Author: user

  • RG Kar Incident: ‘তালা লাগাও অভিযান’কে ঘিরে ধুন্ধুমার, কী বললেন বিজেপি নেত্রীরা?

    RG Kar Incident: ‘তালা লাগাও অভিযান’কে ঘিরে ধুন্ধুমার, কী বললেন বিজেপি নেত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসূচির নাম ‘তালা লাগাও অভিযান’। আয়োজক বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চা। শুক্রবার বিজেপির এই কর্মসূচিকে ঘিরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এদিন সল্টলেকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনে তালা লাগাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির মহিলা মোর্চা। বিক্ষোভকারীদের রুখতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে পুলিশ।

    কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার (RG Kar Incident)

    মহিলা কমিশনের অফিসে ঢুকতে না পেরে রাস্তার ওপরেই বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। এদিন তাঁদের মুখে ছিল, ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। পুলিশ মিছিল আটকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই দু’পক্ষে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দলকে কমিশনের অফিসে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

    কমিশনের অফিসে তালা

    এর পরেই ভেতরে যান প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল এবং দেবশ্রী চৌধুরী-সহ মোট পাঁচজন। লকেটরা যখন অফিসে ঢোকেন, তখন দফতরে ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনের অফিসে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেয় বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে শ্যামবাজারের ধর্নামঞ্চ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

    এদিনের কর্মসূচি শেষে পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তোলে (RG Kar Incident) বিজেপি। লকেট বলেন, “আমাদের অবৈধভাবে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি। এয়ারপোর্টের আড়াই নম্বর গেটের কাছেও, আমাদের কর্মীদের আটকানো হয়। যত বাধা দেবে, তত এগোব।” তিনি বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের ভয় পাচ্ছেন। কত আটকাবে? গোটা রাজ্যের মানুষই তো পথে নেমেছেন।”

    বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমরা কোনও বাধা মানব না। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের কর্মসূচির জেরে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই এত পুলিশ দিয়ে আমাদের আন্দোলন আটকানোর চেষ্টা করছেন।” এদিনের কর্মসূচিতে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও। তিনি বলেন, “রাজ্যে মহিলাদের ওপর প্রতিদিনই অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে (BJP)। এই সব ঘটনার জন্য মহিলা কমিশনের কোনও পদক্ষেপই চোখে পড়ছে (RG Kar Incident) না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে বলেছিল ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যা মামলায় এবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করল সুচরিতা মজুমদারকে। নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে তিনিই ফোন করে প্রথমে অসুস্থ এবং পরে আত্মহত্যার তথ্য দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রথম থেকেই গোটা ঘটনাটিকে আড়াল করেছিল অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে মৃত চিকিৎসকের পরিবার। ন্যায় বিচারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন।  

    মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)

    সুপ্রিম কোর্টে, আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা বলেছেন, “তাঁর আচরণ খুব সন্দেহজনক।” বৃহস্পতিবার ইতিমধ্যে তিনটি অডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। এই অডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ও মৃতার পরিবারের মধ্যে কথপোকথনের। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দেহ উদ্ধারের পর অনেক ছাত্র-ছাত্রী এবং আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন ওখানে। চেস্ট বিভাগের প্রধান  সুচরিতাকে মৃতার বাড়িতে ফোন করতে বলা হয়। যেহেতু তাঁর বাড়িতে বয়স্ক লোক রয়েছেন, তাই বিচলিত না হওয়ার জন্য প্রথমে অসুস্থতার কথা বলা হয়। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার ফোন করে আবার অসুস্থার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনেক সময় ধরে পরিবার হাসপাতালে না আসায়, এরপর আবার ফোন করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ ঘটনার দিন কাকে কাকে ফোন? সন্দীপের বয়ানের সঙ্গে কল রেকর্ড মেলাচ্ছে সিবিআই

    ঘাবড়ে গিয়ে আত্মহত্যার বার্তা!

    সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নিজে ঘটনায় ঘাবড়ে গিয়ে আত্মহত্যার বার্তা দিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, নাকি কেউ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন? সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ‘অত্যন্ত সন্দেহজনক’। তাই সিবিআই স্ক্যানারেই রেখেছে ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে। গোটা ঘটনায় পুলিশের এফআইআর দায়ের করার সময়, ময়নাতদন্তের সময়, ঘটনাস্থলের ক্রাইম সিন এবং সেই সেমিনার হল-সহ ইত্যাদি নিয়ে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। পুলিশ এবং হাসপাতাল (RG Kar Rape-Murder) কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: সহকর্মীর হত্যার বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতরে অভিযানের ডাক

    RG Kar Rape-Murder: সহকর্মীর হত্যার বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতরে অভিযানের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যাকাণ্ডে মৃত মহিলা চিকিৎসকের ন্যায় বিচারের দাবিতে শনিবার মহামিছিলের ডাক দিলেন ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, “আমাদের সহকর্মীর নৃশংস নির্মম খুনের প্রতিবাদে মহামিছিল করে অভিযান হবে সিবিআই দফতর (CBI office) পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের জেলায় জেলায় একাধিক সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন সোচ্চার হয়েছে। চারিদিকে একটাই দাবি, দোষীর শাস্তি চাই। বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    ‘সিবিআইকে তথ্য-নথি দেব'(RG Kar Rape-Murder)

    ইতিমধ্যে কলকাতার রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে (RG Kar Rape-Murder) শামিল হয়েছেন ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালেও তাঁদের বিক্ষোভ ধর্না জারি রয়েছে। ডাক্তার মানস গুমটা বলেন, “সারা রাজ্য থেকে কয়েক হাজার ডাক্তার শনিবার মিছিলে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। আমরা অভয়ার দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। সেই সঙ্গে ধর্ষক এবং খুনিরা যাদের ছত্রছায়ায় ছিল, তাদের কঠোর সাজা চাই। এই দাবি নিয়ে আমরা পদযাত্রা করব। মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্স (CBI office) পর্যন্ত যাব। তবে যদি আমাদের সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ থাকে, তাহলে আমরা কথা বলব। আমাদের কাছে যা তথ্য এবং নথি রয়েছে, তা আমরা তুলে দেওয়ারও চেষ্টা করব।”

    আরও পড়ুনঃ আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

    ২০ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন

    ইতিপূর্বে জুনিয়র ডাক্তাররা সহকর্মীর নির্মম হত্যার (RG Kar Rape-Murder) বিরুদ্ধে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করেছিলেন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস আরজিকর হাসপাতালে প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ের সামনে ধর্নায় বসেছিল। স্বাস্থ্য ভবন অভিযান হয়েছিল। সরকার পক্ষের সঙ্গে আশানুরূপ কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি। এবার ন্যায় বিচার এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সিবিআই দফতর (CBI office) অভিযান করবেন চিকিৎসকরা। এদিকে, টানা ২০ দিন ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজে যোগদান করতে অনুরোধ করা হয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 31 August 2024: প্রেমে অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 31 August 2024: প্রেমে অশান্তি মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ২) মায়ের দিক থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) শেয়ার বাজার নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) মন শান্ত থাকবে না।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল দিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। 

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমে অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিন।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) আশা পূরণ হবে।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে গিয়ে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) সমাজের কাজে সুনাম পাবেন।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishnu Sahasranamam: ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    Vishnu Sahasranamam: ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুর সহস্রনাম (Vishnu Sahasranamam) কমবেশি আমরা সকলেই শুনেছি। ছন্দ-উচ্চারণে শ্রুতি মধুর এই সংস্কৃত মন্ত্রমালা মনকে শান্তির জগতে নিয়ে যায়। বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ বলতে বোঝায় ভগবান বিষ্ণুর হাজার (Lord Vishnu) নাম নেওয়া। হিন্দু পণ্ডিতরা বলেন, ‘‘বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করলে আমাদের চারপাশে এক ইতিবাচক শক্তি বলয় তৈরি হয়, যা খালি চোখে দেখা যায় না ঠিকই। কিন্তু তার প্রভাবে ধীরে ধীরে জীবনটা বদলে যেতে শুরু করে।’’ ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান বিষ্ণুর (Vishnu Sahasranamam) আশীর্বাদে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে জীবনের নিরাপত্তা যে অনেকটাই বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পণ্ডিতদের আরও মত, প্রতিটি দেবতার আরাধনা করার জন্য বিশেষ দিন রয়েছে। যেমন, শনিবার কালীর, মঙ্গলবার বগলামুখীর। শিবের বিশেষ দিন হল সোমবার। তেমনই বৃহস্পতিবার হল ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করার বিশেষ দিন। তবে প্রতিদিনই বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করা যেতে পারে। ভক্তদের বিশ্বাস, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে শুদ্ধ শরীর এবং বস্ত্রে বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করলে জীবনে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এই প্রতিবেদনে বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠে কী কী ফল মেলে তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি বিষ্ণুর সহস্রনামের উৎপত্তি কোথায়, সেই বিষয়েও আলোকপাত করা হবে।

