Author: user

  • RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যথার্থ, অবিলম্বে তার সুরাহা প্রয়োজন। এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar), কলকাতা মেডিক্যাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররা গণ-ইস্তফা দিয়েছেন। এবার সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে ইমেল করলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। পাশাপাশি বেথুনের প্রাক্তনীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করলেন।

    কী বার্তা দেওয়া হয়েছে? (RG Kar)

    ৭৫ জনের বেশি মানুষের স্বাক্ষর-সহ ওই চিঠি বুধবার সকালে ইমেল (RG Kar) করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে। ইমেলে স্বাক্ষর রয়েছে বিনায়ক সেন, গৌতম ভদ্র, মৌসুমী ভৌমিক, বিভাস চক্রবর্তী, সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী দেবলীনা, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস, মইদুল ইসলামসহ শিক্ষা, চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদেরও। ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, “আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর।” একইসঙ্গে বলা হয়েছে, “আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি (যেমন জয়নগর) এবং কোথাও কোথাও পুলিশই তেমন নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় (পার্ক স্ট্রিট থানার ঘটনা) সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।” ইমেলের বয়ান অনুযায়ী নাগরিক সমাজের একাংশে বক্তব্য, “আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল, সেগুলির ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা

    বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে (Agitation) বসলেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। কারও বয়স ৭০, কারও বয়স ৮৩, কেউ আবার ৪৫। বেথুনের নানা বয়সের প্রাক্তনী এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বেথুন কলেজের সামনে ফুটপাথে চেয়ার পেতে বসে পড়েছেন প্রাক্তনীরা। অনশনে অংশগ্রহণকারী এক বৃদ্ধা বলেন, “আমার বয়স ৮৩ বছর। এই বয়সেও আমি বিবেকের টানে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি বেথুন কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে পাশ করে বেরিয়েছি। তার পর ওই কলেজেই শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর। জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশন করছেন। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমরা করছি। এ ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিতে চাই।” আর এক অনশনকারী বলেন, “আমার বয়স ৭০। আমি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমরাও বিবেকের তাড়না অনুভব করেছি।” অনশনে অংশ নিয়েছেন বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষিকারাও। তাঁরা অন্যান্য স্কুলগুলির প্রাক্তনী এবং সাধারণ মানুষকেও এই প্রতীকী অনশনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNFPA: ভারত দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন, পরিশ্রুত জল ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছে, প্রশংসা রাষ্ট্রপুঞ্জের

    UNFPA: ভারত দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন, পরিশ্রুত জল ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছে, প্রশংসা রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দেড় দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। ভারত দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ এবং বিশুদ্ধ জল ও স্যানিটেশনের অ্যাক্সেসকে উন্নত করেছে। এক্ষেত্রে ভারত অসাধারণ অগ্রগতি করেছে, এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের (UNFPA) নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া ক্যানেম। তিন দিনের ভারত সফরের (India Progress) সময় তিনি এই প্রশংসা করেন এবং দেশের রূপান্তরমূলক সাফল্য তুলে ধরেন।

    ভারতের অগ্রগতি

    ভারতের সঙ্গে ইউএনএফপিএ (UNFPA)-এর ৫০ বছরের সম্পর্কের কথা বলে ক্যানেম ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ভারতে যেভাবে দারিদ্র্য কমেছে, বিদ্যুতায়নের উন্নতি হয়েছে তা এক কথায় প্রশংসনীয়। দেশে সকলের জন্য বিশুদ্ধ জল ও স্যানিটারি সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২১-এর মধ্যে ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪১.৫ কোটি কমেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে ভারত উদাহরণ তৈরি করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৫-০৬ সালে দারিদ্রের হার ৫৫.১ শতাংশ থেকে কমে ২০১৯-২১-এ দাঁড়িয়েছে ১৬.৪ শতাংশে। 

    আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    নারীর উন্নয়নে এগিয়ে ভারত

