Author: user

  • Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? তারাপীঠে পুজো কবে, জানেন?

    Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? তারাপীঠে পুজো কবে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে (Hinduism) বিভিন্ন তিথিতে দেবী কালী মায়ের (Goddess Kali) নানা রূপের আরধানা করা হয়ে থাকে। শক্তি রূপে দেবীর আরাধনা বাংলায় বেশ জনপ্রিয়। ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা পড়ে, তাই কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) রূপে পালন করা হয়। এদিন ভক্তরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে মায়ের পুজো করে থাকেন।

    কবে পড়েছে অমাবস্যা?

    এই বছর কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) পড়েছে ১ সেপ্টেম্বর, রবিবার (বাংলা তারিখ ১৫ ভাদ্র)। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার (বাংলা তারিখ ১৬ ভাদ্র) অহরাত্র থাকবে এই কৌশিকী অমাবস্যা। ছাড়বে ৩ সেপ্টেম্বর (বাংলা তারিখ ১৭ ভাদ্র) সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে।

    পৌরাণিক সূত্র

    এই কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya) সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। মার্কণ্ডেয় পুরাণ সূত্র থেকে জানা যায়, মহাপরাক্রমী দৈত্য ভ্রাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভ ব্রহ্মাদেবের পরম ভক্ত ছিলেন। সাধনায় তুষ্ট হয়ে ভগবান ব্রহ্মা (Lord Brahma) তাঁদের বর দিয়ে বলেন, “তোমরা ত্রিভুবনে অবধ্য হবে। তবে কখনও যদি কোনও অযোনিসম্ভবা নারীর সঙ্গে তোমাদের সংঘাত ঘটে তবে ওই নারীর দ্বারাই তোমরা বধ হবে। তাই এই কথাগুলি স্মরণে রেখো।” ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভ ভাবতে শুরু করেন, ত্রিভুবনে কোনও নারীই  মাতৃগর্ভজাত না হয় জন্মলাভ করতে পারবেন না, তাই আমরা অমর। আমাদের মৃত্যু ভয় নেই। এই অসুরদ্বয় প্রথমেই স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করেন। দেবকুল তখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহাদেবের শরণাপন্ন হন।

    দেবী কৌশিকীর জন্ম

    মহাদেব (Lord Shiva) ঠাট্টার ছলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণা পার্বতীকে (Goddess Parvati) ডেকে বলেন, ‘হে কালীকে, তুমি এই বিপদ থেকে দেবতাদের রক্ষা করো।’ জনসমক্ষে পতিমুখে কালীকে সম্বোধন শুনে দেবী পার্বতী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তৎক্ষণাৎ মানস সরোবরে গিয়ে নিজেকে অভিষিক্ত করে নিজ গাত্রের সকল কৃষ্ণবর্ণ কোষগুলিকে পরিত্যাগ করে এক অসামান্যা সুবর্ণ রূপ ধারণ করে নিজেকে প্রকট করেন। অপর দিকে, পার্বতীর দেহ থেকে ফেলে দেওয়া কোষ থেকে আর এক দেবী আবির্ভুত হন। সেই দেবীর নাম কৌশিকী (Kaushiki Amavasya)। দেবী কৌশিকীর আবির্ভাবের পর দেবী ভগবতী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন এবং দেবী কালিকা বা কালী নামে পরিচয় লাভ করেন।

    অমাবস্যায় অসুর বধ

    দেবী কৌশিকী (Kaushiki Amavasya) অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধা সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে ধ্বংস করে দেন। এই ঘটনাটি ভাদ্র মাসের প্রথম অমাবস্যায় ঘটেছিল। পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে ধরাধামে খ্যাত হয়।

