Author: user

  • Delhi: দিল্লির হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন চিকিৎসক! ফের প্রশ্নের মুখে ডাক্তারদের নিরাপত্তা

    Delhi: দিল্লির হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন চিকিৎসক! ফের প্রশ্নের মুখে ডাক্তারদের নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে গুলি করে খুন করার ঘটনা ঘটল খাস দিল্লির (Delhi) বুকে। বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বুধবার দিল্লির জইতপুরের কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকায় নিমা হাসপাতালে নিজের চেম্বারে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক জাভেদ।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল? (Delhi)

    হাসপাতালের কর্মীরা (Delhi) জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাতে ১৬ বছর বয়সি দুই যুবক হাসপাতালে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে একজন জানায়, পায়ের আঙুলে ক্ষতস্থান রয়েছে এবং সেখান থেকে রক্ত পড়ছে। তাই পরিষ্কার করে নতুন করে ব্যান্ডেজের প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো হাসপাতালের কর্মীরা নতুন করে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেন। এর পরে প্রেসক্রিপশন লাগবে বলে জাভেদের চেম্বারে যেতে চায় ওই দুই অভিযুক্ত। চেম্বারে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির শব্দ শুনতে পান হাসপাতালে দুই নার্সিং স্টাফ। পরবর্তীকালে ওই দুই নার্স নিহত চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে দেখেন, জাভেদের মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অবশ্য অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে খুনের (Doctor) পরেই চম্পট দেয় ওই দুই অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুন: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে সজলের পুজোয় মাকে আবাহন

    প্রশ্নের মুখে ডাক্তারদের নিরাপত্তা (Delhi)

    ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আগাম পরিকল্পনা করেই ওই চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের পর থেকে গোটা দেশেই চিকিৎসকরা নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন। ইতিমধ্যে যে ১০ দফা দাবির কথা তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেখানেও রয়েছে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকাও জারি করেছে। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই দিল্লির হাসপাতালে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santosh Mitra Square: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন

    Santosh Mitra Square: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বাতিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও আন্দোলন জারি রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এই আবহের মধ্যে এবছরের পুজোয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা ঘোষণা করল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) পুজো কমিটি। ইতিমধ্যেই পুজো কমিটির কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে, পুজোতে আর কী কাটছাঁট করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

    প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে আবাহন (Santosh Mitra Square)

    এলাকার কয়েক হাজার মা-বোনেদের হাতের জ্বলন্ত প্রদীপ শিখায় মাকে আবাহন করা হবে বলে জানিয়েছে তারা। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যে ৭টা থেকে ৯টা এই প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠান হবে। মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হবে, যাতে পশ্চিমবঙ্গে অভয়া-নির্ভয়াদের পুনরাবৃত্তি না হয়। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো বলে খ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) আয়োজন নিয়ে প্রতি বছরই আগাম কৌতূহল থাকে। গত বছর এখানেই করা হয়েছিল রামমন্দির। পুজো উদ্বোধনে এসেছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এবারেও জাঁকজমকের প্রস্তুতি ভালোই ছিল। জানা গিয়েছিল, আমেরিকার লাস ভেগাস শহরের বিখ্যাত স্ফিয়ারের অনুকরণে আলোর গোলক থিমে সাজবে মণ্ডপ। কিন্তু, এবছর পুজোর আগে বদলে যায় শহরের পরিস্থিতি।

    আরও পড়ুন: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই বেজে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি

