Author: user

  • Bengal Chess Player: সুদূর ফ্রান্সে গিয়ে যোগ্যতা অর্জন, বাংলার ১১তম গ্র্যান্ডমাস্টার সায়ন্তন দাস

    Bengal Chess Player: সুদূর ফ্রান্সে গিয়ে যোগ্যতা অর্জন, বাংলার ১১তম গ্র্যান্ডমাস্টার সায়ন্তন দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সে গিয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন বাংলার দাবাড়ু সায়ন্তন দাস (Bengal Chess Player)। বাংলার একাদশতম গ্র্যান্ডমাস্টার হচ্ছেন তিনি। বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন সায়ন্তন দাস। সেখানেই একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। এর আগে চারটি গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পেয়েছেন সায়ন্তন। তারপর বেশ কয়েক দিনের অপেক্ষা। গ্র্যান্ডমাস্টার হতে প্রয়োজন ছিল ২৫০০ রেটিং পয়েন্ট। আর সেই স্বপ্নই পূরণ হল। গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন তিনি।   

    ফ্রান্সের এক প্রতিযোগিতায় শেষ রাউন্ডে জিতে সেই রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেন তিনি (Bengal Chess Player)। সেই সঙ্গে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন তিনি। সায়ন্তনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলার প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার  দিব্যেন্দু বড়ুয়াও। তিনি বলেন, “সায়ন্তনের সাফল্য প্রমাণ করে যে বাংলার দাবা সঠিক পথে রয়েছে। বাংলার দাবার জন্য এটা খুবই আনন্দের দিন। সায়ন্তন একজন প্রতিভাবান দাবাড়ু। আগেই জিএম নর্ম পেয়ে গিয়েছিল। প্রয়োজন ছিল কিছু রেটিং পয়েন্টের। সেটাও পেয়ে গিয়েছে সায়ন্তন।”

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    উচ্ছ্বসিত কোচ

    ২৬ বছরের সায়ন্তনের ছোটবেলার কোচ সপ্তর্ষি রায়। কলকাতার গুডরিক ন্যাশনাল চেস অ্যাকাডেমি থেকেই দাবায় হাতে খড়ি তাঁর (Bengal Chess Player)। শিষ্যের সাফল্যে খুশি কোচ সপ্তর্ষি রায়। কুর্নিশ জানিয়েছেন নিজের ছাত্রকে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “সায়ন্তন খুবই প্রতিভাবান। আমি ছোট থেকে ওকে কোচিং করিয়েছি। আমার হাতে রাজ্য থেকে শুরু করে জাতীয় ও পরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও হয়েছে সায়ন্তন। যে পরিবার থেকে উঠে ও এই লড়াই করেছে তার জন্য সায়ন্তনকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। ওর আরও আগে গ্র্যান্ডমাস্টারের যোগ্যতা পাওয়া উচিত ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যে পেয়েছে তার জন্য আমি খুব খুশি।” 

    কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়ের গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার একমাসের মধ্যে ফের গ্র্যান্ডমাস্টার পেল বাংলা। স্কটিশচার্চ স্কুল এবং কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সায়ন্তন (Bengal Chess Player)। কান আর্ন্তজাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় ৯ রাউন্ডে ৭.৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ফ্রান্সে যাওয়ার আগে কাঙ্খিত পয়েন্ট থেকে ২৪ পয়েন্ট দূরে ছিলেন বাঙালি তরুণ এই দাবাড়ু। সেখানে গিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ২৮ রেটিং পয়েন্ট এল ৷ তা আসতেই ভারতের ৮১ নম্বর গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন সায়ন্তন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Nagaland Manipur: নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা! আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল, কড়া নিরাপত্তা মেঘালয়ে

    Nagaland Manipur: নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা! আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল, কড়া নিরাপত্তা মেঘালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই মেঘালয়, নাগাল্যান্ড বিধানসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। চোখে পড়েছে লম্বা লাইন। মেঘালয়ে মোট ২১ লক্ষ ভোটার ৩৬৯ জন প্রার্থীর মধ্যে নিজেদের পছন্দ মতো প্রতিনিধি বেছে নেবে জনসাধারণ। পাশাপাশি নাগাল্যান্ডে ১৩ লক্ষ ভোটার আজ, ১৮৩ জন প্রার্থীর ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে যাতে কেউ এখানে প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য ভোটগ্রহণ ঘিরে দুই রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ২ তারিখ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ না হওয়া অবধি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল থাকবে। ভোটারদের অবাধে ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নাগাল্যান্ডে উত্তেজনা

