Author: user

  • Tiktok: ভারতের মতোই আমেরিকাতে নিষিদ্ধ হল টিকটক, কেন জানেন?

    Tiktok: ভারতের মতোই আমেরিকাতে নিষিদ্ধ হল টিকটক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা অ্যাপ টিকটক (Tiktok) ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে বছর দুই আগেই, এবার ভারতের অবস্থান নিতে চলেছে আমেরিকা। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই সেদেশের সমস্ত সরকারি ডিভাইস থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। টিকটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই অ্যাপস গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করে। ইতিমধ্যে একাধিক দেশ টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। সোমবারেই নতুন করে এই চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কানাডা সরকার।

    এবিষয়ে কী বললেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি

    বুধবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের স্পষ্ট বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকটক (Tiktok)। তিনি আরও বলেন, “আমরা আগেও বলেছি যে টিকটক নিয়ে উদ্বেগের বেশকিছু কারণ রয়েছে। যেভাবে চিন মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে তা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই বিপজ্জনক। তাই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে আমরা (বাইডেন প্রশাসন) কংগ্রেসকে অনুরোধ জানিয়েছি।”

    টিকটকের (Tiktok) বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক দেশের

    ভারত-সহ একাধিক দেশের অভিযোগ রয়েছে, টিকটক (Tiktok) অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারদের সমস্ত তথ্য পাচার করছে চিন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিনা টেক সংস্থাটি। জানা গেছে, ২০২০ সালেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক (Tiktok) নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল চিনা সংস্থাটি। পরে আদালতের সিদ্ধান্তে সেই দেশে নিষিদ্ধ করা সম্ভব হয়নি টিকটক। এবার আইন করে টিকটক বন্ধের পথে হাঁটছে আমেরিকা। সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন আমেরিকার ম্যানেজমেন্ট ও বাজেট ডিরেক্টর শ্যালান্ডা ইয়ং। সেখানে বলা হয়েছে, সমস্ত সরকারি ডিভাইস থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে চিনা অ্যাপ। কোনওভাবে যেন এই অ্যাপ ইনস্টল না করা যায়, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। ডিভাইসে থাকা যাবতীয় তথ্য যেন কোনওভাবেই এই অ্যাপের নাগালে যেতে না পারে।

    চিনের তীব্র বিরোধিতা

    ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের পর চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দমন করার জন্য তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। “আমরা এই ভুল সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করি,” মঙ্গলবার সাংবাদিকদের একথা বলেন চিনা মুখপাত্র মাও নিং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

  • Jogendra Nath Mandal: ‘‘নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, ইসলামের নামে পাকিস্তানে কী ঘটছে?’’

    Jogendra Nath Mandal: ‘‘নিজেকেই প্রশ্ন করলাম, ইসলামের নামে পাকিস্তানে কী ঘটছে?’’

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৫

    চতুর্থ পর্বের পর…

     

    ২১। ঢাকার দাঙ্গার পিছনে প্রধান কারণ ছিল ৫টি

    (i) কালশিরা এবং নাচোলের ঘটনাসমূহের উপর ২টি মুলতুবি প্রস্তাব গণপরিষদে প্রত্যাখ্যাত হলে সংসদে হিন্দু প্রতিনিধিদের ওয়াক আউটের জন্য এবং হিন্দুদের শিক্ষাপ্রদানের উদ্দেশ্যে

    (ii)  সংসদীয় দলে সোহরাওয়ার্দী গ্রুপ এবং নাজিমুদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দিন দিন বেড়ে চলা মতবিরোধ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    (iii) পূর্ব বাংলার সরকার এবং মুসলিম লিগ, হিন্দু-মুসলিম উভয় পক্ষের নেতারা পূর্ব-পশ্চিম দুই বাংলার মিলনের স্বপক্ষে একটি আন্দোলন শুরু করতে পারে এমন ভয়ে ভীত ছিল। তারা এই মিলন আটকাতে চাইছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল যে পূর্ব বাংলায় যেকোনও বড় আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গেও পড়বে এবং সেখানে মুসলিমদের হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। উভয় বঙ্গে এরূপ দাঙ্গা দুই বাংলার মিলনকে রোধ করতে পারবে।

    (iv) পূর্ব বাংলার বাঙালী এবং অবাঙালী মুসলিমদের মধ্যে বৈরিতা ক্রমশ বাড়ছিল। এটা রোধের একমাত্র উপায় ছিল পূর্ববঙ্গের মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ঘৃণার বিষবাষ্প ছড়ানো। ভাষার ব্যাপারটিও এর সঙ্গে জড়িত ছিল।

