Author: user

  • SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    SSC Agitation: নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই! পথে চাকরিপ্রার্থীদের মহাজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের যোগ্যতায় প্রাপ্য চাকরি দিতেই হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে। এই দাবিতে আজ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ‘মহাজোট’পথে নামল। সোমবার ৯টি সংগঠনের জোট মঞ্চ পথে নামে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এই মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মহামিছিল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। এই মিছিলের ফলে শিয়ালদহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত রাস্তা একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    মিছিল থেকে দাবি

    এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘রাজনীতিতে যদি মহাজোট হতে পারে, তাহলে যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদের কেন মহাজোট হবে না ? দেখিয়ে দেব বঞ্চিতদের কতটা শক্তি। সাদা খাতা দিয়ে কীভাবে চাকরি, টাকার বিনিময়ে?’উল্লেখ্য, কেউ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাশে, যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন এঁরা। এবার আর আলাদা আলাদা নয়, একজোট হয়ে পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের ৯টি মঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিয়ালদহ থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল শুরু হয়। মিছিল যায় ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তাতে সামিল  ৬০০ দিনের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসা SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ছাড়াও মিছিলে যোগ দেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা-সহ অন্যান্য মঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    সুবিশাল মিছিলের জন্য আটকে পড়েন বহু যাত্রী। যদিও, এক বাস যাত্রী বলেন,“আমাদের অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই। তবে তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য লড়ছেন। তাঁদের দাবি ন্যায্য। মুখ্যমন্ত্রীর দেখা উচিত।” অপরদিকে কীতর্ন করতে দেখা যায় কয়েকজন চাকরি প্রার্থীদের। তাঁদের দাবি হরিনামের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিজেদের আর্তনাদ তুলে ধরতে চাইছেন তাঁরা। এই মিছিলের ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মধ্য কলকাতা। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধীরে ধীরে জমায়েত শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে শহরের ট্র্যাফিক পরিষেবা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Water Survey: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    Water Survey: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের লেক, সমুদ্র, নদীর  উচ্চতা,গভীরতা মাপবে (Water Survey) নাসার স্যাটেলাইট। এর সঙ্গে এই স্যাটেলাইটটি  জলবায়ু এবং আবহাওয়ার বিষয়েও কাজ করবে। এটাই হবে নাসার প্রথম কোনও স্যাটেলাইট যেটি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর জলস্তরের (Water Survey)  বিষয়ে তথ্য দেবে। স্যাটেলাইটটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে SWOT. অর্থাৎ Surface Water and Ocean Topograph. অত্যন্ত আধুনিক মানের radar ব্যবহার করা হয়েছে এই স্যাটেলাইটে। পৃথিবীর তিনভাগ জল। এই সম্পূর্ন জলভাগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেবে (Water Survey) এই স্যাটেলাইট।

    আরও পড়ুন: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    স্যাটেলাইটটি কোথায় তৈরি হয়েছে ?

    স্যাটেলাইটটিকে মহাকাশ অবধি নিয়ে যাবে Falcon 9 নামের রকেট। রকেটটি তৈরি হয়েছে এলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX থেকে।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    SWOT স্যাটেলাইটটি তৈরি করতে ২০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের বিবৃতি অনুযায়ী, স্যাটেলাইটে ব্যবহার করা হয়েছে advanced microwave radar technology.সমগ্র পৃথিবীর ৯০ শতাংশ জলভাগের তথ্য দিতে পারবে এই স্যাটেলাইট।

    আরও পড়ুন: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?
    নাসার এই মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল সমুদ্রের জল (Water Survey) কিভাবে তাপ শোষণ করে, কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ধরে রাখে সেগুলি খুঁজে বের করা। নাসা সূত্রে জানা গেছে, এই স্য়াটেলাইট (Water Survey) অন্য যেকোনও স্যাটেলাইটের থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    নাসার বিজ্ঞানী কি বললেন?

