Author: user

  • RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar Case: ষষ্ঠী থেকে চার দিন বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ষষ্ঠী থেকে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবেন আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসীরা। নির্যাতিতার বাবা-মা আরও জানিয়েছেন, চাইলে যে কেউ এসে এই প্রতিবাদে সামিল হতে পারেন। এমনকী রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আসতে পারেন। কিন্তু প্রতিবাদ মঞ্চে কেবল মাত্র থাকবেন কাছের আত্মীয়রাই। একই ভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে মমতাকে তোপ দেগেছেন অভয়ার মা।

    চার দিনের ধর্নায় বসবেন বাবা-মা (RG Kar Case)

    প্রত্যেক বছর বাড়িতে পুজো (Durga Puja) হলেও এবার দুর্গামায়ের পুজো হবে না বাড়িতে। বাজবে না ঢাক, জ্বালানো হবে না আলো। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলেই ধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় অভয়াকে। ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য সহ গোটা দেশ এবং বিদেশের মাটিতে আন্দোলন হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার মা বলেন, “তিন বছর আগে মেয়ের আবদারে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। বাড়ির গ্যারাজে রাখা হয়েছিল দুর্গাপ্রতিমা। বাড়ি নানা আলোয় ঝলমল করত। চারদিন পুজো হত, খুব আনন্দ হত। এই বছর খুব কষ্ট হবে। তাই ঘরের সামনে ধর্নামঞ্চ করছি। ষষ্ঠী থেকে সেখানেই বসব। পরিবারের লোকজন থাকবে। যাঁরা আসতে চাইবেন আসবেন।” আবার নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “রাজনীতির লোকের আসতে পারেন, কিন্তু মঞ্চে জায়গা দিতে পারব না, আমাদের এই মঞ্চকে রাজনৈতিক রং দিতে চাই না।”

    আরও পড়ুনঃ “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা?

    আরজি করের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মা আরও বলেন, “মেয়েকে হারিয়েছি। জুনিয়র ডাক্তারেরা যে আন্দোলন করছেন, তা দেখে ঘরে বসে আমার কান্না পাচ্ছে। ওরা না খেয়ে আছে। আমি তো এখন ওদেরও মা। ওরা আমার সন্তান। মুখ্যমন্ত্রীকে ওদের সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করব। মা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, হাসপাতালের ভিতরে কী করে আমার মেয়ের সঙ্গে ওই কাণ্ড হয়েছিল? তথ্যপ্রমাণ লোপাটও কি দুর্ঘটনা? হাসপাতালের ভিতরে এ রকম হলে কোথায় রয়েছে সুরক্ষা?”

    অপর দিকে বাবা আরও বলেন, “অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি সরকার মানছেন না। বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি সরকার। মানবিক ভাবে সব কিছুকে না ভাবলে নির্যাতন বন্ধ হবে না। পটাশপুর, জয়নগরের মতো ঘটনা থামবে কীভাবে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। একজন মাত্র ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। অপর দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল। এভাবেই কি চলতে থাকবে? এর শেষ কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Jaynagar: “পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন”, জয়নগরকাণ্ডে পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার কুলতলি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সহ জেলার কর্মী-সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি (Jaynagar) থানা এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জয়নগরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এদিন মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ফাল্গুনী পাত্র এবং ভারতী ঘোষও উপস্থিত ছিলেন প্রতিবাদ সভায়।

    তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা পুলিশের কাজ (Jaynagar)

    আরজি করের ঘটনার পর এবার খবরের শিরোনামে গ্রাম বাংলার জয়নগর (Jaynagar)। এই পৈশাচিক ঘটনায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতার সরকার। ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পরও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। সঠিক ভাবে সক্রিয় হয়ে যদি পুলিশ কাজ করত, তাহলে এই রকম অত্যাচারের ঘটনা ঘটত না। পুলিশের উচিত এখন উর্দি খুলে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরা। পরিবারের দাবি, চতুর্থ শ্রেণির মাত্র নয় বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। যদিও এখনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। অকালে একটি মেয়ের প্রাণ চলে গেল। এই হত্যার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের আজকের থানা ঘেরাও কর্মসূচি কার্যত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে।”

