Author: user

  • Indian Astronaut: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এ বড় ঘোষণা

    Indian Astronaut: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছেন এক ভারতীয়, ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এ বড় ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক মহকাশ স্টেশনে (International Space Station) যাচ্ছেন এক ভারতীয় (Indian Astronaut)। আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিনি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হবে ওই মহাকাশচারীকে। এ খবর জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।

    এএক্স-৪ মিশন (Indian Astronaut)

    নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মহাকাশ অভিযানের নাম এক্সিওম স্পেস এএক্স-৪ মিশন। এই অভিযানে ভারত থেকে পাঠানো হবে দুই নভশ্চরকে। এঁরা হলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা ও প্রশান্ত বালকৃষ্ণণ নায়ার। বর্তমানে নাসায় চলছে এঁদের প্রশিক্ষণ। জানা গিয়েছে, এএক্স-৪ মিশনের জন্য ইসরো বেছে নিয়েছেন শুক্লাকে। আর নায়ার হবেন ব্যাকআপ ক্যান্ডিডেট। নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, “একজন ভারতীয় মহাকাশচারী আগামী এপ্রিলের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাবেন।” এবার আজ ২৩ অগাস্ট পালিত হবে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’। গত বছর এই দিনে চাঁদে ল্যান্ড করেছিলেন বিক্রম ল্যান্ডার। তারই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পালিত হবে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’। তার আগেই এক ভারতীয় মহাকাশচারীর (Indian Astronaut) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    জাতীয় মহাকাশ দিবসের থিম

    জাতীয় মহাকাশ দিবসের থিমও জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। এবার থিম হল, ‘টাচিং লাইভস হোয়াইল টাচিং দ্য মুন: ইন্ডিয়াজ স্পেস সাগা।’ এ উপলক্ষে এদিন ইসরোর তরফে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সায়েন্টিফিক ডেটা প্রকাশ করবে ইসরো। গবেষকরা যাতে এই ডেটা ব্যবহার করতে পারেন, তা-ই এই ব্যবস্থা। চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের বর্ষপূর্তিতে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে হাজারো অনুষ্ঠান হচ্ছে দেশজুড়ে। ভারত মণ্ডপমে ‘জাতীয় মহাকাশ ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ হ্যাকাথন’ ও ‘ইসরো রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জ’ জয়ীদের পুরস্কারও দেবেন তিনি। আসন্ন স্পেস মিশনের বিষয়ে বলতে গিয়ে ইসরোর সায়েন্টিফিক সেক্রেটারি সান্ত্বনু ভাটাদেকর বলেন, “ইসরো-নাসার (International Space Station) যৌথ অভিযান এনআইএসএআর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির পরেই লঞ্চ করা হবে (Indian Astronaut)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bjp: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি, আজ স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও

    Bjp: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি, আজ স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে বুধবার থেকেই শ্যামবাজারে বিজেপির (Bjp) পাঁচদিনের টানা ধর্না কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বহস্পতিবার রয়েছে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান। জানা গিয়েছে, অভিযানের উদ্দেশে কর্মীদের জমায়েত হতে বলা হয়েছে দুপুর একটা নাগাদ উল্টোডাঙা হাডকো মোড়ে। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে ঘিরে যে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটতে চলছে, তার আভাস সুকান্ত মজুমদার আগেই তাঁর বিবৃতিতে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির এই অভিযানে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিতে চলেছে সল্টলেক, এমনটাই মনে করছেন কেউ কেউ। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক দীপক বর্মন মাধ্যমকে ফোনে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন হল যাবতীয় দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা। হতে পারে নিহত চিকিৎসক জেনে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের (RG Kar Incident) দুর্নীতির কথা, তাই প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।’’ দীপকবাবু আরও জানিয়েছেন, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি থেকেই মূলত কর্মীরা আসবেন এই অভিযানে।

    কী বলছেন বিজেপি (Bjp) বিধায়ক অনুপ সাহা?

