Author: user

  • Durga Puja 2024: স্বপ্নাদেশে স্থান বদল গণেশ ও কার্তিকের, লুচি-মিষ্টি-ফল দিয়েই পাঁচদিনের পুজো!

    Durga Puja 2024: স্বপ্নাদেশে স্থান বদল গণেশ ও কার্তিকের, লুচি-মিষ্টি-ফল দিয়েই পাঁচদিনের পুজো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট শহরের আর দশটা পুজোর থেকে একটু আলাদা সাহা বাড়ির পুজো। এবার ১৮৬তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো (Durga Puja 2024)। সেই জমিদারি থাকাকালীন শুরু হয়েছিল এই দুর্গাপুজো। তারপর থেকেই পুজো হয়ে আসছে, বংশধররা সেই ধারা বজায় রেখেছেন এখনও পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই প্রচুর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে সাহা বাড়িতে। বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার জামির্তা গ্রাম থেকে নৌকাযোগে কোনও এক সময় সাহা পরিবার এসেছিল বালুরঘাটে ব্যবসার জন্য। তারপর এখানেই পরিবারের একটা অংশ থেকে গিয়েছে। ক্রমেই তাদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি হয়েছিল। এমনকী কথিত আছে, কিছুটা অংশের জমিদারিও লাভ করেন পরিবারের বংশধরেরা। তারপর ১৮৬ বছর আগে শুরু হয় দুর্গাপুজো। ক্রমেই তা সাহা পরিবারের সকলের পুজো হয়ে ওঠে।

    প্রচুর মানুষ আজও ভিড় জমান (Durga Puja 2024)

    দেশ ভাগ হওয়ার পরেও বাংলাদেশ থেকে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা এসেছেন বেশ কয়েকবার। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সাহা পরিবার কার্যত মিলন মেলায় পরিণত হত। সময় বদলেছে, চলে গিয়েছে জমিদারি, কিন্তু বদলায়নি পুজোর রীতি-রেওয়াজ। স্বপ্নাদেশে গণেশ ও কার্তিকের (Ganesh and Kartik) স্থান বদল হয়েছে। দুর্গা প্রতিমা অর্থাৎ দেবীর ডানদিকে থাকবেন কার্তিক, বাঁদিকে থাকবেন গণেশ। সাহা বাড়ির পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব, এখানে কোনও অন্নভোগ হয় না। লুচি-মিষ্টি এবং ফল দিয়েই দেবীর পাঁচদিনের পুজো হয়। জমিদারি যখন ছিল, তখন শাহ বাড়িতে প্রায় প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ প্রসাদ পেতেন। এখন জমিদারি নেই, আর্থিক সচ্ছলতাও কমেছে। পুরনো বাড়িতে এখন শুধুই শূন্যতা। দুর্গামণ্ডপ বহু পুরনো। আগে পুজোর কদিন প্রায় প্রতিদিনই গান-বাজনার আসর বসত। বাইরে থেকে আসতেন শিল্পীরা। এখন এসবও অতীত। নিয়ম মেনে দেবীর পুজো হয়। ব্যতিক্রমী এই পুজো দেখতে এবং প্রতিমা দর্শন করতে প্রচুর মানুষ আজও ভিড় জমান সাহা বাড়ির দুর্গা দালানে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন এই পাঁচদিনের দুর্গা উৎসবের জন্য।

    কী জানালেন পুজোর উদ্যোক্তারা?