    আরজি কর কাণ্ডে নৃশংস ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে রব ওঠে বিচার চেয়ে। বিতর্ক তৈরি হয় ‘উৎসব’ নিয়েও। এমনিতেই রাজ্যের একাধিক ক্লাব পুজোয় সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কলকাতার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) বাড়তি আকর্যণ। প্রশ্ন ওঠে, এই আরজি করের ঘটনার মাঝে এবার পুজোয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কি তাহলে উৎসবে মাতবে? ৩০ সেপ্টেম্বর পুজোর উদ্বোধনের দিন দেখা যায়, মায়ের আগমনে প্রতিবাদের ছবি। চিকিৎসক ধর্ষণ- খুনের বিচার চেয়ে সন্ধ্যা দখল করেন এলাকার মহিলারা। ঢাকের বাদ্যির সঙ্গেই বেজে ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি। তবে পুজোর আগেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে, তাই প্রথমেই বাদ পড়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পুজোর ক’টা দিন কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় বিরোধী শিবিরের এই পুজোয়, সেদিকেই এখন নজর সকলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর আগে শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর রেলব্রিজের কাজ। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। মোদি সরকারের উদ্যোগে অবশেষে নসিপুর রেল ব্রিজের ওপর দিয়ে শুরু হল ট্রেন চলাচল। বুধবার কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এছাড়াও আজিমগঞ্জ স্টেশনে রেলের তরফ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজিমগঞ্জ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে জমি জটে আটকে থাকার পর অবশেষে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ।

    তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ! (Murshidabad)

    ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নসিপুর (Murshidabad) রেল ব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এরপর ২০০৫ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে শিয়ালদা সেকশনে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালে এই রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়। তবে, সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়নি। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। ২০২২ সালে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালে সেই কাজ শেষ হয়। চলতি বছরেই রেল লাইনের  ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার যাত্রীবাহী ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের জেলার লালবাগ শহরের কাছে নসিপুর এলাকাতে রয়েছে এই ব্রিজ। শিয়ালদা- লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে নসিপুর। এই ব্রিজের (Nashipur Rail Bridge) ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে। শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছনো যাবে। শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতের (দিল্লির মতো) সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হয়ে উঠবে। মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারবেন। তাঁদেরকে ঘুর পথে যেতে হবে না। এমনকী, নসিপুর সেতুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ এবং অর্থনৈতিক ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে এই লাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    আরও পড়ুন: ‘রোগী-ডাক্তার একই পক্ষ, বিপক্ষ সরকার’! বিচারের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

     রেল ব্রিজ চালু হওয়ায় কী কী সুবিধা মিলবে?

    শুধু মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) নয়, দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রেন চালু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নদিয়াবাসীও। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ‘মেমু’ ট্রেন উদ্বোধন করার পর কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল শুরু হল। প্রথম পর্যায়ে আজিমগঞ্জ কৃষ্ণনগর দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করবে নসিপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে। পরবর্তীকালে এক্সপ্রেস ট্রেনও চলবে বলে রেল সূত্রে খবর। এতদিন নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের মানুষকে উত্তরবঙ্গে যেতে হলে হাওড়া কিংবা ব্যান্ডেল যেতে হত। আজিমগঞ্জ নসিপুর রেলব্রিজের সংযোগ স্থাপনের ফলে খুব সহজেই যাতায়াত করা যাবে।

    মোদি বড় উপহার দিলেন

    এই ট্রেন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এতদিন ধরে সবাই রাজনীতি করে গিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কেউ ট্রেন চালু করার সদিচ্ছা দেখায়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বড় উপহার দিলেন। এর ফলে বহু মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে।” এই ট্রেন চালু হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ ও একাধিক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হল এই এলাকার মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    RG Kar: আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) আন্দোলনের উত্তাপ এখনও রয়েছে রাজপথে। ন্যায়বিচারের দাবিতে দিকে দিকে রাস্তায় নামছেন মানুষজন। নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে আরজি কর মেডিক্যালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের এক মহিলা পিজিটিকে (Lady Doctor) প্রাণনাশ ও মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ, চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ওই মহিলা পিজিটি-র ওপর চড়াও হন। এনিয়ে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।

    ঠিক কী ঘটনা? (RG Kar)

