Author: user

  • FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপে অঘটন, সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারল মেসির আর্জেন্টিনা

    FIFA World Cup 2022: বিশ্বকাপে অঘটন, সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারল মেসির আর্জেন্টিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয় এনে দিতে পারলেন না লিওনেল মেসি। শেষপর্যন্ত সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের মঞ্চে নাম নয়, পারফরমেন্সই গুরুত্বপূর্ণ, তা আজকের এই ম্যাচ থেকেই বোঝা গেল। ফুটবলপ্রেমীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, মেসির শেষ বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022), তিনি হয়ত এক ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। আর সেই আশা নিয়েই টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই যে এমন অঘটন ঘটবে, তা হয়ত কেউই ভাবতে পারেনি। এমনকি আর্জেন্টিনা দলের অতি বড় শত্রুও কল্পনা করেনি। এদিন পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পরেও জয় আনতে ব্যর্থ হয় মেসির দল।

    ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

    শুরুটা ভালই ছিল আর্জেন্টিনার। এদিন ম্যাচ শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধে আরও তিনটি গোল করতে পারত আর্জেন্টিনা। কিন্তু অফসাইডের ফলে আটকে যায় স্কোরবোর্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গত ৬ দশকে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর কখনও ম্যাচ হারেনি লা আলবেসেলেস্তা। কিন্তু এদিন পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পরও জয় উপহার দিতে ব্যর্থই হলেন মেসি। টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত ছিল আর্জেন্টিনা। অবশেষে আজ হার। ৩২ বছর পর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে হারল আর্জেন্টিনা। ফলে অঘটন যে যখন তখন ঘটতে পারে, তারই প্রমাণ আজকের এই ম্যাচ (FIFA World Cup 2022)।

    দ্বিতীয়ার্ধে দুর্ধর্ষ পারফরমেন্স সৌদি আরবের

    প্রথমের দিকে তেমন ভালো খেলতে শুরু না করলেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের সেরাটা দিয়ে এগিয়ে যায় সৌদি আরব (FIFA World Cup 2022)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় সৌদি আরব। ম্যাচের একমাত্র সুযোগ তৈরি করল তারা। আর তাতেই গোল। দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত গোল করেন সালেহ আল-শেহরি। এরপরেই ছন্দ ফেরত সৌদি আরবের। সেই মুহূর্তই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় তারা। এরপর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোল করল সৌদি আরব। এ বার সালেম আল-দাওয়াসারির গোল। আর এতেই ১-২ গোলে পিছিয়ে পড়েন মেসিরা।

    তবে গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করছিল আর্জেন্টিনা। এক্ষেত্রে সৌদির গোলকিপারের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। কিন্তু সৌদির গোলকিপার আলওয়াইসের কাছে পেরে ওঠেনি মার্টিনেজরা। পুরো ম্যাচেই দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠেন গোলকিপার মহম্মদ আল-ওয়াইস। বেশ কয়েকটি ভাল শট বাঁচান তিনি। ফলে আর্জেন্টিনার কয়েকটি সুযোগ আসলেও কোনটিই শেষপর্যন্ত কাজে লাগাতে পারেনি তারা। শেষে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের। এরপর এই হারের হতাশা কাটিয়ে মেক্সিকো ও পোল্যাল্ডের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন মেসিদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ (FIFA World Cup 2022)।

     
  • UP Police: উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস লক্ষ্মী সিং

    UP Police: উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কমিশনার হলেন আইপিএস লক্ষ্মী সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে এই প্রথমবার মহিলা পুলিশ কমিশনার (UP Police)। উত্তরপ্রদেশ সরকার আইপিএস অফিসার লক্ষ্মী সিংকে নয়ডা পুলিশ প্রধান হিসাবে নিয়োগ করেছে। বুধবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নিয়েছেন ২০০০ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। ইউপি সরকার সোমবার গভীর রাতে বারাণসী, আগ্রা এবং প্রয়াগরাজের নতুন কমিশনারেট সহ রাজ্যের ১৬ জন আইপিএস অফিসারের বদলির তালিকা জারি করেছে। যোগী রাজ্যে বর্তমানে ৭টি পুলিশ কমিশনারেট রয়েছে।   

    কে এই লক্ষ্মী সিং? 

