Author: user

  • R G Kar Incident: ‘‘পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ’’, মমতার পদত্যাগ চাইলেন নির্ভয়ার মা

    R G Kar Incident: ‘‘পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ’’, মমতার পদত্যাগ চাইলেন নির্ভয়ার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (R G Kar Incident) বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গোটা দেশ। এরই মধ্যে এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ (CM resignation) দাবি করলেন ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ মামলার নির্যাতিতা নির্ভয়ার মা।  শনিবার এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, “পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।”

    ঠিক কী জানিয়েছেন নির্ভয়ার মা? (R G Kar Incident) 

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অপরাধীর ফাঁসি চাই স্লোগান তুলে সিবিআই তদন্তের ডেডলাইন বেঁধে দেন। আর এই ঘটনার পরেই নির্ভয়া কাণ্ডে নির্যাতিতার মা আশা দেবী বলেন, ‘‘‌একজন মহিলা হিসেবে তাঁর কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ছিল অপরাধীদের বিরুদ্ধে। কারণ তিনিই ওই রাজ্যের প্রধান। তাই এমন পরিস্থিতি সামলাতে না পারার জন্য তাঁর পদত্যাগ (CM resignation) করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে নিজে প্রতিবাদে নেমে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন।’‌’

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দিল্লির নির্যাতিতার মা

    এদিন তিনি নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতার হাসপাতালেই মেয়েরা সুরক্ষিত নন। দেশে তাঁদের নিরাপত্তা কতটা, তা এখান থেকেই বোঝা যায়।” তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ধর্ষকদের জন্য কঠোর সাজার বন্দোবস্ত না করা পর্যন্ত এই ধরনের বর্বরতা চলতেই থাকবে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় (R G Kar Incident) অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অভিযুক্তকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে হয়।  
    উল্লেখ্য, আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় (R G Kar Incident) উত্তপ্ত রাজ্য৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে রাজ্যের সর্বত্র অবস্থান, বিক্ষোভে নেমেছে বিজেপি৷ শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপির সংগঠন৷ এই বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    Rajasthan News: হিন্দু সহপাঠীকে ছুরিকাঘাত, রাজস্থানে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুরে নিজের হিন্দু সহপাঠীকেই ছুরি মারে দশম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। এর পরেই সেখানে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ (Udaipur Police)। শুক্রবারের এই ঘটনার পরে, ১৫ বছরের ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বেআইনি বাড়ি বুলডোজার দিয়ে শনিবারই গুঁড়িয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন। রাজস্থান পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনবিভাগ অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবারকে একটি নোটিশ পাঠায় শনিবার সকালেই এবং সেই নোটিশের ভিত্তিতে বাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায় তারা। কিন্তু অভিযুক্ত ছাত্রের পরিবার বাড়ির মালিকানার কোনও রকমের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

    কী বলছেন উচ্ছপদস্থ পুলিশ আধিকারিক? 

    এর পরেই প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বুলডোজার অ্যাকশনের পরে উদয়পুর রেঞ্জের আইজি অজয় লাম্বা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অভিযুক্ত ছাত্র ও তার বাবাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ওই অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে শনিবার প্রথমে বুলডোজারের মাধ্যমে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙার আগে এলাকাটি খালি করতে বলে পুলিশ। কিন্তু তখনই এলাকার মানুষজন পুলিশকে বাধা দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতিও তৈরি হয়। উদয়পুর জেলার (Rajasthan News) মধুবন এলাকায় ছুরি চালানোর ঘটনার পরেই সম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে যায় শুক্রবারে। সেখানকারই একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় ওই অভিযুক্ত।

    অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ হেফাজতে (Rajasthan News) 

    জানা গিয়েছে, আপাতত ওই অভিযুক্ত ছাত্র পুলিশ (Udaipur Police) হেফাজতেই রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা শহরে এবং তার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই পুলিশ গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এবং যে কোনও ধরনের জমায়েতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুক্রবারই রাজস্থানের (Rajasthan News) উদয়পুর শহরের জেলা প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে, কারণ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা করে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    RG Kar: মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত হলেই আরও তথ্য সামনে আসবে, আরজি কর নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, মমতার ফোন বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানালেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, এতেই তদন্ত স্বচ্ছ হবে। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ তদন্তের নামে তিলোত্তমার ভিসেরা পরিবর্তন করেছে। যেখানে এই অপরাধ ঘটেছে, সেখানে বেশ কয়েক জনের যুক্ত থাকার বিষয় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রক্তাক্ত কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলি নিশ্চিত করা যায়।’’ এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডিজিপি রাজীব কুমার ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর কল রেকর্ড এবং অন্যান্য তথ্য খতিয়ে দেখলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

