Author: user

  • Ramnami: ভগবান রামের নামে শরীরে ট্যাটু আঁকে এই জনজাতি সমাজ 

    Ramnami: ভগবান রামের নামে শরীরে ট্যাটু আঁকে এই জনজাতি সমাজ 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। সনাতন ধর্মে এই ধারণা বহু পুরনো। ভগবানের কাছে উচ্চ নীচ ভেদ নেই, ভেদ নেই ধনী দরিদ্রের। এই বার্তা দিতেই ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত জনজাতি এলাকার রামনামি (Ramnami) সমাজের মানুষজন তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ভগবান রামের নাম লেখা  ট্যাটু করে। চোখের পাতা থেকে নাক, কান কোনও কিছুই বাদ যায়না। বর্তমান যুবসমাজের কাছে ট্যাটু খুবই পছন্দের, আধুনিকতার ছোঁয়ায় ট্যাটু আজ দেশ বিদেশে সমান জনপ্রিয়। কিন্তু ভারতবর্ষের একটি পিছিয়ে পড়া সমাজ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে শরীরে ট্যাটু ছাপিয়ে সামাজিক বার্তা দিচ্ছে এমন খবর হয়ত দেশের বড় অংশের মানুষের কাছে নেই। কথিত আছে কোনও এক সময়ে রামনামি (Ramnami) সমাজকে মন্দিরে প্রবেশ করতে এবং হিন্দু দেবতাদের পুজো করার অনুমতি দেয়নি তৎকালীন উচ্চবর্ণের লোকেরা, তখন থেকেই ভগবান সর্বত্র বিরাজমান এই বার্তা দিতে ভগবান রামের নাম লিখে তারা সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে নিয়েছিল এবং তুলসীদাস রচিত রামচরিত মানস নিত্য পাঠ করতে শুরু করেছিল।

     

    গবেষকরা মনে করেন রামের নামে ট্যাটু করার কারণেই এই জনজাতি সমাজের নাম হয়েছে রামনামি (Ramnami) সমাজ। এদের সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবিচ্ছেদ্য অংশ হল রামনাম। শুধুমাত্র শরীরের বিভিন্ন অংশ নয়, তাদের বাড়িঘর থেকে পোশাক পরিচ্ছদ সবকিছুতেই রামনামের ছাপ রয়েছে। দেহে উল্কি আঁকা ছত্তিশগড়ের জনজাতি সমাজের মানুষজনের কাছে অনেক পুরনো অভ্যাস। কিন্তু ভগবানের নামে ট্যাটুর কোনও পুরনো রেকর্ড নেই বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। রামনামি (Ramnami) সমাজই এক্ষেত্রে প্রথম এবং শেষ উদাহরণ।  

    রামনামি (Ramnami) আন্দোলন

    বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে উনিশ শতকে মধ্য ভারতে বিভিন্ন সামাজিক-ধর্মীয় আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এবং এই আন্দোলনগুলি মূলত কোনও প্রচলিত প্রথা যা অস্পৃশ্যতার সমর্থক ছিল, সেগুলির বিরুদ্ধে। প্রাচীন এই আন্দোলনগুলির মধ্যে একটি ছিল কবিরপন্থী এবং অপরটি হল গুরু ঘাসীদাসের সতনামি আন্দোলন। এই আন্দোলনগুলি ছিল মূলত অস্পৃশ্যতা এবং জাতিভেদপ্রথার বিরুদ্ধে। 

    অনেক ঐতিহাসিক রামনামি (Ramnami) সমাজকে সতনামী আন্দোলনের একটি শাখা বলে মনে করেন। প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে, এই আন্দোলন তথাকথিত নিম্নবর্ণের এক কৃষক পুত্র পরশুরাম ভরদ্বাজ শুরু করেছিলেন। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ছত্তিশগড়ের জাঞ্জগীর-চাম্পা জেলার চরপাড়া গ্রামে তাঁর জন্ম হয়েছিল। শোনা যায়, খুব ছোটবেলায় রামায়ণের গল্পে তিনি প্রেরণা পেতেন। শৈশবে তিনি নিয়মিতভাবে চাষের কাজে বাবার সঙ্গে মাঠে যেতেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয় পরশুরামের। পরশুরাম পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসতেন।

