Author: user

  • Monohora Sweet: রসের বাঁধন, অথচ শুকনো! মনোহরার ইতিহাস সত্যিই যেন মন হরণ করে নেয়

    Monohora Sweet: রসের বাঁধন, অথচ শুকনো! মনোহরার ইতিহাস সত্যিই যেন মন হরণ করে নেয়

    হরিহর ঘোষাল

    রাজ্যজুড়ে মিষ্টির বাহার প্রচুর। জায়গা ভেদে সেখানকার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত, নামকরা কিছু মিষ্টি। রসগোল্লা, পান্তুয়া ছাড়াও রসের মিষ্টি হোক কিংবা ছানার সন্দেশ-মিষ্টির তালিকা বললে শেষ করা যাবে না। তবে, নাম যাই হোক না কেন, মিষ্টি খাওয়াতে খাদ্যরসিক বাঙালির জুড়ি ভার। এই প্রতিবেদনে আমরা জানাব, ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া মনোহরা (Monohora Sweet) মিষ্টির আদি কথা। বাংলাদেশের ঢাকার প্রাণহরার সঙ্গে মনোহরার ব্যুৎপত্তিগত সাদৃশ্যকে তুলে ধরার জন্য কবি মোহিতলাল মজুমদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বলতেন, “তোরা মিষ্টির নাম রাখিস প্রাণহরা, আর আমরা নাম রাখি মনোহরা।”

     নবাবি আমলের মনোহরা! (Monohora Sweet)

    মনোহরা হুগলি না মুর্শিদাবাদের, তা নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। হুগলিবাসীর দাবি, এই মিষ্টি জনাইয়ে প্রথম তৈরি হয়েছিল। মুর্শিদাবাদে নবাবের দেশের মানুষরা আবার মনোহরা মিষ্টির (Monohora Sweet) তৈরির কৃতিত্ব বেলডাঙা, কান্দির ময়রাদের দিতে চান। বিতর্কে না গিয়ে, দুটি জেলারই মিষ্টি তৈরির ইতিহাস আমরা তুলে ধরছি। একটি মত থেকে জানা যায়, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রজগোপাল সাহা বেলডাঙায় প্রথম মনোহরা মিষ্টি তৈরি করেছিলেন। বাংলা টপ্পার জনক রামনিধি গুপ্ত ওরফে নিধুবাবু শহরের বাবুগিরির গানে লিখেছেন “খাওয়াইব গণ্ডা গণ্ডা মনোহরা দেদো মণ্ডা। খেয়ে খেয়ে যাবে প্রাণটা, বলবে বলিহারি যাই।” মুর্শিদাবাদের কান্দি, বেলডাঙার মনোহরার সুখ্যাতি সেকালে কালাপানি পাড় হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সাহেবদের দেশেও।

    অন্য একটি মতে, মুর্শিদাবাদের নবাবদের খাস ময়রা এই মিষ্টি অষ্টাদশ শতকে আবিষ্কার করেন। জনৈক ময়রা বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার দহগ্রামের নিকট কিরীটকোনা গ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দিরের নিকট বাস করতেন। সেখানেই তিনি প্রথম মনোহরা মিষ্টি প্রস্তুত করেন। মুর্শিদাবাদের নবাবরা ডাবের শাঁস, কাজুবাদাম, এলাচ ও ক্ষীর দিয়ে তৈরি মনোহরা পছন্দ করতেন। নবাবির পতনের সঙ্গে সঙ্গে মনোহরা রাজকীয় পৃষ্ঠাপোষকতা থেকে বঞ্চিত হয়। যে মিষ্টি এককালে সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রস্তুত হত, তা ক্রমে বেলডাঙা, কান্দির মতো বিশেষ কিছু জায়গায় প্রস্তুত হতে থাকে। বাংলার মিষ্টির ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, মনোহরার জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে তাঁদের মধ্যে অনেক মতভেদ রয়েছে। সে যাই হোক, দুধসাদা মনোহরার মাথায় বাহারি কিসমিসের অলঙ্করণে সত্যিই মনোহরা মুর্শিদাবাদের এই মিষ্টি। বেলডাঙার মনোহরা যদি অসিত সাহা, মদনগোপাল সাহারা বাঁচিয়ে রাখেন, তবে কান্দির সুনাম রক্ষা করে চলেছেন শিবশক্তি দে বা রুদ্রদেব দত্তেরা। সেই ট্রাডিশন এখনও চলছে।

    কীভাবে বানানো হয়?

