Author: user

  • Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিনে সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আজ রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে, স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতেন।” এদিন বিরোধী দলনেতা বিজেপি যুব মোর্চার ইয়ং ইন্ডিয়া রান কর্মসূচিতেও অংশ নেন। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে পুরো শিক্ষা দফতরটাই জেলে।” স্বামীজি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজির ছবিগুলি ছোট ছোট। সেখানে কোনও একজন কার্বাইড দিয়ে পাকানো রাজনৈতিক নেতার বড় বড় কাট আউট। এই সংস্কৃতি ভাল নয়। ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি। স্বামীজির সঙ্গে ছবি দেওয়া তো দূরের কথা, নাম দেওয়ার আগে ভাবতে হয়।” বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, এই প্রথম স্বামীজির বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁদেরকে একটা কুকুরও চাঁটবে না, তাঁদের জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে, বলেন তিনি। 
     
    সাংবাদিকরা যাতে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে না ধরেন, সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “অভিষেক আসেন বিকেলে। গত ২৫-২৬ বছর ধরেই ১২ জানুয়ারির সকালে আমি স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। আমি ওঁর কাউন্টার পার্ট নই। অ্যান্টিকে হারিয়েছি।” বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে বলেন, “আমি-আমি করিও না। আমরা আমরা করিও।”        

    এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটে বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “স্বামীজি ছিলেন, যুব সমাজের আইকন। আর আজ যাঁদের যুব সমাজের আইকন বলে প্রচার করা হচ্ছে, তাঁদের কখনও ইডি আর কখনও সিবিআই ডাকে।”

    গঙ্গা আরতি বিতর্ক 

    গঙ্গাঘাটে আরতি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা যে ঘাটে গঙ্গা আরতি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সেখানে আমাদের গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে বাধা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গাতেই আরতি ঘাট চূড়ান্ত করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছদ্মবেশ সবাই ধরে ফেলেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন সুকান্ত আরও বলেন, “গেরুয়া বসন পরলেই হিন্দুত্ব প্রমাণ হয় না। ভোটের সময় গেরুয়া বসন পরলেই সবাই হিন্দু হয়ে যায় না। আমরা চাই রাজ্যের সব জায়গায় গঙ্গা আরতির ঘাট তৈরি করা হোক। তবে উনি সরকারি নোটিফিকেশন বের করুন যে, সবাই গঙ্গা আরতি করতে পারবে। শুধু বিজেপির কেউ করতে পারবে না। কারণ বিজেপির সব কিছুতেই তো উনি বাধা দেন।”

    প্রসঙ্গত, কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন বাজাকদমতলা গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে জায়গা চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাণসীর ধাঁচে এবার কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “নকল হিন্দুদের মানুষ বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী সনাতনীদের কতটা ঘৃণা করেন তা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনে হাওড়া স্টেশনে এসে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই গঙ্গায় আরতি করুন আর গঙ্গায় ঝাঁপ দিন, কোনও কিছুতেই লাভ হবে না। বাংলার সনাতনীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল, আজ তাদের জাগরণ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। আর কিছুটা বাকি আছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন হয়ে যাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Swami Vivekananda: আজ জাতীয় যুব দিবস, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে পড়ুন তাঁর কিছু অমর বাণী