    এই বিষয়ে পুজোর উদ্যোক্তা কালীকৃষ্ণ সাহা চৌধুরী বলেন, আমাদের এবারের দুর্গা পুজো ১৮৬তম বছরে পড়ল (Durga Puja 2024)। আমাদের এই পুজোর উল্লেখযোগ্য বিষয় হল স্বপ্নাদেশে গণেশ ও কার্তিকের স্থান বদল হয়েছে। দুর্গা প্রতিমার অর্থাৎ দেবীর ডানদিকে থাকে কার্তিক, বাঁদিকে থাকে গণেশ এবং আমাদের এই পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব, এখানে কোনও অন্নভোগ  হয় না। লুচি-মিষ্টি এবং ফল দিয়েই দেবীর পাঁচদিনের পুজো হয়। তিনি আরও বলেন, এই পুজোতে নবমীর দিন যজ্ঞ করা হয়। তবে কোনও বলি হয় না। আর দশমীর দিন শ্যাপলা ফুল ও ভ্যাটের খৈ দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Coconuts: চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    Coconuts: চিংড়ির মালাইকারি কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, শরীরে নারকেলের প্রভাব কম নয়!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দুপুরে ভাতের সঙ্গে চিংড়ির মালাইকারি হোক কিংবা সন্ধ্যার মশলামুড়ি, নারকেল (Coconuts) বাঙালি নানান পদে ব্যবহার করে। উৎসবের মরশুমে নারকেলের নাড়ু থেকে রোজকার সাধারণ রান্নাতেও অনেকে নারকেল ব্যবহার করেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নারকেল খেলে শরীরে এর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই নারকেল কেন খাবেন, সে নিয়ে সচেতনতা থাকা জরুরি। তাহলে আসুন, দেখে নিই, নারকেল খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?

    হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে (Coconuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে মনে রাখতে হবে, নারকেল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, নারকেলের তেলে কিন্তু নয়। কারণ, নারকেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিডের এক মিশ্রণ, যার নাম লরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড রক্তে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

    স্থূলতার সমস্যা 

    নারকেল বাড়তি ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেলে (Coconuts) রয়েছে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড। এর জেরে হজম ভালো হয়। পাশপাশি ক্যালোরি বার্ন হতেও নারকেল সাহায্য করে। তাই স্থূলতা রুখতে নারকেল বিশেষ সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ (Coconuts)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নারকেল খুব সাহায্য করে। বিশেষত টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নারকেল কার্যকর। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ডায়াবেটিস আক্রান্তের ডায়েটে নারকেল রাখা উচিত।

    নারকেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, নারকেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পাশপাশি নারকেলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই যে কোনও সংক্রমক রোগ রুখতে নারকেল (Coconuts) শরীরকে শক্তি জোগায়।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে

    সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে (Nutritional Benefits) নারকেল বিশেষ সাহায্য করে। ওই গবেষণায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নারকেলে থাকে মিডিয়ায় চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড। এর জেরেই মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। তাই অ্যালজাইমারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমে।

    ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, নারকেলে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, দূষণ সহ একাধিক কারণে অধিকাংশ মানুষ ত্বক এবং চুলের নানান সমস্যায় ভোগেন। নারকেল তাদের জন্য বাড়তি উপকারী (Nutritional Benefits)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি, সুকান্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

    Sukanta Majumdar: ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি, সুকান্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছে বিজেপি। আরজি করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও অভিযান কর্মসূচি ছিল। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাটে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জেলা প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে।

    মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে এদিন বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের বাধা দেয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে যায়। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তাতে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভাও হয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলে আমাদের পুলিশ আটকে দেয়। আমাদের কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছে। কর্মীদের না আটকালে আরও বড় গন্ডগোলে পরিণত হত। আমরা কোনও গন্ডগোল চাই না। গোটা রাজ্য জুড়ে আরজি কর শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সব জায়গায় মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে। আমরা বংশীহারীর ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে এই বিক্ষোভ করলাম।”

    বিধানসভায় আনা বিল নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    বিধানসভায় ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুর বিল নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই বিল লোক দেখানো বিল। আমরা এই বিল সমর্থন করেছি। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খোলার জন্য। একইসঙ্গে আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান সুকান্ত। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবা মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

    প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলেও দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। সেই অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান, ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত

    CBI: সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান, ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ৮ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মঙ্গলবার সন্দীপকে আদালতে পেশ করে ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত শেষ পর্যন্ত ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান (CBI)

