Author: user

  • Durga Puja: মা দুর্গা এখানে জাগ্রত বলে পরিচিত! ১৯৩ বছরে পড়ল হরিরামপুর ঠাকুরবাড়ির দুর্গোৎসব

    Durga Puja: মা দুর্গা এখানে জাগ্রত বলে পরিচিত! ১৯৩ বছরে পড়ল হরিরামপুর ঠাকুরবাড়ির দুর্গোৎসব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে ১৯৩ বছর আগের কথা। দেশে তখন ইংরেজ শাসন। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে তৎকালীন দিনাজপুর জেলার বর্ধিষ্ণু জনপদ ছিল হরিরামপুর। এই গ্রামের আশপাশের তিরিশ থেকে চল্লিশটি গ্রামে কোনও দুর্গাপুজো (Durga Puja) তখন হত না। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মেতে ওঠার আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকতে হত আট থেকে আশি সকলকেই। গ্রামের একমাত্র ব্রাহ্মণ পরিবার হিসেবে সকলেই এক ডাকে চিনত চক্রবর্তী বাড়িকে। সেসময় বাড়ির কর্তা ছিলেন মধুসূদন চক্রবর্তী। তিনি ভাবলেন, ‘‘মাতৃ-আরাধনা থেকে এত বিপুল সংখ্যক ভক্ত বঞ্চিত হবেন!’’ তাঁরই উদ্যোগে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে শুরু হল হরিরামপুর (Harirampur) ঠাকুর বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja)। আজও চলছে সমানভাবে-সমানতালে। মাঝে কখনও বন্ধ হয়নি এই পুজো। আর মাত্র ৭টি বছর, তারপরেই পুজোর বয়স ডাবল সেঞ্চুরি করবে।

    কী বলছেন পরিবারের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী? 

    মধুসূদন চক্রবর্তীর প্রতিষ্ঠিত এই পুজোর দায়িত্ব সামলেছেন একে একে কার্তিক চক্রবর্তী, প্রাণেশ চক্রবর্তী, উত্তম চক্রবর্তীরা। এঁরা প্রত্যকেই এখন পরলোকগত। বর্তমানে পুজো (Durga Puja) দেখভাল করেন গৌতম চক্রবর্তী। তিনিই জানালেন পুজোর খুঁটিনাটি নানা বিষয়। জানা গেল, প্রথমদিকে আশেপাশের সমস্ত গ্রাম থেকেই মানুষরা সামিল হতেন এই পুজোয়। আশেপাশের গ্রামের মানুষজন হরিরামপুর ঠাকুর বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করেই মেতে উঠতেন উৎসবে। চলত একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। পুজোকে কেন্দ্র করে নাচ-গানও হত। গৌতম বাবুর মতে, ‘‘ক্লাব হওয়ার পর থেকে বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে পাড়া প্রতিবেশীদের সামিল হওয়ার প্রবণতা সর্বত্রই কমেছে। আমাদের এখানেও একই ছবি। তবে এখনও পরিবারের সদস্যদের (Harirampur) বাইরেও অনেকেই অংশগ্রহণ করেন হরিরামপুর ঠাকুর বাড়ির পুজোয়। তাঁরা ভোগ অর্পণ, পুজোর আয়োজন থেকে বিসর্জন-এসকল কাজে নানাভাবে সাহায্য করেন।’’

    পুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে একসময় চণ্ডীমঙ্গলের গান বিপুল জনপ্রিয় ছিল