    Swami Vivekananda: আজ জাতীয় যুব দিবস, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে পড়ুন তাঁর কিছু অমর বাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ জাতীয় যুব দিবস। উত্তর কলকাতার সিমলা অঞ্চলে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এবছর তাঁর ১৬০তম জন্মবার্ষিকী উৎসব পালিত হচ্ছে সারাদেশ ব্যাপী। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার শিকাগোতে বিশ্বধর্ম সম্মেলনে সনাতন ধর্ম, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিষয়ে তরুণ সন্ন্যাসীর যুক্তিবাদী বক্তব্য সমাদৃত হয় বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকে আগত সমস্ত ধর্মের ধর্ম গুরুদের কাছে। গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছে দীক্ষা লাভ করার পরে তরুণ বিবেকানন্দ সারা ভারতবর্ষ পরিক্রমা করেছিলেন। ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন কন্যাকুমারীতে বসে। উপলব্ধি করেছিলেন ভারতভূমিকে। ঠাকুর রামকৃষ্ণের কাছে দীক্ষালাভ করার পরে তাঁর গুরুভাইদের নিয়ে থাকতেন বরানগর মঠে। তখনকার দিনে তাঁর দিনযাপনের চিত্র ফুটে উঠেছে শঙ্করের লেখা অচেনা অজানা বিবেকানন্দ গ্রন্থে। সে সময়ে রাত্রে নিদ্রার জন্য একটি বালিশ অবধি ছিলনা নতুন সন্ন্যাসীদের কাছে। মাথায় ইঁট নিয়ে রাত কাটতো গুরু রামকৃষ্ণদেবের এই শিষ্যদের। প্রায়ই তরুণ বিবেকানন্দ তাঁর গুরুভাইদের রসিকতা করে বলতেন, নরম দেখে একটা ইঁট দে তো।

    বরানগর মঠে থাকাকালীন প্রথম জীবনে রামকৃষ্ণদেবের শিষ্যরা মুষ্টি ভিক্ষার দ্বারাই দিনযাপন করতেন। কলাপাতায় ভাত জুটতো, তরকারি বলতে থাকতো নুন গোলা জল।
    তরুণ সন্ন্যাসীর নিজের ভাষায় “কতবার ক্ষুধায় মাথা ঘুরে পড়ে গেছি, চোখে অন্ধকার দেখেছি, আবার আমি দাঁড়িয়ে উঠেছি এবং বলেছি জয় ব্রহ্ম। আমার ক্ষুধা নেই, আমার তৃষ্ণা নেই, আমার মৃত্যু নেই, আমিই ব্রহ্ম।”

    শিকাগো ধর্মসম্মেলনের ঠিক পরে আমেরিকাতে তরুণ সন্ন্যাসী জনপ্রিয় হন সাইক্লোনিক মঙ্ক, এই উপাধিতে। সে সময় আমেরিকাতে বহু স্থানে তিনি বক্তব্য রাখেন, পরবর্তীকালে ভারতবর্ষে ফিরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর অমর সৃষ্টি বেলুড়মঠ।

    আজকে তাঁর কিছু বাণী সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব

    আমায় মানুষ কর

    হে ভারত, এই পরানুবাদ, পরানুকরণ, পরামুখাপেক্ষা, এই দাসসুলভ দুর্বলতা, এই ঘৃণিত জঘন্য নিষ্ঠুরতা-এইমাত্র সম্বলে তুমি উচ্চাধিকার লাভ করিবে? এই লজ্জাকর কাপুরুষতাসহায়ে তুমি বীরভোগ্যা স্বাধীনতা লাভ করিবে? হে ভারত, ভুলিও না—তোমার নারীজাতির আদর্শ সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী; ভুলিও না—তোমার উপাস্য উমানাথ সর্বত্যাগী শঙ্কর; ভুলিও না-তোমার বিবাহ, তোমার ধন, তোমার জীবন ইন্দ্রিয়সুখের-নিজের ব্যক্তিগত সুখের জন্য নহে; ভুলিও না—তুমি জন্ম হইতেই ‘মায়ের’ জন্য বলিপ্রদত্ত; ভুলিও না—নীচজাতি, মূর্খ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মূচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই! হে বীর, সাহস অবলম্বন কর; সদর্পে বল—আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই। বল—মূর্খ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই, ভারতবাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর, ভারতের সমাজ আমার শিশুশয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বার্ধক্যের বারাণসী; বল ভাই—ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ; আর বল দিন-রাত, ‘হে গৌরীনাথ, হে জগদম্বে, আমায় মনুষ্যত্ব দাও; মা, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দূর কর, আমায় মানুষ কর।

