Author: user

  • BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    BJP: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এই আবহে মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে তুলে ধরে বই প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্ল্যাক পেপার’। মঙ্গলবারই এই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বিজেপির (BJP) রাজ্য সদর দফতরে। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনার পাশাপাশি গত তেরো বছরের নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটি তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, অধ্যাপক অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক জয়ন্ত গুহ ও ডাক্তার মধুছন্দা কর। যে ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য এফআইআর নেয়নি, সেরকম কিছু ঘটনাও ‘ব্ল্যাক পেপার’-এ উঠে এসেছে।

    কী বলছেন শমীক ভট্টাচার্য?

    জানা গিয়েছে, বিজেপি (BJP) পুজোয় যে স্টল দিচ্ছে, সেখানে এই ‘ব্ল্যাক পেপার’ থাকবে। মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে মমতার আমলে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান। এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে পশ্চিমবঙ্গে যে রাজনৈতিক অবস্থানে ছিলাম, সেখানে সকলেরই এক যুক্তি ছিল, ‘ধানতলা-বানতলা সরকার আর নেই দরকার’। ২০১১ সালের পর মানুষ গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালের পর আমরা কী পেয়েছি আর পাইনি? তা নিয়েই আজ ব্ল্যাক পেপার বইটি প্রকাশ করা হচ্ছে।

    নারী নির্যাতনে রাজ্যকে দেশের মধ্যে শীর্ষে নিয়ে যায় মমতা সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার বাংলাকে (West Bengal) নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়। ২০১১-তে এ রাজ্যে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত ২৯,১৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১২ সালে সেটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০,৯৪২। পর পর দু’বার নারী নির্যাতনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এনসিআরবি-কে তথ্য পাঠাতেই নিষেধ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অনেকেই বলছেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে নারী নির্যাতনের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে বাংলা (West Bengal)। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Relief: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    Flood Relief: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় বিধ্বস্ত (Flood Relief) উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র এবং ডিভিসিকে দোষারোপ করছেন। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বন্যায় ৪৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Amit Shah) তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বন্যার জেরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি দল পাঠানো হবে। সেই কেন্দ্রীয় দল যে রিপোর্ট দেবে, তার উপর ভিত্তি করে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় অতিরিক্ত সাহায্যের অনুমোদনও দেওয়া হবে।

    কেন্দ্রের সাহায্য

    বন্যা মোকাবিলায় (Flood Relief) মঙ্গলবার রাজ্যকে ৪৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও ১৩টি রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৪টি রাজ্যের জন্য ৫৮৫৮.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা এক্স হ্যান্ডলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্র যে রাজ্যগুলির পাশে রয়েছে, সেকথা জানান তিনি। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইন্টার মিনিস্ট্রিয়াল সেন্ট্রাল টিম (আইএমসিটি) বিভিন্ন রাজ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই আইএমসিটি বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রক্রিয়া মেনে এনডিআরএফ থেকে আরও আর্থিক সাহায্য করা হবে। চলতি বছরে ২১টি রাজ্যকে সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    দোষারোপের পালা

    রাজ্যে বন্যার (Flood Relief) জন্য ডিভিসিকে তোপ দেগে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্যেরও আবেদন জানান তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছর বর্ষায় ভারী বৃষ্টি, বন্যা, ধসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে এই রাজ্যগুলি। সে কারণেই অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সেনা, বায়ুসেনার দল পাঠানো হয়েছে। আগে বহুবার কেন্দ্রের উপর আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে সবসময়ই রাজ্যের দোষারোপকে উপেক্ষা করেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল বাংলা, বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা করে দিলেন শাহ-নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বাংলা। জন-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহরে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে এই আন্দোলনে। এই আবহে লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি (BJP)। আরজি কর ইস্যুতে নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে, তার পরের দিনই বনধ ডাকে গেরুয়া শিবির। ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় বিজেপির ডাকা বনধে। এই অবস্থায় সংগঠনের পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    পুজো মিটলেই ফের বাড়বে আন্দোলনের ঝাঁঝ (BJP) 

    সূত্রের খবর, আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির (BJP) আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে চলেছে। পুজো মিটলেই আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। কারণ আরজি কর ইস্যুতে মানুষের মধ্যে সরকার বিরোধী ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি জেপি নাড্ডার সামনে আরজি করের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ?