    এলাকায় জাগ্রত দেবী বলে পরিচিত হরিরামপুর ঠাকুর বাড়ির পুজোয় অনেকে মানতও করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সকলের ইচ্ছা পূরণ করেন। গৌতমবাবুর ভাষায়, ‘‘মানত পূরণ হওয়ার পরে অনেকেই দেবীকে সোনা-রূপা দান করেন। পরে এগুলি দিয়েই মায়ের অলঙ্কার তৈরি হয়।’’ গৌতমবাবুর আরও জানালেন, একসময় দুর্গাপুজো উপলক্ষে চণ্ডীমঙ্গলের গান হত এখানে। সেই গান বিপুল জনপ্রিয় ছিল। আশেপাশের প্রচুর গ্রামের মানুষ চণ্ডীমঙ্গলের গান শুনতে জড়ো হতেন ঠাকুরবাড়ির পুজো প্রাঙ্গণে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত চলত এই গান। তবে নব্বইয়ের দশকের পর চণ্ডীমঙ্গলের গান বন্ধ হয়ে যায়। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত মাতৃ-আরাধনার পরে দশমীর রাতে ঠাকুরবাড়ির পুকুরেই দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সঙ্গে কালীপুজোর রীতিও দেখা যায় এখানে। দুর্গাপ্রতিমার পাশেই থাকে কালীমূর্তি। সবশেষে গৌতম বাবু বললেন, ‘‘পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে ১৯৩ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। মাঝে কখনও বন্ধ হয়নি, আমরা যতদিন আছি পুজো চালিয়ে যাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 09 october 2024: কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 october 2024: কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন। 

    ৩) নতুন গাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। 

    মিথুন

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আপনার সম্মান বৃদ্ধি হতে পারে।

    সিংহ

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সম্পত্তির ভাগ পেতে পারেন।

    ৩) পরিবারের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব চললে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে, আপনার বস আপনার ওপর দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারেন।

    তুলা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) আধ্যাত্মিক কাজে আকর্ষণ আসবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কুম্ভ

    ১) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভালো হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক! ‘‘সত্যের জয় হয়েছে গীতার ভূমিতে’’, মন্তব্য মোদির

    Haryana: হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক! ‘‘সত্যের জয় হয়েছে গীতার ভূমিতে’’, মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হল। সকাল থেকেই কংগ্রেস এগিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ যাওয়া মাত্রই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় ট্রেন্ড। কংগ্রেসকে অনেক পিছনে ফেলে ছুটতে থাকে বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপি ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জয়লাভ করেছে এবং কংগ্রেসকে থামতে হয়েছে ৩৭টি আসনে। ‘‘সত্যের জয় হয়েছে গীতার ভূমিতে’’, হরিয়ানায় (Haryana) দলের জয়কে এই ভাবেই সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    হরিয়ানায় (Haryana) প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে পর পর তিনবার সরকার গড়ছে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, পরপর তিনবার হরিয়ানার মসনদ দখল করতে সম্ভব হল বিজেপি। প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে হরিয়ানায় বিজেপি তিনবার ক্ষমতায় ফিরল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যাচ্ছে যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৫০টি আসনে। হরিয়ানা (Haryana) নির্বাচনে বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষাতে (Haryana Election Results 2024) উঠে আসে যে কংগ্রেস সেখানে সরকার করতে চলেছে, কিন্তু সেই জনমত সমীক্ষাকে ধুলিস্যাৎ করে তৃতীয়বারের জন্য সেখানে সরকার তৈরি করতে সক্ষম হল ভারতীয় জনতা পার্টি। কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামানো হয় অলিম্পিকস ফেরত ক্রীড়াবিদ ভিনেস ফোগাটকে, তিনি জুলানা সিট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছেন। হরিয়ানা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়াও আম আদমি পার্টি, জননায়ক জনতা পার্টি, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

    জম্মু-কাশ্মীরেও উল্লেখযোগ্য ভালো ফল বিজেপির 

    অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে অধিকাংশ আসনেই গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সব আসনের ফলপ্রকাশ এখনও পর্যন্ত করেনি নির্বাচন কমিশন। জয় পাওয়া কিংবা এগিয়ে থাকার নিরিখে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর ঝুলিতে ৪২টি আসন গিয়েছে। এনসি-র সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেস পেতে চলেছে মাত্র ৬টি আসন। জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে, একথা বলাই যায়। অন্যদিকে, বিজেপির ঝুলিতে আসতে চলেছে ২৯টি আসন। পিডিপি মাত্র ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিপিএম এবং আপ একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স জয়ী হয়েছে একটি আসনে। আর নির্দল প্রার্থীরা ৭টি আসনে জয়ী হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় আগের চেয়ে বাড়ল ছুটি