    বিশ্বাস, তন্ত্রমত ও শাস্ত্র মতে পুজো করা হয়

    ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথি যে সকল মানুষ ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, সাধনা এবং ঈশ্বর বিশ্বাসী তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। কৌশিকী অমাবস্যার সঙ্গে তারাপীঠের অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। বিশ্বাস, তন্ত্রমত ও শাস্ত্র মতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেবীর পুজো করলে অশুভ শক্তির বিনাস ঘটে। তন্ত্রশাস্ত্র মতে গুপ্ত সাধনায় এই দিনে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়।

    বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়েছিলেন

    কথিত আছে, ওই অমাবস্যা তিথিতেই বামাক্ষ্যাপাকে দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে তারাপীঠ (Tarapith) মহাশ্মশানে দর্শন দিয়েছিলেন। অমাবস্যার এই বিশেষ তিথিতে সাধক বামাক্ষ্যাপা (Sadhak Byamakhyapa) তারাপীঠের মহাশ্মশানের শিমূল গাছের তলায় মা তারার (Tara Maa) আরাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। লোকমুখে প্রচলিত কাহিনি সূত্রে শোনা যায়, দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে ওই বিশেষ অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে বিরাজিতা থাকেন। সেই কারণে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ওই দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাবেশ ঘটে। ভক্তগণের বিশ্বাস, ওই দিন মাকে পূজা করলে ভক্তগণের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়

    দেবী কৌশিকী এবং তারা মা অভিন্ন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়। এই স্নান কুম্ভস্নানের সমতুল্য। বিশেষ এই তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya) দিন বাড়ি রাখুন পরিচ্ছন্ন। পুরনো ছেঁড়া কোনও জামাকাপড় থাকলে তা ফেলে দিন। সন্ধ্যের পর বাড়ির তুলসী মঞ্চে তিলের প্রদীপ জ্বালালে তা সংসারে কোনও নেতিবাচক শক্তিকে প্রবেশ করতে দেয় না। এই তিথি কেবলমাত্র হিন্দুশাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: “আপনার মুখোশ খুলব”, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    RG Kar Incident: “আপনার মুখোশ খুলব”, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ ও ধর্ষককে দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য আগামী মঙ্গলবার থেকে বসতে চলেছে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দেবেন বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলায় বিজেপি ধর্না মঞ্চ (Dharmatala Dharna Mancha) থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলায় বিজেপি ধর্না মঞ্চে (Dharmatala Dharna Mancha) শুভেন্দু বলেন, “আপনার মুখোশ আমি খুলব। আগামী মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে দেব। আর আগামী সোমবার আবার তথ্য তুলে ধরব সবার সামনে। আপনাকে বলছি, ব্যাগ গোছান আপনি।” তিনি আরও বলেন, “২৭ তারিখে রাজ্যের মানুষ সাড়ে তিন ঘণ্টা নবান্নকে নড়িয়েছে। ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় থরথর করে কেঁপেছিলেন। বাধাপ্রাপ্ত হওয়া সত্বেও মহিলা মোর্চার সদস্যরা মহিলা কমিশনের বাইরে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে এসেছে। এবার রাজ্য সরকারকে বিজেপি সিনেমা দেখাবে। একদিন নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া হবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পুজো কবে আসবে, সেই দিন গুনছেন। তাহলেই তো মানুষ পুজোয় মেতে যাবে, আর আন্দোলনটা বন্ধ হয়ে যাবে”।

    আরও পড়ুন: ৯৩ ডাক্তারকে শোকজ! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামার শাস্তি?