    এর পাশাপাশি চলতি বছরে দুর্গাপুজোয় (BJP) অমিত শাহের কর্মসূচি চূড়ান্ত করতেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার রাতের এই বৈঠকে একাধিক রাজ্যের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসেছিলেন অমিত শাহ। জেপি নাড্ডার বাসভবনেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আরজিকর কাণ্ডে পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সন্ত্রাস থেকে দুর্নীতি ইস্যু তো রয়েছেই, তার সঙ্গে নতুন করে মমতা সরকারের গলার কাঁটা হয়েছে আরজি কর। এরপর ২৬ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে এখন থেকেই সেই ভোটকে পাখির চোখ করতে শুরু করে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Daily Horoscope 02 october 2024: একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 october 2024: একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যার পরিমাণ বাড়তে পারে।

    ৩) সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) মায়ের সঙ্গে বিবাদ ও মনঃকষ্ট। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে। 

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) নিজের অজান্তেই এমন কিছু কাজ করবেন, যাতে সকলের প্রীতিলাভ সম্ভব হবে।

    ২) বন্ধুরা আপনাকে ঠকাতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) ভ্রমণের ব্যাপারে বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা। 

    ৩)  ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir Assembly Election: উৎসবের মেজাজেই নির্বাচন ভূস্বর্গে, শেষ দফায়ও রেকর্ড ভোট

    Jammu & Kashmir Assembly Election: উৎসবের মেজাজেই নির্বাচন ভূস্বর্গে, শেষ দফায়ও রেকর্ড ভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মেজাজেই শেষ হল ভূস্বর্গের নির্বাচন (Jammu & Kashmir Assembly Election)। ১ অক্টোবর ছিল শেষ দফার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই দুদফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ১০ বছর পরে বিধানসভার নির্বাচন হল জম্মু-কাশ্মীরে। এদিন নির্বাচন হয়েছে ৪০টি আসনে। আগের দুদফায় নির্বাচন হয়েছে ৫০টি আসনে।

    রেকর্ড ভোট (Jammu & Kashmir Assembly Election)

    এদিন যে ৪০টি আসনে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ২৪টি আসন রয়েছে জম্মুতে (Phase 3 Poll)। আসনগুলি রয়েছে জম্মুর চারটি জেলায়। বাকি ১৬টি আসন কাশ্মীরের দুই জেলায়। এই দফায় প্রার্থী ছিলেন ৪১৫ জন। ভোটার প্রায় ৩৯ লাখ। এদিন দুপুর তিনটে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে প্রায় ৫৬ শতাংশ। ভূস্বর্গে এবার নির্বাচন হয়েছে নির্বিঘ্নেই। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই দফায় ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয়েছিল ২৫ সেপ্টেম্বর, ভোটদানের হার ৫৭.৩ শতাংশ। মঙ্গলবারও কার্যত উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন উপত্যকাবাসী।

