Author: user

  • Amit Shah: বীজাপুরে মাও হামলা, ফের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শাহ

    Amit Shah: বীজাপুরে মাও হামলা, ফের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেড লাইন বেঁধে দিয়েছিলেন আগেই। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আরও একবার জানিয়ে দিলেন, ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই দেশ থেকে নকশালদের (Naxal Elimination) সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে। ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দ্বারা নিহতদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

    মাও হামলা (Amit Shah)

    সোমবার দুপুর ২টো ১৫ নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মাও-দমন অভিযান সেরে এসইউভি গাড়িতে চড়ে বীজাপুরের কুটরু রোড এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এই সময় আচমকাই ঘটে আইইডি বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় জওয়ানদের গাড়িটি। শহিদ হন ৯ জন জওয়ান।

    কী লিখলেন শাহ?

    ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে শোক জ্ঞাপন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “এই শোককে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব, তবে আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে আমাদের সেনাদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। আমরা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ভারতের মাওবাদী সন্ত্রাস (নকশালবাদ) সমাপ্ত করব।” গত দুবছরে এটিই ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মাওবাদীদের সব চেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এটি চলতি বছরে ছত্তিশগড়ে চতুর্থ মাওবাদী হামলার ঘটনা। গত ৩ জানুয়ারি গড়িয়াবন্দ জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এনকাউন্টারে ৩ মাওবাদীর মৃত্যু হয়।

    প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের (Amit Shah) এদিনের ঘটনা জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর হামলার স্মৃতি উসকে দিল। পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ওই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান।

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    এদিকে, ছত্তিশগড়েরই দক্ষিণ আবুজমাদে শনিবার গভীর রাতে গুলি বিনিময় হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের। এনকাউন্টার চলাকালীনই উদ্ধার হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাক পরা ৪ মাওবাদীর দেহ। সোমবার সকালে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় (Amit Shah) আরও এক মাওবাদীর (Naxal Elimination) দেহ। মৃত ৫ জনের মধ্যে ২জন মহিলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় আটকে গেল শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Update: পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় আটকে গেল শীত, বাড়ছে তাপমাত্রা, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়ছে রাজ্যে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় বাধা পড়েছে শীতের পারদে। অপর দিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিন দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি বেশি। পুরুলিয়া জেলা ছাড়া দক্ষিণের আর বাকি কোনও জেলায় তাপমাত্রা (Rising Temperatur) ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। ফলে তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়তে শুরু করেছে।

    জাঁকিয়ে শীত পড়ার বিষয়টা আর থাকছে না(Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন আরও তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়বে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার বিষয়টা আর থাকছে না। হাড় কাঁপানো শীতের আমেজ থাকবে না। মোটামুটি ২ থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তারপর আবার পারদের কিছুটা মান নামবে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শনিবারের থেকে দুই ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে এই ভাবে তাপমাত্রা (Rising Temperatur) বেড়ে যাচ্ছে। আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার এই প্রভাব থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গে এই সময় জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে সমস্যা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় ব্যাপক কুয়াশা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    উত্তরে তুষারপাতের সম্ভাবনা

    একই ভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রবিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা (Weather Update) থাকবে। মঙ্গলবারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিন দিন পর উত্তারের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নতুন করে দুই ডিগ্রি (Rising Temperatur) কমতে পারে। সিকিমের উপরের অংশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    তাপমাত্রা কোথায় কত?

    রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update) ছিল পুরুলিয়ায়, ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পঙের তাপমাত্রাও ছিল পুরুলিয়ার চেয়ে বেশি ৯.৫ ডিগ্রি। পুরুলিয়া ছাড়া দক্ষিণের আর কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল না। সব জায়গাতেই ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে পারদ (Rising Temperatur)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Singer Abhijeet Bhattacharya: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    Singer Abhijeet Bhattacharya: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনামে এসেছেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য (Singer Abhijeet Bhattacharya)। ফের খবরের হেডলাইন তিনি। কারণ, মহাত্মা গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের জনক’ বলেছেন তিনি। গায়কের এহেন মন্তব্যে বেজায় ক্ষিপ্ত (Mahatma Gandhi Remark) আইনজীবী অসীম সারোডে। গান্ধীকে নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণে ক্ষমা চাইতে হবে বলিউডের গায়ককে। এই দাবি জানিয়েই বাঙালি গায়ককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অসীম।

