Author: user

  • Interest Rate: পোস্ট অফিসে আমানত ও সঞ্চয়ের উপরে সুদের হার বৃদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় সরকার

    Interest Rate: পোস্ট অফিসে আমানত ও সঞ্চয়ের উপরে সুদের হার বৃদ্ধি করছে কেন্দ্রীয় সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোস্ট অফিসের বিভিন্ন প্রকল্পের উপর কেন্দ্রীয় সরকার সুদের হার (Interest Rate) বৃদ্ধি করছে। শুধুমাত্র পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) এবং কন্যা সন্তানদের প্রকল্প সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার ক্ষেত্রে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, সিনিয়র সিটিজেনদের সেভিংস প্রকল্প এবং কিষান বিকাশ পত্র এই দুটো প্রকল্পের ক্ষেত্রে সুদের হার (Interest Rate) বৃদ্ধি হচ্ছে ১.১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার বদলে নিয়োগ হওয়া ববিতার চাকরি নিয়েও সংশয় 

    অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে যে কিষাণ বিকাশ পত্রে এখন সুদ (Interest Rate) পাওয়া যাবে ৭.২ শতাংশ এবং ম্যাচুরিটি হবে ১২০ মাসে। বর্তমানে কিষান বিকাশ পত্রের সুদ ৭ শতাংশ দেওয়া হয় এবং সেটির ম্যাচুরিটি হয় ১২৩ মাসে।

    আরও পড়ুন: ভুঁড়ি আর ওজন কমাতে এই খাবারগুলি প্রাতরাশে রাখুন

    কন্যা সন্তানদের প্রকল্প সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, সেটির সুদ (Interest Rate) ৭.৬ শতাংশই থাকছে। অন্যদিকে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ ৭.১ শতাংশই থাকছে। সেভিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদের হার (Interest Rate) বছরে ৪ শতাংশই থাকছে। 

    চলতি বছরে রেপো রেট অনেকটাই বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    প্রসঙ্গত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চলতি বছরের মে মাস থেকে রেপো রেট অনেকটাই বাড়িয়েছে। ২.২৫ শতাংশ থেকে রেপো রেট বেড়ে হয়েছে ৬.২৫ শতাংশ। চলতি মাসের শুরুর দিকে রেপো রেট বেড়েছে ০.৩৫ শতাংশ, এই নিয়ে পঞ্চম বার রেপো বৃদ্ধি হয়েছে। ০.৪ শতাংশ রেপো রেট বৃদ্ধি হয়েছিল চলতি বছরের মে মাসে এবং ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল  চলতি বছরের জুন, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে। রেপো রেটের এই বৃদ্ধির কারণেই ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে আমানতের উপর সুদের হার (Interest Rate) বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mathematics in Ancient India: প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চা

    Mathematics in Ancient India: প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের দুটি পর্বে আমরা প্রাচীন ভারতের বেদ এবং ঋষিদের ভূমিকা, প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান চর্চা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছি। বিশ্বের গণিত কোষকে প্রাচীন ভারত নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আজকে আমরা প্রাচীন ভারতের কয়েকজন বিখ্যাত গণিতজ্ঞ এবং গণিত ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান (Mathematics in Ancient India) নিয়ে আলোচনা করব।

    প্রথম পর্ব: সনাতন ধর্মে ঋষি এবং বেদের ভূমিকা জানুন

    ১) মহর্ষি বৌধায়ন

    বৃত্তের অঙ্ক আমরা সবাই করেছি। বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয় হোক বা বৃত্তের পরিধি নির্ণয়, গণনাতে π অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি π এর মান ২২/৭। কিন্তু জানেন কী আনুষ্ঠানিকভাবে π আবিষ্কারের আগে ভারতবর্ষের এক গণিতজ্ঞ (Mathematics in Ancient India) এটা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বইতে। এই বিখ্যাত গনিতজ্ঞের নাম ছিল মহর্ষি বৌধায়ন। তাঁর লেখা বৌধায়ন সুল্বা সূত্র গ্রন্থে এসম্পর্কে তিনি বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেছেন। মূলত জ্যামিতির উপরে লেখা এই বইতে তিনি অসংখ্য উপপাদ্য সংকলন করেছেন। 

    দ্বিতীয় পর্ব: আলোর গতিবেগ, মহাকর্ষ বল, পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব নির্ণয়ের বিষয়ে বেদে কী বলা আছে জানেন?