    (v) অবমূল্যায়নে অসম্মতি এবং ইন্দো-পাকিস্তান ব্যবসার ক্ষেত্রে অচলাবস্থার ফলাফল পূর্ব বাংলায় অনুভূত হচ্ছিল, প্রথমে শহরাঞ্চলে পরবর্তীতে গ্রামাঞ্চলেও। মুসলিম লীগের সদস্য এবং কর্মকর্তাগণ এই আসন্ন অর্থনৈতিক ধ্বস থেকে জনগণের মনোযোগ সরিয়ে দিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদের সূচনা করতে চেয়েছিলেন।

    হতভম্বকারী বর্ণনা-প্রায় ১০,০০০ মৃত্যু

    ২২। ঢাকায় আমার ৯ দিনের অবস্থানকালে আমি শহর ও শহরতলীর বেশিরভাগ দাঙ্গা আক্রান্ত অঞ্চলে গিয়েছি। তেজগাঁও এর অন্তর্ভুক্ত মিরপুরেও আমার যাওয়া হয়েছে। আমি সবচেয়ে মর্মাহত হয়েছি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেনে শত শত নিরপরাধ হিন্দু হত্যার খবরে। ঢাকার দাঙ্গার দ্বিতীয় দিনে আমি পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে অনুরোধ করি দাঙ্গা যেন জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ যেন তিনি অবিলম্বে জেলা কর্তৃপক্ষ গুলোর নিকট পৌঁছে দেন। ২০ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫০ তারিখে আমি বরিশাল শহরে পৌঁছে সেখানকার ঘটনা শুনে বিস্মিত হয়ে যাই। জেলা শহরে বেশকিছু হিন্দু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়, প্রচুর হিন্দু নিহত হয়। আমি জেলাটির প্রায় সব দাঙ্গা আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। জেলা শহরের ৬ মাইলের মধ্যে অবস্থিত এবং গাড়ি চলাচলের রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত কাশিপুর, মাধবপাশা, লাকুটিয়ার মত জায়গাগুলোয় ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ দেখে আমি বিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম। মাধবপাশা জমিদার বাড়িতে প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হন, আহত হন আরো অন্তত ৪০ জন। মুলাদী নামক স্থানে যেন নরক নেমে আসে। স্থানীয় মুসলিমদের ও কিছু কর্মকর্তার ভাষ্য অনুসারে শুধু মুলাদী বন্দরেই ৩০০ এর বেশি লোক নিহত হয়। আমি মুলাদী গ্রামও পরিদর্শন করি এবং সেখানে মৃতদেহের কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখি। কুকুর এবং শকুন নদীর ধারে মৃতদেহ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। আমাকে অবগত করা হয় যে সকল পূর্ণবয়স্ক পুরুষকে হত্যার পর সমস্ত যুবতীদের দুর্বৃত্ত দলের হোতাদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়। রাজাপুরের অন্তর্গত কৈবর্তখালী নামক স্থানে ৬৩ জন নিহত হয়। থানা থেকে ঠিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত হিন্দু বাড়িগুলোতেও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, সেগুলোতে বসবাসকারীদের হত্যা করা হয়। বাবুগঞ্জ বাজারের সকল হিন্দু দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, বহু হিন্দু নিহত হয়। বিস্তারিত বর্ণনা পাবার পর কম করে ধরলেও দেখা যায় শুধুমাত্র বরিশাল জেলাতেই ২,৫০০ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে পূর্ব বঙ্গে মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার! সব খোয়ানো নারী-শিশুদের স্বজন হারাবার হাহাকারে আমার হৃদয় দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছিল। আমি নিজের কাছেই জানতে চাইলাম “ইসলামের নামে পাকিস্তানে কি ঘটতে চলেছে”।

    দিল্লী চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিকতার অভাব

    ২৩। মার্চের শেষভাগে বিশাল সংখ্যায় হিন্দুরা বাংলা ছাড়তে শুরু করে। মনে হচ্ছিল কিছুদিনের মধ্যেই সকল হিন্দু ভারতে চলে যাবে। ভারতে রণধ্বনি বেজে উঠলো। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়ল। জাতীয় দুর্যোগ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দেখা দিল। ৮ এপ্রিলের দিল্লী চুক্তি অবশ্য এই অনুমিত দুর্যোগকে থামিয়ে দিতে পারল। ভয়ার্ত হিন্দুদের মনোবল পুনরুদ্ধারের আশায় আমি সারা পূর্ব বাংলা চষে বেড়ালাম। আমি ঢাকা, বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনা ও যশোরের অনেক স্থান পরিদর্শন করলাম। আমি বহু বড় বড় জনসমাবেশে হিন্দুদের নিকট আহ্বান জানাই তারা যেন তাদের সাহস ধরে রাখে এবং নিজেদের পূর্বপুরুষের ভিটা-মাটি ছেড়ে না যায়। আমি আশা করেছিলাম যে পূর্ব বাংলার সরকার এবং মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ দিল্লী চুক্তির শর্তসমূহ যথাযথভাবে পালন করবে। কিন্তু যতই সময় গড়াতে লাগল আমি উপলব্ধি করলাম এই দুই পক্ষের কেউই দিল্লী চুক্তির শর্তাদি পালনের ব্যাপারে প্রকৃতরূপে উৎসাহী নয়। দিল্লী চুক্তির শর্ত মোতাবেক একটি সিস্টেম দাঁড় করাতে পূর্ব বাংলার সরকার যে শুধুমাত্র অক্ষম ছিল তাই নয়, সেই বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপও তারা নিতে চায়নি। দিল্লি চুক্তির পরপর বেশ কিছু হিন্দু তাদের নিজ বাসভূমে ফিরলেও ইতিমধ্যে মুসলিমদের দখলে চলে যাওয়া তাদের জায়গা-জমি ও ঘরবাড়ি আর ফিরে পায়নি।