    অন্যদিকে দুবরাজপুরের বিজেপি (Bjp) বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রথমে তারা খুনের ঘটনাকেও অস্বীকার করে। এই কারণে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। আমাদের একটাই দাবি। সেটা হল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীও বটে। এই দাবিতে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি। তারই অংশ হল স্বাস্থ্য ভবন অভিযান।’’ এই অভিযানে শুধু বিজেপি কর্মীরাই নন, অনেক সাধারণ মানুষও অংশ অংশগ্রহণ করবেন বলে দাবি অনুপ সাহার।

    আজ দ্বিতীয় দিনে বিজেপির (Bjp) ধর্না কর্মসূচি

    কয়েকদিন আগেই শ্যামবাজারে যেখানে বুধবার থেকে অবস্থান শুরু হচ্ছে সেখানে মঞ্চ বাঁধা হলে পুলিশ তা ভেঙে দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই বিজেপি তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় অনড় থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করা হয়েছিল। ‌এরপরই বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে শ্যামবাজারে‌ ধর্না অবস্থান করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়। শ্যামবাজার এক নম্বর মেট্রো স্টেশন গেটের সামনে রাজ্য বিজেপির (Bjp) এই ধর্না অবস্থান প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সময় ধর্না মঞ্চে কারা থাকবেন? এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন জানান, বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী, প্রতাপ ব্যানার্জীর মতো দলের সিনিয়র নেতারা স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সময় ধর্না মঞ্চ সামলাবেন।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: নকশাল দমনের গতিপ্রকৃতি জানতে দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

    Amit Shah: নকশাল দমনের গতিপ্রকৃতি জানতে দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (PM Modi) জমানায় উপদ্রব কমেছে মাওবাদীদের (Anti Naxal Review Meet)। তবে এখনও নির্মূল হয়নি। ছত্তিশগড়ে এখনও মাঝেমধ্যেই হামলা চালায় ‘বনপার্টি’রা। এই মাওবাদীদের নির্মূল করে প্রত্যন্ত এলাকায়ও উন্নয়নের জোয়ার পৌঁছে দিতে পণ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই কারণেই দু’দিনের ছত্তিশগড় সফরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    নকশাল বিরোধী অভিযান নিয়ে মূল্যায়ণ (Amit Shah)

    ২৩ অগাস্ট ওই রাজ্যে যাচ্ছেন তিনি। এখানে তিনি নকশাল বিরোধী অভিযান নিয়ে মূল্যায়ণ করবেন। কথা বলবেন পুলিশ কর্তা ও নকশাল অধ্যুষিত পড়শি রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে। পুলিশ কর্তা ও মুখ্য সচিবদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হতে চলেছে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে। দেশে নকশাল-পীড়িত রাজ্য রয়েছে ৯টি। এই অঞ্চলকে রেড করিডর বলে। নকশাল দমনে এই রাজ্যগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কিনা, এবং নকশাল দমনে কতগুলি অভিযান চালানো হয়েছে, তাতে সাফল্যের হারই বা কেমন, এসবই জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শাহের সফর সূচি

    জানা গিয়েছে, ২৩ অগাস্ট রাতে রায়পুরে পৌঁছবেন শাহ। পরের দিন একাধিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। এই বৈঠকগুলির উদ্দেশ্যই হল, নকশাল-পীড়িত রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রেড করিডরে নিরাপত্তা এবং উন্নয়নমূলক কী কী কাজকর্ম হচ্ছে, তাও জানার চেষ্টা করবেন শাহ (Amit Shah)।