    সূত্রের মারফত জানা গিয়েছে, এদিন ভোর তিনটে নাগাদ এক যুবককে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল আরজি করে। এরপর দ্রুততার সঙ্গেই ওই মহিলা চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় ওই যুবকের হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু তখনই তাঁর হাত দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। এর জেরে অন্য যে যুবকরা তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। এরপর তাঁরাই মহিলা চিকিৎসককে (Lady Doctor) অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তারা হাসপাতাল (RG Kar) থেকে চলে যান। জানা গিয়েছে, পরে ওই আহতকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই গোটা ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় সত্যরঞ্জন মহাপাত্র নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    হাসপাতালগুলিতে হুমকি ও মারধরের পরিবেশ বিন্দুমাত্র বদলায়নি

    নিরাপত্তার দাবিতে বারবার চিকিৎসকরা সরব হলেও হাসপাতালগুলিতে হুমকি ও মারধরের পরিবেশ যে বিন্দুমাত্র বদলায়নি তা বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। গত শুক্রবারই রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত ৩ জুনিয়র ডাক্তার, নার্স-সহ ৩ স্বাস্থ্যকর্মী ও এক পুলিশকর্মী। বছর ছত্রিশের রঞ্জনা সাউ নামে এক মহিলাকে শুক্রবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর পরিজনদের দাবি, হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা হয়নি রোগীর। এর ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। যখন অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, সেই সময় স্বাস্থ্যকর্মী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, রোগীর পরিজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁরা এগিয়ে গেলে তাঁরাও আহত হন।

    আরও কিছু ঘটনা

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    সাগর দত্ত মেডিক্যালের পর এবার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে  ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর পরিবারের গুন্ডামি করার অভিযোগ ওঠে গত রবিবারই।

    মালদার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পর মালদার রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে হুমকির মুখে পড়তে হয় চিকিৎসক এবং নার্সদের।

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ভিতরেই এক রোগীর আত্মীয়ের হুমকির মুখে পড়তে হয় এক মহিলা পিজিটি-কে (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 03 october 2024: মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 october 2024: মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prashant Kishor: দল গড়লেন পিকে, বিপদ বাড়ল তৃণমূলের?

    Prashant Kishor: দল গড়লেন পিকে, বিপদ বাড়ল তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিল রুমাল। হয়ে গেল বেড়াল! আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে-র (Prashant Kishor) কথাই বলছি। তিনি ছিলেন ভোট কূশলী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে (Jan suraj party) পরামর্শ দিয়ে পার করিয়েছেন একের পর এক ভোট বৈতরণী। তাঁরই ‘হাতযশে’ (রাজনৈতিক মহলের দাবি) এখনও রাজ্যের কুর্সিতে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    দল খুললেন পিকে (Prashant Kishor)

    সেই তিনিই এবার খুলে ফেললেন আস্ত একটা রাজনৈতিক দল। অবশ্য তাঁর এই সিদ্ধান্তটা হঠাৎ নয়। জন সুরাজ পার্টি নামের দল যে তিনি তৈরি করতে চলেছেন, তা ঠিক হয়েছিল ঠিক দু বছর আগে, এই গান্ধী জয়ন্তীর দিনেই। আর দলও খুললেন বুধবার, সেই গান্ধী জয়ন্তীর দিনে, বিহারের রাজধানী পাটনায়। তিনি (Prashant Kishor) দলের সর্বময় কর্তা হলেও, সামনের সারিতে নেই। দলের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মনোজ ভারতীকে। মনোজ দলিত মুখ, মধুবনী থেকে উঠে এসেছেন। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বিহারে।

    দলের দায়িত্বে প্রাক্তন কূটনীতিক

    তার আগে মার্চেই নয়া সভাপতি বেছে নেবে জন সুরাজ পার্টি। তার আগে পর্যন্ত দলের দায়িত্ব সামলাবেন মনোজই। মনোজের নাম ঘোষণা করে প্রশান্ত বলেন, “আমি যখন বলেছিলাম, আমি নেতা হতে চাই না। তখন সাধারণ মানুষ জানতে চেয়েছিলেন আমার মতো কর্মক্ষম তাঁরা কোথায় পাবেন। মনোজ ভারতী আমাদের চেয়ে অনেক বেশি কর্মক্ষম। তিনি আইআইটিতে গিয়েছিলেন, আমি যাইনি। তিনি আইএফএস আধিকারিক হয়েছেন, আমি হইনি।”