    চাঁচি, ক্ষীর আর ছানার সঙ্গে এলাচ, জায়ফল আর জয়িত্রীর মিশ্রণে তৈরি ‘পুর’ চিনির মোটা রসের আস্তরণে ঢেকে রাখার অননুকরণীয় শিল্পের নাম মনোহরা। ছানা এবং চিনি হল এই মিষ্টির আসল উপকরণ। ছানা ভালো করে মেখে নেওয়ার পরেই তাকে চিনির সঙ্গে পাক দেওয়া হয়। মেশানো হয় এলাচ, ডাবের শাসের পাতলা আস্তরণ। তারপর সেই পাক হাতে গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এটিকে রূপদান করা হয়। সবশেষে শিরায় সেটিকে মেশানো হয়। একবার কোট করেই তুলে নেওয়া হয়। ব্যস, মনোহরা তৈরি!

    জনাইয়ের মনোহরা

    হুগলির (Hooghly) জনাইয়ে প্রথম মনোহরা (Monohora Sweet) তৈরি হয়েছিল। এই মিষ্টি তৈরির ইতিহাস দু’শো বছরের ওপর। জনাইয়ের মনোহরার উৎপত্তি নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে। একটি মতে, ভীমচন্দ্র নাগের পিতা পরাণচন্দ্র নাগ ছিলেন বর্ধমান রাজের দেওয়ান। এক সময়ে তিনি দেওয়ানের চাকরি ছেড়ে মিষ্টির ব্যবসায় নামেন। হুগলি জেলার জনাইতে তিনি মিষ্টির ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়েই তিনি মনোহরা নামক মিষ্টির প্রচলন করেন। আর একটি মত থেকে জানা যায়, জনাইয়ের ময়রারা সন্দেশকে সংরক্ষণ করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় ভুলবশতঃ সন্দেশকে চিনির রসে ডুবিয়ে ফেলেন। তার থেকেই সৃষ্টি হয় মনোহরা। এছাড়া জনাইয়ের জনৈক ললিত ময়রা ১৮৬০-এর দশকে মনোহরা মিষ্টি তৈরি করেন বলে দাবি করা হয়। আর একটি মত থেকে জানা যায়, জনাইয়ের জমিদার তখন কালীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ান ছিলেন। সমৃদ্ধি ছিল শহরে। এমনই এক সময় ইংরেজ এক সাহেবের আগমনে রাজবাড়ি (কালীবাবুর বাড়ি) জুড়ে হইহই রইরই রব। মিষ্টি তো সবাই বানায়। তবে রসের বাঁধন থাকবে, ধাঁচ হবে শুকনো এমন মিষ্টি কোথায় পাওয়া যায়? সালটা ১৮৬৮ হবে, কালীবাবুর অনুরোধেই ন্যাড়া ময়রা বানালেন দুর্দান্ত স্বাদের এক মিষ্টি, নাম তখনও অজানা। ইংরেজ সাহেবের পাতে পড়তেই স্বাদ আস্বাদনে আর দেরি করলেন না। মিষ্টি মুখে দেওয়ার পরই একেবারে মিলিয়ে গেল। আবেগে আপ্লুত সাহেব কাটা কাটা বাংলায় বললেন, “এই মিষ্টি আমার মন হরণ করে নিয়েছে।” ব্যস! সেই থেকে মন হরণ করা এই মিষ্টির নাম হল মনোহরা।

    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মনোহরার খুব ভক্ত ছিলেন!

