Author: user

  • Gender Change: ১৬ বছরের বেশি বয়সীরা এবার থেকে ট্রান্সজেন্ডার হতে পারবেন স্পেনে, আসছে নতুন আইন

    Gender Change: ১৬ বছরের বেশি বয়সীরা এবার থেকে ট্রান্সজেন্ডার হতে পারবেন স্পেনে, আসছে নতুন আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রান্সজেন্ডারের (Gender Change) আইন সারা বিশ্বব্যাপী খুব অল্প দেশেই আছে, এবার সেই তালিকায় সংযোজন হলো স্পেনের নাম। সাধারণভাবে ঘোষণা মাত্রই যে কোন নাগরিক এবার থেকে স্পেনে ট্রান্সজেন্ডার হতে পারবেন। 

    কী রয়েছে এই আইনে

    সম্প্রতি, স্পেনে আনা হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার রাইটস বিল। যেখানে বলা হচ্ছে ১৬ বছর বয়সের বেশি যেকোন নাগরিক ট্রান্সজেন্ডার (Gender Change) হতে পারবেন অন্যদিকে এই আইন অনুযায়ী যারা মাইনর থাকবে অর্থাৎ নাবালক এবং নাবালিকারা যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে তাদের অবশ্যই ট্রান্সজেন্ডার (Gender Change) হতে গেলে নিজেদের আইনি অভিভাবকদের স্বীকৃতি লাগবে। অন্যদিকে ১২ এবং ১৩ বছরের মধ্যে যদি কেউ ট্রান্সজেন্ডার হতে চায় তাহলে সে দেশে যে কোনও কোর্টের বিচারকের অনুমতি লাগবে।

    স্পেনের ১৮৮ জন আইনসভার সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে এই নতুন আইন আসতে চলেছে, প্রসঙ্গত ১৫০ জন আইনসভার সদস্য এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন আইন সভায়।
    এখন শুধু সেনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে এই বিল। শোনা যাচ্ছে খুব সম্ভবত এই সপ্তাহতেই আইনের পরিণত হতে পারে বিলটি। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজের সোশ্যালিস্ট পার্টি, যারা বর্তমানে জোট সরকারে আছে বামপন্থী পোডেমস পার্টির সঙ্গে, তারা এই আইনকে সে দেশের একটা বড় সংস্কার হিসেবেই দেখছে। অন্যদিকে স্পেনের ফেমিনিস্টরা ইতিমধ্যে দাবি করেছে যে এই আইনের কারণে মহিলাদের অধিকার ক্ষুন্ন হবে।

    বিতর্কও শুরু হয়েছে নতুন এই আইন নিয়ে

    তবে এই বিল নিয়ে ব্যাপক বিতর্কও শুরু হয়েছে স্পেনে, সে দেশের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এই বিলকে সমালোচনা করেছেন। উপ প্রধানমন্ত্রী কারম্যান কালভো বলেছেন, জন্ম থেকে পাওয়া শারীরিক গঠনকে ছেড়ে জেন্ডার কে যখন এত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তখন আমার মনে হয় না যে এটা কোনও অগ্রগতির দিকে আমরা যাচ্ছি। সমালোচনার অন্য আরও অনেক কারণ রয়েছে, সেদেশের ওয়াকিবহাল মহল বলছে যে কোনও পুরুষ যদি ট্রান্সজেন্ডার (Gender Change) করে মহিলা হয়ে যান এবং মহিলাদের ক্রীড়াতে নাম লেখান অথবা মহিলা কারাগারে থাকতে চান তাহলে এই আইন এর অপব্যবহার হবে। সেক্ষেত্রে  সেটি মহিলা অধিকারের উপর একটি বড় আঘাত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • BF 7 Variant: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭, জানুন বিস্তারিত

    BF 7 Variant: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চীনে নতুন করে থাবা বসিয়েছে করোনা। ব্যাপক সংক্রমণে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে সমগ্র চীনে। সেদেশের সরকারি সূত্রে খবর প্রতিদিন নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ফলে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। বারবার ভ্যারিয়েন্ট বদল করছে করোনা ভাইরাস। ঠিক যেন ছদ্মবেশী অসুর। ওমিক্রমনের তাণ্ডব লীলার পরে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ করার ক্ষমতাও নাকি অনেক বেশি। নতুন এই BF 7 Variant হল ওমিক্রণের সাব ভ্যারিয়েন্ট। ভারতবর্ষে অবশ্য BF 7 Variant-এর চারটি কেস সামনে এসেছে, গত জুন মাস থেকে। এর মধ্যে দুটি গুজরাট রাজ্যে এবং অপর দুটি ওড়িশাতে। চীনে যখন এই সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে তখন ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভ্য-র নেতৃত্বে একটি রিভিউ মিটিং হয়েছে যেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত অফিস গুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    কী এই BF 7 Variant