    গত কয়েক বছর ভারতের নানা প্রান্তে ঘুরে ক্যানেম দেশের গ্রামগুলির অবস্থা স্বচক্ষে দেখেছেন। সেখানে যেভাবে উন্নতির আলো পৌঁছেছে তা বিশ্বের সব দেশের কাছে শিক্ষনীয়। ক্যানেমের মতে, যে গতিতে উন্নতি হচ্ছে তা অসাধারণ। ভারতে উন্নয়নের ছোঁয়া সব সম্প্রদায়ের উপর পড়ে। ক্যানেম প্রসূতি-মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে ভারতের (India Progress) সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। ইউএনএফপিএ (UNFPA)-এর একটা লক্ষ্যই হল কোনও নারী যেন শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় মারা না যান। ভারত এই লক্ষ্যে সফল। ভারতে নারীর ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল পরিষেবার উন্নতি হয়েছে। ভারত ক্রমশ উন্নততর ভারতের পথে এগিয়ে চলেছে বলে জানান ক্যানেম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতির বার্তা দিতে ‘গণ ইস্তফা’র হুঙ্কার আরজি করের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) মধ্যে। প্রথম শুরু হয়েছিল আরজি কর থেকে। এবার তা ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা মেডিক্যালের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও। এদিন দুপুরে কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও গণ ইস্তফা দিলেন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একইভাবে ৪০ জনেরও বেশি ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন।

    কলকাতা মেডিক্যালে গণ-ইস্তফা (Senior Doctor)

    কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই ‘গণ ইস্তফা’ দিচ্ছেন। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ‘গণ ইস্তফা’ দেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক। স্লোগান ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পর পর দু’দিন শহরের দুই মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণ ইস্তফা’ দেওয়ায় নবান্নের ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে গণ -ইস্তফা?

    আরজি করকাণ্ডের সঠিক বিচার ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ একগুচ্ছ দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতেও রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি। সেই দাবি পূরণের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দুই জুনিয়র ডাক্তার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ গোস্বামীর হাতে প্রথম পর্বে ৩০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তাফাপত্র তুলে দেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের অন্যতম সদস্য উৎপল  বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনশনে যে জুনিয়র ডাক্তাররা বসেছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। তাঁদের জীবন বাঁচাতে এবং রাজ্য সরকার নমনীয় হয়ে যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি পূরণ করে, তার বার্তা দিতে এই গণ ইস্তাফা (Senior Doctor) দিয়েছি।” উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। অপরাধ ও অপরাধীদের আড়াল করতে বেশি ব্যস্ত রাজ্য সরকার। অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের জীবনের কথা কেন ভাবছে না সরকার? এতেই বোঝা যায় আরজি করকাণ্ডকে রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়িতে কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত? কোন দিকেই বা রাখবেন?

    Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়িতে কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত? কোন দিকেই বা রাখবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশকে সুখ-সমৃদ্ধি প্রদানকারী দেবতা বলে মনে করা হয়। তাঁর অপর নাম বিঘ্নহর্তা। অর্থাৎ নিজের ভক্তদের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর করেন গণেশ, এমনটাই বিশ্বাস। বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী, গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাড়িতে কেমন গণেশ মূর্তি রাখবেন? আবার কোন দিকে গণেশের মূর্তি রাখবেন? সে বিষয়েও বিশেষ বিধান রয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে। এই প্রতিবেদনে সে বিষয়েই আলোচনা করব আমরা।

    কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখবেন?

    আম-অশ্বত্থ-নিম কাঠের গণপতি মূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে আম, অশ্বত্থ ও নিম গাছের গণেশ মূর্তি অবশ্যই রাখা উচিত। এতে গৃহে সুখ-শান্তি প্রবেশ করে।

    শ্বেতার্ক গণেশ মূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে শ্বেতার্ক গণেশ মূর্তি স্থাপন করা উচিত। বাড়িতে এ ধরনের মূর্তি লাগালে ধন-সম্পদের কোনও অভাব থাকে না।

    ক্রিস্টালের গণেশ প্রতিমা: বাস্তু শাস্ত্রে ক্রিস্টালকে সবচেয়ে উত্তম ধাতু মনে করা হয়। বাড়িতে ক্রিস্টালের গণেশ মূর্তি রাখা অত্যন্ত শুভ বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    বসে থাকা গণেশমূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে সব সময় বসে থাকা মুদ্রায় গণেশ মূর্তি রাখা উচিত। এতে যে কোনও কাজে সাফল্য আসে বলে মনে করা হয়।

    লাল রঙের গণেশ মূর্তি: বিভিন্ন রঙের গণেশ মূর্তি বাড়িতে পাওয়া যায়। উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য বাড়িতে সিঁদুর লাল রঙের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত বলে জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা।

    কোন দিকে রাখবেন গণেশ মূর্তি (Ganesha Idol)?

