Author: user

  • Daily Horoscope 06 october 2024: প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 06 october 2024: প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।

    ২) গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে।

    ২) কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।

    ২) দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল।

    ২) নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    Dharmapala: বাঙালি সুশাসক রাজা ধর্মপাল কেন পরমেশ্বর ছিলেন জানেন?

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর শতবর্ষব্যাপী অনৈক্য, আত্মকলহ, বহিঃশত্রু পুনঃ পুনঃ আক্রমণের ফলে বিরাট অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এই সময় বঙ্গে রাজতন্ত্র ছিল না। ঐতিহাসিক লামা তারানাথ এই সময়কে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলেছেন। ছোট ছোট মাছকে যেমন করে বড় বড় মাছ শিকার করে, ঠিক তেমনি রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। সুশাসক না থাকায় দুর্বল মানুষের উপর সবলের অত্যাচার ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চরম আকার নিয়েছিল। এই সময় পালবংশের গোপাল ৭৪০ থেকে ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন। আনুমানিক ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তাঁর পুত্রের নাম ধর্মপাল, তিনি দ্বিতীয় পালরাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দে এবং রাজত্ব করেন ৮১০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। পাল রাজারা অবশ্য বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি বাঙালি রাজা হিসেবে অত্যন্ত বীর সাহসী এবং রাজনীতিককুশল ছিলেন। তাঁর কীর্তি ইতহাসে অবিস্মরণীয়।

    পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ ধর্মপাল

    রাজা হিসেবে ধর্মপাল (Pala Empire) আর্যাবর্তে এক সাম্রাজ্য স্থাপনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন প্রতীহার বংশের রাজা বৎসরাজ। গুর্জর, হুণদের সঙ্গে বা ঠিক তাঁদের পরপরই ভারতের পাঞ্জাব, রাজপুতানা এবং মালবে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। অষ্টম শতকের শেষে বৎসরাজ পূর্বে সাম্রাজ্য বিস্তারে অগ্রসর হন। অপর দিকে ধর্মপাল পশ্চিমদিকে অগ্রসর হলে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। কিন্তু যুদ্ধে ধর্মপাল পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বৎসরাজ পূর্ব দিকে কতটা সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন, তার উল্লেখ সঠিক ভাবে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ধর্মপালের সাম্রাজ্য মগধ, বারাণসী এবং প্রয়াগ হয়ে গঙ্গা-যমুনার মধ্যবর্তী ভূ-ভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন। তাঁকে গৌরব সূচক সম্বোধন হিসেবে পরমেশ্বর, পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ নামে উপাধি দেওয়া হয়েছে।

    আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয়

    ধর্মপালের পুত্র দেবপালের একটি তাম্রশাসন থেকে জানা যায়, তিনি দিগ্বিজয়ে প্রবৃত্ত হয়ে কেদার, গোকর্ণ নামক দুই তীর্থ এবং গঙ্গাসাগর সঙ্গম পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। কেদার হল হিমালয়ের সুপরিচিত জায়গায়। গোকর্ণ বলতে কেউ কেউ বম্বে প্রেসিডেন্সির মধ্যে উত্তর কানাড়ায় তীর্থধাম বোঝান। আবার নেপালে পশুপতি মন্দিরের দুই মাইল উত্তর-পূর্বে গোকর্ণ নামক তীর্থ স্থান রয়েছে। একই ভাবে কাপিলাবস্তুর নিকটে গঙ্গাসাগর বলে একটা জায়গা আছে। ফলে বিজয় সংকল্প যাত্রা নিয়ে এই বাঙালি সম্রাটের যাত্রা ছিল উত্তরের হিমালয়ের গোকর্ণ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে করছেন অনেক সংগ্রাম। পালসাম্রাজ্যকে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে প্রতিষ্ঠিত করতে, আর্যাবর্তের কান্যকুব্জ জয় করেছিলেন। এরপর সিন্ধুনদ, পাঞ্জাবের উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশ পর্যন্ত সাম্রজ্য বিস্তার করেছিলেন।