    এর আগে লখনউ (UP Police) রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন লক্ষ্মী সিং। ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম মহিলা আইপিএস টপার ছিলেন তিনি। সামগ্রিকভাবে ৩৩ তম স্থান অধিকার করেন। সরকারি রেকর্ড অনুসারে হায়দ্রাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে সেরা পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হন। প্রশিক্ষণের সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিলভার বাশন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিস্তলও পেয়েছেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রি রয়েছে। ২০০৪ সালে সিনিয়র পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান তিনি। ২০১৩ সালে, তিনি ডেপুটি আইজি হিসেবে উন্নীত হন এবং ২০১৮ সালে তিনি আইজি পদের দায়িত্ব পান।

    আরও পড়ুন: এইমস সাইবার হানা, ৩ কোটি মানুষের তথ্য এখনও বিপদে, ২০০ কোটির দাবি হ্যাকারদের  

    লক্ষ্মী এর আগে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত গৌতম বুদ্ধ নগরে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আইজি/ ডিআইজি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০  সালের ২৬ মে পর্যন্ত মিরাটের পুলিশ (UP Police) ট্রেনিং স্কুলের আইজি ছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে আইজি রেঞ্জ লখনউ হিসাবে স্থানান্তরিত করা হয়।

    নয়ডার এই নতুন পুলিশ (UP Police) প্রধান লখনউয়ের সরোজিনী নগর আসনের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন ইডি অফিসার রাজেশ্বর সিংকে বিয়ে করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করা একজন সিনিয়র আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, যে তিনি তার এখতিয়ারে সংঘটিত অপরাধমূলক ঘটনার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি রাখেন।

    যোগী সরকার, গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদ, আগ্রা এবং প্রয়াগরাজ তিনটি জেলায় তিনটি নতুন পুলিশ (UP Police) কমিশনারেটের ঘোষণা করেছে। লখনউ, গৌতম বুদ্ধ নগর (নয়ডা), বারাণসী এবং কানপুরে এই চারটি কমিশনারেট আগে থেকেই ছিল।  

    লখনউ এবং গৌতম বুদ্ধ নগরে কমিশনারেটগুলি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বারাণসী এবং কানপুরে কমিশনারেট স্থাপন করা হয়। কর্মজীবনে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একাধিক পুরষ্কার পেয়েছেন লক্ষ্মী। ২০১৬ সালে পুলিশ পদক, ২০২০ এবং ২০২১ সালে ইউপি (UP Police) ডিজিপির রূপা এবং সোনার পদক পেয়েছেন। গত বছর তিনি ইউপি মুখ্যমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্ব সেবা পদক সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Narco Test: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    Narco Test: আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হল, এই টেস্টে কী হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট (Narco Test) করা হয়েছে। আজও চলবে পরীক্ষা। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব তদন্তে সহযোগিতা করছে না, এমনই অভিযোগ ছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয় শ্রদ্ধাকে। তারপর দেহ লোপাটের জন্য ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করে সে। খুন সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে নার্কো টেস্টের (Narco Test) আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।সেই মতো গতকাল নার্কো টেস্ট করানো হয় আফতাবের।

    আরও পড়ুন: দেশে ফের একপ্রস্ত কমল বেকারত্বের হার, কত হল জানেন?

    কী এই নার্কো টেস্ট (Narco Test)?

    নার্কো টেস্টের (Narco Test) সাহায্যে যে কোনও ব্যক্তিকে সত্য কথা বলানো যায় বলে মনে করা হয়। তবে এই ধারণা ১০০ শতাংশ সঠিক নয়। আজ অবধি প্রমাণও হয়নি। নার্কো টেস্টের সময় ব্যক্তির শরীরে sodium pentothal  এর ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এই ইঞ্জেকশন ‘truth serum’ নামে পরিচিত। এই ইঞ্জেকশনের প্রভাবে ব্যক্তির চেতনা কমে যায়। অভ্যাস অনুযায়ী ব্যক্তি কথা বলতে পারেনা। চেতনার এই স্তরকে বলা হয় hypnotic state, পরীক্ষকদের মতে এই সময় ব্যক্তিকে যে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, সে বিষয়েই সত্য কথা বলতে থাকে। নার্কো টেস্ট (Narco Test) সম্পন্ন হয় একজন করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ,সাইক্রিয়াটিস্ট এবং তদন্তকারী অফিসারের উপস্থিতিতে।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে গেল কেষ্টর দিল্লি যাত্রা, পরবর্তী শুনানি ১ ডিসেম্বর