    নাসার এই প্রজেক্টের অন্যতম বিজ্ঞানী বেন হ্যামিলটন বলেন, “পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জলাশয়ের তথ্য দিতে (Water Survey) সক্ষম এই স্যাটেলাইট”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনায় এবার রাজ্যের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, গরুপাচার সহ বিভিন্ন ঘটনায় সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। তাই সিবিআইকে কোণঠাসা করতেই এ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে জলঘোলা করছে রাজ সরকার ও শাসক দল। এজন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দায়ী করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    শুভেন্দু উবাচ…

    পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক অনু্ষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, এর আগেও রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে সেইসব মামলার শুনানি ও তদন্তের কাজ রাজ্যের বাইরে গিয়ে করতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যা সহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সত্যিটা সামনে চলে এলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। এবার সেটাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, লালন শেখের মৃত্যুর পর সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাইরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার খাতিরে চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তাহলেই তাদের আরও ব্যাকফুটে ফেলা যেত।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    শুভেন্দুর দাবি, এ সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি যে আদালত এই মামলায় লালন শেখের স্ত্রীকে পার্টি করেছে। কারণ তাঁর নামে যে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে, সেটি আদতে তৃণমূলের দুই নেতা লিখেছেন। তাঁদের ওই অভিযোগপত্র লেখার নির্দেশ দিয়েছেন ববি। আর ববিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিসি।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিআইডি। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশও দেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাবে। তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এইমস কল্যাণীতে। তবে এজন্য অনুমতি নিতে হবে লালনের স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, লালনের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের সাতজনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Interfaith Marriages: ভিন ধর্মের বিয়ে চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন মহারাষ্ট্র সরকারের

    Interfaith Marriages: ভিন ধর্মের বিয়ে চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন মহারাষ্ট্র সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগেই শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walkar) হত্যাকাণ্ডের জেরে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল দেশ। তারপর গ্রেফতার হয়েছে শ্রদ্ধার প্রেমিক তথা লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা ধর্মে হিন্দু হলেও, যাঁর সঙ্গে তিনি এক ছাদের তলায় থাকতেন, সেই আফতাব মুসলমান। ওই ঘটনার পরে ভিন ধর্মে বিয়ের (Interfaith Marriages) ঘটনা নথিভুক্ত করে রাখতে চলেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডের  সরকার।

    ভিন ধর্মে বিয়ে…

    ভিন ধর্মের বিয়ে ট্র্যাক করতে বৃহস্পতিবার উদ্যোগী হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এদিন ১৩ সদস্যের একটি কো-অর্ডিনেশেন কমিটি গড়েছে শিন্ডের সরকার। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন একজন মন্ত্রী। গোটা মহারাষ্ট্রে কতজন ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করবে। তথ্য সংগ্রহ করা হবে তাঁদের  পরিবারেরও। মহারাষ্ট্র সরকার গঠিত ওই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ইন্টারফেইত ম্যারেজ ফ্যামিলি কো-অর্ডিনেশন কমিটি। কমিটির মাথায় রয়েছেন মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী মঙ্গল প্রভাত লোধা।

    লোধা ছাড়াও বাকি যে সদস্যরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের ডেপুটি কমিশনার। তিনি এই প্যানেলের মেম্বার সেক্রেটারি। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, একটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হবে। যাঁরা ভিন ধর্মে বিয়ে (Interfaith Marriages) করেছেন, সেই সব দম্পতি যাতে সহজে এই কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তাই দেওয়া হচ্ছে এই হেল্পলাইন নম্বর। সরকারি ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যাঁরা পালিয়ে গিয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করছেন কিংবা কোনও ধর্মস্থানে গিয়ে বিয়ে করছেন অথবা রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করছেন বা সামাজিক বিয়ে করছেন তাঁদের প্রত্যেকের নথি সংগ্রহ করা হবে। যেসব মহিলা ভিন ধর্মে বিয়ে করেছেন, তাঁদের প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করানো হবে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান মিলল! আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্টের পরই তদন্তে নয়া দিক