    আরও পড়ুনঃ জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না

    সুকান্ত তৃণমূলকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে, কিন্তু বাংলার মা-বোনেরা আজ সুরক্ষিত নন। উৎসবকে উপেক্ষা করে আজ আমরা জয়নগরের (Jaynagar) ময়দানে নেমেছি। কারণ বাংলার নারীদের সুরক্ষা চাই। দুর্গা মায়ের কাছে আমরা কোন মুখে আশীর্বাদ চাইব? রাজ্যে তো ধর্ষণ এবং খুনের খেলা চলছে। তৃণমূলের শাসনে কেউ সুরক্ষিত নয়। সব কিছুর দায় হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। দুষ্কৃতীরা শাসক ঘনিষ্ঠ। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। পুলিশকে বলতে চাই, মমতা আপনাদের চাকরি কেড়ে নিতে পারবেন না। পুজোতে জামাকাপড় না কিনে মেরুদণ্ড কিনুন, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। আর যদি না পারেন, পোশাকে অশোকস্তম্ভ লাগাবেন না, হাওয়াই চটি লাগান। আপনারা অঞ্চলস্তরের তৃণমূল দলে যোগদান করুন, আমরা আর বলতে আসব না, বিচারও চাইব না। ভূপতিনগরেও একই ভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে এক মহিলাকে। তাই সরকারকে উৎখাত করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদকে দূর করে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদকে দূর করে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে”, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসীদের ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদের মতো বিষয়কে দূর করে হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর তা করতে পারলেই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বগুরুর আসন লাভ করবে। আমরা সব সময় বিভেদ নয়, একতার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব। রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক সমাজকে কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। শনিবার রাজস্থানের বরান নগরে কৃষি উপজ মান্ডির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) এই কথা বলেন। তিনি এখানে স্বয়ং সেবকদের উদ্দেশে বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতি সমর্পণ হতে হবে কর্তব্যবোধ দিয়ে। সমাজকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোই আমাদের কাজ।”

    আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সমগ্র হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ভাষা, বর্ণ, খাদ্য, পোশাক সহ প্রাদেশিক বিভিন্নতাকে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করতে হবে। সমাজকে একত্রিত হওয়ার ভাবনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাজ এমন হতে হবে যেখানে সংগঠন, সদিচ্ছা, অন্তরঙ্গতার মতো চর্চার পরিসর থাকবে। আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে। রাষ্ট্রভক্তি মনে জাগ্রত করতে হবে। সমাজ কেবলমাত্র আমি বা আমার পরিবারের দ্বারা হবে না, সমাজের জন্য আমাদের সর্বাত্মক ভাবনা দিয়ে সকলের জন্য ঈশ্বর প্রাপ্তির কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। ভারতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু জাতির অন্তর্ভুক্ত, সকলেই হিন্দু, সমাজের সকল সম্প্রদায়ের জন্য একটাই পরিচয়।”

    আরও পড়ুনঃ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    সংঘের কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “আরএসএস-এর কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়। সমাজ-দেশ এবং রাষ্ট্রের জন্য চিন্তা, মনন এবং অনুভূতি দিয়ে মতামত গ্রহণ করে কাজ করতে হয়। বিশ্বের এমন কোনও বিষয় নেই যা সঙ্ঘের কাজের মধ্যে পড়ে না। সমাজ জীবনের মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশে চরিত্র নির্মাণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ভাবেই সামাজিক চরিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত রাষ্ট্রের পুনর্নির্মাণ হবে। আমাদের স্বয়ং সেবকরা এই সংকল্প নিয়েই প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে গিয়ে কাজ করে থাকেন।” এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান প্রদেশের সঙ্ঘ চালক রমেশ আগরওয়াল, চিতোরের সঙ্ঘ চালক জগদীশ সিং রানা, বরান বিভাগের সঙ্ঘ চালক রমেশ চাঁদ সহ আরও প্রমুখ ব্যক্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hezbollah Conflict: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের, গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    Israel Hezbollah Conflict: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের, গভীর রাতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত ইজরায়েলের (Israel Hezbollah Conflict)। শনিবারও লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে (Airstrike) তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)। সে দেশের কমান্ড সেন্টার, অস্ত্রভান্ডার, টানেল এবং অন্যান্য পরিকাঠামো লক্ষ্য করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