    কথিত আছে পরশুরাম একবার  কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন এবং কুষ্ঠরোগকে সেসময় পাপ মানা হত। সমাজ জীবন থেকে তাই পরশুরাম সরে যান এবং একজন সন্ন্যাসীর জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত নেন। কথিত আছে, এই সময়ে তিনি একজন ঋষির সংস্পর্শে আসেন। শোনা যায়, ওই ঋষি তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং রামায়ণ পড়া চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পরশুরাম আবিষ্কার দেখেন তিনি কুষ্ঠমুক্ত হয়ে গেছে পরিবর্তে “রাম-রাম” শব্দটি তাঁর বুকে ছাপ আকারে লেখা রয়েছে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই পরশুরামের খ্যাতি দূরদূরান্ত অবধি পৌঁছে যায়। তারপর থেকেই পরশুরাম রামায়ণ এবং রামনামের মাহাত্ম্য প্রচার করতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষজনের ভিড় বাড়তে থাকে থাঁর বাসস্থানে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর বাসস্থান একটি তীর্থক্ষেত্রের রূপ নেয়। প্রথমে তাঁর তাঁর কাছে দীক্ষা নেন চারজন শিষ্য। জানা যায় তাঁর প্রথম চারজন শিষ্য ভক্তির প্রতীক হিসেবে কপালে ‘রাম-রাম’ ট্যাটু করিয়েছিলেন।

    গুরু পরশুরামের উপদেশ

    পরশুরাম তাঁর শিষ্যদের উপদেশ দিতেন। তিনি ছিলেন সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে। সারাজীবন জাতিভেদ প্রথা এবং অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন তিনি। তাঁর সামাজিক আন্দোলনের মূলভিত্তিই ছিল রামনাম এবং রামায়ণ। মূলত তাঁর সহজ সরল উপাসনা পদ্ধতি দেখে অনেক মানুষই এই রামনামের আন্দোলনে অংশ নেয়।

      

    ঐতিহাসিকদের মতে রামনাম ট্যাটুর এই আন্দোলন তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজের বিরোধীতার মুখে পড়ে। আক্রমণও হয়েছিল রামনামি সমাজের উপর। ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতের দারস্থ হতে হয় তৎকালীন রামনামি সমাজের নেতাদের। রক্ষণশীল সমাজের দাবি ছিল ‘রাম’ নাম উচ্চারণ করার অধিকার  শুধুমাত্র উচ্চবর্ণের লোকেদেরই আছে। আদালতের বিচারক রক্ষণশীল সমাজের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। আদালত সেসময় রায় দেয়,ভগবান রামের নাম যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন।  রামনামি সমাজের কাছে আদালতের এই রায় ছিল বড় জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ramcharitmanas: সমাজবাদী পার্টি নেতার মুণ্ডচ্ছেদ করার ফতোয়া জারি, কে দিলেন এই ফতোয়া

    Ramcharitmanas: সমাজবাদী পার্টি নেতার মুণ্ডচ্ছেদ করার ফতোয়া জারি, কে দিলেন এই ফতোয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্যের মুণ্ডচ্ছেদ যে করতে পারবে তাকে ২১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, এমনই ফতোয়া জারি করলেন অযোধ্যার এক পুরোহিত। জানা যাচ্ছে সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে যে তুলসীদাস রচিত রামচরিত মানসকে (Ramcharitmanas) তিনি অবমাননা করেছেন এবং এতে সমাজের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। সমাজবাদী পার্টির নেতার, ২১ লক্ষ টাকার মাথার দাম ঘোষণা করেছেন অযোধ্যার হনুমান গড়ি মন্দিরের মহন্ত রাজু দাস।

    এর আগেও ফতোয়া জারি হয়েছে স্বামী প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে

    তবে সমাজবাদী পার্টির নেতার বিরুদ্ধে এই ফতোয়া নতুন কিছু নয় এর আগেও পরমহংস দাস নামে অপর এক পুরোহিত বলেছিলেন যে সমাজবাদী পার্টির এই নেতার জিভ কেটে আনলে পাওয়া যাবে ৫০০ টাকা।

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এই প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা রামচরিত মানস সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। রামচরিত মানসের (Ramcharitmanas) বিভিন্ন শ্লোক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
     

    কী বললেন মহন্ত পরমহংস দাস

    জিভ কেটে নেওয়ার ফতোয়া জারি করেছিলেন পরমহংস দাস, তিনি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের পাশাপাশি সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টিরও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন “রামচরিত মানস (Ramcharitmanas) সম্পর্কে এমন অপমানজনক মন্তব্যের পরেও সমাজবাদী পার্টি কোন ব্যবস্থা স্বামী প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে নেয়নি উল্টে তাকে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও দিয়েছে। এটা লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক”।

    স্বামী প্রসাদ মৌর্য কী বললেন

    কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সেই স্বামী প্রসাদ মৌর্য কী বলছেন? তিনি বলেন  “আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার মোকাবিলা আমি করে যাব, দলিতদের, বিভিন্ন উপজাতিদের এবং পিছিয়ে পড়া সমাজকে ধর্মের নামে দীর্ঘদিন ধরে শোষণ করা যাবে না। হাতি চলে বাজার তো কুত্তে ভোকে হাজার, কুকুরের জন্য হাতি কখনও তার রাস্তা বদল করে না আমিও একই ভাবে দলিতদের জন্য তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করব এবং আমার পথ কখনও বদলাবো না”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • WB JECA 2023: “জেকা ২০২৩” এর আবেদন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত

    WB JECA 2023: “জেকা ২০২৩” এর আবেদন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড WB JECA 2023 এর রেজিস্ট্রেশন এবং আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অনলাইনে আগ্রহী প্রার্থীরা এই আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ অবধি। বোর্ডের সিডিউল অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এ বছরের WB JECA 2023 পরীক্ষা হবে ৮ জুলাই। আবেদন করার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি হল wbjeeb.nic.in.
     

    WB JECA 2023 পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা কী

    বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে এই পরীক্ষায় বসতে গেলে প্রার্থীদের অবশ্যই স্নাতক স্তরে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে সাধারণ তালিকাভুক্ত ছাত্রদের। অন্যদিকে সংরক্ষিত তালিকার প্রার্থীদের ৪৫ শতাংশ নম্বর সহ স্নাতক পাশ করলেই হবে এবং তার সঙ্গে প্রার্থীদেরকে স্নাতক স্তরের অন্যতম বিষয় হিসেবে গণিতে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বা তার সমতুল পরীক্ষাতেও ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে গণিতে।

    আরও পড়ুন: সিবিএসই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায়, বিজ্ঞান বিভাগে ভাল রেজাল্ট করতে কিছু টিপস

    টেকনিক্যাল শাখার সাধারণ তালিকাভুক্ত ছাত্রদের তাদের স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই হবে এবং সংরক্ষিত তালিকার প্রার্থীদের ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। আবশ্যিক বিষয় হিসেবে স্নাতক স্তরে গণিত থাকতেই হবে।

    কীভাবে আবেদন করবেন

    ধাপ- ১  প্রথমে WB JECA 2023 এর  অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে

    ধাপ- ২ এরপর রেজিস্ট্রেশন লিংকে ক্লিক করতে হবে

    ধাপ-৩ লগ ইন করে যাবতীয় তথ্য সেখানে দিতে হবে

    ধাপ-৪ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি ওই ওয়েবসাইটে অর্থাৎ অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে আপলোড করতে হবে

    ধাপ-৫ এরপর আবেদন ফি জমা দিতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে এবং ফাইনাল সাবমিশন করতে হবে

    আরও পড়ুন: জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন পরীক্ষা ২০২৩ শুরু হচ্ছে ২৪ জানুয়ারি থেকে, পরীক্ষা পদ্ধতিতে এল বদল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Hindu: ভারতে জন্মগ্রহনকারী প্রত্যেকেই হিন্দু: কেরলের রাজ্যপাল

