Author: user

  • Vedic Civilization: আলোর গতিবেগ, মহাকর্ষ বল, পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব নির্ণয়ের বিষয়ে বেদে কী বলা আছে জানেন?

    Vedic Civilization: আলোর গতিবেগ, মহাকর্ষ বল, পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব নির্ণয়ের বিষয়ে বেদে কী বলা আছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিখ্যাত ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার রামানুজন বলেছিলেন, “অঙ্কের সেই সূত্রটির কোনও গুরুত্ব আমার কাছে নেই যে সূত্রটি থেকে আমি আধ্যাত্মিক বিচার না পাই।” আগের পর্বে আমরা আলোচনা করেছি, এই আধ্যাত্মিক বিচারই হল বেদের ভিত্তি। বৈদিক সভ্যতায় (Vedic Civilization) ৬০টিরও বেশি বিষয় পড়ানো হত যেগুলো সম্পর্কে বিস্তৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে পূর্ববর্তী পর্বে। মহাকাশ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা এসব কিছুই বৈদিক সভ্যতার (Vedic Civilization) পঠন-পাঠনের অন্যতম বিষয় ছিল। যুক্তিবাদী বৈদিক সভ্যতা সবকিছুকেই যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করেছে। ঋকবৈদিক যুগের বিভিন্ন শ্লোকে উল্লেখ রয়েছে আলোর গতিবেগ নির্ণয় সূত্র, মহাকর্ষ বল এবং অভিকর্ষ বল সম্পর্কে। অর্থাৎ স্যার আইজ্যাক নিউটনের আবিষ্কারের অনেক আগেই মহাকর্ষ বল সম্পর্কে বৈদিক ঋষিদের ধারণা ছিল একথা দৃঢ়ভাবে বলা যায়। ডালটনের পরমাণুবাদ সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীর থেকেই পড়ানোর রীতি রয়েছে ভারতের বিভিন্ন বোর্ডের সিলেবাসে এবং ডালটনের পরমাণুবাদের ব্যাখার আগে প্রতিটি লেখক যে ভূমিকাটি দেন সেখানে তাঁরা ভারতীয় দার্শনিক কনাদের কথা উল্লেখ করেন। পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা সম্পর্কে ধারণাও ভারতীয় দার্শনিকরা দিয়ে গেছেন। সে সময়ে প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না, রিসোর্সের অনেক অভাব ছিল তারপরেও এই সমস্ত ধারণা বেদে লিপিবদ্ধ করা রয়েছে বিভিন্ন শ্লোকের মাধ্যমে। যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক ধারণা বেদে রয়েছে তারমধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিক ধারণা সম্পর্কে আজকে আমরা জানব।

    প্রথম পর্ব: সনাতন ধর্মে ঋষি এবং বেদের ভূমিকা জানুন

    ১) আলোর গতিবেগ নিয়ে বেদের ব্যাখা

    স্কুল পাঠ্য বইতে আমরা সকলেই পড়েছি আলোকবিজ্ঞান। এই অধ্যায়ে পড়েছি যে আলোর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ১৮৬২৮২.৩৯৭ মাইল। কিন্তু জানেন কী প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতায় আলোর গতিবেগ গণনা করা হয়েছিল। গণনার হিসাব বর্তমান বিজ্ঞানীদের গণনার খুব কাছাকাছি এসেছিল। বৈদিক সভ্যতা অনুযায়ী আলোর গতিবেগ হল প্রতি সেকেন্ডে ১৮৫৭৯৩.৭৫ মাইল। কীভাবে আলোর গতিবেগ নির্ণয় করা হল, এবার আমরা জানবো।

    আলোকের গতিবেগ সম্বন্ধে বৈদিক ঋষিরা বলেছিলেন:

    “যোজনম্‌ সহস্ত্রে দোয়ে, দোয়ে শতে, দোয়ে চঃ যোজনে।
    একিনম্‌ নিমির্ষাদ্ধেন কর্মেনঃ নমস্তুতে।।” (ঋকবেদ ১.৫০.০৪)
     
    আসুন এবার শ্লোকটিকে আমরা ব্যাখ্যা করি।
    ঋকবৈদিক যুগে (Vedic Civilization) সময় এবং দূরত্বের বিভিন্ন একক ছিল। এগুলি হল নিমেষ, মুহূর্ত, কলা, কষ্ঠ, যোজন ইত্যাদি।
    ১ দিবারাত্রি = ৩০ মুহূর্ত = ২৪ ঘণ্টা
    ১ মুহূর্ত = ৩০ কাল    = ২৪/৩০ ঘণ্টা
    ১ কাল = ৩০ কষ্ঠ = ২৪/৩০×৩০= ১.৬ মিনিট
    ১ কষ্ঠ = ১৫ নিমেষ = ১.৬ ÷ ১৫ = ৩.২ সেকেন্ড
    ১ নিমেষ = ৩.২ ÷ ১৫ = ০.২১৩৩৩… সেকেন্ড

    যোজন মানে ৯ মাইল। এখন যদি গণনা করা হয় তাহলে এই শ্লোক অনুযায়ী, 
    (২২০২×৯) ÷ (০.২১৩৩৩/২ সেকেন্ড)=  ১৮৬২৮২.৩৯৭ মাইল/সেকেন্ড।

    ২) সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কী বলা আছে হনুমান চালিশায়

