের কিছু আভ্যন্তরীন শক্তি। এই শক্তিগুলি সমাজে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। পারস্পরিক ভেদাভেদ নিয়ে আসছে। দেশের সামাজিক ব্যবস্থা ভাঙার কাজে সর্বদাই লিপ্ত রয়েছে এই দেশবিরোধী শক্তিগুলি। সঙ্ঘের ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, এই সমস্ত অশুভ আঁতাতের মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। এদের ষড়যন্ত্রকে যেকোনও মূল্যে রুখতে হবে।

    প্রস্তাবে উল্লেখ মোদি সরকারের পঞ্চ পণের কথাও

    গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লার ভাষণে পঞ্চ পণের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই পাঁচটি সংকল্প হল উন্নত ভারত নির্মাম, সব অর্থেই গোলামি বন্ধ করা, পূর্ণ স্বাধীনতা, নিজেদের ঐতিহ্য এবং অতীত নিয়ে গর্ব বোধ করা, একতা এবং নাগরিকদের কর্তব্য পালন৷ পানিপথে চলা সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় বৈঠকে উঠে এল পঞ্চপণের প্রসঙ্গ। গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে উন্নততর ভারত গড়তে সমাজের সব শ্রেণির সক্রিয়তা খুব জরুরি এবং এই কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীর পঞ্চপণের কথাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। গৃহীত প্রস্তাবে মোদি সরকারের পঞ্চ পণের উল্লেখ আসলে সরকারি নীতিতে সঙ্ঘের সিলমোহর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

            

  • RSS: উন্নততর ভারত গড়তে সমাজের সব অংশকেই প্রয়োজন, বিশ্বাস আরএসএস-এর

    RSS: উন্নততর ভারত গড়তে সমাজের সব অংশকেই প্রয়োজন, বিশ্বাস আরএসএস-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ গঠনের কাজে সমাজের সব অংশকেই সক্রিয়ভাবে প্রয়োজন বলে মনে করে আরএসএস। পানিপথে শুরু হওয়া তিন দিনের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে সে কথা উল্লেখ করেছে সঙ্ঘ।। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পসমন্দা মুসলিম থেকে মৎসজীবীদের বিজেপির কাজের সঙ্গে আরও বেশি করে জোড়ার প্রস্তাব রেখেছেন। সঙ্ঘপ্রধানও মুসলিম সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বার্তালাভ করেছেন। সঙ্ঘের প্রস্তাবে তারই প্রতিফলন হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

    উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে সমাজের সব অংশকেই প্রয়োজন বলে মনে করে আরএসএস (RSS)

    দলিত সমাজ বা অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি, দেশগঠনের কাজে সবাইকেই সমানভাবে দরকারী বলে মনে করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। প্রত্যেক শ্রেণির আবশ্যকতা রয়েছে উন্নততর দেশগঠনে এমনটাই বলছে আরএসএস (RSS)। তাদের প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে, সুসংগঠিত, আধুনিক এবং সমৃদ্ধশালী দেশগঠনের লক্ষ্যে সমাজের প্রত্যেক জাতির অংশগ্রহণ প্রয়োজন।  এবং এটাও লক্ষ্য রাখা দরকার যে বিভিন্ন ধরনের বুনিয়াদি সুবিধা সব শ্রেণির কাছে সমানভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা। সমাজের সব অংশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়া একটি যাযাবর শ্রেণিকে নিয়ে মহাকুম্ভের আয়োজন করেছিল সঙ্ঘ। সেখানে কমবেশি ওই শ্রেণির ১০ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যাযাবর সমাজের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও চলে ওই সম্মেলনে। বিভিন্ন মহলের ধারণা, দেশ গড়তে সমাজের সব অংশের সমান সহযোগিতার কথা আসলে ঐক্যবদ্ধ ভারত তৈরির প্রচেষ্টা। সঙ্ঘের ওই প্রস্তাবেও উল্লেখ রয়েছে বারবার সংগঠিত ভারত শব্দটি। সঙ্ঘ মনে করে, এই কাজে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জও আসবে, তবে সবকিছুকে প্রতিহত করে আধুনিক প্রযুক্তির ভরপুর ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে উন্নততর ভারত গঠনের কাজ।

    প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ থেকে হরিয়ানার পানিপথে শুরু হয়েছে সঙ্ঘের প্রতিনিধি বৈঠক চলবে ১৪ মার্চ অবধি। সারাদেশ থেকে প্রায় ১৪০০ এর বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন এই বৈঠকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Fake: স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি হতে যুব তৃণমূল নেতার জাল ডিগ্রি, কোথায় দেখে নিন