    কোথায় কোথায় ভোট

    এদিন উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পিপলস কনফারেন্সের প্রধান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সাজ্জাদ লোন, প্যান্থারস পার্টির সভাপতি দেব সিংহ এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধরী লাল সিংহ। এদিন ভোট হয়েছে, কাশ্মীরের কারনা, ত্রেগাম, কুপওয়াড়া, লোলাব, হান্দওয়ারা, লাঙ্গাতে, সোপোর, রাফিয়াবাদ, উরি, বারমুল্লা, গুলমার্গ, ওয়াগুরা-কৃরি, পাট্টান, সোনাওয়ারি (Jammu & Kashmir Assembly Election), বান্দিপোরা এবং গুরেজে। নির্বাচন হয়েছে জম্মুর উধমপুর পূর্ব ও পশ্চিম, চেনানি, রামনগর, বানি, বিল্লাওয়ার, বাসোলি, জাসরোতা, কাঠুয়া, হিরানগর, রামগড়, সাম্বা, বিজয়ুর, বিষ্ণা, সুচেতাগড়, আরএস পুরা, জম্মু পূর্ব ও দক্ষিণ, বাহু, নাগ্রোতা, জম্মু উত্তর ও পশ্চিম, মাড়, আখনু এবং ছাম্বে।

    আরও পড়ুন: ডাক্তারদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, রিপোর্ট গেল শাহের মন্ত্রকে

    জম্মু-কাশ্মীরে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে ন্যাশনাল কংগ্রেস, কংগ্রেস, পিডিপি এবং বিজেপি। বেশ কিছু ছোট দলও রয়েছে লড়াইয়ের ময়দানে। ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ছে কংগ্রেস। ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, উপত্যকায় উন্নয়ন যজ্ঞ এবং জম্মুতে পোক্ত সংগঠন এই জোড়া কারণে ভোট বৈতরণী অনায়াসে পার হয়ে যাবে বিজেপি। তবে ভূস্বর্গের রাশ কার হাতে যাবে, তা জানা (Phase 3 Poll) যাবে ৮ অক্টোবর, ভোটের ফল বেরনোর দিন (Jammu & Kashmir Assembly Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Electricity: প্রদীপের আলো, গ্যাসবাতি থেকে বিদ্যুৎ! কলকাতায় প্রথম আলো জ্বলে ওঠার ইতিহাস জানেন কি?

    Electricity: প্রদীপের আলো, গ্যাসবাতি থেকে বিদ্যুৎ! কলকাতায় প্রথম আলো জ্বলে ওঠার ইতিহাস জানেন কি?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বুকে তখনও আলো (Electricity) আসেনি। লোডশেডিং-এর গল্প তখনও অজানা। তখন সন্ধ্যা নামতেই সর্বত্র অন্ধকার ঘুলঘুলি। রাস্তাগুলিতে আলোর লেশমাত্র থাকত না বিকেলের পর থেকে। ঊনিশ শতক শুরুর আগে শহরের রাস্তায় কোনও পথ-বাতি ছিল না। সন্ধ্যা নামলেই দরজা বন্ধ হত গৃহস্থের। কলকাতায় তখনও আলো ছিল না, আলো থাকলেও সন্ধ্যাবেলা শুধুমাত্র গৃহস্থের বাড়িতে রেড়ির বীজের তেলে প্রদীপ জ্বলত। পরে, শহরে এল গ্যাসবাতি। তারপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, লন্ডনের পর কলকাতা শহরে জ্বলল আলো।

    মশাল ভরসা (Electricity)

    কলকাতার (Kolkata) রাস্তা জুড়ে তখন অন্ধকারের মালা। সন্ধ্যার অন্ধকার নামলেই সব যেন নিস্তব্ধ, নীরব। তা বলে কি রাতে কারোর বাইরে বেরোনোর দরকার পড়ত না? তখন উপায় কী হত! পাটকাঠির ওপর মশাল জ্বেলে নিতেন বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। সাধারণত কেউ অসুস্থ হলে বা কেউ বিপদে পড়লে প্রয়োজন পড়ত এই মশালের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকজন একসঙ্গে বের হতেন, নইলে মশাল হয়ে উঠত সন্দেহের কারণ।