    Hindu: ভারতে জন্মগ্রহনকারী প্রত্যেকেই হিন্দু: কেরলের রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান শনিবার বলেন যে ভারতে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছে তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু (Hindu)। এবং তিনি নিজেও তাই। এদিন উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী কেরলের হিন্দুরা একটি হিন্দু (Hindu) সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, তিরুবনন্তপুরমে এই সম্মেলনের  উদ্বোধনী ভাষণে একথা বলতে শোনা যায় রাজ্যপালকে।

    স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন রাজ্যপাল

    আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের নামও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন কেরলের রাজ্যপাল। তিনি বলেন, সৈয়দ আহমেদ খানও নিজেকে হিন্দু (Hindu) বলতেন। শুধু তাই নয় আর্যসমাজের সদস্যদের তিনি (স্যার সৈয়দ আহমেদ খান) বলতেন, “আপনারা আমাকে হিন্দু (Hindu) বলেন না কেন? এদেশের জল এবং খাবারে যারা পুষ্ট তারা সবাই হিন্দু। হিন্দু (Hindu) হল ভৌগোলিক শব্দ। তাই আপনারা আমাকে অবশ্যই হিন্দু বলবেন”।

    প্রসঙ্গত, কেরালা হিন্দুস (Hindu) অফ নর্থ আমেরিকা (KHNA) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সম্মেলনের সমাপ্ত ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরালীধরন। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী সমস্ত মানুষদের এক ছাদের তলায় একত্রিত হওয়ার সময় এসেছে এবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Cardiovascular Disease: করোনা কালে আমেরিকাতে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে: রিপোর্ট

    Cardiovascular Disease: করোনা কালে আমেরিকাতে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে: রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময়কালে মৃত্যুর কারন নিয়ে একটি সমীক্ষা হয় আমেরিকাতে, আর তাতেই দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম বছর থেকেই হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে দেখা যাচ্ছে।

    সমীক্ষায় কী দেখা যাচ্ছে

     একটি পরিসংখ্যান বলছে সে দেশে ২০১৯-২০২০তে করোনার প্রথম ঢেউ যখন আসে তখন হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছিল ৬.২ শতাংশ। ২০১৯ সালে যেখানে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮,৭৪,৬১৩, ২০২০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ ,২৮ ,৭৪১। শুধুমাত্র তাই নয়, এই পরিসংখ্যান বলছে এখনও অবধি সে দেশে রেকর্ড হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৩ সালে, ওই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মারা গেছিলেন ৯,১০,০০০ জন মানুষ। সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গেছে করোনার সময় হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যে একটি পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে বাৎসরিক মৃত্যুর হারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিগত বছরগুলির রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে করোনার সময় সে দেশে মৃত্যুর হার।

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    ওই সমীক্ষায় আরও দেখা যাচ্ছে করোনার প্রথম ঢেউ এর সময় অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে, সে দেশে একই রকমের বয়সের মানুষদের মৃত্যুর হার কমেছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়েছে দেখা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দূর করতে আসছে নতুন ইঞ্জেকশন

    ওই গবেষণায় আরও দেখা যাচ্ছে যে সামগ্রিকভাবে হৃদরোগে (Cardiovascular Disease) মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে এশিয়ানদের মধ্যে, ব্ল্যাক এবং হিস্প্যানিক মানুষদের মধ্যে।
    ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, 
    করোনার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে আমেরিকাতে সামগ্রিক হার্টের স্বাস্থ্যের উপরে, হার্টকে সরাসরি সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে করোনা ভাইরাসের।

    আরও পড়ুন: একাকিত্বের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাড়তি ওজনের, দাবি গবেষকদের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Comet: পঞ্চাশ হাজার বছর পরে ভারতের আকাশে দেখা যাবে এই ধূমকেতু

