Author: user

  • Durga Puja 2024: আরও এক বছরের অপেক্ষা, প্রতিমাকে পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই দশমীতে বিসর্জন!

    Durga Puja 2024: আরও এক বছরের অপেক্ষা, প্রতিমাকে পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই দশমীতে বিসর্জন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্ম বিশ্বাস অনুসারে, মানুষের দেহ আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি-এই পাঁচ উপাদান দিয়ে তৈরি। একই ভাবে পাঁচ উপাদান দিয়েই তৈরি হয় প্রতিমাও (Durga Puja 2024)। মাটির মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাকে প্রতিমা বলে। পুজো শেষে বিদায় বেলায় সেই মূর্তি আবার প্রাণহীন হয়ে পড়ে। আর সেই মূর্তিকে (Bijoya Dashmi) আবার পঞ্চতত্ত্বে বিলীন করতেই বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতিমা পুজোর শেষ ধাপ হল বিসর্জন (Durga Visarjan)। পুজো শেষে প্রতিমাকে জলে বিসর্জন দিয়ে আবার প্রকৃতিতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সনাতন ধর্মে শুরু থেকেই গঙ্গাজলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। হিন্দু শাস্ত্রবিদদের মতে, আমাদের হৃদয়ে যে নিরাকার ঈশ্বর রয়েছেন, উপাসনার জন্য মাটির প্রতিমা তৈরি করে তাকে সাকার রূপ দেওয়া হয়। পুজোর (Durga Puja 2024) শেষে পুনরায় সেই সাকার রূপকে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে হৃদয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই কারণেই দুর্গাপুজোর সময় প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে পরের বছর আবার আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

    কিছু বনেদি বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি (Durga Puja 2024)        

    ‘দশমী’ কথাটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিদায় বেলার যন্ত্রণা। আরও এক বছরের অপেক্ষা। দুর্গাপুজোর আনন্দে তাল কাটে এই দশমীতেই। বাঙালিদের কাছে মা দুর্গা ঘরের মেয়ে। আর ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলে যেমন আনন্দ উপচে পড়ে, ঠিক সেভাবেই চলে যাওয়ার সময় মন খারাপের সুর বাজে সানাইয়ে। বিজয়া দশমীতেই (Bijoya Dashmi) ভেজা চোখে হিন্দুরা বিদায় জানায় তার ঘরের মেয়ে উমাকে। ওই দিনই শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন উমা। এই দিন বনেদি বাড়ির পুজোর পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোতেও বাড়ির মহিলারা একে একে বরণ করেন প্রতিমাকে। তার পর চলে মহিলাদের সিঁদুর খেলা। কিছু বনেদি বাড়িতে প্রথা মেনে দেওয়া হয় কনকাঞ্জলি। এর পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটে। সেখানে নৌকোতে চেপে বিসর্জন দেওয়া হয়। 

    বিজয়া দশমীর অন্যান্য গুরুত্ব    

    দশমীকে ‘বিজয়া’ বলার পিছনে পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। পুরাণের মহিষাসুর বধ কাহিনিতে বলা হয়েছে, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলেন দেবী দুর্গা। তাই তাকে ‘বিজয়া’ বলা হয়। এছাড়াও শ্রীশ্রীচণ্ডী কাহিনি অনুসারে, দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। পরে শুক্লা দশমীতে মহিষাসুর বধ করেছিলেন তিনি। তাই বিজয়াকে দশমী বলা হয়। উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনে দশেরা উদযাপিত হয়। তবে তার তাৎপর্য সম্পূর্ণ আলাদা। ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে। যার অর্থ দশানন রাবণের মৃত্যু। বাল্মীকি রামায়নে বলা হয়েছে, আশ্বিন মাসের ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন রাম, সীতা, ও লক্ষণ। রাবণবধ ও রামচন্দ্রের এই প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যেই যথাক্রমে দশেরা (Durga Puja 2024) ও দীপাবলি পালন করা হয়ে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    Durga Puja 2024: “যেও না নবমী নিশি…”, মহানবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কোথাও হয় শত্রু বলিও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Maha Nabami) মানেই মন খারাপের দিন। কারণ এর পরেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়। নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে (Durga Puja 2024) দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    মহানবমীর (Durga Puja 2024) আগে হয় সন্ধিপুজো

