Author: user

  • Kancha Badam song: কাঁচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের একী অবস্থা! জানলে চমকে উঠবেন

    Kancha Badam song: কাঁচা বাদাম গান খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের একী অবস্থা! জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কাঁচা বাদাম কাকুর কথা মনে আছে। ভুবন বাদ্যকর। বীরভূমের দুবরাজপুরের কুড়ালজুড়ি গ্রামে তাঁর বাড়ি। কাঁচা বাদাম গান (Kancha Badam Song) গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি তিনি জগত্ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর গান কচিকাঁচা থেকে সেলেব্রিটি সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও তাঁর গান সমানতালে সমাদৃত হয়েছে। সাউথ থেকে টলিউড কিংবা বলিউডের স্টারদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে অনেকেই তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এক চিলতে ঘরে থাকা বাদাম ফেরি করা ভুবনবাবু গ্রামের বাড়িতে হাঁকিয়েছেন আস্ত একটি অট্টালিকা। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সেখানে সুখে দিন কাটানোর স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু, কথায় বলে সবার নাকি সুখ সই না। বাদামকাকুর সুখও বেশিদিন সইনি। গ্রামের অট্টালিকা ছেড়ে তিনি দুবরাজপুরে ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন।

    নিজের বাড়ি ছেড়ে বাদাম কাকু ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন কেন? Kancha Badam Song

    এমনিতে তাঁর অজান্তেই বাদাম গানের (Kancha Badam Song) কপিরাইট অন্যজনের রয়েছে। তাই, কাঁচা বাদাম নিয়ে গান (Kancha Badam Song) গাইলে কপিরাইটের বেড়াজালে তিনি আটকে পড়ছেন। আর এই আইনি জটিলতায় তিনি বাদাম নিয়ে কোনও গানও লিখতে পারছেন না। ফলে, তাঁর সৃষ্টি কাঁচা বাদাম গানের (Kancha Badam Song) রয়্যালটি তিনি পাচ্ছেন না। এক সময় গ্রামের এক চিলতে ঘর তাঁর ঠিকানা ছিল। তাঁর দিকে কেউ ফিরেও তাকাতো না। সেখান থেকে তাঁর অট্টালিকা তৈরি করা,  গ্রামের সকলের নজর কেড়েছিল। তাই, গ্রামের ছোট-বড় কোনও অনুষ্ঠান হলেই সেলেব্রিটি বাদাম কাকুর কাছে মোটা টাকা চাঁদা চাওয়া হত। সেই টাকা দিতে না পারলে জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। ফলে, গ্রামের একাংশের জুলুমবাজিতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শান্তিতে থাকার জন্যই নিজের অট্টালিকায় তালা ঝুলিয়ে দুবরাজপুর গার্লস স্কুলের কাছে একটি দোতলা বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়েছেন তিনি। রোজগার নেই বললেই চলে। স্ত্রীর সঙ্গে রান্না করতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। ভুবনবাবু বলেন, আগের মতো আর ফেরি করতে পারি না। ছেলে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর রোজগারের টাকায় সংসার চলছে আমাদের। নিজের বাড়িতে সুখে থাকব ভেবেছিলাম। সেটাও কপালে সইল না। আর ঘর ভাড়াও অনেক টাকা। তাই, কতদিন ভাড়া বাড়িতে থাকতে পারব না নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তাঁর কোনও এক নতুন গান নেটিজেনদের হৃদয় স্পর্শ করতে পারে। সেই  অপেক্ষায় দিন গুনছেন বাদাম কাকু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরও ১৪ দিন তিহার জেলে থাকতে হবে কেজরির ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে 

    CBI: আরও ১৪ দিন তিহার জেলে থাকতে হবে কেজরির ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে আরও ১৪ দিন থাকতে হবে তিহার জেলে। এদিন দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ কোর্ট তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারী দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতাকে কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। তারপরই দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ কোর্ট তাঁকে ৪ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। পরে সেই হেফাজতের মেয়াদ ২ দিন বাড়ানো হয়। এরপর আসে সোমবারের নির্দেশ। তাতে দেখা যাচ্ছে, হোলিতেও মণীশ সিসোদিয়াকে থাকতে হবে জেলবন্দি।