    এদিকে, গত শুক্রবার শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা বিকাশ ওয়াকার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে দেখা করেন। মেয়ের হত্যাকারী আফতাব পুন্নাওয়ালার মৃত্যদণ্ডও দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিকভাবে নিজের অপরাধের কথা সে স্বীকারও করে নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Calcutta High Court: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    Calcutta High Court: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ইস্যুতে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চাইলে রাজ্যকে যথাযথ বেঞ্চে যেতে হবে। এ নিয়ে এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবে না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে আসার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি পেতে বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের সে আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তন করার আর্জিও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআরের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট তাদের বলে হাইকোর্টে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য। সেই মামলাও গৃহীত হয়। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নয়া এফআইআর করতে চেয়ে মামলা করে রাজ্য। এদিন সেই মামলাটিই ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চে।

    কম্বল বণ্টনের সময় মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বাণ রায় জানান, এটি (কম্বল দানে মৃত্যুর ঘটনা) একটি অপরাধমূলক অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে এফআইআর করা জরুরি। রাজ্যের আইনজীবীর কথা শুনেই বিচারপতি সেনগুপ্তর প্রশ্ন, রাজ্য কী কোনও প্রাথমিক তদন্ত করছে? ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে?  এফআইআর করার আগেও এগুলি হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিচারাধীন। সেক্ষেত্রে এই বেঞ্চ কী করবে?  আপনারা কী ডিভিশন্ বেঞ্চে গিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Inland Taipan: জানেন পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ কোনটি ? 

    Inland Taipan: জানেন পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ কোনটি ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিষধর সাপ” এই শব্দ উচ্চারণ মাত্র অনেকেরতত আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে অসংখ্য ছবি। কেউটে থেকে গোখরো, চন্দ্রবোড়া থেকে কালাচ। চাঁদের পাহাড় গল্পে ব্ল্যাকমাম্বারের কথা নিশ্চয় মনে আছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে আফ্রিকার ভয়ঙ্কর ব্ল্যাকমাম্বারের সঙ্গে নিশ্চয়ই এতদিনে সবার পরিচয় হয়ে গেছে। ব্ল্যাকমাম্বারের আক্রমনের গতি, বিষ ঢালার পরিমান পর্যবেক্ষন করে অনেকেই এই সাপকে এক নম্বর স্থান দেন। তবে জানেন কি? এর থেকেও ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ আছে? যে সাপের একটি কামড়ে ১০০ জন অবধি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    জানুন ইনল্যান্ড তাইপেন (Inland Taipan) সম্পর্কে

    বিষধর এই সাপটির নাম হল ইনল্যান্ড তাইপেন (Inland Taipan)। পাওয়া যায় অষ্ট্রেলিয়াতে। LD50 scale-এর সাহায্যে মাপা হয় কোন সাপের বিষ কতটা বিষাক্ত। এই স্কেল বলছে পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি বিষাক্ত সাপ হল ইনল্যান্ড তাইপেন (Inland Taipan)। এই সাপ সাধারণত সরু এবং লম্বা হয়ে থাকে। মাথাটি আয়তাকার হয়। লোকালয়ে এর (Inland Taipan)দেখা চট করে পাওয়া যায়না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভোরবেলায় এই সাপ (Inland Taipan) খুব সক্রিয় থাকে। অষ্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একবার কামড়ে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম বিষ ঢালে এই সাপ (Inland Taipan)। এই পরিমান বিষে প্রায় ১০০ জন মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • R G Kar Hospital: রোগীর বিছানায় বিড়াল, পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আরজিকরের ‘পরিষেবায়’ বাড়ছে সংক্রমণ

    R G Kar Hospital: রোগীর বিছানায় বিড়াল, পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আরজিকরের ‘পরিষেবায়’ বাড়ছে সংক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তিরিশের জয়িতা দত্ত। শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন তিনেকের মধ্যে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। পরিবার জানায়, হাসপাতালে জয়িতার বিছানায় বিড়াল এসে বসতো। খাবারেও মুখ দিয়েছে। আর সেই থেকেই রোগীর সংক্রমণ বেড়েছে।