    মহাভারতের অনুশাসন পর্বে প্রথম উল্লেখ মেলে বিষ্ণু সহস্রনামের (Vishnu Sahasranamam)

    মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ১৪৯তম অধ্যায়ে প্রথম বারের জন্য বিষ্ণুর সহস্রনামের (Vishnu Sahasranamam) উল্লেখ পাওয়া যায়। পিতামহ ভীষ্ম যখন কুরুক্ষেত্রের ময়দানে মৃত্যু শয্যায় ছিলেন, তখন পাণ্ডব পুত্র যুধিষ্ঠির তাঁকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটা ছিল, ‘‘হে পিতামহ এমন কোন দেব বা দেবী রয়েছেন যাঁর নাম নিলে অফুরন্ত শান্তির সন্ধান মিলবে, সঙ্গে সমৃদ্ধি এবং উন্নতিও আসবে?’’ প্রত্যুত্তরে ভীষ্ম পিতামহ বলেছিলেন, ‘‘প্রতিদিন হাজার বার বিষ্ণুর নাম নাও, দেখবে সব সমস্যা মিটে যাবে, মিলবে সুখ সাগরের সন্ধান।’’ ভক্তদের বিশ্বাস সেই থেকেই বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠের উপকারিতা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষ্ণুর সহস্রনামের উপকারিতার বিষয়ে যে শুধু মহাভারতেই লেখা রয়েছে এমনটা নয়। পদ্ম পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ এবং গরুড় পুরাণেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, নানা সময় আদিগুরু শঙ্করাচার্যও বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠের উপকারিতার ওপর আলোকপাত করেছেন।

    বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠে কী কী ফল মেলে?

    ১. গ্রহ দোষ সব কেটে যায়, জীবনে আসে সৌভাগ্য: জ্যোতিষীরা বলছেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান যখন বদলায়, সেই মতো আমাদের জন্ম কোষ্ঠীতে কোনও গ্রহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তো কোনও কোনওটা বেজায় দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, কিছু গ্রহের প্রভাবে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আর ঠিক এই পরিস্থিতিকেই গ্রহ দোষ বলা হয়ে থাকে।’’ এক্ষেত্রে জ্যোতিষীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করলে যে কোনও ধরনের গ্রহ দোষ তো কেটে যায়ই, সেই সঙ্গে খারাপ সময় কেটে যেতেও দেরি হয় না। বিষ্ণুর সহস্রনাম (Lord Vishnu) জীবনে নিয়ে আসে সৌভাগ্য। আর ভাগ্য যখন একবার সঙ্গ দিতে শুরু করে, তখন জীবনের প্রতিটা দিন যে আনন্দে ভরে ওঠে, তা তো বলাই বাহুল্য!

    ২. টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যায়: শাস্ত্র মতে, এক মনে বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করলে চারপাশে ইতিবাচক শক্তির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে তার প্রভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি খুব দ্রুত হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠে যে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটে যায়। প্রসঙ্গত, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে এক মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে দেবতা এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়।

    ৩. দুশ্চিন্তা দূর হয়, মন ভরে ওঠে ইতিবাচক শক্তিতে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এক মনে ভগবান বিষ্ণুর নাম নিলে শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে মানসিক চাপ তো কমেই, দুশ্চিন্তা এবং অ্যাংজাইটিও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ব্যস্ত দুনিয়ায় সবাই ছুটছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ সম্পর্কিত নানা রোগ। তাই মনের গভীরে প্রশান্তি লাভ করতে বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করার পরামর্শ দিচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    ৪. যে কোনও সমস্যা মিটে যায় সহজেই: শাস্ত্র মতে, বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করলে যে কোনও ধরনের বাধা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। কর্মক্ষেত্রে বা বাড়িতে যে কোনও সমস্যাও মিটে যায় নিমেষেই। প্রতিদিন তাই বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করতে বলছেন পণ্ডিতরা।

    ৬. যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা মেলে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বিষ্ণুর সহস্রনাম পাঠ করলে মন ও মস্তিষ্কে বিপুল পরিমাণে ইতিবাচক শক্তি মজুত হয়। এর প্রভাবে যে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে খারাপ সময়ও কেটে যায়। শুধু তাই নয়, কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকের খারাপ প্রভাব থেকেও রক্ষা মেলে। সেই সঙ্গে শত্রুদেরও জয় করা যায়। বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করলে জীবন অনেক নিরাপদ হয়ে ওঠে।