    Bangladesh: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় আগের চেয়ে বাড়ল ছুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের দুর্গাপুজোতে ছুটি বাড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, এতদিন পুজোর (Durga Puja) সময়ে শুধুমাত্র একদিন করেই সরকারি ছুটি দেওয়া হত। কিন্তু এবছরে পুজোতে টানা চারদিন সরকারি ছুটি থাকছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার এবং শনিবার সরকারি ছুটি। এর পরদিন, রবিবার, দুর্গাপুজোয় বিজয়া দশমী উপলক্ষে থাকবে ছুটি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সপ্তমীর দিনও ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কার্যালয় সরকারের নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার এই ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

    আগে শুধু বিজয়া দশমীতে পুজোর ছুটি থাকত (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে পুজোর সময়ে শুধুমাত্র বিজয়া দশমীর দিনেই সরকারি ছুটি দেওয়া হত। চলতি বছরে এই ছুটি অন্তত তিন দিন করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু সংগঠনগুলি সাংবাদিক বৈঠকও করে। এই আবহে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলাম সংগঠনগুলিকে দুর্গাপুজোর বিরোধিতা করে রাস্তায় নামতেও দেখা যায়। অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনও নেমে আসে ব্যাপকভাবে। এরই মাঝে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার পুজোতে একদিন অতিরিক্ত ছুটি বাড়াল।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারি অধিকর্তা?

    সেদেশের সরকারি অধিকর্তা মাহফুজ আলম এনিয়ে বলেন, ‘‘হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করার সময়ই এই কথা জানান মাহফুজ আলম। অন্যদিকে, এবারের পুজো খুব ভালোভাবে হবে এবং কোনও অসুবিধা হবে না বলে আবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । পুজোর (Durga Puja) নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: এসডিপিও’কে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি, ফের উত্তপ্ত জয়নগর

    Jaynagar: এসডিপিও’কে ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি, ফের উত্তপ্ত জয়নগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের  (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jaynagar)

    সোমবার রাতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে এলাকায় আসার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বিক্ষোভে নামেন এলাকাবাসীরা। পুলিশকে (Jaynagar) ঘিরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। এমনকী পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই কারণেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই তেতে উঠেছিল গ্রাম। জায়গায় জায়গায় শুরু হয় অবরোধ। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছতেই ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ছিনিয়ে নেওয়া হয় চাবি। চটি হাতে তেড়ে যান গ্রামবাসীরা। এসডিপিও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গ্রামে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরাও। এসডিপিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এসব উত্তেজনার মধ্যেই আবারও গরানকাটিতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। দক্ষিণ বারাসতের দিক থেকে এসডিপিও ঢুকতে গেলে তাঁর গাড়িতেও হামলা চালান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পিছু হটতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে এলাকায় পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী (Jaynagar) বলেন, “পুলিশের ওপর আমাদের কোনও রাগ নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের গ্রাম থেকে তাড়াতে চাই। পুলিশ আসলে সন্ত্রাসবাদীদের প্রোটেকশন দিচ্ছে। আমরা বলেছিলাম, গ্রামে গাড়ি ঢোকানো যাবে না। পুলিশ বলছে, আমাদের গাড়িতে রোগী আছে। তোমরা সরে যাও, না হলে গায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব। তখনই আমাদের ছেলেরা ক্ষোভে  ফেটে পড়ে।”

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশের (Jaynagar) বক্তব্য, কোনও গ্রামবাসীর সঙ্গে কোনও ধরনের অভব্য আচরণ করা হয়নি। একজন লেডি কনস্টেবল অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ আধিকারিককে গ্রামবাসীদের বলতে শোনা যায়, “যাঁরা গাড়ি ভেঙেছেন, তাঁদের আমাদের হাতে তুলে দাও। তোমাদের যা ক্ষোভ আছে, এখন কিন্তু আমার ফোর্সও ক্ষুব্ধ।” ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চমীর সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জয়নগরের গরানকাটি এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে খয়রাশোলের ভাদুলিয়া কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গিয়েছে। এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বোমাকাণ্ডে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।