    কী বললেন সঙ্গীত শিল্পী? (Singer Abhijeet Bhattacharya)

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলার এই সঙ্গীত শিল্পী বলেন, “সুরকার আরডি বর্মন মহাত্মা গান্ধীর চেয়েও বড় ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী যেমন জাতির জনক, তেমনই আরডি বর্মন ছিলেন সঙ্গীত জগতের জনক।” এর পরেই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন বাঙালি গায়ক। বলেন, “মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জনক ছিলেন, ভারতের নয়। ভারতবর্ষের অস্তিত্ব তো ছিলই, পাকিস্তান পরে তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভুল করেই ভারতে গান্ধীকে জাতির জনক বলা হয়। পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য তিনিই দায়ী।”

    আইনীজীব সারোডে

    এতেই চটেছেন আইনীজীব সারোডে। লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে, ফৌজদারি মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পুণের এই আইনজীবী। আইনি নোটিশ পাঠিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি দেশের সম্মানকে চ্যালেঞ্জ করা। মহাত্মা গান্ধী একজন জাতির জনক। তাঁর প্রতি এমন অবমাননাকর মন্তব্য সহ্য করা হবে না।” পুণের ওই আইনজীবী বলেন, “যদি অভিজিৎ এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তবে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বাধ্য হব।” তাঁর দাবি, এমন মন্তব্য দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত অবমাননাকর (Singer Abhijeet Bhattacharya)।

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    অভিজিতের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন সঙ্গীত জগতেরও অনেকে। গান্ধীজি সম্পর্কে এহেন মন্তব্য দেশের ঐতিহ্যকে ছোট করার সমান। বিশেষত, জাতির জনক সম্পর্কে এমন আপত্তিকর মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেই দাবি গায়ক সমাজের। প্রসঙ্গত, অভিজিতের এহেন মন্তব্য একেবারেই নতুন নয়। নানা সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। শাহরুখ খান, সলমন খান, রণবীর কাপুর সহ অনেক বলিউড (Mahatma Gandhi Remark) তারকার বিরুদ্ধে আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি (Singer Abhijeet Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় প্রায় ৪০ কোটি মানুষের সমাগম হতে পারে! বিশেষ পরিকল্পনা রেলের

    Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় প্রায় ৪০ কোটি মানুষের সমাগম হতে পারে! বিশেষ পরিকল্পনা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে প্রায় ৪০ কোটি মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (North Central Railway)। এটি ভিড় পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।” মহাকুম্ভ মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন উত্তর মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শশীকান্ত ত্রিপাঠী।

    ৪০ কোটি মানুষ প্রয়াগরাজে আসবেন (Mahakumbh 2025)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সিভিল প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে যে কুম্ভমেলার সময় প্রায় ৪০ কোটি মানুষ প্রয়াগরাজে আসবেন। ভিড় পরিচালনা আমাদের কাছে একটি বড় বিষয়।” পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে তীর্থ করতে পারেন, তাই সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে উত্তর মধ্য রেল। বিশৃঙ্খলা ও ভিড় এড়াতে রাস্তা করা হবে একমুখী। নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে যাত্রীদের পাঠানো হবে যাত্রী-কেন্দ্রে। এতে এড়ানো যাবে বিভ্রান্তি, হ্রাস পাবে ভিড়।

    ৫০ দিনে ১৩ হাজার ট্রেন

    মহাকুম্ভ মেলায় বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীর চাহিদা মেটাতে ভারতীয় রেল ৫০ দিনের মধ্যে ১৩ হাজারটি ট্রেন চালাবে। এর মধ্যে থাকবে ১০ হাজারটি নিয়মিত ট্রেন এবং ৩ হাজারটি বিশেষ ট্রেন। তিনি বলেন, “৫০ দিনের মধ্যে কুম্ভমেলার জন্য ১৩ হাজারটি ট্রেন চলবে। এর মধ্যে ১০ হাজারটি নিয়মিত ট্রেন এবং ৩ হাজারটি বিশেষ ট্রেন। প্রায় ৭০০টি মেলা স্পেশাল দূরপাল্লার ট্রেন চলবে। স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলবে (Mahakumbh 2025) প্রায় ১৮০০টি।” তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি রিং রেল পরিচালনা করছি, যা চিত্রকূট, বারাণসী এবং অযোধ্যা সহ প্রয়াগরাজে যেতে ইচ্ছুক ভক্তদের জন্য থাকবে। এই ট্রেন প্রয়াগরাজ থেকে একটি সার্কিটে চলবে।”

