Author: user

  • Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    Ramakrishna 147: “গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে, ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    অহেতুকী ভক্তি—মূলকথা—রাগানুগাভক্তি 

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    যদি রাগভক্তি হয়—অনুরাগের সহিত ভক্তি—তাহলে তিনি স্থির থাকতে পারেন না।

    ভক্তি তাঁর কিরূপ প্রিয়—খোল দিয়ে জাব যেমন গরুর প্রিয়—গবগব করে খায়।

    রাগভক্তি—শুদ্ধাভক্তি—অহেতুকী ভক্তি। যেমন প্রহ্লাদের।

    তুমি বড়লোকের কাছে কিছু চাও না—কিন্তু রোজ আস—তাকে দেখতে ভালবাস। জিজ্ঞাসা করলে বল,  ‘আজ্ঞা, দরকার কিছু নাই—আপনাকে দেখতে এসেছি।’ এর নাম অহেতুকী ভক্তি। তুমি ঈশ্বরের (Kathamrita) কাছে কিছু চাও না—কেবল ভালবাস।”

    এই বলিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) গান গাহিতেছেন:

    আমি মুক্তি দিতে কাতর নই
    শুদ্ধাভক্তি দিতে কাতর হই।
    আমার ভক্তি যেবা পায়, তারে কেবা পায়,
    সে যে সেবা পায়, হয়ে ত্রিলোকজয়ী ॥
    শুন চন্দ্রাবলী ভক্তির কথা কই।
    ভক্তির কারণে পাতাল ভবনে,
    বলির দ্বারে আমি দ্বারী হয়ে রই ॥
    শুদ্ধাভক্তি এক আছে বৃন্দাবনে,
    গোপ-গোপী বিনে অন্যে নাহি জানে।
    ভক্তির কারণে নন্দের ভবনে,
    পিতাজ্ঞানে নন্দের বাধা মাথায় বই ॥

    মূলকথা ঈশ্বরে রাগানুগা ভক্তি। আর বিবেক বৈরাগ্য।

    চৌধুরী—মহাশয়, গুরু না হলে কি হবে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সচ্চিদানন্দই গুরু।

    শবসাধন করে ইষ্টদর্শনের সময় গুরু সামনে এসে পড়েন—আর বলেন, ‘ওই দেখ্‌ তোর ইষ্ট।’—তারপর গুরু ইষ্টে লীন হয়ে যান। যিনি গুরু তিনিই ইষ্ট। গুরু খেই ধরে দেন।

    অনন্তব্রত করে। কিন্তু পূজা করে—বিষ্ণুকে। তাঁরই মধ্যে ঈশ্বরের (Kathamrita) অনন্তরূপ!”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    Ramakrishna 146: “হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি

    নির্জনে সাধন—ফিলজফি—ঈশ্বরদর্শন 

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সেই পূর্ব পরিচিত ঘরে মধ্যাহ্নে সেবার পর ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ (রবিবার, ১৪ই ফাল্গুন, কৃষ্ণা তৃতীয়া)।

    রাখাল, হরিশ, লাটু, হাজরা আজকাল ঠাকুরের পদছায়ায় সর্বদা বাস করিতেছেন। কলিকাতা হইতে রাম, কেদার, নিত্যগোপাল, মাস্টার প্রভৃতি ভক্তেরা আসিয়াছেন (Kathamrita)। আর চৌধুরী আসিয়াছেন।

    চৌধুরীর সম্প্রতি পত্নীবিয়োগ হইয়াছে। মনের শান্তির জন্য তিনি ঠাকুরকে দর্শন করিতে কয়বার আসিয়াছেন। তিনি চারটা পাশ করিয়াছেন—রাজ সরকারের কাজ করেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রাম প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—রাখাল, নরেন্দ্র, ভবনাথ এরা নিত্য সিদ্ধ—জন্ম থেকেই চৈতন্য আছে। লোকশিক্ষার জন্যই শরীরধারণ।

    আর-একথাক আছে কৃপাসিদ্ধ। হঠাৎ তাঁর কৃপা হল—অমনি দর্শন আর জ্ঞানলাভ। যেমন হাজার বছরের অন্ধকার ঘর—আলো নিয়ে গেলে একক্ষণে আলো হয়ে যায়!—একটু একটু করে হয় না

    যাঁরা সংসারে আছে তাদের সাধন করতে হয়। নির্জনে গিয়ে ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়।

    (চৌধুরীর প্রতি)—পাণ্ডিত্য দ্বারা তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আর তাঁর বিষয় কে বিচার করে বুঝবে? তাঁর পাদপদ্মে ভক্তি যাতে হয়, তাই সকলের করা উচিত।

    ভীষ্মদেবের ক্রন্দন—হার-জিত—দিব্যচক্ষু ও গীতা 

    তাঁর অনন্ত ঐশ্বর্য—কি বুঝবে? তাঁর কার্যই বা কি বুঝতে পারবে?