    ১. সুখ-সমৃদ্ধি ও বৈভবের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে বা ঈশান কোণে গণেশ মূর্তি স্থাপন করা উচিত।

    ২. বাড়ির পূর্ব বা পশ্চিম দিকেও গণেশ মূর্তি রাখা যেতে পারে। বাড়ি বা দোকানে মূর্তি রাখার সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে, গণেশের পা যেন মাটি স্পর্শ করে।

    ৩. বাড়ির দক্ষিণ দিকে কখনও গণেশ মূর্তি রাখতে নেই। গণেশ মূর্তি এবং ঠাকুরঘরের আশপাশও যাতে নোংরা না-থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

    ৪. সিঁড়ির নীচে বা পাশে গণেশ মূর্তি (Ganesha Idol) স্থাপন করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তু শাস্ত্রবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI Repo Rate: বাড়ছে না ঋণের বোঝা, টানা দশ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI Repo Rate: বাড়ছে না ঋণের বোঝা, টানা দশ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ বার রেপো রেট (RBI Repo Rate) অপরিবর্তিত রাখল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আগের মতো রেপো রেট ৬.৫ শতাংশই থাকছে। বুধবার সকালে এ কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখায় ব্যাঙ্কগুলিও তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করবে না। ফলে চাপ বাড়বে না মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের।

    কেন অপরিবর্তিত রেপো রেট

    আরবিআই (RBI Repo Rate) যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেয়, তাকেই রেপো রেট বলে। আর যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে। রেপো রেট বৃদ্ধি হলে ব্যাঙ্কগুলিও তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করার পর থেকে রেপো রেট স্থিতিশীল রয়েছে। শেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেপো রেট পরিবর্তন করা হয়েছিল। তারপর থেকে টানা ১০ বার রেপো রেট এক রেখেছে আরবিআই। বুধবার সকালে বৈঠকে বসেছিল আরবিআই-এর ৬ সদস্যের আর্থিক কমিটি। সেখানেই স্থির হয় অপরিপর্তিত রাখা হবে রেপো রেট। মনিটারি কমিটির (Monetary Policy Meeting) ৫ সদস্যই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সপক্ষে ভোট দেন।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    আর্থিক কমিটির বৈঠক

    আরবিআই-এর (RBI Repo Rate) আর্থিক কমিটির (Monetary Policy Meeting) বৈঠক চলবে আরও দু’দিন। চলতি অর্থবর্ষের জন্য আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২ শতাংশই থাকবে বলে মনে করছে আরবিআই-এর আর্থিক কমিটি। শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক কমিটিতে বিদায়ী তিন সদস্যের পরিবর্তে এবার জায়গা পেয়েছিলেন তিন নতুন সদস্য। আর্থিক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া তিন নতুন সদস্য হলেন দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্সের ডিরেক্টর রাম সিং, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সৌগত ভট্টাচার্য এবং ইনস্টিটিউট ফর স্টাডিজ ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর নাগেশ কুমার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Tips: পুজোর ইতিবাচক প্রভাব পেতে ঠাকুরঘর করা উচিত উত্তর-পূর্ব কোণে, বলছেন বাস্তুবিদরা

    Vastu Tips: পুজোর ইতিবাচক প্রভাব পেতে ঠাকুরঘর করা উচিত উত্তর-পূর্ব কোণে, বলছেন বাস্তুবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি বানিয়েছেন অথবা ফ্ল্যাট কিনেছেন, কিংবা ধরুন নতুন করে ভাড়াবাড়িতে উঠেছেন। বাড়িতে ঠাকুরঘর (Pooja Room) অপরিহার্য! প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতে ঠাকুরঘর (Vastu Tips) থাকেই। কিন্তু এটা জানেন কি, বাস্তুমতে ঠাকুর ঘর বাড়ির ঠিক কোন দিকে হওয়া দরকার? যাতে প্রার্থনার ইতিবাচক প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়তে পারে সেই সংসারের ওপর! বাস্তুবিদরা জানাচ্ছেন, ঈশ্বরের মঙ্গলময় আশীর্বাদ পেতে পুজোর জন্য সঠিক দিক হল, উত্তর-পূর্ব কোণ। শাস্ত্রের পরিভাষায় যাকে বলে ঈশান কোণ। শাস্ত্রবিদদের (Vastu Tips) মতে, ওই দিককার অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন বৃহস্পতি। ফলতঃ, পুজোপাঠের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঘর বানানো সবচেয়ে সঠিক।