    বছর পঞ্চাশের রজত মজুমদার ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়েই আরজিকর হাসপাতালের বক্ষঃরোগ বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার বালাই নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শৌচালয়ের অবস্থা দুর্বিষহ। আর অপরিচ্ছন্ন শৌচালয় ব্যবহারের জেরে দেহে অন্য সংক্রমণ হয়ে যাচ্ছে। জয়িতা দত্ত কিংবা রজত বাবুর পরিবারের অভিযোগ কোনও ব্যতিক্রম নয়। আরজিকর হাসপাতালের বক্ষঃরোগ বিভাগের অপরিচ্ছন্ন ও নজরদারির অভাবের এমন একাধিক অভিযোগ জমা হচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না। 

    রোগীর পরিবারের অভিযোগ

    রোগীর পরিবারের অভিযোগ, নীল সাদা বহুতলের ঝকঝকে চেহারা বাইরে থাকলেও, ভিতরের পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ। বক্ষঃরোগ বিভাগে নূন্যতম পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। সব সময় কুকুর, বেড়াল ঘুরে বেড়ায়। শুধু ওয়ার্ডের ভিতরে নয়, রোগীর বিছানাতেও কুকুর, বেড়ালের যাতায়াত লেগে থাকছে। রোগীর দুপুর কিংবা রাতের খাবার দীর্ঘক্ষণ খোলা অবস্থায় ওয়ার্ডের বাইরে পড়ে থাকে। সেই খাবার রোগীকে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বেড়ালে কামড়ানোর জেরে রোগী ভোগান্তির ঘটনাও বেড়েছে। এমনকি ডিপথেরিয়ার টিকা নিতে রোগীকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোও হয়েছে। রোগীর পরিবারের একাংশের অভিযোগ, রোগী ভর্তির পরেই রোগীদের হাতে একটা করে লাঠি দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, হাসপাতালে বেড়ালের উৎপাত রয়েছে। তাই প্রয়োজনে  লাঠি ব্যবহার করতে হবে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা করাতে গিয়ে, বেড়াল তাড়াবেন, এমন ব্যবস্থায় যথেষ্ট বিরক্ত রোগীর পরিজন।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কয়েক দিন আগেই বলেছেন তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না। এমন পরিস্থিতি তিনি জানেন বলেই চিকিৎসা করাতে যান না। রোগীকে যদি চিকিৎসা করাতে গিয়ে বেড়াল মারতে হয়, আরও নানান রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে সেটাকে কি হাসপাতাল বলে? কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব? ” 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বক্ষঃরোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা জরুরি। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়েই অধিকাংশ রোগী ওই বিভাগে ভর্তি হন। তার উপরে যদি অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকেন, তাহলে আরও বিপদ বাড়তে পারে। দেহের অন্য কোনও অঙ্গে সংক্রমণ হলে রোগীর প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই এই বিভাগের স্বচ্ছতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। এ বিষয়ে আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য জানান, পরিচ্ছন্নতার দিকে যথেষ্ট নজর দেওয়া হয়। কিন্তু কুকুর, বেড়াল আটকানো সব সময় সম্ভব নয়। তবে রোগীদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Uric Acid Control Diet: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন? বদলে ফেলুন খাদ্যাভ্যাস

    Uric Acid Control Diet: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন? বদলে ফেলুন খাদ্যাভ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকালে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid Control Diet) ব্যথা বাড়ে। দৈনন্দিন কাজে অনেকেরই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই ব্যথা। এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধুমাত্র ওষুধের ওপর ভরসা করলেই হবে না। মেনে চলতে হবে কিছু খাদ্যাভাস।
    ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid Control Diet) মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে (Uric Acid Control Diet) শরীর থেকে বের করে দিতে চায় কিডনি।  প্রস্রাবের সময় জ্বালাও করতে পারে। যার ফলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে।

    আসুন জানা যাক কী কী খাবার নিয়ম মেনে চলতে হবে?