    মহর্ষি বৌধায়ন জ্যামিতিতে পিথাগোরাসের উপপাদ্যের বিকল্প প্রমাণ দিতে পেরেছিলেন। পিথাগোরাসের জন্মেরও কয়েকশত বছর আগে বৌধায়ন এই পিথাগোরাসের উপপাদ্যের মত একটি উপপাদ্য লেখেন।

    এছাড়াও বৌধায়ন ‘২’-সংখ্যাটির বর্গমূল বের করার চেষ্টা করেছিলেন; যার মান পেয়েছিলেন ১.৪১৪২১৬, যা দশমিকের পর পাঁচ অঙ্ক পর্যন্ত সঠিক ছিল।

    ২) মহর্ষি আর্যভট্ট

    মহর্ষি আর্যভট্ট প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের (Mathematics in Ancient India) মধ্যে একজন। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে  “আর্যভট্ট” রাখা হয়।
    আর্যভট্টের অন্যতম ভাষ্যকার প্রথম ভাস্করের ভাষ্য অনুযায়ী মহান এই গণিতজ্ঞের জন্ম হয়েছিল অশ্মকা নামের একটি জায়গায়। প্রাচীন বৌদ্ধ এবং হিন্দু রীতিতে এই জায়গাটিকে নর্মদা এবং গোদাবরী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে দক্ষিণ গুজরাত এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের আশেপাশের একটি জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একাধারে আর্যভট্ট ছিলেন সুমহান গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী এবং একজন পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর আবিষ্কার এবং গবেষণা সমস্ত কিছু সংকলিত হয়ে রয়েছে “The Aryabhattiya” এই বইতে। এখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে আধুনিক গণিতের বিভিন্ন তত্ত্ব, দশমিক পদ্ধতি, সংখ্যাতত্ত্ব, ত্রিকোণমিতি, জ্যামিতি এবং জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন বিষয়। 
    গণিতের (Mathematics in Ancient India) উপর তাঁর কাজকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
    প্রথমভাগ হল, গণিত (Mathematics)
    দ্বিতীয়ভাগ হল, কাল-ক্রিয়া (Time Calculation)
    তৃতীয়ভাগ হল, গোল (Sphere) 

    প্রথমভাগ অর্থাৎ গণিতে তিনি সংকলিত করেছেন দশমিক পদ্ধতিগুলি এবং তার সঙ্গে π এর মানও তিনি নির্ণয় করেছেন। আর্যভট্ট π এর মান নির্ণয় করেছিলেন, ৩.১৪১৬ । আধুনিক গণিতজ্ঞরা π এর মান নির্ণয় করেছেন ৩.১৪১৫৯ যা কিনা প্রাচীন ভারতীয় গণিতজ্ঞ (Mathematics in Ancient India) আর্যভট্টের গণনার মানের একেবারে কাছাকাছি।

    দ্বিতীয়ভাগ অর্থাৎ কাল-ক্রিয়াতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্বকে তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। এখানেই সংকলিত রয়েছে সূর্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রহের নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণের গতি সংক্রান্ত তত্ত্ব।

     তৃতীয়ভাগ অর্থাৎ গোল, এখানে রয়েছে প্রায়োগিক ত্রিকোণমিতি এবং জ্যামিতির বিভিন্ন তত্ত্ব।
    আর্যভট্ট শূন্য আবিষ্কার করেছিলেন, যেটি গণিতের ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের একটি বড় অবদান (Mathematics in Ancient India)।

    ৩) মহর্ষি ব্রহ্মগুপ্ত

    প্রাচীন ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা গণিতজ্ঞ (Mathematics in Ancient India) ছিলেন মহর্ষি ব্রহ্মগুপ্ত। শূন্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তিনি লিপিবদ্ধ করে গেছেন। প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম কেন্দ্র “astronomical observatory of Ujjain”-এর তিনিই ছিলেন প্রধান। সমগ্র জীবনে তিনি চারটি বই লিখেছিলেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিতের বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে। তার মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত বইটি হল ব্রহ্ম-ষ্পুত্র-সিদ্ধান্ত।
    তিনি উল্লেখ করে গেছেন যে এক বছর মানে হল ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট ৯ সেকেন্ড। প্রাচীন এই গণিতজ্ঞ গণনা করেছিলেন পৃথিবীর পরিধি। গণনায় মান এসেছিল ৩৬০০০ কিলোমিটার বা ২২,৫০০ মাইল। ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক সংখ্যা সম্পর্কেও তিনি ধারণা দিতে পেরেছিলেন।