    মহানবমীর (Durga Puja 2024) আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের (Maha Nabami) উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয়, সেটি হল শত্রু বলি

    নবমীতে (Durga Puja 2024) আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর (Durga Puja 2024) পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RRB Recruitment: উচ্চ মাধ্যমিক পাশে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি, হাজার হাজার লোক নিচ্ছে রেল

    RRB Recruitment: উচ্চ মাধ্যমিক পাশে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি, হাজার হাজার লোক নিচ্ছে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। আর তাই রেলের বিভিন্ন শূন্য পদে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে নিয়োগ (RRB Recruitment) হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। গ্র্যাজুয়েট এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ, দু’ধরনের পদের জন্যই আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিইএন নম্বর ০৫/২০২৪ (CEN No. 05/2024) ও সিইএন নম্বর ০৬/২০২৪ (CEN No. 06/2024), আবেদনের জন্য এই দুই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

    আবেদনের শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর (RRB Recruitment)

    রেলের (RRB Recruitment) সিইএন নম্বর ০৫/২০২৪ (CEN No. 05/2024) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট ৩ হাজার ৪৪৫ শূন্যপদ রয়েছে। কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক পদে ২০২২ জন, অ্যাকাউন্ট ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট ৩৬১ জন, জুনিয়র ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট ৯৯০ জন ও ট্রেন ক্লার্কের পদে ৭২ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এই শূন্যপদে আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে, আবেদনের শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। শিক্ষাগত যোগ্যতা: এই পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক (+২) পাশ বা সমতুল্য ডিগ্রি। বয়সসীমা: এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে গেলে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে। তবে সংরক্ষিত শ্রেণির ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সসীমা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    নির্বাচন পদ্ধতি কী রয়েছে?

    নির্বাচন পদ্ধতি: প্রথমে দুই ধাপের কম্পিউটার বেসড পরীক্ষা (RRB Recruitment) হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে টাইপিং স্কিল টেস্ট হবে। তারপর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যাল টেস্ট হবে। কম্পিউটার বেসড পরীক্ষার দ্বিতীয় স্টেজে শূন্যপদের প্রায় ১৫ গুণ আবেদনকারী পরীক্ষা দেবে। আবেদন ফি: ছাড় পাওয়া আবেদনকারী ছাড়া বাকিদের ৫০০ টাকা আবেদন ফি দিতে হবে। বিশেষভাবে সক্ষম, মহিলা, রূপান্তরকামী, সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি, সংখ্যালঘু ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের জন্য এই আবেদন ফি ২৫০ টাকা। যদিও পরীক্ষায় উপস্থিত হলে যথাক্রমে ৪০০ ও ২৫০ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।

    আবেদনের শেষ তারিখ ১৩ অক্টোবর

    রেলের (RRB Recruitment) বিজ্ঞপ্তি সিইএন নম্বর ০৬/২০২৪ (CEN No. 06/2024) অনুযায়ী, মোট ৮ হাজার ১ শূন্যপদ রয়েছে। চিফ কমার্শিয়াল কাম টিকিট সুপারভাইজার পদে ১৭৩৬ জন, স্টেশন মাস্টার পদে ৯৯৪ জন, গুডস ট্রেন ম্যানেজার পদে ৩১৪৪ জন, জুনিয়র অ্যাকাউন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট কাম টাইপিস্ট পদে ১৫০৭ জন, সিনিয়র ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট পদে ৭৩২ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এই শূন্যপদে আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে, আবেদনের শেষ তারিখ ১৩ অক্টোবর। শিক্ষাগত যোগ্যতা: এই পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন বা সমতুল ডিগ্রি। বয়সসীমা: এই বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে গেলে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে। তবে সংরক্ষিত শ্রেণির ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।

    নির্বাচন পদ্ধতি কী রয়েছে?