    মাওলানা আকরাম খানের প্রেরণায়

    ২৪। ‘মোহাম্মাদী’ নামক একটি মাসিক পত্রিকার ‘বৈশাখ’ সংখ্যায় ছাপা হওয়া প্রাদেশিক মুসলিম লিগের সভাপতি মাওলানা আকরাম খানের সম্পাদকীয় পড়ে লিগের নেতৃবৃন্দের মনোভাব সম্বন্ধে আমার অনুমান যে অভ্রান্ত তা আমি বুঝতে পারি। ঢাকা রেডিও স্টেশন থেকে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী ড. এ. এম. মালিকের প্রচারিত প্রথম রেডিও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এই সম্পাদকীয় লিখেন। ড. মালিক বলেন, “এমনকি নবী হযরত মুহম্মদ(সাঃ)ও আরবের ইহুদীদের নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন”। মাওলানা আকরাম খান এর প্রেক্ষিতে বলেন, “ড. মালিক তাঁর বক্তব্যে আরবের ইহুদীদের প্রসঙ্গ না টানলেই ভাল করতেন। এটা সত্য যে নবী হযরত মুহম্মদ(সাঃ) আরবের ইহুদীদের নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন; কিন্তু সেটা ছিল ইতিহাসের প্রথম অংশ মাত্র। শেষদিকে তাঁর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল এরকম – আরব থেকে সকল ইহুদীদের বিতাড়িত কর”। মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক জীবনে অতি উচ্চ পদে আসীন একজন ব্যক্তির এহেন মন্তব্যের পরেও আমি আশা করে ছিলাম যে নুরুল আমিন মন্ত্রীসভা এতটা আন্তরিকতাশূন্য হবেনা। কিন্তু দিল্লী চুক্তির শর্ত মেনে নিতে যখন নুরুল আমিন ড. এন. বারারীকে মন্ত্রী মনোনীত করলেন তখন আমার সমস্ত আশা চূর্ণ হয়ে গেল। শর্তে ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে তাদের একজন করে প্রতিনিধি পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিমবাংলার মন্ত্রীসভায় নিয়োগ পাবে।

    নুরুল আমিন সরকারের আন্তরিকতাশূন্য কার্যকলাপ

    ২৫। আমার এক সাধারণ বিবৃতিতে আমি ড. এন. বারারীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবার ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে বলি যে এর ফলে কোনও বিশ্বাস তো ফেরত আসবেই না বরং নুরুল আমিন সরকারের আন্তরিকতা বিষয়ে যদি সংখ্যালঘুদের মনে কিছু আশার মরীচিকা তখনও জেগে থাকে তবে তাও পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার নিজস্ব মত হল নুরুল আমিনের সরকার যে শুধু আন্তরিকতাহীন কাজ করেছে তাই নয়, তাদের ইচ্ছা ছিল দিল্লি চুক্তির প্রধান প্রধান লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাধা প্রদান করা। আমি আবারো বলতে চাই যে ড. এন. বারারী নিজেকে ছাড়া আর কারও প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে সংগঠনটির টাকা এবং সাংগঠনিক শক্তির সুবাদে বাংলার আইনসভায় ফিরে আসতে সক্ষম হন। তিনি নমঃশূদ্রদের ফেডারেশনটির প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছিলেন। নির্বাচিত হবার কিছুদিন পর তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ফেডারেশনে যোগ দেন। মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হবার কালে তিনি ফেডারেশনেরও সদস্য ছিলেন না। বাঙালি হিন্দুরা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে পূর্ববর্তী কার্যকলাপ, চরিত্র এবং বুদ্ধিবৃত্তির দিক থেকে দিল্লী চুক্তি অনুসারে মন্ত্রী নিযুক্ত হবার পক্ষে বারারী বিবেচনার উপযুক্ত নন।

    (ক্রমশ……..)

     

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৪

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৩

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ২

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ১

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • TET Recruitment: প্রাথমিকে এবার দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের! কত শূন্যপদে জানেন?

