Author: user

  • Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    Convert Islam: হিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৩ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) কবিনগর পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। যেখানে ৫৫ বছর বয়সি সুশীলকুমার শর্মা, ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ব্রেনওয়াশ করে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Convert Islam) করার চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত সুশীল কুমারের স্ত্রীর সহকর্মী হলেন অভিযুক্ত ফয়সাল খান। নিজের অভিযোগপত্রে, সুশীল শর্মা আরও জানিয়েছেন যে ফয়সাল খান জোরপূর্বক এই ধর্মান্তকরণ করতে চেয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ।

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুশীলের স্ত্রী (Convert Islam)

    ওই এফআইআর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে সুশীল শর্মার স্ত্রী ৪৮ বছর বয়সি ওই মহিলা বর্তমানে একটি স্কুলের শিক্ষিকা এবং বিগত ১৩ বছর ধরে তিনি এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেখানেই কম্পিউটার শেখাতেন অভিযুক্ত ফয়সাল। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর সুশীল শর্মার স্ত্রী হঠাৎই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান এবং তাঁকে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দপুরানে, এই জায়গা ফয়সালের (Convert Islam) বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।

    সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন (Convert Islam)

    এরপর হঠাৎই একদিন বাড়িতে সুশীল শর্মার স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, শাঁখা-সিঁদুর-টিপ এই সমস্ত কিছু আর তিনি পরছিলেন না। এতেই সন্দেহ জাগে। এরপরেই  পুলিশের দ্বারস্থ হন সুশীল শর্মা। সুশীল শর্মা অভিযোগ তুলেছেন যে ফয়সাল শেখ তাঁর স্ত্রীকে প্রলোভন (Ghaziabad) দেয় রাজকোটের একটি স্কুলে মোটা মাইনের চাকরিরও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    West Bengal: ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আবহের মধ্যেই রাজ্যের (West Bengal) দুই হাসপাতালে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। একটি বীরভূমে, অপরটি হাওড়াতে। বীরভূমের ইলামবাজার স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে এক নার্সকে শনিবার রাতে শ্লীলতাহানি (Crime Aganist Woman) করে এক রোগী-এমনটাই অভিযোগ। অন্যদিকে, হাওড়া জেলা হাসপাতালে ১২ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে।

    বীরভূমের ঘটনা 

    শনিবার রাতেই বীরভূম জেলার ইলামবাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (West Bengal) এক নার্সকে এক রোগী কর্তব্যরত অবস্থায় শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং আরজিকরের ঘটনার পরেও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা যে সে অর্থে গড়ে ওঠেনি এই ঘটনাই তার প্রমাণ, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, ইলামবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে রোগী ভর্তি ছিলেন তাঁর চিকিৎসা চলাকালীন ওই নার্স স্যালাইনের বোতল দেখাশোনা করছিলেন। তখনই ওই নার্সকে শ্লীলতাহানি করেন ওই রোগী, এমনটাই অভিযোগ। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমকে ওই নার্স বলেন, ‘‘আমি শুধুমাত্র ডাক্তারের নির্দেশ পালন করছিলাম। সেই সময় আমাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। শুধু তাই নয়, আমার গোপনাঙ্গেও হাত দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি অশ্লীল শব্দও প্রয়োগ করেন ওই রোগী।’’ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

    হাওড়া জেলা হাসপাতালের ঘটনা (West Bengal)

    একইভাবে হাওড়াতে এক নাবালিকাকে জেলা হাসপাতালে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ (Crime Aganist Woman) উঠেছে এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিল ওই নাবালিকা। সিটি স্ক্যানের ঘরে ওই নাবালিকাকে যখন ঢোকানো হয় তখন তার পরিবারের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয় না অভিযুক্ত। সিটি স্ক্যানের ঘরেই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই (West Bengal) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লেখেন, ‘‘এই ঘটনাই প্রমাণ করছে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা ঠিক কতটা!’’ পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat sleeper coach: বন্দে ভারত স্লিপার কোচের পরীক্ষামূলক সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    Vande Bharat sleeper coach: বন্দে ভারত স্লিপার কোচের পরীক্ষামূলক সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বন্দে ভারত স্লিপার কোচের (Vande Bharat sleeper coach) পরীক্ষামূলক সংস্করণের সূচনা করেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি যাত্রীদের জন্য সচল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আগেই দেশ জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবার স্লিপার কোচের পরীক্ষালব্ধ ট্রেনের সূচনা হয়েছে। একই ভাবে এদিন ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (BEML) প্রাঙ্গনে একটি নতুন বন্দে ভারত উৎপাদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