    আরও পড়ুন: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে হয় কুম্ভমেলা। আর ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। অর্থাৎ এর আগে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৪৪ বছর আগে। এবার মেলা চলবে ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গঙ্গা, যমুনা ও কল্পিত সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে (North Central Railway) মহাকুম্ভ। মেলায় ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন আকর্ষণ থাকবে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 241: “হরিনামের রোল আঙিনার ভিতর মুহুর্মুহুঃ হইতেছে, সেই ধ্বনি রাজপথে পৌঁছিয়া সহস্র কণ্ঠে”

    Ramakrishna 241: “হরিনামের রোল আঙিনার ভিতর মুহুর্মুহুঃ হইতেছে, সেই ধ্বনি রাজপথে পৌঁছিয়া সহস্র কণ্ঠে”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পেনেটীর মহোৎসবক্ষেত্রে রাখাল, রাম, মাস্টার,

    ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১৮ই জুন

    ঠাকুর সংকীর্তনানন্দে— ঠাকুর কি শ্রীগৌরাঙ্গ?

    পেনেটীর মহোৎসবে শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাব 

    শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের আঙিনা মধ্যে নৃত্য 

    ঠাকুর শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের (Ramakrishna) আঙিনায় আবার নৃত্য করিতেছেন। কীর্তনানন্দে গরগর মাতোয়ারা। মাঝে মাঝে সমাধিস্থ হইতেছেন। আর চতুর্দিক হইতে পুষ্প ও বাতাসা চরণতলে পড়িতেছে। হরিনামের রোল আঙিনার ভিতর মুহুর্মুহুঃ হইতেছে। সেই ধ্বনি রাজপথে পৌঁছিয়া সহস্র কণ্ঠে প্রতিধ্বনি হইতে লাগিল। ভাগীরথীবক্ষে যে-সকল নৌকা যাতায়াত করিতেছিল তাহাদের আরোহিগণ অবাক্‌ হইয়া এই সমুদ্রকল্লোলের ন্যায় হরিধ্বনি শুনিতে লাগিল ও নিজেরাও ‘হরিবোল’ ‘হরিবোল’ বলিতে (Kathamrita) লাগিল।

    পেনেটীর মহোৎসবে সমবেত সহস্র সহস্র নরনারী ভাবিতেছে, এই মহাপুরুষের ভিতর নিশ্চই শ্রীগৌরাঙ্গের আবির্ভাব হইয়াছে। দুই-একজন ভাবিতেছে ইনিই বা সাক্ষাৎ সেই শ্রীগৌরাঙ্গ।

    ক্ষুদ্র আঙিনায় বহুলোক একত্রিত হইয়াছে। ভক্তেরা অতি সন্তর্পণে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে বাহিরে আনিলেন।

    শ্রীমণি সেনের বৈঠকখানায় শ্রীরামকৃষ্ণ 

    ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে শ্রীযুক্ত মণি সেনের বৈঠকখানায় আসিয়া উপবেশন করিলেন। এই সেন পরিবারদেরই পেনেটীতে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের সেবা। তাঁহারাই এখন বর্ষে বর্ষে মহোৎসবের আয়োজন করিয়া থাকেন ও ঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) একটু বিশ্রাম করিলে পর মণি সেন ও তাঁহাদের গুরুদেব নবদ্বীপ গোস্বামী ঠাকুরকে কক্ষান্তরে লইয়া গিয়া প্রসাদ আনিয়া সেবা করাইলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে রাম, রাখাল, মাস্টার, ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তদেরও আর-একঘরে বসান হইল। ঠাকুর ভক্তবৎসল—নিজে দাঁড়াইয়া আনন্দ করিতে করিতে তাঁহাদিগকে খাওয়াইতেছেন (Kathamrita)।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor sale: শিক্ষা, স্বাস্থ্য রসাতলে, মদ বিক্রিতে এগিয়ে চলেছে রাজ্য, ফের রেকর্ড কলকাতার!