    ৭) মনসংযোগ বৃদ্ধি করে: পড়ায় মন বসে না, এমন ছাত্রছাত্রীদের বিষ্ণু সহস্রনাম জপ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। বিষ্ণু সহস্রনাম গভীর মনসংযোগ তৈরি করাতেও সক্ষম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    Ramakrishna 118: “অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়?”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীযুক্ত মনোমোহন ও শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রের বাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ

    সুরেন্দ্র দাদা ও সদরওয়ালার পদ—জাতিভেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এইবার সুরেন্দ্রের বাড়িতে আসিয়াছেন। আসিয়া দোতালা বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্রের মোজোভাই সদরওয়ালা, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। অনেক ভক্ত ঘরে সমবেত হইয়াছেন। ঠাকুর সুরেন্দ্রের দাদাকে বলিতেছেন (Kathamrita), আপনি জজ, তা বেশ, এটি জানবেন সবই ঈশ্বরের শক্তি। বড় পদ তিনিই দিয়েছেন, তাই হয়েছে। লোকে মনে করে আমরা বড়লোক; ছাদের জল সিংহটা মুখওয়ালা নল দিয়ে পড়ে, মনে হয় সিংহটা মুখ দিয়ে জল বার কচ্ছে। কিন্তু দেখ কোথাকার জল। কোথা আকাশে মেঘ হয়, সেই জল ছাদে পড়েছে, তারপর গড়িয়ে নলে যাচ্ছ; তারপর সিংহের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে।

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা—মহাশয়, ব্রাহ্ম সমাজের বলে স্ত্রী-স্বাধীনতা; জাতিভেদ উঠিয়ে দাও; এ-সব আপনার কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঈশ্বরের উপর নূতন অনুরাগ হলে ওইরকম হয়। ঝড় এলে ধুলো ওড়ে, কোনটা আমড়া, আর কোনটা তেঁতুলগাছ, কোনটা আমগাছ বোঝা যায় না। ঝড় থেকে গেলে, তখন বোঝা যায়। নবানুরাগের ঝড় থেকে গেলে ক্রমে বোঝা যায় যে, ঈশ্বরই শ্রেয়ঃ নিত্যপদার্থ আর সব অনিত্য। সাধুসঙ্গ তপস্যা না করলে এ-সব ধারণা হয় না! পাখোইয়াজের বোল মুখে বললে (Kathamrita) কি হবে; হাতে আনা বড় কঠিন। শুধু লেকচার দিলে কি হবে; তপস্যা চাই, তবে ধারণা হবে।

    জাতিভেদ? কেবল এক উপায় জাতিভেদ উঠিতে পারে। সেটি ভক্তি। ভক্তের জাতি নাই। অস্পৃশ্য জাত শুদ্ধ হয়—চণ্ডাল ভক্ত হলে আর চণ্ডাল থাকে না! চৈতন্যদেব আচণ্ডালে কোল দিয়েছিলেন।

    ব্রহ্মজ্ঞানীরা হরিনাম করে, খুব ভাল। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে (Kathamrita) তাঁর কৃপা হবে, ঈশ্বরলাভ হবে।

    সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায়। এক ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকে। যেমন একঘাটের জল হিন্দুরা খায়; বলে জল; আর-একঘাটে খ্রীষ্টানরা খায়, বলে ওয়াটার; আর-একঘাটে মুসলমানেরা খায়, বলে পানি।”

    সুরেন্দ্রের ভ্রাতা — মহাশয়, থিওজফি কিরূপ বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— শুনেছি নাকি ওতে অলৌকিক শক্তি (Miracles) হয়। দেব মোড়লের বাড়িতে দেখেছিলাম একজন পিশাচসিদ্ধ। পিশাচ কত কি জিনিস এনে দিত। অলৌকিক শক্তি নিয়ে কি করব? ওর দ্বারা কি ঈশ্বরলাভ হয়? ঈশ্বর যদি না লাভ হল তাহলে সকলই মিথ্যা!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja donation) ফেরত দিল কলকাতার একটি নামী ক্লাব। এর আগে, হুগলির চারটি ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে, এই প্রথম কলকাতার কোনও ক্লাব একই পথে হাঁটল। এই বছর দুর্গাপুজোয় আয়োজক ক্লাবগুলিকে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদানের কোথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Rape-Murder) এবার এই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করল গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’ উদ্যোক্তারা।

    মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)

    গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আরজি কর হাসপাতলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান (Durga Puja donation) করা হচ্ছে। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য এই সিদ্ধান্ত। পুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা প্রতিবাদ স্বরূপ গ্রহণ করলাম না।’’ একই ভাবে এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিবছর আমরা মা দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমরা দেখছি বর্তমান তৃণমূল সরকার মাকে নিয়ে আসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে, আর বিসর্জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার কথা বলা হচ্ছে। আমরা নির্যাতিতার বিচার চাই। একজন মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