    করোনা ভাইরাসের প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল, ঠিক আজ থেকে তিন বছর আগে ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীন দেশে। তিন বছর ধরে চলছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। কখনও বাড়ে কখনও কমে। এবার নতুন বংশধর BF 7 Variant. BF 7 Variant করোনার শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট। জানা যাচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্ট এতটাই সংক্রামক যে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও এর সংক্রমণ থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায় না। উপসর্গ আগের মতোই রয়েছে অর্থাৎ জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদি। করোনা ভাইরাস নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁরা বলছেন যে কোনও ব্যক্তি যদি BF 7 Variant  আক্রান্ত হন তাহলে তিনি  ১০ জন থেকে সর্বোচ্চভাবে ১৮ জন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারেন।

    আবার করোনার নতুন বংশধরের আক্রমণ যে সব সময় যে উপসর্গ নিয়েই ধরা পড়বে এমনটা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে উপসর্গহীনভাবেও BF 7 Variant বাসা বাঁধতে পারে মানুষের শরীরে। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে আগামী তিন মাসের মধ্যে BF 7 Variant কারণে গোটা বিশ্বের ১০% জনসংখ্যা সংক্রমিত হবে।

    কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারক সংস্থা কী বলছে

    সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিভিউ মিটিংয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ‌‌। অন্যদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (SII)প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আদার পুনাওয়ালা যিনি কিনা কোভিড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড তৈরি করেছিলেন,তাঁর মতে, চীনের করোনা পরিস্থিতি দেখে আমাদের প্যানিক করা উচিত নয় কারণ ইতিমধ্যে আমরা ভ্যাকসিন নিতে পেরেছি। আমাদের দেশের সরকারের উপর আমাদের আস্থা রাখা উচিত এবং সরকারি নির্দেশ পালন করা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Organic Farming: জানেন জৈব চাষ কেন এত লাভজনক ? 

    Organic Farming: জানেন জৈব চাষ কেন এত লাভজনক ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসায়নিক এবং কীটনাশকের ব্যবহার এখন সাধারণত সব জমিতেই হয়। এতে অনেক সমস্যা রয়েছে, একদিকে যেমন জমির ফলনশীলতা কমে যায়, অন্যদিকে আবার যে ফসল উৎপাদিত হয় সেগুলোও রাসায়নিক প্রভাব মুক্ত হয় না। যার প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপর। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দিকে ঘুরতে গেলে আমাদের নজরে পড়বে সেখানকার বাড়ির উঠানগুলোতে, প্রতিটি পরিবার নিজেদের প্রয়োজন মত শাক-সবজি চাষ করেন, যেগুলিতে কোনরকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের ব্যবহার করা হয় না। বর্তমানে এই জৈব চাষ (Organic Farming) সম্পর্কে নানা রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় কৃষি মন্ত্রক ইতিমধ্যে চলতি বছরের ২৫শে অগাস্ট জৈব চাষের (Organic Farming) উপযোগিতা এবং কী কী উপায়ে এই চাষ করা যেতে পারে সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। মানে জৈব চাষের (Organic Farming) বিষয়ে সরকারও এখন কৃষকদের উৎসাহিত করছে।

    কী এই জৈব চাষ (Organic Farming)

    জৈব চাষ (Organic Farming) হল প্রাচীন ভারতীয় কৃষি পদ্ধতি। প্রাচীনকালে ভারতবর্ষের মাটিতে ঠিক এই পদ্ধতিতেই চাষ করা হতো। জৈব চাষের (Organic Farming) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এখানে বাইরে থেকে কোন কিছু সংগ্রহ করতে হয় না আশেপাশে যা কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকে সেটা দিয়েই জৈব চাষ (Organic Farming) করা যেতে পারে। এতে কৃষকদের চাষের খরচ যেমন বেঁচে যায়, তেমনি জৈব চাষ (Organic Farming) যে জমিতে হয় সেই জমির উর্বরতা কখনও নষ্ট হয় না। যেমন ধরুন জৈব চাষ (Organic Farming) করতে জমির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য গোবর সার ব্যবহার করা হয়। ভারতবর্ষের গ্রামাঞ্চলগুলিতে গোপালন এখনও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। তাই গোবর সার পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না এবং কৃষক নিজেই এই সার তৈরি করতে পারে। ভারতবর্ষের প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি যেহেতু এই জৈব চাষ (Organic Farming) তাই জৈব চাষে যে সার ব্যবহার করা হয় সেগুলোর নামকরণেও  বৈদিক রীতির ছোঁয়া রয়েছে যেমন এই গোবর সারকে বলা হয় বীজামৃত (বীজ + অমৃত) বা জীবামৃত (জীব + অমৃত)। অর্থাৎ জৈব চাষ (Organic Farming) করতে প্রয়োজন বলতে একটি জমি, গোবর সার, বীজ এবং কর্ষণ করার জন্য লাঙ্গল অথবা ট্রাক্টর। বাইরে থেকে আমদানি করার কিছুই নেই এই চাষে। কৃষকের পক্ষে এই চাষ সাশ্রয়ীও বটে। পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ কৃষকদের অভিযোগ থাকে যে চাষে তেমন লাভ করা যায় না অর্থাৎ যে পরিমাণ ইনভেস্ট করতে হয় চাষে সেই পরিমাণ মত লাভ হয় না এতে কৃষকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন কিন্তু এর বিকল্প জৈব চাষ (Organic Farming) হতে পারে। রাসায়নিক বা কীটনাশক মুক্ত চাষ যেমন এখানে সম্ভব, তেমনি এই চাষ লাভজনকও বটে কারণ এখানে ইনভেস্ট বলতে তেমন কিছুই নেই।