    ভীষ্মদেব যিনি সাক্ষাৎ অষ্টবসুর একজন বসু—তিনিই শরশয্যায় শুয়ে কাঁদতে লাগলেন। বললেন—কি আশ্চর্য! পাণ্ডবদের সঙ্গে স্বয়ং ভগবান সর্বদাই আছেন, তবু তাদের দুঃখ-বিপদের শেষ নাই! ভগবানের কার্য কে বুঝবে!

    কেউ মনে করে আমি একটু সাধন-ভজন করেছি, আমি জিতেছি। কিন্তু হার-জিত তাঁর হাতে। এখানে একজন মাগী (বেশ্যা) মরবার সময় সজ্ঞানে গঙ্গালাভ করলে।

    চৌধুরী—তাঁকে কিরূপে দর্শন (Kathamrita) করা যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এ-চক্ষে দেখা যায় না। তিনি দিব্যচক্ষু দেন, তবে দেখা যায়। অর্জুনকে বিশ্বরূপ-দর্শনের সময় ঠাকুর দিব্যচক্ষু দিছলেন।

    তোমার ফিলজফিতে (Philosophy) কেবল হিসাব কিতাব করে! কেবল বিচার করে! ওতে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: পুজোর ছুটিতে ডাক্তারবাবুরা! আগাম কাদের সতর্কতা জরুরি? কী পরামর্শ মেনে চলবেন? 

    Durga Puja 2024: পুজোর ছুটিতে ডাক্তারবাবুরা! আগাম কাদের সতর্কতা জরুরি? কী পরামর্শ মেনে চলবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েকদিন! তার পরেই ঢাকে কাঠির আওয়াজ! দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময় দেশ-বিদেশে অনেকেই ছুটি কাটাতে যান‌। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও সেই তালিকায় রয়েছেন। রোগীদের একাংশের দুশ্চিন্তা, ‘ছুটির সময়ে’ বড় বিপদ রুখবেন কীভাবে?! তবে দিন কয়েকের মোকাবিলার উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল! আসুন, দেখে নিই, কী পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা?

    ডায়াবেটিসের বিপদ রুখতে পেট খালি রাখলে চলবে না (Durga Puja 2024)

    তরুণ প্রজন্ম থেকে প্রবীণ নাগরিক, ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। সব বয়সের অধিকাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছেন! পুজোর কদিন শরীরের বাড়তি বিপদ আটকাতে তাঁদের সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময় অনেকেই অনিয়ম করেন। বিশেষ করে খাওয়া নিয়ে অনিয়ম হয় সবচেয়ে বেশি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়ায় যেন কোনও নড়চড় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওষুধের সময়ে হেরফের হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠা-নামা করতে পারে। এর জেরে শরীরে নানা রকম অস্বস্তি, এমনকী চেতনা হারানোর মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তবে, ওষুধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া জরুরি। মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফল ও সব্জি এবং পরিমিত প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখা দরকার। বাড়তি দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    হৃদরোগের বিপদ ঠেকাতে নুনের পরিমাণে রাশ

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সিরাও। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, পুজোর সময়ে যাতে কোনও ভাবেই ওষুধে অবহেলা না হয়, সেটা মনে রাখা দরকার। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। পাশপাশি খাবারে নজরদারি দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই লাগাতার চটজলদি খাবার খান। অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন এবং তেলেভাজা খাওয়ার জেরে সমস্যা হতে পারে। বিশেষত যারা কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বিভিন্ন চটজলদি খাবারে বাড়তি নুন দেওয়া থাকে। তাই সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। নুন খাওয়ার পরিমাণে রাশ  টানলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    জ্বরে ভরসা থাকুক প্যারাসিটামলে (Durga Puja 2024)