    নার্কো টেস্টের(Narco Test) আগে ব্যক্তির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়। প্রেশার, সুগার, পালস রেট সব কিছু স্বাভাবিক আছে  কী না দেখা হয়। বয়স, লিঙ্গ অনুযায়ী ইঞ্জেকশনের  ডোজ আলাদা হয়।

    আরও পড়ুন:বিশ্বকাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জাকির নায়েককে, ভারতকে জানিয়ে দিল কাতার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কার নির্দেশে আদালতে অবৈধদের জন্য শূন্যপদে চাকরির আবেদন করল কমিশন? এবার তারই তদন্ত করবে সিবিআই। কে করল এই ‘বেনামি’ আবেদন?  এবার তাই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ থেকেই তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বেনামি আবেদন করার এই পরিকল্পনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তাও খুঁজে বের করবে সিবিআই। বিচারপতি আরও বলেন, এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় ঘুরছে আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।   

    প্রাথমিক পর্যবেক্ষনের পর বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “এই আবেদন কমিশনের নামে করা হলেও, আসলে কমিশন এই আবেদন করেনি। কমিশনকে সামনে রেখে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। এগুলি ‘বেনামি’ আবেদন। কে বেনামী আবেদনের নেপথ্যে তা খুঁজে বার করতে হবে। এই ভুয়ো আবেদনের দায় বর্তমান চেয়্যারম্যানকে দেওয়া যেতে পারে না।” বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ টায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে। 

    বাতিল হওয়া চাকরি প্রার্থীদের পুর্নবহালের আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ? কে করল বেনামি আবেদন?” সঠিক কোনও উত্তর না পেয়েই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। 

    সচিব সব দায় নিতে চাইলে, বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “অন্যের দায় আপনি কেন নেবেন ? আমি সেটা হতে দেব না। আপনি কি চাঁদমারি নাকি, যে আপনাকে লক্ষ্য করে সব গুলি ছোঁড়া হবে? এই আবেদনে যা লেখা রয়েছে সেই একই সুর শিক্ষামন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, অতিরিক্ত পদ তৈরি করার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। প্রয়োজনে সচিবকেও জেলে যেতে হতে পারে। 

    নির্দেশ (Calcutta High Court) পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এসএসসির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টে ইনস্ট্রাকশন কীভাবে পৌঁছোয়? এসএসসির হয়ে কোন কোন আইনজীবী ইনস্ট্রাকশন নেন? এখন তাই জানতে চাইছে সিবিআই। একাধিক মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ই-মেইলে নজর রাখছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

  • Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: লটারি দুর্নীতি নিয়ে জেরা! অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে আবার দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই দিল্লি হাই কোর্টে উঠবে অনুব্রতের মামলা। গরু পাচার মামলা ও অর্থ তছরুপের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করে ইডি। তবে তা ঠেকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। সেই মামলার শুনানিও ১ ডিসেম্বর।

    আবারও দিল্লি যাত্রা সুকন্যার

    চলতি মাসের শুরুতেই সুকন্যাকে পর পর তিন দিন দফায় দফায় দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। গত ৪ নভেম্বর শেষ বার ইডির দফতরে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করা করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। দফতর থেকে বাইরে বেরিয়ে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, ‘‘যা সত্যি, সবটাই বলে এসেছি।’’ যদিও তদন্তকারীদের কাছে তিনি ঠিক কী বলেছেন, তা সবিস্তারে জানাননি তিনি। আবারও রাজধানীতে তাঁকে কেন তলব করা হল ইডি সূত্রে তা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে  তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের আগে সুকন্যার বছরে আয় ছিল ৩ লাখ টাকার মতো। ২০১৫ সাল থেকে লাগাতার আয় বেড়েছে তাঁর। গত দু’বছরে সুকন্যার বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, বোলপুরে ‘ভোলে ব্যোম’ নামে একটি চালকলের যৌথ মালিকানা রয়েছে সুকন্যার। দু’টি সংস্থারই ডিরেক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    লটারি দুর্নীতি

    সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে তদন্ত চলছে জোরকদমে।   তদন্ততে উঠে এসেছে, গত চার বছরে অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে সুকন্যা, তাঁদের আত্মীয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। বীরভূমের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে  ইতিমধ্যেই তিন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। বুধবারও বোলপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক শাখার আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সুকন্যা শেষ বার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে অনুব্রতের বিরুদ্ধে লটারি-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Cruelty Against Animals: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪ কলেজ ছাত্র

    Cruelty Against Animals: দিল্লিতে অন্তঃসত্ত্বা কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৪ কলেজ ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা একটি কুকুরকে লাঠি হাতে মারছে চার যুবক(Cruelty Against Animals)। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে এমনই অমানবিক দৃশ্য দেখল পুরো দেশ। গুরুতর ভাবে আহত ঐ সারমেয়টির মৃত্যু হয়েছে। খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত সভ্য সমাজ। প্রায় ২৫ জন মিলে এই কুকুরটির উপর হামলা চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর(Cruelty Against Animals)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পশুপ্রেমীরা।নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে,কুকুরটি দিনরাত চিৎকার করত,এতে নাকি তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছিল। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে,বেসবলের ব্যাট,লাঠি,লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে কুকুরটিকে আঘাত করছে অভিযুক্তরা। 

    পুলিশের এফআইআর কী বলছে

    পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, প্রায় ২৫ জন মিলে একটি গর্ভবতী কুকুরের উপর অত্যাচার চালিয়েছে(Cruelty Against Animals)। তারা সকলে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির ডন বস্কো টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া ও কর্মী বলেই জানা গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে একটি টিনের শেড দেওয়া ঘর রয়েছে। সেখানে ওই ভীত, সন্ত্রস্ত গর্ভবতী কুকুরটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক ছাত্র রড হাতে ওই টিনের ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাইরে থেকেই উল্লাস করছিল। সেখানে এক ব্যক্তিকে এও বলতে শোনা যায়, ‘মারো ওকে’(Cruelty Against Animals)।

    সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিক্রিয়া

    তবে কুকুরটিকে মেরেই শান্ত হয়নি ওই ২৫ জনের দল। মৃত, রক্তাক্ত কুকুরের দেহ টেনে হেঁচড়াতে নিয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে(Cruelty Against Animals)। এই গোটা ঘটনার ১৫ মিনিটের একটি  ভিডিয়ো শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।  সমাজকর্মীরা এই ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপের জন্য সরব হন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সব পড়ুয়াদের বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষজন। শুধু তাই নয়। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের পাশাপাশি কর্মীরাও জড়িত থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী শুনানিতে যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্য মামলায় (Manik Bhattacharya Case) এই বলে সিবিআইকে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল মানিক ভট্টাচার্যের মামলার। ওই দিন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  

    পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক…

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানি ছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ২৬ পাতার রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দিকে। বামেদের হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। তার পরের বছরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব পান মানিক। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় সরিয়ে দেওয়া হয় মানিককে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সরানো হয় তাঁকে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    কেবল সিবিআই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nabanna: নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য জানুন

    Nabanna: নবান্ন উৎসবের তাৎপর্য জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নবান্ন” (Nabanna) শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। গ্রাম বাংলায় শব্দটি যে খুবই জনপ্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাইতো রাজ্য সরকার পরিচালনার ভবনের নাম নবান্ন। আবার বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের সৌজন্যে খবরের শিরোনামে প্রায়ই দেখা যায় নবান্ন অভিযান। গ্রাম বাংলার লোকাচার,  নবান্নতে (Nabanna) সাধারণত পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। হিন্দুশাস্ত্র তৈত্তিরীয়োপনিষদের ব্রহ্মানন্দবল্লীতে জীবদেহের পঞ্চকোষের উল্লেখ আছে। তার মধ্যে প্রধান হল অন্নময় কোষ। আমাদের এই স্থূল শরীরকেই বলা হয়েছে অন্নকোষ। বৃহদারণ্যকে বলা হচ্ছে, “অন্নে হীমানি সর্বাণি ভূতাণি বিষ্টানি”। সমস্ত চরাচর জগত এই অন্নেই প্রতিষ্ঠিত। অন্ন এবং প্রাণই ব্রহ্ম। আর ধান শুধু কৃষকের নয়, আপামর বাঙালির কাছে পূজিতা লক্ষ্মীর প্রতীক রূপে। কার্তিকের সংক্রান্তির দিন মাঠের ঈশান কোণ থেকে নতুন ধান মুঠো করে আনা হয় কৃষকের গৃহে, এই রীতি বহু প্রাচীন। অঘ্রাহায়ণের শুভদিনে ধান সম্পূর্ণ পেকে গেলে হয় নবান্ন উৎসব। এই দিন গৃহদেবতাকে নতুন ধানের চাল কুটে পায়েস বানিয়ে নিবেদন করা হয়। পিঠাপুলিও হয় কোথাও কোথাও। ধানের গোলা, মড়াই ঘিরে আলপনা দেওয়া হয়। তারপর সেই অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করা হয়। যে-কোনও শস্যই আগে ইষ্ট বা গৃহদেবতাকে নিবেদন করার রীতি আছে বাংলায়। আর ধান তো প্রধান শস্য আমাদের। যাইহোক, আগে নবান্নের (Nabanna) পরেই ধান কাটার রীতি ছিল। পৌষে পৌষলক্ষ্মী ভরা ধান্যে অধিষ্ঠান করেন, এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: শিব-পার্বতীর পুত্র কীভাবে হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক, জেনে নিন সেই গল্প

