Author: user

  • RG Kar: ৭ দিনেও কোনও পদক্ষেপ নেই! আরজি কর-কাণ্ডের দ্রুত বিচার চেয়ে মমতাকে চিঠি হরভজনের

    RG Kar: ৭ দিনেও কোনও পদক্ষেপ নেই! আরজি কর-কাণ্ডের দ্রুত বিচার চেয়ে মমতাকে চিঠি হরভজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে আমজনতা। এবার এই জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হলেন হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারে দেরি হওয়া নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন তিনি।   

    খোলা চিঠি হরভজনের (Harbhajan Singh)

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন হরভজন সিং। আরজি করের ঘটনা ঘটেছে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে তিনি  লিখেছেন, “অবর্ণনীয় অত্যাচার, যা আমাদের সকলের অন্তরাত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে, এটা শুধু কোনও একজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনই নয়, বরং আমাদের সমাজের প্রত্যেক নারীর সম্মান ও সুরক্ষায় আঘাত। এটা সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা সমস্যারই প্রতিফলন। মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান, যেখানে চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা করা হয়, তার ভিতরেই যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তবে তা একইসঙ্গে ভয়ঙ্কর এবং অগ্রহণযোগ্য। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এমনিই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কাজ করেন। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, কীভাবে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পূরণ করবেন? যেখানে তাদেরই নিরাপত্তার গ্যারান্টি নেই। এই ঘটনার সুবিচারের জন্য চিকিৎসকরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন।  চিকিৎসকদের এই লড়াইকে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।” 

    সিবিআই-কে দ্রুত পদক্ষেপ করার অনুরোধ 

    নিজের খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন হরভজন (Harbhajan Singh)। গোটা দেশকে নারীদের জন্য সুরক্ষিত করা হোক, প্রার্থনা তাঁর। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা (RG Kar Incident) সংবাদপত্র ও টেলিভশন চ্যানেলে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সব রাজ্যের সরকারকেই কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে। পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এখন না নিলে আর কবে?” 

    আরও পড়ুন: হিন্দু পরিচয় দিয়ে, তিলক পরে তরুণীকে ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে আগেই সরব হয়েছিলেন জশপ্রীত বুমরাহ, ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ সিরাজের মতো ব্যক্তিত্বরা। আর এবার ইনস্টাগ্রামে সরব হলেন জোড়া বিশ্বকাপজয়ী হরভজন।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    Mahadev: শিবপুজোর জন্য সোমবার কেন বিশেষ দিন? কীভাবে করবেন মহাদেবের আরাধনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি সোমবারেই ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশে পুজো অর্পণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাদেবের (Mahadev) আশীর্বাদে দূর হয় জীবনের যাবতীয় সমস্যা ও বাধা বিঘ্ন। জীবনে নেমে আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। এমনিতে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো সব বারেই করা যায়, তবে সোমবার কেন বিশেষ দিন? পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, চন্দ্রদেবতা সোমবারে দেবাদিদেব মহাদেবকে পুজো করেন। খুশি হয়ে শিব (Shiva Puja) চন্দ্র দেবতাকে বরদান করেছিলেন। আবার শিবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য দেবী পার্বতী ১৬টি সোমবার ব্রত করেছিলেন বলে জানা যায়। তাই সোমবার শিব পুজোর জন্য বিশেষ দিন হয়ে রয়েছে। সোমবারে (Mahadev) ভগবান শিবের পুজো অত্যন্ত ফলদায়ক ও শুভ বলে মনে করা হয়।