    জনাইয়ের মনোহরা (Monohora Sweet) এক সময় কলকাতার রসগোল্লা, শক্তিগড়ের ল্যাংচা ও বর্ধমানের সীতাভোগের মতো সমান জনপ্রিয় ছিল। মুখে মুখে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলায় এবং ক্রমে সারা ভারতে। ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় এবং ব্রিটিশ অভিজাতরা অতিথি আপ্যায়নের জন্য জনাইয়ের মনোহরা আনাতেন। ক্রমে ব্রিটেনেও মনোহরার বাজার তৈরি হয়। পরবর্তীকালে মনোহরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানিতেও রফতানি হতে থাকে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মনোহরার (Monohora Sweet) খুব ভক্ত ছিলেন। ছবি বিশ্বাস, উত্তম কুমার ও ছায়া দেবীর মতো বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকারা আউটডোর শুট করে কলকাতা ফেরার পথে প্রায়ই গাড়ি থামিয়ে মনোহরা কিনে বাড়ি ফিরতেন। আজও হাজারো মিষ্টির ভিড়ে মনোহরা নিজের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। মুর্শিদাবাদ-হুগলিবাসী বলে নয়, মনোহরার স্বাদ একবার যিনি চেখে দেখেছেন, তাঁর মন জয় করে নিয়েছে ব্রিটিশ আমলে জন্ম নেওয়া এই মিষ্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শির ঘরে আগুন। স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থ যে নিশ্চিন্তে থাকবে না, এ আর নতুন কথা কী! ভারতের পড়শি বাংলাদেশের অশান্তির (Bangladesh Crisis) আঁচ লাগতে পারে এ পারেও। সংরক্ষণকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল (Terrorists Infiltration) বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা। বর্তমান বাংলাদেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। তার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ছন্দে ফিরছে। তবে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় কাঁটা ভারত। প্রাক্তন হাইকমিশনার তথা প্রাক্তন সচিব এবং রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “ভারতকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।”

    হতে পারে জঙ্গি অনুপ্রবেশ (Bangladesh Crisis)

    তাঁর মতে, ডামাডোলের বাজারে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে সন্ত্রাসবাদী এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা। এ দেশে চালাতে পারে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের এই অশান্তির প্রভাব পড়তে পারে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র ওপরও প্রভাব পড়বে। প্রভাব পড়বে আঞ্চলিক টাইয়ের ওপরও। আর এই রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তা বাংলাদেশে সূচনা করবে অর্থনৈতিক দূরাবস্থা এবং সামাজিক অস্থিরতার।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব!

    বাংলাদেশের অস্থিরতার ব্যাপক প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়বে বলেও মনে করেন এই প্রাক্তন হাইকমিশনার। তবে বাংলাদেশের নয়া সরকারের সঙ্গে ভারত নতুন উদ্যমে কাজ করবে বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের সঙ্গে ভারত সরকারের বোঝাপড়া বেশ ভালো। পদ্মার এক পারে হাসিনা এবং অন্য পারে মোদি জমানায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছিল। অশান্তির আঁচ ‘গণভবনে’ (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) আছড়ে পড়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। দেশের রাশ চলে আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে।

    কী বলছেন প্রাক্তন হাইকমিশনার

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সব কিছুই মসৃণভাবে চলছিল। সম্প্রতি একটি বিদেশি রাষ্ট্র তাঁকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছিলেন হাসিনা।” বিশ্লেষকদের মতে, তার পর থেকেই একটু একটু করে গরম হতে থাকে আন্দোলনের তাওয়া। সংরক্ষণকে কেন্দ্র (Terrorists Infiltration) করে দেশজুড়ে হিংসার আগুন ছড়ায় সেই তাওয়া থেকে।

    হাসিনার সঙ্গে আমেরিকা-পাকিস্তানের সম্পর্ক

    হাসিনার সঙ্গে আমেরিকা ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কোনও কালেই ভালো ছিল না। বাংলাদেশকে মিলিটারি ফেসিলিটি দিতে চেয়েছিল আমেরিকা। তা নিতে অস্বীকার করেন হাসিনা। হাসিনা সরকারের চিনের দিকে ঢলে পড়াটাও ভালো চোখে দেখেনি বাইডেনের দেশ। এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনওকালেই ভালো ছিল না। বাংলাদেশের জন্মের আগে পাকিস্তানিদের কাছে এই বাঙালি মুসলমানরা ছিল উপেক্ষার পাত্র। একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়া ইস্তকও খান সেনারা বাঙালি মুসলমানদের ভালো চোখে দেখেনি। পাকিস্তানের হাতে খুন হন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি শেখ হাসিনার বাবা। মুজিবুর খুন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে চলে যায়।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    বাংলাদেশ যখন ক্রমেই উন্নতির জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন মোদি জমানায় দ্রুত উন্নতি করছে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারত। সেই দেশই আজ উঠে এসেছে ৫ নম্বরে। অচিরেই (Bangladesh Crisis) চতুর্থ স্থান দখল করবে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে একাধিক সমীক্ষায়। রাষ্ট্রদূতের মতে, এমতাবস্থায় ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটার সম্ভাবনা প্রবল। তাই সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন। কারণ ঝাঁকের কইয়ের সঙ্গে ঢুকে যাবে জঙ্গি এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থীরা। ভারতে ঘটাবে নাশকতামূলক কাজ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যখনই কোনও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তখনই তার ফল ভোগ করতে হয়েছে সে দেশের হিন্দুদের। দেশভাগ এবং সাম্প্রদায়িক উত্তরাধিকারের কারণে সে দেশের মুসলমানরা বারবার হামলা চালিয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘরে। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমিজিরেত।” তাঁর মতে, সেই কারণেই বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে দ্রুত। কারণ এই দেশের হিন্দু নাগরিকরা সব সময় ভোগেন নিরাপত্তাহীনতায়।