    মঙ্গলবার দুপুরে গাড়িতে চাপিয়ে সন্দীপকে নিজ়াম প্যালেসে সিবিআই (CBI) দফতর থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েকজন। সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ধরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সেসব কাটিয়েই সন্দীপকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। আদালত চত্বরেও সন্দীপের গাড়ি ঘিরে হট্টগোল শুরু হয়। সোমবার সন্দীপের সঙ্গে সিবিআই গ্রেফতার করে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা বিপ্লব সিংহ এবং একটি ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরাকে। গ্রেফতার করা হয় সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলিকে।

    মঙ্গলবার এই তিনজনকেও আদালতে হাজির করায় সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের দাবি ছিল, আর্থিক দুর্নীতির একটি বড় চক্র রয়েছে। কারা এই চক্রে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সিবিআইয়ের তরফে বলা হয় তারা সন্দীপ ঘোষকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চান। কারণ তাঁকে জেরা করলে অনেক গোপন তথ্য উঠে আসবে। অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ৪ জনকে যদি জেরা করা যায় তাহলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। আরও অনেককে গ্রেফতার করা যাবে। কারণ অপরাধের পরিধি অনেকটাই বড়।  সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) আইনজীবী জানান, সবসময় তারা সিবিআইকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন। প্রত্যেক দিনই সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে যেতেন। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবেন। ওই সওয়াল জবাব শোনার পর সন্দীপ ঘোষ ও বাকি ৩ জনকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সন্দীপ

    টানা ১৫ দিন সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হন সন্দীপ। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানানো হয়, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ। সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার। পাশাপাশি আরজি করের মর্গে পড়ে থাকা শনাক্ত হয়নি এমন দেহ পাচারের অভিযোগও রয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kangana Ranaut: জট কাটেনি, ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে না কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’

    Kangana Ranaut: জট কাটেনি, ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে না কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থগিত হয়ে গেল কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-র মু্ক্তি। ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। এই ছবির মুক্তির দিনই পিছিয়ে যাচ্ছে। কারও কারও মতে, দিন দশেক পরে মুক্তি (CBFC) পাবে ছবিটি। অনেকেই আবার বলছেন, এত সহজে সব কিছু মিটতে নাও পারে। সেক্ষেত্রে, ঠিক কবে ইন্দিরা গান্ধীর জীবনী অবলম্বনে তৈরি এই ছবি মুক্তি পাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কঙ্গনার দাবি (Kangana Ranaut)

    ছবিটি পরিচালনা করেছেন কঙ্গনা স্বয়ং। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি। কথা ছিল, ৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। সেটা যে হচ্ছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। একটি ভিডিও ট্যুইট করে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন এই ছবির প্রদর্শন স্থগিত রেখেছে। পদ্ম সাংসদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র মিললেও, হুমকির কারণে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড। সেন্সর বোর্ড সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

    তথ্য বিকৃতির অভিযোগ 

    এর আগে ছবিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলেছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। কঙ্গনা অভিযোগ করেছিলেন, কোনও কোনও সংগঠনের তরফে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শিরোমণি অকালি দল সেন্সর বোর্ডের কাছে ছবিটি যাতে মুক্তি না পায়, সেই আবেদন জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। জব্বলপুরের একটি শিখ সংগঠনের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে। এই মামলার শুনানি হবে সোমবার।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিলকে আইনে রূপান্তর করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীরই’’, বিধানসভায় কৌশলী শুভেন্দু

    তারকা-রাজনীতিকের দাবি, ছবির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুছে ফেলার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, অর্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে বা পঞ্জাব দাঙার প্রসঙ্গও। এহেন আবহে তিনি যে খুবই আশাহত, ভিডিওবার্তায় তা জানিয়েছেন পদ্ম সাংসদ।

    প্রসঙ্গত, এটি কঙ্গনা পরিচালিত প্রথম ছবি। তিনি আগেই বলেছিলেন, “ছবিটিকে বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ হতেও আমি রাজি। ইন্দিরা গান্ধীর জীবনকে পর্দায় তুলে ধরতে গিয়ে (CBFC) যদি পঞ্জাব রায়টই না দেখাতে পারি, তাহলে তো ওর জীবনটাই অধরা থেকে যাবে (Kangana Ranaut)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 122: “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    Ramakrishna 122: “বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
    অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্‌।
       (গীতা—৯।৩৩)

