Author: user

  • Ancient Indian Scientists: প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাবিদ সুশ্রুত, পদার্থবিদ কণাদের অজানা গল্পগুলো জানুন

    Ancient Indian Scientists: প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাবিদ সুশ্রুত, পদার্থবিদ কণাদের অজানা গল্পগুলো জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: বিগত পর্বে আমরা আলোচনা করেছি প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চা সম্পর্কে। আজকে আমরা প্রাচীন ভারতের দুইজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী (Ancient Indian Scientists) সুশ্রুত এবং মহর্ষি কণাদের জীবনী এবং কাজ সম্পর্কে জানব।

    প্রথম পর্ব: সনাতন ধর্মে ঋষি এবং বেদের ভূমিকা জানুন

    সুশ্রুত

    সুশ্রুত ছিলেন একজন প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসক। বলা ভালো, শল্য চিকিৎসার জনক ছিলেন তিনি। তাঁর রচিত গ্রন্থ “সুশ্রুত সংহিতা” চিকিৎসা শাস্ত্রের একটি অমূল্য গ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রাচীন বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্রে তাঁকে বিশ্বামিত্রের পুত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। আচার্য সুশ্রুত, প্লাস্টিক সার্জারি জনক হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে আজ সমাদৃত।

    দ্বিতীয় পর্ব: আলোর গতিবেগ, মহাকর্ষ বল, পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব নির্ণয়ের বিষয়ে বেদে কী বলা আছে জানেন?

    সুশ্রুতের চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে অনেক রকমের কাহিনী প্রচলিত আছে। সে সব  কাহিনীগুলি সম্পর্কে একটু জানা যাক। কথিত আছে আজ থেকে প্রায় ২৬০০ বছর আগেকার কথা, সে সময় বর্তমান ভারতের বারাণসীর কাছাকাছি কোনও একটি জনপদ ছিল। একদিন মধ্যরাত্রে এক চিকিৎসকের দরজায় হঠাৎ এক আগুন্তক উপস্থিত হল। জোরে জোরে দরজার কড়া নাড়ছেন আর চিকিৎসককে ডাকছেন। দরজা খুলতেই ওই আগুন্তক চিকিৎসকের পায়ের উপরে এসে পড়ল এবং কাঁদতে থাকল। চিকিৎসক লক্ষ্য করলেন আগুন্তকের নাক কাটা গেছে এবং ঝরঝর করে রক্ত পড়ছে।
    আচার্য সুশ্রুত তাকে অভয় বাণী দিলেন যে সব ঠিক হয়ে যাবে। শান্ত হয়ে বসো। এরপর ওই ব্যক্তিকে মাদুরের উপর বসালেন চিকিৎসক। জল ও ভেষজ নির্যাস দিয়ে তার মুখ পরিষ্কার করলেন। তারপর কিছুটা মদ্যপান করালেন রোগীটিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে রোগী ঝিমিয়ে পড়ল। এবার একটি লতা থেকে বড় মাপের একটি পাতা ছিড়ে নিয়ে নাকের উপর বসিয়ে, নাকের মাপ অনুযায়ী পাতাটি চারপাশ থেকে কেটে নিলেন, এরপর রোগীর গাল থেকে ঠিক পাতার মাপের কিছুটা মাংস আগুনে পুড়িয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে সেটি তার বিকৃত নাকের উপর বসিয়ে নাকের মতো করে মুড়ে দিলেন এবং নিখুঁত সেলাই করে জুড়ে দিলেন সেই নতুন নাক। তার আগে অবশ্য দুটো সরু নল নাকের অস্থায়ী ছিদ্র হিসেবে স্থাপন করেছিলেন সুশ্রুত। গালে যে অংশ থেকে মাংস কেটে নেওয়া হয়েছিল সেখানে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করা হয়েছিল তার আগেই। এরপর রোগীটিকে কিছু ওষুধ পত্র দিয়ে সেগুলি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দিলেন। এমন অজস্র কাহিনী প্রচলিত রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় এই শল্যচিকিৎসক সম্পর্কে।
    আনুমানিকভাবে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আচার্য সুশ্রুত। শোনা যায় বিশ্বামিত্র মুনির বংশধর ছিলেন তিনি। কথিত আছে, বারাণসীতে দেবদাস ধন্বন্তরির কাছে চিকিৎসাবিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছিলেন সুশ্রুত। পরে শল্যবিদ্যার পাশাপাশি চিকিৎসার অন্যান্য শাখাতেও তিনি সমান দক্ষতা অর্জন করেন। শল্যবিদ্যার প্রথাগত পদ্ধতির উদ্ভাবক এবং ব্যাখ্যাকার ছিলেন আচার্য সুশ্রুত। সংস্কৃত ভাষায় তাঁর লেখা সুশ্রুত সংহিতা চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি শল্য চিকিৎসার জন্য ১২ রকমের যন্ত্রপাতির কথা বলেছেন। সুশ্রুত সংহিতাতে ১৮৪টি অধ্যায় রয়েছে, এখানে তিনি আলোচনা করেছেন ১১২০টি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে। ৭০০ এর অধিক বিভিন্ন উদ্ভিদের কথা তিনি এই গ্রন্থে বলেছেন যেখান থেকে ওষুধ তৈরি করা যায়, ৬৪ ধরনের খনিজেরও আলোচনা তিনি এই গ্রন্থে করেছেন যা থকে ওষুধ তৈরি হতে পারে। ৫৭ ধরনের প্রাণীজ উৎসের কথা বলেছেন যেখান থেকে ওষুধ তৈরি হতে পারে। সুশ্রুতই ছিলেন প্রথম চিকিৎসক যিনি পেট কেটে সন্তান প্রসব করানোর কথা বলেছেন, অর্থাৎ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে যার নাম “সিজারিয়ান সেকশন”। মূত্রস্থলীতে জমা পাথর বের করা, দেহের ভেঙে যাওয়া হাড় জুড়ে দেওয়া, চোখের ছানি অপারেশনের বিভিন্ন কাহিনী শোনা যায় সুশ্রুত সম্পর্কে। এখন যেমন রোগীকে অজ্ঞান করে অস্ত্র প্রচার করা হয় তখন তিনি রোগীকে মদ্যপান করাতেন। শিক্ষক হিসেবেও তিনি অনেক গুণী ছিলেন। লাউ, তরমুজ কেটে শিষ্যদের অস্ত্রোপচারের প্রাথমিক পাঠ দিতেন এবং ছুরি কীভাবে ধরতে হয় সেগুলো শেখাতেন। শল্যচিকিৎসা এবং ওষুধপত্র সম্পর্কে  গ্রিক দার্শনিক হিপোক্রিটাসের লেখা শপথ আজও নিতে হয় ডাক্তারি ছাত্রদের। সুশ্রুত তারও প্রায় দেড়শ বছর আগে তাঁর শিষ্যদের জন্য এমন শপথ চালু করেন।