     গ্রাম বাংলায় কী কী হয় নবান্ন (Nabanna) উৎসবের দিন ? 

    এই সময়কালে গ্রামবাংলায় বড়ি দেওয়ার আচারও দেখা যায় কোথাও কোথাও। যেমন মেদিনীপুরের গয়না বড়ি খুবই বিখ্যাত। কর্তাবড়ি আর গিন্নিবড়ি বানিয়ে তেল-সিঁদুর, ধান-দুর্বা দিয়ে মায়েরা পূজা করেন। এছাড়াও আগেকার দিনে বিভিন্ন জিনিস ‘জিইয়ে’ রাখা হত এই সময়। কচি বাধাকপি, আমলকি, মাছ এবং আরও নানান জিনিস এই সময় নুন দিয়ে জারিয়ে জল বের করে শুকিয়ে শিকেয় তুলে রাখা হত। ভক্তদের বিশ্বাস,দেবী অন্নপূর্ণার পুজো করলে কখনও অন্নের অভাব হয়না। নবান্ন উৎসবে নতুন গুড় সহ নতুন চালের তৈরি খাবার বানিয়ে কলাপাতায় করে খাওয়ার রীতি দেখা যায়। প্রতিবেশী ও আত্মীয় এবং সেই সঙ্গে কাক-কে দেওয়া হয় ওই চাল মাখা। এটি একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোক বিশ্বাস অনুযায়ী, কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য পূর্ব-পুরুষদের কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে “কাকবলী”। 
    অগ্রহায়ণ মাস এলেই মাঠজুড়ে ধানকাটার ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ধান ভাঙার গান ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে, এখন অবশ্য যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় ঢেঁকিতে ধান ভানার শব্দ খুব একটা শোনা যায় না। অথচ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ঢেঁকি ছাঁটা চাল দিয়েই হতো ভাত খাওয়া। খড়ের পালা, মাটির বাড়িতে গোবরের গোলা দিয়ে নিকানো উঠান,  তারমাঝে আল্পনা! নবান্ন (Nabanna) উৎসবে প্রতিটি গ্রামে এ যেন চেনা দৃশ্য। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছুই বদলেছে। তার পরও নতুন চালের ভাত নানা ব্যঞ্জনে মুখে দেয়া হয় আনন্দঘন পরিবেশ। তৈরি করা হয় ক্ষীর- পায়েসসহ নানা উপাদান।

    কবিতায় নবান্ন (Nabanna)

    নবান্ন নিয়ে অনেক কবিতা, গল্প,নাটক ইত্যাদি রয়েছে। বিভিন্ন সাহিত্যিকের লেখায় উঠে এসেছে বাংলার গ্রামীণ চিত্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ”ঘ্রাণেভরা অঘ্রাণে শুভ নবান্ন (Nabanna)।” কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর ভাবনায় “ক্ষমাকর সখা বন্ধ করিনু তুচ্ছ ধানের গল্প।”  কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় উঠে এসেছে এই “নবান্ন”,