    নবগঠিত জন সুরাজ পার্টির প্রাথমিক লক্ষ্য তিনটি – এক, বিহারের প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা, ভয় দেখিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার রীতিতে বদল আনা এবং বিহারকে দেশের সেরা ১০টি রাজ্যের মধ্যে স্থান দেওয়া। তাঁর দল ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টার মধ্যে বদল আনবেন মদ নিষেধাজ্ঞায়।

    আরও পড়ুন: শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদের নামে করার দাবি

    এক সময় কংগ্রেসকে রাজনৈতিক বুদ্ধি জুগিয়েছিলেন প্রশান্ত। এখন তাঁর সংস্থা আইপ্যাক বুদ্ধি জোগাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের সব আসনে প্রার্থী দেবে প্রশান্ত কিশোরের দল। তার পরের বছরই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। এখানে তাঁর সংস্থা রাজনৈতিক বুদ্ধি ‘বেচবে’ নাকি তাঁর দল প্রার্থী দেবে, তা বলবে সময় (Jan suraj party)। এ ব্যাপারে অবশ্য রা কাড়েননি প্রশান্ত (Prashant Kishor)।

    তৃণমূলের বিপদ বাড়ল না তো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Durga Puja: আচমকা ইংরেজরা কেন জাঁকজমক করে দুর্গাপুজো করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন?

    Kolkata Durga Puja: আচমকা ইংরেজরা কেন জাঁকজমক করে দুর্গাপুজো করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবাবি আমলে দুর্গাপুজো (Kolkata Durga Puja) হত। তবে সেই সংখ্যাটি ছিল হাতে গোনা। ইংরেজ কোম্পানির আমলে দুর্গাপুজো জাঁকজমক রূপ পায়। আচমকা ইংরেজরা কেন দুর্গাপুজো জাঁকজমক করতে উদ্যোগী হলেন, তা নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে চর্চা রয়েছে। তবে এটা ঠিক, রবার্ট ক্লাইভের সঙ্গে যুদ্ধে সিরাজউদৌল্লা হেরে যাওয়ার পর ব্রিটিশ কোম্পানির (British Company) হাতে চলে যায় শাসন ক্ষমতা। দুর্গাপুজো করতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হত সেই সময়।

    পলাশীর যুদ্ধের স্মারক বাঙালির জাতীয় উৎসব দুর্গাপুজো! (Kolkata Durga Puja)

    পলাশীর যুদ্ধের স্মারক উৎসব আজ বাঙালির জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে বললে কিন্তু ভুল বলা হবে না! তবে তার আগে জানতে হবে, শোভাবাজর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নবকৃষ্ণ দেবের কথা। পলাশীর যুদ্ধের আগে তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মুন্সি, পরে হয়েছিলেন সুতানুটির তালুকদার। পরবর্তীকালে তিনি ওয়ারেন হেস্টিংসের মুন্সি হয়েছিলেন। এমনকী ড্রেক সাহেব তেজাউদ্দীনকে কোম্পানির মুন্সির পদ থেকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছিল নবকৃষ্ণকে। পলাশীর যুদ্ধের ফলে কপাল খুলে গেল নবকৃষ্ণের। আর্থিকভাবে তিনি সমৃদ্ধশালী হলেন। ক্লাইভের তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পলাশীর যুদ্ধে কৌশলে জিতে বাংলার মুসলিমদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন ইংরেজরা। হিন্দুদের একটি অংশ এই হারটাকে নিজেদের পরাজয় মনে করে ইংরেজদের ঘৃণা করতেন। স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এক পক্ষের মন জয় করার প্রয়োজন। আর সেই তাগিদেই হিন্দুদের দুর্গাপুজো রাতারাতি কোম্পানির পুজোয় পরিবর্তিত হয়ে যায়। গবেষকদের মতে, ইংরেজদের ‘তুষ্টিকরণ নীতি’-ই ছিল এর নেপথ্যের কারণ। ইংরেজরা তখনও এদেশে জাঁকিয়ে বসেনি, তারা তখন অনকাংশেই ব্যবসায়ী এবং এদেশের আধা-শাসক। যার ফলে তারা চাইছিল, এদেশের মানুষদের খুশি করতে। যে কারণে এদেশের যাবতীয় ধর্মাচারের পুরো-পৃষ্ঠপোষকতা করতে নিজেরাই এগিয়ে আসে তারা। তখনই দুর্গাপুজোগুলিতে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু হয় তাদের তরফে। তাই, দুর্গাপুজোয় (Kolkata Durga Puja) সামিল হলেন ইংরেজরা। এদেশের যাবতীয় ধর্মাচারের পুরো-পৃষ্ঠপোষকতা করতে নিজেরাই এগিয়ে আসে তারা। তখনই দুর্গাপুজোগুলিতে ইংরেজদের পক্ষ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু হয়।