    জৈব চাষ (Organic Farming) কেন প্রয়োজনীয় 

    এটা ঠিক কথা যে গ্রিন রেভুলেশন বা সবুজ বিপ্লবের পর থেকেই দেশের শস্য উৎপাদন বেড়েছে, আগের থেকে আরও বেশি পরিমাণে ফসল উৎপাদন করতে পারেন কৃষকরা। কিন্তু এর অপর একটি দিক হলো যে যথেচ্ছ ভাবে রাসায়নিক এবং কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে মাটি দূষিত হচ্ছে, জল দূষিত হচ্ছে এবং উৎপাদিত ফসলেও  রাসায়নিক প্রভাব থেকে যাচ্ছে যার ফলে মানুষের শরীর খারাপ হচ্ছে। জৈব চাষকে (Organic Farming) তাই বলা যেতে পারে এটি প্রকৃতিবান্ধব চাষ। জমি দূষিত হয় না জল দূষিত হয় না উৎপাদিত ফসলও রাসায়নিক প্রভাব মুক্ত থাকে এবং খাদ্য হিসেবে মানুষ টাটকা সবজি গ্রহণ করতে পারেন জৈব চাষের (Organic Farming) মাধ্যমে। গবেষণাতে দেখা গেছে যে, জৈব চাষ (Organic Farming) হয় যে জমিতে সেই জমির জল ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় আবার জমিতে নিউট্রিশন সাইকেলও চলতে থাকে। জৈব চাষের (Organic Farming) জমিতে কীটপতঙ্গের উৎপাত হয় না বললেই চলে। এ বিষয়ে কৃষক চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন।

    কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা

    খরচ সাশ্রয়ী এবং কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় জৈব চাষের (Organic Farming) বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারও প্রকৃতিবান্ধব এই চাষ করতে কৃষকদের বিশেষভাবে উৎসাহিত করছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্কিম চালু করেছে, যার মধ্যে একটি হলো “ভারতীয় প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতি”, ইতিমধ্যে এই স্কিমের অন্যতম প্রজেক্ট হিসেবে ৪.০৯ লক্ষ হেক্টর জমি, দেশের ৮ টি রাজ্যে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে জৈব চাষ (Organic Farming) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিশন এবং এটি যাতে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে সারা দেশে সে বিষয়ে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি মন্ত্রকের এই প্রজেক্টের নাম “ন্যাশনাল মিশন অন ন্যাচারাল ফার্মিং”। কৃষি মন্ত্রক  তাদের গাইডলাইনে এই জৈব চাষের (Organic Farming) উদ্দেশ্য গুলিও বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেছে।
    সেগুলি হল,
     ১) দেশে খরচ সাশ্রয়ী, কীটনাশক মুক্ত, প্রকৃতিবান্ধব এবং কৃষকদের লাভজনক চাষ।

    ২) দেশি গরু এবং স্থানীয় সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার।

    ৩) দেশের প্রতিটি প্রান্তে জৈব চাষের (Organic Farming) বিপ্লব আনা।

    ৪) জৈব চাষ (Organic Farming) থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল কে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করা।

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                চলবে……..

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Lionel Messi: মেসির ফিটনেসের ৫টি রহস্য

    Lionel Messi: মেসির ফিটনেসের ৫টি রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে এই গ্রহের সবথেকে জনপ্রিয় ফুটবলার তিনি। মেসির (Lionel Messi) হাতে যেন বিশ্বকাপ ওঠে এমন প্রার্থনা সারা বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ মানুষই করেছিলেন। বাদ যায়নি আমাদের ভারতবর্ষ। বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় বেশিরভাগ ভারতীয় আর্জেন্টিনাকেই সাপোর্ট করেছিলেন তার একমাত্র কারণ লিও মেসি (Lionel Messi)। তাঁর ফুটবল জাদুতে মুগ্ধ করেছেন তিনি সারা বিশ্বকে।
    কাতার স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ট্রফি ওঠে মেসির (Lionel Messi) হাতে। আজকে আমরা জেনে নেব লিও মেসি (Lionel Messi) এত ফিট থাকেন কীভাবে? কী তাঁর ডায়েট চার্ট? 