    “আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে,এই বাংলায়

    মানুষ নয়, হয়তো বা শঙ্কচিল শালিখের বেশে,

    হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের (Nabanna) দেশে”।

    নবান্ন উৎসবের সাথে মিশে আছে বাঙালিয়ানার হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির নানা বর্ণময় দিক। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। তৈরি হয় এক সামাজিক মেলবন্ধন। নবান্ন উৎসবে গ্রামগঞ্জে আয়োজন করা হয় অন্নপূর্ণা পুজো । শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সমস্ত বয়সের মানুষজন এই উৎসবে মাতে। এখন আর শুধু গ্রামেই নয়, শহরের মানুষও এখন নবান্নের স্বাদ নিয়ে থাকে। এই নবান্ন চাল বাটা, নারকেল কোরা, নলেন গুড়, ফলের কুচি, সন্দেশ মাখা ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়। এসব উপকরণগুলিকে সামান্য দুধের সঙ্গে  ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তৈরি হয় নবান্ন । হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষরা অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এই কারণে হিন্দুরা পার্বণ বিধি অনুযায়ী নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। শাস্ত্রমতে, নবান্ন শ্রাদ্ধ না করে নতুন অন্ন গ্রহণ করলে পাপের ভাগী হতে হয়। বাঙালির আপন উৎসব নবান্ন (Nabanna)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন (China Moon Base)। উদ্দেশ্য, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসার’ একাধিপত্য কমানো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী রাশিয়া পাঠিয়েছিল তো চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। নাসার গবেষণার অন্ত নেই। ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা, পৃথিবীর মতো আর কোনও গ্রহ রয়েছে কিনা, মঙ্গলের লাল মাটিতে কী রয়েছে, বছরভর এই নিয়ে গবেষণা চালান নাসার বিজ্ঞানীরা।

    বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে পিছিয়ে নেই ড্রাগনের দেশও। চিন ছিল প্রথম দেশ, যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল। লুনার নমুনা সংগ্রহও করে এনেছিল চিন। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তেই বেস বা থাকার জায়গা (China Moon Base) তৈরি করতে চায় চিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে জলের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানীরাও চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠের রহস্য উন্মোচনে গবেষণারত।

    চিনের লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার কী বলছেন ?

    চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। সেদেশের সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চাঁদে থাকার (China Moon Base) এই জায়গা পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠবে। চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার উ উইরান বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হব। চাঁদের বেস ক্যাম্প পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে।

    মহাকাশ গবেষণা খাতে চিন এবং আমেরিকা এই দুই দেশই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন সম্পদ আবিষ্কার এবং রহস্যভেদ করাই এই মিশনগুলির উদ্দেশ্য থাকে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। নাসার পাঠানো রোভার লাল গ্রহ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jamaat E Islami: জামাতের ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন

    Jamaat E Islami: জামাতের ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির (Jamaat E Islami) ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওই সব সম্পত্তি। প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবারই ওই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকের অর্ডার পেয়ে স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সির অনুমোদন পাওয়ার পর দক্ষিণ কাশ্মীরের জেলায় জামাত-ই-ইসলামির ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সি…

    স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, স্টেট ইনভেস্টিগেশান এজেন্সিই (SIA) প্রথম আবিষ্কার করে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, আজ অনন্তনাগ জেলার এগারোটি জায়গায় ৯০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এদিন যেসব সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বসত বাড়ি, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, ফলের বাগান এবং জমি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন রোধে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জামাত-ই-ইসলামির এই সব সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

    চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat E Islami) সংগঠনের ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত অনেকের সম্পত্তি সিল করে দিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীরের অনেক জায়গায় অভিযান চালিয়ে দু ডজনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল। মাস কয়েক আগে ভূস্বর্গে জামাত-ই-ইসলামির (Jamat-e-Islami) সঙ্গে সম্পর্কিত ফালাহ-ই-আম (Falah-e-Aam) ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত সব স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার।

    জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মুখ্য সচিব বি কে সিং বলেছিলেন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে সমস্ত শিক্ষাক্রম অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। সরকারের তরফে তখন জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছিল, এই নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানে পাঠরত সব শিক্ষার্থীকে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য কাছাকাছি সরকারি কোনও স্কুলে ভর্তি হতে হবে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১২টি স্কুল ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। এসব ছাড়াও আরও ডজনখানেক প্রাথমিক ও মধ্যমস্তরের স্কুল ছিল তাদের। সব মিলিয়ে প্রায় ১১,০০০ ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share