    আমারা সরকারি অর্থে পুজো করব না

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে আগেই উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব তৃণমূল সরকারের পুজোর অনুদান প্রত্যাখান করেছে। উত্তরপাড়ার মহিলাদের পুজো ‘বৌঠান সঙ্ঘ’,  ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’— এই তিনটি ক্লাব অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে। তিনটি ক্লাবের বক্তব্য, “আমরা সরকারি অর্থে পুজো করব না। আগে মহিলা চিকিৎসক খুনের ন্যায় বিচার চাই।” ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে চিঠি করা হয়েছে। এরপর কোন্নগরের ক্লাব ‘মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’ একই পথে হেঁটেছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, “প্রতিবাদের ফলে যদি পরের বছর রাজ্য অনুদান (Durga Puja donation) না দেয়, তাহলেও আমাদের পুজো আটকাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীর দায়!

    উল্লেখ্য, রাজ্যে মমতার সরকার প্রতি বছর রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিয়ে থাকে। আগে টাকার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। এই বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে সেই অঙ্ক ৮৫ হাজার টাকা করেছেন। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খরচ মকুব করেছেন। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতলে শিক্ষানবিশ-চিকিৎসককে ধর্ষণ (RG Kar Rape-Murder) করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতা হওয়ায় ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পরেন না, এমনটাই দাবি তুলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে নেমেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ওই স্কুলপড়ুয়া। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    নির্যাতিতার পরিবার (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবাচ-মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে, মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার মা বলেন, “পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। আমরা আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছি। যেই এসেছি, অমনি ও আমাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল।” এদিকে, রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার বাড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই বিষয় নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তৃণমূল নেতার ছেলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি, তাকে খুন করারও চেষ্টা করেছিল। সে নিজেও একজন তৃণমূল কর্মী।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এই ঘটনা নতুন নয়। তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করতে চেয়েছিল। আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব। পাল্টা তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, আইন আইনের পথে হাঁটবে। তা সে অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হলেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দাপট কমে রাজ্যের আবহাওয়া (Weather Update) কিছুটা ঝরঝরে হয়েছিল। কিন্তু, সেটাও বেশিদিন আর স্থায়ী হল না। নতুন করে নিম্নচাপের জেরে আবার বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর রোদ-মেঘের খেলা চলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার থেকেই ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তবে এই নিম্নচাপে বাংলায় ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলেই ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের। নিম্নচাপে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায়। গুজরাট লাগোয়া আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

    মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা (Weather Update)

    আলিপুর (Kolkata) আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৯ অগাস্ট উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নতুন করে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপটি তৈরি হবে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের ওপর থাকা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে রাতলাম, দামহো, সিদ্ধি, চুর্ক, দিঘা হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া আছে। ২৯ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা। সমুদ্র উত্তাল হবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি দু-এক পশলা চলবে। হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল, বিশেষ করে শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বেশ কয়েকটি জেলায়। ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাতেই থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং,কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 30 August 2024: কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 30 August 2024: কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পড়াশোনার জন্য বিদেশযাত্রা হতে পারে।

    ২) গৃহনির্মাণের সুযোগ হাতছাড়া না করাই ভালো হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) ভালো যুক্তির জন্য তর্কে জিততে পারেন। 

    ৩) আশাপূরণ।

    মিথুন

    ১) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে কথা রাখার চেষ্টা করুন।

    ৩) ভালোই কাটবে সারাদিন।

    কর্কট

    ১) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ২) বাড়িতে মনোমালিন্য হতে পারে। 

    ৩) প্রতিকূলভাবে কাটবে দিনটি।

    সিংহ

    ১) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ২) দরকারি কাজ দ্রুত মেটান।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ২) গুরুজনদের পরামর্শে ব্যবসায় অগ্রগতির আশা রাখতে পারেন। 

    ৩) অপ্রত্যাশিত লাভ।

    তুলা

    ১) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) গৃহনির্মাণের জন্য অর্থব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    বৃশ্চিক

    ১) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ২) অন্য কেউ পরামর্শ দিলে তা না নেওয়াই শ্রেয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ২) কোনও বন্ধুর সৌজন্যে কর্মে জটিলতা কেটে যেতে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    মকর

    ১) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা পড়তে পারে।

    ২) প্রতিযোগিতামূলক কাজে এগিয়ে যেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) পারিবারিক শান্তি বজায় থাকবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    মীন

    ১) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ২) শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share