    TET Recruitment: প্রাথমিকে এবার দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের! কত শূন্যপদে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে (TET Recruitment) ফের নিয়োগের নির্দেশ। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যে প্রাথমিক নিয়োগ (TET Recruitment) হয়েছে সেখানে ৩০০-এর বেশি শূন্যপদ ছিল। সেই পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে।

    নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে যে নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১৮৩৪টি শূন্যপদ ছিল। তখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগের জন্য ১৫০৬ চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল। বাকি ৩২৮টি শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
    বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই শূন্যপদ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে পর্ষদকে অবিলম্বে মেধার ভিত্তিতে শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, আরও ৫ শতাংশ অতিরিক্ত নিয়োগের কথাও এদিন জানিয়েছেন বিচারপতি।

    প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গান্ধীমূর্তির নীচে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ৩২৮ জনের পাশাপাশি আরও ৯২ জনকে নিয়োগ করতে হবে। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    ২০০৯ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও পরীক্ষা হয় ২০১২ সালে

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে এই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, তখন টেট পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল না। পরে ২০১২ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০২২-এ ফল প্রকাশ হলেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় নিয়োগ আটকে ছিল দীর্ঘদিন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্তারা বলেন, এক্স সার্ভিসম্যান ক্যাটাগরি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোটায় পর্যাপ্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই ৩২৮ টি শূন্যপদ ফাঁকা রাখা হয়। এবার সেই সব পদেই দ্রুত নিয়োগ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: উহানের ল্যাবেই জন্ম হয়েছিল করোনা ভাইরাসের, নিশ্চিত করল এফবিআই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Environment Recycling: দেশের প্রথম ‘কার্বন-নেগেটিভ’ শৌচাগার তৈরি করলেন অষ্টাদশী! বিশেষত্ব জানেন?

    Environment Recycling: দেশের প্রথম ‘কার্বন-নেগেটিভ’ শৌচাগার তৈরি করলেন অষ্টাদশী! বিশেষত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রথম দর্শনে মনে হবে কোনও ইগলু! বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই যে এটি কোনও শৌচাগার। আর এই অভিনব নকশার টয়লেটের নির্মাণেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। কারণ, এটি সুলভ-এর মতো আর পাঁচটা সাধারণ শৌচাগার নয়। এটি দেশের প্রথম কার্বন-নেগেটিভ টয়লেট। এই টয়লেট তৈরি করেছেন এক অষ্টাদশী।  যার দৌলতে গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন ওই তরুণী। পাঞ্জাবের ১৮ বছরের তরুণী রুহানি ভার্মা ছোটবেলা থেকেই একজন পরিবেশপ্রেমী। প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের (Environment Recycling) প্রতি ছোট থেকেই আগ্রহ তাঁর। এরপর রুহানি হাইস্কুলে ওঠামাত্রই পরিবেশ বান্ধব কিছু প্রজেক্ট করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। তিনি তখন মনে করতেন, যেকোনও নির্মাণই পরিবেশের (Environment Recycling) উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। জলের অপচয়, বায়ু দূষণ ইত্যাদি।  তাঁর নিজের কথায়, “আমি ইউটিউবে ভিডিও দেখে এবং ইন্টারনেটে নিবন্ধ পড়ে পরিবেশ বান্ধব ইট নিয়ে গবেষণা শুরু করি। আমি তখন জানতে পারি ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক লোক বিভিন্ন প্রকল্পে এই ইটগুলি ব্যবহার করছে।  কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ লোকই এবিষয়ে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প শুরু করতে, তিনি  প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেন। একাজে সাহায্য পান তাঁর পিতামাতা, এবং বিভিন্ন পেশাদারের। 

    কীভাবে বাস্তবায়িত হল এমন পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প (Environment Recycling)