    শরৎকালে দুর্গাপুজো

    এ দেশে তো বরাবর বসন্তকালে দুর্গাপুজোর (Kolkata Durga Puja) প্রচলন ছিল। শরৎকালে আয়োজিত হত নবপত্রিকা পুজো। তা হলে এটা কী হল? ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের বিজয়োৎসব পালন করার জন্য বসন্তকালের দুর্গাপুজোকে শরৎকালে টেনে নিয়ে এসে নবপত্রিকাপুজোর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। কাজটা করলেন নবকৃষ্ণ দেব আর রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ! মদত দিলেন ধূর্ত ক্লাইভ! আর আমজনতার দল সেই আমোদের জোয়ারে বয়ে গিয়ে নিজেদের এত বছরের সযত্নে লালিত সংস্কৃতির বিসর্জন দিয়ে ফূর্তির ফোয়াড়ায় গা ভাসালেন! অন্যান্য হিন্দু জমিদার বা ব্যবসায়ীরাও মহা উৎসাহে সেই ফুর্তিতে যোগদান করলেন!

    নবকৃষ্ণের দুর্গাপুজোয় ক্লাইভ

    রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে বাংলার অন্যান্য জমিদাররা মানেন। তাই নবকৃষ্ণ দেব ক্লাইভকে দিয়ে শরৎকালে দুর্গাপুজো (Kolkata Durga Puja) সারা বাংলা জুড়ে প্রচলন করার দায়িত্ব দিলেন। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধ হয়েছে। তার তিন-চার মাসের মধ্যেই যুদ্ধ জয়কে দুর্গাপুজোর মাধ্যমে বিজয় উৎসব করতে চাইলেন ক্লাইভ। আর সেটা হলও। অদ্ভুত ব্যাপার হল, ক্লাইভ নিজে খ্রিষ্টান আর মূর্তিপুজোর বিরোধী হয়েও স্রেফ রাজনীতির স্বার্থে ‘হিন্দু প্রেমিক’ সেজে নবকৃষ্ণের নবনির্মিত ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপুজোয় একশো একটাকা দক্ষিণা আর ঝুড়ি ঝুড়ি ফলমূল পাঠিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুজোর সময় তিনি নবকৃষ্ণের বাড়িতে উপস্থিতও ছিলেন। সেই পুজোয় কৃষ্ণচন্দ্র ও নবকৃষ্ণ-দুজনেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। নবকৃষ্ণ টাকা পেয়েছিলেন সিরাজউদ্দৌলার গুপ্ত কোষাগার লুট করে আর কষ্ণচন্দ্র ক্লাইভের প্রত্যক্ষ কৃপায়। ক্লাইভের সুপারিশে কৃষ্ণচন্দ্রের বার্ষিক খাজনা বরাবরের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে কমে গিয়েছিল। ফ্যানি পার্কস লিখেছিলেন, “ধনিক বাঙালীবাবুরা পূজার সময় যে পরিমাণ অর্থব্যয় করেন তার হিসেব নেই।”