    আগামী দশ দিন হবে পরীক্ষালব্ধ ট্রায়াল(Ashwini Vaishnaw) 

    রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সাংবাদিকদের বলেন, “স্লিপার কোচ এবার পরীক্ষার জন্য ট্র্যাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের জন্য কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হবে। বন্দে ভারত চেয়ার কারের পরে, আমরা বন্দে ভারত স্লিপারের কাজ সম্পন্ন করেছি। নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এই ট্রেনটির বিইএমএল সুবিধা থেকে ট্রায়াল এবং পরীক্ষার জন্য যাত্রার সূচনা করা হবে। তবে একবার বন্দে ভারত স্লিপার (Vande Bharat sleeper coach) গাড়িগুলির পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ সঠিকভাবে সাফল্য পেলে তারপর লাগাতার আরও ট্রেন তৈরির কাজ শুরু হবে। বন্দে ভারত স্লিপার গাড়িগুলিতে একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য চালু করা হয়েছে। একটি নতুন ট্রেনের ডিজাইন করা খুব জটিল কাজ। ক্রমাগত বন্দে ভারত ট্রেনের ডিজাইন উন্নত করার কাজ চলছে। আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিখছি এবং আরও প্রযুক্তির উন্নতি করছি। আগামী দিনে বন্দে ভারত মেট্রোর জন্যও একই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    ১৬ কোচ এবং ৮০০-১২০০ কিমি কভার করবে ট্রেন

    রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) আরও বলেন, “রেলওয়ে চারটি কনফিগারেশনে কাজ করছে—বন্দে ভারত চেয়ার কার, বন্দে ভারত স্লিপার কার (Vande Bharat sleeper coach), বন্দে ভারত মেট্রো গাড়ি এবং অমৃত ভারত। মানুষের ভ্রমণের চাহিদা অনুযায়ী এগুলি ব্যবহার করা হবে। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনটিতে ১৬টি কোচ থাকবে। এটি ৮০০ কিলোমিটার থেকে ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের গন্তব্যকে কভার করবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে অক্সিজেনের মাত্রা, ভাইরাস সুরক্ষা, রোগ সংক্রমণ বিষয়ক একাধিক বিষয় রাখা থাকবে। এই ট্রেনের ভাড়া হবে মধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে। প্রায় রাজধানী এক্সপ্রেসের সমান হবে টিকিটের মূল্য। বন্দে ভারতে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভারতীয় রেলওয়ে দিনে ১৩ লক্ষ খাবার পরিবেশন করে এবং অভিযোগ ০.০১ শতাংশের কম। তবে এখনও আমরা আসা অভিযোগগুলি সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন এবং আমরা ক্যাটারারদের পাশাপাশি সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে খুব কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kakali Ghosh Dastidar: মহিলা চিকিৎসক নিয়ে কুমন্তব্য! বেগতিক বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী তৃণমূল সাংসদ কাকলি

    Kakali Ghosh Dastidar: মহিলা চিকিৎসক নিয়ে কুমন্তব্য! বেগতিক বুঝে ক্ষমাপ্রার্থী তৃণমূল সাংসদ কাকলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহিলা চিকিৎসককে অসম্মানসূচক মন্তব্য তৃণমূলের মহিলা চিকিৎসক সাংসদেরই (TMC MP)! একজন মহিলা হয়ে কীভাবে আরেক মহিলাকে এহেন কুমন্তব্য করলেন? এই প্রশ্ন এখন রাজনীতির আঙ্গিনায় শোরগোল ফেলেছে। ঘটনায় তৃণমূল দল ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যেও পড়েছে। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ক্ষমা চাইলেন বারাসত লোকসভার সাংসদ কাকালি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar)।

    ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে পাশ (Kakali Ghosh Dastidar)!