    গ্যাসবাতির আলো জ্বলত কলকাতায়

    কলকাতার আগে যে শহরের রাস্তায় আলো জ্বলে (Electricity) উঠেছিল, সেটা হল লন্ডন। ১৮০৭ সালে লন্ডনের রাস্তায় প্রথম গ্যাসবাতির আলো জ্বলে। ১৮২২ সালের ২২শে মার্চ একটি বাংলা দৈনিকে প্রথম লন্ডনের রাস্তায় আলো জ্বলার খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে লেখা হয়-“ইংলণ্ড দেশে নল দ্বারা একপ্রকার কল তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বায়ু নির্গত হয়ে রাত্রিকে আলোকিত করে।” দৈনিক পত্রিকাটির খবর কলকাতা শহরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে, আলোড়নের ফলাফল পেতে সময় লেগেছিল প্রায় পঞ্চাশ বছর। ১৮৫৭ সালের জুলাই মাসে কলকাতার রাস্তায় আলো আসে। সে আলো ছিল গ্যাসবাতির আলো। শোনা যায়, কলকাতা পুরসভার মুটে সন্ধ্যা হতে না হতেই মই নিয়ে ল্যাম্পপোস্টে উঠত, তারপর ভালো করে কাপড় দিয়ে মুছে গ্যাস ভরত, তারপর দেশলাই দিয়ে আলো জ্বালাত। রাস্তার ঝলমলে দিনের গল্প শুরু তখন থেকেই। আলো জ্বালাতে ব্যবহার করা হত কয়লার গ্যাস। সেই গ্যাস আসত ওরিয়েন্টাল গ্যাস কোম্পানি থেকে। পরে, পাইপলাইনের মাধ্যমে উচ্চবিত্তের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল গ্যাসবাতি। আর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল মূলত শোভাবাজার রাজবাড়ি থেকে।

    গ্যাসবাতিকে হারিয়ে শহরে এল বিদ্যুৎ

    গ্যাসবাতির একচেটিয়া রাজত্বে হানা দেয় বৈদ্যুতিক বাতি। প্রথম বিদ্যুতের আলো (Electricity) এল ১৮৭৯ সালের ২৪ জুলাই। পি ডব্লু ফ্লিউরি অ্যান্ড কোম্পানি এ শহরে প্রথম বিদ্যুতের আলো জ্বালে। বছর দুয়েক পরে ১৮৮১ সালের ৩০ জুন গার্ডেনরিচের কটন মিলে ৩৬টি বাল্ব জ্বালায় ‘দে শীল অ্যান্ড কোম্পানি’। এ সবই চলছিল পরীক্ষামূলকভাবে। বড় পরিবর্তনটা এল আর কয়েক বছর পরে। ততদিনে টমাস আলভা এডিসনের সৌজন্যে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তখন ১৮৮৯ সাল। বৈদ্যুতিক বাতির রমরমা শুরু হয় তারপর থেকে। ১৮৯৯ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। কলকাতায় প্রথম যে রাস্তা বৈদ্যুতিক আলোর সংস্পর্শে এসেছিল, তা হল হ্যারিসন রোড বর্তমানে যা মহাত্মা গান্ধী রোড। প্রায় তিন বছর ধরে এই রাস্তায় আলো বসানোর কাজ চলেছিল। ১৮৯৫ সালে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক লাইটিং অ্যাক্ট পাশ করেছিল তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকার। তারপর বৈদ্যুতিক আলোকে আজ পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৮৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি একুশ বছরের জন্য শহরকে আলোকিত করার লাইসেন্স পেয়েছিল ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিক কোম্পানি লিমিটেডের এজেন্ট কিল্বার্ণ অ্যান্ড কোম্পানি। কোম্পানির কাজকর্ম অবশ্য চলত লন্ডন থেকেই। মধ্য কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটের কাছে ইমামবাগ লেনে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়।