    ঘটনার গতি প্রকৃতি

    এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি আবগারী দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত মণীশ সিসোদিয়া দিল্লির মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। তারও আগে, মণীশের জামিনের আবেদনের মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের আওতাধীন আবগারী দপ্তর অনৈতিকভাবে কিছু ব্যবসায়ীকে সুবিধে পাইয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে মণীশ সমেত ১৪ জন আম আদমি পার্টির নেতা মন্ত্রীরা ছিলেন সিবিআই স্ক্যানারে। তদন্তে নেমে সিবিআই পর পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। অন্যদিকে, আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তদন্তে আলাদা করে নামে ইডি। সব মিলিয়ে কার্যত তোলপাড় হয়ে যায় দিল্লির রাজনীতি।

    সিবিআই (CBI) কী বলল

    এদিকে, কোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, এই মামলায় সম্ভবত তারা সিসোদিয়ার পুলিস হেফাজতের আবেদন করতে পারে তদন্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী। তদন্ত এগোলে তারা সেই আবেদনের পথে হাঁটতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সিবিআই। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার মণীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির সিবিআই দফতরে ডাকা হয়। সেই দিনই টানা ৮ ঘণ্টার জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তাঁরা মণীশের থেকে যোগ্য সহযোগিতা না পাওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। সিবিআই হেফাজতে না চাওয়ায় এদিন জেল হাজত হল মণীশের।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    Palash Flower: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বসন্ত মানেই প্রকৃতি প্রেমী আম বাঙালির কাছে ডেস্টিনেশন হচ্ছে পুরুলিয়া। রাস্তার দুধারে পলাশের (Palash Flower) লাল ফুলে রঙীন হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। প্রকৃতির এই অপরূপ শোভা চাক্ষুস করতেই কলকাতা থেকে বহু পর্যটক লাল পাহাড়ির দেশে ছুটে যান। বহু কবির লেখার জাদুতে এই লাল পলাশ ফুলই আমাদের মনের মণিকোটায় আরও বেশি করে জায়গা করে নিয়েছে।  কিন্ত, এবার বসন্তে লাল পলাশ (Palash Flower) নয়, লাল পাহাড়ির দেশে ভিভিআইপি হয়ে উঠেছে শ্বেত পলাশ গাছ। শুধু এক ঝলক এই গাছকে দেখতে পর্যটকরা হুড়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। রাতারাতি পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই শ্বেত পলাশ (Palash Flower)। পুরুলিয়ার হুড়ায় এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে, শুধু হুড়া নয়, বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের পাহানা গ্রামে এবং নদীয়ার তেহট্ট এই গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

    শ্বেত পলাশ গাছ বাড়িতে থাকলে কত টাকার আপনি মালিক জানেন? Palash Flower

    আর পাঁচটা গাছের মতোই পুরুলিয়ার হুড়ার মালি স্বপন মাহাত শ্বেত পলাশ গাছের (Palash Flower) পরিচর্চা করতেন। ভাগলপুরের এক যুবক এই গ্রামে এসে বিভিন্ন গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করতেন। এই সব দিয়ে তিনি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতেন। তাঁর নজরে পড়ে যায় এই গাছ। সকলের আড়ালেই এই গাছের ছাল, আঠা সংগ্রহ করে তিনি নিয়ে যান। পরে, ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বিরল এই শ্বেত পলাশের (Palash Flower) মাহাত্ম্যের কথা বলেন। একজন-দুজন হতে কথাটি পাঁচ কান হয়ে যায়। খবর যায় জেলা উদ্যান পালন দপ্তরে। সেখান থেকে আধিকারিকরা এসে গাছটি পর্যবেক্ষণ করেন। উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে সন্ধান চালিয়ে তেহট্ট এবং ময়ূরেশ্বরের হদিশ পাওয়া যায়।  কলকাতার অনেকের কাছেই এই খবর পৌঁছাই। তাঁরা ছুটে এসেছেন হুড়ায়। এক বছরের জন্যেই শ্বেত পলাশ গাছ লিজ নেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। গাছের মালিক স্বপনবাবু গাছের এই দাম শুনেই হতবাক। তিনি এখনও লিজে দিতে রাজি হননি। তাঁর ধারণা, এই গাছের মূল্য আরও অনেক বেশি। তাই, এখনই এই গাছকে তিনি কারও কাছে হাতছাড়া করতে নারাজ। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, একটি গাছের জন্য ২০ লক্ষ টাকা লিজে নিতে চাইছেন। এরকম গাছ বাড়িতে পাঁচটি থাকলে তো কোটিপতি।