    পূর্ণিমা অনুযায়ী আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার

    হিন্দু ধর্মে শ্রাবণ মাসের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। সনাতন ধর্মে এই মাসটি শিবকে (Shiva Puja) সমর্পিত করা হয়েছে। এই মাসে নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করলে মহাদেবের কৃপায় সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। এ বছর শ্রাবণ মাসে দুর্লভ সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। দুটি পদ্ধতিতে শ্রাবণ মাসের গণনা করা হয়। সংক্রান্তি অনুযায়ী ও পূর্ণিমা অনুযায়ী। পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী গত ২২ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাস শুরু হয়েছিল এবং শেষ হচ্ছে আজ সোমবার অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট। অন্য দিকে সংক্রান্তি অনুযায়ী ১৬ জুলাই সূর্য কর্কট রাশিতে প্রবেশ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রান্তির পরের দিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে শ্রাবণ মাসের সূচনা ধরা হয় এবং তা শেষ হয় গত ১৭ অগাস্ট। অর্থাৎ পূর্ণিমা অনুযায়ী দেখলে এ বছর ৫টি সোমবার থাকছে। আবার সংক্রান্তি অনুযায়ী গণনা করলে ৪টি সোমবার পাওয়া যায়। পূর্ণিমা অনুযায়ী তাই আজ শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনের সময় বিশেষ কিছু রীতি পালন করলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব (Mahadev), এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রয়েছে বিশেষ কিছু পুজোর পদ্ধতিও। শ্রাবণ মাসের সোমবার পালন নিয়ে জ্যোতিষীরা বলছেন, যদি কারও কুণ্ডলীতে বিবাহের যোগ না থাকে বা বিবাহে বাধা আসে, তাহলে শ্রাবণ মাসের সোমবার পালনে সে বাধা কেটে যায়।

    সোমবার শিব (Mahadev) পুজোর পদ্ধতি

    সোমবার ভগবান শিবের বিশেষ পুজো করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবাদিদেব মহাদেব অত্যন্ত ভক্তবৎসল এবং নিষ্ঠা ও ভক্তি সহযোগে পুজো করলেই তিনি তুষ্ট হয়ে যান। শাস্ত্র বিশারদরা বলেন, শুধু বেলপাতা, ফুল, ফল, জলেই তুষ্ট হন মহাদেব।  তবে তার সঙ্গে শিবলিঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করলে ভগবান সহজেই প্রসন্ন হন। সোমবার শিবলিঙ্গে কী কী নিবেদন করলে তিনি তুষ্ট হবেন?

    শিবলিঙ্গের পুজো করার আগে শ্রী গণেশ, ভগবান বিষ্ণু, নবগ্রহ এবং দেবী পার্বতীর পুজো করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা। শিবলিঙ্গে বেলপত্র, ফুল ইত্যাদি উৎসর্গ করুন। কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন, এরপর পঞ্চমেব, পঞ্চামৃত, মিষ্টি, ফল, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদি নিবেদন করুন এবং সব শেষে শিবের আরতি করুন।
            
    শিবের রুদ্রাভিষেক করলেও ভালো ফল মেলে। ভক্তরা নিজেদের ইচ্ছাপূরণের জন্য বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করেন।  ঘি দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে সন্তানের সুখ হয়। অন্যদিকে গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করলে দুঃখ ও পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস। 
            
    অন্যদিকে, আখের রস দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে মহাদেব সহজেই খুশি হন এবং ভক্তের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে।
            
    শিব মন্দিরে প্রদীপ দান করলেও দেবাদিদেব মহাদেব ভক্তদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। বিশ্বাস করা হয়, এদিন কাঁচা চালের সঙ্গে কালো তিল মিশিয়ে দান করলে পিতৃদোষ দূর হয়। 
            
    শিবলিঙ্গে প্রিয় জিনিসগুলি অর্পণ করার পর ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করার বিধান দিচ্ছেন পণ্ডিতরা, এতে শুভ ফল পাওয়া যায়। আবার শিব মন্দিরে রুদ্রাক্ষ নিবেদন করলে দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের হয় বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

    শিবপুজোর আরও খুঁটিনাটি

    অবশ্যই সকালে স্নান করে শিবলিঙ্গের পুজো করা উচিত। 
            
    শিবলিঙ্গে (Mahadev) জাফরান অর্পণ করলে ভক্তদের জীবনে সুখ-শান্তি আসে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে চিনি দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য দূর হয়।
            
    ভোলেনাথ সুগন্ধিও খুব পছন্দ করেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে। শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে মনের চিন্তা শুদ্ধ হয় বলে ধারণা। শিবলিঙ্গে দুধ অর্পণ করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।

    শিব পুরাণ অনুসারে, শিবলিঙ্গের পুজো জীবনের অনেক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে। এছাড়া মানসিক ও শারীরিক কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় শিব পুজোর মাধ্যমে। শিবলিঙ্গ সম্পর্কে একটি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যে, কলিযুগে কুষমান্ড ঋষির পুত্রই সর্বপ্রথম শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • New Zealand: নিউজিল্যান্ডে চালু হল নয়া শিক্ষার আসর, পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!