    লন্ডনের মতো এই শহরে ছিল বিদ্যুতের দাম

    তখন কলকাতায় বিদ্যুতের (Electricity) দাম ছিল লন্ডনের মতোই। প্রতি ইউনিট এক টাকা। বিদ্যুত এসে কলকাতাকে অনেকটা বদলে দেয়। হাত পাখার জায়গা নেয় ইলেকট্রিক ফ্যান। ঘোড়ায় ট্রানা ট্রামের বদলে শুরু হয় বিদ্যুৎচালিত ট্রাম। কিন্তু, তখনও অনেকে বিদ্যুতের বদলে গ্যাসবাতির পক্ষে রায় দেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা শহরে বসে ঘরোয়া ভোটাভুটির আসর। গুরুসদয় রোডের নাম তখন ছিল বালিগঞ্জ স্টোর রোড। সেখানে, গ্যাসবাতি নাকি বিজলিবাতি, এ নিয়ে হয় ভোটাভুটি। তাতে বিজলিবাতি হেরে যায়। উজ্জ্বলতা এবং খরচের দিক থেকে গ্যাসবাতি অনেকের পছন্দ। কিন্তু, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ,  ততদিনে সকলে এটাও বুঝে যান, কলকাতা শহরে নতুন যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের যুগ। রবীন্দ্রনাথের কথায় “কেরোসিনের আলো পরে যখন এল তার তেজ দেখে আমরা অবাক।” ১৯৩৩ সালে সিইএসসি-র সদর দফতর কলকাতায় চলে আসে। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউস। পরবর্তীকালে, কলকাতা শহরতলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁচ্ছে যায় বিদ্যুৎ। কলকাতা শহরে গ্যাস বাতি আসার পর খুব বেশিদিন রাজত্ব করতে পারেনি। তবে, কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ আসার পর শতাধিক বছর ধরে এই শহরের রাজপথ আলোকিত করার দায়িত্ব নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 152: “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    Ramakrishna 152: “যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ
    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মোৎসব

    প্রভাতে ভক্তসঙ্গে 

    কালীবাড়িতে আজ শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) জন্মমহোৎসব—ফাল্গুন শুক্লা দ্বিতীয়া, রবিবার, ১১ই মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। আজ ঠাকুরের অন্তরঙ্গ ভক্তগণ সাক্ষাৎ তাঁহাকে লইয়া জন্মোৎসব করিবেন।

    প্রভাত হইতে ভক্তেরা একে একে আসিয়া জুটিতেছেন। সম্মুখে মা ভবতারিণীর মন্দির। মঙ্গলারতির পরই প্রভাতী রাগে নহবতখানায় মধুর তানে রোশনচৌকি বাজিতেছে। একে বসন্তকাল, বৃক্ষলতা সকলই নূতন বেশ পরিধান করিয়াছে; তাহাতে ভক্তহৃদয় ঠাকুরের জন্মদিন স্মরণ করিয়া নৃত্য করিতেছে। চতুর্দিকে আনন্দের সমীরণ বহিতেছে। মাস্টার গিয়া দেখিতেছেন; ভবনাথ, রাখাল, ভবনাথের বন্ধু কালীকৃষ্ণ বসিয়া সহাস্যে আলাপ করিতেছেন। মাস্টার পৌঁছিয়া ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—তুমি এসেছ। (ভক্তদিগকে) লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়। আজ কত আনন্দ হবে। কিন্তু যে শালারা হরিনামে মত্ত হয়ে নৃত্য-গীত করতে পারবে না, তাদের কোন কালে হবে না। ঈশ্বরের (Kathamrita) কথায় লজ্জা কি, ভয় কি? নে, এখন তোরা গা।

    ভবনাথ ও কালীকৃষ্ণ (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    ধন্য ধন্য ধন্য আজি দিন আনন্দকারী,
    সব মিলে তব সত্যধর্ম ভারতে প্রচারি।
    হৃদয়ে হৃদয়ে তোমারি ধাম, দিশি দিশি তব পুণ্য নাম;
    ভক্তজনসমাজ আজি স্তুতি করে তোমারি।
    নাহি চাহি প্রভু ধন জন মান, নাহি প্রভু অন্য কাম;
    প্রার্থনা করে তোমারে আকুল নরনারী।
    তব পদে প্রভু লইনু শরণ, কি ভয় বিপদে কি ভয় মরণ,
    অমৃতের খনি পাইনু যখন জয় জয় তোমারি।