    পুরুলিয়া জেলার উপ উদ্যান পালন অধিকর্তা সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, এই গাছের ফুল, ছাল, আঠা অত্যন্ত ঔষধি গুণসম্পন্ন। ক্যান্সার প্রতিরোধক, বন্ধ্যাত্ম দূরীকরণসহ একাধিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় আমরা এই গাছের সন্ধান পেয়েছি।  এই গাছটিকে নিয়ে আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। গাছটি সংরক্ষণ এবং সংখ্যায় আরও বেশি পরিমাণে বাড়ানোর জন্য রাজ্য দপ্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। আর জানতে পেরেছি, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গাছটিকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    Agitation: তৃণমূলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ এলাকাবাসীর, কেন দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজের ডাম্পিং গ্রাউন্ড। ডাঁই হয়ে জমে রয়েছে জঞ্জাল। কে বা কারা সেই জঞ্জালের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এমনিতেই জ়ঞ্জালের গন্ধে টেকা দায়। তারমধ্যে দোসর হচ্ছে ডাঁই হয়ে থাকা জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়া। গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ যুক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বাড়িতে বয়স্ক লোকজন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার এলাকার মানুষ জঞ্জাল সরানোর দাবিতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে রাস্তা অবরোধে সামিল হন। তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ( Agitation) উগরে দেন। আর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই পথ অবরোধের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী। পরিস্থিতি সামাল দিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম যান। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? Agitation

    ভাটপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পুরবোর্ডে ক্ষমতায় রয়েছে। আর এই পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর্য সমাজ এলাকায় বহু বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জঞ্জালের ধোঁয়া আর ছাইয়ের কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বহুবার তৃণমূল পুরবোর্ডে এই বিষয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে, তৃণমূল পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমশ ক্ষোভ  দানা বাঁধতে শুরু করে। এদিন ফের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জালের স্তূপে ধোঁয়ায় গোটা এলাকা ছেয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা তৃণমূল পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ( Agitation) উগরে দেন। অবিলম্বে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোর দাবিতে সরবও হন। স্থানীয় কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন,  এই জঞ্জাল এলাকাবাসীর কাছে মস্তবড় বোঝা। জঞ্জালের ধোঁয়ার কারণে বহু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অনেকে বয়স্ক লোকজন ধোয়ার কারণে ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না। ছয় মাসে আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুরবোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। জগদ্দলের বিধায়ককে বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অগত্যা আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এই এলাকায় কোনওভাবে জঞ্জাল রাখা যাবে না।

    স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে সহমত এলাকাবাসী। এদিন অবরোধে সামিল হয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুরসভার কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হল। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী বিক্ষোভে ( Agitation) ফেটে পড়েন। বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ১২ বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জঞ্জাল জমে। নতুন কিছু নয়। ধোঁয়ার জন্য এলাকাবাসীর কষ্ট হয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগের তুলনায় জঞ্জাল অনেকটাই কমানো হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই জঞ্জালের স্তূপ আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক? Anubrata Mondal

    সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেল থেকে ছাড়া না পেলে এবার প্রথম অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত ভোট হবে এই জেলায়। স্বাভাবিকভাবে এটা জেলা নেতৃত্বের কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ। এদিনের সভায় গদাধরবাবু বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে(Anubrata Mondal) নিয়ে গিয়ে এই জেলার সংগঠন শেষ করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা হতে দেব না। জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ সহ আমরা সকলে রয়েছি। সামনের পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে আমরা দেখিয়ে দেব, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ওরা যদি আঘাত করে, কষ্ট দেয় তাহলে এই জেলার বিজেপি কর্মীদের কষ্ট দেব। এই জেলায় বিজেপিকে কী করে শেষ করতে হয় সেটা দেখিয়ে দেব।