    আওয়ামি লিগের ভবিষ্যৎ

    হাসিনার রাজনৈতিক কেরিয়ার আপাতত অনিশ্চিত বলেও মনে করেন এই রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তবে তাঁর কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে, এ কথা বলার সময় এখনও আসেনি। তাঁর দল আওয়ামি লিগ মুছে যাবে না।”  তিনি বলেন, “এটা বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা আন্দোলনেও এর অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচন (Terrorists Infiltration) হলে তাতে নিশ্চয়ই অংশ নেবে হাসিনার দল (Bangladesh Crisis)।”

     

  • ABVP Protest March: দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র সল্টলেক

    ABVP Protest March: দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র সল্টলেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Doctor Rape-Murder) জেরে উত্তাল রাজ্য। প্রবল চাপে মমতা সরকার। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। ঘন ঘন দাবি উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের। ঠিক এই আবহে মঙ্গলবার বিধাননগরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। এখানেও দাবি এক— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। এবিভিপির আন্দোলনকে (ABVP Protest March) দমাতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড দেখা গেল শহরে। বৃহস্পতিবার একই দাবিতে স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ আটকাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভ কীভাবে তারা সামলায় সেটাই এখন দেখার! নারী নিরাপত্তার ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য, ঠিক এই আবহে বিজেপির বিক্ষোভেও ব্যাপক জমায়েত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আন্দোলনের জোয়ারে ভাঙল ব্যারিকেড (ABVP Protest March)

    অভিযানের আগে এদিন সিটি সেন্টারে জমায়েত করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। মিছিল আটকাতে এদিন ব্যারিকেড করে পুলিশ তবে আন্দোলনের জোয়ারে তা মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে। এর পরেই শুরু হয় অশান্তি। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয় সংঘর্য। ছাত্রদের সঙ্গে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকজন এবিভিপি কর্মীকে (ABVP Protest March) আটক করে প্রিজন ভ্যানের তোলে পুলিশ। অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ এনেছেন এবিভিপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের বেশ কয়েকজন সদস্য লাঠিচার্জের ঘটনায় আহত বলেও জানিয়েছে এবিভিপি নেতৃত্ব।

    কী বলছেন এবিভিপির (ABVP) রাজ্য নেতা?

    এবিভিপির (ABVP Protest March) রাজ্য নেতা সঙ্গীত ভট্টাচার্যর কথায়, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই স্বাস্থ্যভবন অভিযান করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের উপরে লাঠি না চালালেই পারত।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা ভাঙচুর চালাতে যাইনি। রাজ্যের যে পরিস্থিতি তাতে নিখোঁজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খুঁজতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আক্রমণ করল। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Doctor Rape-Murder) যারা ভাঙচুর চালাল তাদের যা খুশি তাই করতে দিল পুলিশ।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল হলিউডেও, আন্দোলনে প্রবাসীরা

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল হলিউডেও, আন্দোলনে প্রবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল চলছে কলকাতা থেকে শুরু করে শহরতলির বিভিন্ন রাস্তায়। নৃশংসতার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে অর্থাৎ ১৪ অগাস্ট কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে নেওয়া হয় রাত দখলের এক কর্মসূচি। এবার সেই আন্দোলনে নাম লেখালে হলিউডও। তিলোত্তমার মর্মান্তিক ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত সবাইকে। ‘তিলোত্তমা’র ওপর যে বর্বর অত্যাচারের ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে গোটা দেশ যেমন গর্জে উঠেছে, তেমনই মার্কিন মুলুকে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রাও পথে নেমেছেন।