    লরিতে মজুত ছিল বিস্ফোরক (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের (Birbhum) লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই লরিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রথমে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ভাবে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, খনিতে অবৈধ কাজ চলে। হয়তো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য লরিতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। পুলিশ এলাকায় সক্রিয় নেই বলেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদানে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃতদের পরিবার থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য প্রশাসনকে পরিবার পিছু ৩০ লক্ষ টাকা, একটি করে বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দিতে হবে। তবে বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকার মানুষ। এলাকার (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, “কয়লাখনিগুলিতে তৃণমূলের নেতারা অবৈধভাবে দখল করে বেআইনি কাজ করছে। গোটা বাংলাকে এই ভাবে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের দাবি, এই বিস্ফোরণের পিছে যারা আছে তাদের খোঁজ করে সত্যটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক এনআইএ।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar: জুনিয়রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ১০ দফা দাবিতে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছেন। তাঁদের এই আন্দোলনের সমর্থনে মঙ্গলবার গণ ইস্তফা দিলেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা। সরকারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আশ্বাস দিলেও জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যান্য দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু বলেনি সরকার। রাজ্য যাতে বাকি দাবিগুলি নিয়েও কথা বলে, সেই কারণেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। এই পদক্ষেপের পর সিনিয়র ডাক্তাররা (Senior Doctor) যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরলে, সেই সময় করতালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানালেন জুনিয়ররা।

     চিঠিতে কী বার্তা দিলেন সিনিয়র ডাক্তাররা? (RG Kar)

    রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে গণ ইস্তফা দিয়েছেন আরজি করের (RG Kar) সিনিয়র ডাক্তারেরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক। আরজি করের এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, “আমরণ অনশন হল একেবারে শেষ অস্ত্র। বাধ্য হয়েই জুনিয়র চিকিৎসকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আড়াই দিন হয়ে গেল ওঁরা অনশন করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। আমরা চাই সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করুক। এখন আমরা গণ ইস্তফা দিলাম। এর পর আমরা ব্যক্তিগত ভাবে ইস্তফার পথেও হাঁটব।” গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবিদাওয়া যাতে দ্রুত মেনে নেয় সরকার, সেই দাবিতে গণ ইস্তফা দিলেন ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেই গত শনিবার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারেরা এ বার গণ ইস্তফা দেওয়ায় পুজোর মধ্যে আরজি করের চিকিৎসা পরিষেবা অংশত বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ দিক দিকে

    সিনিয়রদের গণ ইস্তফার আঁচ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। শুরু আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তফা দেন মঙ্গলবার দুপুরে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যালেও গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি সিনিয়র ডাক্তারদের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়রদের দাবি পূরণ না হলে, তাঁরাও গণ ইস্তফা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়রেরা। কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারেরা বিচারের জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা কর্মবিরতি থেকে ফিরে এসেছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাঁরা রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছেন। কিন্তু অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।” জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার সঙ্গে তাঁরা সম্পূর্ণ সহমত, সে কথাও জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করারও অনুরোধ করেন তাঁরা। বুধবারের মধ্যে সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য না ডাকলে গণ ইস্তফারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা।

    জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল

    মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন আরজি করের (RG Kar) জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। জুনিয়র ডাক্তারদের ওই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত সিনিয়র ডাক্তারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা খেয়েই ভারতীয়দের মলদ্বীপ ভ্রমণে যেতে আহ্বান মুইজ্জুর

    India Maldives Relation: পর্যটন শিল্পে বড় ধাক্কা খেয়েই ভারতীয়দের মলদ্বীপ ভ্রমণে যেতে আহ্বান মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট বিশ্ব হোক বা পর্যটন মানচিত্র, যে কোনও দেশের অর্থনৈতিক ভরসা হতে পারে ভারত (India Maldives Relation)। উপমহাদেশে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সাম্প্রতিক কালে একটু দোদুল্যমান হওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা। তাই ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মুইজ্জু বলেন, “ভারত আমাদের অন্যতম বড় পর্যটন উৎস। ভারতীয় পর্যটকদের আরও বেশি করে মলদ্বীপে স্বাগত জানাতে চাই।” 