    আধুনিককালের বিজ্ঞানীরা গণনার মাধ্যমে নির্ণয় করতে পেরেছেন পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব। অপসূর হয় ৪ জুলাই এবং অনুসূর হয় ৩ জানুয়ারি। অনুসূরের সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সব থেকে কম হয় এবং অপসূরের সময় সবথেকে বেশি থাকে। অপসূরের সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব হয় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিলোমিটার। অনুসূরের সময় দূরত্ব হয় ১৪ কোটি ৭০ কিলোমিটার। জানেন কী পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের কথা হনুমান চালিশাতেও রয়েছে। প্রতি মঙ্গলবার বজরংবলীর পূজা আমরা করি। হনুমান চালিশা নিয়মিতভাবে পাঠ করি এবং সেখানকার ১৮ তম শ্লোকটি হল,

    যুগ সহস্র যোজন পর ভানু।
    লীল্যো তাহি মধুর ফল জানু।। 

    আসুন এবার গাণিতিক প্রয়োগ করে বিষয়টি স্পষ্ট করি।

    ১ যুগ = ১২০০০ বছর
    ১ সহস্র = ১০০০
    ১ যোজন = ৯ মাইল
    যুগ সহস্র যোজন = ১২০০০ × ১০০০ × ৯  = ১০৮,০০০,০০০ মাইল 
                              
    ১ মাইল = ১.৬ কিলোমিটার।
    ১০৮,০০০,০০০ × ১.৬  = ১৭২,৮০০,০০০ কিলোমিটার

    এবার NASA প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব কত জানেন? দূরত্বটি হল প্রায় ১৪,৯৬,০০০ কিলোমিটার।

    ৩) অভিকর্ষ ও মহাকর্ষ বল সম্পর্কে বেদের ব্যাখা

    স্যার আইজ্যাক নিউটনের বাগানে বসে আপেল পরা দেখার অনেক আগেই মহাকর্ষ বল এবং অভিকর্ষ বল সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছিলেন প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা। পৃথিবী সব বস্তুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এটাই হল অভিকর্ষ বল এবং মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তু কণা তাদের কেন্দ্র সংযোগকারী সরলরেখা বরাবর পরস্পর পরস্পরকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে এটাই হলো মহাকর্ষ বল। অর্থাৎ মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। এবার বেদে এই বিষয়ে কী বলা হচ্ছে জানা যাক।  

    “আকৃষ্ণেণ রজসা , বর্তমানো নিবেশয়ন্নমৃতং মর্তং চ।
    হিরণ্যেন সবিতা রথেনা দেবো যাতি ভুবনানি পশ্যান।।” 

    শ্লোকটির অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, শূন্যে প্রদক্ষিণরত সূর্য তার আকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পরিবারের সকল জাগতিক বস্তুকে অর্থাৎ কিনা সৌরজগতের প্রত্যেকটি গ্রহসমূহকে যথাস্থানে রাখে। কথিত আছে, এক গণিতবিদ প্রাচীনকালে তীর নিক্ষেপ দেখছিলেন এবং ভাবছিলেন যে তীরগুলি মাটিতেই কেন পড়ছে? তারপর তিনি বেদের এই শ্লোকটি সম্পর্কে অধ্যয়ন করেন এবং পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত শিরোমনি গ্রন্থে লেখেন, 

    “আকৃষ্টিশক্তিশ্চ মহীতয়া যৎ স্বস্থং গুরুং স্বাভিমুখং স্বশক্ত্যা”

    এর অর্থ হল, পৃথিবী সমস্ত গুরু বস্তুকে তার নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এটাই তো অভিকর্ষ বলের সংজ্ঞা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Covid Wave: চিনে চলছে করোনার দাপট, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কতগুলি উপায় জেনে নিন

    Covid Wave: চিনে চলছে করোনার দাপট, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কতগুলি উপায় জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক :চিনে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে করোনা (Covid Wave)। সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। সরকারি নথি বলছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বর্তমানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চিনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন নাকি খুব বেশি কার্যকরী নয় এবং বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের সাপেক্ষে এটি মাত্র ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কার্যকর। তবুও চিনের এমন ভয়াবহ অবস্থায় (Covid Wave) ভারতবর্ষেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নজরে পড়ছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিভিউ মিটিং-এ দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন যে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার (Covid Wave) জন্য রাজ্যের হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো, পর্যাপ্ত ওষুধ আছে কিনা এগুলো যেন তাঁরা নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে নজরদারি চালান । প্রসঙ্গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে ভারতবর্ষে করোনা ছড়িয়েছিল। প্রতিটা মানুষের জীবন জীবিকার উপর প্রভাব পড়েছিল এবং দেশের সমস্ত হাসপাতাল পরিকাঠামোগুলির কাছেও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ ছিল করোনা মোকাবিলা করার। চিনে করোনা ভাইরাসের মারাত্মক সংক্রমণের পরে এখন তাই করোনা বিধি মেনে চলার রীতি আবার শুরু হয়েছে।
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এরকম অবস্থায় কীভাবে আমরা নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখব। কীভাবে আমরা সতর্ক থাকবো। এবার এরকমই কতগুলো উপায় আমরা আলোচনা করছি।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বর মাসে চিনে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি! চাঞ্চল্যকর দাবি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার

    কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না

    ১) যদি ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকে তবে  সবগুলি ডোজ আগে সম্পূর্ণ করুন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যা যা গাইডলাইন আছে সেগুলোকেও মেনে চলুন।

    ২) করোনা বিধি মেনে চলুন। ভিড় এড়িয়ে চলুন এবং যারা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এই মুহূর্তে তাদের থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

    ৩) বাইরে বেরলে মাস্ক ব্যবহার করুন।

    ৪)  সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে নিজের হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

    ৫) যদি আপনার মধ্যে করোনার উপসর্গগুলি দেখা দেয় তাহলে নিজেকে আইসোলেট করে রাখুন।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার বিপদ (Covid Wave) সব থেকে বেশি বাড়ে ভিড়ের মধ্যে এবং দুজন ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব বজায় না থাকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে ঋষি এবং বেদের ভূমিকা জানুন

    Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মে ঋষি এবং বেদের ভূমিকা জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তসিন্ধু তীরে খ্রিস্টের জন্মের ২৫০০ বছর আগে বেদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এক সভ্যতা। বিভিন্ন সাহিত্যে, নাটকে কণ্ব মুনির আশ্রমে শকুন্তলার বেড়ে ওঠার গল্পতো খুবই জনপ্রিয়। প্রাচীন বৈদিক সভ্যতার সামাজিক জীবন আমাদের সামনে এইভাবেই চিত্রায়িত হয়।

    সনাতন ধর্মে (Sanatan Dharma) ঋষিদের ভূমিকা

    গৈরিক বসন পরিহিত গলায় রুদ্রাক্ষের মালা সমেত শ্বেত শুভ্র লম্বা দাড়ি, ঋষি শব্দ শুনলেই আমাদের মনে এমন এক পুরুষের চিত্র ভেসে ওঠে। ঋষি মানে মন্ত্রদ্রষ্টা। যাঁরা সংস্কার দান করেন। সংস্কৃতিকে ধারণ করে থাকবেন এবং জীবন বোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেবেন। প্রত্যেক বৈদিক ঋষিই ছিলেন এক একজন মহান যোগী যাঁরা ঘন অরণ্যে অথবা পর্বতের গুহায় তপস্যা করতেন। সর্বোচ্চ এবং শাশ্বত সত্যকে জানার তপস্যা। তপস্যায় তাঁরা যে জ্ঞান উপলব্ধি করতেন , সেই জ্ঞানই পরবর্তীকালে বেদ এবং বিভিন্ন মন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত হত। 

    প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা মহাকাশ বিজ্ঞান এবং প্রকৃতি সম্পর্কেও অনেক যুক্তিনির্ভর তথ্য দিয়েছেন। যেগুলি বর্তমানে সময়োপযোগী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এগুলি ছাড়াও  চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত, সাহিত্য, প্রযুক্তিবিদ্যা, শিল্পবিদ্যা, আধ্যাত্মিক বিদ্যা এসব বিষয়ের চর্চাও প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের মধ্যে ছিল বলে জানা যায়। শূন্যের আবিষ্কারক আর্যভট্ট, জ্যোতির্বিজ্ঞানী বরাহমিহির, চিকিৎসাশাস্ত্রে চরক, সুশ্রুত ইতিহাস প্রসিদ্ধ নাম।

    বৈদিক সভ্যতায় যে সমস্ত বিষয় ঋষিরা চর্চা করতেন সেগুলিকে সাধারণত বলা হত আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান, এটাই সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) মূল তত্ত্ব বলা যেতে পারে। ভারতীয় পরম্পরা এবং ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার যে ধারা, সেটিকে ভারতীয় মুনি ঋষিরাই প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করে গেছেন। প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতেন। সংস্কৃত ছন্দের মাধুর্যে উচ্চারিত হত বৈদিক শ্লোক। সারা পৃথিবীতে যখন লিখিত শব্দ অজ্ঞাত ছিল তখন কিন্তু ভারতীয় মুনি ঋষিদের স্মৃতিশক্তির কারণেই  ঋষিদের জ্ঞান এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মের মধ্যে প্রবাহিত হতো। একেই বলা হয় গুরু শিষ্য পরম্পরা। 

    প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতায় কোন কোন বিষয় পড়ানো হত

    আধুনিককালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা কিছু পড়ানো হয় প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সভ্যতায় (Sanatan Dharma) এর থেকে কম কিছু পড়ানো হতো না। সে সময়ে চতুরাশ্রমের কথাতো আমরা সকলেই জানি। ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস। ব্রহ্মচর্য পালনকালে শিষ্যরা গুরুগৃহে থেকে বিদ্যা আহরণ করতো। এই সময়ে শিষ্যকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান দান করতেন গুরু। কোন কোন বিষয় তখন গুরুগৃহে পড়ানো হত গুরুকুলে, তার একটি তালিকা একনজরে দেখা যাক। প্রথমে জেনে নিই বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিষয়ে কী কী পড়ানো হত।

    ১) অগ্নিবিদ্যা (Metallurgy)

    ২) বায়ুবিদ্যা (aviation)

    ৩) জলবিদ্যা (Navigation)

    ৪) অন্তরীক্ষবিদ্যা (Space Science)

    ৫) পৃথিবীবিদ্যা (Environment and Ecology)