    এক বিতর্ক সভায় তৃণমূল সাংসদ কাকলি (Kakali Ghosh Dastidar) বলেন, “ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা করি। আমার ছেলেরা নিন্দা করেছিল বলে কম নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা এখন প্রথিতযশা চিকিৎসক। মুখ খুললে থিসিস আটকে দেওয়া হবে, আমি এটা ভাবতে পারিনি।” এরপর চিকিৎসক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়, একাধিক সংগঠন তীব্র আপত্তি জানিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করে। এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিতর্ক সভায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

    চিকিৎসক সংগঠনের দাবি বহিষ্কার

    এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে বলেন, “কাকলির (Kakali Ghosh Dastidar) ওই মন্তব্য অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং নিন্দনীয়। এই মন্তব্য মহিলা চিকিৎসকের যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। তাঁকে অবিলম্বে এই সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাই।” আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফেডারেশেনের তরফে সঞ্জয় হোম চৌধুরী এবং কৌশিক চাকি লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলেন, “তাঁর এই মন্তব্য গোটা দেশের মহিলা চিকিৎসকদের জন্য অসম্মানজনক। মন্তব্য প্রত্যাহার করার পাশাপাশি অবিলম্বে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে কাকলিকে।’’

    আরও পড়ুনঃ ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    চাপে পড়ে ক্ষমা চাইতে হল

    উল্লেখ্য নিজেও তিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। কুমন্তব্যের চাপে কাকলি (Kakali Ghosh Dastidar) ঘোষ দস্তিদার ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমি নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি, যদি ওই মন্তব্যের জন্য কেউ আঘাত পান, আমি তার জন্য দুঃখিত। আমার (TMC MP) মন্তব্য আমি প্রত্যাহার করছি। আমি সব সময় মেয়েদের সুরক্ষার পক্ষেই কথা বলি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Rape-Murder: ২ সেপ্টেম্বর ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে ঘরের আলো এক ঘণ্টা নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। সহকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মনি স্কোয়ারে প্রতিবাদ সভা করবেন তাঁরা, একই সঙ্গে প্রতিবাদ করবেন যাদবপুর কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ এবং সাউথ সিটি মলে। তাঁদের দাবি একটাই, অবিলম্বে দোষীরা শাস্তি পাক। অপর দিকে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানিতে সিবিআই ভালো রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে বলে জানান ডাক্তাররা।

    রাত ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আলো নেভানোর ডাক (RG Kar Rape-Murder)

    সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর অভয়ার (RG Kar Rape-Murder) ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে দুপুর দুটোর সময় মিছিল করে লালবাজারে যাওয়া হবে। ৪ সেপ্টেম্বর নিজেদের ঘরের আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে আহ্বান করে তাঁরা বলেন, ওই দিন রাত ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত যেন সকলের ঘরের আলো নিভিয়ে রাখেন। একই সঙ্গে প্রদীপ জ্বালিয়ে যেন প্রতীকী প্রতিবাদ জানান সকলে। এক চিকিৎসক বলেন, “আলো নেভানো মানে হল বিচারের আশার অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা।” একই ভাবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। সেই দিকেও নজর থাকবে জুনিয়র ডাক্তারদের। ন্যায় বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করে করে যাবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, নেতাজি ইন্ডোরে কনসার্ট পিছিয়ে দিলেন শ্রেয়া ঘোষাল

    শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে ইতিবাচক রিপোর্ট?

    প্রায় ২০ হাজার ডাক্তার অভয়ার (RG Kar Rape-Murder) ন্যায় বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন শনিবার। তাঁরা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও পর্যন্ত পদযাত্রা করেছিলেন। তাঁদের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে। এরপর বাইরে এসে সাংবাদিকদের ডাক্তাররা বলেন, “গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টে ইতিবাচক রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সর্বশক্তি দিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত ভালো ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আমাদের কাছে আরও কিছু নামের তালিকা ছিল, তা তদন্তকারী অফিসারদের দিয়েছি। দ্রুত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেছি। এমনকী তাদের মধ্যে যারা প্রধান সন্দেহের তালিকায় রয়েছে সেই বিষয়ও উপস্থাপন করেছি আমরা।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে সরব, সাংবাদিকের ফোন নং ব্লক করার অভিযোগ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে

     RG Kar: আরজি কর-কাণ্ডে সরব, সাংবাদিকের ফোন নং ব্লক করার অভিযোগ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদ জানানোয় সাংবাদিক অভিজিৎ মজুমদারের ফোন নম্বর ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা সরকারে (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয়েছেন সাংবাদিক। এই ঘটনাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ওই সাংবাদিক। এতে ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক অভিজিৎ মজুমদার।

    নাগরিক সমাজের আওয়াজ দমন (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ে রয়েছে মৌলিক অধিকার, এখানকার ১৯ (এ) ধারাতে বাক-স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আরজি কাণ্ডের পর থেকেই নাগরিক সমাজের আওয়াজকে দমন করতে মমতা সরকার (Mamata Banerjee) একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে, যা সংবিধান বিরোধী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিজিৎ মজুমদারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা সামনে এল। প্রসঙ্গত, গত ৩০ অগাস্ট সাংবাদিকের এয়ারটেলের নম্বর ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেই দিনই ট্যুইট করেন অভিজিৎ এবং জানান পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কথামতো এয়ারটেল তাঁর ফোন নং ব্লক করে দিয়েছে।

    কী বললেন সাংবাদিক?

    এরপরেই এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ওই সাংবাদিক। এয়ারটেল তাঁকে জানায়, সন্দেহজনক গতিবিধির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে অভিজিৎ লেখেন, ‘‘হয়তো কলকাতার ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে (RG Kar) আমি বেশি কথা বলে ফেলছিলাম, তাই আমার মুখ বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন (China) হল মৌলিক সমস্যা। এ সমস্যা কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখতে দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে সবাই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতিকে উপেক্ষা করেছিল। তারাই এখন অভিযোগ করছে।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)?

    এই অনুষ্ঠানেই জয়শঙ্কর বলেন, “চিন একটি মৌলিক সমস্যা। কারণ এর একটি অনন্য শাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি রয়েছে। এটা কেবল ভারতের সমস্যা নয়। আজ মানুষ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। এর কারণ, কয়েক দশক আগে আমরা সকলেই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতি ও তারা যে সুবিধাগুলি ভোগ করত, সেগুলিকে উপেক্ষা করেছিলাম। তাদের সুবিধাগুলি বিবেচনা না করেই সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল চিনকে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “চিনের বিষয়ে একটা সাধারণ সমস্যা রয়েছে। আমরা বিশ্বের একমাত্র দেশ নই, যাদের চিনকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”

    প্রসঙ্গক্রমে এল ইউরোপ, আমেরিকা

    ইউরোপ আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ইউরোপে যান। তাদের জিজ্ঞেস করুন। আজকের দিনে তাদের প্রধান অর্থনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা বিতর্কগুলোর মধ্যে কী রয়েছে? তা হল চিন। আমেরিকার দিকে তাকান। তারাও চিন নিয়েই মগ্ন এবং অনেক দিক থেকেই তা যথার্থ।” অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনার যখন একাধিক প্রতিবেশী থাকে, তখন কী হয়?” 

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কগুলি সংজ্ঞা (প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক) অনুসারে খুব জটিল। তারা সবাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তিত হবে এবং তাদের দেশে রাজনৈতিক বিতর্কও থাকবে। আমরা প্রায়ই সেই বিতর্কগুলির কেন্দ্রে থাকব। এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা একটি বড় দেশ। আমাদের প্রত্যাশা করা উচিত, পরিকল্পনা করা উচিত এবং আমাদের নীতির মধ্যে এই প্রত্যাশা তৈরি করা উচিত যে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে কিছু পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে স্বাভাবিকভাবে, আর কিছু হবে বাধ্যতামূলক।”

    জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে (China) পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি খুঁজে বের করতে হবে ভারতকে। ভারত সেই দিনের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছিল ইংরেজ জমানায়। আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে জারি রেখেছিল কংগ্রেস। ফি শুক্রবার অসম বিধানসভায় থাকত দু’ঘণ্টার নমাজ বিরতি (Namaz Break)। এবার তাতেই কাঁচি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    নমাজ বিরতিতে কোপ (Himanta Biswa Sarma)