    পর্যটন শিল্পে ক্ষতি

    মলদ্বীপের (India Maldives Relation) সব চেয়ে বড় শিল্প হল পর্যটন। যা দেশের জিডিপির প্রায় ৩০%। পর্যটন শিল্প থেকে মলদ্বীপে ৬০% এর বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। গত এক বছরে ভারত থেকে মলদ্বীপে যাওয়া পর্যটক সংখ্যা অনেক কমেছে। যার কারণ মূলত লাক্ষাদ্বীপ-মলদ্বীপ বিতর্ক, যা কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল। মলদ্বীপের আয়ে যার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় পর্যটক কম যাওয়ায় হিসেব অনুযায়ী মলদ্বীপের প্রায় $৬০ মিলিয়ন ক্ষতি হয়েছে। মুইজ্জু বলেন, “অনেক মলদ্বীপবাসী পর্যটন, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য ভারত ভ্রমণ করেন। একই সঙ্গে মলদ্বীপে বসবাসকারী অনেক ভারতীয় আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। আমরা চাই তিক্ততা ভুলে দুই দেশ আরও কাছে আসুক। ” 

    আরও পড়ুন: জিনের নিয়ন্ত্রক নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন

    ভারতীয় পর্যটকদের স্বাগত

    মলদ্বীপের (India Maldives Relation) পর্যটন মন্ত্রীর মতে, ভারতীয় পর্যটকরা সব সময় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। কয়েক মাস আগে মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল “ওয়েলকাম ইন্ডিয়া” রোড শো-তে ভারতীয়দের মলদ্বীপে আসার আহ্বান জানান, যা মুইজ্জুর পূর্বের “ইন্ডিয়া আউট” প্রচারণার বিপরীত ছিল। মলদ্বীপ পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন সময়কালে যেখানে ৫৪,২০৭ জন ভারতীয় পর্যটক ছিল, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা কমে ২৮,৬০৪ হয়েছে। তাই ফের ভারতীয়দের মলদ্বীপ ভ্রমণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে দরবার করেছেন মুইজ্জু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলা বাড়তেই বদলে গেল ছবি। প্রথম দুই ঘণ্টা পিছিয়ে থাকলেও তার পরই পালাবদল ঘটে। কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি আবারও এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বর্তমানে এগিয়ে ৫১টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে ৩৪টি আসনে। এদিন সকালে পোস্টাল ব্যালট (Election Result) গণনার সময় এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু বেলা বাড়তেই ঘুরে যায় খেলা। ইভিএম-এর ভোট গণনা শুরু হলে দেখা যায় ধীরে ধীরে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপি।

    টানটান লড়াই

    সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে হরিয়ানার ৯০ আসনের গণনা। শুরুতে কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছিল ৬৫ আসনে। উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিল্লির সদর দফতরে। প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবে চলার পর প্রবণতায় ঘটল আমূল পরিবর্তন। জয়ের পথে ফিরে আসে বিজেপি। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ গেরুয়া শিবির এগিয়ে ছিল ৪৬ আসনে। আর কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৭-এ। এক এক করে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটগণনার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জুলানায় জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ফোগাট। খড়খুদায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। জিন্দ থেকেও জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    আহিরওয়াল ভোট-ব্যাঙ্ক

    তিন ধাপে ভোটগ্রহণ হয়েছে হরিয়ানায় (Haryana)। গত দুই নির্বাচনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপিই ছিল বৃহত্তম দল, কিন্তু, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬টি আসন কম পেয়েছিল তারা। জেজেপির ১০ বিধায়কের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবার অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষায় অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই ইঙ্গিত দিয়েছিল, রাজ্যে এবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। তবে, ফলফলের প্রবণতা এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে মিলছে না। হরিয়ানায় আহিরওয়াল বেল্ট দু’হাত তুলে সমর্থন করে বিজেপিকে। মূলত গুরুগ্রাম , রেওয়ারি এবং মহেন্দরগড় নিয়ে এই আহিরওয়াল বেল্ট। ২০১৪ সাল থেকেই এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বিজেপি-র অনুগত ভোটার। ট্রেন্ড বলছে এ বারের বিধানসভা ভোটে এই বেল্ট থেকে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 159: “বৈষ্ণবেরাও ঈশ্বরকে পাবে, শাক্তরাও পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে”

    Ramakrishna 159: “বৈষ্ণবেরাও ঈশ্বরকে পাবে, শাক্তরাও পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    গোস্বামী সঙ্গে সর্বধর্ম-সমন্বয়প্রসঙ্গে