    নির্বাচন পদ্ধতি: প্রথমে দুই ধাপের কম্পিউটার পরীক্ষা (RRB Recruitment) হবে। তারপর কম্পিউটার বেসড অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা বা টাইপিং স্কিল টেস্টের মধ্যে যেটা প্রয়োজনীয় সেই পরীক্ষা হবে। তারপর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যাল টেস্ট হবে। কম্পিউটার বেসড পরীক্ষার দ্বিতীয় স্টেজে শূন্যপদের প্রায় ১৫ গুন আবেদনকারী পরীক্ষা দেবে। আবেদন ফি: ছাড় পাওয়া আবেদনকারী ছাড়া বাকিদের ৫০০ টাকা আবেদন ফি দিতে হবে। বিশেষভাবে সক্ষম, মহিলা, রূপান্তরকামী, সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি, সংখ্যালঘু ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের জন্য এই আবেদন ফি ২৫০ টাকা। যদিও পরীক্ষায় উপস্থিত হলে যথাক্রমে ৪০০ ও ২৫০ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahatma Gandhi: “ওঁর জীবন অনুপ্রেরণার”, জাতির জনক গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Mahatma Gandhi: “ওঁর জীবন অনুপ্রেরণার”, জাতির জনক গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অহিংসার পথ প্রদর্শক তথা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নয়াদিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। গান্ধীর জীবনদর্শন স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা৷ বাপুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির শ্রদ্ধা

    জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘সকল দেশবাসীর তরফ থেকে শ্রদ্ধেয় বাপুকে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে শত শত প্রণাম। ওঁর জীবন ও আদর্শ সত্য, সম্প্রীতি ও সাম্যের উপর ভিত্তি করে, ওঁর জীবন দেশবাসীর কাছে সর্বদা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’ বিশেষ এই দিনে স্কুলপড়ুয়াদের সঙ্গে স্বচ্ছতা অভিযানেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধীর পাশাপাশি দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন আজ। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেও এদিন শ্রদ্ধা জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দেশের সৈনিক ও কৃষকদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা।’

    জাতির জনককে স্মরণ রাষ্ট্রপতির

    বুধবার মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী। দেশব্যাপী পালন করা হচ্ছে ‘গান্ধী জয়ন্তী’। এদিন রাষ্ট্রপতি মুর্মু মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “গান্ধিজির মতে, যে দর্শন জীবনের জন্য উপযোগী নয়, তা হল ধূলোর মতো প্রাণহীন। তাঁর কথায়, কাজে ও চিন্তায় ছিল পূর্ণ ঐক্য। এই কারণেই তাঁর কথা আজও আমাদের সবার জন্য প্রাসঙ্গিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো শেষে উমার ঘরে ফেরার পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমী তিথির মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমী। দশমী মানেই দুর্গাপুজোর শেষ। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, রাত পর্যন্ত মণ্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মণ্ডপে-মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি-সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌। অপেক্ষায় থাকতে হয় আরও একটা বছর। বেশিরভাগ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে, যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে বিজয়া দশমী (Durga Puja 2024) বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি (Durga Puja 2024)

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনি উল্লেখযোগ্য। রানি রাসমণির জামাতা মথুরবাবু এক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে (Durga Puja 2024) বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবী মা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন, এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    মহিষাসুর বধ, দেবকূল মাতে উৎসবে (Bijoya Dashmi)

    দশমী (Durga Puja 2024) ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনিও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভাপুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনি আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতাকূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি পৌরাণিক কাহিনি