    Liquor sale: শিক্ষা, স্বাস্থ্য রসাতলে, মদ বিক্রিতে এগিয়ে চলেছে রাজ্য, ফের রেকর্ড কলকাতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য মদ বিক্রিতে (Liquor sale) ফের রেকর্ড গড়ল। বড়দিন থেকে ইংরেজি বর্ষবরণ পর্যন্ত মোট ৮ দিনে কলকাতার মদের (Calcutta Record) দোকানগুলিতে ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। রাজ্যের বড় আয়ের উৎস এখন মদের দোকান! তবে এই ভাবনা অমূলক এই মদ সুরারসিকরা ব্যবসার উন্নিতির কথা মাথায় রেখে পান করেছেন। নেশা সমাজের জন্য সব সময় ক্ষতিকারক, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমাজ তথা দেশ রাষ্ট্রের জন্য এই সংবাদ কখনই লাভজনক নয়। বিরোধীদের তোপ, তৃণমূলের কাছে উন্নয়নের মডেল এখন মদ বিক্রি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেখানে রসাতলে, সেখানে রাজ্যে সরকারি মদতে চলছে দেদার মদ বিক্রির মোচ্ছব!

    বঙ্গ এখন মদবিক্রির মুক্তাঞ্চল (Liquor sale)

    উল্লেখ্য, বিহার, গুজরাতের মতো রাজ্যে যেখানে মদ বিক্রির (Liquor sale) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে, তুলনায় বঙ্গ এখন মদ বিক্রির মুক্তাঞ্চল। যে রাজ্যের হালকা, মাঝারি এবং ভারী শিল্পের কোনও সম্ভাবনা নেই, সেই রাজ্যে উৎসব-অনুষ্ঠানে মদ বিক্রি একটা বড় ব্যাপার। অবশ্য রাজ্যের শাসক দল এমনটাই মনে করে। তবে রাজ্যবাসী মনে করছেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে মদ বিক্রি কার্যত ধ্বংসাত্মক ভাবনারই প্রকাশ। 

    দোকান এবং পানশালয় ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি

    রাজ্যের আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আট দিনে কলকাতার বিভিন্ন দোকান এবং পানশালয় ১৩৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি (Liquor sale) হয়েছে। এই বিক্রি গত বছরের তুলানায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। আবগারি দফতরের কলকাতায় চারটি বিভাগীয় জেলা রয়েছে-কলকাতা উত্তর (Calcutta Record), কলকাতা দক্ষিণ, আলিপুর, বিধাননগর। সূত্রে জানা গিয়েছে আলিপুর জেলায় সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা দক্ষিণ, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা উত্তর এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিধাননগর। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধু আলিপুরে ৪২ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে সাধারণ সময়ে আলিপুরে প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি টাকা হয়। এবার আলিপুরে গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বিক্রি হয়েছে। এই দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের  ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসবের মরসুমে, সাধারণ সময়ের তুলনায় প্রায় দুইগুণ কলকাতায় মদ বিক্রি বেড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    ২০২১ সালে মদ বিক্রিতে দেশে দ্বিতীয় ছিল বাংলা

    উল্লেখ্য ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় এই রাজ্য মদ বিক্রিতে (Liquor sale) দ্বিতীয় স্থানে ছিল। অর্থনৈতিক সংস্থা আইসিআরআইইআর সমীক্ষা করে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মোট ১.৪ কোটি মানুষ মদ্যপান করেন। রাজ্যে সরকারের সবথেকে বেশি আয়ের উৎসগুলির মধ্যে আবগারি দফতর একটি বড় কেন্দ্র। তাই হয়তো শাসক মদ্যপানকে পরক্ষে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আবার ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোর ৫ দিনে জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলায়। তবে দশমীর দিনে সব থেকে রেকর্ড পরিমাণ মদ বিক্রি ছিল। মোট ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। যার মধ্যে দশমীর দিন ছিল ৯৪ লক্ষ টাকা। এখন প্রশ্ন মদ বিক্রি কি রাজ্যের ভবিষ্যৎ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    Passport Fraud Case: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে (Passport Fraud Case) এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল পাসপোর্ট তৈরির ঘটনায় বড় মাথা ছিলেন সমরেশ। তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আব্দুল হাই। তদন্তে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল ৯। জানা গিয়েছে, এই অফিসার কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police Officer arrest) সিকিউরিটি কন্ট্রোলের অফিসে কাজ করতেন। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে এক অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রতি পাসপোর্ট পিছু ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন (Passport Fraud Case)