    ১) লিও মেসি (Lionel Messi) প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন

    জানা গেছে আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন নিজেকে তরতাজা রাখার জন্য। এছাড়াও জানা গেছে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় টাটকা ফল, বিভিন্ন সবজি, বাদাম এসব কিছুই থাকে। রান্না না করা খাবার যাকে বলা হয় ‘র’ ফুড, সেটাও লিও মেসির (Lionel Messi) খাদ্য তালিকায় থাকে। 

    ২) মিষ্টি জাতীয় এবং তৈলাক্ত খাবার লিও মেসি (Lionel Messi) এড়িয়ে চলেন

    চিনি হল শরীরের পেশির জন্য সবথেকে খারাপ। লিও মেসি (Lionel Messi) এটা ভালোমতো জানেন তাই তাঁর খাদ্য তালিকা থেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার  বাদ রেখেছেন। এছাড়াও জানা গেছে, লিও মেসি (Lionel Messi) প্রতিদিন যে পরিমাণ মাংস খেতেন সেই পরিমাণটাও কম করেছেন। প্রয়োজনীয় প্রোটিন লিও মেসি (Lionel Messi) সংগ্রহ করেন তিন ধরনের প্রোটিন শেক থেকে।

    ৩) লিও মেসির (Lionel Messi) প্রিয় খাবার হল রোস্ট চিকেন এবং তার সঙ্গে মাটির তলার সবজি

    বার্সেলোনা ক্লাবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা যাচ্ছে যে লিও মেসির (Lionel Messi) প্রিয় খাবার হল রোস্টেড চিকেন তার সাথে মাটির তলার সবজি। খাবারের এই ডিশে সম্পূর্ণভাবে পুষ্টি থাকে। এটাতে যেমন প্রোটিন থাকে তেমনি মাটির তলার সবজি আলুতে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় এছাড়া ভিটামিনও পাওয়া যায়। চিকেনে থাকা প্রোটিন শরীরে অ্যামিনো এসিডের মাত্রা পূরণ করে।

    ৪) প্রতিদিনের শরীরচর্চায় লিও মেসি (Lionel Messi) নিজের গতির উপর জোর দেন

    বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার শরীরচর্চার সময় নিজের গতির উপরে জোর দেন। শারীরিকভাবে অনুশীলন করেন হার্ডলি হোপস, হ্যামস্টি্রং স্ট্রেসেস এছাড়াও স্কিপিং রোপসেরও নিয়মিত অভ্যাস করেন তিনি।

    ৫) নিয়মিত সিট আপ দেন লিও মেসি (Lionel Messi)

    ওয়েট প্লেটের সাহায্যে নিয়মিত সিট আপ এবং রাশিয়ান ট্যুইস্ট দিতে দেখা যায় লিও মেসিকে (Lionel Messi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Srinivasa Ramanujan: আজ ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজনের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    Srinivasa Ramanujan: আজ ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজনের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ গণিতজ্ঞকে দেখতে এসেছেন তাঁর বিদেশী বন্ধু। বিলেতি বন্ধুও অবশ্য নামকরা গণিতজ্ঞ। শারীরিক খোঁজখবর নেওয়ার পর বিলেতি বন্ধু তাঁর ভারতীয় বন্ধুটিকে বললেন, যে ট্যাক্সি করে এলাম সেটির নম্বর ১৭২৯। সংখ্যাটির মধ্যে আমি বিশেষ কিছু খুঁজে পেলাম না। শয্যাশায়ী ভারতীয় বন্ধুটি তখন বললেন, ১৭২৯ সাধারণ সংখ্যা নয়। এটি একমাত্র সংখ্যা যেটি ১০ এবং ৯ এর ঘনের সমষ্টি। অন্যদিকে আবার এই সংখ্যাটি ১ এবং ১২ এর ঘনের সমষ্টি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে যিনি এই ক্যালকুলেশন করছিলেন তিনি বিখ্যাত ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন (Srinivasa Ramanujan)। বিদেশী বন্ধুটি হলেন আরেক বিখ্যাত গণিতজ্ঞ হার্ডি।

    জন্ম ও প্রথম জীবন
     

    আজ শ্রীনিবাস রামানুজনের (Srinivasa Ramanujan) জন্মদিন। ২২ ডিসেম্বর, ১৮৮৭ সালে তিনি জন্মগ্রহন করেন তামিলনাড়ুর ইরোড জেলার কুম্ভকনাম গ্রামে। কথিত আছে, কুম্ভমেলার মত  প্রতি ১২ বছরে এই গ্রামেও মেলা বসত। সেজন্যই গ্রামের নাম হয়েছিল কুম্ভকনাম।