    আবহাওয়ার খামখেয়ালির জেরে পুজোর মধ্যেও‌ বাড়তে পারে জ্বর, সর্দি-কাশির দাপট। অনেকেই ভোগান্তি কমাতে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খান। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই অন্য কোনও ওষুধ খাওয়া যাবে না।

    জল এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্কতা জরুরি

    পুজোর সময়ে (Durga Puja 2024) অনেকেই সারাদিন বাইরে থাকেন (Holiday)! নানা ধরনের খাবার খাওয়ার পাশপাশি বিভিন্ন জায়গা থেকে জল খান। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি। জল পরিশ্রুত না হলে পেটের মারাত্মক সমস্যা শুরু হতে পারে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই বাইরে বেরোলে সঙ্গে পরিশ্রুত জল রাখা দরকার। বাইরে থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। না হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশপাশি খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করার মতো স্বাস্থ্যবিধির প্রাথমিক শর্ত পূরণ করা জরুরি। তাহলে নানান বড় অসুখ আটকানো সহজ হবে।

    শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হলে অবশ্যই হাসপাতাল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সব সময় চালু থাকে। তাই পুজোর সময়েও (Holiday) শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে বাড়তি ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। অনেক সময়েই বহির্বিভাগ অনিয়মিত হলেও জরুরি বিভাগের পরিষেবা চালু থাকে। তাই সমস্যা জটিল মনে হলে যে কোনও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    Durga Puja 2024: জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়লেই শুরু হত সন্ধিপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় পরম্পরার বিচারে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গও কম যায় না। এখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন পুজো, যেগুলি জমিদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। কোথাও হয়তো জাঁকজমক বা আতিশয্য কম। কিন্তু আন্তরিকতায় কেউ কম যায় না। উত্তরবঙ্গের এমনই এক জেলা হল দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলার গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে উদয় গ্রাম। বসতি থাকলেও গ্রামটি নিরিবিলি। গ্রামের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। শোনা যায়, সন্ধিপুজো শুরুর আগে জমিদার তাঁর বন্দুক থেকে শূন্যে গুলি ছুড়তেন। তার পর শুরু হত মায়ের পুজো (Durga Puja 2024)। জমিদার এখন নেই। নেই জমিদারি প্রথাও। তাই এখন আর সন্ধিপুজোর আগে শূন্যে ছোড়া গুলির শব্দও শোনা যায় না। তবে জমিদারের বংশধররা বছরের পর বছর নিয়মনিষ্ঠা ধরে রেখেছেন।

    পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু (Durga Puja 2024)

    আরও শোনা যায়, প্রজাদের মঙ্গল কামনায় জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রামে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠিত করে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মা দুর্গার আসনটি পঞ্চমুণ্ডির আসন হওয়ায় এক সময় মহিষ বলি দেওয়া হত। পুজোর পাঁচদিন পাত পেড়ে প্রজাদের খাওয়ানো হত। দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হত নতুন বস্ত্র। পুজোমণ্ডপ চত্বরে বসত যাত্রাগান ও মঙ্গলচণ্ডী গানের আসর। বসত মেলাও। জমিদারের পুজো ঘিরে কয়েকটা দিন উদয় গ্রাম জমজমাট থাকত (Sandhipujo)। তবে এখনও জমিদারের পুজোয় ১০৮টি বেলপাতা দিয়ে যজ্ঞ হয়। জমিদার হৃষিকেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ার পর পুজোর দায়িত্বভার একে একে কাঁধে তুলে নেন তাঁর বংশধররা। এবারে পুজোর (Durga Puja 2024) দায়িত্বে রয়েছেন জমিদারের অষ্ঠম পুরুষ স্বপন শর্মা রায়, বাবুন শর্মা রায়, দেবাশিস শর্মা রায় ও সমীর শর্মা রায়রা।

    পুজোর চারদিন সারাক্ষণ যজ্ঞের আগুন জ্বলে

    এবিষয়ে জমিদার বাড়ির বংশধররা বলেন, পুজোর (Durga Puja 2024) পুরনো রীতি আমরা এখনও ধরে রেখেছি। পুজোর চারদিন সারাক্ষণ আমাদের যজ্ঞের আগুন জ্বলে। বাবুন শর্মা রায় বলেন, ‘বাপঠাকুরদার মুখে শুনেছি আমাদের এই পুজো বহু পুরনো। তাঁর স্মৃতি হিসেবে বলি দেওয়ার খড়্গ, কাঁসার বাসনপত্র সহ বেশ কিছু জিনিস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lung infections: বর্ষায় বাড়ছে সংক্রমণ! রান্নাঘরের কোন পাঁচ উপাদানে সহজেই সুস্থ থাকবে ফুসফুস? 