    দেখা দরকার, আপনার আরাধ্য দেবদেবীকে বাড়ির ঠিক কোন দিকে বসানো হয়েছে

    পুজোপাঠের গুরুত্ব (Pooja Room) হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের নানা ওঠাপড়া, সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ, সার্বিক উন্নতি— সব কিছুর জন্য আমরা আরাধ্য দেব-দেবীর ওপর নির্ভরশীল। কেউ শিবের পুজো করেন তো কেউ বজরঙ্গবলির, কেউ বা আবার দেবী দুর্গার।  তার জন্যই বাড়িতে ঠাকুরঘর বানানো অতি আবশ্যক। বাস্তুবিদদের মতে, সেই ঠাকুরঘর বাড়ির সঠিক দিকে থাকা উচিত। দেখা দরকার, আপনার আরাধ্য দেবদেবীকে বাড়ির ঠিক কোন দিকে বসানো হয়েছে। সেটা ভুল হলে জীবনে তার কুপ্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা। আর সেটা সঠিক হলে সাংসারিক জীবনে সুখশান্তি আসার সম্ভাবনা, মানসিক দিকও সঠিক থাকে।

    শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখবেন না (Vastu Tips)!

    বাস্তুবিদরা শোওয়ার ঘরে ঠাকুর না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে যে বাড়িতে জায়গার একান্ত অভাব রয়েছে, বাধ্য হয়ে শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখতে হয়, সেরকম সংসারে প্রতি রাতে শোওয়ার সময় ঠাকু্রের সামনে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া অতি আবশ্যক, এমনটাই জানাচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়, প্রতি বাড়িতেই বাস্তু পুরুষের অস্তিত্ব রয়েছে। যাঁর মাথা থাকে উত্তর-পূর্ব দিকে, মানে ঈশান কোণে (Vastu Tips) থাকে। সেই ভাবনায়, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করলে তবেই আমরা জীবনে ভালো ভালো কাজ করতে পারি। ঠিক সেই মতোই গৃহস্থ সংসারে ইতিবাচক পরিবেশ-আবহ বজায় রাখার জন্য বাড়ির বাস্তু পুরুষের মাথা সঠিক তথা ইতিবাচক দিকে থাকা ভীষণ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা। আর সেই সঠিক-ইতিবাচক দিক হল উত্তর-পূর্ব দিক বা ঈশান কোণ। বাড়ির ঠাকুরঘরের ঠিক ওপরে বা ঠিক নীচে, কিংবা ঠাকুরঘরের পাশেই বাথরুম বানানো কখনও উচিত নয় বলেও জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা (Vastu Tips)। এছাড়াও পুজোর ঘরে অদরকারি জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়। এগুলোতে ঠাকুরঘর থেকে বা ইতিবাচক ভাব ক্রমশ দূরে সরে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 162: “বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, এমন ভক্তি—জ্ঞান হয় কেমন করে?”

    Ramakrishna 162: “বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, এমন ভক্তি—জ্ঞান হয় কেমন করে?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য

    যদি বল, বিষয়ীদের মধ্যে থাকা, বিষয়ীদের ঔরসে জন্ম, তবে এমন ভক্তি—এমন জ্ঞান হয় কেমন করে? তার মানে আছে। বিষ্ঠাকুড়ে যদি ছোলা পড়ে, তাহলে তাতে ছোলাগাছই হয়। সে ছোলাতে কত ভাল কাজ হয়। বিষ্ঠাকুড়ে পড়েছে বলে কি অন্য গাছ হবে?

    আহা, রাখালের স্বভাব আজকাল কেমন হয়েছে। তা হবে নাই বা কেন? ওল যদি ভাল হয়, তার মুখিটিও ভাল হয়। (সকলের হাস্য) যেমন বাপ, তার তেমনি ছেলে!

    মাস্টার (একান্ত গিরীন্দ্রের প্রতি)—সাকার-নিরাকারের কথাটি ইনি কেমন বুঝিয়ে দিলেন। বৈষ্ণবেরা বুঝি কেবল সাকার বলে?

    গিরীন্দ্র—তা হবে। ওরা একঘেয়ে।

    মাস্টার—নিত্য সাকার, আপনি বুঝেছেন? স্ফটিকের কথা? আমি ওটা ভাল বুঝতে পারছি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—হ্যাঁগা, তোমরা কি বলাবলি কচ্ছ?