    জীব চার থাক—বদ্ধজীবের লক্ষণ কামিনী-কাঞ্চন (Ramakrishna)

    উট কাঁটা ঘাস বড় ভালবাসে। কিন্তু যত খায় মুখ দিয়ে রক্ত দরদর করে পড়ে; তবুও সেই কাঁটা ঘাসই খাবে, ছাড়বে না। সংসারী লোক এত শোক-তাপ পায়, তবু কিছুদিনের পর যেমন তেমনি। স্ত্রী মরে গেল, কি অসতী হল, তবু আবার বিয়ে করবে। ছেলে মরে গেল কত শোক পেলে, কিছুদিন পরেই সব ভুলে (Kathamrita) গেল। সেই ছেলের মা, যে শোকে অধীর হয়েছিল, আবার কিছুদিন পরে চুল বাঁধল, গয়না পরল! এরকম লোক মেয়ের বিয়েতে সর্বস্বান্ত হয়, আবার বছরে বছরে তাদের মেয়ে ছেলেও হয়! মোকদ্দমা করে সর্বস্বান্ত হয়, আবার মোকদ্দমা করে! যা ছেলে হয়েছে তাদেরই খাওয়াতে পারে না, পরাতে পারে না, ভাল ঘরে রাখতে পারে না, আবার বছরে বছরে ছেলে হয়!

    আবার কখনও কখনও যেন সাপে ছুঁচো গেলা হয়। গিলতেও পারে না, আবার উগরাতেও পারে না। বদ্ধজীব হয়তো বুঝেছে যে, সংসারে কিছুই সার নাই; আমড়ার কেবল আঁটি আর চামড়া। তবু ছাড়তে পারে না। তবুও ঈশ্বরের (Ramakrishna) দিকে মন দিতে পারে না!

    কেশব সেনের একজন আত্মীয় পঞ্চাশ বছর বয়স, দেখি, তাস খেলছে। যেন ঈশ্বরের (Ramakrishna) নাম করবার সময় হয় নাই!

    বদ্ধজীবের আর-একটি লক্ষণ (Kathamrita): তাকে যদি সংসার থেকে সরিয়ে ভাল জায়গায় রাখা যায়, তাহলে হেদিয়ে হেদিয়ে মারা যাবে। বিষ্ঠার পোকা বিষ্ঠাতেই বেশ আনন্দ। ওইতেই বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়। যদি সেই পোকাকে ভাতের হাঁড়িতে রাখ, মরে যাবে।” (সকলে স্তব্ধ)

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    আরও পড়ুনঃ “বদ্ধজীবের—সংসারী জীবের—কোন মতে হুঁশ আর হয় না, এত দুঃখ, তবুও চৈতন্য হয় না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 04 September 2024: কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 September 2024: কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: লক্ষ্য ১০ কোটি, দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

    Narendra Modi: লক্ষ্য ১০ কোটি, দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে বিজেপির (BJP) সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে বলেন, “এই সদস্য অভিযানের লক্ষ্য মাত্রা হবে ১০ কোটি।” উল্লেখ্য, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ঠিক এই আবহের মধ্যেই শুরু হল সদস্য গ্রহণ অভিযান। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, লোকসভার পর এই অভিযানে সংগঠন শক্তিশালী হবে এবং আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।   

    দলকে আরও শক্তিশালী করতে সদস্য গ্রহণ (BJP)

    প্রায় তিন বছর পর দিল্লিতে ফের সদস্য গ্রহণ পর্ব শুরু করলেন মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিজেপি সদর দফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির সূচনা হয়। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার থেকে নিজের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিনের এই কর্মকাণ্ডে ছিলেন দলের দুই প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি লোকসভার পর দলের (BJP) সাংগঠনিক শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করতে এই অভিযান নেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযান অনলাইনের মাধ্যমে যেমন হবে, তেমনি প্রত্যেক শহর ও গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের কাছে পৌঁছে গিয়ে কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান করা হবে। একই ভাবে দেশের তরুণ-যুব সম্প্রদায়কে যুক্ত করার জন্য বিশেষ ভাবে আবেদন করা হয়েছে। দলের ইতিহাসকে তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, “১৯৮০ থেকে বিজেপি দেশ জুড়ে কাজ করে চলেছে। দলের সদস্যপদ গ্রহণ এবং প্রচারকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে প্রধানমন্ত্রী মোদির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছে।”

    নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে সদস্য গ্রহণের পর

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রচারাভিযানে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির মনোযোগ নিছক সরকার গঠন নয়। দেশ-রাষ্ট্রকে বিকশিত করতে সমাজকে গড়া একান্ত প্রয়োজন। উন্নত ভারত, বিকশিত ভারত হল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আগামী দিনে আমরা সেই কাজে বদ্ধ পরিকর।” জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে তিন সপ্তাহ আগেই। এই বছরেই মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ এবং নাড্ডা আশা করে বলেছেন, এবার দেশ জুড়ে ১০ কোটির বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য গত জুন মাসে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে জেপি নাড্ডার। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক রাজ্যে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। তবে সবটাই সদস্য (BJP) গ্রহণের পর সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    কীভাবে সদস্য পদ গ্রহণ করবেন?

    নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে সদস্য পদ (BJP) গ্রহণ করতে পারেন—

    ১>যোগ্যতা: যে কেউ বিজেপির সদস্য হতে পারেন।

    ২>মিসড কলের মাধ্যমে যোগ দিন: শুধু ৮৮০০০০২০২৪ নম্বরে একটি মিসড কল দিন। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi), রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহের মতো নেতারা যোগ দিয়েছেন।

    ৩>অনলাইন তালিকাভুক্তি: আপনি বিজেপি পোর্টালের মাধ্যমেও যোগ দিতে পারেন। ‘বিজেপিতে যোগ দিন’ বিভাগে যান, আপনার ব্যক্তিগত এবং যোগাযোগের বিবরণ পূরণ করুন এবং আপনার সদস্যতা শংসাপত্র ডাউনলোড করুন।

    ৪>বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথিভুক্তি: বিজেপি কর্মীরা সদস্যপদ নিবন্ধনে সহায়তা করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখবেন।

    ৫>কর্মীদের মাধ্যমে সহায়তা: আপনি বিজেপি কর্মীদের সাহায্যেও নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

    ৬>কোনও খরচ নেই: মিসড কলের মাধ্যমে সদস্যপদ বিনামূল্যে নিতে পারেন।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীর হাতে তৈরি হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র দুর্গাপ্রতিমা, পুজোর আগে ব্যস্ততা চরমে 

    Durga Puja 2024: শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীর হাতে তৈরি হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র দুর্গাপ্রতিমা, পুজোর আগে ব্যস্ততা চরমে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। এখন থেকেই প্রহর গোনা শুরু করেছে বাঙালি। দেবী দুর্গার পুজোর জন্য চলছে মণ্ডপ এবং প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। তাই এখন নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই পটুয়াপাড়ার শিল্পীদের। তাঁরা ব্যস্ত ঠাকুর তৈরিতে। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর মৃৎশিল্পের জন্যও বিখ্যাত। তাই এখানকার তৈরি ছোট দুর্গা এখন পাড়ি দিচ্ছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গার কুমোরটুলির উদ্দেশে। গাড়ি করে তৈরি হওয়া ছোট দুর্গা দিচ্ছে পাড়ি। শান্তিপুরের ছোট দুর্গা প্রতিমার উচ্চতাও দেখার মতো। এক ফুট থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিমার উচ্চতা। সর্বাধিক ৪ ফুট পর্যন্ত তৈরি হয়েছে এই ছোট দুর্গা। এখন কাগজের পেটিতে বিচালি দিয়ে বিশেষ ভাবে প্যাকেট করে পাঠানো হচ্ছে এই ছোট ছোট দুর্গাপ্রতিমা। সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁর সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশও।

    বরাত আসে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে (Durga Puja 2024)