    Lung infections: বর্ষায় বাড়ছে সংক্রমণ! রান্নাঘরের কোন পাঁচ উপাদানে সহজেই সুস্থ থাকবে ফুসফুস? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    একটানা বৃষ্টিতে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। স্কুল যাতায়াতে কিংবা বাজার করতে গেলেও ভিজতে হচ্ছে! মামুলি সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ফুসফুসের জটিল অসুখ। অনেকেই ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণে ভুগছেন। বিশেষত শিশু ও বয়স্করা ফুসফুসের সংক্রমণে (Lung infections) নাজেহাল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে কলকাতা সহ দেশের একাধিক শহরের বাসিন্দারা ফুসফুসের রোগে কাবু। ক্রনিক পালমোনারি ডিজিজ-এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশপাশি খুব কম বয়স থেকেই অনেকে হাঁপানির সমস্যায় ভুগছে। এছাড়াও ফুসফুসের নানান অসুখের জেরে কাশি, জ্বর এমনকী শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, কিছু ঘরোয়া উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করলেই ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো‌ যাবে। বাড়ির রান্নাঘরের সেই উপাদান শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের জন্যই উপকারী। এবার দেখে নেওয়া যাক, রান্নাঘরের কোন উপাদান ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে?

    হলুদ (Lung infections)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ প্রায় প্রত্যেক রান্নাঘরেই থাকে। নিয়মিত রান্নায় হলুদের ব্যবহার করলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে গরম ভাতের সঙ্গে অন্তত এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে কাজ আরও ভালো হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়াও হলুদে থাকে কারকিউমিন উপাদান। এই উপাদান ফুসফুসের ক্যান্সার রুখতেও বিশেষ সাহায্য করে‌।

    রসুন

    খালি পেটে এক কোয়া রসুন ফুসফুসের সংক্রমণ (Lung infections) রুখতে বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার শুরুতেই প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খাওয়ায় অভ্যস্থ হলে ফুসফুসের অসুখ সহজে‌ মোকাবিলা করা সম্ভব।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, রসুনে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই নিয়মিত রসুন খেলে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে।

    গোলমরিচ (Lung infections)

    বর্ষায় ফুসফুসের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে গোলমরিচ বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, দিনে অন্তত যে কোনও একটি রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার করলে ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকানো‌ সহজ হবে‌‌। গোলমরিচ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই গোলমরিচ সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করবে।

    আদা

    ফুসফুসের সংক্রমণ (Lung infections) রুখতে আদা খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় প্রবীণরা চায়ে আদা দিয়ে খেতে পারেন। আবার শিশুদের আদার ছোট্ট টুকরো খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। আদা হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। তাই আদাকে ফুসফুসের রক্ষাকবচ বলা হয়। নিয়মিত আদা খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

    আখরোট

    সকালে খালি পেটে আখরোট (Kitchen  Ingredients) খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। এই অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। বিশেষত ফুসফুস সুস্থ রাখতে আখরোট বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আখরোট ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি।‌ তাই মস্তিষ্কের পাশপাশি ফুসফুসের জন্য ও আখরোট বিশেষ উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 27 September 2024: পড়াশোনার ব্যাপারে ভালো সুযোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 September 2024: পড়াশোনার ব্যাপারে ভালো সুযোগ আসতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ধর্মালোচনায় মন দিতে পারলে শান্তি পাবেন।

    ২) প্রতিবেশীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) পড়াশোনার ব্যাপারে ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যার সম্ভাবনা।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ২) সন্তানদের নিয়ে একটু চিন্তা থাকবে। 