    বিধানসভায় ঘোষণা করে দিলেন, জুম্মাবারের নমাজ আদায়ের বিরতি আর মিলবে না। তাঁর সাফ কথা, ঔপনিবেশিক আমলের অভ্যাসে বদল আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি ও বিধায়কদের ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুসলমানদের কাছে শুক্রবার হল জুম্মাবার। এদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ পাঠের বিরতি পেতেন অসমের মুসলমান বিধায়ক ও কর্মীরা। ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা এই প্রথায়ই এবার ইতি টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান বিধায়করা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আমাদের বিধানসভার হিন্দু ও মুসলমানরা বিধায়কের রুলিং কমিটিতে বসে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দু’ঘণ্টা বিরতি ঠিক নয়। আমাদের এই সময়ও কাজ করা উচিত।” তিনি বলেন, “এই প্রথাটি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল। গতকাল থেকে বন্ধ করা হয়েছে (Himanta Biswa Sarma)।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় এই প্রথা চালু করেছিল মুসলিম লিগ। সেই সময় থেকেই রাজ্যের মুসলিম বিধায়করা প্রতি শুক্রবার দু’ঘণ্টার জন্য নমাজ আদায়ের বিরতি পেতেন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুক্রবারও (Namaz Break) বিধানসভার কাজ হবে স্বাভাবিকভাবে। প্রতিদিনই বিধানসভায় কাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের দরজায় পড়বে সোনার প্রলেপ, শীঘ্রই আসছে রেডিও চ্যানেল

    Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের দরজায় পড়বে সোনার প্রলেপ, শীঘ্রই আসছে রেডিও চ্যানেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ (Jagannath Temple) মন্দিরের পক্ষ থেকে অতি শীঘ্রই চালু করা হবে নিজস্ব এফএম রেডিও চ্যানেল। একই ভাবে মন্দিরের রত্নভান্ডারের (Ratna Bhandar) দরজায় দেওয়া হবে সোনার প্রলেপ। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে পুরীতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এই নিজস্ব এফএম রেডিও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমিটি জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ২০২৪-২৫ সালে ৪১০ কোটি টাকার বাজেটের অনুমোদন করেছে। এই ঘোষণায় ভক্তদের মধ্যে আরও উৎসাহ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মন্দিরকে ঘিরে। এবার মন্দির প্রশাসনও বড় ঘোষণা করেছে।

    সুবিন্যস্ত দর্শনের জন্য এই পদক্ষেপ (Jagannath Temple)

    মন্দিরের নিজস্ব এফএম রেডিও চ্যানেল চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) প্রশাসনের (এসজেটিএ) প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী। ভক্তদের জন্য সুবিন্যস্ত দর্শন ও  অভিজ্ঞতাকে সুসংহত করতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে মন্দিরের সেবকদের জন্য কল্যাণমূলক উদ্যোগ বাড়ানো সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সুনিশ্চিত করেছে কমিটি। মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে, আগের বছরের বাজেটের থেকে ১১৮.১৭ কোটি টাকা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। এই বাজেট মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত একাধিক খাতে খরচ করা হবে। ওড়িশা সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্য বলেন, এর ফলে কার্যত ৯১৩ কোটি টাকা মন্দিরের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

    মন্দির প্রসাশকের বক্তব্য

    এসজেটিএ প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধী বলেন, “ম্যানেজিং কমিটি পুরীর শ্রীমন্দিরে (Jagannath Temple) ভক্তদের দর্শনকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্ন এবং ঝামেলামুক্ত হয়ে দর্শন করতে পারেন, সেই দিকে সর্বদা দৃষ্টি সজাগ রয়েছে আমাদের। কমিটি নাটমণ্ডপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন সহ একাধিক আরও নতুন ব্যবস্থার অনুমোদন করেছে। এই উদ্যোগগুলি ভক্তদের জন্য পরিষেবাকে মাথায় রেখে করা হয়েছে। সমস্ত ভক্তদের জন্য একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ দর্শনকে নিশ্চিত করার জন্য নতুন ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলা এবং শিশু এবং দিব্যাঙ্গদের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। সারা বছরেই ভক্তদের ঢল দেখা যায়, কিন্তু রথের সময় এই ঢল ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। ভক্তদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    সেবায়েতদের জন্য একাধিক ঘোষণা