    ৪) মহর্ষি দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য

    মহর্ষি দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য একজন খ্যাতনামা প্রাচীন ভারতীয় গণিতজ্ঞ (Mathematics in Ancient India) এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন। যিনি ব্রহ্মগুপ্তের সংখ্যাতত্ত্বের উপর কাজ করেছিলেন। তাঁর কাজ সংকলিত আছে ছটি খন্ডে। এগুলি হল
    লীলাবতী- Mathematics
    বীজগণিত- Algebra
    গণিত অধ্যায়- Mathematical Astronomy
    গোল অধ্যায়- Sphere
    কর্ণকুটুহল- Calculation of Astronomical on dots
    ভাসানভাষ্য- সিদ্ধান্ত শিরোমণির উপর ভাস্করাচার্যের নিজের বক্তব্য লিপিবদ্ধ রয়েছে এই গ্রন্থে।
    বিবরণ- এটিও তাঁর বক্তব্য একটি সংকলন।
    সিদ্ধান্ত শিরোমনি গ্রন্থে তিনি বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
    অন্যদিকে তাঁর রচিত সূর্যসিদ্ধান্ত গ্রন্থটিতে তিনি অভিকর্ষ বল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

    প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন গণিতজ্ঞ (Mathematics in Ancient India) সারা বিশ্বের গণিত চর্চা কে সমৃদ্ধ করেছেন। শূন্য আবিষ্কার,ত্রিকোণমিতি, বীজগণিত, জ্যামিতি, জ্যোতিষ বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব, অ্যালগরিদম ইত্যাদির দ্বারা। প্রাচীন ভারতের গণিত চর্চায় (Mathematics in Ancient India) আরও যে নামগুলি উল্লেখ করতেই হবে সেগুলি হল হলায়ুধ, ভদ্রবাহ, মহাবীর, জয়দেব, হেমচন্দ্র, বীরসেনা ইত্যাদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • BF7 on Heart Patient: করোনার বিপদ থেকে হৃদরোগীদের সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা

    BF7 on Heart Patient: করোনার বিপদ থেকে হৃদরোগীদের সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনার সংক্রমণ। ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ সেভেন সেদেশে দাপট দেখাচ্ছে। এমত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উচ্চস্তরীয় একটি রিভিউ মিটিং ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বড়দিনে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন যে  “উৎসবকে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করুন কিন্তু অবশ্যই সতর্ক থেকে। যদি আমরা সতর্ক থাকি তাহলে আমরা অবশ্যই নিরাপদ থাকবো এবং আনন্দও করতে পারব।”
    যদিও ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে ভারতবর্ষের পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক নয় এবং কোন অবস্থাতেই দেশবাসী যেন আতঙ্কিত না হন কিন্তু সকলকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ রয়েছে  যাঁরা হৃদরোগী (BF7 on Heart Patient)  আছেন তাঁরা যেন এই সময়ে অবশ্যই সতর্ক থাকেন।

    আরও পড়ুন: এখনই মাস্ক-যুগ ফিরছে না ভারতে, আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা 

    করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট হার্টকে (BF7 on Heart Patient)  কিভাবে আক্রান্ত করে

    ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ সেভেন ফুসফুসে ব্যাপক সংক্রমণ করতে পারে এর ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। তখন হার্টের (BF7 on Heart Patient)  পক্ষে রক্ত পাম্প করা কঠিন হয়ে পড়ে। এইরকম ঘটনা যখন ঘটবে তখন যাদের পূর্ববর্তী হৃদরোগের রেকর্ড রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সেটা সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে।

    আরও পড়ুন: চিনে চলছে করোনার দাপট, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কতগুলি উপায় জেনে নিন

    করোনারি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ সেভেন হার্টকে (BF7 on Heart Patient)  সরাসরি সংক্রমিত করলে myocarditis infection, pulmonary embolism, heart attack এ সমস্ত কিছুই হতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যখনই এই জাতীয় কিছু সমস্যা দেখা দেবে তখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন রোগী যেন সত্ত্বর যেকোনও হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বর মাসে চিনে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি! চাঞ্চল্যকর দাবি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ফিরল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্মৃতি! ফের সরকারি অনুষ্ঠানে দেওয়া হল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তার জেরে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে’র যাত্রার সূচনা করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকা নেড়ে। রাজ্যপালের অনুরোধে দিলেন বক্তৃতাও। তবে সেটাও করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বিসদৃশ আচরণে তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্লাটফর্মে আয়োজন করা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে এদিন ভোরে মা হীরাবেন মোদি প্রয়াত হওয়ায় ভার্চুয়ালি ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। সেই সময় দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। দর্শকদের থামানোর চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    রেলের পদস্থ আধিকারিকরাও চেষ্টা করেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। পুরো সময়টাই গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মঞ্চে ওঠেননি। হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেও পুরো অনুষ্ঠান পর্ব মমতা বসে রইলেন মঞ্চের পাশের একটি চেয়ারে। রাজ্যপালের অনুরোধে অবশ্য বক্তব্য রাখতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের যাত্রার। এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মা হীরাবেন মোদির উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করেন মমতা। আলাদা করে উল্লেখ করেন জোকা-তারাতলা মেট্রোর কথাও। এদিন ভার্চুয়ালি এই মেট্রোর সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা স্বয়ং। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠতেই দর্শক আসনে থাকা দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। ক্ষোভে সেদিন বক্তৃতা মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Flat Tummy: ভুঁড়ি আর ওজন কমাতে এই খাবারগুলি প্রাতঃরাশে রাখুন