    হলিউড পার্কে প্রতিবাদ (RG Kar Protest)

    গত ১৮ অগাস্ট লস অ্যাঞ্জেলস এবং লস অ্যাঞ্জেলসের নিকটবর্তী এলাকার প্রবাসী ভারতীয়রা, বিশেষত বাঙালিরা জড়ো হয়েছিলেন জনপ্রিয় লেক হলিউড পার্কে। তাঁদের কারও হাতে ছিল কালো পতাকা, কারও হাতে ছিল ‘WE WANT JUSTICE’ লেখা পোস্টার। আবার কোনও পোস্টারে লেখা ছিল, ‘JUSTICE DELAYED IS JUSTICE DENIED’। লস অ্যাঞ্জেলসের সেই বাঙালিরা বলেন, শুধু এই একটা দিন নয়, প্রবাসের চরম ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও তাঁরা তাঁদের এই প্রতিবাদ জারি রাখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না তিলোত্তমার ওপর হওয়া বর্বরতার সুবিচার মেলে। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে মহিলা ট্রেনি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায়- হাসপাতালে হাসপাতালে বিক্ষোভ চলছে। সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে, প্রতিবাদে (RG Kar Protest) শামিল হয়েছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁদের কর্মবিরতি চলছে এখনও।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    টলিউড-বলিউডের অভিনেতারা সরব

    প্রসঙ্গত, হলিউডে (Hollywood) প্রবাসী ভারতীয়দের প্রতিবাদের (RG Kar Protest) আগে ভারতে টলিউড-বলিউডের অভিনেতারা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। টলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রকাশ্যেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। বলিউডজুড়ে বয়ে গিয়েছে নিন্দার ঝড়। জানা গিয়েছে, বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট এখন কন্যা সন্তানের মা। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে লেখেন, আরও একটা ধর্ষণ, বুঝতে পারছি মেয়েরা কোথাও সুরক্ষিত নয়। এক দশক আগে নির্ভয়াকাণ্ড নাড়া দিয়েছিল। আবার একই ঘটনা, কিছুই বদলায়নি। মহিলারা কীভাবে আমাদের কর্মস্থলে যাবে? এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মহিলাদের সুরক্ষা আসলে তাদের নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে। অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানাও প্রতিবাদ করেছেন নৃশংস এই ঘটনার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Texas: ৯০ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা টেক্সাসে, জানুন বিশদে

    Texas: ৯০ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা টেক্সাসে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল ৯০ ফুট উঁচু হনুমান মূর্তির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় উচ্চতম স্থাপত্য এটি। ১৮ অগাস্ট রবিবার টেক্সাসের (Texas) হিউস্টনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হল হনুমানজির এই মূর্তির। 

    মূর্তির বিশেষত্ব (Hanuman sculpture)  

    ৯০ ফুট উঁচু এই মূর্তিটির নাম ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিয়ন’। স্থাপত্যটি তৈরির পেছনের স্বপ্নদর্শী মানুষটি হলেন শ্রী চিন্নাজিয়ার স্বামীজি। মন্দিরটি টেক্সাসের (Texas) সুগার ল্যান্ডের শ্রী অষ্টলক্ষ্মী মন্দির এলাকায় বসানো হয়েছে। স্ট্যাচু অফ ইউনিয়নের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মূর্তিটি উত্তর আমেরিকায় ভগবান হনুমানের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি। হনুমানজি “শক্তি, ভক্তি এবং নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক।” 

    আরও পড়ুন: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মূর্তিটি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে,  ‘‘এছাড়াও স্ট্যাচু অফ ইউনিয়ন হল একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র, যেখানে মন সান্ত্বনা পায়, শান্তি পায় এবং জীবনের সব পরিস্থিতি অতিক্রম করার পথ খুঁজে পায়। আসুন, উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু হনুমান মূর্তিকে জীবন্ত করে তুলি, এবং একসঙ্গে ভালোবাসা, শান্তি এবং ভক্তিতে ভরা একটি পৃথিবী গড়ে তুলি।’’

    কী জানিয়েছে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন? (Texas) 

    হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ভগবান হনুমানকে (Hanuman sculpture) রামের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে পুজো করা হয়। বিগত কয়েক দশক আগে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভগবান হনুমানের অস্তিত্ব উঠে আসে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হল ঋষি বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণে পাওয়া ঘটনা। যখন সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাম ও তাঁর ভাই লক্ষণ বনবাসে ছিলেন, তখন হনুমানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাঁদের। সে সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাহস, শক্তি ও অসাধারণ কর্মক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ভক্তি ও অনুগত্য প্রকাশ পায় হনুমানের।     
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।  

  • Hypokalemia: হার্ট বিটের হঠাৎ ওঠা-নামা, পেশিতে খিঁচুনি কীসের লক্ষণ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    Hypokalemia: হার্ট বিটের হঠাৎ ওঠা-নামা, পেশিতে খিঁচুনি কীসের লক্ষণ? কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বুকের ভিতরে হঠাৎ ধড়ফড় করে ওঠে। হৃদস্পন্দন ওঠানামা করতে শুরু করে! আবার কখনও হাতে-পায়ে এক ধরনের অসাড়তা! হাত-পা নাড়াচাড়া করার শক্তিটুকুও থাকছে না। ক্লান্তি গ্রাস করছে শরীরে! অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে ভোগান্তি বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। বারবার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে, বুঝতে হবে শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি (Hypokalemia) দেখা দিচ্ছে। কারণ, পটাশিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মস্তিষ্ক সচল রাখতে, পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো বজায় রাখতে পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি। তাই শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে পটাশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করা যায়। তাই তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে‌। পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে, তা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও জরুরি। তবে শরীরে যাতে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা না দেয়, সে নিয়ে আগাম সতর্কতা দরকার। তাই খাদ্যতালিকায় সেই মতো নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু কীভাবে পটাশিয়ামের ঘাটতি মিটবে? চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত কিছু খাবার খেলেই শরীরের প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    কলা (Hypokalemia)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, নিয়মিত একটি কলা খেলেই শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, একটি কলায় ৪০০-৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই কলা খেলে শরীর সহজেই পটাশিয়ামের জোগান পায়। বিশেষত শিশুদের নিয়মিত কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে পুষ্টিবিদদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শিশুদের শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি তৈরি হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও বাড়ে।‌ তাই নিয়মিত একটি কলা খেলে অনেকটাই সমস্যা (Potassium Deficiency) কমে।

    ডাব

    ডাব শরীরের পটাশিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ করে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, এক কাপ ডাবের জলে প্রায় ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত ডাব খেলে পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ডাবের জলে থাকে প্রাকৃতিক চিনি। এর জেরে শরীরের প্রত্যেক কোষে সহজেই এনার্জি পৌঁছে যায়। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতির (Hypokalemia) ঝুঁকিও কমে।

    বিনস

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ২০০ গ্রাম বিনস নিয়মিত খেলে শরীরের ২১ শতাংশ পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, যাঁরা পটাশিয়ামের ঘাটতির (Potassium Deficiency) সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের নিয়মিত বিনস খাওয়া জরুরি।

    কমলা লেবু (Hypokalemia)

    শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে কমলা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, একটি কমলা লেবুতে প্রায় ২৩০ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে, পেশি সবল রাখতে কমলা লেবু অত্যন্ত উপকারী।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 21 August 2024: চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 August 2024: চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কর্কট

    ১) শেয়ার বাজার নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) গৃহে আনন্দের পরিবেশ।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। 

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ। 

    ৩) ধর্মস্থানে ঘুরে আসুন।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দেশের সমস্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Central Health Ministry)। হাসপাতালের ভিতরে কোনও অপরাধ, প্রতিরোধ বা মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে আইন রয়েছে, তা ধারা-সহ প্রকাশ্যে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের নির্দেশ

    সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (RG Kar) তরফ থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ সামনে আসে। এর পাশাপাশি, হাসপাতালের যে অংশ সিসি ক্যামেরায় আসে না, সেই ডার্ক স্পটগুলিকেও চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। সমস্ত হাসপাতালগুলিতে প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগেরও কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

    সিসি ক্যামেরা হতে হবে ‘হাই রেজোলিউশন’-এর (RG Kar)

    আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে এনেছে কর্তৃপক্ষের একের পর এক গাফিলতি। নাইট ডিউটির সময় মহিলা চিকিৎসক-নার্সদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছেন সমাজের সব মহলই। কর্মক্ষেত্রে সিসিটিভির যথাযথ ব্যবহারের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসক সমাজ থেকে বিভিন্ন মহল (RG Kar)। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক নির্দেশিকাতে (Central Health Ministry) পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে, শুধু ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েই দায় সারা যাবে না। সেই সিসি ক্যামেরা হতে হবে ‘হাই রেজোলিউশন’-এর। রোগীর পরিবারকে হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট নিয়মের উল্লেখ রয়েছে নয়া নির্দেশিকায়।

    যাতায়াতের গতিবিধিতে নজরদারি

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর কোনওভাবেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। সোমবারের নির্দেশেই তা স্পষ্ট। সোমবারের নির্দেশিকায় কেন্দ্রের অধীনস্ত সকল হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত হাসপাতালগুলিতে কারা ঢুকছেন, কারা বের হচ্ছেন, অর্থাৎ যাতায়াতের গতিবিধির ওপর নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

  • CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরস কাণ্ডের কথা মনে আছে? ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি দলিত তরুণীটিকে গণধর্ষণের পর একটি মাঠে ফেলে পালায়। পরে, নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদার এসপি নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজি করের ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে। নাম সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন সীমা। এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) নিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন মহিলা। একজন কলকাতার অফিসার। 

    কে এই মহিলা আধিকারিক? (CBI)

    আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই জানা গেল, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমাকে আরজি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।

    সীমার প্রশংসা সিবিআইয়ের অন্দরে
    সিবিআই আধিকারিক সীমা এক সময় গাজিয়াবাদে কর্মরত ছিলেন, অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয়। হাথরস তো বটেই, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সিবিআই আধিকারিক হিসেবে তাঁর কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা। সাহসী এবং নির্ভীক অফিসার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। হাথরস-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ১৪ সদস্যের বিশেষ দলের নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও হিমাচল প্রদেশের গুতি মামলার তদন্তের ভার ছিল তাঁর ওপর। সংশ্লিষ্ট মামলার সমাধান করেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, আরজি করে যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে যাবেন সীমা। নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ, ইসলামি রাষ্ট্রই ভবিষ্যৎ?

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ, ইসলামি রাষ্ট্রই ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র! তবে মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) চিরকালই হয়ে আসছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Violence Against Hindus)। যে দেশে হিন্দুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দেশের সাহায্যেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সূর্য দেখে বাংলাদেশ। আর সেই দেশেই প্রায়ই হয়েছে হিন্দুমেধ যজ্ঞ। কারণ ছাড়াই যখন তখন নির্বিচারে চলেছে হিন্দু-হত্যা।

    ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান (Bangladesh Crisis)

    এখন যেটা বাংলাদেশ, ব্রিটিশ জমানায় সেটা ছিল অখণ্ড ভারতে। দেশভাগের পর মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশ চলে যায় অখণ্ড পাকিস্তানে। ভারতের সহায়তায়  একাত্তরে স্বাধীনতার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতের প্রতি, আরও স্পষ্ট করে বললে হিন্দুদের প্রতি কখনওই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি অকৃতজ্ঞের (নিন্দুকরা বলে) দল! তাই মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান ওঠে বাংলাদেশেও।

    ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক

    যে দেশের মানুষ এত অকৃতজ্ঞ (?), সে ‘দেশে’ (দেশ বলা যায় না কারণ তখনও স্বাধীন হয়নি বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড। স্বাধীন হয়নি ভারতও) হিন্দু নিধন চলছে সেই ১৯৪৬ সাল থেকে। ভারত স্বাধীন হতে তখনও বছরখানেক বাকি। ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’ ঘোষণা করে মুসলিম লিগ কাউন্সিল। মুসলমানদের জন্য নিজস্ব একটা দেশের জন্য ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’-র ডাক দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, হিন্দু এবং হিন্দু নেতাদের আতঙ্কিত করা। কলকাতার তৎকালীন মেয়র এসএন উসমান এবং কলকাতা মুসলিম লিগের সেক্রটারি লিফলেট বিলি করেন। তাতে লেখেন, ‘কাফের, তোদের ধ্বংসের আর দেরি নেই। সার্বিক হত্যাকাণ্ড ঘটবে।’