    তৃতীয় পর্ব: প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চা 

    মহর্ষি কণাদ

    সপ্তম শ্রেণীতেই পড়ানো হয় পরমাণুর গঠন সংক্রান্ত অধ্যায়। ডালটনের তাঁর পরমাণুবাদে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার আগে ভারতীয় ঋষি কনাদ পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ সম্পর্কে ধারণা দিয়ে যান। কনাদ ভারতীয় দার্শনিক (Ancient Indian Scientists) ছিলেন বলে মনে করা হয় এবং খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৬০০ বছর আগে তিনি পরমাণুর ধারণা দেন। তিনি বলেন যে সমস্ত পদার্থই ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা তৈরি। মহর্ষি কণাদ আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন কনভুক, কনভক্ষ, যোগী, উলুক, কাশ্যপ। কথিত আছে দিনের বেলায় গহন অরণ্যে গভীর ধ্যানে তিনি মগ্ন থাকতেন এবং যখন রাত্রিবেলায় সবাই নিদ্রিত থাকতো তখন তিনি খাবারের সন্ধানে বের হতেন এরকম বৃত্তি উলূক বা প্যাঁচারই হয় সাধারণত। তাই অনেকে মনে করেন তাঁর উলূক নামকরণ হয়েছে। মহাভারতের শান্তি পর্বে এরকম একটি কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে যদিও সেটি কণাদ সম্পর্কে বলা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়না। শ্লোকটি হল, উলুকঃ পরমো বিপ্র মার্কন্ডেয় মহামুনিঃ।

     আরও কথিত আছে যে কণাদ কঠোর যোগাভ্যাসের ফলে ভগবান শিবের বরপ্রাপ্ত হন। শিব কণাদের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে উলূকের রূপ ধরে তাঁর সম্মুখে আবির্ভূত হন এবং ছটি পদার্থের উপদেশ দান করেন, বায়ু পুরাণেও কণাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। এখানে বলা হচ্ছে যে কণাদ ছিলেন পরম শৈব। আবার কণাদ এই নাম ন্যায়-কন্দলিতেও উল্লেখ রয়েছে। ক্ষেতে পড়ে থাকা শস্য কণা ভক্ষণ করতেন বলেই তাঁকে কণভূক বা কণভক্ষ বলা হত বলে অনেকে মনে করেন। আবার এটাও মনে করা হয় যে কণাদ কাশ্যপ গোত্রীয় ছিলেন বলে তাঁর দর্শনকে কাশ্যপীয় দর্শন বলা হয়। কণাদের দর্শন বৈশেষিক দর্শন নামে পরিচিত।