    Flat Tummy: ভুঁড়ি আর ওজন কমাতে এই খাবারগুলি প্রাতঃরাশে রাখুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুঁড়ি নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে কেউ সকালে ছোটেন কেউ বা আবার জিমে যায়। সকলেই চায় মেদহীন পেশীবহুল একটি শরীর, কিন্তু এই ভুঁড়ি যাতে না হয় (Flat Tummy) এজন্য অনেকে আবার খাবার এড়িয়ে চলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কখনও খাবার এড়িয়ে চলা উচিত নয় এবং প্রাতরাশ প্রত্যেকের অবশ্যই করা উচিত। কারণ এটা মেটাবলিজম ঠিক রাখে।

    কিন্তু পেটের মেদ কমানোর (Flat Tummy) জন্য বা সোজা কথায় ভুঁড়ি কমানোর (Flat Tummy) জন্য কোন কোন বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে? পেটের চর্বিকে বলে Visceral fat, এটি একধরনের বিপজ্জনক ফ্যাট, অন্তত বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন। কারণ টাইপ-টু ডায়াবেটিস বা যে কোনও হৃদরোগের কারণ হল এই ফ্যাট। আজকে আমরা প্রাতঃরাশের কিছু খাবার সম্পর্কে বলব যেগুলো পেটের ফ্যাট কমাতে সহায়ক। 

    ১) ওটমিল (Oatmeal)

    প্রাতঃরাশে ওটমিল খাওয়া খুবই উপযোগী তাঁদের পক্ষে যাঁরা নিজের পেটকে বাড়তে দিতে চান না (Flat Tummy) । এখানে খুব অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যার ফলে এনার্জি পাওয়া যায় আবার প্রাতঃরাশের এই খাবারে ব্লাড সুগার লেভেল কখনও বাড়ে না। ওটমিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে যার ফলে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব ভাল মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২) ডিম (Eggs)

    সিদ্ধ ডিম কার না পছন্দ। সঙ্গে যদি বিট লবণ এবং গোলমরিচের গুঁড়ো থাকে। ডিম সাধারণভাবে একটি উপাদেয় খাদ্য। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যেটি ব্লাড সুগারের ভারসাম্য ঠিক রাখে। মেটাবলিজমকেও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ডিম।

    ৩) প্রোটিন শেক (Protein shakes)

    নিজের পেটকে যারা অযথা বাড়তে দিতে চান না (Flat Tummy) তাদের জন্য এটি একটি ভাল উপাদেয় ব্রেকফাস্ট এখানে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন থাকে এবং প্রাতঃরাশে প্রোটিন এর মাধ্যমে পাওয়া যায়

    ৪) ইয়োগার্ট বা টক দই ( Greek Yogurt)

    ইয়োগার্ট বা দক দই একটি উপাদেয় খাবার। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে। বিশেষজ্ঞ বলছেন এই খাবার ভুঁড়ি কমানোর (Flat Tummy) পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য লাগে।

    ৫) চিকেন সসেজ (chicken sausage)

     পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায় চিকেন সসেজ-এর মাধ্যমে। এটি যেমন ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। পেটের ফ্যাট কমাতে (Flat Tummy) চিকেন সসেজের জুড়ি মেলা ভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Microsoft Excel: নতুন ফিচার আসছে মাইক্রোসফট এক্সেলে, সময় বাঁচবে অনেকটাই