    শোনা যায়, রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) ছোটবেলায় সাধারণ মানের ছাত্র ছিলেন; কিন্তু দশম শ্রেণীর পর তিনি গণিতে দ্রুত এগিয়ে যান। কলেজে পড়াকালীন তিনি (Srinivasa Ramanujan) গণিতে এতটাই মগ্ন থাকতেন যে বাকি বিষয়গুলিতে ফেল করে যেতেন। এরফলে কলেজের বৃত্তি থেকে তিনি বঞ্চিত হন। কলেজ ড্রপার রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) এরপর মাদ্রাজ বন্দরে একটি কেরানীর চাকরিতে ঢোকেন। সেখানেও চলত গণিত সাধনা। সারাদিন ধরে পাতার পর পাতা গণিতের জটিল সমস্যার সমাধান করতেন রামানুজন (Srinivasa Ramanujan), তৈরি করতেন একের পর এক উপপাদ্য। এখানেই তাঁর এমন কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় যাঁরা রামানুজের (Srinivasa Ramanujan) নোটবুক-এর বিষয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেন, এদের হাত ধরেই গণিত বিষয়ে কিছু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। ১৯১১ সালে তাঁর প্রথম গবেষণামূলক প্রবন্ধ ‘জার্নাল অফ দ্য ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি’ প্রকাশিত হয়। সংখ্যাতত্ত্বের উপর তাঁর গবেষণালদ্ধ ‘সাম প্রপার্টিজ অফ বারনৌলিস নাম্বারস’ নামে তাঁর প্রথম দীর্ঘ প্রবন্ধ একই বছর প্রকাশিত হয়।

    বিদেশ যাত্রা
     

    ইতিমধ্যে রামানুজনের প্রতিভা দেখে তাঁকে কেমব্রিজে আসতে বলেন অধ্যাপক হার্ডি।  প্রফেসর হার্ডি লক্ষ্য করেন রামানুজনের (Srinivasa Ramanujan) অনেক প্রতিভা আছে; কিন্তু প্রথাগত শিক্ষার অভাবে প্রাথমিক অনেক কিছুই তিনি জানতেন না। এখান থেকেই রামানুজন ফেলোশিপ নিয়ে পাশ করলেন। কলেজ জীবনের অসম্পূর্ণ পড়া তাঁর সম্পূর্ণ হল। ১৯১৮ সালে তিনি রয়েল সোসাইটির সদস্য হন। তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি এই সম্মান লাভ করেন।

    জীবনাবসান

    ইংল্যান্ডে থাকাকালীন রামানুজনের (Srinivasa Ramanujan) শরীর দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে, ১৯১৯ সালে তিনি  ভারতে ফিরে আসেন। এক বছর পর ১৯২০ সালের ২৬ এপ্রিল মাত্র ৩২ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় এই বিরল প্রতিভার। ১৯৩৬ সালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রফেসর হার্ডি রামানুজনকে (Srinivasa Ramanujan) যোদ্ধা বলে সম্বোধন করেছিলেন ‌। হার্ডি আরও বলেন, রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) দারিদ্র্যতা নিয়েও  সমগ্র ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তিতে শান দিতে পেরেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India Covid: গত ২৪-ঘণ্টায় সংক্রমিত ২০১, কোভিড মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত দেশ? মহড়া মঙ্গলবার

    India Covid: গত ২৪-ঘণ্টায় সংক্রমিত ২০১, কোভিড মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত দেশ? মহড়া মঙ্গলবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে করোনা (India Covid)। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট BF.7 এর দাপটে সে দেশে আবার ২০১৯-২০২০ এর ছবি দেখা যাচ্ছে। সমগ্র চিনে চলছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিদিন গড়ে দশ লক্ষ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে সে দেশে। গড় মৃত্যু প্রতিদিন পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। করোনার (India Covid) এই চোখ রাঙানিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দেশে বর্তমান করোনা (India Covid) পরিস্থিতি 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে , গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০১ জন। বর্তমানে পুরো দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩,৩৯৩ জন। মোট আক্রান্ত করোনা রোগীর (India Covid) সাপেক্ষে এই সংখ্যা ০.০১ শতাংশ বলেই জানা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৮৩ জন। দেশে এই মুহুর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৮ শতাংশ বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশে এখনও অবধি করোনামুক্ত (India Covid) হয়েছেন মোট ৪,৪১,৪২,৭৯১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১,০৫,০৪৪ জনকে। সরকারি তথ্য বলছে, করোনার ডোজ এখনও অবধি ২২০.০৪ কোটি মানুষকে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারী ২০২১ থেকে।

    আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭, জানুন বিস্তারিত

    দেশের সব হাসপাতালে করোনা মোকাবিলার (India Covid) প্রস্তুতি চলবে ২৭ ডিসেম্বর

    চিনের করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একটি রিভিউ মিটিং এর পরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামী ২৭ ডিসেম্বর দেশের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ম্যানেজমেন্টের প্রস্তুতি চলবে। ওইদিন করোনা মোকাবিলার (India Covid) সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে, যেমন অক্সিজেন সিলিন্ডার, পর্যাপ্ত ওষুধ, হাসপাতালের কর্মী সংখ্যা ইত্যাদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • Organic Farming: জৈব চাষের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ

    Organic Farming: জৈব চাষের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ

    মাধ্যম নিজউ ডেস্ক: জৈব চাষের (Organic Farming) বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে কৃষকদের পক্ষে তা অনেক বেশি খরচ সাশ্রয়ী হবে এবং রাসায়নিক এবং কীটনাশক মুক্ত ফসল পাওয়া যাবে। এছাড়াও জৈব চাষের (Organic Farming) ফলে জমি বা পুকুর কোনোটাই দূষিত হয়না। স্থানীয় সম্পদ যেমন দেশী গরুকে এই চাষে ভাল মতো ব্যবহার করা যাবে। কারণ জৈব চাষের (Organic Farming) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো গোবর সার। বিগত লেখায় আমরা প্রকাশ করেছি জৈব চাষের (Organic Farming) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি এবং এই চাষ কেন লাভজনক সেটাও বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আজকে আমরা জানবো এই জৈব চাষের (Organic Farming) ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা ঠিক কী? ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রকসূত্রে জানা গেছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারাদেশে জৈব চাষ (Organic Farming) কে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ আগ্রহী। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক শুরু করেছে ন্যাশনাল মিশন অন ন্যাচারাল ফার্মিং। এই মিশনের অন্তর্গত বিভিন্ন স্কিম চালু হয়েছে। দেশে জৈব চাষের (Organic Farming) বিপ্লব আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যথেষ্ট আগ্রহী। সবুজ বিপ্লবের মত ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্যে যেন জৈব চাষেরও বিপ্লব আসে এরজন্য নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্কিম এবং কর্মসূচি। জৈব চাষকে একেবারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন সরকারি প্রয়াসগুলি সম্পর্কে আমরা জানব।

    প্রথম পর্ব: জানেন জৈব চাষ কেন এত লাভজনক ? 

    ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি (National Steering Committee)

    ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় স্তরে জৈব চাষের (Organic Farming) বিভিন্ন দিকগুলিকে খতিয়ে দেখার জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি করেছে। ন্যাশনাল মিশন অন ন্যাচারাল ফার্মিং (National Mission on Natural Farming) কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই কমিটি বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করবে এবং সমীক্ষা চালাবে, তার সঙ্গে জৈব চাষের অগ্রগতি কতটা হচ্ছে সারাদেশে সেটাও এই কমিটি খতিয়ে দেখবে। জাতীয় স্তরের এই কমিটি ১২ সদস্যের হবে। এই কমিটির চেয়ারম্যান থাকবেন ভারত সরকারের কৃষি মন্ত্রী। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে থাকবেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীরা দু বছরের জন্য এই কমিটির সদস্য হতে পারবেন। এর সঙ্গে জৈব চাষ (Organic Farming) বিশেষজ্ঞরা এই কমিটির সদস্য হতে পারেন। যে কোনও প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি বা রিসার্চ সংগঠন যাদের জৈব চাষের (Organic Farming) বিষয়ে বিভিন্ন টেকনিক্যাল অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরাও থাকতে পারবেন এই কমিটিতে।

    ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি (National Executive Committee)

    ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি থাকবে। যে কমিটি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই প্রকল্পের বিভিন্ন বরাদ্দ গুলিকে আনবে জৈব চাষের (Organic Farming) বাস্তবায়নের জন্য। এই জাতীয় মিশনকে একেবারে দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়াই অন্যতম উদ্দেশ্য থাকবে এই কমিটির। এই কমিটি হবে ৮ সদস্যের। নেতৃত্বে থাকবেন INM-এর  অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি।

    রাজ্য স্তরের উদ্যোগ

    রাজ্যস্তরে জৈব চাষের (Organic Farming) খুঁটিনাটি বিষয়গুলি দেখাশোনা করবে একটি কমিটি। যে কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন কৃষি সচিব। রাজ্যের পর জেলা স্তরেও কমিটি থাকবে এবং জেলা স্তরে জৈব চাষের (Organic Farming) খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখবেন জেলা শাসক। হর্টিকালচার এবং ডিসট্রিক্ট হাজবেন্ডারির আধিকারিকরাও এই ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটিতে থাকবেন এবং জৈব চাষের (Organic Farming) বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিকগুলি দেখাশোনা করবেন।