     রুহানির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল শ্রী ধর রাও এর। শ্রী ধর রাও একজন ইঞ্জিনিয়ার। এই কাজে ব্যবহার করা হয় ফাউন্ড্রি ধুলো এবং প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি, সিলিকা প্লাস্টিক ব্লক বা SPB, একটি টেকসই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইঁট। এরপর পরিবেশ বান্ধব এই প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য তৈরি করা হয় একটি টিম, ওই টিমের সদস্যরা হলেন শিখা ডুগার, রানা সরকার, জুনিয়র আর্কিটেক্ট হিসাবে মানবী দীক্ষিত এবং গ্রাফিক্স বিভাগে ছিলেন অভিষেক সিং। শুরু হয় কার্বন নেগেটিভ পরিবেশ বান্ধব টয়লেট ডিজাইনের কাজ। এরপর রুহানি বিভিন্ন জায়গা থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। এরপর ওই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় হয় ইঁট। আরও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন,  এমএস অ্যাঙ্গেল, পিভিসি পাইপ, এইচডিএইচএমআর বোর্ড, ধাতু, ঢেউতোলা শীট, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। যা সবই ছিল পুনর্ব্যবহারযোগ্য (Environment Recycling)। রুহানি জানান, এটি ছিল পুনর্ব্যবহারযোগ্য পাবলিক টয়লেট,  ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়। মোট ৪ লক্ষ প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে।
    রুহানি বলেন, পাবলিক টয়লেট সাধারণত নোংরা দেখায়। তাই আমরা ভেবেছিলাম এই টয়লেটগুলো যেন বাকি জায়গার মতো নোংরা হয়না। এবং গঠনমূলকভাবে এটাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেয়েছিলাম।
    প্রকল্পের রুপায়নকারী সংস্থা বলে, এটি আমাদের প্রথম প্রকল্প ছিল, এটি তৈরি করতে আমাদের প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল, কিন্তু ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলি  আমরা দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করত পারব বলে মনে হয়। অমৃতসর বিমানবন্দরের এই কাঠামোটি কমপক্ষে পাঁচ বছর স্থায়ী হবে। রুহানি বলেন, এই প্রকল্পটি আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছি। বর্তমানে এটি স্বচ্ছভারত মিশনের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। আমরা এটিকে প্রতিনিয়ত দেখভাল করছি। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Naatu Naatu: অস্কারের মঞ্চে ‘নাটু নাটু’ গানের লাইভ পারফর্ম দেখা যাবে এবছর

    Naatu Naatu: অস্কারের মঞ্চে ‘নাটু নাটু’ গানের লাইভ পারফর্ম দেখা যাবে এবছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও এক নতুন পালক যোগ হতে চলেছে টিম ‘আরআরআর’-এর মুকুটে। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় মঞ্চ অস্কারের আসরে সেরা মৌলিক গানের মনোনয়ন জিতে আগেই দেশকে বড় সম্মান এনে দিয়েছে ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’ (Naatu Naatu)। এবার এই দক্ষিণী সিনেমার গান লাইভ পারফর্ম করা হবে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্য়াওয়ার্ডসের আসরে। আগামী ১৩ মার্চ হবে অস্কারের অনুষ্ঠান। সেখানেই এই এম এম কিরাবাণীর সুর করা এবং চন্দ্র বোসের লেখা এই গান গাইবেন কালা ভৈরব এবং রাহুল সিপলিগঞ্জ। ‘আরআরআর’ ছবির এই গানের তালে এবার নাচবে গোটা বিশ্ব। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে বসবে অস্কারের বার্ণাঢ্য আসর। এইবার অস্কার সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকছেন জিমি কিমেল। 

    কালা ভৈরব এবং রাহুল সিপলিগুঞ্জের গান শোনা যাবে অস্কারের মঞ্চে

    সেই অর্থে ভারতীয় মিউজিক দুনিয়ার পরিচিত নাম নন কালা ভৈরব এবং রাহুল সিপলিগুঞ্জ। তবে এই দুই তরুণ গায়কের হাত ধরেই অস্কারের মঞ্চে নয়া ইতিহাস লিখবে ভারত। গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, অবশেষে সেই খবরে সিলমোহর দিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১.৩০টা নাগাদ অ্যাকাডেমির অফিসিয়্যাল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয় ‘নাটু নাটু’ (Naatu Naatu) গান পারফর্ম করা হবে অস্কারের মঞ্চে।

    প্রতিযোগিতায় আর কোন কোন গান থাকছে  

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অস্কারের মঞ্চে ‘লিফ্‌ট মি আপ’ গানে পারফর্ম করতে চলেছেন পপ তারকা রিহানা। অন্যদিকে ‘এভরিথিং এভরিথিং অল অ্যাট ওয়ানস’ ছবির ‘দিজ ইজ লাইফ’ গানে পারফর্ম করতে দেখা যাবে ডেভিড বাইরনে এবং স্টেফানি হসুকে। এছাড়াও থাকবে ‘অ্যাপ্লোস’ গানে সোফিয়া কারসনের পারফরম্যান্সও। সেরা মৌলিক গানের দৌড়ে থাকছে লেডি গাগার ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড’ গানটিও।

    এর আগে ২০০৯ সালে অস্কার জিতেছিল জয় হো গান  

    এর আগে সেরা মৌলিক গানের জন্য ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ ছবির জয় হো-অস্কার (২০০৯) ছিনিয়ে নিয়েছিল। তবে ব্রিটিশ প্রযোজনা সংস্থার তৈরি ছবি সেটি। ‘নাটু নাটু’র (Naatu Naatu) হাতে অস্কার উঠলে এই প্রথম সম্পূর্ণরূপে কোনও ভারতীয় ছবির জন্য অস্কার জিতবেন ভারতীয় শিল্পীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Lionel Messi: এমবাপে ও বেঞ্জেমাকে হারিয়ে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি

    Lionel Messi: এমবাপে ও বেঞ্জেমাকে হারিয়ে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির মুকুটে ফের নয়া পালক। ফিফার (FIFA The Best Award 2023) বর্ষসেরা ফুটবলারের শিরোপা পেলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। বিশ্বকাপ তাঁর হাতে ওঠার পর গোটা বিশ্বেই তাঁর ভক্তরা আবেগে ভেসেছিল। এবার নয়া পালক জুড়ল লিওনেলের মুকুটে। এই লড়াইয়ে ছিলেন ব্যালন ডি’অর জয়ী করিম বেঞ্জেমা। বর্ষসেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক-সহ কাতারে গোল্ডেন বুট জেতা কিলিয়ান এমবাপেও। তবে সকলকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র।

    বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি

    বর্ষসেরার খেতাব হাতে উঠল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। তবে এর আগেও ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ২০১৯ সালে এই শিরোপার অধিকারী হয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ সালেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। ফলে মোট ৭ বার ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন মেসি। ২০১৬ সাল থেকে ফিফা একক ভাবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। তার আগে অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই পুরস্কার দিত ফিফা।

    এমবাপে ও বেঞ্জেমাকে ছাপিয়ে মেসির

    আড়াই মাস আগেও মেসির কাছে রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট হতে হয়েছিল এমবাপেকে। আর এই বর্ষসেরা পুরস্কারের ক্ষেত্রেও প্রথমেই মেসি। কারণ বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকায় থাকা আরও দু’জন হলেন কিলিয়ান এমবাপে ও করিম বেঞ্জেমা। মেসির সঙ্গে সব থেকে বেশি টক্কর এমবাপের। বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি গোল (৮) করে সোনার বুট জিতেছেন এমবাপে। কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে পারেননি তিনি। ফিফার বর্ষসেরার তালিকায় এমবাপেকেও টেক্কা দিয়ে গেলেন মেসি।

    অন্যদিকে ২০২২ সাল ভালো গিয়েছে বেঞ্জেমার। রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপের আগেই চোট পান বেঞ্জেমা। ফলে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। আর এবারে বেঞ্জেমাকেও ছাপিয়ে গেলেন মেসি। মেসি এই পুরস্কার জেতার ক্ষেত্রে ৫২ পয়েন্ট পেয়েছেন। এমবাপে পেয়েছেন ৪৪ পয়েন্ট। তৃতীয় স্থানে থাকা বেঞ্জেমার পয়েন্ট ৩৪।

    ফিফা অ্যাওয়ার্ডের তালিকা দেখুন একনজরে

    বর্ষসেরা খেলোয়ার (পুরুষ) লিওনেল মেসি

    বর্ষসেরা খেলোয়ার (মহিলা) অ্যালেক্সিয়া পুতেলাস

    বর্ষসেরা কোচ (পুরুষ) লিওনেল স্কালোনি

    বর্ষসেরা কোচ (মহিলা) সারিনা উইগম্যান

    বর্ষসেরা গোলরক্ষক (পুরুষ) এমিলিয়ানো মার্তিনেজ

    বর্ষসেরা গোলরক্ষক (মহিলা) মেরি ইরাপ্স

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, তদন্তে রাজি  সিবিআই! রাজ্যকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, তদন্তে রাজি সিবিআই! রাজ্যকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগে এবার তদন্তে রাজি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত নির্দেশ দিলে এক্ষেত্রে প্রাথমিক অনুসন্ধানে রাজি সিবিআই। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবির বিরোধিতা করে রাজ্য। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। 

    আদালতে মামলাকারীদের দাবি

    কেন্দ্রের পাঠানো টাকায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)জনস্বার্থ মামলা করেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তাঁরা।মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ক্যাগের রিপোর্টে ওই অসঙ্গতির কথা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকার নয়ছয় হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    এদিন আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্যের যুক্তি ছিল, ক্যাগের রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে যায়। সেখান থেকে যায় বিধানসভায়। তারপর তা নিয়ে আলোচনা হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-তে। খরচ নিয়ে সেখানেই এখন বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এর পাল্টা হিসেবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রাজ্যের কাছে জানতে চান, পিএসিতে কী হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে? না কি, সরাসরি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট চাইবে আদালত? মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে আদালত হস্তক্ষেপ করতেই পারে। তখন রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তা হলে কী এই মামলার শুনানি বন্ধ রাখব? না কি পিএসি থেকে কখন রিপোর্ট আসবে তার জন্য বসে থাকব?’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bishnupur Gang Rape: ১০ দিন পেরিয়েও বিষ্ণুপুর গনধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা অধরা, পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের

    Bishnupur Gang Rape: ১০ দিন পেরিয়েও বিষ্ণুপুর গনধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা অধরা, পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য পুলিশের অপদার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিষ্ণুপুর গনধর্ষণ (Bishnupur Gang Rape) মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর ১০ দিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তদের। নেওয়া হয়নি নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি। কেন এই কাজগুলিতে এত দেরি করা হচ্ছে রাজ্য পুলিশকে সেই প্রশ্নই করেন বিচারপতি। পুলিশ কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যেই গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে পুলিশকে।