    Fake: স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি হতে যুব তৃণমূল নেতার জাল ডিগ্রি, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এলাকার কোনও কলেজে পড়েছেন বলে মনে করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকাই তিনি গ্র্যাজুয়েট হয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই ডিগ্রি দাখিল করেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যাপীঠের পরিচালন কমিটির সভাপতি হয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের আশঙ্কা ছিল, জাল (Fake) ডিগ্রি জমা দিয়ে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তাঁর নাম তিলক সরকার। তিনি যুব তৃনমূলের জেলা সহ সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার। ইতিমধ্যেই তিনি স্কুল ইন্সপেক্টরকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন। সোমবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের এসে তিনি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে যখন তোলপাড় সারা রাজ্য, তখন জাল (Fake)  ডিগ্রি দাখিল করে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটা কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিয়ে দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য এই অভিযোগ করেছেন। ফলে, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল নেতার বিএ ডিগ্রি জাল, জানা গেল কী করে? Fake

    বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি হতে গেলে স্নাতক ডিগ্রি লাগে। নিয়ম মেনেই সেই ডিগ্রি জমা দিয়ে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মলয় সরকার বলেন, আমি জানি ও মাধ্যমিক পাশ। গ্র্যাজুয়েশন করেনি। আমি বিষয়টি নিয়ে আরটিআই করি। ও উত্তর প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেছে বলে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আমি ফের সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিআই করি। কিন্তু, সেখানেও তিলকের উচ্চ শিক্ষার কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের মেল করে জানানো হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হই।  তিলক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠ। এক্ষেত্রে মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মুরারী মোহন মণ্ডল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে তিলক সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে,যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসায় চাপ বাড়ছে শাসক দলের অন্দরে, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: ডানা ছাঁটা হল টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    Conflict: ডানা ছাঁটা হল টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গোষ্ঠী কোন্দলে (Conflict) জেরবার টিটাগড় পুরসভা। চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল (Conflict) এমন পর্যায় গিয়েছে যে পুরবোর্ড আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নজরে রাখছিল। এবার বিধানসভায় তলব করে টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের ডানা ছাঁটা হল। সোমবার সোমবার বিধানসভায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়। বৈঠকে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই টিটাগড় পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলের জেরে অচলাবস্থা নিয়ে কথা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল জেলা নেতৃত্বের সামনে বলেন, চেয়ারম্যান সকলের সামনে অপমান করেছে। এভাবে বোর্ড মিটিংয়ে এই ধরনের আচরণ করতে পারে না। তাই, আমরা মিটিং ওয়াক আউট করেছিলাম। বিষয়টি জানার পর জেলা নেতৃত্ব নতুন করে কমিটি গঠন করে পুরসভা পরিচালনার কথা বলেন। ঠিক হয়েছে, গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) কমাতে পুরসভায় এককভাবে চেয়ারম্যান কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। একইসঙ্গে পুরসভা পরিচালনার জন্য ৯ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে কারা কারা থাকবে তা দলের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ৯ জনের কমিটিতে পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, তিনজন সিআইসি, প্রাক্তন চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি এবং যুব সভাপতিকে রাখা হয়েছে। এই আটজনের কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রতি মাসে বৈঠক করতে হবে বলে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এইধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। এর আগে টিটাগড় পুরসভা পরিচালনা করতে গিয়ে দলকে এভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। বৈঠকের পর টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, জেলা নেতৃত্ব যা নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো এবার পুরসভা পরিচালনা হবে। নতুন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সব কাজ করা হবে। অন্যদিকে,  টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।

    টিটাগড়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দল কেন? Conflict

    গত ৩ মার্চ টিটাগর পুরসভায় একটি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কোন্দলে (Conflict) পুরবোর্ড মিটিং সরগরম হয়ে ওঠে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৩ জন কাউন্সিলর পুরবোর্ড থেকে ওয়াক আউট করেন। মূলত, পুরবোর্ডে সকলের সামনে ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে চেয়ারম্যান খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বিল্ডিং অনুমোদন দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য হয়। চেয়ারম্যান এক তরফাভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বোর্ডের একটি বড় অংশ প্রশ্ন তোলে। ৩ মার্চ থেকে পুরবোর্ড আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পুরসভা পরিচলনার হাল ফেরাতেই জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: পূর্ব সিকিমে তুষারপাতে আটকে ছিলেন ৪০০ পর্যটক, উদ্ধার করে গ্যাংটকে পাঠাল সেনা

    Indian Army: পূর্ব সিকিমে তুষারপাতে আটকে ছিলেন ৪০০ পর্যটক, উদ্ধার করে গ্যাংটকে পাঠাল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল তুষারপাতে সিকিমে আটকে পড়েছিলেন প্রায় চারশো পর্যটক। ভারতীয় সেনার (Indian Army) ‘অপারেশন হিমরাহত’-এর দৌলতে নিরাপদে প্রত্যেকেই ফিরলেন গ্যাংটকে। পূর্ব সিকিমের চিন সীমান্তে পাহারারত ভারতীয় সেনা (Indian Army) খবর পায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন তুষারপাতের কারণে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ‘অপারেশন হিমরাহত’ গঠন করে পর্যটকদের উদ্ধারের কাজে কয়েকশো সেনাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