    নাগাল্যান্ডে এবারও জোট করেই লড়াই করছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। নাগাল্যান্ডে নিফো রিওর দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (এনডিপিপি)-র সঙ্গে জোটে লড়াই করছে দেশের শাসকদল। এনডিপিপি ৪০টি আসনে, ২০টি আসনে বিজেপি লড়াই করছে। এই দু’দলের জোট সরকারই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে নাগাল্যান্ডে। আবারও তাঁরা ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এবারে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা। এখানে নাগা পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২২টি আসনে লড়াই করছে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ২৩টি আসনে।

    ভোটগ্রহণ চলার সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠল নাগাল্যান্ডের একটি ভোটকেন্দ্র। অভিযোগ, বুথের ভিতরেই এনপিপি সমর্থককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক এনপিএফ সমর্থক। ওই বুথে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    মেঘালয়ে কড়া নিরাপত্তা

    মেঘালয়ে ৬০ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী কানরাড সাংমার দল এনপিপি। মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে তৎপর দুই রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। ভোটে অশান্তি এড়াতে দুই রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আবার মেঘালয়ের ৯০০টি বুথ স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই ওই বুথগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এফ আর খারকোনগোর ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sagardighi Bypoll: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    Sagardighi Bypoll: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Sagardighi Bypoll)। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সাগরদিঘির ২৪৬টি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। থাকছে মহিলা পরিচালিত একটি বুথ। ভোটের নিরাপত্তায় প্রস্তুত থাকছে ২২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম। ১০০ শতাংশ বুথেই হবে ওয়েব কাস্টিং। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। 

    শুরু ভোটগ্রহণ

    মুর্শিদাবাদ জেলার এই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে এই উপনির্বাচন হচ্ছে। এই ভোটে নিজেদের আসন ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর সম্পর্কের আত্মীয়। এখানে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন বাইরন বিশ্বাস। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা। তাঁর প্রচারে এখানে দিনভর এক করেছে গেরুয়া শিবির। একুশের ভোটে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এবারও তৃণমূল-বিজেপি লড়াইটাই মূল।

    আরও পড়ুন: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা

    উপনির্বাচন হলেও সাগরদিঘিতে ঘটনার ঘনঘটা। রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেই নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে সাগরদিঘি থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। মকপোলের মধ্যে দিয়ে উপনির্বাচন শুরু হয় সাগরদিঘিতে। সাগরদিঘি বিধানসভার হোসেনপুর ২১০ ও ২১১ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রণ বিশ্বাস বুথের ভিতরে প্রবেশ করায় এলাকায় উত্তেজনা। বোখারা অঞ্চলের ৬৩ নম্বর বুথের ভিতরে আলো কমের অভিযোগ তোলে তৃণমূল কর্মীরা। সাগরদিঘি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮৭ নম্বর বুথে ইভিএম উল্টো করে রেখে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সাগরদিঘির ৫৩ নম্বর বুথে মক পোল না করেই ভোটগ্রহণ শুরুর অভিযোগ উঠেছে।

    উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে আজ ভোট হচ্ছে। দুটি রাজ্যেই ৬০টি করে আসন। নাগাল্যান্ডে ক্ষমতায় ছিল এনডিপিপি-বিজেপি ও মেঘালয়ে ছিল এনপিপি-বিজেপি জোট সরকার। ত্রিপুরায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়ে গিয়েছে। এই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে আগামী ২ মার্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Sidhu Moosewala: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১

    Sidhu Moosewala: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলের মধ্যেই হাতাহাতি করে মৃত্যু হল সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনে দুই অভিযুক্তের। পাঞ্জাবের গোইন্দওয়াল সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিল সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার অভিযুক্তরা। আজ, রবিবার হঠাৎ বিকেলে জেলের ভেতরে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তিন অভিযুক্ত। সংঘর্ষে দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মনদীপ সিং ওরফে তুফান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে অপর অভিযুক্ত মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরেক অভিযুক্ত কেশব। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ মে গুলিবিদ্ধ হন পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, পাঞ্জাবের তারন তারান জেলার গোইন্দওয়াল সাহেব সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে হঠাৎই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। জেলের রক্ষীরা থামাতে যাওয়ার আগেই আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় দুরান মনদীপ সিং ওরফে তুফানের। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ। তারপর থেকেই জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল মনদীপকে। এই সংঘর্ষে অপর অভিযুক্ত মনমোহন সিং গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মনমোহনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত বছর জুন মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল মনমোহনের। পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala) গতিবিধির উপর নজর রাখত সে। এই অভিযোগেই গ্রেফতার হয়েছিল মনমোহন। আবার এই ঘটনায় গুরুতর আহত কেশবকে অমৃতসরের গুরু নানক দেব হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। যেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, কেশবের মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে।