    অসীম ধৈর্য, অসীম সাহস

    পিছনে তাকিও না শুধু সামনের দিকে তাকাও অসীম শক্তি অসীম উদোম অসীম সাহস এবং অসীম ধৈর্য কোন মহান কর্ম সম্পাদন করতে পারে।

    বীরভোগ্যা বসুন্ধরা

    ঈশ্বর তাঁর বীর পুত্রদের সমুদ্রবক্ষেও রক্ষা করেন।

    উপনিষদের বাণী

    উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান নিবোধত, উপনিষদের এই বাণীকে আত্মস্থ করতে বলেছিলেন তরুণ সন্ন্যাসী। ওঠো, জাগো, নিজের প্রাপ্য নিজে বুঝে নাও।

     

  • WhatsApp New Feature: এবার ডেটা ব্যাকআপ করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপেও, আসছে নতুন ফিচার 

    WhatsApp New Feature: এবার ডেটা ব্যাকআপ করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপেও, আসছে নতুন ফিচার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অবসর সময় কাটানোর জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp New Feature) আজ আর ব্যবহৃত হয়না। গুরুত্বপূর্ণ কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। যেমন ধরুন কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি কাউকে খুব তাড়াতাড়ি পাঠাতে হবে অথবা কোনও ঘটনার ভিডিও! এক্ষেত্রে যেন হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প নেই। প্রতিদিনের এসমস্ত মিডিয়া ফাইল (ছবি, ভিডিও, জিআইএফ এবং ডকুমেন্টস) আমাদের ডিভাইসে জমা হয়। যেগুলির মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি দীর্ঘদিন অবধি স্টোর করে রেখে দিই আমরা। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের ডকুমেন্টস কোনও কারণে ডিলিট হয়ে যেতে পারে, ঠিক এইকারনে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ নথি গুলি গুগল ড্রাইভে সেভ করে রাখেন। ফলে পরবর্তীকালে অন্য কোন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনলেও তৎক্ষণাৎ গুগল আকাউন্ট দিয়ে নতুন ফোনে লগ-ইন করলেই পুরোনো ফোনের সমস্ত ডেটা নতুন ফোনে চলে আসে। কিন্তু গুগল ড্রাইভে যদি কোনও ডেটা ব্যাকআপ না নেওয়া থাকে, তখন কিন্তু ফাইলগুলি পুনরায় ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। এবার এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp New Feature) আনছে নতুন ফিচার।

    নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature)

    সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ এমন একটি ফিচার (WhatsApp New Feature) রোলআউট করার জন্য কাজ করছে, যেটির সাহায্যে গুগল ড্রাইভে ব্যাকআপ না থাকলেও ব্যবহারকারীরা এক অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে অন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সমস্ত কিছু নিয়ে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নতুন ফিচারটি (WhatsApp New Feature) এলে ফোন পরিবর্তন হলেও চ্যাট হারিয়ে যাবেনা।

    কীভাবে কাজ করবে নতুন এই ফিচার (WhatsApp New Feature)

    হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp New Feature) তরফে জানানো হয়েছে যে নতুন এই ফিচারটির (WhatsApp New Feature) মাধ্যমে গুগল ড্রাইভে ডেটা ব্যাকআপ নেওয়া না থাকলেও ব্যবহারকারীরা একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে অন্য একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট  ট্রান্সফার করতে পারবেন। এর জন্য ব্যবহারকারীদেরকে নিম্নোক্ত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
    WhatsApp Settings> Chats > Chat Transfer to Android

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Iron Deficiency: শরীরে আয়রনের অভাব মেটাতে, ঘরোয়াভাবে তৈরি করুন এই জুশগুলি