    এই পরিষেবাগুলি মন্দিরের (Jagannath Temple) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরামর্শের পরে বাস্তবায়িত করা হবে। সমস্ত দর্শনার্থীদের জন্য একটি মসৃণ এবং মন্দিরের সঙ্গে ভক্তিমূলক সংযোগকে আরও সুনিশ্চিত করতে এই কাজের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে সেবাতদের কল্যাণের বিষয়েও একাধিক পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিমা, আর্থিক সহায়তা, তাঁদের শিশুদের জন্য বৃত্তি, খেলাধুলো-সহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) গঠন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    রত্নভান্ডারে পড়বে সোনার প্রলেপ

    গৃহীত অন্যান্য বড় সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি (Jagannath Temple) রত্নভান্ডারের Ratna Bhandar) দরজায় সোনার প্রলেপ দেওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে। রত্নভান্ডার হল সেই জায়গা যেখানে সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র, অলঙ্কার রাখা রয়েছে। রাজ্যে বিজেপি শাসনে আসার পর এই ভান্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে দেশ ব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বর্তমানের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) দ্বারা প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ চলছে। এই কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরেই সোনার প্রলেপ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রত্নেভান্ডারের ভিতরের এবং বাইরের চেম্বারের গেটগুলিকে এখন ঘিরে রাখা হয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকে প্রভু জগন্নাথের ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিশ্বজুড়ে বদলের মাঝে ভারতের নাগরিকরা হ্যাটট্রিক করে সরকার গড়েছেন, বললেন মোদি

    PM Modi: বিশ্বজুড়ে বদলের মাঝে ভারতের নাগরিকরা হ্যাটট্রিক করে সরকার গড়েছেন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে বিশ্বের একাধিক দেশের নির্বাচনে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সরকারের বদল হয়েছে। সারা বিশ্বজুড়ে যখন পরিবর্তন হয়েছে সরকারের, তখনই ভারতবর্ষে ঠিক তার ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছে। শনিবার নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাতেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক দেশেই সরকারের বদল হয়েছে চলতি বছরে। কিন্তু ভারতবর্ষ ধারাবাহিকভাবে বেছে নিয়েছে আমাদের সরকারকেই। কারণ রাজনৈতিক সুস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যই ভারতবাসী (India) এনডিএ সরকারকে তৃতীয়বারের জন্য ধারাবাহিকভাবে জিতিয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) গত ১০ বছরে ভারতের সমৃদ্ধি, উন্নতির কথাও শুনিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে সারা বিশ্বে অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। কিন্তু ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি হয়েছে ৯০ শতাংশ।’’ তিনি আরও আশ্বাস দিয়েছেন ভবিষ্যতেও ভারতের অর্থনীতি এভাবেই বৃদ্ধি হবে।

    আমরা রিফর্ম-পারফর্ম-ট্রান্সফর্ম নীতিতে এগিয়ে চলেছি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার কোটি কোটি দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। আমরা রিফর্ম-পারফর্ম-ট্রান্সফর্ম নীতিতে এগিয়ে চলেছি। জনগণ দেখতেই পাচ্ছেন গত ১০ বছরে ঠিকই কতটা বদলে গিয়েছে দেশ। অনেক বড় বড় দেশের নাগরিকরা ভোট দিয়েছেন সরকারের বিপক্ষে। কিন্তু ভারতবর্ষের জনগণ ঠিক তার বিপরীত পথে হেঁটেছেন। ভারতের নাগরিকরা হ্যাটট্রিক করেছেন। ৬০ বছর পরে তৃতীয়বারের জন্য টানা জিতিয়েছেন কোনও সরকারকে। ভারতবাসী ভোট দিয়েছেন রাজনৈতিক সুস্থিরতা বজায় রাখতে, উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশকে শক্তিশালী করতে।’’

    আজকে ভারতবর্ষের উন্নতি সারা বিশ্বের খবরের শিরোনামে এসেছে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘আজকে ভারতবর্ষের উন্নতি সারা বিশ্বের খবরের শিরোনামে এসেছে। গত দশ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমা থেকে তুলে আনা গিয়েছে। কোনও দেশের গণতন্ত্রে এমন নজির নেই। তৃতীয়বার সরকার তৈরি হয়েছে ১০০ দিনও হয়নি এবং এই সময়ের মধ্যে গরিব, মহিলা এবং যুব ও কৃষকদের উন্নতির জন্য একাধিক বড় সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share