    মুসেওয়ালার মৃত্যু

    মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) গত বছর কংগ্রেসের টিকিটে পাঞ্জাব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পাঞ্জাবের মানসা জেলায় গতবছর ২৯ মে হামলাকারীদের গুলিতে মারা যান তিনি। গ্যাংওয়ারের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। হাজতে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে মুসেওয়ালা খুনের অপরাধের মূলচক্রী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৮৫০ পাতার চার্জশিটে ৩৬ জনের নাম রয়েছে। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-র দলের সদস্য গোল্ডি ব্রার সিধুর হাত। চলতি বছরে গোল্ডি ব্রারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

    প্রশ্নের মুখে আপ সরকার

    জেলের মধ্যেই কী করে এহেন প্রাণঘাতী হামলায় জড়িয়ে পড়ল বন্দিরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে আম আদমি পার্টি বা আপ পরিচালিত পাঞ্জাবের ভগবন্ত মানের সরকার। জেলের মধ্যে কী ভাবে গ্যাংওয়ারে জড়িয়ে পড়ল মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনে তিন অভিযুক্ত? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলের সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনার নেপথ্যে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Twitter Layoffs: ফের ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাই! এই নিয়ে ৮ বার! মোট কত জন ছাঁটাই হল এবার?

    Twitter Layoffs: ফের ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাই! এই নিয়ে ৮ বার! মোট কত জন ছাঁটাই হল এবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্য়ুইটারে চলছে একের পর এক ছাঁটাই পর্ব। ফের একবার কর্মী ছাঁটাই হতে চলেছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারে (Twitter)। গত বছরের অক্টোবর মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই নিয়ে মোট আটবার কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে ট্যুইটারে। 

    ৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হল এদিন

    ট্যুইটার জানিয়েছে, তাদের প্রযুক্তি বিভাগ থেকে ৫০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ট্যুইটার অ্যাপ, অ্যাড সাপোর্টিং টেকনোলজি ছাড়াও প্রযুক্তি পরিকাঠামোর দল থেকে কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। গত সপ্তাহে একই সময়ে, ট্যুইটার বিজ্ঞাপন সেলস টিম থেকেও কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। 

    ছাঁটাই পর্ব চলছেই
     

    অক্টোবর মাসে ট্যুইটার কেনার পর খরচ কমানোর কারণ দেখিয়ে ইলন মাস্ক কোম্পানি থেকে ৩,৭০০ কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছিলেন। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনার পর এটিই ছিল প্রথম ছাঁটাই। পরর্তীকালে ধাপে ধাপে আরও অনেককে ট্যুইটার থেকে বাদ দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। তবে তাতেও যেন তাঁর মন ভরছেনা।  ইলন মাস্ক আগেই ভারতে ট্যুইটারের দুটি অফিসই বন্ধ করে দিয়েছেন। কর্মীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে। মুম্বই ও দিল্লি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আগেই। শুধুমাত্র ব্যাঙ্গালোর অফিসটিই খোলা রেখেছে ট্যুইটার। পরিসংখ্যান বলছে, মুম্বই ও দিল্লিতে ২০০ জন কর্মচারীর মধ্যে ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ট্যুইটারে সিইও রয়েছেন নিজের মেজাজেই। সম্প্রতি নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে ট্যুইটারে তিনি যাঁদের ব্লক করেছিলেন তাঁদের আনব্লক করেছেন। কারণ তাঁর কাছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও ভাল বিষয়। তাই যত ইউজারের অ্যাকাউন্ট তিনি ট্যুইটারে ব্লক করেছিলেন সকলকেই আনব্লক করেছেন এলন মাস্ক। তবে এই তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন স্ক্যামারদের। অন্যদিকে ট্যুইটারের অন্যান্য ইউজারদেরও এভাবে আনব্লকের পরামর্শ দিয়েছেন ইলন মাস্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৪): ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৪): ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রেলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের, বাজেট বরাদ্দ করা সত্ত্বেও শুধুমাত্র জমি জটের কারণেই নাকি প্রকল্পগুলি আটকে থাকছে। কয়েকদিন আগেও রেল (Indian Railways) রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। এমন প্রকল্পও রয়েছে রাজ্যে যেগুলো গত ৫০ বছর ধরে আটকে রয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে কতগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। সেগুলিও আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, রাজ্যের ঘোষিত নীতিই হল কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে নাকি ছাড়ও রয়েছে বলছেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। সেই বিশেষ ক্ষেত্র রেল কেন নয়? এমন প্রশ্নও উঠছে কোনও কোনও মহল থেকে।