    Iron Deficiency: শরীরে আয়রনের অভাব মেটাতে, ঘরোয়াভাবে তৈরি করুন এই জুশগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব দেহে আয়রন হলো একটি অত্যাবশ্যকীয় মৌল।  হিমোগ্লোবিনের কার্যকারিতার জন্য এই মৌলের গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরে আয়রনের অভাবকে (Iron Deficiency) সাধারণভাবে অ্যানিমিয়া বলে, যেটাকে আমরা বাংলাতে বলি রক্তাল্পতা।  অ্যানিমিয়ার নানারকম উপসর্গ দেখা যায়। যেমন শরীরের এনার্জি লেভেল কমে যায়, ক্লান্তি ভাব থাকে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
      আয়রন সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার তাই চিকিৎসকরা ডায়েটে রাখতে বলছেন। ভালো স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন প্রাকৃতিক ভাবে বিভিন্ন  খাদ্য উপাদানে পাওয়া যায়। আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান সহজেই ডায়েটে আপনি আনতে পারেন অথবা আয়রনের কিছু পানীয়ও তৈরি করতে পারেন। যেগুলি ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা খুব সহজ। নিজের শরীরে আয়রনের মাত্রাকে বাড়াতে কিছু আয়রন সমৃদ্ধ জুশের কথা আজ আমরা আলোচনা করবো।

    শরীরে আয়রনের অভাব (Iron Deficiency) মেটাতে এই  জুশগুলি ঘরোয়া ভাবে তৈরি করতে পারেন

    ১) গ্রিন জুশ 

    বাড়তি ওজন কমাতে বা উজ্জ্বল ত্বক পেতে গ্রিন জুশ খুবই উপকারী। এই জুশ শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।

    যেকোনও ধরনের লেবু, নাশপাতি, পালং শাক ইত্যাদির জুশ ঘরেই বানানো যেতে পারে। এই সমস্ত জুশের সাধারণ উপাদান থাকে আয়রন, যা শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কিছু ফলও এই ডায়েটের তালিকায় রাখা যেতে পারে।

    ২) জাম বা আঙুর জাতীয় ফলের জুশ

    ঘরোয়াভাবে এই জাতীয় ফলগুলির জুশ বাড়িতে বানানো খুবই সহজ। এখানে আয়রন সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপাদান থাকে।

    স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এই জাতীয় জুশ পান করলে শরীরে আয়রনের অভাব (Iron Deficiency) পূরণ করা যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুধু আয়রন নয়, এই জাতীয় জুশ হল পটাসিয়ামের একটি বড় উৎস যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    ৩) পালং শাক এবং আনারসের জুশ

    পালং শাক হল আয়রনের অন্যতম উত্স। আনারসের জুশের সঙ্গে এই পালং শাকের জুশ মিশ্রিত করলে তা আরও ভালো হয় শরীরের জন্য।

    এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে। ভিটামিন সি-ও পাওয়া যায় এই জুশে। এর সঙ্গে পাতিলেবু বা কমলা লেবুর জুশও রাখা যেতে।

    ৪) বেদানা এবং খেজুরের জুশ

    বেদানা আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন সি এর একটি বড় উৎস। খেজুরেও আয়রন ভরপুর পরিমানে পাওয়া যায়।

    এই দুটি ফলের মিশ্রিত জুশ শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ায়। আয়রন উত্সের যেকোনও কিছুর সঙ্গে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করতে বলেন পুষ্টিবিদরা। ভিটামিন সি শরীরে আয়রনের শোষণে কাজে লাগে।

     

  • Joshimath: কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিন সীমান্তগামী সড়কেও ফাটল জোশীমঠে

    Joshimath: কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিন সীমান্তগামী সড়কেও ফাটল জোশীমঠে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিন সীমান্তগামী জোশীমঠ (Joshimath)-মালারি সড়কে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এই ব্য়স্ততম রাস্তার বেশ কিছু জায়গাতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কী বলছেন