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর (Calcutta Police Officer arrest) গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কার্যত কুমিরের ছানা যেন শিয়ালের কাছে রাখার মতো শোনাচ্ছে। রক্ষক এখন ভক্ষক। যার হাতে সমাজকে সুরক্ষিত রাখার কথা তিনি এখন জালিয়াতি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, এই অফিসার এক বছর আগে নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। হাবড়া থেকে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করেছে। ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টি পাসপোর্টের এনকোয়ারিং অফিসার ছিলেন এই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই। অভিযোগ রয়েছে প্রতি পাসপোর্ট পিছু তিনি ২৫ হাজার করে টাকা নিতেন। মূলত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন এবং এখানেই নিজে টাকার বিনিময়ে বেআইনি কাজ করতেন। এখন এই ধরনের কাজে যদি পুলিশ যুক্ত থাকেন, তাহলে জালিয়াতি কারবার নিয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত যে রয়েছে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়। এই রাজ্য কি তাহলে জঙ্গিদের জন্য সুরক্ষিত মুক্তাঞ্চল? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে।

    আরও পড়ুনঃ “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন”

    প্রসঙ্গত এই পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Fraud Case) মামলায় আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদেরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই প্রাক্তন পুলিশকর্মী আব্দুল হাই-এর (Calcutta Police Officer arrest) নাম পাওয়া গিয়েছে। এই ভূয়ো মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা অরিন্দম আচার্য অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “অর্থের লোভে সমাজের রক্ষকরা প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। টাকা দিয়ে জালিয়াতির কারবার মাকড়সার মতো জাল বিস্তার করেছে। আমাদের রাজ্যের গোয়েন্দাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিণাম। চোরা কারবারিরা একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়ছে। তাদের আটকানোর কোনও চেষ্টা রাজ্য সরকার করছে না। প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিরাট ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    RG Kar Case: “একজনের পক্ষে অসম্ভব”, আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে একমত ধৃতের আইনজীবীও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনের পক্ষে অসম্ভব!” আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) চিকিৎসক-তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার পরিবার (Victims Family) এবং আসামিপক্ষ কার্যত একই সুরে জানাল আদালতে। শনিবার শিয়ালদা আদালতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। ৫৭ পাতার একটি লিখিত বক্তব্যে বিচারকের কাছে এই আবেদন করেছেন তাঁরা।

    কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না (RG Kar Case)!

    ধর্ষক এবং খুনির ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Case)। আদালতে হাজির ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। শুনানিতে প্রশ্ন করেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও। তবে দুই পক্ষের বক্তব্যে অমিল থাকলেও একটি বিষয়ে তারা একমত যে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পিছনে কোনও একজন ব্যক্তির হাত ছিল না। মামলার তদন্তে প্রথমে পুলিশ এবং পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, দুই ক্ষেত্রেই প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে একজনের নামই উঠে এসেছে। এই সিভিক ভালান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে চার্জশিটে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিবিআই আরও জানিয়েছে, আরও যারা যারা ঘটনার পিছনে রয়েছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ করে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

    ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?

    অভিযুক্ত কি একজন, নাকি একাধিক? এই নিয়ে দিল্লির এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মতামত জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। নির্যাতিতার শরীরে (RG Kar Case) যে সব আঘাত পাওয়া গিয়েছে তাতে ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। আবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংগৃহীত তথ্যপ্রমাণকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে ঠিক কতজন এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

    আরও পড়ুনঃ মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়

    নির্যাতিতার (RG Kar Case) আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, ‘‘এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসুক। আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও উঠে আসুক তদন্তে।’’ একই ভাবে পরিবারের (Victims Family) পক্ষে দাবি, “ধৃত সিভিক একা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়, নেপথ্যে আরও অনেক লোক রয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত করা হক। কারা কারা যুক্ত খুঁজে বার করে চার্জশিট জমা দেওয়া হোক।”