    তাই নাম কর, সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা কর, যাতে ঈশ্বরেতে (Ramakrishna) অনুরাগ হয়, আর যে-সব জিনিস দুদিনের জন্য, যেমন টাকা, মান, দেহের সুখ; তাদের উপর যাতে ভালবাসা কমে যায়, প্রার্থনা কর।

    বৈষ্ণবধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা—সর্বধর্ম-সমন্বয় 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গোস্বামীর প্রতি)—আন্তরিক হলে সব ধর্মের ভিতর দিয়াই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। বৈষ্ণবেরাও ঈশ্বরকে পাবে, শাক্তরাও পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে; আবার মুসলমান, খ্রীষ্টান, এরাও পাবে। আন্তরিক হলে সবাই পাবে। কেউ কেউ ঝগড়া করে বসে। তারা বলে (Kathamrita), “আমাদের শ্রীকৃষ্ণকে না ভজলে কিছুই হবে না”; কি, “আমাদের মা-কালীকে না ভজলে কিছুই হবে না।”

    এ-সব বুদ্ধির নাম মাতুয়ার বুদ্ধি; অর্থাৎ আমার ধর্মই ঠিক, আর সকলের মিথ্যা। এ-বুদ্ধি খারাপ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) কাছে নানা পথ দিয়ে পৌঁছানো যায়।

    আবার কেউ কেউ বলে, ঈশ্বর সাকার, তিনি নিরাকার নন। এই বলে আবার ঝগড়া। যে বৈষ্ণব, সে বেদান্তবাদীর সঙ্গে ঝগড়া করে।

    যদি ঈশ্বর সাক্ষাৎ দর্শন হয়, তাহলে ঠিক বলা যায়। যে দর্শন করেছে, সে ঠিক জানে ঈশ্বর সাকার, আবার নিরাকার। আরও তিনি কত কি আছেন তা বলা যায় না।

    কতকগুলো কানা একটা হাতির কাছে এসে পড়েছিল। একজন লোক বলে দিলে, এ-জানোয়ারটির নাম হাতি। তখন কানাদের জিজ্ঞাসা করা হল হাতিটা কিরকম? তারা হাতির গা স্পর্শ করতে লাগল। একজন বললে, ‘হাতি একটা থামের মতো!’ সে কানাটি কেবল হাতির পা স্পর্শ করেছিল। আর-একজন বললে, ‘হাতিটা একটা কুলোর মতো!’ সে কেবল একটা কানে হাত দিয়ে দেখেছিল। এইরকম যারা শুঁড়ে কি পেটে হাত দিয়ে দেখেছিল তারা নানা প্রকার বলতে লাগল। তেমনি ঈশ্বর (Ramakrishna) সম্বন্ধে যে যতটুকু দেখেছে সে মনে করেছে, ইশ্বর এমনি, আর কিছু নয়।

    একজন লোক বাহ্যে থেকে ফিরে এসে বললে (Kathamrita) গাছতলায় একটি সুন্দর লাল গিরগিটি দেখে এলুম। আর-একজন বললে, আমি তোমার আগে সেই গাছতলায় গিছলুম—লাল কেন হবে? সে সবুজ, আমি স্বচক্ষে দেখেছি। আর-একজন বললে, ও আমি বেশ জানি, তোমাদের আগে গিছলাম, সে গিরগিটি আমিও দেখেছি। সে লালও নয়, সবুজও নয়, স্বচক্ষে দেখেছি নীল। আর দুইজন ছিল তারা বললে, হলদে, পাঁশটে—নানা রঙ। শেষে সব ঝগড়া বেধে গেল। সকলে জানে, আমি যা দেখেছি, তাই ঠিক। তাদের ঝগড়া দেখে একজন লোক জিজ্ঞাসা করলে, ব্যাপার কি? যখন সব বিবরণ শুনলে, তখন বললে, আমি ওই গাছতলাতেই থাকি; আর ওই জানোয়ার কি আমি চিনি। তোমরা প্রত্যেকে যা বলছ, তা সব সত্য; ও গিরগিটি,— কখন সবুজ, কখন নীল, এইরূপ নানা রঙ হয়। আবার কখন দেখি, একেবারে কোন রঙ নাই। নির্গুণ।”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share