    সিকিমের কোথায় আটকে ছিলেন পর্যটকরা

    সেনা জওয়ানদের টানা ২৪ ঘণ্টার অক্লান্ত চেষ্টার ফলে রবিবার বিকেলে গ্যাংটকে নিরাপদে ফিরেছেন পর্যটকেরা। তাঁদের মধ্যে ১৭৮ জন পুরুষ, ১৪২ জন মহিলা এবং ৫০টি শিশু রয়েছে। সিকিম রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শনিবার বিকেলে পূর্ব সিকিমের নাথু লা, ছাঙ্গু, জুলুক সমেত বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল তুষারপাত হয়। তার জেরে আটকে পড়েন পর্যটকেরা। শনিবার দিনভর ঘুরে এঁদের কেউ তখন নাথু লা, কেউ বাবা মন্দির, কেউ আবার ছাঙ্গু থেকে গ্যাংটক ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। কিন্তু তুষারপাত শুরু হয়ে যাওয়ায় গাড়ির চালকেরা রাজি হননি। কারণ তুষারপাতের সময়ে পাহাড়ি রাস্তায় যানবাহন চালানো কার্যত অসম্ভব। চাকার তলায় বরফ ঢুকে গেলে গাড়ি পিছলে খাদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    সেনা ছাউনিতে পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করে জওয়ানরা

    গাড়ির চালকরা রাজি না হওয়ায় পর্যটকদের পক্ষে গ্যাংটকে ফেরা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এ দিকে, প্রবল ঠান্ডার মধ্যে রাত্রিবাসের অনিশ্চয়তা সংকট আরও বাড়ায়। রাতে তাপমাত্রা আরও নীচে নামতে পারে ভেবে সকলেই তখন উদ্বেগের প্রহর গুণছেন। সিকিম রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই খবর পৌঁছয় ভারতীয় সেনার (Indian Army) কাছে। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা। শুরু হয় উদ্ধার কার্য। আটকে পড়া গাড়ি থেকে নামিয়ে আনা হয় পর্যটকদের। এর পর সেনা ছাউনিতে আশ্রয় দেওয়া হয় তাঁদের। প্রত্যেকের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। রাতের খাবারও দেওয়া হয় উদ্ধার হওয়া প্রত্যেক পর্যটককে। এর পর মেলে রাত পার করার মতো নিশ্চিত আশ্রয়। তুষারপাতের মধ্যে তা তখন রীতিমতো জীবনদায়ী। পর্যটকদের উদ্ধার করার পরই সেনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাকেও সতর্ক করে দিয়েছিলেন জওয়ানরা। রবিবার ভোরের মধ্যেই ছাঙ্গু থেকে গ্যাংটকে ফেরার রাস্তা পরিষ্কার করে দেন সেনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার কর্মীরা। অবশেষে সকলেই নিরাপদে ফিরে আসেন গ্যাংটকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Superfood: আম থেকে জাম! তাপপ্রবাহে নিজেকে সতেজ রাখতে কী কী খাবেন?

    Superfood: আম থেকে জাম! তাপপ্রবাহে নিজেকে সতেজ রাখতে কী কী খাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরের ইমিউনিটি শক্তিশালী হলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। বেশ কিছু খাদ্য আছে যেগুলি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রখর দাবদাহে শরীরে জলের পরিমাণও ঠিক রাখা জরুরি।

    আসুন আমরা জানি এমনই ৯টি সুপারফুড (Superfood) সম্পর্কে

    ১. তরমুজ

    তরমুজে থাকে প্রায় ৯০ শতাংশ জলীয় উপাদান এবং ৬ শতাংশ শর্করা সহ লাইকোপিন, ভিটামিন সি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি নিয়মিত ডায়েটে রাখলে তরতাজা থাকা যায় এবং শরীরে শক্তির মাত্রা বজায় থাকে।

    ২. কালো জাম

    বাঙালি বাড়িতে বেশ পরিচিত গাছ হল জাম। সাহিত্যে, গল্পে, কবিতাতেও এই জাম গাছের উল্লেখ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে থাকে প্রায় ৮০ শতাংশ জলীয় উপাদান এবং ১৬ শতাংশ শর্করা।

    ৩. আম

    ফলের রাজা আম! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা শুধু প্রদাহ কমায় না রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উচ্চ ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। 

    ৪. করলা

     জলীয় উপাদান ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, পাশাপাশি আয়রন, ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং দ্রবণীয় ফাইবার। করলা হজমে সহায়তা করে।

    ৫. ডাবের জল

    ডাবের জলে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত কম থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর থাকে ডাবের জল।

    ৬. তুলসীর বীজ

    এগুলিতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা হাইড্রেশন, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং হজমে সহায়তা করে।

    ৭. দই

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন দই প্রোবায়োটিক খাবার নয় তবে এতে থাকে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের একটি ভরপুর উৎস, যা দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে। তাই, এটি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    ৮. ছাতু

    এটি একধরনের ভারতীয় সুপারফুড যা ছোলা বা যব থেকে তৈরি করা হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে ভরপুর প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। 

    ৯. কোকাম

    গ্রীষ্মকালে কোকাম ফলের শীতল শরবতের জুড়ি মেলা ভার। এটি একধরনের মালাবার তেঁতুল। এতে থাকে ভরপুর ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share