Author: user

  • Jagdish Tytler: শিখ বিরোধী দাঙ্গা, জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

    Jagdish Tytler: শিখ বিরোধী দাঙ্গা, জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গায় (1984 Anti Sikh Riots) অন্যতম অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গতকাল শুক্রবার ৩০ অগাস্ট আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে। বিচারপতি রাকেশ সিয়াল বলেন যে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো যায়।

    কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন (Jagdish Tytler) 

    প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে চালু রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে, সেই সময়ের আইন অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এভাবেই জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে লাগু হতে চলেছে আইপিসি-এর অনেকগুলি ধারা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারা (বেআইনি জমায়েত), ১৪৭ ধারা (দাঙ্গা), ১৫৩ এ ধারা (দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাধানো), ১৮৮ ধারা (সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দান), ২৯৫ ধারা (ধর্মস্থান অবমাননা), ৪৩৬ ধারা (অগ্নিসংযোগ), ৪৫১ ধারা (অবৈধভাবে বাড়িতে প্রবেশ ও লুট), ৩৮০ ধারা (চুরি), ১৪৯ ধারা (সাধারণ উদ্দেশে বেআইনি জমায়েত), ৩০২ ধারা (খুন) ১০৯ ধারা (অপরাধে উস্কানি) ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    কংগ্রেস নেতার (Jagdish Tytler) প্ররোচনা

    চলতি বছরের গোড়াতেই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সিবিআই দাবি করেছিল যে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন, যাঁরা নিজের চোখে দেখেছেন জগদীশ টাইটলার একটি ভিড়কে উস্কানি দিচ্ছেন, দাঙ্গা করার প্ররোচনা দিচ্ছেন ১৯৮৪ সালে। জানা যায়, জগদীশ টাইটলারের এই উস্কানির ফলেই দিল্লির গুরুদুয়ারায় তিনজন মানুষকে খুন করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসেই সিবিআই তাদের চার্জশিটে জানিয়েছিল যে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া, প্ররোচনা দেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যা সংঘটিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লিতে। এরপরেই ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান জগদীশ টাইটলার ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে। প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে শিখ-বিরোধী দাঙ্গা। এই দাঙ্গা চলে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। অজস্র কংগ্রেসী নেতা এই দাঙ্গায় অভিযুক্ত হন। এই সময়ে ৩,৩৫০ জন সাধারণ শিখ নাগরিককে (1984 Anti Sikh Riots) নির্মমভাবে হত্যা করে কংগ্রেস সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: কেরলের পালক্কাড়ে শুরু হল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    RSS: কেরলের পালক্কাড়ে শুরু হল আরএসএস-এর সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ৩১ অগাস্ট কেরলের (kerala) পালক্কাড়ে শুরু হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) তিন দিনের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে সমেত অন্যান্য নেতারা। যোগ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডাও। শনিবার বৈঠকে শুরুতেই কেরলের (Kerala) ওয়ানাড়ে ভূমিধসের বিশদ বিবরণ ও আরএসএস-এর (RSS) স্বয়ংসেবকদের উদ্যোগে প্রদত্ত সহায়তা প্রদানের বিষয়ে উপস্থিত প্রতিনিধিদের অবগত করা হয়।

    সুনীল আম্বেকরের সাংবাদিক সম্মেলন

    গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ৩২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অন্যান্য শাখা সংগঠন থেকে ২৩০ জন এবং জাতীয় স্তরের আরএসএসের ৯০ জন পদাধিকারী এই বৈঠকে হাজির থাকবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে তাঁদের কার্যকলাপ ও সমাজের কাজে তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন। এর পাশাপাশি এই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি নিয়েও। আলোচনা চলবে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতেও। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, দেশের নিরাপত্তা, সামাজিক ইস্যু, বর্তমানের ঘটনা প্রবাহ, রাজ্যস্তরের বিভিন্ন ইস্যুগুলি নিয়েই আলোচনা করা হবে।’’

    ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) পা দিচ্ছে ১০০ বছরে

    প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পা দিচ্ছে ১০০ বছরে। এই সময়ে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাবে সঙ্ঘকে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে নেওয়া হবে পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচি, যা চলবে ২০২৬ সালের বিজয় দশমী পর্যন্ত। পঞ্চ পরিবর্তনের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, কুটুম্ব প্রবোধন যার অর্থ হল পরিবারকে শক্তিশালী করা, পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু, আত্মনির্ভরতা-এক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, সব শেষে রয়েছে সিভিক ডিউটিস বা নাগরিক কর্তব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Midnapore Medical College: মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করা হতো! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা

    Midnapore Medical College: মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করা হতো! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সহ গোটাদেশ এখন তোলপাড়। সর্বত্র একটাই আওয়াজ উঠছে, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। ঠিক এর মধ্যেই এবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মূল অভিযুক্ত টিএমসিপি (TMC student leader) ইউনিটের প্রভাবশালী নেতা মুস্তাফিজুর রহমান এবং তার অনুগামীরা। ইতিমধ্যে হবু চিকিৎসকরা আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের দাবি একটাই, বহিষ্কার করতে হবে এই টিএমসিপি নেতাকে।

    প্রতিবাদ করলেই প্রাণে মারার হুমকি (Midnapore Medical College)

    মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, এই তৃণমূল ছাত্রনেতা মুস্তাফিজুর রহমান (TMC student leader) মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করত। বেছে বেছে সুন্দরী পড়ুয়াদের নাচ করতে বলা হতো। এর প্রভাব এতটাই যে কলেজে পাশ কে করবে, আর ফেল কে করবে, তাও ঠিক করত এই অভিযুক্ত। প্রতিবাদ করলেই প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হতো। আবার ওই তৃণমূল ছাত্রনেতা আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। তাদের একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অভিযুক্ত মুস্তাফিজুরকে কলেজে আসতে বারণ করা হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি অভিযুক্তকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। ইতিমধ্যে কলেজের কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগের বিষয় নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মুখ খুলতে সাহস দেখান না কেউ!

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালের (Midnapore Medical College) ছাত্রনেতা (TMC student leader) মুস্তাফিজুর রহমান এতটাই প্রভাবশালী যে কলেজের চিকিৎসকেরাও মুখ খুলতে সাহস দেখান না। এই বিষয় নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি নন্দীও কিছু বলতে চাননি। হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ, অভিযুক্ত এই তৃণমূল ছাত্র নেতার কলেজে আসার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্বীকার করেছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashtrapati Award: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামনগর শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    Rashtrapati Award: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামনগর শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার (Rashtrapati Award) পেতে চলেছেন শ্যামনগর শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মারিক। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জাতীয় শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি। তাঁর বাড়ি ইছাপুর বিধানপল্লি এলাকায়। তাঁর এই পুরস্কার পাওয়ার খবর জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া গোটা এলাকায়।

    প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা (Rashtrapati Award)

    শিক্ষক দিবসে (Teachers Day) প্রতি বছরেই কেন্দ্রের তরফে দেশের সেরা শিক্ষকদের পুরস্কৃত (Rashtrapati Award) করা হয়। এ বছর জাতীয় শিক্ষক সম্মানের জন্য সারা দেশ থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ শিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবছর দেশের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে শ্যামনগরের শালবাগান জিএসএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০ বছর ধরে তিনি শিক্ষকতা করছেন। শালবাগান জিএসএফপি স্কুলে তিনি ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাবার খবরে খুশির জোয়ার গোটা শ্যামনগর জুড়ে। শুক্রবার বেলায় জাতীয় শিক্ষককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন ভাটপাড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্মৃতি ধর ও তাঁর স্বামী রতন ধর-সহ বিশিষ্ট জনেরা। স্কুল পড়ুয়া এবং অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    প্রধান শিক্ষকের জন্য গর্বিত সহকর্মীরা