    আরও পড়ুন: এই শীতে সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে চান? তালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার

    মদ্যপান একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে

    ডাক্তারদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid Control Diet) থাকলে  মদ্যপান এড়িয়ে চলতেই হবে। শীতকালে তো কোনওভাবেই করা যাবেনা মদ্যপান। কারণ শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই অনেক কম থাকে।

    ফ্যাটজাতীয় খাবার যেন পাতে না থাকে

     ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। ফ্যাট জাতীয় খাবারে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid Control Diet) ব্যথা আরও দ্বিগুণ হারে বাড়তে পারে। ইউরিক অ্যাসিডে (Uric Acid Control Diet) সুস্থ থাকতে পাঁঠার মাংস,উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার পাতে রাখা যাবে না।

    প্রোটিনজাতীয় খাবারেও বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড

    খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমাতেই হবে যদি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান। মাছ মাংসের বদলে পাতে বেশি করে রাখতে হবে ফল, শাকসব্জি। তবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid Control Diet)।

    টকজাতীয় খাবারেও বাড়ে ইউরিক  অ্যাসিড

     তেঁতুল, টম্যাটো বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid Control Diet)। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুকটোজের পরিমাণ রয়েছে ১২.৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid Control Diet) পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Panini: ২৫০০ বছরের প্রাচীন পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর জটিল নিয়মের সূত্র বের করলেন কেমব্রিজের ছাত্র ঋষি 

    Panini: ২৫০০ বছরের প্রাচীন পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর জটিল নিয়মের সূত্র বের করলেন কেমব্রিজের ছাত্র ঋষি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ী সংস্কৃত সাহিত্যের একটি অতি মূল্যবান গ্রন্থ। এই বইতে রয়েছে সংস্কৃত ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম, সংস্কৃত শব্দের বিশ্লেষণ ইত্যাদি। সংস্কৃত ব্যাকরণের এই গ্রন্থে বিভিন্ন ব্যাকরণগত সমস্যার সমাধান করলেন এক ভারতীয় গবেষক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেন্ট জনস কলেজের এশিয়ান এবং মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের পিএইচডি স্কলার ওই ছাত্রের নাম ঋষি অতুল রাজপোপাট।
    পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ীতে ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। মূল শব্দ থেকে কীভাবে নতুন শব্দ উৎপন্ন হবে তারও ব্যাখ্যা আছে ওই গ্রন্থে। যত গোলযোগ এখানেই । ব্যাখা নিয়ে দ্বন্দের শেষ নেই। এক এক পন্ডিতের এক এক রকমের মত রয়েছে। পাণিনি নিজেও তাঁর গ্রন্থে কিছু মেটারুল লিখে গেছেন, দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কোনটিকে গ্রহণ করতে হবে। তবে সেটা নিয়েও ধোঁয়াশার মধ্যে এতদিন থাকতেন বিভিন্ন পন্ডিতরা। এবার এমনই কিছু দ্বন্দের শেষ করলেন ঋষি অতুল। ব্যাখা করলেন যুক্তি দিয়ে।
    ঋষি অতুলের আগে অষ্টাধ্যায়ী নিয়ে গবেষণা করে গেছেন,মহর্ষি পতঞ্জলি, বামন, কাত্যায়নের মতো বিখ্যাত প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা। তাঁরাও তাঁদের মতামত রেখেছেন দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কী করতে হবে। এবিষয়ে ঋষি অতুল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ” মহর্ষি পতঞ্জলি এবং কাত্যায়ন  দুজনেই ব্যাকরণের বিভিন্ন জটিল বিষয় নিয়ে তাঁদের নিজস্ব ব্যাখা দিয়েছেন,আমি গবেষণা করতে এসে দেখলাম,তাঁদের যুক্তির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আমার ব্যাখার মিল রয়েছে”।

    ঋষি অতুলের গবেষণার একটি ছোট্ট উদাহরণ

    ঋষি অতুলের গবেষণা এবার আমরা একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব। ধরা যাক একটি সংস্কৃত বাক্য “jñānaṁ dīyate guruṇā” অর্থাৎ গুরু জ্ঞান দেয়। এবার নিয়মের দ্বন্দ শুরু হয় guruṇā শব্দের গঠন নিয়ে। যার অর্থ হল গুরুর দ্বারা । guru + ā এই দুটি নিয়ে guruṇā শব্দ তৈরি হচ্ছে। শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে পাণিনির নিয়ম সবসময় ডানদিকের শব্দের ক্ষেত্রে কাজ করে। এটাই হল ঋষির মূল ব্যাখা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ginger Benefit: শীতের খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন, জানুন এর গুণাগুণ