    ইতিমধ্যে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে উপস্থিত থেকে জোশীমঠের (Joshimath) অবনমন এবং ফাটল দেখেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ধসে যাওয়া বাড়িগুলির সদস্যদের সঙ্গে এদিন কথাও বলেন দেবভূমির মুখ্যমন্ত্রী ।
    এদিন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি প্রত্যেকেই যাতে নিরাপদ থাকেন, সমস্ত রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকার থেকে করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান করছেন বর্তমানে, ভূমির অবনমনের সঠিক কারণ খতিয়ে দেখার জন্য।

    উত্তরাখণ্ডে চামুলী জেলার জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা বলেন, জোশীমঠের (Joshimath) সমস্ত রকমের নির্মাণ কাজ এই মুহূর্তে বন্ধ রাখা হয়েছে ভূমির অবনমন এবং ফাটলের জন্য । গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা বদ্রিনাথ সড়ক অবরোধ করেন সরকার এবং প্রশাসন যাতে এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠ ব্যবস্থা নেয় সেজন্য।

    জোশীমঠ (Joshimath) পৌরসভার চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র পাওয়ার বলেন, ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর লিক করার কারণে।
    ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF) সেখানে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে এ কথা জানিয়েছেন চামোলি জেলার চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার ললিত নারায়ণ মিশ্র।
    এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে জেলাশাসক আরও বলেন সমগ্র জোশীমঠ (Joshimath) জুড়ে এখনও কোন ফাটল দেখা যায়নি, শুধুমাত্র একটা অংশে এই ফাটল দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সঠিক কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

    জোশীমঠ (Joshimath) পৌরসভার চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন যে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যারা বর্তমানে গৃহহীন, তাদের জন্য ভাড়ায় বাড়ির ব্যবস্থা করেছে উত্তরাখন্ড সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Twins: আলাদা আলাদা বছরে জন্ম নিল দুই যমজ সন্তান, জানুন বিস্তারিত

    Twins: আলাদা আলাদা বছরে জন্ম নিল দুই যমজ সন্তান, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুনেছেন কখনও কোনও দম্পতির যমজ (Twins) সন্তান জন্মগ্রহণ করছে দুটি আলাদা আলাদা বছরে। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এমনটাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যমজ (Twins)  সন্তানদের মধ্যে একজন জন্মগ্রহণ করেছে ২০২২ সালে তো অপরজন জন্মগ্রহণ করেছে ঠিক তার পরের বছর ২০২৩ সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এক দম্পতির দুই যমজ (Twins)  কন্যা সন্তান জন্ম নিল দুটি আলাদা আলাদা বছরে।

    আরও পড়ুন: শিক্ষিকাকে গুলি করল ৬ বছরের ছাত্র, ভার্জিনিয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব

    কীভাবে সম্ভব হল

    গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১:৫৫ মিনিটে প্রথম যমজ (Twins)  কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আমেরিকার টেক্সাসের ওই মহিলা ক্যালি জোসকট।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

    আবার এর ঠিক ছয় মিনিট পরেই দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা অর্থাৎ পরের দিন ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি রাত ১২:০১ মিনিটে মহিলার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়। স্বাভাবিকভাবেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম তারিখ ২০২২ সালে থাকছে অপর কন্যা সন্তানের জন্ম তারিখ ২০২৩ সালে হয়ে যাচ্ছে।


    আরও পড়ুন: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    নিজের ফেসবুক পোস্টে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি দম্পতি। নিজেদের সঙ্গে দুই কন্যা সন্তানের ছবিও সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তাঁরা। 
    সেখানে যমজ (Twins)  দুই সন্তানের মা লিখছেন, আমি গর্বিত তোমাদের সঙ্গে অ্যানি জো এবং এফি রোজের পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে।
     প্রসঙ্গত প্রথম কন্যা সন্তানের নাম অ্যানি জো অর্থাৎ ২০২২ সালে যার জন্ম তারিখ আর দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের নাম এফি রোজ, যার জন্ম ২০২৩ সালে।
    দুই কন্যা সন্তানই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে এবং দুই শিশুর ওজন ২৫০০ গ্রাম করে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Kashmir: কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর   