    হিন্দু পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী কনাদ ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানী (Ancient Indian Scientists)। তিনি বিশেষ নামক একটি সূক্ষ্ম পদার্থ আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর মতে পদার্থ মূলত ১০ প্রকার। এর মধ্যে ছয়টি ভাব পদার্থ এবং বাকি চারটি অভাব পদার্থ। ছয়টি ভাব পদার্থ হল দ্রব্য, গুণ, কর্ম, সামান্য, বিশেষ, সমব্যয়। অভাব পদার্থগুলি হল প্রাগ অভাব, ধ্বংস অভাব, অনন্য অভাব, অত্যন্ত অভাব।পদার্থের পরমাণু সম্পর্কে প্রথম তথ্য ও প্রদান করেছিলেন এই প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক। তাঁর মতে একমাত্র পরমাণু সত্ রূপ নিত্য পদার্থ এবং সমস্ত জড় পদার্থ পরমাণুর সংযোগের ফলে উৎপন্ন হয়েছে।
    ভারতীয় ষড়দর্শনের মধ্যে অন্যতম হলো বৈশেষিক দর্শন। এই দর্শনের প্রবক্তা স্বয়ং ভারতীয় দার্শনিক কণাদ। এই দর্শনে উল্লিখিত পদার্থ তত্ত্বের জ্ঞান প্রাচীনকালে যে কোন ছাত্রদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • BIS:  ২০২৫ এর মধ্যে সারা দেশে চালু  হবে,  ‘এক দেশ এক চার্জার’

    BIS: ২০২৫ এর মধ্যে সারা দেশে চালু হবে, ‘এক দেশ এক চার্জার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন ফোন বা ল্যাপটপ যাই কিনুন না কেন তার সঙ্গে চার্জার কেনা বাধ্যতামূলক। এক একটি ডিভাইস এক একটি চার্জার দিয়ে চার্জ হয়। ফলে সমস্যা তৈরি হয়। তাই এই সমস্যা এড়ানোর জন্য এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে একই ধরনের চার্জার । একে এক দেশ এক চার্জার নীতি বললে ভুল কিছু হবে না। এই নিয়ম চালু হলে নতুন ডিভাইস কেনার সঙ্গে আলাদা করে আর চার্জার কিনতে হবে না। 

     ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) এর তরফে একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে স্মার্টফোন, মোবাইল, ট্যাবলেট থেকে অন্যান্য সমস্ত ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস যাতে USB টাইপ সি চার্জার দিয়েই চার্জ দেওয়া যায়। এটি সারা দেশে ২০২৫ এর মার্চের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে সমস্ত মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি এই নির্দেশ মানতে রাজি হয়েছে। তারা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপের জন্য USB টাইপ সি পোর্ট চালু করতে রাজি বলেই জানিয়েছেন রোহিত কুমার সিং, যিনি উপভোক্তা মন্ত্রকের সেক্রেটারি। 

    আরও পড়ুন: নতুন ফিচার আসছে মাইক্রোসফট এক্সেলে, সময় বাঁচবে অনেকটাই

    ইউরোপে ঠিক এমন নীতিই চালু আছে

    এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, ইউরোপ ইউনিয়নের মধ্যে থাকা সমস্ত দেশেই এখন USB টাইপ সি পোর্ট বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালেই একটি অর্ডার পাশ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সেখানেই বলা হয়েছে যে ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই অ্যান্ড্রয়েড এবং IOS এর ক্ষেত্রে কনজিউমার ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট আছে সেই সবগুলোতেই USB টাইপ সি পোর্ট ব্যবহার করতেই হবে। একই সঙ্গে সেই অর্ডারে বলা হয়েছে যে আগামী ২০২৬ এর মধ্যে এই নিয়ম ল্যাপটপের জন্য আনা হবে।

    আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর থেকে এই ফোনগুলোতে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ! আপনারটা নেই তো? দেখুন তালিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Gaganyaan: গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো

    Gaganyaan: গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম মহাকাশচারী ছিলেন রাকেশ শর্মা। রাকেশ শর্মা মহাকাশ থেকে ভারতবর্ষকে কেমন দেখছেন? এমনটাই প্রশ্ন ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। প্রশ্নের উত্তরে নিজের মাতৃভূমিকে মহাকাশ থেকে বর্ণনা করেছিলেন রাকেশ শর্মা। আবারও গগনজানের (Gaganyaan)  মাধ্যমে মহাকাশে মানব পাঠাতে চলেছে আমাদের দেশ।