    Comet: পঞ্চাশ হাজার বছর পরে ভারতের আকাশে দেখা যাবে এই ধূমকেতু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসছে সবুজ ধূমকেতু (Comet)। গত বছরের ২ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরি সংস্থা মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত একটি গবেষণা চালায়। ওই গবেষণায় C/2022 E3 (ZTF) নামের এই ধূমকেতুর বিষয়ে সর্বপ্রথম জানা যায়। প্রথম এই ধূমকেতুর বিষয়ে খোঁজ দেয় Zwickey Transient Facility (ZTF). জানা যাচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি এই ধূমকেতু পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসতে চলেছে অর্থাৎ আমাদের পৃথিবীর সীমাক্ষেত্রের ২৬ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে চলে আসবে। গত ১২ জানুয়ারি সূর্যের নিকটতম বিন্দুর কাছে পৌঁছে যায় এই ধূমকেতু (Comet) এবং তারপর থেকে ৩৪ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছিল পৃথিবী থেকে।

    ধুমকেতুর (Comet) খুঁটিনাটি

    জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলেন যে ধূমকেতু হল বিভিন্ন গ্যাস, ধুলো এবং শিলা দ্বারা গঠিত এক ধরনের বস্তু যা গ্রহের মতোই নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে, কোনও কোনও মহাকাশ বিজ্ঞানী এই ধূমকেতুকে মহাজাগতিক তুষারবল বলেও উল্লেখ করেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই  ধূমকেতুগুলি যখনই কোনও নক্ষত্রের কাছে আসে তখন তারমধ্যে বিকিরণ বাড়তে থাকে এবং সেইসঙ্গে  ধূমকেতুর মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। এই জাতীয় বিস্ফোরণগুলির পরে  ধূমকেতু থেকে অনবরত গ্যাস ও ধ্বংসাবশেষ নির্গত হতে থাকে। বর্তমানে, C/2022 E3 (ZTF) নামের এই  ধূমকেতুকে (Comet) উত্তর গোলার্ধে রাতের আকাশে দেখা যাচ্ছে।
    জানা যাচ্ছে এই ধূমকেতু (Comet) বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় একটি চক্রাকার বস্তুর মতো অবস্থায় রয়েছে, আগামীকাল ২৯ জানুয়ারি এই  ধূমকেতুর প্রভাবে চাঁদের আলো ক্রমশ বাড়তে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে, ২ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারারাত চাঁদের উজ্জ্বল আলো পাওয়া যাবে। পৃথিবীর যত কাছাকাছি আসবে এই  ধূমকেতু (Comet) তত উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে। ভারতের মধ্যে ওড়িশাতে ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খালি চোখে এই  ধূমকেতুকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৫০,০০০ বছর পরে এই  ধূমকেতুকে (Comet) পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে। 
    ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধূমকেতুকে (Comet) খালি চোখে আর দেখা যাবে না। রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবার্ট মেসি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এপ্রিল মাসের মধ্যে এই  ধূমকেতু সূর্যের খুব কাছাকাছি চলে যাবে, তখন টেলিস্কোপ দিয়েও এই  ধূমকেতুকে দেখা কঠিন হয়ে পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

    Comet:পঞ্চাশ হাজার বছর পরে ভারতের আকাশে দেখা যাবে এই ধূমকেতু

  • Lachit Barphukan: প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের ট্যাবলোতে লাচিত বরফুকন, জানেন কে ছিলেন তিনি?

    Lachit Barphukan: প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের ট্যাবলোতে লাচিত বরফুকন, জানেন কে ছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) বিভিন্ন কার্যকলাপের ট্যাবলো দেখা গেল। গত বছরে লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) ৪০০ তম জন্মদিনে নতুন দিল্লিতে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যেগুলিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন।
    অসমের এই ট্যাবলোতে দেখা যাচ্ছে ১৬৭১ সালের বিখ্যাত সরাইঘাটের যুদ্ধের বিভিন্ন থিম। যেখানে লাচিত বরফুকনকে (Lachit Barphukan) দেখা যাচ্ছে তাঁর সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে। একটি নৌকার উপরে চড়ে আছেন তিনি, সঙ্গে রয়েছে তাঁর বাহিনী। অসমের ট্যাবলোতে এবার অবশ্য কামাখ্যা মন্দিরও উছে এসেছে।

    আরও পড়ুন: কালনাতে ব্যাপক জনপ্রিয় সরস্বতী পুজো, এবছর কোন ক্লাব কী থিম করল জানেন?