    এই বিষয়ে শান্তিপুরের ছোট দুর্গা প্রস্তুতকারী মৃৎশিল্পী গৌর পাল জানাচ্ছেন, এই দুর্গা মূর্তি তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে তৈরি করছেন। এই প্রতিমা তৈরির বরাত আসে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। এই প্রতিমার চাহিদা ব্যাপক কলকাতায়। দামেও কম বলে গৃহস্থ পরিবারের সদস্যরাও বেশি পছন্দ করেন এই প্রতিমা। ৩ মাস আগে থেকে এই প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পী গৌরবাবু। তবে করোনা আবহের পর এই প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে। এখন এই প্রতিমা তৈরি করে অনেকটাই স্বাছন্দ ফিরেছে পরিবারে, এমনটাই বললেন গৌরবাবু। তবে সরকারের কাছেও বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন গৌরবাবু। তিনি বলছেন, রাজ্য সরকার যদি একটু সাহায্য করে, তাহলে শান্তিপুরের এই মৃৎশিল্পের আরও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঝুঁকছে না নব প্রজন্ম

    তিনি এও বলেন, এখন নতুন করে এই মৃৎশিল্পের কাজে ঝুঁকছে না নব প্রজন্ম। কারণ একটাই, অতি ধৈর্যের কাজ বলে। এক একটি প্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরি করা যেমন সময় সাপেক্ষ, তেমনি নিপুণ ক্ষুদ্র কাজ করতে হয়। সেই কারণে এই কাজের প্রতি আর নতুন করে ঝোঁক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আন্দোলনে (RG Kar) উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় স্কুলপড়ুয়াদের মিছিলে ভীত রাজ্য সরকার আন্দোলন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাতে কী? নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! চলতে থাকে আন্দোলন। হাওড়ার তিন স্কুলকে শো-কজও করে রাজ্য। তাতেও আন্দোলন থামেনি। তাই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পড়ুয়াদের বাগে আনতে সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের শিক্ষক দিবসেই ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা সরকার (Nabanna)। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে তিনি কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতীকী অর্থ তুলে দেবেন। আর ওই দিনই রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থ বাবদ ১০ হাজার টাকা পাঠাবে।

    অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল

    কিন্তু পিছু হটতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এভাবে যে পড়ুয়াদের আন্দোলন (RG Kar) কেনা যাবে না, তা বুঝে যেতেই অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করল তৃণমূল সরকার। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপ দেগেছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এটা আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছিল। সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন, ঘুষ দিয়ে আন্দোলনের (RG Kar) আগুন নেভানো যাবে না।

    কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘‘আবার পিছু হঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে সারা রাজ্যে স্কুল পডুয়াদের মধ্যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনীরা ভয় ভেঙে মাঠে রয়েছেন। আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের বাঙালি সমাজের কাছে প্রশ্ন, আর কবে চিত্ত স্বাধীন হবে। ভয় পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। স্কুল পডুয়াদের আন্দোলন ভাঙার জন্য ঘুষ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন বেলা ১২টায় ১৩ লক্ষ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ দেওয়ার কথা ছিল। খরচ হত ১৩০০ কোটির বেশি। তার জন্য বাজার থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছে নবান্ন। কিন্তু আন্দোলনের আগুন নেভানো যাবে না, মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝে গিয়েছেন। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ (RG Kar) দেওয়ার ১৩০০ কোটি টাকার অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় সময়ের অপেক্ষা (RG Kar)

    আরজি কর আন্দোলনে অনেকটাই কোণঠাসা শাসক। হাইকোর্ট থেকে শীর্ষ আদালত, সর্বত্র মুখ পুড়েছে মমতা সরকারের। পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় যে সময়ের অপেক্ষা, তাও নিজের পোস্টে লিখেছেন জগন্নাথ। বিজেপির এই রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘পিছু হঠেছে সরকার। কবে ফের এই ঘুষ দেওয়া হবে, তাও কিছু জানানো হয়নি। তরুণের স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হারবেন মুখ্যমন্ত্রী, আপনি হারবেন। আপনাকে আমরা হারাবোই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share