    অন্য একটি কাহিনি অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী-নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ। ৫১টি অংশে সতীর মৃতদেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য শিব বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবতকন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2024) দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই এই দিনটি পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এই তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয়প্রাপ্ত করেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি  (Bijoya Dashmi)
     দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    Israel: মধ্যপ্রাচ্যে রণদামামা! ইজরায়েলে হামলা ইরানের, “মাশুল গুণতে হবে”, বলছেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে বাজল রণদামামা! এবার ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Irans Attack)। তার পরেই তেহরানকে (ইরানের রাজধানী) যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বললেন, “ইরানকে এই ভুলের মাশুল গুণতে হবে।” ইজরায়েল ও ইরানের দ্বন্দ্বে তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।

    হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা! (Israel)

    ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হয়েছে লেবাননের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আভিভের দাবি, ইরানের তরফে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। তবে তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে। আমরা তৈরিই রয়েছি।” তিনি বলেন, “যারাই আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব।”

    আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    ইরান যে ইজরায়েলে হামলা চালাতে চলেছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আগেই। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তেহরানে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার দাবি জানায় তারা। চাপে পড়ে যায় ইরান সরকার। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় তারা। জানিয়ে দেয়, এর (নাসরাল্লার মৃত্যু) ফল ভালো হবে না। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েল-ইরানের এই দ্বন্দ্বে আমেরিকা যাতে না জড়ায়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তেহরান। আমেরিকার উদ্দেশে তাদের হুমকি, আমেরিকা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরাকে মার্কিন বেস লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। ইজরায়েল প্রতিশোধ নিতে এলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরানের তরফে।

    ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে
    এদিকে, ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধিকারিকরা ছিলেন বৈঠকে। বৈঠকের পর ইজরায়েলকে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয় মার্কিন সেনাকে। ইজরায়েলে ইরানের হামলার (Irans Attack) নিন্দাও করেছে বাইডেন সরকার। আমেরিকা যে ইজরায়েলের (Israel) পাশে রয়েছে, তাও জানিয়ে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ভোর দখল, হল গণতর্পণ

    RG Kar Protest: নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ভোর দখল, হল গণতর্পণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাত দখলের সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার মহিলারা। উমা আসছেন। পিতৃপক্ষের অবসান করে সূচনা হল দেবীপক্ষের। চারদিকে পুজো পুজো গন্ধ। এই আবহে নির্যাতিতার বিচারের দাবি ভোলেননি সাধারণ মানুষ। তাই তো মহালয়ার দিনে দিকে দিকে উঠল বিচারের দাবি। কোথাও ভোর দখল (RG Kar Protest) করলেন মহিলারা, কোথাও আবার নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁর উদেশেও তর্পণ (Tarpan) করা হল।

    বিচারের দাবিতে হল গণতর্পণ (RG Kar Protest)  

    মহালয়া দিন সকালবেলায় ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে বেহালা থানার উল্টো দিকে আরজি করে নির্যাতিতার (RG Kar Protest) খুনের ঘটনা পথ নাটিকা করে দেখালেন জোকা ইএসআইয়ের জুনিয়র ডাক্তাররা। পথচলতি মানুষ সবাই সেই নাটক দেখলেনও। মহালয়ার তিথিতে ভোর থেকেই উপচে পড়া ভিড় বাঁকুড়া শহর লাগোয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতীঘাটে। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ নিবেদন চলছে। পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণের ভিড়েও এ দিন উঠল নির্যাতিতার বিচারের দাবি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় এদিন গণতর্পণ নিবেদন করেন একদল মানুষ।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    বিচার চেয়ে ভোর বেলায় মিছিল