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) বাড়তি ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুচক্রে পড়ে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “১০০ দিনের কাজ আদৌ চালু আছে?”, সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “১০০ দিনের কাজ আদৌ চালু আছে?”, সাতদিনের মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি ইস্যুতে বার বার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত হয়েছে রাজ্যের। এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত আর্থিক দুর্নীতির কারণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বার বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই আবহের মধ্যে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ আদৌ হচ্ছে কি না, এ বার রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানিয়ে দিল, ওই প্রকল্পে উঠে আসা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান হয়েছে। ওই প্রকল্পের কাজ যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই প্রকল্প ঘিরে নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ যেন বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এ জন্য রাজ্যকে সাত দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী জানান, প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বন্দ্বের ফলাফল হিসেবে প্রায় দু’বছরের কাছাকাছি কাজ বন্ধ রয়েছে। এর পরেই রাজ্যের থেকে কাজের খতিয়ান চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে, ১০০ দিনের কাজ চলছে কি না।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    দুর্নীতি নিয়ে কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    ১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) কেন্দ্রীয় অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের মনরেগা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। ভুয়ো জব কার্ড, মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড, অসত্য তথ্য দিয়ে জব কার্ড তৈরি করে কেন্দ্রের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গ্রামে বসবাস করেন না এমন ব্যক্তিদের নামেও জবকার্ড তৈরি করে দুর্নীতি করা হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ভুয়ো জবকার্ডের টাকা তোলার জন্য প্রচুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অপব্যবহার করা হয়েছে। ওই দুর্নীতির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়া হোক। এর পরেই ভুয়ো কার্ড শনাক্ত করতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৌম্য মজুমদার, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, সূর্যনীল দাস। প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাদের অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে গত বছর মার্চ মাসে প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতিও। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জেরে কাজের পরও শ্রমিকরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না বলে মামলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: শুক্রবার ডাক্তারদের গণ কনভেনশন, আমন্ত্রিত বিশিষ্টরা, তৈরি হবে আগামী আন্দোলনের রূপরেখা

    RG Kar: শুক্রবার ডাক্তারদের গণ কনভেনশন, আমন্ত্রিত বিশিষ্টরা, তৈরি হবে আগামী আন্দোলনের রূপরেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের বিচার, ডাক্তারদের নিরাপত্তা সহ আন্দোলনের আগামী পরিকল্পনা ঠিক করতে, শুক্রবার একটি গণ কনভেনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (WBJDF)। জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামেই এই কর্মসূচি আয়োজিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকাল ৪টে থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গণ কনভেনশনের আলোচ্যসূচি কী কী হবে, তা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরে ফেলেছেন ডাক্তাররা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মারফত জানা গিয়েছে, আগামী দিনের কর্মসূচি স্থির করার পাশাপাশি হাসপাতালে হাসপাতালে থ্রেট কালচার নিয়েও কথা হবে শুক্রবারের কর্মসূচিতে। ইতিমধ্যে আন্দোলনের গুঁতোয় মমতা সরকারের তরফে পাওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি কতটা কার্যকর হয়েছে, তাও দেখবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আন্দোলনে (RG Kar) বাধা দেওয়া নিয়েও আলোচনা

    প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের (WBJDF) আন্দোলনে প্রথম থেকেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। অগাস্ট মাসে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরেই হামলা চালানো হয় আরজি করে। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বারবার বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে, সে বিষয়টিও উঠে আসতে পারে আলোচনায়। প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতার একটি মলে কর্মসূচি করার কথা ছিল এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar)। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কারণ দেখিয়ে তাঁদের সেই কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, জুনিয়র ডাক্তারেরা দাবি করেছেন, তাঁদের বলা হয়েছে, “আপনাদের প্রতিবাদ তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তা হলে এখনও কেন এই সব ভিত্তিহীন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন?”

    ২৩টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকেই প্রতিনিধিরা থাকবেন

    জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২৩টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চ ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা থাকবেন এই কনভেনশনে। পাশাপাশি যে সমস্ত বিশিষ্টজনেরা শুরু থেকে আন্দোলনের পাশে থেকেছেন, তাঁদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নাগরিক সমাজের ‘সমমনস্ক’ মানুষদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তারকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে  ২৫-৩০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder: ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, তিলজলাকাণ্ডে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

    Tiljala Murder: ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন, তিলজলাকাণ্ডে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলজলায় (Tiljala Murder) সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুন করার ঘটনায়, দেড় বছর আগে উত্তাল হয়েছিল বাংলা। নৃশংস এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। মামলার শুনানি চলাকালীন মোট ৪৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত (Alipore court)। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ তিলজলায় এই ঘটনা ঘটেছিল। ওই দিন সকালেই শিশুটি একতলায় ময়লা ফেলতে নেমেছিল। তার পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে ওই আবাসনের তিনতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে বস্তায় শিশুটির দেহ রাখা ছিল।

    কী বলল আদালত (Tiljala Murder)?