    মাস্টার ও গিরীন্দ্র একটু হাসিয়া চুপ করিয়া রহিলেন।

    বৃন্দে ঝি (রামলালের প্রতি)—ও রামলাল, এ-লোকটিকে এখন খাবার দেও, আমার খাবার তার পরে দিও।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বৃন্দেকে খাবার এখনও দেয় নাই?

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে

    অপরাহ্নে ভক্তেরা পঞ্চবটীমূলে কীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহাদের সহিত যোগদান করিলেন। আজ ভক্তসঙ্গে মার নামকীর্তন করিতে করিতে আনন্দে ভাসিলেন:

    শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল ৷
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল ॥
    মায়াকান্নি হল ভারী, আর আমি উঠাতে নারি ৷
    দারাসুত কলের দড়ি, ফাঁস লেগে সে ফেঁসে গেল ॥
    জ্ঞান-মুণ্ড গেছে ছিঁড়ে, উঠিয়ে দিলে অমনি পড়ে ৷
    মাথা নেই সে আর কি উড়ে, সঙ্গের ছজন জয়ী হল ॥
    ভক্তি ডোরে ছিল বাঁধা, খেলতে এসে লাগল ধাঁধা ৷
    নরেশচন্দ্রের হাসা-কাঁদা, না আসা এক ছিল ভাল ॥

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ“ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 161: “মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ…অন্তরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা, তাই ঠোঁট নড়ে”

    Ramakrishna 161: “মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ…অন্তরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা, তাই ঠোঁট নড়ে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, নিত্যসিদ্ধ ও কৌমার বৈরাগ্য

    রাখালের বাপ বসিয়া আছেন (Kathamrita)। রাখাল আজকাল ঠাকুরের (Ramakrishna) কাছে রহিয়াছেন। রাখালের মাতাঠাকুরানীর পরলোকপ্রাপ্তির পর পিতা দ্বিতীয় সংসার করিয়াছেন। রাখাল এখানে আছেন, তাই পিতা মাঝে মাঝে আসেন। তিনি ওখানে থাকাতে বিশেষ আপত্তি করেন না। ইনি সম্পন্ন ও বিষয়ী লোক, মামলা মোকদ্দমা সর্বদা করিতে হয়। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে উকিল, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি আসেন। রাখালের পিতা তাঁহাদের সঙ্গে আলাপ করিতে মাঝে মাঝে আসেন। তাঁহাদের নিকট বিষয়কর্ম সম্বন্ধে অনেক পরামর্শ পাইবেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাঝে মাঝে রাখালের বাপকে দেখিতেছেন। ঠাকুরের ইচ্ছা—রাখাল তাঁর কাছে দক্ষিণেশ্বরে থাকিয়া যান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাখালের বাপ ও ভক্তদের প্রতি)—আহা, আজকাল রাখালের স্বভাবটি কেমন হয়েছে! ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখ—দেখতে পাবে, মাঝে মাঝে ঠোঁট নড়ছে। অন্তরে ঈশ্বরের নাম জপ করে কিনা, তাই ঠোঁট নড়ে।

    এ-সব ছোকরারা নিত্যসিদ্ধের থাক। ঈশ্বরের (Ramakrishna) জ্ঞান নিয়ে জন্মেছে। একটু বয়স হলেই বুঝতে পারে, সংসার গায়ে লাগলে আর রক্ষা নাই। বেদেতে হোমাপাখির কথা আছে, সে পাখি আকাশেই থাকে, মাটির উপর কখন আসে না। আকাশেই ডিম পাড়ে। ডিম পড়তে থাকে; কিন্তু এত উঁচুতে পাখি থাকে যে, পড়তে পড়তে ডিম ফুটে যায়। তখন পাখির ছানা বেরিয়ে পড়ে, সেও পড়তে থাকে। তখনও এত উঁচু যে পড়তে পড়তে ওর পাখা উঠে ও চোখ ফোটে। তখন সে দেখতে পায় যে, আমি মাটির উপর পড়ে যাব! মাটিতে পড়লেই মৃত্যু! মাটি দেখাও যা, অমনি মার দিকে চোঁচা দৌড়। একবারে উড়তে আরম্ভ করে দিল। যাতে মার কাছে পৌঁছতে পারে। এক লক্ষ্য মার কাছে যাওয়া।