    মালদার নিকটে পাওয়া ‘খালিমপুর’ তাম্রশাসন থেকে জানা গিয়েছে, কান্যকুব্জে যখন রাজ্যশ্রী গ্রহণ করেন, সেই সময় পাঞ্চালদেশের বয়োবৃদ্ধরা ধর্মপালের মাথায় স্বর্ণকলস থেকে পবিত্র তীর্থ জলপ্রদান করেছিলেন। গান্ধার, মাদ্র, কুরু, কীর, ভোজ, মৎস্য, যদু, যবন, অবন্তি বিভিন্ন নগরের সামন্তরা ধর্ম পালের প্রভুত্ব স্বীকার করেছিলেন। ফলে এই রাজ্যগুলি অর্থাৎ স্থান বিচারে পঞ্চনদের পূর্ব, মধ্য, উত্তর ভাগ, সিন্ধুনদীর পশ্চিমপাড়, আলোয়ার, মালব, জয়পুর, সুরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগের রাজা ছিলেন বঙ্গের রাজা ধর্মপাল। তাঁকে চম্পু কাব্যে উত্তরাপথস্বামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    বিক্রমশীল, সোমপুর, পাহাড়পুরের বৌদ্ধ মহাবিহার নির্মাণ

    ধর্মপালের (Pala Empire) রাজত্বে বঙ্গে যে ভাবে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছিল, পরবর্তী কালে এমন ভাবে আর দেখার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। যে ভূমি মাত্র ৫০ বছর আগে অরাজকতা, অত্যাচারের ভূমি ছিল, ধর্মপালের সৌজন্যে যেন নিস্তার পেল বঙ্গভূমি। শুধু যে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তন হয়েছে তাই নয়, ধর্ম, শিল্প, সাহিত্যের চরম উৎকর্ষলাভ করে। বাঙালি যেন নতুন করে নিজেদের আত্ম প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়ে গেল। ধর্মপালের রাজ্য যেন বাঙালির জীবন প্রভাতের সূচনা হল। খালিমপুর তাম্র শাসনে তাই বলা হয়েছে, “সীমান্তদেশে গোপগণ, বনের বনচরগণ, গ্রামের জনসাধারণ, বাড়ির শিশুরা, দোকানের ক্রেতা-বিক্রেতা, রাজপ্রসাদের খাঁচার পাখিরা সব সময় সুশাসক ধর্মপালের নামগান করতেন।” তাঁর আমলে নালন্দার মতো বিক্রমশীল ছিল বিখ্যাত অধ্যয়ন কেন্দ্র বৌদ্ধ মহাবিহার। গঙ্গাতটে নির্মাণ করেছিলেন তিনি। চারিদিকে ১০৭টি মন্দির ছিল। ১১৪ জন শিক্ষক ছিলেন এই শিক্ষা কেন্দ্রে। এছাড়াও বরেন্দ্রভূমিতে সোমপুর, রাজশাহীতে পাহাড়পুর এবং বিহারের ওদন্তপুরে আরও একটি মহাবিহার নির্মাণ করেছিলেন। লামাতারা নাথ বলেছেন, তিনি মোট ৫০টি শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন। এক কথায় পালযুগের সুবর্ণযুগ ছিল তাঁর সময়ে।

    আরও ইতিহাস খোঁজের ইঙ্গিত

    বাংলার যথার্থ ইতিহাস নিয়ে বার বার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র নিজের লেখায় বাঙালির ইতিহাস লেখার কথা বঙ্গদেশের কৃষক প্রবন্ধে বলে গিয়েছেন। সমাজ সংস্কৃত ধর্ম রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের ইতিহাস খোঁজের কথা বলে গিয়েছেন। ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইতে আক্ষেপ করে বলেছেন, “একদিন বাংলার মাঠে-ঘাটে ঘরে-বাহিরে যাঁহার নাম লোকের মুখে মুখে ফিরিত, তাঁহার কোন স্মৃতিই আজ বাংলাদেশে নাই। অদৃষ্টের নিদারুণ পরিহাসে বাঙালি তাঁহার নাম পর্যন্ত ভুলিয়া গিয়াছে।… তাঁহার জীবনের বিশেষ কোন বিবরণ জানিতে পারি নাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তিনি তোপ দাগেন।

    মমতা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন (Arjun Singh)

    শনিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই আমার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটেছ। পুলিশের ওপরে আমাদের কোনও আস্থা নেই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, সঠিক যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি।’’ তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন। এই পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা প্রতিবাদ করবেন তাঁদেরকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। আরজি করের ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাগ ফুটে চলে গিয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ যাঁরাই প্রতিবাদ করবেন, তাঁদের কাউকে মিথ্যা কেস দিয়ে বা খুন করিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মিডিয়া তাঁর বিপক্ষে কেউ কথা বললে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন   

    হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা

    এদিন হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা করে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, ‘‘হিটলারের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। কিন্তু, জেনে রাখুন তিনি বেশিদিন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আরজি করের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই মমতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি এবং গুলিও চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তাঁর দলবল এই কাজ করেছে বলেই দাবি প্রাক্তন সাংসদের। অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁদের সামনেই বোমা ছোড়া হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও হামলাকারীরা ধাক্কাধাক্কি করে।

    তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    অর্জুনের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ঘটনাস্থলে পৌঁছেও হামলাকারীদের না ধরে কার্যত হাত গুটিয়েই বসে ছিল পুলিশ, অভিযোগ শুভেন্দুর। ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে কড়া শাস্তিরও দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 05 october 2024: প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 05 october 2024: প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুর সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) স্ত্রীর কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ, প্রতিবাদে ধর্মতলায় রাস্তায় বসে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা 

    Junior Doctor: পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ, প্রতিবাদে ধর্মতলায় রাস্তায় বসে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctor) কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ধর্মতলায় (Dharmatala)। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মিছিল শেষে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক বচসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, ধর্মতলার মঞ্চ তৈরি নিয়েই এই বচসার সূত্রপাত হয় প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের। এরপরেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা (Junior Doctor)। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করছেন, কর্মসূচির অনুমতি তাঁদের আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবু চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের কয়েকজন ধর্মতলায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাঁদেরকে জোর করে সরিয়ে দেয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা, তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীদের মারধরও করেছে পুলিশ।

    উত্তপ্ত ধর্মতলা (Junior Doctor)

    প্রতিবাদে ধর্মতলায় (Dharmatala) অবস্থানে বসে পড়েন চিকিৎসকরা। এরপরে বেশ কিছু পুলিশ কর্তাকে দেখা যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। তখন পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রশাসনের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। চলতে থাকে স্লোগান। প্রসঙ্গত, আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই আন্দোলনে শামিল হতে দেখা গিয়েছে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষজনকে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মাঝেই রাজ্যের একাধিক জায়গার হাসপাতালগুলিতে হামলার খবর সামনে আসে। চিকিৎসক নিগ্রহ, স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহের মতো একাধিক ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে।

    কী বলছেন আন্দোলনকারী (Junior Doctor) চিকিৎসক? 

    দিন কয়েক আগেই সাগর দত্ত হাসপাতালে ফের ডাক্তারদের ওপর হামলা হয়। এর প্রতিবাদের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি শুরু করেন। নতুন করে আন্দোলনে নামেন চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনুষ্টুপ এনিয়ে বলেন, ‘‘আমরা তো শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। আমরা সমাবেশের প্ল্যান করেছিলাম। কিন্তু আমরা এখানে এসে পৌঁছানোর আগেই এক জুনিয়র ডাক্তারকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা কলকাতা পুলিশকে ধিক্কার জানাচ্ছি।’’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও বিক্ষোভ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা অব্যাহত, ৬ দিনে ১৬টি মূর্তি ভাঙচুর

    Bangladesh: দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা অব্যাহত, ৬ দিনে ১৬টি মূর্তি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ নেমে আসে। সে দেশের সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসায়। দিকে দিকে হিন্দুদের ধর্মস্থানগুলিতে হামলা চলতে থাকে। এই আবহে দুর্গাপুজো কতটা শান্তিতে হবে, সেই প্রশ্ন তখনই উঠতে শুরু করে। জামাত-বিএনপি কলকাঠি নাড়ছে যেখানে, সেই ইউনূস সরকারের আমলে দুর্গাপুজো (Durga Puja) যে শান্তিতে হবে না, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গত ৬ দিনে বাংলাদেশে মোট ১৬টি হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তিনটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।

    মন্দিরে হামলা (Bangladesh)  

    গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে হামলা চালায় জেহাদিরা। এরপরে ১ অক্টোবর মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে একই ধরনের হামলা চালানো হয়। এই দুই জায়গাতেই দুর্গাপ্রতিমা সহ দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। জানা গিয়েছে, এই দুটি পুজোমণ্ডপই বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলাতে অবস্থিত। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে মোট চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে মানিকাদি পালপাড়া পুজোমণ্ডপে (Durga Puja) পাঁচটি মূর্তি ধ্বংস করা হয়। এই ঘটনার পরেই হিন্দুরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হিন্দুদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ও বাংলাদেশের সেনা অধিকর্তারা ওই দুই মন্দিরই পরিদর্শন করেছেন, বলে জানা গিয়েছে।

    মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দুর্গাপুজো ৯ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। সুজানগর উপজেলায় ৫১টি মন্দিরে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপের সভাপতি বিজন পাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ১ অক্টোবর রাতে মন্দির থেকে বের হওয়ার সময়ও তিনি প্রতিমাগুলিকে ঠিকঠাক অবস্থায় দেখেছিলেন। পরের দিন সকালে মন্দিরে এসে দেখেন, মূর্তিগুলি ভাঙা হয়েছে। অন্যদিকে সুজানগর উপজেলার প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দোষীদের খুঁজে বের করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় লোকেদের নিয়ে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।

    হাসিনার পদত্য়াগের পর থেকে হিন্দুদের ওপর হামলা ২০৫টি

    ঠিক এই আবহে গত বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর গোপীনাথ জিউ-র পুজোমণ্ডপে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুর করার খবর মিলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কিশোরগঞ্জে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রক্ষীরা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখনই গভীর রাতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীকালে প্রশাসন স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে এবং যারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই (Bangladesh) হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে চট্টগ্রামে কদম মোবারক এলাকায় গণেশ উৎসবের সময় মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর শহরেও দেবী দুর্গা ও অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ঘটনার দিন বার বার কাকে ফোন? সিবিআই-এর হাতে সন্দীপ ঘোষের কল লিস্ট

    RG Kar Incident: ঘটনার দিন বার বার কাকে ফোন? সিবিআই-এর হাতে সন্দীপ ঘোষের কল লিস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন একাধিকজনকে বার বার ফোন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। বার বার ফোনে বার্তালাপ করেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও, দাবি সিবিআই-এর। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) কল লিস্ট হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই রিপোর্ট থেকেই এই বিষয়টি জানা গিয়েছে বলে খবর। 

    কল ডিটেইলস থেকে কী জানার চেষ্টা?

    শুরু থেকেই এই ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আরজি কর (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ তথা তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা। প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও। পরবর্তীতে গ্রেফতারও হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। প্রথমে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেও পরে সন্দীপ ঘোষকেও খুন-ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৯ তারিখ সকাল থেকেই একাধিক ফোন করেছিলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ। কাদের কাদের ফোন করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এবার এগোবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। এছাড়া ঘটনার দিন হাসপাতালে বেশ কিছু বহিরাগতের প্রবেশ ঘটেছিল বলেও জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে কাউকে সন্দীপ বা অভিজিৎ ফোন করেছিলেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে

    সন্দীপ-আশিস যোগ

    তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি এবং দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আরজি করের থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির মূলে যারা ছিল, আশিস তাদেরই অন্যতম। কাকে রাখা হবে, কাকে বদলি করা হবে, সেই দায়িত্বও নাকি সন্দীপের হয়ে দেখতেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার আশিসকে গ্রেফতারের সময় তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

    RG Kar Case: আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত আশিস পাণ্ডেকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। একই ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে হুমকির সংস্কৃতি বা থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর হুমকির সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের মধ্যে আশিসের নামও ছিল। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে শুধু আর্থিক দুর্নীতি মামলায়।

    তোলাবাজি, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি (RG Kar Case)!