    Kashmir: কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছাল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-স্বর্গের (Kashmir) ছোট্ট গ্রাম তেথান। সবমিলিয়ে ২০০ পরিবারের বাস গ্রামে। পার্বত্য উপত্যকার এই গ্রামে সূর্য ও চাঁদ ছাড়া বাকি কোনও আলোর উৎস ছিলনা এতদিন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে, মোদি সরকারের প্রাইম মিনিস্টার ডেভলপমেন্ট প্যাকেজ স্কিমের দৌলতে গ্রামে প্রথম এল বৈদ্যুতিক সংযোগ। দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir) অনন্তনাগ জেলার ডোরু ব্লকের এই প্রত্যন্ত গ্রাম এতদিন অবধি বঞ্চিত ছিল বৈদ্যুতিক সুবিধা থেকে, এবার সে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়াতে স্বভাবতই খুশি হয়েছেন গ্রামবাসীরা। সমগ্র এলাকাতে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে রাত্রিতে বেশিরভাগ বাড়িই অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকতো, সূর্য ডোবার পরে আলোর উৎস বলতে জ্বলতো হ্যারিকেন, লন্ঠন। কোনও কোনও বাড়িতে কাঠও জ্বালানো হত।

    গ্রামবাসীরা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন মোদি সরকারকে…..
     
     

    উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা বৈদ্যুতিক সংযোগ পাওয়ার পরে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন মোদি সরকারকে। জনৈক গ্রামবাসী বলেন, ” আমাদের গ্রামকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, শুধুমাত্র বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছে। স্থায়ী সমাধান হওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে”। জাফর খান নামের অপর একজন গ্রামবাসী বলেন, ” আমার ৬০ বছর বয়স হয়ে গেল, জন্মের পর গ্রামে প্রথমবারের জন্য বিদ্যুৎ-এর আলো দেখব, এটা ভাবলেই আনন্দ হচ্ছে। আমি দেখলাম অনেক গ্রামবাসী আবার আনন্দে নাচছে। এটাই স্বাভাবিক”।

    অনন্তনাগ শহর থেকে এই গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিমি। দ্রুততার সঙ্গে সমস্ত প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ করার জন্য গ্রামবাসীরা এদিন ধন্যবাদ জানান বৈদ্যুতিক বিভাগকেও। বৈদ্যুতিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৬৩ (KV) ট্রান্সফর্ম এখানে দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ৩৮টি হাইটেনশন তার। সমগ্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৭টি মতো বৈদ্যুতিক স্তম্ভ।

    আরও পড়ুন: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

      

  • Sheena Bora: শিনা বোড়া জীবিত! চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের

    Sheena Bora: শিনা বোড়া জীবিত! চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১২ সালের ২৪ শে এপ্রিল খুন হন শিনা বোড়া। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শিনা বোড়ার (Sheena Bora) মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় বর্তমানে মুম্বই-এর বাইকুল্লা জেলে বন্দী। এবার সেই শিনা বোড়াকে নাকি দেখা গেছে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে এমনই দাবি করলেন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়,শুধুমাত্র দাবি নয়, সেই সঙ্গে আদালতে আবেদনও করা হল। প্রসঙ্গত, হত্যার তিন বছর পরে ২০১৫ সালে এই ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালক শ্যামবর রাই অন্য একটি পুলিশি অভিযানের সময় গ্রেফতার হয়। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়, সেই সূত্র ধরেই সামনে আসে হাড়হিম করা এই হত্যাকান্ড। শুনে তাজ্জব হয় গোটা দেশ।