    ব্লক স্তরের কাজ

    চলতি বছরের ২৫ অগাস্ট ভারত সরকারের কৃষি মন্ত্রক যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে জৈব চাষের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই ব্লক স্তর। কারণ এখানেই জৈব চাষের (Organic Farming) বাস্তবায়ন হবে। এখানে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে । কোন কোন পঞ্চায়েত গুলিতে জৈব চাষের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হবে সেগুলিকে চিহ্নিত করতে পারবে তারা। ব্লক স্তরের বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জৈব চাষের (Organic Farming) উপযোগিতার বিষয়ে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করা হবে। জৈব চাষের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্লক স্তরগুলিতে গড়ে উঠবে। ইচ্ছুক কৃষকরা জৈব চাষের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।

                                                                                                                       চলবে………..

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Jimmy Donaldson: ট্যুইটারের সিইও হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ, বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ইউটিউবারের, কী বললেন এলন মাস্ক

    Jimmy Donaldson: ট্যুইটারের সিইও হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ, বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ইউটিউবারের, কী বললেন এলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে সব থেকে বেশি সাবস্ক্রাইবার কার আছে জানেন? এর উত্তরটা হলো, জিম্মি ডোনাল্ডসন (Jimmy Donaldson)। বিশ্বব্যাপী তার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে মোট ১২ কোটি। এবার তিনি (Jimmy Donaldson) ইচ্ছা প্রকাশ করলেন  ট্যুইটারের সিইও হওয়ার! 

    কেন এমন ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন ডোনাল্ডসন (Jimmy Donaldson)

    আসলে ঘটনার সূত্রপাত ট্যুইটারের সিইও এলন মাস্কের একটি ট্যুইটার পোল কে কেন্দ্র করে। যে পোলটির মাধ্যমে তিনি জানতে চান, তাঁর ট্যুইটারের সিইও হয়ে থাকাটা উচিত কী উচিত নয়! চলতি সপ্তাহের সোমবারে এই পোলের রেজাল্ট বের হয় সেখানে দেখা যায় যে ৫৭ শতাংশ মানুষই চাননা এলন মাস্ক ট্যুইটারের সিইও পদে থাকুন। প্রায় এক কোটি ভোট পড়েছে এলন মাস্কের বিপক্ষে যে তিনি এই পদে না থাকলেই ভালো।
    পৃথিবীর দ্বিতীয় ধনকুবের এলন মাস্ক নিজের ট্যুইটারে ভোটের এই ফলাফলকে শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন যে যদি আমি কোন বিকল্প পেলে এই কাজ ছেড়ে দেব এবং সফটওয়্যার এবং সার্ভারের উপর কাজ করবো। এরপরই বিশ্বের এক নম্বর ইউটিউবার ডোনাল্ডসনের (Jimmy Donaldson) ট্যুইট সামনে আসে। যেখানে তিনি বলছেন কী ভালোই না হত! যদি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার এই কোম্পানিকে চালাতে পারতেন! তাঁর আরও প্রশ্ন, তিনি কী হতে পারেন ট্যুইটারের পরবর্তী সিইও ? এটাও তিনি জানতে চেয়েছেন এলন মাস্কের কাছে। মাত্র ২৪ বছর বয়সী বিশ্বের জনপ্রিয় ইউটিউবারের (Jimmy Donaldson) এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এলন মাস্ক জানিয়েছেন,  ডোনাল্ডসনের (Jimmy Donaldson) এই প্রশ্ন প্রসঙ্গের বাইরে নয়! প্রসঙ্গত চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক। শুধু তাই নয় অ্যাপেলের মতো সংস্থার সাথেও তিনি বিতন্ডায় জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ। ট্যুইটারে নতুন নতুন ফিচার আনার ব্যাপারেও তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। ট্যুইটারে ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যুইটার একাউন্ট পুনরায় চালু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • India China Peace: সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল

    India China Peace: সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ ডিসেম্বর অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনাদের মুখোমুখি সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনার আহত হওয়ার খবরও সামনে আসে। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে, সেদিন প্রায় ৩০০ জন চিনা সেনা অতর্কিত ভাবে প্রথম হামলা চালায়। ভারতীয় সেনাও যে প্রস্তুত ছিল এটা চিনা সেনা বুঝতে পারেনি, তাই পাল্টা জবাবে পিছু হটে চিন। এই ঘটনার পর থেকে এই প্রথম বৈঠকে বসল দুই দেশের আধিকারিকরা। 