    ৬) সূর্যবিদ্যা (Solar System Studies)

    ৭) চন্দ্রলোক বিদ্যা (Lunar Studies)

    ৮) মেঘ বিদ্যা (Weather Forecast) 

    ৯) পদার্থ-বিদ্যুৎবিদ্যা (Battery)

    ১০) সৌরশক্তি-বিদ্যা (Solar Energy)

    ১১) দিনরাত্রি-বিদ্যা (Day Night Studies)

    ১২) সৃষ্টিবিদ্যা (Space Research)

    ১৩) মহাকাশ বিজ্ঞান (Cosmic Science)

    ১৪) ভূগোলবিদ্যা (Geography)

    ১৫) কালবিদ্যা (Time)

    ১৬) ভূগর্ভ-বিদ্যা (Geology and Mining)

    ১৭) রত্ন এবং ধাতুবিদ্যা (Gemology and Metal)

    ১৮) আকর্ষণবিদ্যা (Gravity)

    ১৯) আলোকবিদ্যা (Optics)

    ২০) যোগাযোগ-বিদ্যা (Communication)

    ২১) বিমানবিদ্যা (Aviation)

    ২২) জলযান-বিদ্যা (Water Hydraulics Vessels)

    ২৩) অস্ত্রবিদ্যা (Arms and Ammunition)

    ২৪) জীবজন্তু বিজ্ঞান (Zoology Botany)

    ২৫) পদার্থবিদ্যা (Material science)

    বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় পড়ানোর রীতিও প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সভ্যতায় (Sanatan Dharma) প্রচলিত ছিল। এরকম ৩৫ টি বিষয় প্রাচীন ভারতীয় বৈদিক সভ্যতাতে পড়ানো হতো যেগুলি আমরা জানবো এবার এক নজরে।

    ১) বাণিজ্য (Commerce)

    ২) ভেষজ (Pharmacy)

    ৩) শল্যকর্ম বা চিকিৎসা (Diagonis and Surgery) 

    ৪) কৃষি (Agriculture)

    ৫) পশুপালন (Animal Husbandry)

    ৬) পাখি পালন (Birdkeeping)

    ৭) পশু প্রশিক্ষণ (Animal Training)

    ৮) যান যন্ত্রকার (Mechanics)

    ৯) রথকার (Vehicle Designing)

    ১০) রত্নকার (James Designing)

    ১১) সুবর্ণকার (Jewellery Designing)

    ১২) বস্ত্রকার (Textile)

    ১৩) কুম্ভকার (Pottery)

    ১৪) লৌহকার (Metallurgy)

    ১৫) তক্ষক (Toxicology)

    ১৬) রঙ্গসাজ (Dying)

    ১৭) রজ্জুকর (Logistics)

    ১৮) বাস্তুকার (Architect)

    ১৯) পাকবিদ্যা (Cooking)

    ২০) সারথ্য (Driving)

    ২১) নদীজল প্রবন্ধক (Water Management)

    ২২) সুচিকার (Data Entry)

    ২৩) গোশালা (Animal Husbandry)

    ২৪) নদী জল প্রবন্ধক (Water Management)

    ২৫) বাগানপাল (Horticulture)

    ২৬) বনপাল (Forestry)

    ২৭) বদ্যি (Paramedical)

    ২৮) অর্থশাস্ত্র (Economics)

    ২৯) তর্কশাস্ত্র (Logic)

    ৩০) ন্যায়শাস্ত্র  (Law)

    ৩১) নৌকাশাস্ত্র (Ship Building) 

    ৩২) রসায়ন শাস্ত্র  (Chemical Science)

    ৩৩) ব্রহ্মবিদ্যা (Cosmology)

    ৩৪) অথর্ববেদ (Atharvved)

    ৩৫) ব্যবচ্ছেদ (Postmortem)
     
    বেদ এবং স্মৃতির ভাগ

    প্রাচীন ভারতীয় পরম্পরায় (Sanatan Dharma) বৈদিক সাহিত্যের দুটি ভাগ ছিল। একটি শ্রুতি এবং অপরটি স্মৃতি। গুরুর মুখ থেকে শিষ্যরা শুনে শুনে বেদ মুখস্ত করতো তাই বেদের অপর নাম শ্রুতি এবং এই পরম্পরা এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে প্রবাহিত হত। শ্রুতির মধ্যে চারটি বেদ রয়েছে ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ। প্রতিটি বেদ আবার কতগুলি ভাগে বিভক্ত যেমন বেদাঙ্গ, উপবেদ, সংহিতা,  ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ। 

    প্রতিটি বেদাঙ্গের আবার ছ’টি ভাগ রয়েছে যেমন ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, নিরুক্ত, শিক্ষা, ছন্দ ও কল্প। প্রতিটি উপবেদের আবার চারটি ভাগ রয়েছে অর্থভেদ, ধনুর্বেদ, গন্ধর্ববেদ এবং আয়ুর্বেদ। 

    স্মৃতির মধ্যে পড়ছে ১৮ টি পুরাণ, তন্ত্রবিদ্যা, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সমেত বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্র-গুলি তার পাশাপাশি ঐতিহাসিক যে গ্রন্থ, মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারতও স্মৃতির মধ্যে পড়ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BF 7 Variant: ডিসেম্বর মাসে চিনে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি! চাঞ্চল্যকর দাবি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার

    BF 7 Variant: ডিসেম্বর মাসে চিনে করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি! চাঞ্চল্যকর দাবি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার যেন ২০২০ সালের সেই পুরনো চিনকে দেখা যাচ্ছে। যেখানে মৃত্যু মিছিল চলছে। করোনা রোগীর চাপে হাসপাতাল গুলিতে বেড নেই। ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BF 7 এর দাপট শুরু হয়েছে সারা চিন জুড়ে। সমগ্র দেশে সংকটজনক এবং উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি। চিনের এই উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানা রকম কারণের ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে চিনের তৈরি ভ্যাকসিন গুণগত মানে বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে এবং মাত্র ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন, বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের সাপেক্ষে। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে চিনে ৩৫ মাস ধরে চলেছে লকডাউন। এরফলে চিনা নাগরিকদের মধ্যে ন্যাচারাল ইমিউনিটি তৈরি হয়নি যার ফলে এই অবস্থা চলছে। সরকারি হিসাব বলছে যে প্রতিদিন ১০ লক্ষ করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং গড়ে ৫০০০ হাজার করে মানুষের মৃত্যু ঘটছে সে দেশে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম সরকারি এই পরিসংখ্যানকে মানতে নারাজ।

    কী বলছে গণমাধ্যম?

    রেডিও ফ্রি এশিয়া (Radio Free Asia) নামের একটি গণমাধ্যম চঞ্চল্যকর দাবি করছে যে সরকারি নথি ফাঁস হয়েছে এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি মানুষ! ওই গণমাধ্যমের আরও দাবি যে সরকার তথ্য গোপন করছে এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনছে অন্য কিছু ডেটা। যেমন ২০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে জানানো হয়েছে যে নতুন ভাবে করোনা হয়েছে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ।

    সে দেশের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ( South China Morning Post) সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, যে , ওমিক্রনের BF 7 এই সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেক বেশি এবং একজন BF 7 আক্রান্ত ব্যক্তি  ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রামিত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Corona in India: এখনই মাস্ক-যুগ ফিরছে না ভারতে, আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    Corona in India: এখনই মাস্ক-যুগ ফিরছে না ভারতে, আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর তাণ্ডবে সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে। চিনের এই করোনা পরিস্থিতিতে নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে আগামী মঙ্গলবার দেশের সমস্ত সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে মহড়া চলবে, করোনা (Corona in India) মোকাবিলায় পরিকাঠামো কতটা রয়েছে সেই বিষয়গুলোই জানা হবে মহড়াতে। দুদিন আগেই  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি (Corona in India) নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং করেছেন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে রাজ্যগুলিতে করোনা মোকাবিলায় (Corona in India) কেমন পরিকাঠামো রয়েছে তা যেন প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে এখন করোনা পরীক্ষা চলছে। বিশেষত চিন, জাপান, কোরিয়া থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা অনিবার্য করা হয়েছে। এরকম অবস্থায় ভারতীয়রা ভাবছেন যে লকডাউনের স্মৃতি কী আবার ফিরে আসবে? গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০১ জন।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

     আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন যে এখনই কোনও রকম মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কারণ চিন এবং ভারত দুই দেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আলাদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনে করোনার খুব কম কেসও যখন পাওয়া যেত তখনও সম্পূর্ণভাবে লকডাউন শুরু করে দিত চিন সরকার। যারফলে ৩৫ মাসব্যাপী লকডাউনে চিনা নাগরিকদের মধ্যে সেভাবে ন্যাচারাল ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন যে চিনের যে ভ্যাকসিন তা বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে গুণগতভাবে অনেক বেশি পিছিয়ে। তাই সেটা করোনা থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভারতবর্ষে এখনই তাই কোনও মাস্কযুগ ফিরে আসছে না। এটাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অন্যদিকে, ভারতবর্ষের কোভ্যাকসিন যারা তৈরি করেছে, সেই সিরাম-এর কর্ণধার পর্যন্ত কয়েকদিন আগে ট্যুইট করে বলেছেন যে আমরা যেন আমাদের কোভ্যাকসিনের (Corona in India) উপরে ভরসা রাখি এবং উদ্বেগ থেকে দূরে থাকি। এই মুহূর্তে আমরা যেন দেশের সরকারের উপরে আস্থা না হারাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Organic Farming: জৈব চাষে আগ্রহ থাকলে সরকারি প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে

    Organic Farming: জৈব চাষে আগ্রহ থাকলে সরকারি প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ন্যাশনাল মিশন অন ন্যাচারাল ফার্মিং” (National Mission On Natural Farming) এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্য বিভিন্ন গাইডলাইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের ২৫ অগাস্ট কৃষি মন্ত্রক জৈব চাষের (Organic Farming) বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে কিছু গাইডলাইনও রাখা হয়েছে। এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে গঙ্গা থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা এলাকাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জৈব চাষ (Organic Farming)  করার জন্য। অন্যদিকে যে সমস্ত অঞ্চল গুলিতে ভালো পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় এবং জমি উর্বর সেই এলাকাগুলোকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দেশের পার্বত্য অঞ্চল এবং বনাঞ্চল যেখানে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের বাস, সেই অঞ্চলগুলিকেও কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। তার কারণ এই সমস্ত তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটানো।

    প্রথম পর্ব: জানেন জৈব চাষ কেন এত লাভজনক ?