    আরও পড়ুন: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ছত্তিশগড়ের সর্বোচ্চ ১৫টি জেলায় মাওবাদীদের রমরমা। এগুলি হল, বীজাপুর, বস্তার, দান্তেওয়াড়া, ধামতাড়ি, কোন্দাগাঁও, মহাসামুন্ড, নারায়ণপুর, রাজনন্দগাঁও, মোহল্লা-মানপুর-আমবাগড়া চৌকি, ক্ষীরগড় চুইখান্ডান গান্ডাই, সুকমা, কবীরধাম এবং মুঙ্গেলি। ওড়িশার সাতটি জেলায়ও রয়েছে মাওবাদীদের দাপট। এগুলি হল, কালাহান্ডি, কান্ধামাল, বোলাঙ্গির, মালকানগিরি, নবরঙ্গপুর, নৌপাদা এবং রায়াগাদা। মাওবাদীদের উপদ্রব রয়েছে মহারাষ্ট্র-সহ আরও সাত রাজ্যেও।

    সরকারি পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় দেশে মাওবাদী হামলার ঘটনা কমেছে ৭৩ শতাংশ। নিরাপত্তা রক্ষী ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর হার কমেছে ৮৬ শতাংশ। ২০১০ সালে মাও হামলার বলি হয়েছিলেন ১ হাজার ৫ জন (Anti Naxal Review Meet)। ২০২৩ সালে সেটাই কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৩৮জনে (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Protest Rally: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল বিজেপির, পা মেলালেন কে জানেন?

    BJP Protest Rally: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল বিজেপির, পা মেলালেন কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডকে ঘিরে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি। বুধবার কলকাতার রাজপথে মিছিল করে পদ্ম-পার্টি (BJP Protest Rally)। শ্যামবাজারে ধর্নামঞ্চ গড়ে ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ স্লোগান দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেই একই দাবিতে মিছিল করা হল মৌলালি এলাকায়ও।

    মিছিলে রেখা, শুভেন্দু, বিবেক (BJP Protest Rally)

    মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিংয় মিছিল (BJP Protest Rally) করার জন্য প্রথমে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। আদালতের পক্ষ থেকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনে এদিন প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিলে পা মেলান ‘কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তুভ বাগচি, অঞ্জনা বসু, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিং, তাপস রায়ও। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রও ছিলেন মিছিলে। কৌস্তুভ বলেন, “২৭ তারিখ নবান্ন ছেড়ে পালাবে। মমতা রাজ্যকে শান্ত রাখতে চাইলে, রাজ্যের মঙ্গল চাইলে, হেলিকপ্টার, বিমান রেডি রাখুন। নবান্নর ছাদ থেকে চেপে পালান। শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছিলেন, মমতাকেও বাংলা ছেড়ে পালাতে হবে।” অর্জুনও জানান, ২৭ তারিখে নবান্ন ছেড়ে পালাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কী বললেন বিবেক?

    কালো টি-শার্ট পরে মিছিলে (BJP Protest Rally) হাঁটেন শুভেন্দু। তাতে লেখা, ‘দফা এক, দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। আরও অনেকের পরনেই ছিল ওই স্লোগান লেখা টি-শার্ট। বিজেপি-র সাংস্কৃতিক মঞ্চ ‘খোলা হাওয়া’র তরফেই এদিন মিছিল বেরোয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে মিছিল থেকে। মিছিলে যোগ দেন ‘কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক। বলেন, “আরজি করের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতেই শহরে এসেছি। আরজি করকাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কলকাতায় এমন হলে, গ্রামে কী হচ্ছে জানি না আমরা। আমার মতো মানুষ, যাঁদের কিছুটা হলেও, প্রভাব রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত, যাতে সকলের কাছে বার্তা পৌঁছয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন দেখে আশাহত আমি। বাংলা শেষ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কা থেকেই ছুটে এসেছি।”

    মিছিলে হাঁটল গোটা কলকাতা

    শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাস্তাটিকে অপবিত্র করে দিয়েছিলেন। আমরা আজ পবিত্র করলাম। ওদের ক্ষমতা ছিল ৫০০-৭০০। আজ হাঁটল গোটা কলকাতা। কেউ কাউকে ডাকেনি। আমাদের একটাই দাবি, দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।”  বিজেপি নেতা তাপস রায় বলেন, “বাংলার সর্বত্র যা হচ্ছে, তা হল সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। কেউ কাউকে ডাকেনি। আমাদের একটাই দাবি, দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। রাজনৈতিক জীবনে একসঙ্গে এত মানুষকে প্রতিবাদে নামতে দেখিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Singh: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    Kalyan Singh: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ অগাস্ট। ১৯২১ সালের এই দিনেই প্রয়াত হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ (Kalyan Singh)। তাঁর মৃত্যুদিনটিকে ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ হিসেবে পালন করল বিজেপি। কল্যাণের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান পালিত হয় ইন্দিরা গান্ধী প্রতিষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র সিংহ, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং এমএলএরা।

    আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী (Kalyan Singh)

    যে মানুষটিকে নিয়ে এত অনুষ্ঠানের আয়োজন সেই কল্যাণ সিংহ ছিলেন একজন (Ram Mandir) আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, এমন রাজ্যপাল যিনি তাঁর কথাকে সব সময় কাজে পরিণত করতেন। তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক, পরিশ্রমী নেতা। আদর্শের সঙ্গে কখনও আপোশ করেননি কল্যাণ। রাম জন্মভূমি আন্দোলন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সরকার থাকুক কিংবা যাক, মন্দির (রাম মন্দির) নিশ্চিতভাবেই তৈরি হবে।” রাজ্যপাল হিসেবে কল্যাণ সিংহ গ্রামীণ সম্প্রদায়, ছাত্র এবং অন্যদের আত্মোন্নতি এবং দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। রাজনীতির কারবারিদের মতে, কল্যাণ সিংহ ইতিহাসের অংশ নন, তিনি ছিলেন ইতিহাস রচয়িতা।

    আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান

    ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন কল্যাণ (Kalyan Singh)। ছোট থেকেই নীতি এবং আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান ছিলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তিনি ছিলেন লয়্যাল, নেতা হিসেবে দৃঢ়। দক্ষ সংগঠকও ছিলেন কল্যাণ। একজন আদর্শ মুখ্যমন্ত্রীর যেমন হওয়া প্রয়োজন, কল্যাণ ছিলেন তেমনই। রাজ্যপাল হিসেবেও তিনি ছিলেন অননুকরণীয়। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের কাঠামো ভাঙার সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ। এই সময়টা ভারতীয় ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯২ সালের ৬ অগাস্ট অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কল্যাণ ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। লিবারহান কমিশন যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, করসেবকরা মসজিদ ভাঙছে দেখেও গুলি না চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন?

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    গুলি না চালানোর নির্দেশ

    নির্ভীক কল্যাণের উত্তর, “আমি তো সব সময়ই বলে এসেছি যে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যা ঘটেছিল, তার পুরো দায় আমার। করসেবকদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশ আমিই দিয়েছিলাম।” মসজিদের কাঠামো ভাঙার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন কল্যাণ। তার আগেই অবশ্য তাঁকে বরখাস্ত করেছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে জেনেও কল্যাণ যেভাবে করসেবকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে তিনি একজন বহুলচর্চিত রাজনীতিক হয়েই থেকে গেলেন (Ram Mandir)। কল্যাণ প্রয়াত হয়েছেন তিন বছর আগে। তবে রেখে গিয়েছেন তাঁর উত্তরাধিকার।

    রাম জন্মভূমি ইস্যু

    রাম জন্মভূমি ইস্যুটি কল্যাণের রাজনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় কল্যাণকে। দ্রুত তিনি নিজেকে জাতীয় নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। শপথ নেন উত্তরপ্রদেশকে অপরাধমুক্ত করার। রাম জন্মভূমি এলাকার বিভিন্ন বাধা অপসারণের অঙ্গীকারও করেছিলেন কল্যাণ। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে অ-বিতর্কিত ৪২ একর জমি হস্তান্তর করেছিলেন কল্যাণ। অতিরিক্ত ২.৭৭ একর জমিও অধিগ্রহণ করেছিলেন। কল্যাণের জমি হস্তান্তরের এই সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়েছিল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শঙ্কররাও চ্যবন। চ্যবন তাঁকে (Kalyan Singh) এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, যদি উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ না মানে, তাহলে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী সরকারকে বরখাস্ত করা হবে।