    New Zealand: নিউজিল্যান্ডে চালু হল নয়া শিক্ষার আসর, পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম (Hindu Scripture Classes)। এই ধর্মের বহু গ্রন্থে পাঠ দেওয়া হয়েছে জীবন চর্যার, জীবন দর্শনের। সনাতনীরা এই দর্শন জানেন। জানেন না বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ। তাঁরাও যাতে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারেন, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে খুঁজে নিতে পারেন জীবন চর্যার মণিমুক্তো, তাই পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। আজ্ঞে হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডেই (New Zealand) চালু হয়েছে এই শিক্ষার আসর।

    কী শেখানো হয়? (New Zealand) 

    সে দেশের রোটোরুয়ায় হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে ফি রবিরার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় ক্লাস। ক্লাস করেন সাত থেকে সত্তর – সবাই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কেউই অংশ নিতে পারেন এই ক্লাসে। শেখানো হয় সংস্কৃত শ্লোক এবং মন্ত্র। সহজ সরল ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেগুলোর অর্থও। হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে জীবন চর্যার যে পাঠ রয়েছে, তাও দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে যাঁরাই আগ্রহী, তাঁরাই যোগ দিতে পারেন এই ক্লাসে। প্রথম ক্লাস হয়েছে ২১ জুলাই, গুরু পূর্ণিমার দিন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী (New Zealand), দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। তাই এই দিনেই শুরু হয়েছে প্রথম ক্লাস।

    শিক্ষক পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

    ক্লাস করাচ্ছেন ঈশ্বরী বিদ্যা নামে একজন। পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ক্লাস রুমে তিনিই নিয়ে আসেন সিন্ধু ছেঁচে মুক্তো। জন পল কলেজে অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের পাঠও দেন ঈশ্বরী। বলেন, “আমার মা ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের সংস্কৃত শেখাতেন। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে সংস্কৃত শ্লোক-মন্ত্র। এই জ্ঞানটাই আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিয়ে যেতে চাই।”

    আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    নিউজিল্যান্ডের হিন্দু কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট গুনা মাগেসান বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই এই জাতীয় একটা ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলাম। ক্লাস শুরুর পরে দেখলাম অনেকেই হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই আমরা ঠিক করেছি, নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য শহরেও আমরা এটাকে ছড়িয়ে দেব।” নিউজিল্যান্ডের আগে এমন ক্লাস শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকেও। সেখানকার বিভিন্ন মন্দির এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্বের পাঠ দিতে এমন ক্লাসের আয়োজন করে। ব্রিটেনেও হিন্দুত্ব শিক্ষার ক্লাস হচ্ছে। ক্লাস হচ্ছে লন্ডনেও। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে (New Zealand)। বিশেষত, যাঁরা প্রবাসী ভারতীয়, তাঁদের মধ্যে। বিশ্বের যত দেশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে, ততই প্রসার হবে হিন্দু ধর্মের। সনাতন ধর্ম (Hindu Scripture Classes) সুরক্ষিত থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Love Jihad: হিন্দু পরিচয় দিয়ে, তিলক পরে তরুণীকে ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে

    Love Jihad: হিন্দু পরিচয় দিয়ে, তিলক পরে তরুণীকে ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লাভ জিহাদের ঘটনা। ঘটনাস্থল আবারও সেই উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। চিত্রনাট্যও মোটামুটি এক। ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে (Love Jihad) ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ দুই মুসলমান তরুণের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের খোদা এবং ক্রসিং রিপাবলিক এলাকার ঘটনা।