    শ্যামনগর (Shyamnagar) শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহকর্মীরা বলেন, প্রশান্তবাবুর মতো শিক্ষকের অনেক আগেই এই পুরস্কার পাওয়ার দরকার ছিল। তাঁর মতো শিক্ষক সকলের কাছে আদর্শের। শুধু পড়াশুনা করানো নয়, প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা তিনি দেন। তাঁর মতো শিক্ষকের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমরা চরম খুশি। তিনি শুধু স্কুলের নয়, গোটা এলাকার মানুষের কাছে গর্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medinipur Medical College Hospital: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    Medinipur Medical College Hospital: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও মেলায়নি। এই আবহে এবার খবরে চলে এল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Medinipur Medical College Hospital)। এখানে কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Chatra Parishad) এক নেতা। নাম মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক। ঘটনাচক্রে তিনি আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জুনিয়র ডাক্তাররা বৃহস্পতিবার করলেন অবস্থান বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চিকিৎসক মহম্মদ সিবি।

    কী বলছেন প্রতিবাদীরা? (Medinipur Medical College Hospital)

    তিনি জানান, তিন বছর আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই গ্র্যাজুয়েশন করেছেন মোস্তাফিজুর। পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলেও, হস্টেল ছাড়েননি। সিবি বলেন, “তিনি (মোস্তাফিজুর) প্রতিনিয়ত আমাদের হ্যারাস করেন। হস্টেল থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন। আমরা যখন বলি, যে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব, তিনি বলেন স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করলেও, তাঁর কিছু হবে না।” এই জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন মোস্তাফিজুর।

    মোস্তাফিজুর গুণাবলী

    তৃণমূলের এই নেতার বিরাট ক্ষমতা বলেও জানান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। মহম্মদ সিবি বলেন (Medinipur Medical College Hospital), “এই তৃণমূল নেতা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। ফেল করা স্টুডেন্টদের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছু।” মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে তোলা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে। মহম্মদ সিবি বলেন, “মোস্তাফিজুর প্রত্যেক জুনিয়র ডাক্তারের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে নেন। জোর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খাতায় নাম লিখিয়ে নেন।” তিনি বলেন, “একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই কলেজ হাসপাতালে তাঁরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।”

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    শ্রেয়া মণ্ডল নামে আর এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “প্রথম যেদিন আমরা এই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম, শিক্ষকরা ক্লাস ছেড়ে চলে গেলেন। এই ইউনিট এসে দরজা বন্ধ করে দিল। মুস্তাফিজুরের রাস্কেলরা এসে আমাদের র‍্যাগ করে।” মেয়েদের আইটেম সং নাচতেও বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Chatra Parishad) ওই নেতাকে অবিলম্বে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা (Medinipur Medical College Hospital)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নারী নির্যাতনের মামলায় ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি’, বিচারপতিদের বার্তা মোদির

    PM Modi: নারী নির্যাতনের মামলায় ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি’, বিচারপতিদের বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নাড়া দিয়েছে গোটা দেশকে। গত রবিবারই নারী সুরক্ষার ওপর মহারাষ্ট্রে দীর্ঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। শনিবার ফের একবার মহিলাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক কঠোর আইন রয়েছে। তবে নারী নির্যাতন রোধ করতে সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং অন্য বিচারপতিরা। দিল্লির অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘নারী নির্যাতন, শিশুদের নিরাপত্তার (Women Safety) মতো বিষয়গুলি এখন সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে অনেক কঠোর আইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করে তোলা প্রয়োজন। মহিলাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ঘটনায় যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, নিরাপত্তার (Women Safety) ক্ষেত্রে তত বেশি নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।’’

    ১০ বছরে মোদি সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে

    দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে গত ১০ বছরে তাঁর সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে, এমনটা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তারও খতিয়ান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার বিলম্ব দূর করতে গত এক দশকে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকার ১০ বছরে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য গত ২৫ বছরে যে অর্থ খরচ করা হয়েছিল, তার ৭৫ শতাংশ ১০ বছরেই খরচ করেছে বিজেপি সরকার।’’