    কীভাবে হবে জৈব চাষের (Organic Farming)  বাস্তবায়ন

    ১) রাজ্য স্তরে জৈব চাষের (Organic Farming)  খুঁটিনাটি বিষয় দেখার জন্য রাজ্য সরকার যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে পারে।

    ২) জৈব চাষের (Organic Farming)  জন্য যাঁরা প্রশিক্ষক হবেন তাঁদের প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ৩) রাজ্যের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে কারা জৈব চাষের (Organic Farming)  সঙ্গে যুক্ত, রাজ্যকে সেই তালিকা জমা দিতে হবে কেন্দ্রের কাছে।

    ৪) প্রত্যেকটি রাজ্যকে পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে থেকে খুঁজে বের করতে হবে একজন জৈব চাষীকে, যিনি দু-তিন বছর যাবৎ এই জৈব চাষ (Organic Farming)  করছেন। তাঁকে বলা হবে চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer) । শর্ত অনুযায়ী তাঁর জমিতে ব্যবহারিকভাবে সমস্ত কিছু দেখানো হবে, জৈব চাষের (Organic Farming)  খুঁটিনাটি দিকগুলি সম্পর্কে এবং গোবর সার কিভাবে প্রস্তুত করা হয় ইত্যাদি বিষয়। এই চ্যাম্পিয়ন ফার্মারের (Champion Farmer) অবশ্যই ভালো কমিউনিকেশন স্কিল থাকতে হবে। রাজ্যের যে সমস্ত এজেন্সি থাকবে জৈব চাষকে (Organic Farming)  গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর অবধি নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই সমস্ত এজেন্সিগুলির সাথে সমন্বয় সাধন করবে এই চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer)। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই অন্য যেকোনোও একটি জৈব চাষী পরিবার থেকে একটি যুবককে রাখা হবে কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেন (Community Resource Person) হিসেবে। এই দুজনের অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer)  এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেনের (Community Resource Person) কাজ হবে কৃষকদের উৎসাহিত করা, পঞ্চায়েতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, সমস্ত কিছু মিটিং অ্যারেঞ্জ করা ইত্যাাদি। যে সমস্ত কৃষক জৈব চাষ (Organic Farming)  করতে ইচ্ছুক থাকবেন তাদেরকেও রেজিস্ট্রেশন করাবেন এই চ্যাম্পিয়ন ফার্মার এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেন (Community Resource Person)। চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer)  এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেনের (Community Resource Person)  নিয়োগ হবে চার বছরের জন্য এবং তাদেরকে সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হবে।

    দ্বিতীয় পর্ব: জৈব চাষের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ

    কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Farmer Field School)

    জৈব চাষের (Organic Farming)  বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School)। কৃষকদের প্রশিক্ষণ থেকে জৈব চাষ (Organic Farming)  করার খুঁটিনাটি দিকগুলি বোঝানো, জৈব চাষে উৎসাহ দান এবং জৈব চাষ যে খরচ সাশ্রয়ী এই সমস্ত বিষয়গুলি প্রচার করা হবে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) থেকে। প্রতিটি গ্রামে একটি করে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) চালু করার কথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে। একাধিক গ্রামের জন্য একটি ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) চালু করা হতে পারে যদি প্রয়োজন হয়। প্রথম বছরের জন্য এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School)  ৫০ জনের নাম নথিভুক্ত করবে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যস্তরের নিয়োগ করা এজেন্সি গুলির সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় সাধন করবে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School)। সাধারণভাবে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুলগুলিতে (Farmer Field School) কমিউনিটি রিসার্চ পার্সেন এবং চ্যাম্পিয়ন ফার্মারদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা, কিন্তু বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকার এই সমস্ত ফার্মার ফিল্ড স্কুলগুলিতে (Farmer Field School) ট্রেনার বা প্রশিক্ষক নিয়োগ করতে পারে। এই স্কুলের মাধ্যমে বছরে মোট ছয়টি ট্রেনিং করানো হবে জৈব চাষের বিষয়ে এবং প্রতিটি ট্রেনিংয়ের জন্য ৩০০০০ টাকা করে বরাদ্দ করবে সরকার।

                                                                                                (সমাপ্ত)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jio 5G: আগামী বছরেই দেশের সর্বত্র জিও ৫জি পরিষেবা, ঘোষণা মুকেশ আম্বানির

    Jio 5G: আগামী বছরেই দেশের সর্বত্র জিও ৫জি পরিষেবা, ঘোষণা মুকেশ আম্বানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুকেশ আম্বানি অভিনন্দন জানিয়েছেন jio টিমকে। দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থান অধিকার করার জন্য। এদিন তার পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি নতুন একটি জিও প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার কথাও বলেছেন যেটির নাম হবে রিলায়েন্স জিও ইনফোকম এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সলিউশন প্রদান করাই এই কোম্পানির কাজ হবে। 
    মুকেশ আম্বানির মতে, জিওর প্ল্যাটফর্ম ভারতের সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম হবে এবং সেটি সমস্ত ধরনের ডিজিটাল সলিউশন প্রদান করবে দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে।
    মুকেশ আম্বানি আরও যোগ করেন যে ২০২৩ সালে দেশের প্রতিটি প্রান্তে যখন Jio 5G সার্ভিস চালু হয়ে যাবে তখন উচ্চনীচ ভেদাভেদ বলে কিছু থাকবে না এবং প্রত্যেকটি প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা ভালোমানের শিক্ষা সমেত সমস্ত কিছুই পাবে।