    অক্ষয় ‘সেজে’ প্রতারণা

    ক্রসিং রিপাবলিক এলাকার এক যুবতীর অভিযোগ, ২০১৫ সালে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় জনৈক অক্ষয়ের। সেই সময় তিনি পড়তেন লখনউ কলেজে। অক্ষয় বি টেকের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল। মুসলমান পরিচয় গোপন করতে সে নিয়মিত যেত মন্দির দর্শনে। হাতে পরত কালভা (সুতোর তৈরি তাগা, পবিত্র বস্তু বলে মানেন হিন্দুরা)। প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হলে অক্ষয় ওই তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ভালোবাসার মোহে অন্ধ হয়ে তাতেই রাজি হন ওই তরুণী। এর পর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অক্ষয় তাঁকে লখনউয়ের একটি হোটেলে ডেকে পাঠায়। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর ওই তরুণীকে একটি স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা করে দেয় অক্ষয় নামধারী ওই মুসলমান যুবক। পরে তিনি জানতে পারেন স্কুলটি আদতে মুসলমানদের একটি প্রতিষ্ঠান।  

    আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    ওই যুবতীর অভিযোগ, অক্ষয় নিয়মিত কোকেন, কেমিক্যাল কোক সেবন করে। তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাঁর খাবারে গর্ভনিরোধক ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হত। তাই প্রত্যেক বারই তাঁর গর্ভপাত হয়ে যেত। পরে একদিন ওই যুবতী জানতে পারেন, অক্ষয় বলে যাঁকে তিনি ভালোবাসেন, সে আসলে মহম্মদ ফয়জান। পরে তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় বলেও অভিযোগ।

    সমীর সেজে প্রতারণা

    দ্বিতীয় ঘটনাটি খোদা এলাকার। এ ক্ষেত্রে এক মুসলমান যুবক নিজেকে সমীর বলে পরিচয় দেয় (Love Jihad)। এখানেও পাছে মুসলিম পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়, তাই সে সব সময় তিলক পরে থাকত। হাতে পরত কালভা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলাপ হয় তরুণীর সঙ্গে। মার্চের ১৫ তারিখে বাড়িতে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে তরুণীটি জানতে পারেন, সমীর বলে যে পরিচয় যুবকটি দিয়েছিল, সেটি ভুয়ো। যুবকটি আসলে মুসলমান (Uttar Pradesh)। সমীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Love Jihad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar incident: আরজি কর-কাণ্ডের জের! রাজ্যগুলিকে ২ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট পেশের নির্দেশ কেন্দ্রের

    RG Kar incident: আরজি কর-কাণ্ডের জের! রাজ্যগুলিকে ২ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট পেশের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (R G Kar incident) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় এবার নয়া নির্দেশ দিল কেন্দ্র। কলকাতার হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। বিশেষত এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়াজ তুলেছে চিকিৎসক মহলও। একাধিক রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জটিল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই আবহে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।

    কী জানিয়েছে কেন্দ্র? (Central Government) 

    বর্তমানে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার (R G Kar incident) প্রতিবাদে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব রাজ্যকে তাদের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে তথ্য দিতে বলল কেন্দ্র। রাজ্য প্রশাসনকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে। দুঘণ্টা অন্তর সেই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হবে। জানা গিয়েছে, ইমেল, ফ্যাক্স বা হোয়াট্‌সঅ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট দিতে পারবে রাজ্য। এই রিপোর্ট যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কন্ট্রোল রুমে। শুধু তা-ই নয়, যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে তবে তৎক্ষণাৎ তা কেন্দ্রকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (R G Kar incident) 