    দেশের শীর্ষ আদালতের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী 

    দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’ থেকেই বিচার ব্যবস্থার উদ্দেশে এই বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। দেশের শীর্ষ আদালতের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর। এটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা নয়, এ হল ভারতের সংবিধানের এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের অগ্রগতি। এটি গণতন্ত্র হিসাবে ভারতের আরও পরিণত হওয়ার যাত্রা।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল রাজ্য। আদালতের নির্দেশ মতো ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারের দাবিতে দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এমন মন্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 119: “শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত…শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ”

    Ramakrishna 119: “শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত…শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ

    প্রথম অধ্যায়

    ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন্নায়ং ভূত্বাঽভবিতা বা ন ভূয়ঃ ৷
    অজো নিত্যঃ শাশ্বতোঽয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ॥
                                                                                    (গীতা— ২।২০)

    মুক্তপুরুষের শরীরত্যাগ কি আত্মহত্যা?

    দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দর্শন করিতে আসিয়াছেন। সঙ্গে তিন-চারটি ব্রাহ্মভক্ত। ২৯শে অগ্রহায়ণ, শুক্লা চতুর্থী তিথি। বৃহস্পতিবার, ইংরেজী ১৪ ডিসেম্বর ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দ। পরমহংসদেবের পরমভক্ত শ্রীযুক্ত বলরামের সহিত ইঁহারা নৌকা করিয়া কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ মধ্যাহ্নকালে সবে মাত্র একটু বিশ্রাম করিতেছেন। রবিবারেই বেশি লোক সমাগম হয়। যে-সকল ভক্তেরা একান্তে তাঁহার সহিত কথোপকথন (Kathamrita) করিতে চান, তাঁহারা প্রায় অন্য দিনেই আসেন।

    পরমহংসদেব (Ramakrishna) তক্তপোশের উপর উপবিষ্ট। বিজয়, বলরাম, মাস্টার ও অন্যান্য ভক্তেরা পশ্চিমাস্য হইয়া, তাঁহার দিকে মুখ করিয়া কেহ মাদুরের উপর। কেহ শুধু মেঝের উপর বসিয়া আছেন। ঘরের পশ্চিমদিকের দ্বারমধ্য দিয়া ভাগীরথী দেখা যাইতেছিল। শীতকালের স্থিরা স্বচ্ছলসলিলা ভাগীরথী। দ্বারের পরই পশ্চিমের অর্ধমণ্ডলাকার বারান্দা, তৎপরেই পুষ্পোদ্যান, তারপর পোস্তা। পোস্তার পশ্চিমগায়ে পুণ্যসলিলা কলুষহারিণী গঙ্গা, যেন ঈশ্বর মন্দিরের পাদমূল আনন্দে ধৌত করিতে করিতে যাইতেছিলেন।