    আসামের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এর ডিরেক্টর মীনাক্ষী দাস নাথ বলেন এই ট্যাবলোতে কামাখ্যা মন্দিরকেও রেখেছি  আমরা। কামাখ্যা মন্দির হল নারী শক্তির অন্যতম প্রতীক।

    কে ছিলেন লাচিত বরফুকন (Lachit Barphukan)

    আহোম সাম্রাজ্যের সাহসী ও পরাক্রমী সেনাপতি ছিলেন লাচিত বরফুকন
    । ১৬৭১ সালে সরাইঘাটের যুদ্ধে তিনি বিশাল মোঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে মোঘল সাম্রাজ্যকে চিরকালের জন্য অসম থেকে দূর করেছিলেন বলে জানা যায়। লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) বীরত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ২৪ নভেম্বর তারিখ অসমে লাচিত দিবস পালন করা হয়।

    শোনা যায়, সরাইঘাট যুদ্ধের সময় লাচিত বরফুকন (Lachit Barphukan) মোঘলদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আহোম সেনাদের একটি দেওয়াল নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন। লাচিতের নিজের মামা এই দেওয়াল নির্মাণের দ্বায়িত্বে ছিলেন কিন্তু অলসতার কারণে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে দেওয়াল নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। এই অপরাধে লাচিত তাঁর নিজের মামার শিরশ্ছেদ করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, মামার শিরশ্ছেদ করার সময় লাচিতের (Lachit Barphukan) উক্তি ছিল “দেশতকৈ মোমাই ডাঙর নহয়” যার বাংলা মানে জন্মভূমি থেকে মামার স্থান বড় নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Narendra Modi: কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ভারত মিশরের মধ্যে

    Narendra Modi: কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ভারত মিশরের মধ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট ভারতবর্ষে এসেছেন। আজকে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট। মিশরীয় সেনাবাহিনীর ছোট্ট একটি দলও এদিন কুচকাওয়াজে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। গতকালই মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাগত জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সমেত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীর।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মিশরীয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। 
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশর হল আফ্রিকা মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। শুধুমাত্র তাই নয় বিভিন্ন আরব দেশগুলির সঙ্গে মিশরের সম্পর্কও বেশ ভাল। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কূটনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ২০১৫ সালে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল নয়া দিল্লিতে। তখন বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের রাষ্টপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। 

     ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সম্প্রতি পরিসংখ্যান বলছে ভারত এবং মিশরের মধ্যে ব্যবসা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ২০২১-২০২২ আর্থিক বছরে এই ব্যবসা দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি, ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরের থেকে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
    মিশরের কাছে ভারতের আর্থিক বাজার হল একটা বড় ব্যবসার ক্ষেত্র। জানা যাচ্ছে যে মিশর যে সমস্ত দেশগুলিতে পণ্য রপ্তানি করে সেই দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান তৃতীয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়বে দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনার ভিত্তিতে।
    মিশরের অন্যতম সুবিধা হল এর ভৌগোলিক অবস্থান। ঠিক এই দেশের পাশেই সুয়েজ ক্যানাল। পরিসংখ্যান বলছে যে পৃথিবীর মোট যা বাণিজ্যিক পণ্য তার ১২ শতাংশই সুয়েজ ক্যানেলের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। সরলভাবে বললে ৭০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা সুয়েজ ক্যানেল এর উপর দিয়ে হয় প্রতি বছর। যার মধ্যে ১০ শতাংশ হল তেল এবং ৮% হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। ভারতের বিভিন্ন রকমের রপ্তানি সুয়েজ ক্যানেলের উপর দিয়ে হয়। যেগুলি ইউরোপ মহাদেশের বাজারে বিক্রি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশরীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

     