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে একাধিক হাসপাতালে কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। অনেক জায়গায় মিছিল করার সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। তাই এবার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Central Government)।
    কেন্দ্রের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আরজি করের সামনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে লালবাজার জানিয়েছে, ১৮ অগস্ট, অর্থাৎ শনিবার থেকে ২৪ অগস্ট, পরের সপ্তাহের শনিবার পর্যন্ত পাঁচ জন বা তার বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    Raksha Bandhan 2024: আজ রাখি বন্ধন, কখন বাঁধবেন ভাইয়ের হাতে রাখি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan 2024), হিন্দু ধর্মের অন্যতম বড় উৎসব। প্রতি বছর ভাই-বোনের সম্পর্কের এই পবিত্র উৎসব পালিত হয় শ্রাবণ পূর্ণিমার দিনে। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু-সুখী-সমৃদ্ধ জীবনের জন্য প্রার্থনা করা হয়। ভাইয়েরা তাঁদের বোনদের সারা জীবন রক্ষা করার আশ্বাসও দেন। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ভাই বা দাদাকে রাখি বাঁধার আগে আরতি করা হয় এবং তারপর কপালে তিলক লাগানো হয়। এর পর ভাই দিদির পা স্পর্শ করেন অথবা বোন দাদার পা স্পর্শ করেন।

    কখন শুরু হল তিথি (Raksha Bandhan 2024)? 

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথি আজ অর্থাৎ ১৯ অগাস্ট সোমবার ভোর ৩:০৪ মিনিট থেকে শুরু গিয়েছে এবং রাত ১১:৫৫ মিনিটে শেষ হবে।

    রাখি বাঁধার শুভক্ষণ কখন

    এ বছর রাখি (Raksha Bandhan 2024) বাঁধার শুভ সময় হল দুপুর ১:৪৬ থেকে ৪:১৯ মিনিট পর্যন্ত, প্রায় ২ ঘন্টা ৩৭ মিনিট। এর পাশাপাশি সন্ধ্যা ০৬:৫৬ মিনিট থেকে ০৯:০৭ মিনিট পর্যন্তও থাকবে শুভ সময়, প্রায় ২ ঘন্টা ১১ মিনিট। এবার রাখি বন্ধনে (Hindu Festival) ভদ্রা থাকবে সকালে। ভদ্রা থাকবে সকাল ০৫ টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১ টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে রাখি বাঁধতে বারণ করছেন জ্যোতিষীরা। তাঁদের মতে, ভদ্রা যেখান থেকেই হোক না কেন, এটি অশুভ ফল দেয়। ভদ্রা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    সারা দেশেই পালিত হবে উৎসব 

    রাখি বন্ধনের (Raksha Bandhan 2024) হরেক নাম রয়েছে। কোথাও রক্ষাবন্ধন উত্‍সব, কোথাও আবার শ্রাবণী পূর্ণিমা, আবার কোথাও অবনী আবিত্তম, কোথাও আবার পবিত্রতা বলেও অভিহিত করা হয়। কিছু জায়গায়, বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বাঁধার আগে নারকেলের ওপর তিলক লাগান এবং কলবা অর্থাৎ সুতো বাঁধেন। তারপর সেই নারকেলটি প্রথমে ভাইয়ের হাতে দেন এবং তারপরই ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন। ভাই-বোনের সম্পর্কের অটুট বন্ধন রাখতে (Hindu Festival) ও সম্মান জানাতে এই উত্‍সব পালন করা হয়ে থাকে।

    রাখি নিয়ে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনি

    মহাভারত অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের নিজের বোন ছিলেন সুভদ্রা। কিন্তু তিনি দ্রৌপদীকেও নিজের বোনের মতো স্নেহ করতেন। একবার শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে যায় এবং সেখান থেকে রক্তপাত শুরু হয়। তখন সেখানে সুভদ্রা এবং দ্রৌপদী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। সুভদ্রা তখন সেই রক্ত বন্ধ করবার জন্য কাপড় খুঁজছিলেন। কিন্তু দ্রৌপদী একটুও দেরী না করে নিজের পরিহিত মূল্যবান রেশমী শাড়ি ছিঁড়ে শ্রীকৃষ্ণের সেই কেটে যাওয়া স্থানটি বেঁধে দেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ করার জন্য। এবং শ্রীকৃষ্ণ তখন দ্রৌপদীকে বলেন, তার বেঁধে দেওয়া কাপড়ের প্রতিটি সুতোর প্রতিদান দেবেন তিনি। এরপর শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় বস্ত্রহরণের চরম কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেন।

    মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ

    চলতি বছরে রাখি পূর্ণিমার দিন মোট ৬টি শুভ ও বিরল যোগ রয়েছে, বলে জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা। যার ফলে রাখি পূর্ণিমার দিন অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। রাখির দিন রাজ পঞ্চক, শ্রাবণ সোমবার, শ্রাবণ পূর্ণিমার উপবাস ও স্নান, অন্যদিকে সবার্থ সিদ্ধি যোগ, রবি যোগ ও শোভন যোগ গঠিত হতে চলেছে।

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি (Raksha Bandhan 2024) পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর 

    শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রাখি পূর্ণিমা একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে এবছর। ভক্তি ভরে এদিন পুজো ও দান করলে ব্যাপক পুণ্যলাভ হয় বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। এদিন নিয়ম মেনে বাড়িতে সত্যনারায়ণের পুজো করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি হয়েছিল ৭ বছর পর!  কবে হবে তিলোত্তমার খুনের বিচার?

    RG Kar Incident: নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি হয়েছিল ৭ বছর পর! কবে হবে তিলোত্তমার খুনের বিচার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের (Nirbhaya Case) কথা মনে আছে? কলকাতায় সম্প্রতি আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনার পর ফের উঠে আসছে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের কথা। নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের প্রায় ১২ বছর পর কলকাতায় আরজি করে (RG Kar Incident) এই তরুণী চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় সরব হয়েছেন সবাই। সবার একটাই প্রশ্ন, দোষীদের শাস্তি হবে কবে?   

    নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ড (Nirbhaya Case) 

    ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লির মুনির্কাতে ওই নৃশংস ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। বিক্ষোভ, মিছিল, দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিল সবাই। সেদিন রাতে নির্ভয়া ও তাঁর বন্ধু সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রথমে অটো ধরে মুনির্কা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। রাত তখন সাড়ে ৯টা। তাঁদের সামনে একটি বাস এসে দাঁড়ায়। এক নাবালক মুখ বাড়িয়ে জানতে চায়, তাঁরা কোথায় যাবেন। দ্বারকার কথা বলতেই সে জানায়, ওইপথেই বাস যাবে। বাসে উঠেন নির্ভয়া ও তাঁর বন্ধু। বাসে তখন চালক-সহ ৬ জন। নির্ভয়ার কাছ থেকে ২ জনের ভাড়া হিসেবে ২০ টাকা নেয় কন্ডাক্টর। তখনও কিছু সন্দেহ হয়নি তাঁদের। কিন্তু, বাস অন্য রুট ধরতেই নির্ভয়ার বন্ধু চমকে ওঠেন। রুট বদলানোর কারণ জানতে চান। ততক্ষণে নিজেদের আসল মূর্তি ধারণ করেছে ওই ৬ জন। বাসের দরজা বন্ধ করে দেয়। নির্ভয়ার বন্ধুকে মারধর করা হয়। তারপর শুরু হয় সেই নৃশংসতা। নির্ভয়াকে গণধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢোকানো হয়। ৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস ছিল এক নাবালক। নৃশংস অত্যাচারের পর নির্ভয়া ও তাঁর বন্ধুকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালায় তারা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে নির্ভয়াকে। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর দোষীদের চিহ্নিত করতে ও তাদের সাজা পাওয়াতে কেটে গেছিল অনেকগুলো বছর। বহু ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রায় ৭ বছর ৪ মাস পর ২০২০ সালের ২০ মার্চ মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর ও পবন গুপ্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার আগে এক অভিযুক্ত জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। আর এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তাকে ৩ বছর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। 

    আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    তিলোত্তমার অপরাধীরা কবে শাস্তি পাবে? (RG Kar Incident) 

    নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের (Nirbhaya Case) মতো এবারেও কলকাতায় আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় সরব হয়েছেন সবাই। ‘রাত দখল’ করেছেন মহিলারা। নির্ভয়াকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলছেন অনেকে। নির্ভয়াকাণ্ডের মতো আরজি করের নৃশংস ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির সাজার দাবি উঠছে। কিন্তু এই দোষীদের কি আদৌ সাজা হবে? কবে আসবে সেই দিন? অপেক্ষায় গোটা দেশ। 
    যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নারকীয় এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যেতেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে এজেন্সি। আরজি করের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও জেরা করে চলেছে সিবিআই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    Siddaramaiah: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠগড়ায় উঠতে চলেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। জমি কেলেঙ্কারি (Land Scam Case) মামলায় বিচার শুরু হবে তাঁর। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলৌত। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিন সমাজকর্মী প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা।

    কেলেঙ্কারির জেরে কাঠগড়ায় কারা? (Siddaramaiah)

    জমি বণ্টন কেলেঙ্কারির অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনকেও। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে। অভিযোগে বলা হয়েছে, মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের জমি বেআইনিভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

    জাল নথিপত্র পেশ!

    স্নেহময়ীর দাবি, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন মুডার দফতরে। প্রাইম লোকেশনে বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে পার্বতীকেও। ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠিও লেখেন ওই সমাজকর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যপালের নির্দেশ অনুযায়ী, আমি এখানে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৮৮-এর ধারা ১৭ এবং ২১৮-এর ধারার অধীনে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচারের অনুমোদনের অনুরোধের বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অনুলিপি সংযুক্ত করছি (Siddaramaiah)।”

    আরও পড়ুন: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যপাল বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। পদ্ম-সাংসদ তেজস্বী সূর্য বলেন, “নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সরে দাঁড়ানো উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।” তিনি বলেন, “কর্নাটকের মাননীয় রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন। জমি কেলেঙ্কারিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। এটা একটা সিগনিফিকেন্ট ডেভেলপমেন্ট। অভিযোগটাও খুব সিরিয়াস।” তিনি বলেন, “নৈতিক কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত সিদ্দারামাইয়ার।” রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন (Land Scam Case) বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্রও (Siddaramaiah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata News: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    Kolkata News: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দুপুরে কলকাতার (Kolkata News) রাস্তায় হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার সাহা (Singer Durnibar) ও তাঁর স্ত্রী ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহর। প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক। জানা গিয়েছে, রাস্তাতেই দুর্নিবার-মোহরের ওপর চড়াও হয় একদল লোক। অভিযোগ, দুর্নিবারের গলা চেপে ধরে তারা। গোটা ঘটনাটি নিয়ে সমাজ মাধ্যমে সরব হন গায়ক।

    কী বলেছেন দুর্নিবার? (Kolkata News)

    নিজের ফেসবুক পেজে একটা ভিডিও পোস্ট করেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। তাঁকে সেখানে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি দুর্নিবার, আমার সঙ্গে আছে মোহর। আমাদের সঙ্গে ঠিক এক ঘণ্টা আগে কলকাতার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে, নাকতলার ভিতরে একটা রাস্তার মোড়ে খুব খারাপ একটা ঘটনা ঘটে।’’ গায়কের অভিযোগ, কোনও রকমের রোড ব্লকেজের নোটিশ না থাকা সত্ত্বেও একদল লোক রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছিলেন। তখন গায়ক ৫-৬বার হর্ন দিয়ে বলেন, ‘‘এটা দুপুরবেলা, রাস্তা ঠিক করার সময় নয়। সরে যান গাড়িটা যেতে দিন। তখনই তাঁরা (লোকগুলি) তেড়ে আসেন।’’

    ওঁরা আমার গলা চেপে ধরে 

    এরপরেই তাঁর ওপর হামলা করার অভিযোগ করেন গায়ক (Singer Durnibar)। তিনি বলেন, ‘‘আমি তখন ওঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হই। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ওঁরা আমার গলা চেপে ধরে (গলার দাগ দেখিয়ে)। আমার গলায় ভীষণ ব্যাথা, এখনও ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতেও দাগ দেখতে পাবেন। নিজে বাঁচতে আমিও হামলাকারীদের একজনের গলা ধরি। তখন ওঁরা ৩-৪জন মিলে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উল্টোদিকে নিয়ে যান।’’ মোহর তখনও নামেনি, ও বেগতিক দেখে (Kolkata News) নামে। ও যখন নামে তখনও আমার একজন গলা চেপে ধরে আছে, হাত ধরে আছে। যাতে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।’’ সব শেষে দুর্নিবার জানান, যাঁরা রাস্তায় কাজ করছিলেন, তাঁরা কিন্তু কোনও মিস্ত্রী নন, স্থানীয় বাসিন্দা।

    কী বললেন মোহর?