    শুক্রবার আদালতে আশিসকে হাজির করার পর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আর্থিক দুর্নীতি মামলার (RG Kar Case) সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আশিস। তাঁর বিরুদ্ধে একই ভাবে তোলাবাজি, জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ মতো কাজ না করলে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিতেন তিনি। মোটা টাকার বিনিময়ে হাউস স্টাফদের নিয়োগ করতেন। এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসাররা তিনটি মোবাইল ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে্ন। আপাতত আগামী সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী কর্মবিরতি সিনিয়রদের

    ৫ অগাস্ট সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন

    আরজি করে (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর এই অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে, চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় ধরা হয়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আরজি করে যে দিন তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সে দিন সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন আশিস। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনিও জড়িত থাকতে পারেন। এমনকী তথ্যপ্রমাণ লোপাটে তাঁর একটা ভূমিকাও থাকতে পারে। তাই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন। আবার সল্টলেকের গেস্ট হাউসের এক কর্মীকে নথি নিয়ে সিজিওতে ডাকা হয়েছিল। ফলে খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগ একেবারে উড়িয়ে দিতে চাইছে না সিবিআই।

    উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছিলেন। যদিও প্রথমে পুলিশের সিট তদন্ত করছিল, পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 154: “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    Ramakrishna 154: “ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    নিত্যগোপালকে উপদেশ—ত্যাগীর নারীসঙ্গ একেবারে নিষেধ 

    খাওয়ার পর ঠাকুর গঙ্গার উপর ঘরের পশ্চিম ধারে গোল বারান্দাটিতে তাঁকে লইয়া চলিলেন ও তাঁহার সহিত আলাপ করিতে লাগিলেন।

    একটি স্ত্রীলোক পরম ভক্ত, বয়স ৩১। ৩২ হইবে, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কাছে প্রায় আসেন ও তাঁহাকে সাতিশয় ভক্তি করেন। সেই স্ত্রীলোকটিও ওই ভক্তটির অদ্ভুত ভাবাবস্থা দেখিয়া তাঁহাকে সন্তানের ন্যায় স্নেহ করেন ও তাঁহাকে প্রায় নিজের আলয়ে লইয়া যান।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভক্তটির প্রতি)—সেখানে কি তুই যাস (Kathamrita)?

    নিত্যগোপাল (বালকের ন্যায়)—হাঁ যাই। নিয়ে যায়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওরে সাধু সাবধান! এক-আধবার যাবি। বেশি যাসনে—পড়ে যাবি! কামিনী-কাঞ্চনই মায়া। সাধুর মেয়েমানুষ থেকে অনেক দূর থাকতে হয়। ওখানে সকলে ডুবে যায়। ওখানে ব্রহ্মা বিষ্ণু পড়ে খাচ্ছে খাবি।

    ভক্তটি সমস্ত শুনিলেন (Kathamrita)।

    মাস্টার (স্বগত)—কি আশ্চর্য! ওই ভক্তটির পরমহংস অবস্থা—ঠাকুর মাঝে মাঝে বলেন। এমন উচ্চ অবস্থা সত্ত্বেও কি ইঁহার বিপদ সম্ভাবনা! সাধুর পক্ষে ঠাকুর কি কঠিন নিয়মই করিলেন। মেয়েদের সঙ্গে মাখামাখি করিলে সাধুর পতন হইবার সম্ভাবনা। এই উচ্চ আদর্শ না থাকিলে জীবের উদ্ধারই বা কিরূপে হইবে? স্ত্রীলোকটি তো ভক্তিমতী। তবুও ভয়! এখন বুঝিলাম, শ্রীচৈতন্য ছোট হরিদাসের উপর কেন অত কঠিন শাসন করিয়াছিলেন। মহাপ্রভুর (Ramakrishna) বারণ সত্ত্বেও হরিদাস একজন ভক্ত বিধবার সহিত আলাপ করিয়াছিলেন। কিন্তু হরিদাস যে সন্ন্যাসী। তাই মহাপ্রভু তাঁকে ত্যাগ করিলেন। কি শাসন! সন্ন্যাসীর কি কঠিন নিয়ম! আর এ-ভক্তটির উপর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কি ভালবাসা! পাছে উত্তরকালে তাঁহার কোন বিপদ হয়—তাড়াতাড়ি পূর্ব হইতে সাবধান করিতেছেন। ভক্তেরা অবাক্‌। “সাধু সাবধান”—ভক্তেরা এই মেঘগম্ভীরধ্বনি শুনিতেছেন (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 153: “মায়ের নির্মাল্য মস্তকে ধারণ করিয়া ভবনাথকে বলিতেছেন, ডাব নে রে মার প্রসাদী ডাব”