    প্রতিরক্ষা

    আরব দেশগুলির মধ্যে মিশরীয় সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী বলেই মনে করে বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত মিশরের সম্পর্ক ১৯৬০ এর দশক থেকেই চলছে বলে জানা যাচ্ছে , সেসময় HA-300 aircraft তৈরি করতে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা ছিল।
    ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা যাচ্ছে যে মিশরে এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে থাকেন ৩২০০ ভারতীয়। প্রযুক্তিও দুই দেশের আলোচনার অন্যতম বিষয়। তার মধ্যে বায়োটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Abdel Fattah El-Sisi: রাষ্ট্রপতি ভবনে মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী

    Abdel Fattah El-Sisi: রাষ্ট্রপতি ভবনে মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (Abdel Fattah El-Sisi)। গতকালই তিনি ভারতে এসে পৌঁছেছেন। জানা যাচ্ছে প্রথম কোনও প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। ভারতে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মিশরের প্রেসিডেন্ট ফতেহ আল-সিসিকে (Abdel Fattah El-Sisi) স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটে লিখেছেন, “ভারতে স্বাগত জানাই প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসিকে (Abdel Fattah El-Sisi)। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে আপনার ঐতিহাসিক সফর দেশবাসীর জন্য খুবই খুশির বিষয়। আগামী কাল আপনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রইলাম”।

    কোন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি

    কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি, চারদিনের জন্য ভারত সফরে এসেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি (Abdel Fattah El-Sisi)। গতকাল সন্ধ্যায় নতুন দিল্লিতে তিনি পা রাখেন। তাঁকে ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবদেল ফতেহ আল-সিসিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর আজকে(বুধবার) রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবদেল ফতেহ আল-সিসির একান্তে বৈঠক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যায় মিশরের প্রেসিডেন্টের ভারতে আগমন উপলক্ষ্যে বিশেষ আতিথেয়তার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এমনটাই জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন।

    আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আবদেল ফতেহ এল-সিসি। মিশরের প্রেসিডেন্ট তো থাকবেনই, তাঁর সঙ্গে মিশরীয় সেনাবাহিনীর একটি  ছোট দলও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

    আরও জানা গেছে, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল-সিসি। এছাড়া ওই দিন ভারতের বেশ কিছু শিল্পপতির সঙ্গেও তাঁর একটি বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাঁর কায়রো ফিরে যাওয়ার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Michael Madhusudan Dutta: মধুকবির জন্মদিনে তাঁর জীবনকথা জানুন

    Michael Madhusudan Dutta: মধুকবির জন্মদিনে তাঁর জীবনকথা জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মধু কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutta)  আজকের দিনে ১৮২৪ সালে অধুনা বাংলাদেশের যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন রাজনারায়ণ দত্ত ও তার প্রথমা পত্নী জাহ্নবী দেবীর একমাত্র সন্তান। কাজী নজরুল ইসলামের মতো তাঁকেও অনেক ক্ষেত্রে বিদ্রোহী কবি বলা হয়ে থাকে। প্রহসন এবং নাটক লেখাতে তিনি অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাঙলার নবজাগরণের সময়ে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য সাহিত্যিক।

    শিক্ষাজীবন

    শৈশবে মাতা জাহ্নবী দেবীর কাছেই তিনি রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ প্রভৃতি গল্পের ছলে শুনতেন। সাগরদাঁড়িতেই মধুসূদন দত্তের বাল্যকাল অতিবাহিত হয় বলে জানা যায়। তেরো বছর বয়সে মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutta)  যখন কলকাতায় আসেন, তখন তাঁর বয়স ১৩। এরপর তিনি হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন। হিন্দু কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডিরোজিওর ভাবনাতেও তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক, প্যারীচরণ সরকার প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তীকালে নিজের নিজের ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিদেশে গিয়ে মহাকবি হওয়াকে তিনি জীবনের লক্ষ্য মেনে নেন। 

    খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ

    ১৮৪৩ সালে রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মধুসূদন (Michael Madhusudan Dutta)  খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এরপর ওই বছরেই ৯ ফেব্রুয়ারি মিশন রো-তে অবস্থিত ওল্ড মিশন চার্চ নামে এক অ্যাংলিক্যান চার্চে গিয়ে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁকে দীক্ষিত করেছিলেন পাদ্রী ডিলট্রি। তখন থেকে মধুসূদন দত্ত (Michael Madhusudan Dutta)  পরিচিত হন “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” নামে। জানা যায় পুত্রের এমন সিদ্ধান্তের কারণে রাজনারায়ণ দত্ত তাঁর বিধর্মী পুত্রকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন।

    কর্মজীবন

     পড়াশোনা শেষ করে মধুকবি (Michael Madhusudan Dutta)  তৎকালীন মাদ্রাজ বর্তমানে চেন্নাইতে চলে যান। কথিত আছে, নিজের পাঠ্যপুস্তক বিক্রি করে সেই টাকায় মাদ্রাজ গিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় খ্রিষ্টানদের সাহায্যে এখানে তিনি একটি স্কুলে ইংরেজি শিক্ষকের চাকরি পান। তখন থেকেই বিভিন্ন ইংরেজি পত্রিকায় লিখতে শুরু করেন মধুকবি। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তিনি দ্য ক্যাপটিভ লেডি নামের প্রথম কাব্যটি রচনা করেন। লেখক হিসাবে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে কবির। 
    মাদ্রাজে থাকাকালীন তিনি রেবেকা ম্যাকটিভিস নামে এক ইংরেজ তরুণীকে বিবাহ করেন। মাদ্রাজ থেকে চলে যাওয়ার আগে রেবেকার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁর। এরপর কবি ইংল্যান্ডে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন সেখান থেকে ১৮৬০ সালে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে চলে যান। এখানেই এমিলিয়া হেনরিয়েটা সোফিয়া নামে এক ফরাসি তরুণীকে বিবাহ করেন তিনি। বিদেশে গিয়ে নিদারুণ দারিদ্রে দিন কাটতে থাকে তাঁর। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় তিনি আইন পড়া শেষ করে ভারতে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন । এমত অবস্থায় বন্ধু গৌরদাস বসাককে মধু কবি দ্য ক্যাপটিভ লেডি উপহার পাঠান, গৌরদাস সেটিকে বেথুন সাহেবের কাছে উপহার হিসেবে পাঠান। অভিভূত বেথুন সাহেব মধু কবিকে চিঠি লিখে দেশে ফিরে আসতে বলেন এবং বাংলায় সাহিত্য রচনা করতে পরামর্শ দেন। ১৮৫৬ সালে মধুসূদন (Michael Madhusudan Dutta)  কলকাতায় ফিরে আসেন। এইসময়ই তিনি লেখেন,

    হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;–
    তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
    পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
    পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
    কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি!
    অনিদ্রায়, অনাহারে সঁপি কায়, মনঃ,
    মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি;–
    কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!

    স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে, —
    “ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি,
    এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
    যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যারে ফিরি ঘরে।”
    পালিলাম আজ্ঞা সুখে’ পাইলাম কালে
    মাতৃভাষা-রূপ খনি, পূর্ণ মণিজালে‍‍‍‍‍‍‍‍‍‌‌‌।। 

    উল্লেখযোগ্য রচনা

    ১৮৬০ সালে তিনি রচনা করেন দুটি প্রহসন, ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং একটি নাটক ‘পদ্মাবতী’। ওই বছরেই তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখেন ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্য। এরপর একে একে তিনি রচনা করেন ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ (১৮৬১) ‘ব্রজাঙ্গনা’ কাব্য (১৮৬১), ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক (১৮৬১), ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্য (১৮৬২), চতুর্দশপদী কবিতা (১৮৬৬)।

    ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সমাধিস্থলে লেখা রয়েছে,

    ‘দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব
    বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এ সমাধি স্থলে
    (জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
    বিরাম) মহীর পদে মহা নিদ্রাবৃত
    দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন!
    যশোরে সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ-তীরে
    জন্মভূমি, জন্মদাতা দত্ত মহামতি
    রাজনারায়ণ নামে, জননী জাহ্নবী’
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

LinkedIn
Share