    মন্দির নির্মাণ হবেই

    জমি হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে যখন কল্যাণ এবং কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব চলছে, তখন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছিলেন, “সরকার থাকুক কিংবা যাক, মন্দির নির্মাণ হবেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুমকি থেকে এটা স্পষ্ট, রাম মন্দির নির্মাণ এখন দাঁড়িয়েছে জনগণের বাধ্যবাধকতা বনাম সংবিধানের ৩৫৬ ধারার প্রশ্ন। যদি সরকার ও মন্দিরের মধ্যে আমায় যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়, আমি মন্দিরটাই বেছে নেব।” জমি হস্তান্তর প্রসঙ্গে তাঁর (Kalyan Singh) যুক্তি, রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে যে ৪২ একর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। অতিরিক্ত যে ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তার বৈধতা বহাল রেখেছিল হাইকোর্ট। ১৯৯১ সালের ২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ সরকার অধিগৃহীত জমির দখল নেয়। জমির মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সম্মতি নিয়েই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল অধিগৃহীত জমির নির্মাণ। কল্যাণ বলেছিলেন, “অযোধ্যায় যা কিছু হচ্ছে, তা আইন মেনেই।”

    ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করসেবকরা এসে ভিড় করতে থাকেন অযোধ্যায়। ৪ তারিখে কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন সিংহ বলেছিলেন, “অযোধ্যার ঘটনাবলীর ওপর নিবিড় নজর রাখছে কেন্দ্র। সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষায় প্রযোজনীয় যা কিছু করার, তা করা হবে।” এর ঠিক দু’দিন পরেই ভাঙা হয় তৎকালীন ‘বিতর্কিত’ কাঠামো।

    কল্যাণ (Kalyan Singh) নেই। বিতর্কের অবসান শেষে হয়েছে রাম মন্দিরও। দেবালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে (Ram Mandir) কল্যাণের। যদিও তা দেখে যেতে পারেননি গর্বিত এই হিন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধর্নায় বসেছে বিজেপি। ধর্নামঞ্চ থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্যে আনলেন বিস্ফোরক তথ্য। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পাঁচ দিন ধরে বিজেপি-র ধর্না চলবে বলেও জানান তিনি। আগামিকাল স্বাস্থ্যভবন অভিযান রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সরব হওয়ার দাবিও জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    ওষুধ পাচার চক্র জেনে যাওয়াতেই খুন! (Suvendu Adhikari)

    ধর্নামঞ্চ (RG Kar Protests) থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনায় শুধুমাত্র উপাচার্য বদল করা হয়নি, ভিসেরা, রক্তের নমুনাও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আরজি করের ঘটনা একজনের কাজ নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত। ওষুধ পাচার চক্রের কথা জেনে যাওয়াতেই নির্যাতিতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার পর মুছে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ। ঘটনার রাতের রোস্টারও খাতা থেকে ছিঁড়ে ফেলে হয়েছে। চার-পাঁচ দিনে মমতা এবং তাঁর গুন্ডারা সব তথ্য সাফ করে দিয়েছে। মমতা অপকর্ম লুকোতে চাইছেন।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কল রেকর্ড পরীক্ষার দাবি

    সাধারণ মানুষের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যাঁকে সততার প্রতীক বলতেন, হাওয়াই চটির উল্লেখ হত, মা-মাটি-মানুষের পূজারিণী বলা হত, চরিত্রের উদাহরণ দেওয়া হত, কত শত বিশেষণ জুড়ত, আসলে প্রদীপের নীচের অন্ধকারটা প্রকাশিত হতে চলেছে। তদন্তকারী সংস্থা, সর্বোচ্চ আদালতের কাছে দাবি, অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, শ্যামাপদ দাস এবং সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নেওয়া হোক। চেক করা হোক ওঁদের কল রেকর্ড।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবা টাকা নেননি। জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের আচরণ ঠিক নয়। এক নয়, অনেকে যুক্ত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