    ১৬ বছর ধরে আটকে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর-মেমারি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    তখন ২০০৭ সাল দেশের রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। সেসময় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশকিছু জনপদকে রেলমানচিত্রে জোড়া হবে। মোট ১৬১ কিমি রেললাইন বসানোর পরিকল্পনা নেয় রেল। মূল প্রকল্প ছিল কাটোয়া-বর্ধমান (৫১.৫২ কিমি) ব্রডগেজ রেলপথ সম্প্রসারণ। সেটা অবশ্য চালু হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গেছে মোট প্রকল্পের মধ্যে ৬৫ কিমি নতুন লাইন বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও বাকি ৯৫.৯৪ কিমি রেলপথ নির্মানের কাজ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দাঁইহাট-মন্তেশ্বর (৩৪ কিমি) এবং মন্তেশ্বর-মেমারি (৩৫কিমি)। রেলের অভিযোগ রাজ্য সরকার জমি দিতে পারছেনা বলেই আটকে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা

    দাঁইহাট শহরের অন্যতম ব্যবসায়ী বরুণ চন্দ্র রায় বলেন, বিভিন্ন কাজে আমাদের মেমারি যেতে হয়। ট্রেনপথে যেতে চাইলে বর্ধমান হয়ে ঘুরে যেতে হবে। অন্যথায় বাসই ভরসা। এই রেলপথ (Indian Railways) চালু হলে এলাকার মানুষের উন্নয়ন তো হবেই তার সঙ্গে যুবকদের কর্মসংস্থানও হবে। বরুণ বাবু আরও বলেন, নতুন রেলপথ সম্প্রসারণের কথা তো অনেকদিন ধরেই হবে বলে শুনছি, তবে তা জমি জটের কারণেই আটকে আছে বলে জানা যাচ্ছে। 

     

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১৩): ২৩ বছর ধরে আটকে রায়গঞ্জ-ডালখোলা রেলপ্রকল্প

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১২): ২৫ বছর ধরে আটকে বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১০): আপাতত ঠাণ্ডা ঘরে আরামবাগ-বোয়াইচণ্ডী রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৯): ১৩ বছর ধরে আটকে দিঘা-জলেশ্বর প্রকল্পের কাজ

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৮): থমকে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ বুনিয়াদপুর রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৭): তেরো বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি বালুরঘাট-হিলি রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৬): একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৫): দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় বিশ বাঁও জলে ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৪): থমকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Jogendra Nath Mandal: ‘‘কেন আমি পাকিস্তানের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য রেখেছিলাম?’’

    Jogendra Nath Mandal: ‘‘কেন আমি পাকিস্তানের প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য রেখেছিলাম?’’

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ২

    প্রথম পর্বের পর…

    ৬। কয়েকমাস পর ব্রিটিশ সরকার তাদের ৩ জুন ঘোষণা (১৯৪৭) প্রদান করে যাতে ভারত ভাগ বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনার কথা বলা হয়। পুরো দেশ, বিশেষ করে সমগ্র অমুসলিম ভারত এতে হতবাক হয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে মুসলিম লিগের পাকিস্তান দাবিকে আমি সবসময় শুধুমাত্র দরকষাকষির অংশ হিসেবেই দেখে এসেছি। যদিও আমি বিশ্বাস করি যে ভারতের সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের অন্যায় প্রভাবের বিরুদ্ধে মুসলিমদের ক্ষোভ ন্যায়সঙ্গত, এ বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী পরিষ্কার যে পাকিস্তানের জন্ম সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধান কখনও করতে পারবে না। বরঞ্চ, এটা কেবলমাত্র সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও শত্রুতা বৃদ্ধিই করবে। পাশাপাশি আমি এই ধারণা পোষণ করতাম যে পাকিস্তানের জন্ম হলে মুসলিমদের অবস্থা উন্নত হবেনা। দেশভাগের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে আসবে দরিদ্রতা, অশিক্ষা এবং উভয় দেশের জনগণের দুর্দশা যা অনির্দিষ্টকাল না হলেও বহুদিন ধরে চলতে থাকবে। আমার আশঙ্কা ছিল পাকিস্তান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে পশ্চাৎপদ এবং অনুন্নত দেশগুলোর একটিতে পরিণত হবে।