    শীতকাল, তাই সকলের গায়ে গরম কাপড়। বিজয় শূলবেদনায় দারুণ যন্ত্রণা পান; তাই সঙ্গে শিশি করিয়া ঔষধ আনিয়াছেন—ঔষধ সেবনের সময় হইলে খাইবেন। বিজয় এখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের একজন বেতনভোগী আচার্য। সমাজের বেদীর উপর বসিয়া তাঁহাকে উপদেশ দিতে হয়। তবে এখন সমাজের সহিত নানা বিষয়ে মতভেদ হইতেছে। কর্ম স্বীকার করিয়াছেন, কি করেন, স্বাধীনভাবে কথাবার্তা (Kathamrita) বা কার্য করিতে পারেন না। বিজয় অতি পবিত্র বংশে—অদ্বৈত গোস্বামীর বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। অদ্বৈত গোস্বামী জ্ঞানী ছিলেন—নিরাকার পরব্রহ্মের চিন্তা করিতেন, আবার ভক্তির পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া গিয়াছেন! তিনি ভগবান চৈতন্যদেবের একজন প্রধান পার্ষদ—হরিপ্রেমে মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতে করিতে পরিধানবস্ত্র খসিয়া যাইত। বিজয়ও ব্রাহ্মসমাজে আসিয়াছেন—নিরাকার পরব্রহ্মের চিন্তা করেন; কিন্তু মহাভক্ত পূর্বপুরুষ শ্রীঅদ্বৈতের শোণিত ধমনী মধ্যে প্রবাহিত হইতেছিল, শরীর মধ্যস্থিত হরিপ্রেমের বীজ এখন প্রকাশোন্মুখ—কেবল কাল প্রতীক্ষা করিতেছে! তাই তিনি ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) দেবদুর্লভ হরিপ্রেমে “গরগর মতোয়ারা” অবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছেন। মন্ত্রমুগ্ধ সর্প যেমন ফণা ধরিয়া সাপুড়ের কাছে বসিয়া থাকে, বিজয়ও পরমহংসদেবের শ্রীমুখনিঃসৃত ভাগবত শুনিতে শুনিতে (Kathamrita) মুগ্ধ হইয়া তাঁহার নিকটে বসিয়া থাকেন। আবার যখন তিনি হরিপ্রেমে বালকের ন্যায় নৃত্য করিতে থাকেন, বিজয়ও তাঁহার সঙ্গে নৃত্য করিতে থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুলস্থুল কাণ্ড কেদারনাথে। মাঝ আকাশ থেকে মন্দাকিনীর ধারে ছিঁড়ে পড়ল বিকল হেলিকপ্টার (Helicopter Crash in Kedarnath)। শনিবার সকালে কেদারনাথ ধামে অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল একটি হেলিকপ্টার। সেটিকে এয়ারলিফ্‌ট করে ফিরিয়ে আনছিল উদ্ধারকারী এমআই-১৭ চপার। সেটির সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসা হচ্ছিল বিকল হেলিকপ্টারটি। সেই সময়েই মাঝ আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়ে ওই হেলিকপ্টার। ভাগ্যক্রমে সেই হেলিকপ্টারে কেউ ছিল না। ওই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুর্ঘটনার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

    কখন, কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, কেদারনাথ ও গৌচরের মাঝে ভীমবালির কাছে লিঞ্চোলিতে দুর্ঘটনাটি (Helicopter Crash in Kedarnath) ঘটেছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “কেদারনাথ থেকে এয়ারলিফ্‌ট করে আনার পথে একটি হেলিকপ্টার চেন থেকে ছিঁড়ে লিঞ্চোলিতে থারু শিবিরের কাছে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। অল্প দূরত্ব পার করতেই এমআই-১৭ ভারসাম্য হারায়, হাওয়ার ধাক্কায় স্ট্রাপ ছিঁড়ে যায়। স্থানীয় থানা থেকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে সেই তথ্য যায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।” জানা গিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারটি একটি বেসরকারি সংস্থার। 

    এই ধরনের হেলিকপ্টারে (Helicopter Crash in Kedarnath) করেই কেদারনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই থেকে আচমকাই কেদারনাথ ধামে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি এবং ট্রেকিংয়ের রুটে ঘনঘন ধস নামার কারণে মন্দিরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নন অনেকেই। সম্প্রতি নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ যাওয়ার পথে বহু মানুষ আটকে পড়েন। ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক এবং M-17 চপারের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক বেসরকারি চপারও। চলতি বছর ১০ মে শুরু হয়েছিল চারধাম যাত্রা। এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ পুণ্যার্থী কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী গিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sada Bonde: কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য, ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন

    Sada Bonde: কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য, ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন

    হরিহর ঘোষাল

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিষ্টির দোকানে রঙীন বোঁদে দেখে অভ্যস্ত আম বাঙালি। তবে, সাদা বোঁদের চল শুধু কামারপুকুর ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। কামারপুকুরে ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মভিটেতে গিয়েছেন আর ঠাকুরের প্রিয় সাদা বোঁদে খাননি, এরকম ভক্ত নেই বললেই চলে। তাই, কামারপুকুরের সাদা বোঁদের (Sada Bonde) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। 

    সাদা বোঁদের ইতিহাস (Sada Bonde)