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কী বললেন ?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং চলতি মাসের পয়লা দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তৃতভাবে বলেন ২০২৩ সালে মহাকাশ গবেষণার বিষয়ে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ এর সালে ভারতবর্ষ মহাকাশে পাঠাবে গগনযান যার প্রস্তুতিপর্ব ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণার সাফল্যের দিকগুলিকে তুলে ধরেছেন এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাপেক্ষে মহাকাশ গবেষণায় ভারতবর্ষ যে খুব পিছিয়ে নেই,সেটাও বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কথায় জানা গেছে যে গগনজানের (Gaganyaan) পরিকল্পনা ২০২২ সালেই সম্পন্ন হত। ২০২২ সালেই হয়তো ভারতবর্ষের কোন মানবকে গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে দেখা যেত কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছুই বদলে যায়।
    সূত্রমতে গগনজানের (Gaganyaan) ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তুতি পর্ব নেওয়া হবে। তার কারণ গগনযান (Gaganyaan) ভারতের মাটি থেকে যেমন মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে তেমনি মহাকাশ থেকে সুষ্ঠুভাবে ফিরে আসবে। প্রথম দুটি পরীক্ষামূলক উড়ানে কোনও মানুষ পাঠানো হবে না, রোবট পাঠানো হবে। তৃতীয় বারে মানুষ পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। তবে তৃতীয়বারে মানুষ তখনই পাঠানো হবে যদি প্রথম দুটি প্রস্তুতি পর্ব সফলভাবে সংঘটিত হয়।

    জানা গেছে এই গগনজান (Gaganyaan) তিনজন মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যেতে সক্ষম। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে এই গগনযান তিন দিন ধরে অবস্থান করবে মহাকাশে, তারপরে আবার তা পুনরায় পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসবে।

    গগনযানে (Gaganyaan) চড়ে যাঁরা মহাকাশে যাবেন সেই সমস্ত মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বেঙ্গালুরুতে। ক্লাসরুম ট্রেনিং, ফিটনেস ট্রেনিং, এবং মহাকাশে থাকার বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • ISRO: ২০২৩ সালে ইসরোর মিশনগুলি জেনে নিন

    ISRO: ২০২৩ সালে ইসরোর মিশনগুলি জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে কতগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইসরো (ISRO)। ২০২৩-এ সূর্য ও চন্দ্র, দুই দিকেই নজর থাকবে ইসরোর (ISRO)। সূর্য গবেষণার ক্ষেত্রে মিশন আদিত্য এবং চন্দ্র গবেষণার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৩  মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখবে ভারতীয় মহাকাশ  গবেষণা সংস্থা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংসদে জানান, ২০২৩ সালে ইসরোর অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, সূর্য এবং চন্দ্র অভিযানের পাশাপাশি চলতি বছরে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ থেকে রিইউজেবল (পুনর্ব্যবহারযোগ্য) লঞ্চ ভেহিকল সংক্রান্ত প্রথম রানওয়ে ল্যান্ডিং এক্সপেরিমেন্ট (RLV-LEX) পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    একইসঙ্গে মহাকাশ অভিযানের ব্যবসায়িক দিকেও থাকবে নজর।  বেসরকারি খাতের জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে মহাকাশ অভিযানের ব্যবসা। গত নভেম্বরেই বেসরকারি উদ্যোগে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশে গেছে।

    আরও পড়ুন: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    চলতি বছরেই মানুষ যাবে মহাকাশে 

    নতুন বছরেই ভারতের প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযানের প্রাথমিক সূচনা হতে  চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে ইসরো (ISRO) সূত্রে। তবে প্রথমেই মানুষ পাঠানো হবে না। ‘গগনযান’ অভিযানের মাধ্যমে প্রথমে একেবারে  প্রস্তুত লঞ্চ ভেহিকেল-কে যাচাই করে দেখে নেবে ইসরো (ISRO)। পরে মানুষ যাবে।  

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    ২০২৩ সালের  শেষ তিন মাসে সেই পরীক্ষামূলক অভিযান হবে। লঞ্চ ভেহিকল, অরবিটাল মডিউল  প্রপালশন সিস্টেম এবং রিকভারি অপারেশন একেবারে তৈরি কিনা, তারই পরীক্ষা করবে ইসরো। সেটি সফল হলেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাতে আর কোনও বাধা থাকবে না ভারতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

      

  • Algae: দেশে গবেষণা চলছে সবুজ শৈবাল স্পিরুলিনার ওপর, জানুন নতুন সুপারফুডের পুষ্টিগুণ

    Algae: দেশে গবেষণা চলছে সবুজ শৈবাল স্পিরুলিনার ওপর, জানুন নতুন সুপারফুডের পুষ্টিগুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৈনন্দিন ডায়েটে অধিক পুষ্টিযুক্ত খাবার রাখাটাই উচিত বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত প্রচুর পুষ্টিযুক্ত স্পিরুলিনা (Spirulina) হল একধরনের নীলাভ সবুজ শৈবাল। এই স্পিরুলিনা (Spirulina)  এখন পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে ভারতের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে। ভবিষ্যতে স্পিরুলিনার (Spirulina)  উপাদান সমৃদ্ধ বিভিন্ন ট্যাবলেটও পাওয়া যাবে বলে শোনা যাচ্ছে। যেমনটা ভিটামিনের ট্যাবলেট বাজারে আমরা কিনতে পাই। এর পাশাপাশি টক দই, বিস্কুট এ সমস্ত কিছুর উপাদান হিসেবে স্পিরুলিনা (Spirulina) রাখার চিন্তাভাবনা চলছে।