    লাহোর ঘোষণা

    ৭। আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম যে পাকিস্তানকে ইসলামী শরিয়ত নিয়ম-নীতির উপর ভিত্তি করে একটি সম্পূর্ণ ‘ইসলামী’ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস করা হবে, যা এখন করা হচ্ছে। আমার অনুমান ছিল ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ মুসলিম লিগের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ ঘটানো হবে। এই প্রতিবেদনে ছিল  প্রথমত, ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত স্থানসমূহ প্রয়োজনীয় ভূমির অদল-বদলের মাধ্যমে এমনভাবে ভাগ করা হবে যেন ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলের মত মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে স্বাধীন-সার্বভৌম একাধিক রাষ্ট্র গঠন করা যায় এবং দ্বিতীয়ত, এসব অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং অন্যান্য স্বার্থ-অধিকার রক্ষার নিমিত্তে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংবিধানে যথেষ্ঠ, কার্যক্ষম ও আবশ্যিক নিরাপত্তা প্রদানের ধারা যুক্ত করা হবে। এই ঘোষণার মধ্যে অন্তর্নিহিত ছিল ক) উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বের মুসলিম অঞ্চলগুলোতে ২টি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হবে, খ) এই রাষ্ট্রগুলো হবে স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাসিত, গ) সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে তা ভূমিকা রাখবে এবং ঘ) সংবিধানে সংখ্যালঘুদের এই সাংবিধানিক অধিকার তারা নিজেরাই ঠিক করবে। গণপরিষদের সভাপতি হিসেবে কায়েদ-ঈ-আজম মহম্মদ আলি জিন্নার ১১ অগাস্ট ১৯৪৭ সালে প্রদত্ত ভাষণ, লিগের এই ঘোষণা লিগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আমার বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে। এই ভাষণে তিনি হিন্দু ও মুসলিম উভয় পক্ষকেই সমানভাবে বিবেচনার দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন এবং তাদের আহ্বান করেন এটা মনে রাখতে যে তারা সবাই পাকিস্তানি। তাই ধর্মের ভিত্তিতে সেখানে নাগরিকদের মুসলিম এবং জিম্মি (অমুসলিম) এভাবে ভাগ করার কোনও প্রশ্নই ছিলনা। 

    এই প্রতিটি প্রতিশ্রুতিই  আপনার জ্ঞাতসারে এবং সম্মতিতে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এখানে কায়েদ-ই-আজমের ইচ্ছাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সংখ্যালঘুদের নানা ভাবে অপমান এবং ক্ষতি করা হয়েছে।

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ১

    বাংলা ভাগ হল

    ৮। এই প্রসঙ্গে এটা বলে রাখা ভাল যে বাংলা ভাগের সময় আমাকে প্রবল বিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল। এই ধরণের প্রচারের ফলে আমি শুধু বিরোধিতার সম্মুখীন হই নাই, হয়েছি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, অপমানিত এবং অবজ্ঞার শিকার। হতাশার সঙ্গে আমি সেই সব দিনের কথা চিন্তা করতে চাই যখন ভারতবর্ষের ৩২ কোটি হিন্দু আমাকে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের শত্রু বানিয়েছিল। কিন্তু আমি ছিলাম পাকিস্তানের প্রতি একান্ত অনুগত এবং এই দেশের প্রতি ছিল আমার অবিচল আস্থা। আমি চিন্তা করতাম পাকিস্তানের ৭০ লক্ষ হিন্দু দলিতের কথা যারা ছিল আমার সঙ্গে। তারাই আমাকে সর্বদা সাহস এবং প্রেরণা যুগিয়েছে।