    বামেদের আক্রমণ

    এদিন বামেদেরও আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বামপন্থীরা সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। সারা বছর ‘বিচার চাই’, ‘চোর ধরো’, ‘জেল ভরো’ বলবে, আর ভোটের সময় বলবে, ‘নো ভোট টু মোদি’, ‘নো ভোট টু বিজেপি’। এদের কাজ হচ্ছে, হিন্দু ভোট কাটো। চোর মমতা, ধর্ষকদের নেত্রী মমতা, খুনিদের নেত্রী মমতা, রাজ্যকে রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়া মমতাকে ক্ষমতায় রাখার কাজটাই করে বামেরা। এই মাকু-সেকুদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে। লোকসভা ভোটেও ১২টি আসন তৃণমূলকে উপহার দিয়েছে ওরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু নির্যাতনের খবর করায় ‘সময় টিভি’-র সম্প্রচারে স্থগিতাদেশ, ব্যাপক ক্ষোভ!

    Bangladesh Crisis: হিন্দু নির্যাতনের খবর করায় ‘সময় টিভি’-র সম্প্রচারে স্থগিতাদেশ, ব্যাপক ক্ষোভ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু নির্যাতনের খবর করে বিপাকে বাংলাদেশের ‘সময় টিভি’! বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে খবর করায়ও ‘সময় টিভি’ (Samay TV) নামে ঢাকা কেন্দ্রিক সংবাদ চ্যানেলকে ৭ দিনের জন্য সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। সময় টিভি লিমিটেডের পরিচালক শম্পা রহমানের করা আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে গভর্নর, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ উচ্চপদস্থ হিন্দু পদাধিকারিকদের পদত্যাগে বাধ্য করেছে বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা। 

    হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার খবরেই কী রোষ (Bangladesh Crisis)?

    হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, “হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার বিষয়ে ব্যাপকভাবে খবর করা হয়েছিল। আগের সরকারের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এই চ্যানেলটি (Samay TV)। তাই আগামী ৭ দিনের জন্য সব রকম সম্প্রচার বন্ধের (Bangladesh Crisis) নির্দেশ দেওয়া হল।” মামলাকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “চ্যানেল সম্পাদকের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট, পূর্ববর্তী হাসিনা সরকারের পক্ষাবলম্বন করে ব্যাপক ভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের বৈধতা নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।” ইতিমধ্যে সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে শম্পা রহমানের জায়গায় আনা হয়েছে আহমেদ জোবায়েরকে। শম্পাকে সরানো অবৈধ বলে মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ। 

    মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ নয়

    নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে আহমেদ জোবায়ের বলেন, “এই মামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। মামলা দায়ের করা হলেও আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার জন্য আমরা আপিল বিভাগে যেতে চাই।” এদিকে জোবায়েরের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “আমাদের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করা হবে না। এই টিভির মালিকানা ও পরিচালনা সংক্রান্ত একটি মামলা এখনও হাইকোর্টের (Bangladesh Crisis) বেঞ্চে চলছে। এই বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ অগাস্ট ধার্য করা হয়েছে। চ্যানেলটি বন্ধ করার চেষ্টা আগেও হয়েছিল।”

    আরও পড়ুনঃবাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়ন চলছেই, হিন্দু শিক্ষাবিদদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হুমকি স্বরূপ

    আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে নৃশংস অত্যাচার সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে প্রচুর খবর করে সময় টিভি (Samay TV)। চ্যানেলটির ২ কোটিরও বেশি দর্শক রয়েছে। এদিকে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সময়ের সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে চক্রান্ত করা হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আমরা এর সম্প্রচার বন্ধ করার পক্ষে নই।” ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল (ডিএসইসি) সময় টেলিভিশনের সম্প্রচার স্থগিত করার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। ডিএসইসি সভাপতি মুক্তাদির অনীক এবং সাধারণ সম্পাদক জওহর ইকবাল খান, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর সময় টিভি-সহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া হাউসে হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ইকবাল বলেন, “এ ধরনের হামলা গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ। অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 22 August 2024: কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 August 2024: কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতা দেখালে কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) দিনটি ভালো কাটবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষায় সাফল্য পাবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 110: “সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি, পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!”