    দেবীপক্ষের সূচনাতেই নতুন করে আন্দোলনের চিত্র শ্রীরামপুরে। দেবীপক্ষকে স্বাগত জানাতে ভোর থেকেই ঢাক নিয়ে প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় মহিলারা। শ্রীরামপুর বটতলা থেকে শুরু হয় মিছিল (RG Kar Protest)। শেষ হয় শ্রীরামপুর তিন নম্বর ঘাটে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ যোগ দেয় এই প্রতিবাদ মিছিলে। অন্যদিকে, মাতৃ পক্ষের সূচনাতেই রাত্রি বারোটার পর মশাল জ্বালিয়ে দেবীকে আহ্বান করলেন মেদিনীপুর শহরের একদল মানুষ। নির্যাতিতার বিচার চেয়ে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেন সাধারণ মানুষ। পথনাটিকা, আদিবাসী নৃত্য, কবিতা, আবৃত্তি, স্ট্রিট পেন্টিং সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদে মুখর হন মেদিনীপুর শহরের মানুষ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক এভাবেই প্রতিবাদে বিভিন্ন মাধ্যমে রাস্তায় থাকবেন বলেই শপথ নিলেন শহরে মানুষ।

    ভোরবেলায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে পদযাত্রা

    আলিপুরদুয়ারেও (RG Kar Protest) এদিন ভোরদখল করা হয় আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের তরফে। মহালয়ার ভোরে আলিপুরদুয়ারে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শুরু হয় ভোর দখল। ভোর ৪ টা থেকে এই কর্মসূচি চলে। আরজি করকাণ্ডে বিচার চেয়ে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে আলিপুরদুয়ার নাগরিক সমাজ ভোর দখলে নামে। বহু মহিলা এদিন এই ভোরদখলে অংশ নেন। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়েও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ দেখা যায়। “পুজোয় আছি, প্রতিবাদেও আছি” বন্ধু সমাজের ডাকে এক অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়। দুর্গার ছবিতে ধূপ-ধুনো-মোমবাতি জ্বেলে ভোর দখলের মাধ্যমে মহালয়া পালন করা হয়। চুঁচুড়া অন্নপূর্ণা ঘাট থেকে বকুলতলা তর্পন ঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়।

    শহরজুড়ে মিছিল

    বুধবার ভোরে নদীয়ার নবদ্বীপ শহরেও নাগরিক সমাজ ও প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে ভোর দখল (RG Kar Protest) করা হয়। এদিন ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটা থেকে শহরের ব্যস্ততম এলাকা রাধাবাজার মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। পরে, শহর জুড়ে এক প্রতিবাদী মিছিলও হয়, যার  শহরের পাঁচমাথা মোড়, সরকার পাড়া হয়ে বুড়োশিবতলা এলাকায় সমাপ্তি হয়। এদিন মিছিল থেকে একাধারে যেমন নির্যাতিতার বিচারের বিলম্ব নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান ওঠে, পাশাপাশি সামগ্রিক ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2024: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীগৃহে রওনা দেন। মন যখন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Durga Puja 2024)। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নি-সংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে, রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তির নিক্ষেপ করে দশমাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন (Dashera)। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিতভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই (Dashera) আশ্বিন মাসে মা দুর্গার (Durga Puja 2024) অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণবধ করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর এবং রাবণ-দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম, পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি (Durga Puja 2024) তাই পবিত্র-পুণ্য এক তিথি, যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্পবৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার ওপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের ওপর।

    অজ্ঞাতবাস থেকে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ পাণ্ডবদের

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দশেরার সঙ্গে পাণ্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্রপূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্রপূজন পাণ্ডবদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক এক বছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তার পর থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তে দশমীর দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    অযোধ্যায় ধনবৃষ্টি কুবেরের

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘুবংশে পালিত হয় দশেরা। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভে গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবেন না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Incident: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর আগে তার কথাতেই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। আর এখন সে নেই। পুজোর সুর এবার বড়ই বিষাদের আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মায়ের কাছে। পুজোর ঠিক দুই মাস আগে তাঁর গৌরী চলে গিয়েছে। এখনও বিচারের আশায় দিন গুনছেন তাঁরা। মহালয়ার দিন সকালে তাই অশ্রুসজল চোখেই বিচারের অপেক্ষায় তিলোত্তমার মা। বললেন, “দেবীপক্ষের শুরু, বিচারের লড়াইও শুরু। অসুর নিধন হবেই।”