    ৯। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবার পর আপনি পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা গঠন করেন। আমি এই মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলাম। খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ব বাংলার জন্য একটি প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠন করেন। অগাস্টের ১০ তারিখে আমি করাচিতে খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে পূর্ব বাংলার মন্ত্রিসভায় নমঃশূদ্রদের মধ্যে থেকে ২ জনকে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করি। তিনি কিছুদিন পরেই তা করবার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আপনার, খাজা নাজিমুদ্দিন এবং পূর্ব বাংলার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের সঙ্গে আমার অপ্রীতিকর এবং হতাশাজনক রফা হয়। যখন আমি বুঝতে পারলাম যে খাজা নাজুমুদ্দিন এই-সেই অজুহাতে ব্যাপারটিকে এড়িয়ে চলছেন তখন আমি একইসঙ্গে ক্রুদ্ধ এবং অধৈর্য হয়ে পড়লাম। আমি এই ব্যাপারে পাকিস্তান মুসলিম লিগে এবং এর পূর্ব বাংলা শাখার সভাপতিদ্বয়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি ঘটনাটি আপনার গোচরে আনি। এরপর আপনি সাগ্রহে আমার উপস্থিতিতে আপনার গৃহে খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করেন। খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকায় ফিরে অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ভুক্ত একজনকে মন্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে সম্মত হন। তাঁর আশ্বাসের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সন্দেহ করতে শুরু করি এবং কাজটি সম্পাদনের নির্দিষ্ট সময়-সূচী জানতে চাই। আমি জোর দাবি জানাই এই ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য, অন্যথায় পদত্যাগের ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্তে কেউ বাধা দিতে পারবে না। আপনারা দুজনেই এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করেন। কিন্তু হায়, সম্ভবত আপনার মুখের কথা আপনার মনের প্রতিচ্ছবি ছিল না। খাজা নাজিমুদ্দিন তার প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। জনাব নুরুল আমিন পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী হবার পর আমি তাঁর কাছেও এই বিষয়টি নিয়ে যাই। তিনিও সেই পুরোনো এড়িয়ে চলার নীতি চালিয়ে যান। ১৯৪৯ সালে আপনার ঢাকা সফরের প্রাক্কালে যখন আমি ব্যাপারটি আবারও আপনার গোচরে আনি। আপনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে পূর্ব বাংলায় সংখ্যালঘু মন্ত্রী অবশ্যই নিয়োগপ্রাপ্ত হবে। আপনি আমার কাছে বিবেচনার জন্য ২/৩ জনের নামও চান। আপনার আবেদনের প্রতি সশ্রদ্ধ বাধ্যবাধকতা প্রদর্শন করে আমি আপনার কাছে পূর্ব বাংলা পরিষদের ফেডারেশন গ্রুপ এবং ৩ জনের নাম সুপারিশ করে চিঠি পাঠাই। আপনি ঢাকা থেকে ফেরার পর এবিষয়ে আমি খোঁজ নিতে গেলে আপনি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন এবং “নুরুল আমিনকে দিল্লি থেকে ফিরতে দাও” কেবলমাত্র এই মন্তব্যটুকু করেন। কিছুদিন পর আমি আবার বিষয়টি তুলে ধরি, কিন্তু আপনি তা এড়িয়ে যান। তখন আমি এই উপসংহারে আসতে বাধ্য হই যে আপনি বা নুরুল আমিন কেউই চান না যে পূর্ব বাংলা মন্ত্রিসভায় কোনও নমঃশূদ্র ব্যক্তি মন্ত্রী হোক। এছাড়াও আমি দেখতে পাচ্ছিলাম যে জনাব নুরুল আমিন এবং পূর্ব বাংলা লিগের কিছু নেতৃবৃন্দ নমঃশূদ্রদের ফেডারেশন সদস্যদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছিলেন। আমার কাছে প্রতীয়মান হয় যে আমার নেতৃত্ব এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তাকে খারাপ চোখে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে নমঃশূদ্রদের স্বার্থ রক্ষায় আমার স্পষ্টবাদিতা, তদারকি এবং আন্তরিক কার্যকলাপ পূর্ব বাংলা সরকার এবং লিগের কিছু নেতার মনে বিরক্তির সৃষ্টি করে। কিন্তু এসব কিছুর পরোয়া না করে আমি পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করি।