    কোম্পানির দুর্গোৎসব ঘিরে ছিল প্রতিযোগিতা

    কোম্পানির দুর্গোৎসব (Kolkata Durga Puja) ঘিরে ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। যেমন, কার বাড়ির দুর্গাকে বেশি গয়না পরানো হয়েছে, কার বাড়িতে বাইরের প্রদেশের সুন্দরী বাইজি নাচবে, কার পুজোয় ইংরেজ রাজ-কর্মচারী হাজির থাকবেন, কিংবা কার বাড়ির পুজোয় অঢেল খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছে, এমন হাজারটা বিষয়। এই বিষয়গুলি নিয়ে তখন সংবাদপত্রগুলিতে নিয়মিত খবর প্রকাশিত হত। আর সাধারণ মানুষ মুখিয়ে থাকতেন এই প্রতিযোগিতার খবর পড়তে। ১৮২৯ সালে ‘সমাচার দর্পণ’ লিখছে, ‘প্রাক-কোম্পানি যুগের পুজো ছিল সর্বত্র প্রতিমা না হউক ঘটপটাদি এবং শ্রীশ্রীশালগ্রাম শিলাদির পুজো। আর পুজো। আর সে সময়ের আদর্শ মহারাজা হলেন কৃষ্ণচন্দ্র। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রথমত এই উৎসবে বড় জাঁকজমক করেন।’

    দুর্গাপুজোয় বিদেশ থেকে আসতেন শিল্পীরা!

    ১৮১৯ সালে ‘ক্যালকাটা জার্নাল’ লিখছে, ‘এই প্রেসিডেন্সিতে ইতিপূর্বে এ ধরনের পুজো কেউ কখনও দেখেনি। সুগায়িকাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল অর্থব্যয়ে আনা হচ্ছে।’ কলকাতার এই পুজোগুলিতে বাইজি নাচ ছিল মুখ্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত নয়, বিদেশ থেকে শিল্পীরা আসতেন। এ ব্যাপারে ১৮২৬ সালের গভর্নমেন্ট গেজেট লিখছে, ‘গোপীমোহন দেবের বাড়িতে নাচবার জন্যে সুদূর ব্রহ্মদেশ থেকে একদল সুন্দরী এবং সুগায়িকা নর্তকী আনা হয়েছে।’ দুর্গাপুজোর বাইজি নাচ ঘিরে ছিল এক বিরাট প্রতিযোগিতার আসর।

    প্রায় ১০০ বছর পর টনক নড়ল ব্রিটিশ কোম্পানির

    ১৮৩৩ সাল নাগাদ ডিরোজিওর ‘ইয়ং বেঙ্গল’ জোরদার আওয়াজ তুলল কোম্পানির সহায়তায় বাবুদের দুর্গোৎসবের বেহিসেবি খরচপত্তর নিয়ে। তারা বলল, দুর্গাপুজোয় (Kolkata Durga Puja) বাইজি নাচিয়ে আম খানাপিনা করে কোম্পানি সরকার এবং বাবুরা সাধারণ মানুষের কী এমন হিত সাধন করছে? শুধু তাই নয়। কলকাতার বড়মানুষদের কী কী বিষয়ে খরচ করা উচিত সে বিষয়ে তারা একটি ফর্দ অবধি পেশ করল। যার মধ্যে ছিল ‘বিলাতে গমনোপযুক্ত জাহাজ নির্মাণ’, ‘নানাবিধ শিল্প যন্ত্র স্থাপন” থেকে ‘চাষ বৃদ্ধি’র দিকে নজর দেওয়ার মতো যুগান্তকারী দাবি। এবার কোম্পানির টনক নড়ল। আর সে বছরই বের হল কোম্পানির বিখ্যাত ঘোষণা, হিন্দুদের মন্দিরাদি থেকে সরকারিভাবে হাত উঠিয়ে নিচ্ছেন তারা। এর ক’বছরের মধ্যেই ১৮৩৭ সালে বন্ধ হয়ে গেল হিন্দুর উৎসবে তোপ দাগানো আর দুর্গাপুজোর ধুমধাম। অবশেষে ১৮৪০ সালে এল বিখ্যাত ‘দশ নম্বরি আইন’। যে আইনের সহজ মর্ম ছিল, ‘নেটিভরা প্রজা, আমরা রাজা। তাদের ধর্ম তাদের, আমাদের ধর্ম আমাদের।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shamik Bhattacharya: শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদের নামে করার দাবি