    মহালয়ার ভোরটা হাসপাতালেই কাটত

    দেবীপক্ষের শুরুতে মেয়ের সঙ্গে পুজোর স্মৃতি ভাগ করে নিলেন নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মা। বললেন,”কোনও কোনও বার মহালয়ার ভোরটা ওর হাসপাতালেই কাটত। কোনও কোনও বার ভোরে মহালয়া শুনেই বেরিয়ে যেত। তিন বছর আগে মেয়ে হঠাৎ বলল, মা চলো না, বাড়িতে দুর্গাপুজো করি! ধমক দিয়ে বলেছিলাম, পাগল হয়েছিস? দুর্গাপুজোয় প্রচুর খাটনি মা! মেয়ে বলেছিল, তুমি চিন্তা কোরো না। দু’জনে মিলে করলে ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ভোগ রান্না করবে আর আমি পুজোর দিকটা সব সামলে নেব। সেই শুরু। পর পর দু’বার কী ভালোভাবে যে আমাদের বাড়ির পুজোটা হয়ে গেল, বলে বোঝাতে পারব না। গ্যারাজেই প্রতিমা পাতা হল। বাড়ির সামনে প্যান্ডেল। প্রতিদিন লোকজন খেত। আত্মীয়েরা সব চলে আসত মেয়ের ডাকে। ওর মতো মিশুকে মেয়ে হয় না। ওর মধ্যে এমনই মায়া যে কেউ ওর কথা ফেলতে পারত না।”

    আরও পড়ুন: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই রাজ্যকে দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    অঞ্জলি দিয়েই রোগীর বাড়ি

    মানুষকে ভালোবাসার চেয়ে বড় পুজো হয় না, এই বিশ্বাসই আশ্রয় ছিল তিলোত্তমার (RG Kar Incident)। অঞ্জলি দিতে বসেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত মেয়ে, বলছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়, “প্রতিমা বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের পুজো বলতে ছিল বাড়ি। সকলকে নিয়ে আনন্দ। বিসর্জনের পরে একটু মন খারাপ থাকত ওর। আবার ব্যস্ত হয়ে যেত নিজের কাজে। বলত, মা অনেকে এই পুজোর সময়ে খুব কষ্ট পান। ডাক্তারেরা থাকেন না অনেকেই এই সময়ে। তাই পুজোতেও রোগীর ডাক এলে উঠে যেত।” এখন কেউ ফোন করে মেয়ের নাম ধরে কথা বলতে চাইলে বুকটা কেঁপে ওঠে মায়ের। তাঁর কথায়, “যে নামের আগে ডিগ্রি পাওয়ার জন্য এত লড়াই করল মেয়েটা, সেই নামটাই এখন মুছে গিয়েছে। লোকে ওকে অভয়া, তিলোত্তমা বলে ডাকছে। আমার মেয়ের নামটাই মুছে গিয়েছে। এখন শুধুই অপেক্ষা। অসুর নিধনের।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ঘটের জল কীসের প্রতিরূপ? ঘট ছাড়া কেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না?

    Durga Puja 2024: ঘটের জল কীসের প্রতিরূপ? ঘট ছাড়া কেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও পুজোতে ঘট অপরিহার্য। ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয় না। ঘট (Ghot Puja) বিসর্জন হলেই দেবতার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘট এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? সমস্ত ধরনের পুজো (Durga Puja 2024), যে দেবতার উদ্দেশে পুজো, সবটাই ধারণ করে থাকে ঘট। বলা হয় ঘটই হল আমাদের দেহের প্রতিরূপ। দেহকে তাই দেহ ঘট বলা হয়ে থাকে। ঘটের বিভিন্ন অংশের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের আগে, জেনে নেওয়া যাক ঘটের প্রথম ব্যবহার সম্পর্কে প্রচলিত এক পৌরাণিক গল্প। সমুদ্র মন্থনের কথা কমবেশি সকলেই জানি আমরা। ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল। এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসেবে এবং নাগরাজ বাসুকী মন্থনের দড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মণি, মাণিক্য, রত্ন সবকিছুর সঙ্গে উঠেছিল তীব্র বিষ। যাকে হলাহল বলা হয়ে থাকে। এই বিষকে রাখার জন্য একটি বড় ঘটের আকৃতির পাত্র তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। সেই থেকেই নাকি ঘটের প্রচলন শুরু। এবার ঘটের বিশ্লেষণ করা যাক।