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৩

    হিন্দু বিদ্বেষী নীতি

    ১০। বাংলা ভাগের প্রসঙ্গ উঠতেই নমঃশূদ্ররা এর বিপজ্জনক ফলাফলের কথা অনুমান করে শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল। তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জনাব সোহরাওয়ার্দীর কাছে তারা কিছু প্রতিনিধি পাঠালে তিনি সানন্দে একটি প্রেস রিলিজ ইস্যু করেন যাতে বলা ছিল নমঃশূদ্ররা ভোগ করছে এমন কোনও সুবিধা ও অধিকারকে কখনও হরণ করা হবেনা, বরং তা আরও বৃদ্ধি পাবে। জনাব সোহরাওয়ার্দীর এই আশ্বাস কেবলমাত্র ব্যক্তিগত ভাবেই দেননি, লিগ মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দিয়েছেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে ভারত ভাগের পরে, বিশেষ করে কায়েদ-ঈ-আজমের মৃত্যুর পর থেকে নমঃশূদ্ররা কোনও বিষয়েই তাদের প্রাপ্য অধিকার পায়নি। আপনার স্মরণে থাকবে যে আমি সময়ে সময়ে এই অস্পৃশ্য জাতিগোষ্ঠীর দুর্দশার চিত্র আপনার সামনে তুলে ধরেছি। বেশকিছু ক্ষেত্রে পূর্ব বাংলার বেহাল প্রশাসনিক চিত্র আপনার কাছে ব্যাখ্যা করেছি। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দাখিল করেছি। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের বর্বর নৃশংসতার ঘটনাসমূহও আমি আপনার নজরে এনেছি। পূর্ব বাংলার সরকার বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ও মুসলিম লিগের নেতৃবৃন্দের একাংশের হিন্দু বিদ্বেষী নীতির কথা আপনাকে জানাতেও আমি কুণ্ঠাবোধ করিনি।

                                                                                                                                       (ক্রমশ…………)

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ১

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে উল্লেখ করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর কথায় উঠে এল ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের কথাও।

    এদিন ছিল মন কি বাত অনুষ্ঠানের ৯৮ তম এপিসোড

    রবিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানের ৯৮ তম এপিসোড। সেখানেই ত্রিবেণীর কুম্ভস্নান প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার এক প্রবাসী ভারতীয় তাঁর চিঠিতে বাংলার কুম্ভস্নানের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি জানান, বহু পুরনো বাংলার এই কুম্ভস্নান। কিন্তু ৭০০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে ছিল এই রীতি।

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এদিন আরও বলেন, “স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এই কুম্ভস্নান ফের শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র দু’বছর আগে স্থানীয় মানুষ ও কুম্ভস্নান পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে এই উৎসব আবার শুরু হয়। ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানকে কেন্দ্র করে বাংলার প্রচুর রীতিনীতি, সংস্কৃতি উঠে এসেছে।” বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের ডিজিটাল অগ্রগতির কথাও তোলেন প্রধানমন্ত্রী

     কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিইন লুং-এর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতেই দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম, UPI এবং PayNow-এর সংযোগ স্থাপন করা হয়। এর ফলে Google Pay, Paytm সহ অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে ভারত এবং সিঙ্গাপুরে বসবাসকারীরা নিজেদের মধ্যে টাকার লেনদেন করতে পারবেন। এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, E Sanjeevani এর মতো অ্যাপগুলি আমাদের জীবনকে আরও বেশি সহজ করে তুলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    G20: যুদ্ধ শব্দে আপত্তি রাশিয়া ও চিনের! জি-২০ তে যৌথ বিবৃতি দেওয়া গেলনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ২০টি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত জি-২০ (G20) দেশগুলির অর্থমন্ত্রীরা শনিবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হল। এদিন বেঙ্গালুরুতে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার নিয়ম থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে তা হল না। কারণ যৌথ বিবৃতিতে অধিকাংশ দেশই ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করার পক্ষে সায় দেয়। তবে রাশিয়া ও চিন এর বিরোধিতা করে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে কোনও যৌথ বিবৃতি প্রকাশই করা গেল না। অবশেষে বৈঠকের সভাপতিত্ব করা ভারত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে  বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    গত বছর ইন্দোনেশিয়াতেও জটিলতা তৈরি হয় যৌথ বিবৃতি নিয়ে

    উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ (G20)  শীর্ষ সম্মেলনেও যৌথ বিবৃতি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সেখানেও বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ নিয়ে আপত্তি ছিল রাশিয়ার। পরবর্তীতে ভারতের মধ্যস্থতায় বিবৃতির ‘ভাষায়’ বদল আনা হয়। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই রাশিয়া যৌথ বিবৃতিতে সায় দিয়েছিল। তবে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ২০টি দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের বৈঠকের পর কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি যৌথ বিবৃতি জটিলতা সংক্রান্ত। পাশাপাশি এর থেকে প্রকাশ্যে চলে এসেছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই গোষ্ঠীর ২০টি দেশের মতভেদের বিষয়টি।