    ঠাকুর বদ্ধাঞ্জলি হইয়া বসিয়া একমনে গান শুনিতেছেন। গান শুনিতে শুনিতে মন একেবারে ভাবরাজ্যে চলিয়া গিয়াছে। ঠাকুরের মন শুষ্ক দিয়াশলাই—একবার ঘষিলেই উদ্দীপন। প্রাকৃত লোকের মন ভিজে দিয়াশলাইয়ের ন্যায়, যত ঘষো জ্বলে না—কেন না মন বিষয়াসক্ত। ঠাকুর অনেকক্ষণ ধ্যানে নিমগ্ন। কিয়ৎক্ষণ পরে কালীকৃষ্ণ ভবনাথের কানে কানে কি বলিতেছেন।

    আগে হরিনাম না শ্রমজীবীদের শিক্ষা? 

    কালীকৃষ্ণ ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া গাত্রোত্থান করিলেন। ঠাকুর বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় যাবে?”

    ভবনাথ—আজ্ঞা (Kathamrita), একটু প্রয়োজন আছে, তাই যাবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি দরকার?

    ভবনাথ—আজ্ঞা, শ্রমজীবীদের শিক্ষালয়ে (Baranagore Workingmen’s Institute) যাবে। কালীকৃষ্ণের প্রস্থান

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ওর কপালে নাই। আজ হরিনামে কত আনন্দ হবে দেখত (Kathamrita)? ওর কপালে নাই!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 151: “অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা, ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন”

    Ramakrishna 151: “অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা, ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    অবস্থা ও অহিংসা 

    অধর (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—মহাশয়, আমার একটি জিজ্ঞাস্য (Kathamrit) আছে; বলিদান করা কি ভাল? এতে তো জীবহিংসা করা হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বিশেষ বিশেষ অবস্থায় শাস্ত্রে আছে, বলি দেওয়া যেতে পারে। ‘বিধিবাদীয়’ বলিতে দোষ নাই। যেমন অষ্টমীতে একটি পাঁঠা। কিন্তু সকল অবস্থাতে হয় না। আমার এখন এমন অবস্থা, দাঁড়িয়ে বলি দেখতে পারি না। মার প্রসাদী মাংস, এ-অবস্থায় খেতে পারি না। তাই আঙুলে করে একটু ছুঁয়ে মাথায় ফোঁটা কাটি; পাছে মা রাগ করেন।

    আবার এমন অবস্থা হয় যে, দেখি সর্বভূতে ঈশ্বর, পিঁপড়েতেও তিনি। এ-অবস্থায় হঠাৎ কোন প্রাণী মরলে এই সান্ত্বনা হয় যে, তার দেহমাত্র বিনাশ হল। আত্মার জন্ম মৃত্যু নাই।

    অধরকে উপদেশ—বেশি বিচার করো না

    বেশি বিচার করা ভাল নয়, মার পাদপদ্মে ভক্তি থাকলেই হল। বেশি বিচার করতে গেলে সব গুলিয়ে যায়। এ-দেশে পুকুরের জল উপর উপর খাও, বেশ পরিষ্কার জল পাবে। বেশি নিচে হাত দিয়ে নাড়লে জল ঘুলিয়ে যায়। তাই তাঁর কাছে ভক্তি প্রার্থনা কর। ধ্রুবর ভক্তি সকাম। রাজ্যলাভের জন্য তপস্যা করেছিলেন। প্রহ্লাদের কিন্তু নিষ্কাম অহেতুকী ভক্তি (Kathamrit)।

    ভক্ত—ঈশ্বরকে কিরূপে লাভ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ওই ভক্তির দ্বারা। তবে তাঁর কাছে জোর করতে হয়। দেখা দিবিনি, গলায় ছুরি দেব—এর নাম ভক্তির তমঃ।

    ভক্ত—ঈশ্বরকে কি দেখা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, অবশ্য দেখা যায় (Kathamrit)। নিরাকার, সাকার—দুই দেখা যায়। সাকার চিন্ময়রূপ দর্শন হয়। আবার সাকার মানুষ তাতেও তিনি প্রতক্ষ্য। অবতারকে দেখাও যা ঈশ্বরকে দেখাও তা। ঈশ্বরই যুগে যুগে মানুষরূপে অবতীর্ণ হন!