    Microsoft Excel: নতুন ফিচার আসছে মাইক্রোসফট এক্সেলে, সময় বাঁচবে অনেকটাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও অফিসিয়াল কাজ মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel) ছাড়া হয়না বললেই চলে। একথা বলাই যায় যে অফিস মানেই এক্সেল। এই এক্সেলের কাজ করা যাতে আরও সহজ হয় সেই ব্যবস্থাই করছে সংস্থা। আসতে চলেছে নতুন ফিচার।
    ইতিমধ্যে মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে যে এক্সেলের ফিচারগুলি  আরও বেশি আধুনিক হবে। সম্প্রতি “ফর্মুলা সাজেশন” এবং “ফর্মুলা বাই এক্সাম্পেল” এই নামের দুটি ফিচার যোগ করেছে উইন্ডোজের নির্মাতা। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে এই দুটি ফিচারে কাজ করা আরও সহজ হবে। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে আপাতত কেবল মাইক্রোসফট ৩৬৫-এর মধ্যে থাকা এক্সেল সফটওয়্যারের ওয়েব ভার্সনেই মিলবে এই নতুন ফিচারগুলো।

    আরও পড়ুন: ভুল করে ‘ডিলিট ফর মি’ করে ফেলেছেন? এবার ‘আনডু’ ফিচার আসছে হোয়াটসঅ্যাপে 

     

    ফিচারগুলির কাজ কী হবে

    ফর্মুলা সাজেশন নামের এই ফিচারটির সম্পর্কে জানা যাচ্ছে যে এক্সেলে যে কোন সেলে সমান চিহ্ন টাইপ করলে আশেপাশে ডেটার ভিত্তিতে সম্ভাব্য ফর্মুলাগুলো সম্পর্কে জানান দেবে এই ফিচারটি।
    সংস্থা সূত্রে খবর যে আপাতত কেবল ইংরেজিতেই কাজ করবে এই ফর্মুলা সাজেশন। ফিচারটি যোগফল নির্ণয় করতে, গড় নির্ণয় করতে, মোট সংখ্যা বের করতে, সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন বিভিন্ন বিষয় নির্ধারণের জন্য যে ফর্মুলাগুলো রয়েছে, সেগুলো পরামর্শ আকারে দেখাবে ব্যবহারকারীকে। এই ফিচারের ফলে এক্সেল ব্যবহারকারীদের সময় অনেকটাই বাঁচবে বলে মনে করছে সংস্থা।
    অন্যদিকে “ফর্মুলা বাই এক্সাম্পেল” ফিচারটিও নতুন ধরনের।

    আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর থেকে এই ফোনগুলোতে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ! আপনারটা নেই তো? দেখুন তালিকা

    সংস্থা সূত্রে জানা গেছে এটি ডেটার মধ্যে প্যাটার্ন চিহ্নিত করে ওই নির্দিষ্ট কলামের বাকি অংশ পূরণ করতে পারবে।
    সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে এখনও সমস্ত ব্যবহারকারীর জন্য এই ফিচার চালু হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura: ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি হল ত্রিপুরার সরকারী কর্মীদের

    Tripura: ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি হল ত্রিপুরার সরকারী কর্মীদের

    মাধ্যম নিজউ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন লাগাতার চলছে। বিষয়টি হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারী কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির আন্দোলনে পুলিশের ঘুঁষি মারার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। কেন্দ্র রাজ্য ডিএ-এর ব্যাপক ফারাক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্য সরকারের কর্মীরা। ঠিক এমন সময়ই বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতে (Tripura) সরকারী কর্মীদের ১২ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এদিন এই ঘোষণার ফলে সরকারি খাতে প্রতিমাসে অতিরিক্ত ১২০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ বছরে ১,৪৪০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: গ্লাভস ছাড়াই কোমর অবধি বরফের স্তুপ সরিয়ে এগিয়ে চলেছেন জওয়ান, দেখুন ভিডিও

    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কী বললেন

     ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা মঙ্গলবার এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। এই বর্ধিত মহার্ঘভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশন ভোগীদের জন্য চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এই ঘোষণার ফলে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা ৮% থেকে বেড়ে ২০% হয়ে গেল। সরকারের এমন ঘোষণায় খুশি রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা। সরকারি সূত্রে জানা গেছে রাজ্যের মোট সরকারী কর্মীর সংখ্যা ১,০৪,৬০০ জন এবং মোট ৮০,৮০০ জন পেনশনভোগী আছেন। এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধিতে এই বিপুল পরিমান সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা উপকৃত হবেন বলে জানা যাচ্ছে। আংশিক সময়ের কর্মচারীদেরও সাম্মানিক ভাতা দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
    মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন যে সরকারী কর্মচারীদের এবং তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
    উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা যিনি অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি বলেন যে সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় বিরোধীরা সমালোচনা করছিলেন, আজ সরকারের সিদ্ধান্ত সমস্ত সমালোচনার জবাব দিল। তিনি আরও বলেন রাজ্য সরকার, সরকারী কর্মচারীদের কথা ভেবে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর ফলে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Indian Army: কোমর অবধি পুরু বরফ ঠেলে এগিয়ে চলেছেন ভারতের জওয়ান, কুর্নিশ নেট পাড়ার