    কে এই গদাধর হাজরা?  একসময় গদাধর হাজরা নানুর বিধানসভার (২০১১-২০১৬) বিধায়ক ছিলেন। বিধায়ক থাকার সময় তিনি নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখের সঙ্গ ছেড়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে দল তাঁকে টিকিট দিলেও তিনি জিততে পারেননি। বলা ভাল, তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ তাঁর জয়ের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নানুরে সেবার সিপিএম জয়ী হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি গেরুয়া শিবিরে কিছুদিনের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। সেখানেও খুব বেশিদিন টিকতে না পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। একসময় জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হয়ে গোটা বীরভূম চষে বেরিয়েছিলেন। এখন তৃণমূলে ফেরার পর তিনি কার্যত কোণঠাসা। তিনি এখন নানুর ব্লকের মাত্র দুটি অঞ্চলের সভাপতি।  জেলা কোর কমিটির নেতা কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি এবং নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের হাতেই এলাকার রাশ রয়েছে। ফলে, জেলা তো দূরের কথা নানুরে খুব বেশি দাপট দেখাতে পারে না বলে দলের অন্দরেই এই নিয়ে চর্চা রয়েছে। এমনকী দলীয় মিটিংয়ে তাঁকে ডাকা হত না বলে দলীয় নেতাদের কাছে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেকথা বলতে গিয়ে গদাধরবাবু বলেছিলেন, নানুরের ব্লক সভাপতি গ্রুপবাজি করছে। আমাকে মিটিংয়ে না ডাকলে কেন যাব? তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার নানুরে তৃণমূল আড়াআড়িভাবে বিভক্ত। যদিও রবিবার নানুরের সভায় এক মঞ্চে দলীয় বিধায়ক, ব্লক সভাপতির সঙ্গে গদাধরবাবুকে এক আসনে বসতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নামকে সামনে রেখে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে দলীয় কর্মীদের কাছে আগের মতো তিনি প্রাসঙ্গিক হতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল করছেন।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্যকে কোনওভাবে আমল দিতে নারাজ বিজেপির বীরভূম জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, পাঁচিলের উপরে বসেঅনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে যদি কষ্ট দেওয়া হয়, বীরভূম জেলার বিজেপি কর্মীদের আমরা কষ্ট দেব। রবিবার বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এই মন্তব্য করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই হুমকি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ওরা এখন জল মাপছে। মানুষ আর ওদের কথা বিশ্বাস করবে না। আর ওই নেতা নিজেই দলে কোণঠাসা রয়েছেন। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • ABVP: ফেসবুক পোস্ট করে গ্রেফতার এবিভিপি নেতা, প্রতিবাদে সরব নেটিজেনরা

    ABVP: ফেসবুক পোস্ট করে গ্রেফতার এবিভিপি নেতা, প্রতিবাদে সরব নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বাক স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করার কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের এক এবিভিপি ছাত্র নেতাকে অন্যায়ভাবে  গ্রেফতার করল পুলিশ। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমগ্র জেলা জুড়ে।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে ২৩ বছর বয়সী কৌশিক সাহা বর্তমানে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সোশ্যাল মিডিয়া প্রমুখের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কৌশিক নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করে জানতে চান, “ওপার বাংলায় জমি বাড়ি রেখে কেন আমাদের এপার বাংলায় চলে আসতে হল”? এই পোস্ট ২৭ ফেব্রুয়ারি করা হলেও কৌশিককে তপন থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ১ মার্চ। শোনা যাচ্ছে, নিজের এলাকাতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়াতে কৌশিককে দীর্ঘদিন ধরেই চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছিল স্থানীয় শাসকদলের নেতারা। মূলত তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কৌশিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

    কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের করা হল কৌশিকের বিরুদ্ধে

    জানা গিয়েছে কৌশিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ২৯৫-এ, ৫০৪, ৫০৫ এবং আইটি অ্যাক্ট ৬৬, ৬৭ অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে তপন থানার পুলিশ। বর্তমানে সে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সংশোধনাগারে রয়েছে, তাকে ১১ দিনের জন্য জেল হাজত দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন এবিভিপির উত্তরবঙ্গের নেত্রী