    পুলিশের ভূমিকায় যন্ত্রণা পাচ্ছে আদালত (Bishnupur Gang Rape)? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার বাঁকরাহাট আউটপোস্টে এক মহিলা গণধর্ষণের (Bishnupur Gang Rape) অভিযোগ জানান। কিন্তু সেদিন তাঁর কোনও কথা শোনা হয়নি বলে পরবর্তীতে অভিযোগ জানায় ওই মহিলার পরিবার। এরপর এই ঘটনা হাইকোর্টে পৌঁছয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কেন ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ নেওয়া হল না, পুলিশকে সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা। 

    পুলিশের তরফে উত্তরে বলা হয়, সেদিন বাঁকরা আউটপোস্টে কোনও লেডি কনস্টেবল ছিল না। তাই এফআইআর নেওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি বলেন, “৩৭৬ ধারায় অভিযোগ। কিন্তু কোনও লেডি কনস্টেবল নেই? এর অর্থ কী? ১০ দিন হয়ে গেছে এখনও লেডি কনস্টেবল নেই।” 

    তারপরই বিচারপতি পুলিশকে ধমকে বলেন, “এটা কী চলছে? আপনারা পুরো সিস্টেমকে ভেঙে দিচ্ছেন।” বিচারপতি জানতে চান, ১০ দিন কেটে গেলেও নির্যাতিতার পরনের পোশাক বা মোবাইল কিছুই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন?

    বিচারপতি আরও বলেন, “পুলিশের এমন গা ছাড়া ব্যবহার দেখে যন্ত্রণা পাচ্ছে কোর্ট। এতদিনে কেন কোনও গ্রেফতার নেই?” এদিকে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারকে বিষ্ণুপুর থানা ও বাঁকরাহাট আউট পোস্টের এবং ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য সরকার ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে কেন্দ্রকে প্ররোচনা দিচ্ছে’, দাবি সুকান্তর

    বিচারপতি আরও বলেন, “নির্যাতিতাকে এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগামী শুনানির আগে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার (Bishnupur Gang Rape) করতে হবে। এছাড়াও তদন্তে আইওকে সাহায্য করার জন্য একজন সিনিয়র অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে।” আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্যাতিতার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেন বিচারপতি মান্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    Sikhs for Justice: দিল্লি বিমানবন্দরে ওড়ানো হবে খালিস্তানি ঝান্ডা, হুমকি নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তান সমস্যা। খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice) নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সোমবার এই সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতা গুরপন্তওয়ান্ত সিং পান্নুন (Gurpatwant Singh Pannun) হুমকি দিয়েছেন, জি-২০’র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সময় হামলা করা হবে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়ানো হবে খালিস্তানের ঝান্ডা। 

    শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs for Justice)…

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পঞ্জাব (Punjab) ভারত নয় স্লোগান লেখা হয়েছে এসডিও অফিস কমপ্লেক্সে। পঞ্জাবের মোগা জেলার রোড ভিলেজে বাঘাপূর্ণা অ্যান্ড গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজের দেওয়ালেও লেখা হয়েছে ওই স্লোগান। শিখস ফর জাস্টিসের তরফে দাবি করা হয়েছে দেওয়ালের ওই স্লোগান লিখেছে তারাই। উল্লেখ্য যে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী জার্নেল সিং ভিন্দ্রেওয়ালা এই রোড ভিলেজেরই বাসিন্দা ছিলেন।

    পান্নুন (Sikhs for Justice) বলেন, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে জি-২০’র বিদেশমন্ত্রীদের। পঞ্জাব ভারত নয়। শিখস ফর জাস্টিস নিউ দিল্লি এয়ারপোর্ট আক্রমণ করবে। সেখানে উড়িয়ে দেবে খালিস্তানি ঝান্ডা। তিনি বলেন, এই হচ্ছে সময় যখন আপনারা (জি-২০-র বিদেশমন্ত্রীরা) আমাদের খালিস্তানের দাবি সমর্থন করবেন। শিখদের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আপনারা সমর্থন করবেন। ভারত ভূখণ্ডকে আপনারা চিনতে পারবেন না। কারণ ভারত কোনও দেশ নয়, শর্তসাপেক্ষে কতগুলো রাজ্যের ইউনিয়ন। তিনি বলেন, যদি মানুষ এই ইউনিয়নে থাকতে না চায়, তাহলে তাদের ভোটের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    শিখস ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) ভারত-বিরোধী কাজকর্ম প্রকাশ্যে এসেছে দীর্ঘদিন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় খালিস্তানি পতাকা ওড়াতে পারলে আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথা তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালে। তখন পান্নুন বলেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি আসছে। লালকেল্লায় ভারতের তিরঙ্গা পতাকা উড়বে। ২৬ জানুয়ারি ওই পতাকা সরিয়ে টাঙিয়ে দাও খালিস্তানি পতাকা। দিন কয়েক আগে আর এক খালিস্তানপন্থী অমৃতপাল সিং হুমকি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানি আন্দোলন দমন করতে গেলে অমিত শাহের পরিণতি হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতো। তিনি বলেছিলেন, খালিস্তানের দাবি অধিকারের। এর অর্থ, শিখরা তাদের জমি ফেরত পেতে চায়। তাঁদের এই দাবিকে কেউ ছিনতাই করতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jogendra Nath Mandal: ‘‘পাকিস্তানী পুলিশের মদতে কেন হিন্দুদের উপর এত হামলা হতে থাকল?’’