    আরও পড়ুন: ‘তিন তালাক বিপজ্জনক’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র

    হিন্দু-হিংসার সেই শুরু

    এর পরেই শুরু হয় হিংসা। হিন্দু-হিংসার সেই শুরু। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় হিন্দুদের। কলকাতার বিভিন্ন পকেটে নির্বিচারে চলে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। অধুনা বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ব্যাপক গণহত্যা হয়। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, অপহরণ, লুট-রাহাজানি কী হয়নি অশান্তির সেই সময়। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে হিন্দুদের জমি-জমা। চোদ্দ পুরুষের ভিটে ছেড়ে এক বস্ত্রে স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের নিয়ে নোয়াখালি ছেড়ে এপারে চলে এসেছেন বহু হিন্দু। যাঁরা কোনওক্রমে ভিটে আঁকড়ে পড়েছিলেন, তাঁদের অবস্থা কহতব্য নয়। হিংসার এই আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল মুসলমান অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায়। যার জেরে বেঘোরে প্রাণ যায় হাজার হাজার নিরীহ হিন্দুর (Bangladesh Crisis)।

    পূর্ব পাকিস্তানে সেনা অভিযান

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারতে ওঠে (Violence Against Hindus) স্বাধীনতার সূর্য। এদিনই মধ্যরাতে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন পাকিস্তানও। তার ঢের আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সীমানা তৈরির কাজ। এই সময়ই ঠিক হয়, মুসলিম অধ্যুষিত অধুনা বাংলাদেশ চলে যাবে পাকিস্তানে। স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্না ঢাকায় সিভিক রিসেপশনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, কেবল উর্দু। প্রতিবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার দাবি তোলেন তারা। তার জেরে পূর্ব পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালায় পাকিস্তান সরকার।

    ফের গণহত্যা

    ফের গণহত্যা হয় ১৯৭১ সালে। এবার পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা দাবি করে পূর্ব পাকিস্তান। এই সময়ও নির্বিচারে চলে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায় ভারত। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এই সময় ব্যাপক হিন্দু হত্যা হয়। হিন্দু মা-বোনেদের ধর্ষণ এবং অপহরণ করা হয়। এবারও চলে লুটতরাজ। আবারও ভিটে ছাড়া হন বাংলাদেশি হিন্দুদের একটা বড় অংশ। ১৯৯২ সালে ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ। তার জেরে বাংলাদেশে ফের শুরু হয় হিন্দু হত্যা। এবারও কয়েকশো হিন্দুকে হত্যা করা হয়। ঢাকায় ভোলানাথ গিরি আশ্রমে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চালানো হয় লুটপাট। হিন্দু মালিকানাধীন সোনার গয়নার দোকানেও লুটতরাজ চালায় দুষ্কৃতীরা। ১৯৯৩ সালের ৭ ডিসেম্বর হামলা হয় ইতিহাসখ্যাত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এদিনই লাঠি ও লোহার রড নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হামলা চালায় হাজার পাঁচেক মুসলমান।এখানেই হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ বনাম ইন্ডিয়া এ-র ম্যাচ। ঘটনার জেরে ভন্ডুল হয়ে যায় ম্যাচ।

    সাম্প্রতিক হিংসা

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে। তার আগেও হিন্দুদের বহু বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। খুলনা ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়। বাংলাদেশের হিন্দুরা আওয়ামি লিগের সমর্থক। তাই সাম্প্রতিক অতীতে সে দেশে যে হিংসা হয়েছে, তার বলি হয়েছেন ৬৫০জন হিন্দু। অন্তত রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। হিন্দুদের হাজারের বেশি মন্দির ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হাজারো মহিলা শিকার হয়েছেন যৌন নির্যাতনের (Bangladesh Crisis)।

    কমছে হিন্দু

    ১৯৪০ সালে বাংলাদেশে হিন্দু ছিল মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ। কমতে কমতে সেটাই এখন দাঁড়িয়েছে ৮.৯৬ শতাংশে (২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী)। যেভাবে হিন্দু নিধন চলছে, তাতে অচিরেই হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে বিপদ হবে ভারতেরই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দু শূন্য বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আক্ষিরক (Violence Against Hindus) অর্থেই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share