    সুকান্তর সওয়াল

    বিজেপির ধর্না মঞ্চে (Dharmatala Dharna Mancha) এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন বিজেপি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, তাপস রায়-সহ আরও অনেকেই। গত ৭২ ঘণ্টায় রাজ্যে যে ছয়টি শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচ জনই নাবালিকা। বালুরঘাটে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে একজন নাবালিকার ধর্ষণের (RG Kar Incident) অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই জেলার হরিরামপুর অঞ্চলের আদিবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সময় থাকতে তিনি যেন বুঝে যান যে, এই রাজ্যের মানুষ আর তাঁকে চাইছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পায় ৷ তাই ধর্না মঞ্চ করতে দিতে চাইছিলেন না” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Issue: টেলিমেডিসিন পরিষবা দেবেন আন্দোলনকারীরা, চালু হচ্ছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    RG Kar Issue: টেলিমেডিসিন পরিষবা দেবেন আন্দোলনকারীরা, চালু হচ্ছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Issue) মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। এরই মধ্যে তাঁরা ঘোষণা করলেন, আজ শনিবার অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট থেকে ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা দেবেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার রাতে এই ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই পরিষেবার জন্য কয়েকটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে। ৮৭৭৭৫৬৫২৫১, ৮৭৭৭৫৬৯৩৯৯, ৮৭৭৭৫৭৯৫১৭, ৬২৯০৩২৬০৭৯ এই নম্বরগুলিতে হোয়াটস্‌অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে পরিষেবা। এ ছাড়াও ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামক একটি কর্মসূচিরও আয়োজন করেছে। শনিবার থেকে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু করতে চলেছেন তাঁরা।

    অভয়া ক্লিনিক (RG Kar Issue)

    অন্যদিকে রবিবার জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors) স্বাস্থ্য শিবির করবেন, এর নাম দেওয়া হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে তাঁকেই যে এই লড়াই উৎসর্গ করা হচ্ছে, ক্লিনিকের নামেই তার প্রমাণ। শুক্রবার নিজেদের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’। আন্দোলনকারীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের ৫ দফা দাবির একটাও পূরণ হয়নি। সেকারণেই তাঁরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবারও তাঁরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। প্রয়োজনে তাঁকেও তদন্তের আওতায় (RG Kar Issue) আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা।

    ৪ সেপ্টেম্বর বিচার পেতে আলোর পথে কর্মসূচি পালন

    লালবাজার অভিযানেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা। সুবিচারের আশায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বিচার পেতে আলোর পথে কর্মসূচি পালন করতেও নাগরিক মহলকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ১০টা অবধি ঘরের আলো বন্ধ রেখে মোমবাতি বা প্রদীপ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে আবেদন (RG Kar Issue) করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘পুলিশি স্লোগানে’র নেপথ্যে কে জানেন, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পুলিশি স্লোগানে’র নেপথ্যে কে জানেন, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) স্লোগান দিতে হল খোদ পুলিশকে! অবশ্য রাস্তায় নামেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনতার পাল্টা স্লোগান দিয়ে পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর গুডবুকে থাকতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের স্লোগান দেওয়ার নেপথ্যে কে রয়েছেন, হাটে হাঁড়ি ভেঙে সে কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, পুলিশের এহেন পোস্টের জন্য নির্দেশ রয়েছে আইপিএস সুপ্রতীম সরকারের।

    নজির ভেঙে স্লোগান পুলিশের (Suvendu Adhikari)

    ঘটনার সূত্রপাত নবান্ন অভিযানের দিন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সেই কর্মসূচি পালনের সময় জনতা স্লোগান দেয়, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’। এর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সমাজ মাধ্যমে বেনজিরভাবে স্লোগান দেয় পুলিশ। উর্দিধারীদের পদস্থ একাধিক কর্তা জনতার স্লোগানের ধাঁচে লেখেন, ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।’ পুলিশের এই পাল্টা স্লোগানেরই উৎস সন্ধানে নেমে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর দাবি

    শুক্রবার তিনি দাবি করেন, এহেন পোস্টের নেপথ্যে রয়েছেন সুপ্রতীম। শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে পেটাতে পেটাতে চ্যাংদোলা করে তুলে এনেছিলেন যিনি, সিপিএমের সেই ব্লু আইড বয় সুপ্রতীম সরকার এখন এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “কাল আমি ১৫-২০ জন আইসি, ওসির কাছ থেকে প্রথম খবর পাই, তাঁরা আমায় কনফিডেন্সিয়াল ফোন করে বলেন, স্যর ক্ষমা করে দেবেন, করতে বাধ্য হচ্ছি। সুপ্রতীম সরকারের নির্দেশ।”