    Jogendra Nath Mandal: ‘‘পাকিস্তানী পুলিশের মদতে কেন হিন্দুদের উপর এত হামলা হতে থাকল?’’

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৪

    তৃতীয় পর্বের পর…

     

    ১৬। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমি কালশিরা গ্রাম এবং তার সংলগ্ন গ্রামগুলো পরিদর্শন করতে যাই। খুলনার পুলিশ সুপার এবং মুসলিম লীগের নেতারা আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি যখন কালশিরাতে পৌঁছাই তখন ধ্বংসলীলা চোখে পড়ে। পুলিশ সুপার জানান এখানে ৩৫০টি  মতো বাড়ি ছিল। এর ভিতর মাত্র ৩ টি বাড়ি বাদে সর্বত্র লুটপাট করা হয়েছে। আমি পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, প্রধান সচিব, পুলিশ প্রধান এবং আপনার কাছে ঘটনাটি জানিয়ে ছিলাম।

    ১৭। কালশিরার ঘটনা পশ্চিমবাংলার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেখানে হিন্দুদের মাঝে উত্তেজনাও দেখা দেয়। এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া হিন্দুরা সেখানে গিয়ে এই ভয়াবহতার কথা বললে সেখানে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়।

    ফেব্রুয়ারির হিংসার কারণগুলো

    ১৮। এটা স্বীকার করতেই হবে কালশিরার মত পূর্ব বাংলার হানাহানির ফলে পশ্চিম বাংলাতেও সাম্প্রদায়িক হিংসা দেখা দেয়। পূর্ব বাংলার মিডিয়ার খবর সেখানে আলোড়ন ফেলে। ১৯৫০ এর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক পরিষদে বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস  সংসদ সদস্যরা স্পিকারের কাছে অনুমতি চান কালশিরা এবং নাচোলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায় নাই। সদস্যরা প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন। প্রাদেশিক পরিষদের হিন্দু সদস্যদের এই প্রতিবাদ মুসলিম  মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং অফিসারদের বিরক্ত এবং রুষ্ট করে। সম্ভবত ১৯৫০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব বাংলার হিংসার কারণ এটাই।

    ১৯। ১৯৫০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা। ঢাকায় পূর্ব বাংলার সচিবালয়ে একজন মহিলাকে হাজির করা হয়। তার স্তন কাটা ছিল। বলা হয় সে কলকাতা দাঙ্গার শিকার। সঙ্গে সঙ্গে সচিবালয়ের কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তারা মিছিল বের করে এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। মিছিল ক্রমে বড় হয় এবং একসময় এক মাইল লম্বা হয়। ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে মিছিল শেষ হয় দুপুর বারোটার দিকে। সেখানে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেওয়া হয়। এর ভিতর ছিল কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।

    সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে যখন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই মিছিল বের করেছিলেন তখন পূর্ব বাংলার প্রধান সচিব পশ্চিমবাংলার প্রধান সচিবের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন খোদ সচিবালয়ে, কীভাবে দুই বাংলার সাম্প্রদায়িক হিংসা কমানো যায় সেই বিষয়ে!!!

    সরকারী কর্মকর্তাদের মদতে লুটেরাদের হামলা

    ২০।  দাঙ্গা শুরু হল সেদিন দুপুর একটার দিকে। সারা শহরে একই সঙ্গে হিন্দুদের হত্যা, লুণ্ঠন আর অগ্নিসংযোগ চলতে থাকে। মুসলিমরা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই এইসব অপরাধ চালায়। হিন্দুদের স্বর্ণের দোকানে পুলিশের উপস্থিতিতেই লুটপাট চলে। এমনকি তারা লুটেরাদের দিকনির্দেশনাও দেয় কিভাবে লুটপাট করতে হবে সে বিষয়ে। আমি সেদিন অর্থাৎ ১৯৫০ এর ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছাই বিকাল পাঁচটার দিকে। আমি কাছ থেকেই ঘটনাগুলো দেখি। যা দেখেছি এবং যা শুনেছি সত্যি তা ছিল মর্মস্পর্শী এবং হৃদয়বিদারক।

    (ক্রমশ……..)

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৩

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ২

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ১

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share