    Indian Army: কোমর অবধি পুরু বরফ ঠেলে এগিয়ে চলেছেন ভারতের জওয়ান, কুর্নিশ নেট পাড়ার

    মাধ্যম নিজউ ডেস্ক: দেশের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করেন তারা। বৈদেশিক শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ হোক অথবা দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব, সবটাই রয়েছে ভারতীয় সেনার (Indian Army) কাঁধে। মাতৃভূমির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় সেনা সদা নিয়োজিত। বর্ডার সিনেমার বিখ্যাত গান ‘সন্দেশা আতে হ্যায়…..’ আজও সমান জনপ্রিয় সারা ভারতব্যাপী। এই সিনেমায় সেনাদের জীবন ঠিক যেমনটা দেখানো হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে কোনও অংশে কম কঠিন নয় ভারতীয় সেনাদের (Indian Army)  জীবন। লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে গাওয়া ‘অ্যায় মেরে বতন কে লোগো কো…’ এই গান শুনে আবেগপ্রবণ হননা, এমন ভারতীয় খুব কমই আছেন। এই গানেও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয় দেশের সেনার কঠিন, বিপদসঙ্কুল জীবন এবং তাঁদের কর্তব্যবোধের প্রতি। যেকোনও চরম আবহাওয়াতেই তাঁরা কীভাবে কাজ করেন সেরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ওই সেনা জওয়ান (Indian Army)  কোমর অবধি কঠিন বরফের আবরণকে হাত দিয়ে সরিয়ে সরিয়ে এগিয়ে চলেছেন।

    মেজর জেনারেল রাজু চৌহানের ট্যুইট করা ভিডিও

    ভিডিও ক্লিপটি ট্যুইট করেছেন মেজর জেনারেল রাজু চৌহান। ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে যে এত কষ্টের মাঝেও ওই সেনা জওয়ান (Indian Army)  হাসিমুখে বরফ সরাচ্ছেন এবং এগিয়ে চলেছেন। মাঝখানে তাঁর রাইফেলটা অন্য এক জওয়ানকে তিনি দিলেন এবং হাত দিয়ে বরফ কেটে কেটে এগোতে থাকলেন। মেজর জেনারেল রাজু চৌহান ক্যাপশনে লিখেছেন, “দেশের এই তরুণ জওয়ানের (Indian Army)  মুখের হাসিটা একবার লক্ষ্য করুন আপনারা।”

    এখনও অব্দি এই ভাইরাল ভিডিওটি ১ লক্ষ ৯১ হাজারের উপর ভিউ হয়েছে যেখানে ৮৪৫৫ টি লাইক এবং অসংখ্য নেটিজনদের কমেন্ট দেখা যাচ্ছে। একজন কমেন্ট করেছেন, “কী কঠিন জীবন আমাদের হিরোদের কিন্তু তারপরেও তাঁরা নিজেদের মুখে হাসি রেখে এগিয়ে চলেছেন। এনাদের লক্ষ লক্ষ স্যালুট জানাই।” অপর একজন কমেন্ট করছেন, “কীভাবে কোনও রকম গ্লাভস ছাড়াই বরফ সরাচ্ছেন। এনারাই আসল সুপারম্যান।” অন্য একজন কমেন্ট করেছেন, “এই পরিস্থিতিতেও মুখে হাসি! এটা তাঁর মনের সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। আমরা বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, দেশ শান্তিতে ঘুমাতে পারে শুধুমাত্র এই জওয়ানদের (Indian Army)  জন্য।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Veer Bal Diwas: আজ ‘বীর বাল দিবস’, জানুন দশম শিখ গুরুর চারপুত্রের বীরত্বগাথার কাহিনী

    Veer Bal Diwas: আজ ‘বীর বাল দিবস’, জানুন দশম শিখ গুরুর চারপুত্রের বীরত্বগাথার কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিখদের নবম গুরু তেগবাহাদুরের মুন্ডচ্ছেদ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। বিধর্মীদের কাছে আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যুর মধ্যে মৃত্যুকেই সেদিন বেছে নিয়েছিলেন বীর তেগ বাহাদুর সিং। গুরু তেগ বাহাদুরের মৃত্যুর পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন গুরু গোবিন্দ সিং তখন তার বয়স মাত্র ৯ বছর।