    ভারত-চিন (India China Peace) সেনা স্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    ১৭তম রাউন্ডের Corps Commander Level Meeting অনুষ্ঠিত হল চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। চিনের দিকের চুশুল-মোলডো সীমান্তে এই মিটিং (India China Peace) অনুষ্ঠিত হয় এদিন। প্রসঙ্গত, এর আগে এই ধরনের মিটিং (India China Peace) হয়েছিল চলতি বছরের ১৭ জুলাই। তারপর এই মিটিং (India China Peace) যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, দুই দেশের পশ্চিম সীমান্তের বিভিন্ন ইস্যু নিয়েই এদিন আলোচনা হয়। মূলত, Line of Actual Control (LAC) নিয়েই খোলামেলা মত বিনিময় করেন দুই দেশের আধিকারিকরা। আগামীদিনে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত কীভাবে মজবুত হবে সে নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গেছে। দুই দেশের সীমান্তে শান্তির (India China Peace) পরিবেশ বজায় রাখতেও উভয় দেশ সচেষ্ট থাকবে বলেই এদিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীদিনে দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে  এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সে নিয়েও একপ্রস্থ আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। দুই দেশের পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। বিগতদিনে যে সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটেছে সেগুলি নিয়ে আগামীদিনে সেনা স্তরে আলোচনা চলবে উভয়দেশের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Lionel Messi: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই! এখনই অবসর নয় ঘোষণা মেসির

    Lionel Messi: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই! এখনই অবসর নয় ঘোষণা মেসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথা উঁচু করে হাসতে হাসতে বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেন লিওনেল মেসি। ফাইনাল ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের শিরোপা জিতলেন মেসি। পেলেন সোনার বল। এতদিনে স্বপ্ন পূরণ হল। এর আগে ২০১৪ সালে সোনার বল পেলেও তা গ্রহণ করেছিলেন চোখের জলে। কিন্তু এবার বিশ্বসেরা তাঁর দল। অধরা মাধুরী এতদিন পর স্পর্শ করতে পেরেছেন তিনি। তাই তো সোনার কাপের স্বাদ নিলেন দলের সকলের আগে। তৃপ্ত চুম্বন। তিনি তো রাজা। তবে কি এখানেই শেষ? আর্জেন্টিনা ও মেসি (Argentina Football Team) সমর্থকদের জন্য খুশির খবর। বিশ্বকাপকে বিদায় জানালেও জাতীয় দলের জার্সিতে অন্তত আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চান ফুটবলের যাদুকর। 

    মেসির ঘোষণা

    খেতাব জয়ের পর মেসি বলেন, ”নিঃসন্দেহে আমি এটাই চেয়েছিলাম যে বিশ্বকাপ জিতে শেষ করতে। এর থেকে বেশি আর কিই বা পেতে পারি আমি। আমি ফুটবল খুব ভালবাসি। কী করতে পারি আর। দেশের জার্সিতে খেলাটা সবসময় উপভোগ করি। এই দলটার সঙ্গে থাকা সবসময় উপভোগ করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি বলেন, ”পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে মেসি থাকবেন, যদি ওঁ খেলতে চায়। ওঁর মত প্লেয়ারের কোচ হওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার।”তবে দেশের হয়ে খেললেও বিশ্বকাপ যে আর খেলবেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। সেমিফাইনাল জয়ের পরই মেসি (Lionel Messi) বলেছিলেন, ১৮ ডিসেম্বরের বিশ্বকাপ ফাইনালই এই মঞ্চে তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। ফুটবল বিশ্ব ভেবেই নিয়েছিল, বিশ্বকাপের পরই আর্জেন্টিনার জার্সিতে অবসর নেবেন মেসি। সেই জল্পনাতেও জল ঢাললেন খোদ মেসি। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে লিও জানালেন, এখানেই শেষ নয়। নীল-সাদা জার্সিতে আরও কিছুদিন দেখা যাবে তাঁকে।

    মেসির স্বপ্ন

    ১৯৮৬ তে মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ এসেছিল আর্জেন্টিনার ঘরে। তার ঠিক এক বছর পর মেসির জন্ম। মারাদোনাকে দেখেই বড় হয়ে ওঠা লিওর। ফুটবলকে ভালোবাসার কারণও সেই মানুষটি। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, একদিন ওই সোনালি ট্রফি উঠবে তাঁর হাতেও। উঠলও। এদিন নিজের শেষ বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া হয়ে খেলছিলেন মেসি। আর তাঁকে বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে খেলছিলেন আর্জেন্টিনার বাকি ১০ ফুটবলার। রক্ষণ, মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ, কোথাও ফ্রান্সকে একটু জায়গা দিলেন না আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণেও নামতে দেখা গেল মেসিকে। যথার্থ নেতার মতো খেললেন তিনি। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সোনালি ট্রফি স্পর্শ করলেন মেসি। আর্জেন্টিনা (Argentina)  শিবিরে এখন শুধুই আনন্দ উচ্ছ্বাস। ৩৬ বছরের জমানো আনন্দ যেন বাঁধ মানছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share