    Shamik Bhattacharya: শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদের নামে করার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) নাম বদলের প্রস্তাব। বুধবার প্রস্তাবটি দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে এই দাবি করেন শমীক। তাঁর প্রস্তাব, স্টেশনটির নাম শিয়ালদহের বদলে করা হোক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে।

    রাজ্যে রেলমন্ত্রী (Shamik Bhattacharya)

    এদিন, একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে রাজ্যে এসেছিলেন রেলমন্ত্রী। মন্ত্রী ছাড়াও রেলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। এদিনই নসিপুর রেলব্রিজের ওপর দিয়ে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। রেলপ্রকল্পের উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ হলেও, রাজ্যের তরফে জমি দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই রাজ্যে রেলের উন্নয়নে গতি আসছে না। রেলের বিভিন্ন প্রকল্পে জটিলতাও তৈরি হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর (Shamik Bhattacharya)। জমি জট কেটে গেলে যে দ্রুত ওই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হবে তাও জানান তিনি।

    রাজ্যকে নিশানা মন্ত্রীর

    অশ্বিনী বলেন, “শুধুমাত্র জমি না পওয়ার কারণে রাজ্যে রেলের প্রায় ৬১টি প্রকল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য একে অন্যের পরিপূরক। রাজ্য সরকার জমি দিলে প্রকল্পগুলি শেষ করতে অর্থের কোনও অভাব হবে না।” তিনি জানান, রেলপ্রকল্পের উন্নয়নে গত ১০ বছরে ১৩ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    রেলের এই অনুষ্ঠানেই শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলের প্রস্তাব দেন শমীক। তিনি বলেন, “এই স্টেশনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের রক্তাক্ত ইতিহাস। সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষগুলো একদিন এসে ভিড় করেছিলেন শিয়ালদহ স্টেশনে। সেদিন ক্যাম্প করে শিয়ালদহের আশপাশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। যাঁর তত্ত্বাবধানে এসব হয়েছিল, তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাই আজ রেলের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, বিষয়টা দেখবেন।” প্রসঙ্গত, ১৮৬২ সালে ইংরেজ আমলে চালু হয় শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station)। তারও সাত বছর পরে তৈরি হয় স্টেশন বিল্ডিং (Shamik Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ইউনূস শিখণ্ডি মাত্র! বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এক যুবক, বিস্ফোরক তসলিমা

    Bangladesh Crisis: ইউনূস শিখণ্ডি মাত্র! বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এক যুবক, বিস্ফোরক তসলিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, মহম্মদ ইউনূসকে সামনে রেখে এখন দেশ চালাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সি মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। ৮৪ বছর বয়সের ইউনূস মাহফুজকে তাঁর বিশেষ সহযোগী করেছেন। সেই ‘বিশেষ সহযোগীই’ তাঁর হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছেন বলে দাবি করেন তসলিমা।

    ইউনুস সরকারের কথায়-কাজে অমিল

    ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। এখন তাঁর হাতেই বাংলাদেশের শাসনভার। কিন্তু ইউনূস সরকারের কথায়-কাজে মিল থাকছে না। তিনি সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, বাস্তবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, হুমকি দেওয়া চলছেই। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই মৌলবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি এসেছে। তাই ইউনূসের হাতে যে নিয়ন্ত্রণ নেই, তা স্পষ্ট। বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দাবি, বাংলাদেশ সরকার চালাচ্ছে এক ২৮ বছর বয়সি যুবক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ পোস্টে এই দাবি করেছেন তসলিমা। তিনি লিখেছেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ চালাচ্ছে একটা ২৮ বছর বয়সি ছেলে, তার নাম মাহফুজ আলম বা মাহফুজ আব্দুল্লাহ। মহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহযোগী সে। ৮৪ বছর বয়সের ইউনূস জরাগ্রস্ত। সুতরাং খুব স্বাভাবিক যে তাঁর বিশেষ সহযোগীই ইউনূসের হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাজ করছে।” 

    কে এই মাহফুজ

    গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে এক ছাত্র সংগঠনের নেতা মাহফুজ ২০১৫-১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ যে সংগঠনের নামে বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন চলেছে, সেই সংগঠনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি। গত ২৮ অগাস্ট তাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে। বলা হয়েছিল, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক দায়িত্ব পালনে, প্রধান উপদেষ্টাকে সহায়তা করবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?