    একদিকে গুরু গোবিন্দ সিং ছিলেন নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক। শিখদের পঞ্চ ‘ক’ অর্থাৎ কেশ, কাঙা, কারা, কৃপান ও কাচ্চেরার ঐতিহ্যের প্রচলনের পাশাপাশি শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিবকে শিখদের পরবর্তী ও চিরস্থায়ী গুরু হিসেবে ঘোষণাও করেন গোবিন্দ সিংই। গুরু গোবিন্দ সিংয়ের চার পুত্রের অসীম সাহসিকতা এবং বীরত্বগাথার (Veer Bal Divas) কথাই আজ আমরা জানব, যাঁদের  হত্যা করেছিল মোঘলরা। তাঁর চার পুত্রের নাম অজিত সিং, জুঝর সিং, জোরাওয়ার সিং এবং ফতেহ সিং। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতেই ২৬ ডিসেম্বর দিনটি ‘বীর বাল দিবস’ (Veer Bal Diwas) হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৯ জানুয়ারি এ কথা ঘোষণা করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শোনা যায় মুঘলরা অতর্কিতে শিখদের একটি দুর্গ আক্রমণ করে। যেখানে গুরু গোবিন্দ সিং এর পরিবার থাকতো। গুরু গোবিন্দ সিং মুঘলদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাইলেও তাঁর বাহিনী তাঁকে চলে যেতে বলে। এর পর গুরু গোবিন্দ সিংয়ের পরিবারসহ অন্যান্য শিখরা ওই দুর্গ ছেড়ে চলে যান। সবাই যখন সরসা নদী পার হচ্ছিলেন, তখন জলের স্রোত এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে, পুরো পরিবার আলাদা হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর গুরু গোবিন্দ সিং এবং দুই বড় সাহেবজাদা বাবা অজিত সিং এবং বাবা জুঝর সিং চমকৌরে পৌঁছাতে সক্ষম হন। মাতা গুজরি এবং দুই ছোট সাহেবজাদা বাবা জোরওয়ার সিং, বাবা ফতেহ সিং এবং গুরু সাহেব গাঙ্গু অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। এর পরে গাঙ্গু তাঁদের সবাইকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান কিন্তু এই খবর কোনওভাবে মুঘলদের কাছে চলে যায়। এর পরে উজির খান মাতা গুজরি ও ছোট সাহেবজাদাকে বন্দি করেন।

    কয়েক লক্ষ মুঘলের সঙ্গে ৪০ জন শিখের প্রবল যুদ্ধ

    ২২ ডিসেম্বর চামকৌরের যুদ্ধ শুরু হয় যেখানে শিখ এবং মুঘল বাহিনী মুখোমুখি হয়। মাত্র ৪০ জন শিখের সঙ্গে কয়েক লক্ষ মোঘলের এক অসম যুদ্ধ। কিন্তু কী অসম্ভব বীরত্বের সাক্ষী থাকল সেদিনের চমকৌর।  গুরু গোবিন্দ সিং শিখদের উৎসাহ দেন এবং তাঁদের দৃঢ়তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে বলেন। পরের দিনও এই যুদ্ধ চলতে থাকে। শিখদের যুদ্ধে শহিদ হতে দেখে  গুরু গোবিন্দ সিং-এর দুই পুত্র বাবা অজিত সিং এবং বাবা জুঝর সিং উভয়েই গুরু সাহেবের কাছে একে একে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি চান। গুরু সাহেব তাঁদের অনুমতি দেন। একের পর এক মুঘলকে হত্যা করতে থাকেন দুই সাহেবজাদা। প্রবল যুদ্ধে তাঁরা বীরগতি (Veer Bal Diwas) লাভ করেন। কয়েক লক্ষ বাহিনীর সঙ্গে মাত্র কয়েকজনের এই যুদ্ধ ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

    হর্ষরণ কাউরের আত্মবলিদান

    কথিত আছে যে ২৪ ডিসেম্বর গুরু গোবিন্দ সিং এই যুদ্ধে প্রবেশ করতে চান। কিন্তু অন্য শিখরা তাঁকে আবারও বাধা দেন। বাধ্য হয়ে গুরু সাহেব সেখান থেকে চলে যান। এরপর গুরু গোবিন্দ সিং একটি গ্রামে পৌঁছান, সেখানে তিনি হর্ষরণ কৌরের সঙ্গে দেখা করেন। যুদ্ধে শহিদ হওয়া শিখ ও সাহেবজাদাদের কথা জানতে পেরে তিনি গোপনে চমকৌরে পৌঁছে শহিদদের শেষকৃত্য করতে শুরু করেন। কথিত আছে, মুঘলরা চায়নি যে বীরগতি প্রাপ্তদের শেষকৃত্য এভাবে হোক। তারা চেয়েছিল শকুন মৃতদেহ খেয়ে ফেলুক। মুঘল সৈন্যরা তখন হরশরণ কৌরকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকেও আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং তিনিও শহিদ হন।