    স্পিরুলিনা (Spirulina)  কতটা পুষ্টি সমৃদ্ধ 

    এবার প্রশ্ন হল এই স্পিরুলিনা (Spirulina) অপুষ্টির মোকাবিলা কতটা করতে পারবে ? কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের জনৈক কৃষি বিজ্ঞানীর মতে ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্বব্যাপী খাদ্য সম্মেলনে স্পিরুলিনাকে (Spirulina) ভবিষ্যতের জন্য সব থেকে ভালো খাবার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, একইধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ নীলাভ সবুজ শৈবাল এখন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে বেড়ে উঠছে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, ১ কেজি শাকসবজি খেলে যতটা প্রোটিন শরীরের মধ্যে আয়ত্ত করা যায়, বলা হচ্ছে ৫ গ্রাম স্পিরুলিনাতে (Spirulina) সেই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যাবে।  জনৈক কৃষিবিজ্ঞানীর আরও সংযোজন, “আমাদের দেশ ভারতবর্ষে একটা অংশের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দেখা যায় এবং গর্ভবতী মায়েদেরও অনেক ক্ষেত্রে অপুষ্টি দেখা যায়। তাই এই স্পিরুলিনার (Spirulina) উপর এখন আমরা রিসার্চ করছি যে কীভাবে এটা অপুষ্টি মেটাতে পারবে। প্রতিদিন ১.৫ গ্রাম স্পিরুলিনা (Spirulina) দেওয়া যেতে পারে শিশুদের, যাদের বয়স দুই থেকে ছয় বছরের মধ্যে রয়েছে, তাদের সার্বিক বিকাশের জন্য”।

    এগুলো ছাড়াও কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র কাজ করছে স্পিরুলিনার(Spirulina) উপাদান সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য। স্পিরুলিনা ভেসলিন তারা ইতিমধ্যে তৈরি করেছে, যেটি চর্ম রোগের ক্ষেত্রে উপযোগী বলে মনে করছে তারা।
    স্পিরুলিনাতে (Spirulina) প্রোটিন ছাড়াও আয়রন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লেমিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে, যেটি একটি ভাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্স এরও কাজ করে। এটা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ক্যানসারের ক্ষেত্রেও সদর্থক ভূমিকা নেয় স্পিরুলিনা। বিদেশে ১ কেজি স্পিরুলিনার দাম ২০০০ টাকা, কিন্তু কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বলছে, এই দেশে এটি প্রতি কেজি ৫০০ টাকাতে বিক্রি করাতে পারবে তারা, যাতে ভবিষ্যতে ভারতের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি না ছড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • kalpataru Utsav: ‘কল্পতরু উৎসব’-এর মাহাত্ম্য জানুন

    kalpataru Utsav: ‘কল্পতরু উৎসব’-এর মাহাত্ম্য জানুন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: নতুন বছরের পয়লা দিন বলে কথা। তারপর আবার রবিবার। শীতের আমেজ বাঙালি উপভোগ করবে পিকনিকের আনন্দে। এ আর নতুন কী! তবে ফি বছর ১ জানুয়ারির গুরুত্ব বাঙালির কাছে অন্যভাবেও রয়েছে, এদিন কল্পতর উৎসব (kalpataru Utsav)। এদিনই বিশ্ব বিখ্যাত হিন্দু ধর্মের প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দের গুরু, ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁর শিষ্যদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “তোমাদের চৈতন্য হউক”। 

    ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী

    পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার কামারপুকুর গ্রামে ১৮৩৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি এক দরিদ্র বৈষ্ণব ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং চন্দ্রমণি দেবীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কথিত আছে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে গয়া তীর্থ ভ্রমণে গিয়ে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়, গদাধর বিষ্ণুকে স্বপ্নে দর্শন করেন। তাই নিজের চতুর্থ সন্তানের নাম তিনি রাখলেন গদাধর চট্টোপাধ্যায়। দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮৫৫ সালে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতায় আগমন ঘটে। কারণ মাহিষ্য সমাজের জমিদার পত্নী রানী রাসমণি দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। রানীমা প্রধান পুরোহিতের দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন কামারপুকুরের রামকুমারের হাতে। তরুণ গদাধর দাদাকে পূজা-অর্চনাতে সাহায্য করবেন। ১ বছরের মধ্যে ছন্দপতন। আকস্মিকভাবেই ১৮৫৬ সালে মৃত্যু হল রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন গদাধর চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন তিনি। মন্দিরের ঠিক উত্তর-পশ্চিম কোনে তরুণ পুরোহিতের জন্য একটি ছোট্ট ঘর বরাদ্দ করা হল। শোনা যায় এরপরেই রানী রাসমনির জামাতা মথুর বাবু গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের নামকরণ রামকৃষ্ণ করেন, তবে এ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে, কেউ কেউ বলেন যে তাঁর এই নামকরণ করেন ঠাকুরের অন্যতম গুরু তোতাপুরী। প্রথাগত শিক্ষা তাঁর কিছুই ছিলনা সেভাবে। কিন্তু মুখে মুখে বলে দিতেন হিন্দু শাস্ত্রের সমস্ত গূঢ়তত্ত্ব, অতি সরলভাষায়, একেবারে গল্পের ছলে। এজন্য তাঁকে গল্পের রাজাও বলা হয়। পরবর্তীকালে তাঁর এই বাণী সংকলিত হয় কথামৃত নামক গ্রন্থে। এরমধ্যে ঠাকুরের বিবাহ সম্পন্ন হয় কামারপুকুরের তিন মাইল উত্তর-পশ্চিমে জয়রামবাটী গ্রামের রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কন্যা সারদাদেবীর সঙ্গে। সেটা ১৮৫৯ সালে। এতদিনে বঙ্গীয় শিক্ষিত সমাজ তাঁকে গুরুর আসনে বসিয়ে ফেলেছে। শিষ্য তালিকায় স্থান পেয়েছেন কেশব চন্দ্র সেন সমেত অন্যান্য গন্যমান্যরা। 