    ‘জায়েন্ট কিলার’(বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পরে সবাই শুভেন্দুকে চেনেন এই নামেই।) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ওপর নির্ভর করেই রয়েছেন। যে সব আইপিএস নিজের ভালো পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেন, নিজের ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন, আরামে থাকছেন, নিজেদের বিলাসবহুল লাইফ লিড করছেন, পুলিশের সেই শ্রেণির অফিসাররা নিচুতলার কর্মীদের বাধ্য করছেন এই ধরনের পোস্ট করতে।”

    আরও পড়ুন: ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    প্রসঙ্গত (Suvendu Adhikari), সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ-সহ কয়েকজন পদস্থ কর্তার পাশাপাশি (RG Kar Incident) নিচুতলার অনেক পুলিশ কর্মীও (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rally:  ‘চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, আটকাতে পারবেন?’, রাজ্যকে প্রশ্ন অমৃতা সিনহার

    RG Kar Rally: ‘চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, আটকাতে পারবেন?’, রাজ্যকে প্রশ্ন অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে বুদ্ধিজীবী-আইনজীবীদের মিছিল (RG Kar Rally) করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  শান্তিপূর্ণ মিছিলে যে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না, সেই বার্তা আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার কলকাতায় আরও একটি মিছিলের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামতে চেয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি বলে আদালতে দ্বারস্থ হতে হয়। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। অবশেষে আদালত মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে।

    মিছিল করা নিয়ে আদালতে আবেদন! (RG Kar Rally)

    নির্যাতিতার মা-বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, “যেভাবে এক একটা দিন চলে যাচ্ছে তাতে মেয়েটা সুবিচার পাবে তো?” সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর মিছিল (RG Kar Rally) করতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানান বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবীদের একাংশ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মিছিল করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। রবীন্দ্রসদন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করতে চান তাঁরা। ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটারারি বেঙ্গল’-এর তরফে এই মিছিল হওয়ার কথা। আদালতে  শুনানি শুরু হলে, রাজ্য জানায় যে মিছিলের সময় নিয়ে আপত্তি আছে তাদের। সংগঠনের তরফে আইনজীবী বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। ৩ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র সদন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এক হাজার জনের মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু সময় বদলাতে চাইছে রাজ্য, কারণ ওই সময় অফিস ছুটি হয়। পরে, সময় ছাড়া রাজ্য কোনও আপত্তি না করায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে অনুমোদন দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিয়েছেন?

    মিছিলের (RG Kar Rally) অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, “মিছিলের কারণে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জয়েন্ট কমিশনার আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি দেবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবেন তাঁরা। চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, শুধু সময় বেঁধে দিয়ে আপনি কি সেটা আটকাতে পারবেন?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে গত মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান হয়। তারপরে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে সংগঠনের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে (Sayan Lahiri)। এবার গ্রেফতার হওয়া ছাত্র নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, আজ শনিবার দুপুর দুটোর মধ্যে ছাত্র নেতাকে ছাড়তে হবে। এর পাশাপাশি আদালতে নির্দেশ ছাড়া সায়ন লাহিড়ির বিরুদ্ধে কোনও রকমের পদক্ষেপও নেওয়া যাবে না। এই নির্দেশে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘সম্মানীয় আদালতের হস্তক্ষেপে রাজ্যের যুবকদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমি সায়ন লাহিড়ির মুক্তির নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। অবৈধভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই সময়টাকে যুবকদের জয় বলে পালিত করা হোক।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘লড়াই চালিয়ে যাও, আওয়াজ ওঠাও।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চলে শুনানি (Calcutta High Court)