    কামারপুকুরের সাদা বোঁদে কে কবে প্রথম প্রস্তুত করেছিলেন তার সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। আদিতে কামারপুকুরে এই সাদা বোঁদে তৈরি করত কয়েকটি হাতে গোনা পরিবার। জানা গিয়েছে, ১৭৯৩-৯৪ সাল নাগাদ কামারপুকুরে সাদা বোঁদে তৈরি করতেন জনৈক মধুসূদন মোদক। অতীতে কামারপুকুরের স্থানীয় চাষিরা বরবটি চাষ করে পাকা বরবটির বীজের জোগান দিতেন। সেই বরবটির বীজ কলাইকে প্রথমে জলে ধুয়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নেওয়া হত। এর পর সেই শুকনো কলাইকে পিষে বেসন তৈরি করা হত। কামারপুকুরের সাদা বোঁদের প্রধান উপাদান হল রমা কলাইয়ের বেসন এবং আতপ চালের গুঁড়ো। তার সঙ্গে লাগে গাওয়া ঘি বা বনস্পতি ঘি ও চিনির রস।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    ঠাকুর রামকৃষ্ণ-মা সারদার প্রিয় ছিল সাদা বোঁদে

    রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম ভিটে ছিল কামারপুকুরের মোদক বাড়ির পাশেই। একটি মত অনুসারে, মধুসূদন মোদকের পুত্র দুর্গাদাসের বাল্যবন্ধু ছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ। বালক গদাধর (ঠাকুর রামকৃষ্ণ) তাঁর বন্ধু দুর্গাদাসের বাড়িতে গেলেই সাদা বোঁদে (Sada Bonde) খেতেন। অন্য মতে, গদাধর দুর্গাদাস মোদকের পুত্র সত্যকিঙ্করের দোকান থেকে সাদা বোঁদে কিনে খেতেন। সেই থেকে আজীবন কামারপুকুরের সেই সাদা বোঁদে খেতে খুব ভালোবাসতেন ঠাকুর। রামকৃষ্ণ কথামৃতে কামারপুকুরের সাদা বোঁদের উল্লেখ রয়েছে। কামারপুকুর মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ সাদা বোঁদে খেতে ভালবাসতেন, এমন কোনও নথি মিশনের কাছে নেই। তবে, সারদা দেবীর সাদা বোঁদে ভীষণ প্রিয় ছিল। তিনি দুর্গাদাস মোদকের পুত্র সত্যকিঙ্কর মোদকের দোকানের বোঁদে খুব ভালবাসতেন। তিনি ভক্তদের সাদা বোঁদে বা জিলিপি খেতে দিতেন। সেই থেকেই কামারপুকুরের সঙ্গে সাদা বোঁদে আর মোদক পরিবারের নাম জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম ভিটে অধিগ্রহণ করে নেন। ক্রমে কামারপুকুর ঠাকুরের ভক্তদের জন্য একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয় এবং ভক্তদের মাধ্যমে ঠাকুরের স্নেহধন্য কামারপুকুরের সাদা বোঁদের জনপ্রিয়তা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    কীভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি?

    আতপ চাল এবং রমা কলাই আজও ঢেঁকির সাহায্যে গুঁড়ো করা হয়। আগে ঘি দিয়েই তৈরি হত। এখন সেটি সাদা তেলে তৈরি হয়। সেই থেকে একটি মিশ্রণ তৈরি হয়, যাকে খামি বলে। এটিকে ৪৫ মিনিট মতো মিষ্টির রসে ভিজিয়ে রাখা হয়। তাহলেই তৈরি হয়ে যায় সাদা বোঁদে (Sada Bonde)। গরমে ৫-৭ দিন বাইরে রাখলেও এই মিষ্টি নষ্ট হবে না।