    ১ জানুয়ারী ১৮৮৬

     শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধলে, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের নির্দেশে তিনি নিজেকে গৃহবন্দী রাখেন প্রায় এক মাস। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যান বাড়িতে উপস্থিত রয়েছেন প্রায় ৩০ জন মতো গৃহী ভক্ত। সকলে হাতে ফুল নিয়ে উপস্থিত। আজ ঠাকুরের দর্শন পাওয়া যাবে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক দুপুর তিনটে। দোতলা ঘর থেকে তিনি নেমে এলেন বাগানে। পরনে সেই চিরাচরিত পোশাক। লাল পেড়ে ধুতি। উপস্থিত গৃহী ভক্তরা তাঁদের হাতে রাখা ফুল ঠাকুরের চরণে অঞ্জলি দিতে থাকেন। কথিত আছে, ঠাকুর তখন নাট্যকার গিরিশ ঘোষকে বলেন, “হ্যাঁ গো,তুমি যে আমার নামে এত কিছু চারিদিকে বলো, তো আমি আসলে কী”? গিরিশ ঘোষ উত্তর দিলেন, “তুমিই নররূপ ধারী পূর্ণব্রহ্ম ভগবান, আমার মত পাপী তাপীদের মুক্তির জন্যই তোমার মর্ত্যে আগমন”। সবাই তখন ঠাকুরের চরণ স্পর্শ করল এবং ঠাকুর বললেন, “তোমাদের চৈতন্য হউক”।

    কিন্তু এদিনের উৎসবকে কল্পতরু (kalpataru Utsav) কেন বলা হয়?

    এর জন্য অবশ্য আমাদের পুরাণে ফিরতে হবে। হরিবংশ ইত্যাদি পুরাণে ‘কল্পতরু’র (kalpataru Utsav) উল্লেখ রয়েছে। দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, পুরাণ অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনকালে অমৃত, লক্ষ্মীদেবী, ঐরাবত ইত্যাদির সঙ্গে উঠে আসে একটি বৃক্ষ-ও। যাকে পারিজাত বৃক্ষ বলা হতো। পরবর্তীতে দেবরাজ ইন্দ্রের বিখ্যাত নন্দনকাননের স্থান পায় এই পারিজাত বৃক্ষ এবং সেখান থেকে স্ত্রী সত্যভামার আবদারে শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে নিয়ে আসেন এই বৃক্ষ। এই পারিজাত বৃক্ষকে-ই ‘কল্পতরু’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ সেই বৃক্ষ, যার কাছে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। কল্পতরু উৎসবের (kalpataru Utsav) দিন ঠাকুরের ভক্তরা তাঁকে অবতার রূপে মেনে নেন। কথিত আছে, সেদিন উপস্থিত সমস্ত ভক্তের মনোবাঞ্ছা ঠাকুরের কৃপায় পূরণ হয়েছিল। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, এই দিন ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব সকলের মনের ইচ্ছা পূরণ করেন।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Cough Syrup: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু উজবেকিস্তানে, তদন্ত শুরু কেন্দ্রের

    Cough Syrup: ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু উজবেকিস্তানে, তদন্ত শুরু কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে ১৮ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উজবেকিস্তান ভারতের একটি কাশির সিরাপের (Cough Syrup) সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল। এদিন উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যে সকল শিশু মারা গেছে তারা Doc-1 Max নামের কাশির সিরাপ খেয়েছে, যেটি তৈরি হয়েছে নয়ডার Marion Biotech সংস্থায়।