    Ramakrishna 110: “সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি, পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!”

    সার্কাস রঙ্গালয়ে—গৃহস্থের ও অন্যান্য কর্মীদের কঠিন সমস্যা ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) শ্যামপুকুর বিদ্যাসাগর স্কুলের দ্বারে গাড়ি করিয়া আসিয়া উপস্থিত। বেলা তিনটা হইবে। গাড়িতে মাস্টারকে তুলিয়া লইলেন। রাখাল ও আরও দু-একটি ভক্ত গাড়িতে আছেন। আজ বুধবার ১৫ই নভেম্বর ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ, কার্তিক শুক্লা পঞ্চমী। গাড়ি ক্রমে চিৎপুর রাস্তা দিয়া গড়ের মাঠের দিকে যাইতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ আনন্দময়—মাতালের ন্যায়—গাড়ির একবার এধার একবার ওধার মুখ বাড়াইয়া বালকের ন্যায় দেখিতেছেন। মাস্টারকে বলিতেছেন (Kathamrita), দেখ, সব লোক দেখছি নিম্নদৃষ্টি। পেটের জন্য সব যাচ্ছে, ঈশ্বরের দিকে দৃষ্টি নাই!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) আজ গড়ের মাঠে উইলসনের সার্কাস দেখিতে যাইতেছেন। মাঠে পৌঁছিয়া টিকিট কেনা হইল। আট আনার অর্থাৎ শেষশ্রেণীর টিকিট। ভক্তেরা ঠাকুরকে লইয়া উচ্চস্থানে উঠিয়া এক বেঞ্চির উপরে বসিলেন। ঠাকুর আনন্দে বলিতেছেন, বাঃ এখান থেকে বেশ দেখা যায়।

    রঙ্গস্থলে নানারূপ খেলা অনেকক্ষণ ধরিয়া দেখা হইল। গোলাকার রাস্তায় ঘোড়া দৌড়িতেছে। ঘোড়ার পৃষ্টে একপায়ে বিবি দাঁড়াইয়া। আবার মাঝে মাঝে সামনে বড় বড় লোহার রিং (চক্র)। রিং-এর কাছে আসিয়া ঘোড়া যখন রিং-এর নিচে দৌড়াতেছে, বিবি ঘোড়ার পৃষ্ঠ হইতে লম্ফ দিয়া রিং-এর মধ্যে দিয়া পুনরায় ঘোড়ার পৃষ্ঠে আবার একপায়ে দাঁড়াইয়া! ঘোড়া পুনঃপুনঃ বনবন করিয়া ওই গোলাকার পথে দৌড়াইতে লাগিল, বিবিও আবার ওইরূপ পৃষ্ঠে দাঁড়াইয়া!

    সার্কাস সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নামিয়া আসিয়া ময়দানে গাড়ির কাছে আসিলেন। শীত পড়িয়াছে। গায়ে সবুজ বনাত দিয়া মাঠে দাঁড়াইয়া কথা (Kathamrita) কহিতেছেন, কাছে ভক্তেরা দাঁড়াইয়া আছেন। একজন ভক্তের হাতে বেটুয়াটি (মশলার ছোট থলেটি) রহিয়াছে। তাহাতে মশলা বিশেষতঃ কাবাব চিনি আছে।

    আরও পড়ুনঃ “ভীস্মদেব, সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, জ্ঞানী, তিনিও দেহত্যাগের সময় মায়াতে কাঁদছেন”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ চার শঙ্করাচার্যের, কী বললেন তাঁরা?