    আদালতের কাছে কী আবেদন করলেন ইন্দ্রানী 

      কোর্টের কাছে ইন্দ্রানী আবেদন করেছেন যে কোর্ট যেন সিবিআইকে নির্দেশ দেয় যে গুয়াহাটি বিমানবন্দরের গত বৃহস্পতিবারের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ যাতে সংরক্ষিত হয়। যাত্রীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতেও কোর্টে আবেদন করেছেন ইন্দ্রানী। ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের দাবি যে একজন আইনজীবী গত বৃহস্পতিবার এমন একজন মহিলাকে দেখেছেন একেবারে শিনা বোড়ার (Sheena Bora) মতো দেখতে। ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের এই দাবি অবশ্য নতুন কিছু নয় এর আগেও ২০২১ সালে তিনি দাবি করেছিলেন একজন পুলিশ কর্মী যিনি বর্তমানে বাইকুল্লা জেলে তার প্রতিবেশী, তিনি নাকি শ্রীনগরে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে যাওয়ার সময় শিনা বোড়াকে (Sheena Bora) দেখেছেন। তখন সিবিআইকে চিঠিও লিখেছিলেন ইন্দ্রানী। যদিও সেই চিঠির প্রাপ্তি সিবিআই আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও অবধি স্বীকার করেনি। শিনা বোড়া (Sheena Bora) হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রানীর বিচার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ৬৯ জন সাক্ষী এখনও পর্যন্ত সাক্ষ্যদান করেছে এই মামলায়।
    গত শুক্রবার এ নিয়ে ইন্দ্রানী আবেদন করেছেন কোর্টের কাছে তাঁর  আইনজীবী রঞ্জিত সাংলির মারফত।
    ওই আবেদনে ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী কোর্টের কাছে আবেদনের করেছেন যে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক এবং সেটা আদালতের সামনে আনা হোক। তার সঙ্গে ইন্দ্রানীকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে দেওয়া হোক।
    একটি এফিডেফিডে, ইন্দ্রানীর আইনজীবী বলেছেন যে, একজন আইনজীবী শিনা বোড়ার (Sheena Bora) মত অবিকল একজনকে দেখতে পেয়েছেন, ওই আইনজীবির সহকর্মী একটি ভিডিও করে রেখেছেন ওই মহিলার।

    বিচারপতি এসপি নায়েক নিমবালকর, সিবিআই কে নির্দেশ দিয়েছেন , এই আবেদন সম্পর্কে তাদের বক্তব্য জানাতে এবং আদালত এই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ১২ই জানুয়ারি।

     

  • Kolkata Airport: গুটখার প্যাকেটে ডলার পাচার, কলকাতা বিমানবন্দরে আটক ১

    Kolkata Airport: গুটখার প্যাকেটে ডলার পাচার, কলকাতা বিমানবন্দরে আটক ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুটখার প্যাকেটে বিদেশি মুদ্রা! এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) এক যাত্রীর ট্রলি ব্যাগের মধ্যে অজস্র গুটখার প্যাকেট পাওয়া যায়। সন্দেহ হওয়ায় প্যাকেটগুলো খুলতেই বেরিয়ে আসে লক্ষ লক্ষ টাকার বিদেশী মুদ্রা। রবিবার রাতে কলকাতার নেতাজী সুভাষ বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) এক যাত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে এমনভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে রবিবার রাতের বিমানে ব্যাংকক-এর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন এই যাত্রী। তল্লাশির সময় তার ট্রলি ব্যাগ খতিয়ে দেখেন বিমানবন্দরের (Kolkata Airport) কর্মীরা। সন্দেহ হতেই ওই ট্রলি ব্যাগ খোলা হয়, তারপরই উদ্ধার হয় অজস্র গুটখার প্যাকেট। সেই প্যাকেটের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা ছিল বৈদেশিক মুদ্রা।

     কত টাকা উদ্ধার হল

    শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে ওই যাত্রীর ব্যাগ থেকে যে গুটখার প্যাকেট পাওয়া গেছে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রাতে ৩২ লক্ষ টাকারও বেশি।

    এমন ঘটনার আরও নজির….