    কী বলছে ইজরায়েল (Israel Hezbollah Conflict)

    এদিন বেইরুটের (লেবাননের রাজধানী) দক্ষিণ (এই অঞ্চলেই ডেরা বেঁধেছিল হিজবুল্লা) ও আশপাশ এলাকায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে তীব্র হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, “আমাদের অবশ্যই হিজবুল্লার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। শত্রুদের অতিরিক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে হবে। তাদের কোনওরকম ত্রাণ দেওয়া হবে না। হিজবুল্লাকে মাথা তোলার অবকাশও দেওয়া হবে না।”

    ব্যাপক বোমাবর্ষণ

    জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাত থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু হয়। বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকে রবিবার পর্যন্ত। অবশ্য (Israel Hezbollah Conflict) লাগাতার বোমাবর্ষণের আগে বেইরুটের শিয়া মুসলমান অধ্যুষিত শহরতলি এলাকা দাহিয়ার বাসিন্দাদের দ্রুত এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। সেই মতো এই এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। তার পরেই হিজবুল্লা নিকেশ করতে প্রাণ পণ করে ইজরায়েল। শুরু হয় বোমাবর্ষণ। জানা গিয়েছে, লেবাননের প্রধান বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকা-সহ বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলিতে অন্তত আটটি হামলা হয়েছে। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি এই হামলাকে খুবই সহিংস বলে বর্ণনা করেছে।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    আকাশ পথে হামলার পাশাপাশি ইজরায়েল লেবাননে স্থল অভিযানও জোরদার করেছে। তবে হিজবুল্লার দাবি, সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে তারা ইজরায়েলি প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেছে। তাদের আরও দাবি, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাকে লক্ষ্য করে কামানের গোলা ছুড়েছে। তাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে। ইজরায়েলি সেনার দাবি,

    তাদের সামরিক অভিযানের ফলে লেবাননে অন্তত ৩০ জন কমান্ডার সহ হিজবুল্লার প্রায় ৪৪০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, তাদের প্রধান টার্গেটের মধ্যে রয়েছেন (Airstrike) নিহত হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লার উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিন (Israel Hezbollah Conflict)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    Jaynagar: জয়নগরে পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে বার বার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে, কী বললেন গ্রামবাসীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar)  বালিকার মৃত্যুর পরেও একই ভাবে পুলিশের উপরে আছড়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ। ফাঁড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইক, সাইকেল। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা কার্যত পালিয়ে যান। শনিবার এমন রোষের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কর্তব্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল। পুলিশ তৎপর হলে ওই বালিকাকে বাঁচানো যেত, এমন দাবিও উঠেছে।

    ফাঁড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়! (Jaynagar)  

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ফাঁড়ির পুলিশ (Jaynagar)  গুরুত্ব দেয়নি। থানায় যেতে বলে দেয়। গ্রামবাসীর দাবি, স্থানীয় একটি দোকানে সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ফুটেজ চেয়ে মেলেনি। পুলিশ তৎপর হয়ে ফুটেজ জোগাড় করলে ধৃতকে আগেই শনাক্ত করা যেত। সে ক্ষেত্রে হয়তো মেয়েটির প্রাণ বাঁচানো যেত! তবে, শুধুমাত্র ওই বালিকার খুনের ঘটনাতেই ফাঁড়িতে জনরোষ, এমন নয়। এখানকার পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ দিন তারই বহিঃপ্রকাশ হল, বলছেন অনেকে। ওই গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “ফাঁড়িটা আছে নামেই। গ্রামবাসীর কাজে লাগে না। চুরি-ডাকাতি হলেও পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায় না।” আর এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “সম্প্রতি মোবাইল চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কাজ তো হয়ইনি, উল্টে পুলিশ টাকা চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “আমাদের মেয়েটার বেলায় একটু আগে তদন্ত করতে পারল না ওরা!” দিন কয়েক আগে একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই থানা এলাকারই দ্বিতীয় ফাঁড়িটিতেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেখানেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    ক্ষুব্ধ সরকারি আধিকারিকও

    গ্রামবাসীরা জানান, নিরাপত্তার কথা ভেবে থানা থেকে দূরবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে আলাদা এই ফাঁড়ির (Jaynagar) ব্যবস্থা করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় দু’টি এ রকম ফাঁড়ি রয়েছে। আলাদা ভবন, এক এসআই-সহ চার পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ সব ব্যবস্থাই রয়েছে ফাঁড়িতে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা হয় কই? ফাঁড়ির ভূমিকায় বিরক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশও। স্থানীয় এক স্কুল পরিদর্শক বলেন, “এখানকার কোনও স্কুলে কোনও সমস্যা হলে ফাঁড়িতে গিয়ে কাজই হয় না। এ ভাবে ফাঁড়ি রাখার দরকার কী?”