    ফেসবুকের (Kolkata News) ওই ভিডিওতে দুর্নিবারের সঙ্গে মোহরও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘এত কিছুর পরে বলব, কিছু ভালো মানুষ হয়ত আছেন। এক ভদ্রলোক আমাকে দেখে কাঁদতে শুরু করেছিলেন। বলেন, মা তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো, চতুর্দিকে যা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না কেন হচ্ছে, তুমি প্লিজ গাড়িতে বসো। আমিও এখনও বিষয়টা থেকে বের হতে পারছি না। ভর দুপুর বেলা! কী বলব লোককে? কেউ কখনও বাইরে বের হবেন না!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Portable Hospital: অভিনব! ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ উদ্যোগে আকাশ থেকে নামল আস্ত হাসপাতাল

    Portable Hospital: অভিনব! ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ উদ্যোগে আকাশ থেকে নামল আস্ত হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ হাজার ফুট ওপর থেকে মাটিতে নামল আস্ত হাসপাতাল। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার (Air Force Army) যৌথ উদ্যোগে প্যারাশ্যুটের মাধ্যমে প্রথম বার সফল ভাবে নামল চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital)। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য এই অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার। শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভরত ভূষণ বাবু। 

    এবার থেকে চলমান হাসপাতাল পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে

    সীমান্ত হোক বা দেশের যে কোনও দুর্গম অঞ্চল, এতদিন যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে ‘এয়ার লিফট’ই ছিল একমাত্র উপায়। তবে তাতে ঝুঁকি কম ছিল না। এই পরিস্থিতির বদল আনতেই অভিনব এই উদ্যোগ। যেখানে চলমান হাসপাতাল (Portable Hospital) পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে। এই পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে চলেছে দেশের সেনাবাহিনী।

    এই হাসপাতালের বিশেষত্ব (Portable Hospital) 

    দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ তাঁবুর মতো হলেও, এর মধ্যে রয়েছে ট্রমা কেয়ারের সমস্ত প্রযুক্তি ও পরিষেবা। এই হাসপাতালের মধ্যে ৭২ রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে থাকবে একটি ছোট আইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার, রান্নাঘর, খাবার, জল, একটি বিদ্যুৎ জেনারেটর, রক্ত পরীক্ষার সরঞ্জাম, একটি এক্স-রে মেশিন-সহ আরও নানান ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম। কোনও বিপর্যয়ের সময়েও এই কিউবগুলি দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই এক একটি চলমান হাসপাতালের ওজন প্রায় ৭২০ কেজি। এক বার মাটি স্পর্শ করার পর মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই এই হাসপাতালের ভিতরের সামগ্রী গোছানো সম্ভব। কিউবগুলি অত্যন্ত হালকা ওজনের হওয়ায় এয়ারড্রপের পর যে কোনও জায়গায় দ্রুত স্থাপন করা যেতে পারে। তবে শুধু মাটি নয়, সমুদ্র পথেও এটিকে যে কোনও জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ’’, মমতার পদত্যাগ চাইলেন নির্ভয়ার মা

    এদিন বায়ুসেনার হারকিউলিস বিমান চলমান হাসপাতালকে (Portable Hospital) ১৫ হাজার ফুট উপর থেকে প্যারাশুটের মাধ্যমে নামানো হয় মাটিতে। দেশীয় উপায়ে তৈরি এই চলমান হাসপাতালগুলিকে বলা হয় আরোগ্য মৈত্রী হেল্‌থ কিউব। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভীষ্ম’ প্রকল্পের আওতায় এই হেলথ্‌ কিউবগুলি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত এই চলমান হাসপাতালগুলিকে উত্তরপ্রদেশে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আগে মোতায়েন করা হয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share