    অপর দিকে ধৃতের আইনজীবী আদালতে শুনানির সময় দাবি করেন, “সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং সিসিটিভির সাপেক্ষে বলা যায় একজনের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। পিছনে অনেকে রয়েছে। ধৃত এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সমাজে ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব, নীতিমালা এবং সিদ্ধান্ত গ্রামীণ ভারতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে।” শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ভারত মহোৎসব ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করেন তিনি। এই উৎসবটি ‘উন্নত ভারত ২০৪৭-এর জন্য একটি দৃঢ় গ্রামীণ ভারত নির্মাণ’ থিমের অধীনে গ্রামীণ ভারতের চেতনাকে তুলে ধরে (Rural India)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের অভিপ্রায়, নীতি এবং সিদ্ধান্তগুলি গ্রামীণ ভারতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করছে। আমাদের লক্ষ্য হল গ্রামীণ ভারতে ক্ষমতায়ন আনয়ন করা, যাতে গ্রামগুলিকে একটি গতিশীল উন্নয়ন ও সুযোগের কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করা যায়।” ভারতের উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই সেবা দেশের দূরবর্তী এলাকাগুলিতেও পৌঁছে যাচ্ছে। কোভিড যুগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেই সময় বিশ্ব সন্দেহ করেছিল যে ভারতীয় গ্রামগুলি কীভাবে এই সঙ্কট মোকাবিলা করবে।

    কোভিড মহামারী

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড মহামারীর সময়, বিশ্ব সন্দেহ প্রকাশ করেছিল যে ভারতীয় গ্রামগুলি কীভাবে এই সঙ্কট সামলাবে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত করেছিলাম যে টিকার সুবিধা প্রতিটি গ্রামের শেষ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছেছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক নীতির প্রয়োজন।  আমি গর্বিত যে গত ১০ বছরে আমাদের সরকার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি শ্রেণির জন্য বিশেষ নীতি এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে।” 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, সিবিআইকে সুপ্রিম-স্বস্তি

    এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের কাজের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের লাখো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল ও মৌলিক সুবিধা পৌঁছচ্ছে।” তিনি বলেন, “আজ, ১.৫ লাখের বেশি আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরে স্বাস্থ্যসেবার উন্নত অপশন পাচ্ছেন মানুষ। ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা দেশের সেরা ডাক্তার এবং হাসপাতালগুলিকে গ্রামগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করেছি এবং টেলিমেডিসিনের সুবিধাও গ্রহণ করেছি।” তিনি বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থনৈতিক নীতিগুলি গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি (Rural India) শ্রেণির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে (PM Modi)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Santipur Hospital: মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    Santipur Hospital: মহিলা চিকিৎসককে দ্বিতীয় ‘অভয়া’ করে দেওয়ার হুমকি হাসপাতাল সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা না শুনলে দ্বিতীয় অভয়া করে দেব। মহিলা চিকিৎসককে হুমকি সরকারি হাসপাতাল সুপারের। চরম আতঙ্কে অবশেষে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Santipur Hospital)। ওই মহিলা চিকিৎসকের নাম সুকন্যা রায়। তিন মাস আগে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Santipur Hospital)

    মহিলা চিকিৎসের (Santipur Hospital) অভিযোগ, “কাজে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতাল সুপার তারক বর্মন আমার ওপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। আমি প্যাথলজি বিভাগে কাজ করলেও আমাকে জোর করে জরুরি বিভাগে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। পাশাপাশি নাইট ডিউটি জোর করে করাতেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে হুমকি দিতেন হাসপাতাল সুপার। আমি নাইট ডিউটি করতে অস্বীকার করলে, আমাকে দ্বিতীয় অভয়া করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।” এরপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিরুপায় হয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং থানার দ্বারস্থ হন তিনি। শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত তারক বর্মনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি চাইছেন অবিলম্বে তাঁকে যেন এই হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করে স্বাস্থ্য দফতর।

    আরও পড়ুন: ৪ বছরের মধ্যে ৫০ হাজার কোটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি লক্ষ্য ভারতের, জানালেন রাজনাথ

    হাসপাতালের সুপার কী বললেন?

    ওই মহিলা চিকিৎসকের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর হাসপাতাল (Santipur Hospital) সুপার তারক বর্মন। তিনি বলেন, “ওই মহিলা চিকিৎসক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে যা বলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।” অন্যদিকে ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “আমি ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে ওই মহিলা চিকিৎসক নিজেও মানসিক রোগের ওষুধ খান। আমি জানিয়েছি, ওই চিকিৎসককে স্বাস্থ্য দফতর অন্যত্র স্থানান্তরিত করলে আমার কোনও আপত্তি নেই।”

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা সোমনাথ কর বলেন, “আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে পুরো বিষয়টি (Santipur Hospital) তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই থ্রেট কালচার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share