    চলতি বছরে কয়েক মাস আগে রিলায়েন্স জিও (Relience Jio) দেশে এনেছে 5G সার্ভিস। এই 5G সার্ভিসকে রিলায়েন্স নামকরণ করেছে ট্রু (True) 5G সার্ভিস। প্রথম এই সার্ভিস চালু হয়েছে নতুন দিল্লিতে, এবার মুকেশ আম্বানির সংস্থা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে  দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে Jio 5G সার্ভিসকে পৌঁছে দেওয়ার।

    আরও পড়ুন: ফিরে দেখা সাল ২০২২! মহিলাদের স্বার্থে দেওয়া যুগান্তকারী কয়েকটি রায় শীর্ষ আদালতের

    রিলায়েন্স জিও সূত্রে জানা গেছে যে দেশের সমস্ত প্রান্তে 5G সার্ভিস তারা পৌঁছে দেবে ডিসেম্বর ২০২৩ এর মধ্যেই।

    নতুনভাবে কোন ১১ টি শহরে Jio 5G সার্ভিস চালু হল, সেটা এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

    ১) চন্ডিগড়

    ২) ত্রিবান্দ্রম

    ৩) মহীশূর

    ৪) লক্ষ্নৌ

    ৫) নাসিক

    ৬) ঔরঙ্গাবাদ

    ৭) মোহালি

    ৮) পাঁচকুলা

    ৯) জিরাকপুর

    ১০) খারর

    ১১) দেরাবাসসি

    ইতিমধ্যে যে শহরগুলিতে Jio 5G সার্ভিস আগেই চালু হয়েছে সেই শহর গুলো দেখবো।
    ১) দিল্লি

    ২) মুম্বাই

    ৩) বারানসি

    ৪) কলকাতা

    ৫) বেঙ্গালুরু

    ৬) হায়দ্রাবাদ

    ৭) চেন্নাই

    ৮) নাথদ্বারা

    ৯) পুনে

    ১০) গুরগ্রাম

    ১১) নয়ডা

    ১২) গাজিয়াবাদ

    ১৩) ফরিদাবাদ

    ১৪) গুজরাটের সমস্ত জেলা শহর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Tofu and Paneer: ওজন কমাতে চান? তাহলে বাদ দিন পনির, হেঁসেলে আনুন টোফু

    Tofu and Paneer: ওজন কমাতে চান? তাহলে বাদ দিন পনির, হেঁসেলে আনুন টোফু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  টোফু এবং পনির (Tofu and Paneer)  দুটোই হল জনপ্রিয় নিরামিষ খাবার। শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই নিরামিষ খাবার খান। এটা ঠিক যে খাদ্যাভ্যাস মানুষের রুচির উপর নির্ভর করে। কারও রুচিতে আমিষ ভালো তো কারও বা নিরামিষ। ভারতবর্ষের এমন অনেক সমাজ আছে যেখানে বংশপরম্পায় নিরামিষ খাবার চালু রয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে ভারতবর্ষে ৩৯ শতাংশ মানুষই নিরামিষভোজী। এটা সারা পৃথিবীর মধ্যে রেকর্ড হয়ে আছে।
    শরীর সুস্থ রাখতে ডায়েট চার্টে অনেকেই নিরামিষ আহারের উপর জোর দেন। আজকে আমরা এমনই দুটি নিরামিষ ডিশ নিয়ে আলোচনা করব। যে দুটি ডিশ খুবই জনপ্রিয়। একটি টোফু এবং অপরটি হলো পনির (Tofu and Paneer)। অনেক ভারতীয় মনে করেন যে পনিরের আরেক নামই হলো টোফু কিন্তু সেটা নয়। পনির এবং টোফু  দেখতে অনেকটা একইরকম কিন্তু তাদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

    টোফু এবং পনির (Tofu and Paneer) পার্থক্য

    ১) কীভাবে তৈরি হয় এই দুটি আইটেম

    প্রথমেই আমাদের জানতে হবে যে কীভাবে পনির তৈরি হয় এবং কিভাবে টোফু তৈরি হয়। টোফু  তৈরি হয় সোয়াবিনের দুধ থেকে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম লবণ দেওয়া ছাঁচে। অন্যদিকে পনির তৈরি হয় গরু, মোষ ইত্যাদির দুধ থেকে।

    ২) পুষ্টির মাত্রা 

    টোফুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। ১০০ গ্রাম টোফুর ক্যালোরির মান ১৪৪।
    অন্যদিকে পনিরের মধ্যে থাকে ক্যালরি, প্রোটিন, কার্ব, ক্যালসিয়াম এবং ফ্যাট। ১০০ গ্রাম পনিরের মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ ৩২১।