    ইতিমধ্যে ভারত সরকার এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং কাশির সিরাপের (Cough Syrup) প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন ওই সংস্থার তৈরি স্যাম্পল চন্ডীগড়ের “রিজিওনাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে” পাঠানো হয়েছে এবং পরীক্ষার পরেই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।

    অন্যদিকে উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সেদেশের ল্যাবরেটরিতে যে পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে সিরাপে (Cough Syrup) ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে যা একটি ক্ষতিকর উপাদান। এটা দেখা গেছে যে সাধারণভাবে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাড়ির অভিভাবকদের পরামর্শ মতোই ওই কাশির সিরাপগুলি (Cough Syrup) শিশুদের পান করানো হয়েছিল। দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত ওই সিরাপ শিশুদের দেওয়া হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর। ১৮ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে নয়ডার সিরাপ (Cough Syrup) প্রস্তুতকারক সংস্থার সমস্ত কাশির সিরাপকে উজবেকিস্তান থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আফ্রিকার গাম্বিয়া থেকেও একই অভিযোগ এসেছে, ওষুধের ভুয়ো সিন্ডিকেট ভাঙতে তৎপর কেন্দ্র

    সম্প্রতি গাম্বিয়াতে ভারতের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ওষুধ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক শিশুর। যা নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভুয়ো ওষুধ তৈরির কারবার এবং সিন্ডিকেট গুলো ভাঙতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গেছে কেন্দ্র স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ছটি দল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিতে গিয়ে তল্লাশির কাজ করবে এবং এই কেন্দ্রীয় দলকে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। গোটা বিষয়টি পরিচালনা করবে “সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।”
    এখনও পর্যন্ত সূত্রের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী হিমাচল প্রদেশের বারোটিরও বেশি ওষুধ কারখানায় এই অভিযান চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Japan: নিজেকে নেকড়ে বাঘের আদলে সাজালেন জাপানি নাগরিক, খরচ হল ১৮.৫ লাখ টাকা

    Japan: নিজেকে নেকড়ে বাঘের আদলে সাজালেন জাপানি নাগরিক, খরচ হল ১৮.৫ লাখ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে সখের দাম লাখ টাকা! এবার সেই সখ কিনতে ৩০ লক্ষ ইয়েন মানে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করলেন একজন জাপানি (Japan) নাগরিক। নিজেকে রূপান্তর করলেন একটি নেকড়ে বাঘে। পরিচ্ছেদটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন দেখে মনে হবে যে ওই নেকড়ে বাঘটি পিছনের পা দিয়ে হাঁটছে। ঠিক এমনি কস্টিউম তৈরি করল zeppet নামের একটি জাপানি (Japan) কোম্পানি। 

    নেকড়ে যিনি সাজবেন, তিনি কী বলছেন

    যার জন্য এমন পরিচ্ছেদ বানানো হলো অর্থাৎ যিনি নেকড়ের সাজে ঘুরে বেড়াবেন তাঁর ভাষায়, “ছোট থেকেই আমি জন্তু-জানোয়ার খুব ভালোবাসি। এবং তাদের প্রতি আমার এক আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। যখন ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম যদি কখনও আমি এদের মত হতে পারি! এদের সঙ্গে থাকতে পারি! তবে আজকে আমার সেই সখ পূরণ হয়েছে। এতদিন আমি তাদের টিভিতে দেখতাম, এবার নিজেকেও সেভাবে আমি সাজাতে পারব”।

    কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে যে ওই গ্রাহক অনেকবার স্টুডিওতে এসেছেন। মাপ দিতেন নিজের পরিচ্ছদের। বিভিন্ন নেকড়ে ছবিও দেখাতেন। কোম্পানি সূত্রে আরও জানা গেছে যে ওই সম্পূর্ণ পরিচ্ছদটি তৈরি করতে ৫০ দিনেরও বেশি সময় লেগেছে। জনৈক ব্যক্তি বলেন, “যেদিন সমস্ত কিছু সম্পূর্ণ হল, সেদিন আমি এটি গায়ে চাপিয়ে দেখলাম। আয়নার সামনে যখন দাঁড়ালাম তখন মনে হল যে আমার স্বপ্ন সত্যিই পূরণ হয়েছে। জিনিসটি খুবই আরামদায়ক এবং যথেষ্ট বায়ু চলাচল করে ভিতরে। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়না। কোম্পানি যারা জিনিসটি বানিয়েছে খুব ভালই তৈরি করেছে। কোম্পানিকে ধন্যবাদ”। 
    প্রসঙ্গত, এই কোম্পানি এর আগেও এরকম পরিচ্ছদ বানিয়েছে। কয়েকদিন আগে একজন কুকুরের পরিচ্ছদ বানিয়েছিল। ভারতীয় মুদ্রায় তখন খরচ হয়েছিল ১২ লক্ষ।