    অর্থমন্ত্রী কী বলছেন

    এই আবহে অর্থমন্ত্রী জানান, এই বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দু’টি অনুচ্ছেদ ছিল। ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে যে ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, এই ক্ষেত্রেও তাই ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী জানান, সেই যৌথ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি ছিল চিন ও রাশিয়ার। তিনি বলেন, ‘তারা (চিন ও রাশিয়া) চায়নি যে ওই দুই অনুচ্ছেদ যৌথ বিবৃতিতে থাকুক। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্থমন্ত্রীদের কাজ অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। বিশ্ব রাজনীতির মধ্যে না ঢোকাই উচিত।’ 
    সূত্র মারফত জানা গেছে, যৌথ বিবৃতি নিয়ে আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করেছিল রাশিয়া। তাদের দাবি ছিল, পশ্চিমা বিশ্ব তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার সমালোচনা করতে হবে। অর্থ মন্ত্রকের সচিব অজয় শেঠ এই বিষয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র যুদ্ধ শব্দটিকে বাদ দিতে বলা হয়নি রাশিয়া ও চিনের তরফে। ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত পুরো দুটো প্যারাগ্রাফ সরাতে বলে তারা। এদিকে গোষ্ঠীর বাকি ১৮টি দেশেরই মনে হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়েছে। তো যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকা উচিত।’

     জি-২০ (G20)  এর সভাপতি হিসেবে ভারতের বিবৃতিতে কী বলা হল

    ‘বেশিরভাগ সদস্যই ইউক্রেনের যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রায় সকল সদস্যই জোর দিয়ে বলেছেন যে এই যুদ্ধের কারণে বিপুল দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আম জনতাকে। পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে তুলেছে এই যুদ্ধ। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করেছে এই যুদ্ধ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই যুদ্ধ। তাছাড়া সকল দেশেই আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি বেড়েছে এর কারণে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Pakistan Economic Crisis: সরকারি কর্মচারীদের বেতন পেনশন বন্ধ হল পাকিস্তানে! সেদেশের অর্থ দপ্তর বলছে গুজব

    Pakistan Economic Crisis: সরকারি কর্মচারীদের বেতন পেনশন বন্ধ হল পাকিস্তানে! সেদেশের অর্থ দপ্তর বলছে গুজব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে পাকিস্তানে (Pakistan Economic Crisis)। এমন অবস্থায় সেদেশের সংবাদ সংস্থা দ্য ডনের দাবি পাকিস্তানের অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রণালয়- রাজস্ব মহাপরিচালকের (এজিপিআর) দপ্তরকে বেতনসহ সরকারি বিল পরিশোধ বন্ধ রাখতে বলেছে। এতে বলা হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে বিল নিষ্পত্তি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ওই সংবাদ সংস্থার দাবি, এজিপিআর দপ্তরে এদিন কয়েকজন বকেয়া বিল নিতে গেলে তাদের জানানো হয় অর্থমন্ত্রণালয় বেতনসহ সব ধরনের বিল পরিশোধ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের আর্থিক সমস্যার (Pakistan Economic Crisis) কারণেই এমন নির্দেশনা। 

    সেদেশের অর্থ দপ্তর বলছে এ খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা

    এদিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেদেশের  অর্থ দপ্তর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, বেতন ও ভাতা পরিশোধ বন্ধ রাখা হয়েছে এমন খবর ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’।

    অর্থ দপ্তরের জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার বেতন, পেনশন বন্ধ (Pakistan Economic Crisis) করেছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, অর্থ বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেয়নি’।

    এতে আরও বলা হয়, অ্যাকাউন্টেট জেনারেল পাকিস্তান রেভিনিউস (এজিপিআর) নিশ্চিত করেছে, যে বেতন ও ভাতা পরিশোধ এরমধ্যেই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তা সময়মতো তা দেওয়া হবে’। অন্যান্য ধরনের পেমেন্ট নির্ধারিত রুটিন অনুসারে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়।

    পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী কী বলছেন 

    সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বলেছেন, ‘জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থ (Pakistan Economic Crisis) ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে’। 

    তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত হওয়ার আগে, দয়া করে এধরনের গুজব ছড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share