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 150: “মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া জোয়ার, ভাটা.. বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন”

    Ramakrishna 150: “মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া জোয়ার, ভাটা.. বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৯ই মার্চ

    শ্রীরামকৃষ্ণের ভক্তসঙ্গে গঙ্গায় বানদর্শন 

    ঠাকুর (Ramakrishna) এইভাবে বসিয়া আছেন, এমন সময় একজন আসিয়া সংবাদ দিল যে, বান আসিতেছে। ঠাকুর, রাখাল, মাস্টার প্রভৃতি সকলে বান দেখিবার জন্য পঞ্চবটী অভিমুখে দৌড়াইতে লাগিলেন। পঞ্চবটীমূলে আসিয়া সকলে বান দেখিতেছেন (Kathamrita) । বেলা প্রায় ১০ টা হইবে। একখানা নৌকার অবস্থা দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, দেখ, দেখ, ওই নৌকাখানার অবস্থা বা কি হয়।

    এইবার ঠাকুর পঞ্চবটীর রাস্তার উপরে মাস্টার, রাখাল প্রভৃতির সহিত বসিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারের প্রতি—আচ্ছা, বান কি রকম করে হয়?

    মাস্টার মাটিতে আঁক কাটিয়া পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, মাধ্যাকর্ষণ, জোয়ার, ভাটা; পূর্ণিমা, অমাবস্যা, গ্রহণ ইত্যাদি বুঝাইতে চেষ্টা করিতেছেন (Kathamrita) ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বাল্যকালে ও পাঠশালায়—The Yogi is beyond all finite relations of number, quantity, cause, effect

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—ওই যা! বুঝতে পারছি না; মাথা ঘুরে আসছে! টনটন করছে! আচ্ছা, এত দূরের কথা কেমন করে জানলে?

    দেখ, আমি ছেলেবেলায় চিত্র আঁকতে বেশ পারতুম, কিন্তু শুভঙ্করী আঁক ধাঁধা লাগত! গণনা অঙ্ক পারলাম না।

    এইবার ঠাকুর নিজের ঘরে ফিরিয়া আসিয়াছেন। দেওয়ালে টাঙানো যশোদার ছবি দেখিয়া বলিতেছেন, ছবি ভাল হয় নাই, ঠিক যেন মেলেনীমাসী করেছে।

    শ্রীঅধর সেনের প্রথম দর্শন ও বলির কথা 

    মধ্যাহ্ন-সেবার পর ঠাকুর একটু বিশ্রাম করিয়াছেন। অধর ও অন্যান্য ভক্তরা ক্রমে ক্রমে আসিয়া জুটিলেন। অধর সেন এই প্রথম ঠাকুরকে দর্শন (Kathamrita) করিতেছেন। অধরের বাড়ি কলিকাতা বেনেটোলায়। তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, বয়স ২৯।৩০।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “সংসার কর্মক্ষেত্র, কর্ম করতে করতে তবে জ্ঞান হয়, মনের ময়লা কেটে যায়”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gandhi Jayanti 2024: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তিতে নোবেল, জানুন গান্ধীজির অজানা কথা

    Gandhi Jayanti 2024: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তিতে নোবেল, জানুন গান্ধীজির অজানা কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচবার মনোনয়নেও পাননি শান্তি নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize)। অথচ, তাঁর নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা। আবার তিনিই পেয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের ‘ম্যান অফ দ্য ইয়ার’ শিরোপা। তিনি আর কেউ নন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাঁর অহিংসার আদর্শ এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে (Gandhi Jayanti 2024) আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসুন জেনে নিই মহাত্মা গান্ধীর জীবনের নানা জানা-অজানা কাহিনি।