    আরও পড়ুন: জোম্যাটো থেকে একবছরে ২৮ লক্ষ টাকার বেশি খাবার অর্ডার পুণের ব্যক্তির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Zomato: জোম্যাটো থেকে একবছরে ২৮ লক্ষ টাকার বেশি খাবার অর্ডার পুণের ব্যক্তির

    Zomato: জোম্যাটো থেকে একবছরে ২৮ লক্ষ টাকার বেশি খাবার অর্ডার পুণের ব্যক্তির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা গোটা বছরে আপনি কত টাকার খাবার খেতে পারেন ?  প্রতিমাসে নিশ্চয় দু লক্ষ টাকার বেশি খাবার খেতে পারবেন না। সম্প্রতি জোম্যাটো (Zomato) সূত্রে জানা গেছে ২০২২ সালে পুণের এক ব্যক্তি ২৮ লক্ষ টাকার খাবার অর্ডার করিয়েছেন। জোম্যাটো (Zomato) তা শেয়ার করেছে নিজেদের ইনস্টাগ্রামে। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তি জোম্যাটোর (Zomato) তরফ থেকে Biggest Foddie তকমাও পেয়েছেন। ওই ব্যক্তি ২০২২ সালে মোট খাবার অর্ডার করিয়েছেন ২৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬১১ টাকার। জোম্যাটো ইতিমধ্যে তাদের এই সব থেকে দামী গ্রাহকের কথা পোস্ট করেছে নিজেদের ইনস্টাগ্রামে।

    অন্য আরেকটি পোস্টে জোম্যাটো (Zomato) ধন্যবাদ জানিয়েছে রাহুল নামের এক জনৈক ব্যক্তিকে, যিনি কিনা ২০২২ সালে মোট ১০৯৮ টি কেকের অর্ডার করিয়েছেন। আবার টিনা নামের এক মহিলা ২৫০০০ টাকার উপর পিজা অর্ডার করিয়েছেন বলে জোম্যাটো (Zomato) সূত্রে জানা গেছে। তাঁকেও নিজেদের ইনস্টাগ্রাম থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জোম্যাটো।

    সুইগিতে প্রতি মিনিটে রেকর্ড বিরিয়ানি অর্ডার করা হয়

    অনলাইনে অর্ডার করাতে করাতে আপনি যদি ভাবেন যে আপনি বাড়ির খাবারের থেকে বেশি অনলাইনে অর্ডার করা খাবার খাচ্ছেন তাহলে আপনাদেরকে জানতে হবে দিল্লির জনৈক অঙ্কুরের কথা, যে ২০২২ সালে ৩৩০০টিরও বেশি অর্ডার খাবার করিয়েছে জোম্যাটো (Zomato) থেকে।
    প্রতিদিন ৯ টিরও বেশি খাবার অর্ডার করেছে দিল্লির অঙ্কুর। অর্ডার করা খাবার সময় মত পৌঁছানোর জন্য জোম্যাটোকে (Zomato) ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন গ্রাহক। যেমন গুজরাটের যশ নামে একজন গ্রাহক ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই সংস্থাকে, সময়মত খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে বিরিয়ানি বিক্রিতে রেকর্ড তৈরি করেছে সুইগি। তাদের পরিসংখ্যান বলছে যে সব থেকে বেশি অর্ডার হয় বিরিয়ানি। প্রতি মিনিটে গড়ে প্রায় ১৩৭ প্লেট বিরিয়ানি অর্ডার হয় জনপ্রিয় এই অ্যাপস থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Gujarat: গুজরাটে বাস এবং গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু ৯ জনের

    Gujarat: গুজরাটে বাস এবং গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু ৯ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) জাতীয় সড়কে  মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল। চারচাকা গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবোঝাই বাসের সামনাসামনি সংঘর্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী আহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। শুক্রবার রাতে গুজরাটের (Gujarat) নবসারী জেলায় ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীবোঝাই বাসটি আহমেদাবাদের দিক থেকে আসছিল বলে জানা গেছে। বাস আরোহীরা প্রত্যেকেই প্রায় আহমেদাবাদের প্রমুখ স্বামী মহারাজ শতাব্দী মহোৎসব থেকে ফিরছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর এই উৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুলিশ রিপোর্ট কী বলছে?

    পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার দিন রাতে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবোঝাই বাসটি ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়িটিতে।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে উপত্যকায় দেশের সুরক্ষার দায়িত্বে পুরুষদের সঙ্গে থাকবেন মহিলা সিআরপিএফরাও

    গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, বাসযাত্রীদের মধ্যেও কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ২৮। পুলিশ জানিয়েছে, বাসের চালক দুর্ঘটনার পর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
    এদিনের এই ঘটনায় শোক জানিয়ে ট্যুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি লেখেন, “এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। নিহতদের জন্য আমি শোক প্রকাশ করছি এবং তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি”।

    আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে আমানত ও সঞ্চয়ের উপরে সুদের হার বৃদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় সরকার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     
LinkedIn
Share