    ছাত্রনেতা সায়নের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হয়। এই মামলাটির শুনানি ছিল শুক্রবার, বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। সেখানে বিচারপতি সিনহা সায়ন লাহিড়িকে ছেড়ে দেওয়া নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি বিচারপতি আরও জানিয়েছেন যে আদালতের অনুমতি ছাড়া আগামী দিনে কোনও বড় পদক্ষেপ করা যাবে না সায়নের বিরুদ্ধে। শুধু নবান্ন অভিযান নয়, এর পাশাপাশি অন্য যেকোনও কিছুতে যদি এফআইআর থাকে সেক্ষেত্রে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবারে সায়নের গ্রেফতারি নিয়ে অনেক প্রশ্নই তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে যে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? বিচারপতি অমৃতা সিনহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন এদিন। তিনি জানান, আরজি কর ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি হলে ওই ঘটনার জন্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ দায় এড়াতে পারেন না। তাঁকে কি হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে?

    অনেক রাজনৈতিক নেতাও তো প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, সায়ন কোন রাজনৈতিক দলের নেতা? রাজ্য জানায়, তিনি ছাত্রনেতা। যা শুনে বিচারপতি সিংহের প্রশ্ন, ওই ছাত্রনেতাকে কী ভাবে এত প্রভাবশালী বলা হচ্ছে? তিনি কি এতই জনপ্রিয় যে ডাক দিলেন আর হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে গেল? তাঁর কী অতীত রয়েছে? সায়ন কি সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন? না কি গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল! পাল্টা বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘অনেক রাজনৈতিক নেতাও তো প্ররোচনামূলক ভাষণ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? তা ছাড়া ওই ছাত্রনেতা সরাসরি নবান্ন অভিযানের অশান্তিতে জড়িত, এমন কোনও তথ্য নেই।’’ এ ছাড়া সায়নকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: ৯৩ ডাক্তারকে শোকজ! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামার শাস্তি?

    Tamluk: ৯৩ ডাক্তারকে শোকজ! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামার শাস্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রতিবাদ আন্দোলন চলাকালীনই ৯৩ জন ডাক্তারকে শোকজ করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট ভাঙার অভিযোগ তুলে শোকজ করা হয়েছে বলে খবর। চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামার কারণেই চিঠি দেওয়া হয়েছে এই ডাক্তারদের। যদিও জেলা (Tamluk) স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছে আরজি করের ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।

    একসঙ্গে শোকজ কেন

    তমলুকে (Tamluk) একসঙ্গে ৯৩ জন ডাক্তারকে শোকজ করা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তালিকায় রয়েছেন বহু নামী চিকিৎসকরা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত ৯৩জন ডাক্তার। ডাক্তারদের পাশাপাশি প্রায় ৭০টি নার্সিংহোমেও নোটিস পাঠানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।  উল্লেখ্য তমলুক শহরে মোট আশিটির কাছাকাছি নার্সিংহোম রয়েছে। এই সমস্ত নার্সিংহোমগুলি থেকে স্বাস্থ্য সাথীর বিল খতিয়ে দেখতে গিয়ে  চিকিৎসকদের এই অনিয়মের পর্দা ফাঁস হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। সেখানে দেখা গিয়েছে একটি নার্সিংহোম থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অপর একটি নার্সিংহোমে একই ডাক্তার একই সময়ে দুটি রোগীর অপারেশন করছেন এবং সেই বিল স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আনা হচ্ছে। এরপরই শোকজ করা হয় ডাক্তারদের। তবে, তমলুকের চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র পক্ষে জোরালো অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনায় চিকিৎসকরা রাস্তায় নামার কারণেই এধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, আগে কেন দেখা হয়নি? অনিয়ম থাকলে অবশ্যই জবাব দিতে হবে চিকিৎসকদের, কিন্তু সেটা আরজিকরের ঘটনার মধ্যে কেন?