    আইনজীবী হিসেবে আন্দোলন শুরু (Gandhi Jayanti 2024)

    দক্ষিণ আফ্রিকার সামন্ততান্ত্রিক দাস প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন দিয়ে নিজের রাজনৈতিক সংঘর্ষময় জীবন শুরু করেছিলেন গান্ধীজি। আইনজীবী হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের হয়ে লড়াই করে ছিলেন। এরপর ভারতে এসে পরাধীন ব্রিটিশ ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে সরব হন। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল অহিংসা। তাঁর (Gandhi Jayanti 2024) আদর্শের কথা দেশ-বিদেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা হয়ে থাকে। গোটা বিশ্বকে আন্দোলন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ভাষা হিসেবে অহিংসা দ্বারা কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, সেই ভাবনাকে ভারত থেকে বিশ্বের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্ব তাঁর মতকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণও করেছে। কিন্তু তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize) পাননি। তবে একবার-দুবার নয়, পরপর পাঁচ-পাঁচবার তাঁকে মনোনীত করা হলেও, শেষ পর্যন্ত এই সম্মান প্রাপকের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অবশ্য এই গল্প অনেকের কাছেই অজানা।

    বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা তাঁর নামে

    গুজরাটের পোরবন্দর এলাকায় ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী (Gandhi Jayanti 2024)। ভারত তথা বিশ্বের যে কোনও স্থানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার হরণ হলে অহিংসার পথে আন্দোলনে নেমেছেন তিনি। নিপীড়িত, শোষিত মানুষের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সব সময় অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। ঔপনিবেশিক পরাধীন ভারতেকে মুক্ত করতে একাধিক স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বদেশী আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, লবণ সত্তাগ্রহ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, অগাস্ট আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্রিটিশ সরকার একাধিকবার তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছিল। এমনকী পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে আমরণ অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চোখের বদলে চোখ নিলে গোটা বিশ্বটাই একদিন অন্ধ হয়ে যাবে।” তাঁর জন্মদিনকে স্মরণে রেখে ইউনাইটেড নেশনস আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। গান্ধীজির নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১টি রাস্তা। ভারতের বিভিন্ন অংশ জুড়ে ৫৩টি এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরও ৪৮টি রাস্তা রয়েছে তাঁর নামে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মহাত্মা’ উপাধি দিয়েছিলেন। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, ফোর্ড মোটরসের কর্ণধার হেনরি ফোর্ড।

    আরও পড়ুনঃ তাঁর আওয়াজই তাঁর পরিচয়! জন্মদিনে স্মরণ ‘নাইটিঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’ লতাজিকে

    নানা মহলে সমালোচনা

    তবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ছিল তাঁর, ঠিক তেমনিই দেশভাগে নেতিবাচক প্রভাবের কথাও সামালোচকরা করে থাকেন। যদিও দেশভাগের আগে নিজের শরীরকে দুই টুকরোর কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নিজের ভাবনায় স্থির থাকতে পারেননি গান্ধী (Gandhi Jayanti 2024)। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান এবং ভারত বিভাজন হয়। মুসলিম লিগের লাহোর প্রস্তাবের দ্বিজাতিতত্ত্বের ভাবনাকে শেষ পর্যন্ত পরোক্ষভাবে মান্যতা দিয়েছিলেন তিনি। সশস্ত্র বিপ্লবীদের সমর্থন করেননি। ব্রিটিশদের কাছে তাঁর আবেদনে অনেক বিপ্লবীদের ফাঁসির সাজা মুক্ত হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সদর্থক ভূমিকা নেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে, দেশভাগের পর পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে পারেননি তিনি। নেহরুর থেকে বেশি ভোট পেয়েও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারলেন না, এইসব প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। অবশেষে ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজিকে গুলি করে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। তবে বর্তমান সময়ে তাঁর অহিংসার আদর্শ একান্তভাবে প্রয়োজনীয়। তাই তাঁকে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share