    Ginger Benefit: শীতের খাদ্য তালিকায় আদা রাখুন, জানুন এর গুণাগুণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদা দিয়ে (Ginger Benefit) লাল চা হোক বা আদাকুচি লঙ্কাকুচি দিয়ে মুড়ি , বাঙালির কাছে বড়ই প্রিয় । আদার (Ginger Benefit) গুণাগুণ অনেক। ঠিক এই কারণগুলোর জন্যই আদাকে সুপারফুড বলা হয়। শীতকালে চবনপ্রাশ অনেকেই খান সর্দিকাশি থেকে বাঁচতে। কিন্তু জানেন কি? সামান্য আদা (Ginger Benefit) গরম করে খেলেও সর্দিকাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন । আদা শরীরকেও গরম রাখে। শীতকালে আদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

    আসুন জানা যাক আদাকে (Ginger Benefit) কেন সুপারফুড বলা হয়? 

    ১. যে কোনও খাদ্য হজমে আদা খুবই সাহায্যকারী

    আদার (Ginger Benefit) মধ্যে gingerol নামের একটি  প্রাকৃতিক উপাদান থাকে, বিশেষজ্ঞরা বলেন এটি হজমে খুবই সাহায্যকারী।

    ২. সর্দিকাশি এবং ফ্লুকে দূরে রাখে আদা

    শীতকালেই সাধারণত সর্দিকাশি বাড়ে।  ঠান্ডা ও ফ্লুর মোকাবিলা করতে আদার (Ginger Benefit) জুড়ি নেই। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে আদা ঠাণ্ডা ও ফ্লুর প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হত। আদার রস বা আদার পেস্ট তো এখন প্রতিদিনের তরকারিতে দেওয়াই যায়।

    ৩. শরীরের ব্যথার উপশমকারী হিসেবেও আদা (Ginger Benefit) উপকারী 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় আদা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আদা রাখলে শরীরের ব্যথা এবং ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।  এমনকি ব্যথার জায়গায় কিছুটা আদা (Ginger Benefit) ঘষে নিলেও উপশম পাওয়া যায় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৎক্ষণাৎ নয়। সময়ের সঙ্গে ব্যথা কমাবে।

    ডায়েটে আদা (Ginger Benefit) রাখুন, জানুন এর কিছু রেসিপি

    ১.  চায়ে আদা (Ginger Benefit)

    লেখার শুরুতেই আদা (Ginger Benefit) দিয়ে লাল চা-এর উল্লেখ রয়েছে। শীত হোক বা গ্রীষ্ম চা প্রেমী বাঙালি আদা-চায়ে চুমুক দিয়েই থাকে। শীতের সকালটা আদা-চা দিয়ে শুরু করতেই পারেন। 

    ২. তরকারিতে আদা (Ginger Benefit)

      রান্নাকরার ক্ষেত্রে আদা (Ginger Benefit) খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় প্রতিটি সবজিতেই এখন আদা থাকে। বলা যেতে পারে যেকোনও রান্নার সাধারণ উপাদান হল আদা। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায়, তরকারি বা যে কোনও সবজিতে আদা রাখা যেতেই পারে।

    ৩. আদার জ্যাম

     স্ট্রবেরি জ্যামতো আমরা খুবই পছন্দ করি। কিন্তু আদা জ্যামও পছন্দের রেসিপি হতেই পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে অন্যান্য শর্করাযুক্ত খাবারের চেয়ে আদা জ্যাম (Ginger Benefit) অনেক স্বাস্থ্যকর।

    ৪. আদার আচার (Ginger Benefit)

     আদার জ্যামের মতোই  আদার আচারও একটি পছন্দের রেসিপি হতে পারে। বাড়িতে যেভাবে আম, কুলের আচার তৈরি করা হয়, সেভাবেই আদা কুচি (Ginger Benefit) করেও আচার তৈরি করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share