    পুলিশ প্রশাসনের কী সাফাই?

    জেলার পুলিশকর্তারা এই সব অভিযোগ মানেননি। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালির দাবি, “পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। বালিকাকে খোঁজার পর্বে পুরো সময়টাই ফাঁড়ির এক পুলিশ কর্মী ওই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। ফাঁড়ির (Jaynagar)  তরফে কোনও গাফিলতি হয়নি।” তা হলে জনরোষ কি অকারণে? ওই পুলিশকর্তার জবাব, “কী কারণে জনরোষ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগে উত্তর দিনাজপুরে এক নাবালিকার মৃত্যুর পরে স্থানীয় থানায় গিয়ে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। প্রাণ বাঁচাতে পাশের বাড়িতে গিয়ে এক কোণে লুকিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে একটি স্কুলপড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যুর পরেও স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। এবারও জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে জনরোষ আছড়়ে পড়ল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    Jaynagar: “হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না”, দাবি মৃত নাবালিকার বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল ও পুলিশের অধীনে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। ঠিক এমন দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জয়নগরের (Jaynagar) চতুর্থ শ্রেণির নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা। ধর্ষণ করে খুনের মতো পাশবিক ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মানুষ। উল্লেখ্য সম্প্রতি আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নাবালিকা খুনের ঘটনা পুজোর আগে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য (Jaynagar)

    শনিবার জয়নগরের (Jaynagar) পদ্মহাট গ্রামীণ হাসপাতাল এবং কাটাপুকুর মর্গে একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেও একটাই দাবি রাজ্য সরকারে হাসপাতাল এবং পুলিশের অধীনে কোনও রকম ভাবেই ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এদিকে দোষীর শাস্তির দাবিতে এলাকার উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়েছে কুলতলি থানায়। অপর দিকে ন্যায় বিচার এবং পুলিশের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রবিবার থানা ঘেরেও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। উত্তেজনার কথা বুঝতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। আবার মৃতার পরিবারের আইনজীবী চন্দনকুমার সাহা বলেন, “রাজ্য সরকারের অধীনে ময়নাতদন্ত চাইছি না। নির্যাতিতার বাবা চাইছেন নিরপেক্ষ কোনও হাসপাতালে ময়নাদন্ত করা হোক। আমরা ইতিমধ্যে দেহ সংরক্ষণের কথা জানিয়েছি। একই মর্মে ইতিমধ্যে লোকাল থানা, ডিজির কাছে চিঠিও করেছি আমরা। আমাদের চিঠি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।”

    আরও পড়ুনঃমহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দেয়নি

    শুক্রবার, ৪ অক্টোবর রাতের বেলায় বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মাত্র ১০ বছরের এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবার। এরপর থানায় জানানো হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথম থেকেই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি, সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিলে হয়তো মেয়েটিকে বাঁচানো যেত। এরপর দেহের খোঁজ মিললে জানা যায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা থানার উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে। ভাঙচুর থেকে আগুন লাগানো হয়। এলাকার (Jaynagar) স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল পরিদর্শনে গেলে তাঁকে দেখে আন্দোলনরত জনতা গো-ব্যাক স্লোগান দেন। অপর দিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গেও বাধে বচসা। শনিবারের পর রবিবারেও চলছে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    Bhupatinagar: মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের পর জয়নগর! ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তপ্ত বাংলা। এই আবহের মধ্যে এবার এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhupatinagar)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগরের (Bhupatinagar) ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। শনিবার নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ, মহিলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঘরে ঢোকেন ওই যুবক। এরপরই বাড়়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে, সমস্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তের নামে আগেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রামবাসীরা ঘটনা জানতে পেরে ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর গ্রামে খবর আসে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রবিবার সকালে উত্তেজিত এলাকাবাসীরা এক অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। মাঝবয়সি ওই ব্যক্তিকে প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রামের রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন মূলত মহিলারাই। খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    অন্যদিকে অভিযুক্তকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই পরে তার মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে

    বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা একটা নতুন প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে অপরাধের। ধর্ষণ ও খুন। আমরা এক নতুন জায়গায় পৌঁছাচ্ছি। বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ চলছে।” প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, সেই আবহেই শুক্রবার জয়নগরের ন’বছরের বালিকাকেঅপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার ভূপতিনগরে (Bhupatinagar) মহিলাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    RG Kar Case: অভিযোগেই সিলমোহর, থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থ্রেট কালচারের অভিযোগে এবার ১০ চিকিৎসককে বহিষ্কার করল আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ কর্তৃপক্ষের। আজীবন হস্টেল থাকা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। একই ভাবে পাঠানো হবে তাঁদের বাড়িতে অভিযোগপত্রের চিঠি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকেই ন্যায় বিচারের দাবি উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। ডাক্তারদের সুরক্ষার দাবিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একদল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর হুমকির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল মেডিক্যাল কাউন্সিল।

    অভিযুক্তরা কারা (RG Kar Case)?

    জানা গিয়েছে, প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে (RG Kar Case) শনিবার দুপুর থেকে দীর্ঘ বৈঠক এবং তদন্ত করে আরজি করের ১০ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকি, র‌্যাগিং-এর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার এবং ইন্টার্নদের প্রতিনিধিরা। ঠিক এদিন বাইরে থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন, অবিলম্বে অভিযুক্ত ৫৯ জনকে বহিষ্কার করতে হবে। এরপর কাউন্সিল নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বহিষ্কৃত চিকিৎসকরা হলেন, সৌরভ পাল, আশিস পান্ডে, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচী, সরিফ হাসান, নীলাগ্নি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিংহ, সৎপাল সিংহ এবং তনভীর আহমেদ কাজী। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন এবং শংসাপত্র দেখে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।

    হোস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন

    কলেজে (RG Kar Case), অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভয় এবং হুমকি দেওয়ার মতো কঠিন অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। মূলত অভিযোগগুলি হল, কথা না শুনলে টার্গেট করে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হত। পছন্দ অনুযায়ী গবেষণার বিষয় স্থির করা যেত না, টাকার বিনিময়ে গবেষণার বিষয় নিতে হত। একই ভাবে চাহিদা অনুযায়ী অবৈধভাবে টাকার লেনদেন চলত কলেজে। এমনকী চাপ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কাজে যুক্ত থাকতেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠরা। যখন তখন হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। রাত-দুপুরে হস্টেলের রুমে ঢুকে চলত শারীরিক নির্যাতন। তৃণমূলের রাজনতিক মিটিং-মিছিলে যোগদান করতে বাধ্য করা হত। জুনিয়রদের কমন রুমে ডেকে চলত মানসিক অত্যাচার। পরিবার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে চলত নোংরা গালিগালাজ।  ৫৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জনকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    চার পর্যায়ের তদন্ত

    আরজি করে (RG Kar Case) ৫৯ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মোট ১৪ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। চারটি পর্যায়ে ভাগ করেছে তদন্ত কমিটি। ক্যাটেগরি ১এ-তে ১০ জন। এই ১০ জনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ১বি-তে ২৭ জন। এই ২৭ জনের বিরুদ্ধে মহিলা সহপাঠিদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ২-তে ১৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিং করার অভিযোগ রয়েছে। ক্যাটেগরি ৩-এ রয়েছেন আর ৬ জন। তাদের অভিভাবককে ডাকা হয়েছে এবং বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • VSHORADS: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    VSHORADS: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের জয়সলমেরের পোখরান (Pokhran) ফায়ারিং রেঞ্জে দেশীয়ভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র (VSHORADS) পরীক্ষা করল ভারত। পোখরান রেঞ্জে ডিআরডিও খুব স্বল্প পরিসরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের তিনটি পরীক্ষা করেছিল।

    বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর (VSHORADS)