     ইসলামপন্থী মৌলবাদী

    তসলিমার দাবি, মাহফুজ আলম বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী নয়। সে ইসলামপন্থী মৌলবাদী। ‘হিজবুত তাহরীর’ নামে এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সে যুক্ত বলে অভিযোগ তসলিমার। বিতর্কিত লেখিকা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে যদিও মাহফুজ ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই বলে দাবি করে। তবে, এটা তাদের কৌশল। তসলিমা লিখেছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিন্তু ছাত্ররা নিজেদের শিবির পরিচয় গোপন করে শুধু ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে সামনে এসেছিল। এই সময় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা, কোনও কারণ নেই যে, জানিয়ে দেবে তারা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সম্ভবত ভেবেছে, একবারেই জানাবে, তাদের খেলাফত স্বপ্ন সফল করার পর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    RG Kar Protest: আরজি কর হাসপাতাল-পাড়ার ক্লাব ফেরাল সরকারি অনুদান, শুধুই ‘পুজো’ হবে, ‘উৎসব’ নয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যের একাধিক পুজো কমিটি তৃণমূল সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে।খোদ আরজি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ভবনের ঠিক উল্টো দিকের রাস্তায় রয়েছে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনী শারদোৎসব সমিতি নামে একটি ক্লাব। পুজোয় (Durga Puja) সরকারি অনুদান তারা ফিরিয়ে দিয়েছে।

     পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য? (RG Kar Protest)

    এবার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর (RG Kar Protest) পুজো ৮০ বছরে পদার্পণ করছে। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুজোকে অন্যান্য বারের থেকে আলাদা করে উপস্থাপিত করার। কিন্তু পুজো হচ্ছে একেবারে নমো নমো করে। পুজো কমিটির আহ্বায়ক রমেশ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের দোরগোড়ায় এমন একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান গ্রহণ করব না। ভৈরব মুখোপাধ্যায় লেনে আমাদের ক্লাবের পাশেই চায়ের দোকানে, পুরনো বাড়ির রোয়াকে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা বসেন, নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবও করেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকও ওই পাড়ায় আসতেন, বসতেন। তাঁর নৃশংস এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে ‘মানবিক এবং সংবেদনশীল’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আমরা এ বার অনাড়ম্বর ভাবে পুজো করতে চলেছি।” তিনি আরও বলেন,” ইতিমধ্যেই স্থায়ী দুর্গা বেদিতে প্রতিমা এসে গিয়েছে। সপ্তমী এবং নবমীর দিন প্রতি বছর পঙ্ক্তিভোজন হয়। কিন্তু এ বার সে সব কিছুই হচ্ছে না। একই সঙ্গে হচ্ছে না সাংস্কৃতিক উৎসবও।” এলাকার মানুষজনের উদ্দেশে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বার্তায় বলা হয়েছে, “দুয়ারে দুঃসময়।” আরজি করের উল্টো দিকের পাড়ায় শুধুই ‘পুজো’ হবে। ‘উৎসব’ নয়।

    আরও পড়ুন: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    নির্যাতিতার বাড়়ির পাশের পুজো কমিটি প্রত্যাখ্যান

    এর আগে বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু পুজো কমিটি আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ রাজ্যের দেওয়া ‘দুর্গার ভান্ডার’ প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে পানিহাটিতে নির্যাতিতার বাড়ির পাশের পাড়ার পুজো কমিটিও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরজি করের একেবারে উল্টো দিকের পুজো কমিটির নামও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share