    বাবা জোরওয়ার সিং এবং বাবা ফতেহ সিং-এর আত্মবলিদান

    ২৬ ডিসেম্বর সিরহিন্দের নওয়াজ ওয়াজির খান মাতা গুজরি এবং সাহেবজাদা বাবা জোরওয়ার সিং এবং বাবা ফতেহ সিং উভয়কেই বন্দি করেন। উজির খান উভয় সাহেবজাদাকে তাঁর দরবারে ডাকেন এবং তাঁদের ধর্মান্তরিত করার হুমকি দেন। কিন্তু উভয় সাহেবজাদাই ‘জো বোলে সো নিহাল, সত শ্রী আকাল’ স্লোগান দিতে দিতে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করেন। উজির খান আবার হুমকি দেন, একদিনের মধ্যে ধর্মান্তরিত না হলে মরতে হবে। কথিত আছে যে, পরের দিন বন্দি মাতা গুজরি উভয় সাহেবজাদাকে পরম ভালোবাসায় প্রস্তুত করে আবার উজির খানের দরবারে পাঠান। এখানে আবার উজির খান তাঁদের ধর্মান্তরিত হতে বলেন, কিন্তু সাহেবজাদারা অস্বীকার করেন এবং আবার স্লোগান দিতে থাকেন। এ কথা শুনে উজির খান ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং উভয় সাহেবজাদাকে প্রাচীরের মধ্যে জীবন্ত কবর দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং বাকি দুই সাহেবজাদা এভাবেই বীরগতি (Veer Bal Divas) প্রাপ্ত হন। এই খবর মাতা গুজরির কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Brisk Walking: জেনে নিন হাঁটা না জগিং, শরীরের পক্ষে কোনটি ভাল

    Brisk Walking: জেনে নিন হাঁটা না জগিং, শরীরের পক্ষে কোনটি ভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস হোক বা গ্যাস অম্বল! জোরে হাঁটার (Brisk Walking) সমান ব্যায়াম নেই। সকালে বা বিকালে শহরাঞ্চলের পার্কগুলি দেখলেই তা বোঝা যায়। চিকিৎসকদের মতে, সকালে বা বিকালে প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন জোরে হাঁটা (Brisk Walking) রক্ত ​​প্রবাহকে উন্নত করতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।  আজকাল অনেক ফিটনেস বিশেষজ্ঞ দ্রুত হাঁটার (Brisk Walking) পরামর্শ দেন কারণ এটি স্ট্যামিনা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। জোরে হাঁটার (Brisk Walking) মতই আরেকটি ব্যায়াম হল জগিং। হাঁটার (Brisk Walking) চেয়ে বেশি গতি থাকবে কিন্তু দৌড়ানোর চেয়ে কম।এখন প্রশ্ন হল হাঁটা নাকি জগিং কোনটা বেশি কার্যকরী ? 

     অতিরিক্ত ওজন এখন বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যা। এই সমস্যা টেনে আনতে পারে নানা রোগ। নিয়মিত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো এগুলির সাহায্যে ওজন কমানো সম্ভব। এগুলির মধ্যে হাঁটা এবং জগিং বেশি জনপ্রিয়। 

     হাঁটা এবং জগিং-এর পার্থক্য

     জোরে জোরে হাঁটাচলা (Brisk Walking) করলে প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে ৫-৬ কিমি দূরত্ব যাওয়া যায়। জগিং-এর গতি দৌড়ানোর চেয়ে কম কিন্তু হাঁটার চেয়ে বেশি। দৌড়ানোর তুলনায়, জগিং-এ কম শক্তি খরচ হয়। চাপও কম থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোরে জোরে হাঁটলে (Brisk Walking) হৃদস্পন্দন ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। অন্যদিকে জগিং-এর ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দনের মাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। হাঁটুতে ব্যথা থাকলে জগিং-এর ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ হয়। তাই বয়স, শারীরিক অসুবিধা এসব কিছুই মাথায় রেখেই জগিং বা হাংটা যেকোনও একটা বাছা উচিত আমাদের। এমনটাই মত রয়েছে, চিকিৎসকদের। হাঁটাচলায় পা সর্বদা মাটিতে স্পর্শ করে থাকে। অন্যদিকে জগিং-এ মাটি থেকে একটা পা সবসময়ই উপরে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, পেশীর বৃদ্ধি, ওজন কমানো হোক বা ক্যালোরি কমানো সবক্ষেত্রেই হাঁটা (Brisk Walking) এবং জগিং দুটোই কার্যকরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share