    Bangladeshi Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ চার শঙ্করাচার্যের, কী বললেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে (Bangladeshi Hindus) একসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দেশের চার শঙ্করাচার্য (Four Shankaracharyas)। একইসঙ্গে, অবিলম্বে সাহায্যের হাত বাড়াতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

    শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দুরা ইসলামি জেহাদিদের হাতে আক্রান্ত হয়েই চলেছেন। ভারতের চার শঙ্করাচার্য হিন্দু-বিরোধী এই হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন। বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ষড়যন্ত্রের পিছনে কমিউনিস্ট চিন সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন শঙ্করাচার্যরা। আবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সমস্ত ষড়যন্ত্রের পিছনে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার হাত বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। চার শঙ্করাচার্য— পুরী শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী, দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী, কাঞ্চি শঙ্করাচার্য শঙ্করবিজয়েন্দ্র সরস্বতী এবং জ্যোতির্মঠ শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী,— প্রত্যকেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। 

    পুরীর শঙ্করাচার্যের বক্তব্য (Bangladesh Crisis)

    পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী (Four Shankaracharyas) বাংলাদেশে হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) আক্রমণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অবিলম্বে এই অত্যাচার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব সমস্যাকে নিষ্পত্তি করা যায়। হিন্দুরা শান্তিপ্রিয় মানুষ এবং হিন্দুরা নিরাপদ থাকলে দেশও নিরাপদে থাকে। বাংলাদেশে এ ধরনের হিংসাত্মক ষড়যন্ত্রের পিছনে চিন দায়ী। চিনে মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে এবং মুসলমানদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। এখন ভারতকে অস্থিতিশীল করতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে চিন। ভারতীয় মুসলমানদেরও এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত।”

    দ্বারকার শঙ্করাচার্যের বক্তব্য

    দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের যৌথ ভাবে উচিত হিন্দুদের দুর্দশা (Bangladesh Crisis) নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করা। পাকিস্তান বা বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা ভালো নয়। গত ৫০ বছর ধরে হিন্দুদের নিধন হচ্ছে ওখানে। হিন্দুদের কী দোষ? কেন তাঁদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে? কেন মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে? দ্রুত এ সমস্যার সমাধান বের করা উচিত। যদি তা না হয় তাহলে এটা একটা নিয়ম হয়ে যাবে। ফলে সারা বিশ্বের যেখানেই হিন্দুরা বসবাস করুক, সমস্যা দেখা দিলে তাঁদের সাহায্য করার কেউ থাকবে না। হিন্দুদের ওপর কারা অত্যাচার করছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের মত প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশে এখনও প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ হিন্দু বাস করেন। বর্তমানে তাঁরা সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন।”

    কাঞ্চির শঙ্করাচার্যের বক্তব্য

    কাঞ্চির শঙ্করাচার্য শঙ্করবিজয়েন্দ্র সরস্বতী (Four Shankaracharyas) বলেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের উপর ব্যাপক অত্যাচার চলছে। দেশে শান্তি ও স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ প্রার্থনা জানাই। বাংলাদেশের অন্যতম একটি শক্তিপীঠ হল ঢাকেশ্বরী মন্দির। এই মন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন হিন্দুদের ঐতিহাসিক উপাসনাস্থলগুলিকে সুরক্ষিত করতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে। দ্রুত দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ভারত সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্যের বক্তব্য

    জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী (Four Shankaracharyas) বাংলাদশে কট্টর মুসলমান আক্রমণের শিকার হিন্দুদের বাঁচাতে ভারত সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশি (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি নিশ্চিত করতে হবে, যে কোনও দেশে নিপীড়নের মুখোমুখি হিন্দুদের ভারতে স্বাগত জানাতে হবে। কারণ হিন্দুদের ভূমি হল ভারতবর্ষ। বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারকে ভুলে গেলে চলবে না যে হাজার হাজার বাংলাদেশি ভারতেও বাস করে। আমরা তাঁদের জন্য জমি এবং নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমরা তাঁদের খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই বিষয়ে সরকারের ওপর বোঝা চাপতে দেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share