    তদন্তে উঠে আসে, নিজের যৌন লালসার জন্য জোর করে অভিযুক্ত ঘরে ঢোকায় শিশুটিকে। দেওয়ালে মাথা ঠুকে, দু’ ধরনের হাতুড়ি ব্যবহার করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। অভিযুক্তের উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘‘আপনি নিষ্ঠুরতম কাজ করেছেন, নিজের বিকৃত লালসা মিটিয়েছেন। আপনি একজন ডেলিভারি বয়। আপনারা গায়ে অনেক শক্তি। আপনি এক অসহায় বাচ্চার সঙ্গে যা করেছেন, তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই। আপনি অমানবিক, নিষ্ঠুর কাজ করেছেন, এই ধরনের অপরাধ খুব একটা দেখা যায় না। আপনারা উদ্দেশ্য ছিল, অপরাধ করে পালিয়ে যাওয়া। আপনাকে সংশোধনাগারে পাঠিয়ে সংশোধন করা যাবে না। এই অপরাধ (Tiljala Murder) বিরল নয়, বিরলতম, সাংঘাতিক ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড।’’

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী

    সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ মাইতি বলেন, ‘‘বড়দের কারও সঙ্গে নির্যাতনের (Tiljala Murder) ঘটনা ঘটলে অনেকে তাঁর পোশাক বা চরিত্রের দিকে আঙুল তোলেন। এটা তো সাত বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে! তার খেলা করার বয়স। তাকে এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুখ চেপে ওকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটির বাঁচার অদম্য ইচ্ছা ছিল। সে আসামির হাতে কামড়ে দিয়েছিল। পালানোর জন্য ছটফট করেছিল। কিন্তু অত বড় মানুষের সঙ্গে সে পেরে ওঠেনি। তাই এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: পুজোয় মানুষ কি রাস্তায় বেরোবে না? পুলিশ কমিশনারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, মামলা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: পুজোয় মানুষ কি রাস্তায় বেরোবে না? পুলিশ কমিশনারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো শুরুর দুসপ্তাহ আগে কলকাতা পুলিশের নির্দেশ জারি করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না। আরজি কর নিয়ে চলা আন্দোলনে (Agitation) লাগাম টানতেই কি পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোড়া মামলা দায়ের হল।

    কী নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ? (Calcutta High Court)

    কলকাতা পুলিশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। বউবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় জমায়েত বা মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। যে এলাকাগুলিতে পাঁচজনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে কি পুজোর সময় মানুষ যেতে পারবে না? বিভিন্ন মহলের তরফে এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিপিএম। কারণ ধর্মতলাতেই তাদের মিছিল করার কথা। পুলিশি অনুমতি না মেলায় তারা হাইকোর্টে গেল। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে! এর পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আবেদন জানা হয়েছিল পুলিশের কাছে। সেই কর্মসূচিও হওয়ার কথা শুক্রবার। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তারাও আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলার শুনানিও হতে চলেছে শুক্রবার।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে পর পর বন্ধ হচ্ছে জুটমিল! কর্মহীন কয়েক হাজার, হেলদোল নেই মমতা-সরকারের

    কলকাতা পুলিশের সাফাই

    কলকাতা পুলিশ হঠাৎ শহরের একাংশে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে সাফাই দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর এসেছে। সেই কারণে ধর্মতলা চত্বরের ওই এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্ট করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কারও হাতে লাঠি বা এই ধরনের কোনও ‘অস্ত্র’ দেখতে পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী বললেন?

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) আইনজীবী শামীম আহমেদ বলেন, “যে এলাকার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এই বিধিনিষেধ জারি করেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পুজো হয়। আসলে আরজি কর নিয়ে পুজোর সময় যদি আবার মানুষ পথে নামে, তা আটকাতেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার দুর্গাপুজো যে অন্যরকম হতে চলেছে, তা বলতে বাধা নেই। বিভিন্ন মণ্ডপে আরজি কর ইস্যুতে স্লোগান উঠতে পারে এমন সম্ভাবনা আছে। আবার কোথাও কোনও কর্মসূচিও হতে পারে পুজোর মধ্যে। এই সব নিয়ে পুলিশ যে প্রস্তুত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছেন নগরপাল। পুজোর মধ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই কারণেই এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে বলে মত অনেকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share