     শুল্ক দপ্তরের নজর এড়াতে অনেক পাচারকারী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করে। বিমানবন্দর থেকে মাদক ও সোনা পাচারের এমন প্রয়াস প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। কয়েকদিন আগে নথি রাখার ফাইলের কভারের মধ্যে হিরোইন রাখা ছিল, আপাতদৃষ্টিতে ফাইল দেখে দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই। আবার পোশাকের বোতামের মধ্যে কোকেন রাখা ঘটনাও সামনে এসেছে কয়েকদিন আগে। যেখানে ৪.৪৭ কেজি হিরোইন উদ্ধার করা হয়েছিল যার বাজার মূল্য বর্তমানে ৩১.২৯ কোটি টাকা।
    আবার কয়েকদিন আগে ট্রলি ব্যাগে করে ৯১০০ টাকার মার্কিন ডলার পাচার করছিল এক ব্যক্তি, জানা গিয়েছিল ব্যাগের রডের মধ্যে ওই টাকা লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবারই আবার মুম্বাই বিমানবন্দরে কয়েক লক্ষ টাকার বেআইনি সিগারেটের প্যাকেট আটক করেছে শুল্ক দপ্তর।

  • Joshimath: জোশীমঠকে “ডুবতে থাকা অঞ্চল” ঘোষণা করল স্থানীয় প্রশাসন

    Joshimath: জোশীমঠকে “ডুবতে থাকা অঞ্চল” ঘোষণা করল স্থানীয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোশীমঠকে (Joshimath) একটি ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করল সেখানকার প্রশাসন, ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
    গত কয়েকদিন ধরে জোশীমঠের (Joshimath) বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে , এমনকি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিন সীমান্তগামী সড়কেও ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশাসনের তরফে এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড দেবভূমি নামেও প্রসিদ্ধ। অর্থাৎ এখানে দেবতারা বাস করতেন একসময়, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। হিন্দু ধর্মের বহু তীর্থস্থান এবং পীঠস্থান উত্তরাখণ্ডে রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল জোশীমঠ (Joshimath)।  সারা বছর ধরেই ধর্মপ্রাণ ভক্তদের আনাগোনা চলতে থাকে এখানে। এছাড়া পার্বত্য এলাকার মনোরম আবহাওয়ার জন্যও অনেকে আসেন। 

    বর্তমানে কী পরিস্থিতি রয়েছে

    বর্তমানে এই এলাকার পরিস্থিতির জন্য উদ্বিগ্ন হয়েছে স্থানীয় সরকার। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ এবং উদ্ধার কাজ সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন এবং যে সমস্ত মানুষ গৃহহারা হয়েছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ভাড়াতে বাড়ির ব্যবস্থাও সেখানে করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোশীমঠ (Joshimath) শহর তৈরি করা হয়েছিল একটি ভূমিধসের উপরে প্রায় এক শতাব্দী আগে, এমনটা বিভিন্ন কমিটির রিপোর্টেও প্রকাশ পেয়েছে। ব্যাপকভাবে নির্মাণ কাজ চলতে থাকায় শহরের উপরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে চামোলির জেলাশাসক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চামোলির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এখনও অবধি ৬৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ৬৮ পরিবারকে অস্থায়ীভাবে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে যে তারা গত রবিবার ৪৬ টি পরিবারকে বিভিন্ন সাংসারিক সামগ্রী কেনার জন্য ৫০০০ টাকা করে দিয়েছে।  জোশীমঠ (Joshimath) শহরে এই মুহূর্তে ২২৯ টি ঘর বাসযোগ্য রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। ওই ঘর গুলিতে সর্বোচ্চ ১২৭১ জনকে রাখা যেতে পারে। এছাড়া শহরের বেশিরভাগ সমস্ত জায়গা বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে স্থানীয় মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এনটিপিসির তপোবন বিষ্ণুপুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে চলা সমস্ত নির্মাণ কাজও বন্ধ করা হয়েছে এবং শহরের অন্যান্য নির্মাণ কাজ যেগুলো চলছিল সেগুলোও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

    জোশীমঠকে “ডুবতে থাকা অঞ্চল” ঘোষণা স্থানীয় প্রশাসনের

LinkedIn
Share