    Ramakrishna 153: “মায়ের নির্মাল্য মস্তকে ধারণ করিয়া ভবনাথকে বলিতেছেন, ডাব নে রে মার প্রসাদী ডাব”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    জন্মোৎসবে ভক্তসঙ্গে — সন্ন্যাসীদের কঠিন নিয়ম

    বেলা প্রায় সাড়ে আটটা বা নয়টা। ঠাকুর (Ramakrishna) আজ অবগাহন করিয়া গঙ্গায় স্নান করিলেন না; শরীর তত ভাল নয়। তাঁহার স্নান করিবার জল ওই পূর্বোক্ত বারান্দায় কলসী করিয়া আনা হইল। ঠাকুর স্নান করিতেছেন, ভক্তেরা স্নান করাইয়া দিল। ঠাকুর স্নান করিতে করিতে বলিলেন, “এক ঘটি জল আলাদা করে রেখে দে।” শেষে ওই ঘটির জল মাথায় দিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ আজ বড় সাবধান, এক ঘটি জলের বেশি মাথায় দিলেন না।

    স্নানান্তে মধুর কন্ঠে ভগবানের নাম করিতেছেন। শুদ্ধবস্ত্র পরিধান করিয়া দুই-একটি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণাস্য হইয়া কালীবাড়ির পাকা উঠানের মধ্য দিয়া মা-কালীর মন্দিরের অভিমুখে যাইতেছেন। মুখে অবিরত নাম উচ্চারণ (Kathamrita) করিতেছেন। দৃষ্টি ফ্যালফেলে—ডিমে যখন তা দেয়, পাখির দৃষ্টি যেরূপ হয়।

    মা-কালীর মন্দিরে গিয়া প্রণাম ও পূজা করিলেন। পূজার নিয়ম নাই—গন্ধ-পুষ্প কখনও মায়ের চরণে দিতেছেন, কখনও বা নিজের মস্তকে ধারণ করিতেছেন। অবশেষে মায়ের নির্মাল্য মস্তকে ধারণ করিয়া ভবনাথকে বলিতেছেন, “ডাব নে রে।” মার প্রসাদী ডাব।

    আবার পাকা উঠানের পথ দিয়া নিজের ঘরের দিকে আসিতেছেন। সঙ্গে মাস্টার ও ভবনাথ। ভবনাথের হাতে ডাব। রাস্তার ডানদিকে শ্রীশ্রীরাধাকান্তের মন্দির; ঠাকুর বলিতেন, ‘বিষ্ণুঘর’। এই যুগলরূপ দর্শন করিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। আবার বামপার্শ্বে দ্বাদশ শিবমন্দির। সদাশিবকে উদ্দেশে প্রণাম করিতে লাগিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) এইবার ঘরে আসিয়া পৌঁছিলেন। দেখিলেন, আরও ভক্তের সমাগম হইয়াছে। রাম, নিত্যগোপাল, কেদার চাটুজ্যে ইত্যাদি অনেকে আসিয়াছেন। তাঁহারা সকলে তাঁহাকে ভুমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুরও তাঁহাদের কুশল প্রশ্ন করিলেন (Kathamrita) ।

    ঠাকুর (Ramakrishna) নিত্যগোপালকে দেখিয়া বলিতেছেন, “তুই কিছু খাবি?” ভক্তটির তখন বালকভাব। তিনি বিবাহ করেন নাই, বয়স ২৩। ২৪ হবে। সর্বদাই ভাবরাজ্যে বাস করেন। ঠাকুরের কাছে কখনও একাকী, কখনও রামের সঙ্গে প্রায় আসেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁহার ভাবাবস্থা দেখিয়া তাঁহাকে স্নেহ করেন। তাঁহার পরমহংস অবস্থা—এ-কথা ঠাকুর মাঝে মাঝে বলেন। তাই তাঁহাকে গোপালের ন্যায় দেখিতেছেন।

    ভক্তটি বলিলেন, ‘খাব’। কথাগুলি ঠিক বালকের ন্যায়।

    আরও পড়ুনঃ “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share