    এবিভিপির উত্তরবঙ্গ জোনের সহ সভাপতি গার্গী মণ্ডল বলেন, কৌশিক নামের ছেলেটি বাংলাদেশ থেকে আগত একটি উদ্বাস্তু হিন্দু পরিবারের শিক্ষিত ছেলে। সে ফেসবুকের মাধ্যমে তার মনের আবেগ প্রকাশ করে একটি পোষ্ট করে। সেখানে কোনও ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীকে আক্রমণ করা হয়নি। অথচ সেই পোষ্টকে কেন্দ্র করে এই স্বৈরাচারী সরকারের তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কিছু তৃণমূলের নেতার কথায় ছেলেটিকে থানায় ডেকে গ্রেফতার করে এবং পরদিন তাকে ১১ দিনের জেল হেফাজত দেয়। এই সরকার তার দলদাস পুলিশ প্রশাসনকে অপব্যবহার করে জনসাধারণের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করতে চাইছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি এবং অবিলম্বে কৌশিক সাহার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।

    কী প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়কের

    উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, ভয়ানক অবস্থা চলছে সারা রাজ্য জুড়ে। ঠিক যেন জরুরি অবস্থা, বাক স্বাধীনতার অধিকার আমাদের সংবিধান দিয়েছে, অথচ তা লঙ্ঘিত হচ্ছে এ রাজ্যে। তৃনমূল সরকারের আমলে মানুষের মৌলিক অধিকার বলে কিছু নেই।

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেটিজেনরা। কৌশিকের ছবি ব্যবহার করে ‘নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ হ্যাশ ট্যাগ লিখে প্রচার চলছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

     

  • Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    Tmc Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এমনকাণ্ড, নামল পুলিশও, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসক দল। সামনের পাঁচ বছরের ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে এখন দলের অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর এই প্রার্থী বাছাই নিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহেরা নিল মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর বুথ কমিটির বৈঠকে দলীয় প্রার্থী (Tmc Candidate) ঠিক করা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।  ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    বুথ কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত? Tmc Candidate

    মহেন্দ্রপুর গ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মহম্মদ মুজাহিদ। এবার এই বুথে শাসক দলের প্রার্থী (Tmc Candidate)কে হবেন তা নিয়ে হাইস্কুল মাঠে বুথ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নাম সংগ্রহ করা হয়। আলোচনার মাধ্যমে দলীয় সদস্য মুজাহিদের পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেনের নাম ওঠে। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন এই নাম নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। পরে, হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এই বিবাদ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁচ্ছে যায়। মুজাহিদের অনুগামীরা জাকিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে সোহেল আক্তারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সোহেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে আক্রান্ত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী (Tmc Candidate) হওয়া নিয়ে ঝামেলা। এখন যে পঞ্চায়েত সদস্য আছে সে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে মারধর করেছে। আমার ছেলের অবস্থা খুব খারাপ। আমি ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ মুজাহিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছি। এবারেও প্রার্থী (Tmc Candidate) হিসেবে আমার নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জন্যই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

    তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মহেন্দ্রপুর অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন, যত ভোটের দিন এগিয়ে আসবে তৃণমূলের কোন্দল তত বাড়বে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে ভরাডুবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এখন বিদায় বেলায় তারা নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা করে শেষ হবে। এই ঘটনায় আদতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দল নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু সাফাই দিয়ে বলেন,তৃণমূল বড় দল।একই আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।মতান্তর হতেই পারে।এই নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Nirmala Sitaraman: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়ার জন্য উন্মাদের মতো ছুটছে না কেন্দ্র, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

    Nirmala Sitaraman: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়ার জন্য উন্মাদের মতো ছুটছে না কেন্দ্র, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়ার জন্য উন্মাদের মতো ছুটছে না কেন্দ্র। যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা চালানো হবে। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman)। তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষা, টেলিকম-সহ চারটি বৃহত্তর ক্ষেত্রে সরকারের মালিকাধীন পেশাদারি সংস্থার উপস্থিতি থাকবে।

    শনিবার ‘রাইসিনা ডায়লগ’-এ একথা বলেন তিনি

    শনিবার ‘রাইসিনা ডায়লগ’-এ তিনি বক্তব্য রাখছিলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত নীতি অনুযায়ী চার বৃহত্তর ক্ষেত্রে সরকারের মালিকাধীন পেশাদারি সংস্থা থাকবে। অর্থাৎ ওই ক্ষেত্রগুলিতে সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটবে না কেন্দ্রীয় সরকার। ওই চারটি ক্ষেত্র হল – পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা; পরিবহণ ও টেলিযোগাযোগ; শক্তি, পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ এবং ব্যাঙ্কিং, বিমা ও আর্থিক পরিষেবা।

    নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitaraman) এদিন আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত নীতিতে বলা হয়নি যে পিন তৈরি থেকে শস্য- সব ব্যবসা চালাবে সরকার। তাই যে ক্ষেত্রে সরকারের (ব্যবসা চালানোর) প্রয়োজন নেই, সেখানে চালাবে না। কিন্তু কৌশলগত স্বার্থে যেখানে সরকারকে (রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা) চালাতে হবে, সেখানে চালাতে হবে। যেমন টেলিকমের ক্ষেত্রে (সরকার ব্যবসা চালিয়ে যাবে)।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘একটি টেলিকম সংস্থা (বিএসএনএল যেমন আছে) থাকবে, যে সংস্থার মালিক হবে সরকার এবং সেই সংস্থাকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে চালানো হবে।’

    বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, যে প্রতিষ্ঠানগুলি বড় এবং নিজেদের ক্ষমতায় চলতে পারবে, সেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি চলতে থাকবে। কিন্তু যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি ছোটো, অলাভজনক এবং আখেরে কোনও লাভের মুখ দেখাচ্ছে না, সেগুলিকে সম্ভব হলে বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। যাতে ওই সংস্থাগুলি নিজেদের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে এবং নিজের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Goutam Adani: আদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

    Goutam Adani: আদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট এদিন ভূয়সী প্রশংসা করলেন আদানি গোষ্ঠীর (Goutam Adani)। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মানুষ বিনিয়োগের কারণে আদানির (Goutam Adani) প্রতি তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার সার্বিক উন্নয়নে আদানিদের অবদান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অ্যাবট।

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এদিন সাক্ষাৎকার দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন আদানিকে সমর্থন করে অ্যাবট বলেন, ‘‘অভিযোগ করা খুব সহজ। কোনও একটা অভিযোগ করা হয়েছে বলেই তা সত্যি হয়ে যায় না। আমি যত দূর জানি, দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।’’

     তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি সত্যিই কোথাও কিছু গোলমাল থেকে থাকে, তা নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন। তবে আমি আদানিদের (Goutam Adani) প্রতি কৃতজ্ঞ। ওঁরা অস্ট্রেলিয়ার উপর যে ভাবে ভরসা রেখেছেন, তাতে আমাদের দেশের অনেক উপকার হয়েছে।’’

     

    অস্ট্রেলিয়াতে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর

    প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় আদানি (Goutam Adani) গোষ্ঠীর কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। অ্যাবট জানিয়েছেন, আদানিদের ওই বিনিয়োগের ফলে তাঁদের দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।  গত বছর অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে আদানিদের একটি চুক্তি হয়। যার মাধ্যমে সে দেশের কয়লা আদানিদের হাত ধরে ভারতে এসে প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাবে।

    আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে

    জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এমন আবহে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এই ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতেও কাটমানি! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদুল শেখের বিরুদ্ধে। তিনি আদতে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়ত প্রধানের স্বামী। আর স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা ইংরেজবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের বিরুদ্ধে। ফলে, দলীয় নেতাদের এই আচরণে শাসক দলের একাংশ বহুদিন ধরেই ক্ষোভ ফুঁসছিলেন। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে দলীয় নেত্রী ও তাঁর অনুগামীদের রীতিমতো কসরত করতে হয়। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীরা কেন বিক্ষোভ দেখালেন?

    ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিলা। তাঁর স্বামী জাহিদুলই বকলমে পঞ্চায়েত চালান বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শুধু পঞ্চায়েত পরিচালনা নয়, আর্থিক সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নেন তিনি। দলের গ্রাম পঞ্চায়ত সদস্যদের তিনি পাত্তা পর্যন্ত দেন না। ফলে, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের পাশাপাশি দলের একটি বড় অংশ তাঁর আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামে দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছিল। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, জাহিদুল পঞ্চায়েতকে ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন দল একে অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। সেই পদ ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করার টোপ দিয়ে তিন-চার লক্ষ টাকা করে তুলছেন। দলীয় সভানেত্রী দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই দলীয় কর্মীদের একাংশ নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে দলীয় নেত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ বলেন, দলের অন্দরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ সেই জাহিদুল শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ তুলে আদালত পর্যন্ত ওরা গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনও সমস্ত বিষয়টি জানে। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share