    পরমহংসের ভোগে সাদা বোঁদে

    সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে কামারপুকুর-জয়রামবাটিতে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। ভক্তরা ভ্রমণ শেষে এই কামারপুকুরের সাদা বোঁদে (Sada Bonde) সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যান। তাঁরা মনে করেন, তা না করলে ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কামারপুকুরের বাসিন্দারা সাদা বোঁদে নিয়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ। কামারপুকুরের বাসিন্দারা বাড়িতে অতিথি এলে সাদা বোঁদে দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন। বিবেকানন্দ মঠে রামকৃষ্ণ পরমহংসের (Ramkrishna Paramhans) ভোগে কামারপুকুরের সাদা বোঁদে দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মিষ্টির খোঁজে ঠাকুরের অনেক ভক্তরাই ছুটে এসেছেন, তার মধ্যে শ্রীম (কথামৃতের লেখক) অন্যতম। এই মিষ্টির চাহিদা এতটাই বেশি, যে মানুষ এসে খালি হাতে ফিরবেন না, এটি নিয়েই যাবেন। এমনকী কামারপুকুরে উৎসব, অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি সবকিছুতেই এই বোঁদের (Sada Bonde) চাহিদা খুব বেশি।

    বর্তমান অবস্থা

    জানা গিয়েছে, কামারপুকুরে মিষ্টির দোকানের সংখ্যা মোট কুড়িটি। তার মধ্যে তিনটি দোকান রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক সত্যকিঙ্কর মোদকের বংশধরদের। দোকানগুলি মঠ চত্বর, লাহা বাজার ও কামারপুকুর চটি এই তিনটি অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি মিষ্টির দোকানেই এই সাদা বোঁদে পাওয়া যায়। শীতের সময় অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ কামারপুকুরের পর্যটক সংখ্যা সব চেয়ে বেশি হয়। তখন চাহিদা মেটাতে মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা সাদা বোঁদের উৎপাদন বাড়িয়ে দেন। এই সময় প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ টন সাদা বোঁদে (Sada Bonde) তৈরি হয়। বছরের বাকি সময়টা দৈনিক ২-৩ টন সাদা বোঁদে উৎপাদন হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদিকে দেওয়া মমতার চিঠিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে, সাফ জানাল কেন্দ্র

    PM Modi: মোদিকে দেওয়া মমতার চিঠিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে দ্বিতীয় চিঠিটি দিয়েছেন, তাতে তথ্যগত ভুল রয়েছে।” শুক্রবার এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। তাঁর মতে (PM Modi), এটি রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু করার ক্ষেত্রে যে অযথা দেরি হচ্ছে, তা ঢাকা দেওয়াই এই চিঠির লক্ষ্য।

    কী বলছেন মমতা? (PM Modi)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই চিঠিটি এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পরে। ওই চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য ছিল, মামলাগুলির বিষয়ে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের জন্য তাঁর প্রথামিক আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় হতাশ তিনি। তাঁর চিঠিতে মমতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগের চিঠি মারফত দেওয়া উত্তরকে অপর্যাপ্ত ও সাধারণ বলে সমালোচনা করেছিলেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তোপ

    রাজ্যকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘যেমন দেখা যাচ্ছে, আপনার চিঠিতে থাকা এ সংক্রান্ত তথ্য ফ্যাকচুয়ালি ইনকারেক্ট। রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু করার ক্ষেত্রে যে দেরি হচ্ছে, সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই এটি একটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।’ ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু না করায়ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিন্দে করেন অন্নপূর্ণা। তিনি জানান, রাজ্যে বকেয়া রয়েছে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ এবং পকসো মামলা। কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সব মিলিয়ে নিষ্পত্তি হয়নি ৮১ হাজার ১৪১টি মামলার। এই পরিসংখ্যান গত ৩০ জুন পর্যন্ত। রাজ্যে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ এবং পকসো মামলা বকেয়া রইলেও, রাজ্য এখনও ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু করেনি। অথচ পকসো কোর্ট কিংবা ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে এই আদালত এক্সক্লুসিভ হতে পারে।’

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    ভারতীয় (PM Modi) ন্যায় সংহিতার অধীনে ইতিমধ্যেই কঠোর আইন রয়েছে বলেও চিঠিতে (Mamata Banerjee) মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজারও সংস্থান রয়েছে বলেও জানান (PM Modi) মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share