    এ-সব ছোকরারা ঠিক সেইরকম। ছেলেবেলাই সংসার দেখে ভয় (Kathamrita)। এক চিন্তা—কিসে মার কাছে যাব, কিসে ঈশ্বরলাভ হয়।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না। দুই দেশের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা খুবই জরুরি। সম্প্রতি এমনই অভিমত  প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর থেকে পদ্মা পাড়ে ভারত বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আবহে ইউনূস ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা বললেন। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক হতে হবে স্বচ্ছতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এই সম্পর্ক দুই দেশের কাছেই প্রয়োজনীয়।

    ইউনূসের মত

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বললেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাশের চাহিদা এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক এবং আমাদের মধ্যে অনেক কিছুর মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস আছে। তাই আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ওপরও জোর দেন ইউনূস।” তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে জল বণ্টন ও মানুষের চলাচলের সমস্যার সমাধান করতে হবে।  আমাদের প্রশাসন এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে।” সার্ক গোষ্ঠীকে পুনরায় শক্তিশালী করার কথাও বলেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    দিল্লির দাবি

    বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুসম্পর্কের কথা বললেও ভারত মনে করে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের চলতি পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাণই বিপন্ন করছে না, বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও বিপদের মুখে ফেলছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সমাজের সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকার ও প্রশাসনের অংশ করা। বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ণ বন্ধ হলে, সন্ত্রাস থামলে, তবেই দুই দেশের একসাথে গিয়ে চলা সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 160: “ঠাণ্ডার গুণে যেমন সাগরের জল বরফ হয়ে ভাসে…বরফের চাঁই সাগরের জলে ভাসে”

    Ramakrishna 160: “ঠাণ্ডার গুণে যেমন সাগরের জল বরফ হয়ে ভাসে…বরফের চাঁই সাগরের জলে ভাসে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে

    সাকার না নিরাকার 

    (গোস্বামীর প্রতি)—তা ঈশ্বর শুধু সাকার বললে কি হবে। তিনি শ্রীকৃষ্ণের (Ramakrishna) ন্যায় মানুষের মতো দেহধারণ করে আসেন, এও সত্য, নানারূপ ধরে ভক্তকে দেখা দেন, এও সত্য। আবার তিনি নিরাকার, অখণ্ড সচ্চিদানন্দ, এও সত্য। বেদে তাঁকে সাকার নিরাকার দুই বলেছে, সগুণও বলেছে, নির্গুণও বলেছে (Kathamrita)।

    কিরকম জান? সচ্চিদানন্দ যেন অনন্ত সাগর। ঠাণ্ডার গুণে যেমন সাগরের জল বরফ হয়ে ভাসে, নানা রূপ ধরে বরফের চাঁই সাগরের জলে ভাসে; তেমনি ভক্তিহিম লেগে সচ্চিদানন্দ-সাগরে সাকারমূর্তি দর্শন হয়। ভক্তের জন্য সাকার। আবার জ্ঞানসূর্য উঠলে বরফ গলে আগেকার যেমন জল, তেমনি জল। অধঃ ঊর্ধ্ব পরিপূর্ণ। জলে জল। তাই শ্রীমদ্ভাগবতে সব স্তব করেছে—ঠাকুর, তুমিই সাকার তুমিই নিরাকার; আমাদের সামনে তুমি মানুষ হয়ে বেড়াচ্ছ, কিন্তু বেদে তোমাকেই বাক্য-মনের অতীত বলেছে।

    তবে বলতে (Kathamrita) পার, কোন কোন ভক্তের পক্ষে তিনি নিত্য সাকার। এমন জায়গা আছে, যেখানে বরফ গলে না, স্ফটইকের আকার ধারণ করে।

    কেদার—আজ্ঞে, শ্রীমদ্ভাগবতে ব্যাস তিনটি দোষের জন্য ভগবানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এক জায়গায় বলেছেন, হে ভগবন্‌ (Ramakrishna) তুমি বাক্য মনের অতীত, কিন্তু আমি কেবল তোমার লীলা—তোমার সাকাররূপ—বর্ণনা করেছি, অতএব অপরাধ মার্জনা করবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ঈশ্বর সাকার আবার নিরাকার, আবার সাকার-নিরাকারেরও পার। তাঁর ইতি করা যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “ভক্তেরা দাঁড়াইয়া খোল-করতাল লইয়া কীর্তন করিতেছেন, ঠাকুরের দৃষ্টি স্থির”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share