    ভারতের সাফল্যে উৎসাহিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী, ডিআরডিও এবং শিল্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভিএসএইচওআরএডিএসের পুরো নাম ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই মিসাইলের পরীক্ষা সফল হওয়ায় বিজ্ঞানীদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজনাথ। জানা গিয়েছে, এই মিসাইলটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এটি একটি মিসাইল ম্যান-পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। নয়া ডেভেলপড এই মিসাইলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে রিঅ্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম ও ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স-সহ একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ডিআরডিও-র (VSHORADS) তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে উন্নত করা হচ্ছিল এই মিসাইল। একাধিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর সম্প্রতি পোখরানে এর চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে এটি।

    পোখরানে সাফল্য মিলেছিল অগাস্টেও

    অগাস্ট মাসেই পোখরানে সফল পরীক্ষা করা হয় ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের। একেবারে নিখুঁত নিশানায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ও ভারী যানকে ধুলিস্যাৎ করতে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এই মিসাইল। অন্যান্য অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের তুলনায় এটি অত্যন্ত হালকা। ওজন ১৫ কিলোগ্রামেরও কম। স্বাভাবিকভাবেই যে কেউই এটি কাঁধে করে বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। এতদিন ভারতীয় সেনা তাদের প্রয়োজনে রাশিয়ান ইগলা ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এখনও করছে। তবে এখন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আধুনীকিকরণ করা হচ্ছে এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে।

    আরও পড়ুন: “আমরা ভাগ হয়ে গেলে ওরা সেলিব্রেট করবে”, ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    শুক্রবারই নয়াদিল্লিতে ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওনাল ডায়ালগ ২০২৪-এ ভাষণ দেওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ভারত ধারাবাহিকভাবে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছে। আঞ্চলিক আলাপ-আলোচনা, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়ানের কেন্দ্রিকতার ওপর জোর দিয়ে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির (Pokhran) মধ্যে সহযোগিতা সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে (VSHORADS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে”, দাবি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির

    BJP: “বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে”, দাবি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে এবার কংগ্রেসের দিকে পাল্লা ভারী বলে একাধিক এক্সিট পোল দাবি করেছে। কিন্তু, তাতে বিন্দুমাত্র বিচলতি নন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি। বরং, ফের বিজেপি (BJP) হরিয়ানায় (Haryana) সরকার গঠন করতে চলেছে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবে চাঙ্গা গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (BJP)  

    মুখ্যমন্ত্রী (BJP) নয়াব সিং সাইনি শনিবার বলেন. “বিজেপি পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী। হরিয়ানার মানুষ গত কয়েক বছরের কাজ দেখেছেন। আমরা প্রতিটি এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমরা হরিয়ানাকে আঞ্চলিকতা এবং স্বজনপ্রীতি থেকে মুক্ত করেছি”। পঞ্চকুলা বিধানসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী গিয়ান চাঁদ গুপ্ত বলেন, “পঞ্চকুলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। লোকেরা আমাদের কাজের প্রশংসা করেছে। সরকারে থেকে মানুষের জন্য আমরা যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি তার জন্য ভোট দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯০টি আসনের মধ্যে ৪০টিতে জিতেছিল। জেজেপি-র সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। জেজেপি সেবার ১০টি আসন জিতেছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩১টি আসন। যদিও জেজেপি পরে জোট থেকে বেরিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: “নারী সুরক্ষা কোথায়”? জয়নগরকাণ্ডে সরব আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী দাবি করলেন?

    কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি আবার পাল্টা বলেছেন, “এগজিট পোলে আমার খুব একটা বিশ্বাস নেই। কিন্তু হরিয়ানায় এবার বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ঢেউ ছিল। কংগ্রেস দল সেখানে (হরিয়ানায়) ৬০-৭০টি আসন জিততে পারে। দশ বছরে বিজেপি কোনও উন্নয়ন করেনি। সমাজকে বিভক্ত করেছে। হরিয়ানায় বিজেপির এমন কোনও নেতৃত্ব ছিল না যেখানে মানুষ আস্থা রাখতে পারে।” পঞ্চকুলা বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী চন্দর মোহন আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, কংগ্রেস পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ৭০টি আসন জিতবে এবং বিজেপি ১৭টি আসন পাবে। আমরা পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করব”। একই দাবি করেন কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষে মানুষ ভোট দিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share