    ঘটের বিশ্লেষণ (Durga Puja 2024)

    পঞ্চগুড়ির দ্বারা ঘটের পিঠ (Durga Puja 2024) তৈরি করা হয়। এই পঞ্চগুড়ি হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এর প্রতীক। এক কথায় পঞ্চ মহাভূত। মৃত্তিকা পিঠের উপরে দেওয়া হয় পঞ্চশস্য। এগুলি হল মানুষের পাঁচটা বৃত্তি-কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও মৎসর্য্য-এর প্রতীক। ঘটের ভিতরে দেওয়া হয় পঞ্চরত্ন। এগুলি চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা-এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এর ওপরে ঘটটি স্থাপন করা হয়।

    প্রথমেই বলা হয়েছে, ঘটকে দেহের প্রতিরূপ মানা হয়। তাই দেহ গঠনে যা যা উপাদানের প্রয়োজন হয়, সবটাই ঘটে রাখতে হয় প্রতীক হিসেবে। ঘটকে জল পূর্ণ করে রাখতে হয়। জল হল এখানে দেহরস বা রক্তের  প্রতিরূপ।
    আমাদের নজর নিশ্চয়ই এড়িয়ে যায় না, যখন ঘটের ওপর আমরা পঞ্চপত্র বা পাঁচটি পাতা দেখতে পাই। এই পাতা হল মানবদেহের গ্রীবার প্রতীক।

    ঘটের (Ghot Puja) শীর্ষে থাকে নারকেল। অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন, মানবদেহের মুখের আকৃতির মতো হয় নারকেল। নারকেলেও চোখ-নাকের আকৃতি থাকে। ঘটের শীর্ষে নারকেল দেওয়া হয় মুখমণ্ডলের প্রতীক হিসেবে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, ঘটে স্বয়ং দেব-দেবীরা অবস্থান করেন। প্রতিমার প্রতীক হিসেবে ঘট পুজো করা হয়। সাকার রূপে থাকে দেবদেবীর প্রতিমা এবং নিরাকার রূপে থাকে ঘট। অনেক বাড়িতেই প্রতিমা ছাড়া দুর্গাপুজো বা যে কোনও পুজো হয় শুধুমাত্র ঘট স্থাপনের দ্বারা।

    এবার জেনে নেওয়া যাক ঘট স্থাপনের রীতি বা আচার

    -ঘট স্থাপনে দরকার হয় মাটি। গঙ্গা মাটি হলে ভালো হয় বলে মনে করেন হিন্দু পণ্ডিতরা। গঙ্গা মাটি না পেলে পবিত্র কোনও পুকুরের মাটি লাগে।

    -ঘটের মধ্যে দেওয়ার জন্য দরকার পঞ্চপাতা (Durga Puja 2024)। পাতাগুলি যেন একত্রে পাঁচটি বা সাতটি থাকে। 

    -পণ্ডিতদের মতে তেল, ঘি এবং সিঁদুরের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে সেই মিশ্রণের ফোঁটা লাগিয়ে দিতে হয় প্রত্যেক পাতায়। ডাবের ওপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। ডাবের ওপরে রাখতে হয় একটি নতুন গামছা। চারদিকে চারটি তীর কাঠি পুঁতে কাঠিগুলিতে বাঁধতে হয় লাল ধাগা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share