    আরও পড়ুনঃ ঘটনার দিন কাকে কাকে ফোন? সন্দীপের বয়ানের সঙ্গে কল রেকর্ড মেলাচ্ছে সিবিআই

    চিকিৎসকদের দাবি

    আইএমএ তমলুক (Tamluk) শাখার সম্পাদক চিকিৎসক কল্যাণময় বসু বলেন, “আমরা আইএমএ থেকে খবর পেয়েছি। একসঙ্গে ৯৩ জনকে নোটিস আন্দোলনের সময় এটা দেখতে হবে। এই আন্দোলনে তো সবস্তরের মানুষ যোগ দিয়েছেন। সিএমওএইচ কেন নোটিস দিলেন, যাচাই করে দেখব।” বিজেপির তমলুক নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, “এতদিন কি সিএমওএইচ ঘুমোচ্ছিলেন? যেই আরজি করের (RG Kar Incident) জাস্টিস চেয়ে পথে নেমেছেন, তাই এই নোটিস দিয়েছেন। এমনিই তো নার্সিংহোমগুলো কোনও আইন মানে না।” যদিও তমলুক শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক আইনজীবী দেবদূত মিদ্যার বক্তব্য, আইন বলে দিয়েছে ডাক্তারদের কী ভূমিকা। তাই সেটা ওনারা ভালই জানেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়ায় বিস্ফোরণে দুজনের মৃ্ত্যু, এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বাঁকুড়ায় বিস্ফোরণে দুজনের মৃ্ত্যু, এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) লাউপাহাড়ি এলাকায় বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর উত্তোলনের জন্য ডিনামাইট নিয়ে যাচ্ছিলেন দু’জন। তা ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের! ঘটনার পর পরই শালতোড়া থানার পুলিশ জখমদের প্রথমে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা (Bankura)

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার ঝনকা গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডল এবং আরও একজন তাঁদের বাইকে ডিনামাইট নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তা ফেটে গিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।” এই পোস্ট করে তিনি রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার এবং বাঁকুড়ার এসপিকে ট্যাগও করেছেন। অনুরোধ জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা না এড়িয়ে যেতে এবং কড়া ব্যবস্থা নিতে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের দেহ পুড়িয়ে ফেলার জন্য তাড়াহুড়ো করছে পুলিশ। তাই এনআইএ-কে তদন্তভার নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি এই পোস্টের মাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে, জয়দেব মণ্ডল শালতোড়া এলাকার অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর উত্তোলনের জন্য ডিটোনেটর সাপ্লাই করতেন। তৃণমূলকে দুষেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শালতোড়া এলাকায় অবৈধ পাথর খাদানে বিস্ফোরণের ঘটনা আগের থেকে আরও বেড়েছে তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর কারণে! আর এই কাজের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশও যুক্ত। গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। অনুগ্রহ করে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য এনআইএ-র ডিজি-র কাছে তিনি আর্জি জানান।”

    <

    বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারটি গ্রাম!

    শালতোড়ার (Bankura) বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, “বিস্ফোরণের আওয়াজ এতটাই ছিল যে অন্তত চারটি গ্রাম কেঁপে উঠেছে। যে ছবি দেখেছি তাতে স্পষ্ট, জয়দেব বিস্ফোরক নিয়েই যাচ্ছিলেন। পুলিশ বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paralympics 2024: টোকিও-র পর প্যারিস! প্যারালিম্পিক্সে ইতিহাস সোনার মেয়ে অবনীর, শুভেচ্ছা  প্রধানমন্ত্রীর

    Paralympics 2024: টোকিও-র পর প্যারিস! প্যারালিম্পিক্সে ইতিহাস সোনার মেয়ে অবনীর, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দ্বিতীয়বার প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024) সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন অবনী লেখারা। মাত্র ২২ বছর বয়সে, টোকিও থেকে প্রথমবার সোনা যেতেন অবনী লেখারা। এবার নিজের ২৪৯.৬ স্কোরের রেকর্ড নিজেই ভেঙে ২৪৯.৮ স্কোর করেন লেখারা। ২০২৪ সালের প্যারালিম্পিকে, তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে সোনা জিতেছেন। প্যারা অলিম্পিক্সে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সাফল্যকে কুর্নিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    শ্যুটিংয়ে পরপর পদক

    শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিস প্যারা গেমস (Paralympics 2024) থেকে এল সোনা সহ জোড়া পদক। মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল স্ট্যান্ডিং এসএইচ১ ইভেন্টে নেমেছিলেন অবনী লেখারা (Avani Lekhara) ও মোনা আগরওয়াল (Mona Agarwal)। দু’জনই ভারতের পদকের খাতায় অবদান রাখলেন। জয়পুরের মেয়ে অবনীর পাশাপাশি প্যারিস প্যারা গেমসে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল স্ট্যান্ডিং এসএইচ১ বিভাগে ২২৮.৭ পয়েন্ট অর্জন করে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন মোনা আগরওয়াল। আর কোরিয়ার ইউরি লি ২৪৬.৮ পয়েন্ট অর্জন করে এই ইভেন্টে রুপো পেয়েছেন।

    রুপো মণীশের

    সার্বিক ভাবে প্যারা অলিম্পিকের (Paralympics 2024) শুরুটা ভালই হল ভারতের জন্য। মহিলাদের শুটিংয়ে পদক জিতেছেন মোনা আগরওয়াল এবং অবনী লেখারা। পুরুষদের শুটিংয়ে পদক এসেছে মণীশ নরওয়ালের হাত ধরে। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের এসএইচ১ বিভাগে রূপো জিতলেন মণীশ। এদিন ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম থেকেই সোনা জয়ের দৌড়ে ছিলেন মণীশ। কিন্তু মাঝের দিকে কয়েকটি শট ঠিক লক্ষ্যে মারতে না পারায় সোনার দৌড় থেকে ছিটকে যান। তবে দেশকে হতাশ করেননি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে রূপো জেতেন তিনি। 

    স্প্রিন্টে প্রথম পদক

    প্যারিস প্যারা অলিম্পিক্সে  (Paralympics 2024) ভারত বর্তমানে রয়েছে দশ নম্বরে। মহিলাদের টি-৩৫ বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতের প্রীতি পাল। প্যারা অলিম্পিকের স্প্রিন্টে এই প্রথম পদক জিতল ভারত। প্রীতি ইভেন্টের ফাইনালে দৌড় শেষ করলেন মাত্র ১৪.২১ সেকেন্ডে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা, শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা, শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার আরজি কর (RG Kar) কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এই নিয়ে রাজভবনের সূত্রে জানানো হয় যে এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছেন রাজ্যপাল (West Bengal Governor)। আরজি কর কাণ্ডের আবহে সারা বাংলা যেভাবে উত্তাল হয়েছে, সেই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ব্যাখা করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর আগে গত ২০ অগাস্ট দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তখনও আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যে আন্দোলন, সে সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে।

    তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা (RG Kar) ফাস্ট ট্র্যাক মোডে বিচার হবে

    এদিন রাজ্যভবনের তরফে জানানো হয়, রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের (West Bengal Governor) তরফে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ফাস্ট ট্র্যাক মোডে বিচার হবে। রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, আরজি করের নিহত তরুণীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে হৃদয় বিদারক চিঠি পাওয়ার পরেই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের বক্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানান। এছাড়া, বাংলার পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মিছিল ও জনরোষ প্রসঙ্গেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির প্রতিনিধিরা আগেই রাজভবনে যান

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তারপরে বুধবার তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলাগাম আক্রমণ করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর অনেক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বুধবার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছিলেন। মমতার মন্তব্য ‘বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে’, বলে অভিমত সুকান্তর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেছেন সুকান্ত। এরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share