    ৩) টোফু  এবং পনিরের (Tofu and Paneer) মধ্যে কোনটি ভাল

    পুষ্টির মাত্রাতে তো আমরা দেখলাম যে টোফু এবং পনিরের মধ্যে অনেক ধরনের প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়ামের উৎস থাকে। একজন নিরামিষভোজী কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন সেটা নির্ভর তাঁর রুচির উপরে। যদি নিজের ওজন কমাতে চান তাহলে টোফু  একটা ভালো পছন্দ। কারণ এটার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে এবং অল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আবার স্বাস্থ্য সম্মত খাবার হিসেবে পনির একটা ভালো পছন্দ হতে পারে। কারণ এখানে প্রোটিন কার্বো ফ্যাট সবটাই থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid Protocol: চিন সমেত পাঁচটি দেশ থেকে ফিরলে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    Covid Protocol: চিন সমেত পাঁচটি দেশ থেকে ফিরলে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সমেত আরও পাঁচটি দেশ থেকে যাঁরা ভারতবর্ষে আসবেন তাঁদের জন্য করোনা পরীক্ষা (Covid Protocol) বাধ্যতামূলক করা হল। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরেও একই চিত্র দেখা যায়।  RT-PCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে চিন ছাড়াও জাপান, সাউথ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড ফেরতদের জন্য। 

    দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কী বলছেন 

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য এক বিবৃতিতে বলেন, এই পাঁচ দেশ থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের কারও মধ্যে যদি করোনার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে (Covid Protocol) পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে চিনে। সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষেরও বেশি নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং তার সঙ্গে গড়ে ৫০০০ হাজার মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। সে দেশের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ সেভেনের এই দাপটে করোনা মোকাবিলায় (Covid Protocol) কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। 

    করোনা মোকাবিলায় (Covid Protocol) দেশে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

     ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উচ্চস্তরীয় একটি রিভিউ মিটিং হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা মোকাবিলার (Covid Protocol) মহড়া চলবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এদিন আরো বলেন যে এর আগে করোনা পরিস্থিতির সময় আমরা দেখেছি কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে সমন্বয়ের সঙ্গে। এখনও আমাদের সেইভাবেই কাজ করতে হবে যাতে আমরা সবাই মিলে করোনা কে পরাস্ত করতে পারি।

    গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং অতিরিক্ত মুখ্য সচিবদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে করোনা মোকাবিলায় (Covid Protocol) বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা আলোচনা হয়েছে এবং তার সঙ্গে সতর্কতামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে প্রতিটি রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র চিন নয়, করোনার উদ্বেগ এখন ছড়িয়েছে জাপান, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশগুলিতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই রিভিউ মিটিংয়ে বারবার জোর দেন করোনা সম্পর্কে সচেতনতা (Covid Protocol) বাড়ানোর উপর এবং করোনা বিধি মেনে চলার উপর।

    প্রত্যেক রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন যে তাঁরা যেন নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে করোনা মোকাবিলার (Covid Protocol) বিভিন্ন প্রস্তুতির বিষয়গুলি নজরদারি করেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্র সূত্রে জানা গেছে যে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করোনা রোগীর ২০১জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Bivas Chakraborty: নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী হৃদরোগে আক্রান্ত, ভর্তি হাসপাতালে 

    Bivas Chakraborty: নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী হৃদরোগে আক্রান্ত, ভর্তি হাসপাতালে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী (Bivas Chakraborty) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রিয় এই নাট্য ব্যক্তিত্বের শারিরীক অবস্থা বিচার করে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেখানে দেখা যায়, বিভাস চক্রবর্তীর (Bivas Chakraborty) একটি ধমনি ৯৯ শতাংশ ব্লক। সঙ্গে সঙ্গেই প্রাইমারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন বিভাসবাবু (Bivas Chakraborty)। তেমন কোনও সংকট তৈরি হয়নি, তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার কারনে।

    পরিবার কী বলছে?

    পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সারাদিন নিজের বাড়িতেই ছিলেন বিভাস চক্রবর্তী (Bivas Chakraborty)। হঠাৎই দুপুরের পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। ঘাম হতে শুরু করে অত্যধিক পরিমাণে। এরপরই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, বিভাস চক্রবর্তী (Bivas Chakraborty)
     হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন নাট্যকার। বাড়িতে থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।

      

    বিভাস চক্রবর্তীর (Bivas Chakraborty) নাট্যজীবন

    একদা বামপন্থী ছিলেন বিভাস চক্রবর্তী (Bivas Chakraborty)। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকে তৎকালীন বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামেন। রাস্তায় রাস্তায় “পরিবর্তন চাই” ব্যানারে তখন দেখা যেত জনপ্রিয় এই নাট্যব্যক্তিত্বের ছবি। বাংলার জনপ্রিয় এই নাট্য ব্যক্তিত্ব ১৯৬০ সালে প্রথম যোগ দেন ‘নান্দীকার’ নাটকের দলে। সেখানে তিনি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় একাধিক নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৬৬ সালে ‘নান্দীকার’-এর সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ পড়ে তাঁর। তখন তৈরি করেন নিজস্ব থিয়েটার ওয়ার্কশপ। এরপরে ১৯৮৫ সালে বিভাস চক্রবর্তী তৈরি করেন ‘অন্য থিয়েটার’ নামে একটি নাটকের দল। দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমীর সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে বয়সজনিত কারণে নাট্য আকাদেমীর সদস্যপদ ছেড়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।       

     

     

LinkedIn
Share