    অন্য জায়গায় নারকীয় ঘটনা ঘটার পর সেমিনার হলে সেই দেহ নিয়ে আসা হয় (RG Kar) 

    নন্দীগ্রামের এক অনুষ্ঠান (RG Kar)  থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখুন। আমি অনেক কিছু সামনে আনব। সব আমার কাছে আছে।’’  শুভেন্দু অধিকারী এমনও বিস্ফোরক দাবি করেছেন যে ঘটনাস্থলের ওয়াশ বেসিন বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন বেসিন লাগানো হয়েছে সেখানে। শুভেন্দু আরও একটি বক্তব্য তুলে ধরেছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। লিখেছেন, ‘‘অন্য জায়গায় নারকীয় ঘটনা ঘটার পর সেমিনার হলে সেই দেহ নিয়ে আসা হয়।’’

    সন্দীপ ঘোষের গুণের শেষ নেই

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরজি কর (RG Kar)  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘যোগসূত্র’ নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, মমতাকে খাম দিতেন সন্দীপ। শুক্রবারই নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘এই সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা’টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন উনি। সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ আছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে একুশ সালে টুপি পরিয়েছেন। ভালো পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে হুইলচেয়ার চিহ্নে ভোট দিন বলে গোটা পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে বেরিয়েছেন। সেই অপকর্মটা করেছেন সন্দীপ ঘোষ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ঢোক গিলল রাজ্য, প্রত্যাহার করা হল চিকিৎসকদের বদলির সিদ্ধান্ত

    RG Kar Case: ঢোক গিলল রাজ্য, প্রত্যাহার করা হল চিকিৎসকদের বদলির সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঢোক গিলল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। বদলি প্রত্যাহার করা হল আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) সেই ৪২ জন চিকিৎসকের। শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।

    স্বাস্থ্য সচিবের সাফাই (RG Kar Case)

    সাফাই গাইতে তিনি বলেন, “এই বদলির নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ নেই। এটা রুটিন বদলি ছিল। মাস দুয়েক আগেই এই বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।” রুটিন বদলিই যদি হয়, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত কেন প্রত্যাহার করা হল, তার জুতসই কোনও জবাব অবশ্য দিতে পারেননি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব। নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “যে বদলির কথা বলা হয়েছে, সেই বদলির প্রক্রিয়া আরজি করের ৯ অগাস্টের ঘটনার প্রায় দু’মাস আগেই শুরু হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এই বদলির নির্দেশে ছাড়পত্র অনেক আগেই দিয়েছিলেন। নামের বানান থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংশোধনের কাজ মিটিয়ে বদলির অর্ডার ইস্যু করতে অনেক দেরি হল। তবে আমরা সেই নির্দেশও প্রত্যাহার করছি।”

    ছেঁদো যুক্তি!

    তিনি বলেন, “ওই চিকিৎসকরা এখন বিভিন্ন জায়গায় পরিষেবা দিচ্ছেন। তাঁদের বদলি করলে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। তাই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল। এতে কোনও বিতর্ক নেই। বদলির নির্দেশ আপাতত বাতিল করা হয়েছে। চিকিৎসক সংগঠন ‘ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশনে’র তরফে বদলির প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল (RG Kar Case)। এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছিল, “বাংলার রাজ্যপাল আমাদের প্রতিবাদ সমর্থনকারী সদস্যদের অন্যায়ভাবে বদলি করেছেন। এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কিন্তু ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার জন্য আমাদের দাবি স্তব্ধ করতে পারবে না। আমরা আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিংসায় মৃত ৬৫০, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    বদলির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্সও।’ এই আবহেই প্রত্যাহার করা হল বদলির সিদ্ধান্ত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঘরে-বাইরে (Health Department) চাপে পড়ে গিয়েই ফেলে দেওয়া থুতু গিলল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (RG Kar Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 18 August 2024: প্রেমের ব্যাপারে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 18 August 2024: প্রেমের ব্যাপারে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি। 

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) পুরাতন রোগ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ৩) হতাশ হবেন না কোনওভাবে।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তির পাল্লায় পড়ে অর্থক্ষতি।

    ২) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের ব্যাপারে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে। 

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের প্রতি লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) প্রিয়জনকে মনের কথা খুলে বলুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে। 

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়। 

    ৩) দিনটি অনকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: “ধর্মনিরপেক্ষ, অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কী করে?” প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির

    Bangladesh Crisis: “ধর্মনিরপেক্ষ, অথচ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কী করে?” প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বারবার হিংসার শিকার হন হিন্দুরা। এর বীজ লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবিধানেই। এমনই মত প্রকাশ করলেন বাংলাদশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সুরেন্দ্রকুমার সিনহা। তাঁর মতে একটি রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হলে কী করে তার রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম হয়? তিনি বলেন, “আপনার (সংবিধানে) ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে কিন্তু আপনি ইসলামকেও রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রেখে দেবেন—দুটো বিষয় তো একসঙ্গে চলতে পারে না।” তাঁর মতে, বাংলাদেশকে সেক্যুলার হতে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। 

    সত্যিই কি ধর্মনিরপেক্ষ(Bangladesh Crisis) 

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)  প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সুরেন্দ্রকুমার সিনহার মতে, শেখ হাসিনার একটি পদক্ষেপেই হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গঠনের সময় দেশটিকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল এক মৌলিক বিষয়। তবে, ১৯৮৮ সালে সামরিক শাসক এরশাদ সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশকে মুসলিম দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এরশাদের বিদায়ের পরও দীর্ঘদিন বাংলাদেশের পরিচয় মুসলিম দেশই ছিল। এই সময় খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা দুজনেই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংবিধান ফের সংশোধন করে বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক বিষয় হিসেবে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তবে, একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবেই থাকবে।

    সুরক্ষিত হিন্দুরা!

    হাসিনা সরকারের আকস্মিক পতনের পর, বাংলাদেশে হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu) ওপর অত্যাচার চলছে। সম্প্রতি হিন্দুদের উপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপদেষ্টা। ইসকন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেন। সেখানে তিনি জানান, বাংলাদেশে হিংসা, ঘৃণা বা সংঘাতের কোনও স্থান নেই। হোসেন আরও জানান, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষ এখানে কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই বাস করেন। বৈঠকে ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ই উপদেষ্টাকে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি জানান। পাশাপাশি আট দফা দাবিও পেশ করা হয়। তাতে সংখ্যালঘু সুরক্ষায় নতুন আইন তৈরি, সংখ্যালঘু সেল তৈরি, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং মন্দিরের জন্য সরকারি সুরক্ষার  দাবি জানানো হয়েছে। তবে, সরকার হিন্দুদের সুরক্ষায় যতই আশ্বাস বাণী শোনাক, সাধারণ মানুষ কিন্তু অন্য কথাই বলছেন। বাংলাদেশের হিন্দুদের অভিযোগ, নিরাপত্তার বদলে মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। 

    রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের দাবি 

    বাংলাদেশে হিন্দুদের (Bangladeshi Hindu) উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, “রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে আমরা ইসলামকে রাখব এবং সেই সঙ্গে বলব আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। এটা একসঙ্গে চলতে পারে না। বাংলাদেশকে সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ দেশে পরিণত করতে চাইলে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করতে হবে। আপনার ধর্মনিরপেক্ষতাও থাকবে, কিন্তু সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বলা হবে, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না।” আর এই দুই নৌকোয় পা দিয়ে চলা বন্ধ না হলে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারও বন্ধ হবে না বলে মত তাঁর। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এখনও পর্যন্ত একমাত্র হিন্দু, যিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। তবে, ২০১৭ সালে তাঁর সঙ্গে হাসিনা সরকারের বিবাদ বেধেছিল। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায় নিয়ে তাঁকে পদত্যগ করতে হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    সম্পত্তি আইন নিয়ে প্রশ্ন

    বাংলাদেশের সম্পত্তি আইন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এতে হিন্দুদের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সম্পত্তি আইনের মতো আইন থাকতে পারে না। এই আইনের বলে হিন্দুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। একইভাবে, হিন্দু মন্দির পরিচালনার জন্য আলাদা আইন থাকতে পারে না। যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং সাম্য বজায় থাকে, তবেই বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে থাকবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করে চিকিৎসক খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের অস্ত্র থ্রিডি লেজার স্ক্যানার

    CBI: আরজি করে চিকিৎসক খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের অস্ত্র থ্রিডি লেজার স্ক্যানার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই (CBI)। তারপরই নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিবিআই কর্তারা।

    থ্রিডি লেজার স্ক্যানার মেশিনের কী কাজ? (CBI)

    জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) যেখানে তরুণী চিকিৎসককে খুন করা হয়েছিল, সেই জায়গাটা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘুরে দেখেছেন ইতিমধ্যেই। তবে ঘটনাস্থলে এমন অনেক জিনিসই থাকে যা খালি চোখে ধরা পড়ে না। সে ক্ষেত্রে তদন্তের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তির থ্রিডি লেজার স্ক্যানার মেশিন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাস্থলের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ডিজিটাল ছবি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। ফলে, খালি চোখে দেখা যায় না এমন নানা সূক্ষ্ম জিনিসও তদন্তকারীদের সাহায্য করে নানা ভাবে। ঘটনাস্থলের কাছেই হঠাৎ সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তোলা হয়েছে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে। যদিও পরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের নির্দেশে। তবে সিবিআই (CBI) তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও কিছুই চোখের আড়াল করবে না। আর তাই ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে গোটা ওই বিল্ডিং থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং করে রাখছে তারা। লেজার স্ক্যানার দ্বারা ক্যাপচার করা পয়েন্ট ক্লাউড ডেটা থেকে ব্লাড স্প্যাটার, বুলেট ট্র্যাজেক্টোরি এবং খালি চোখে না দেখা বস্তুও পরীক্ষা করে বের করা যেতে পারে। শুধু তাই নয় আদালতে পরবর্তীতে বিচারের ক্ষেত্রেও এই ডিজিটাল ডেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মুহূর্তেই যে কোনও জায়গায় ঘটনাস্থলকে তুলে ধরতে পারে এই ডেটা। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে একাধিক তদন্তকারীর প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হয় তদন্তকারীদের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি বোতামের স্পর্শেই কয়েক মিনিটের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে। একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হোন বা তদন্তকারীরা, যে কোনও সময় এই নথি দেখেই প্রমাণ পর্যালোচনা করে নিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    বগটুই কাণ্ডে ব্যবহার হয়েছিল এই লেজার

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ধরনের লেজার স্ক্যানার সাধারণত বড় কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর আগে বাংলায় এই মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল বগটুই কাণ্ডে। এই যন্ত্র চালাতে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন তদন্তকারী দলও আরজি কর হাসপাতালে কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। এই থ্রিডি লেজার স্ক্যানারগুলি অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ডেটা কালেক্ট করায় নির্ভুলভাবে উচ্চ বাস্তবতার ভার্চুয়াল কপি তৈরি করতেও সক্ষম। তার জেরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে, একটি অপরাধের দৃশ্য খুব কম সময়ে এবং অনেক বেশি বিশদে খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়। সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের কাছে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিংসায় মৃত ৬৫০, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিংসায় মৃত ৬৫০, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) বিদ্রোহ মোকাবিলায় অযথা শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।’ শুক্রবার এই মর্মে রিপোর্ট দিল রাষ্ট্রসংঘ (UN Report)। শুধু তাই নয়, ১৬ জুলাই থেকে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত হিংসার জেরে বাংলাদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫০ জন মানুষ। প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতর। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে খুন, আটক, প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতারি নিয়ে স্বচ্ছ, পক্ষপাতহীন তদন্তের সুপারিশও করেছে তারা।

    কী বলা হয়ে রিপোর্টে? (Bangladesh Crisis)

    এদিন ‘প্রিলিমিনারি অ্যানালিসিস অফ রিসেন্ট প্রোটেস্ট অ্যান্ড আনরেস্ট ইন বাংলাদেশ’ নামে ১০ পাতার একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে রাষ্ট্রসংঘে। তাতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে নিরাপত্তা বাহিনী অপ্রয়োজনে এবং সামঞ্জস্যহীনভাবে বলপ্রয়োগ করেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এ নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হিংসায় মৃত্যুর খতিয়ানও দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে মারা গিয়েছেন ৪০০ জন। ৫ এবং ৬ অগাস্ট এই দুদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৫০ জনের। সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ১৬ জুলাই থেকে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০০ জন।

    সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমান খুন হন ১৫ অগাস্ট। তার পর থেকে বাংলাদেশে দিনটি পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস হিসেবে। এদিন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের ওপর লাঠি-রড নিয়ে যে চড়াও হয়েছিল, সেই ঘটনারও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতরের প্রধান ভোলকার টার্ক। পক্ষপাতহীন, স্বচ্ছ তদন্তের দাবিও তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশে যাবে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতরের একটি প্রতিনিধি দল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফার আগে-পরে প্রতিবাদীদের হত্যা নিয়ে (UN Report) তদন্ত করবে ওই দল (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Doctors Transfer: ‘‘হিটলারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, ডাক্তার-বদলি ইস্যুতে তুলোধনা বিজেপির

    Doctors Transfer: ‘‘হিটলারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, ডাক্তার-বদলি ইস্যুতে তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে তোলপাড় দেশ। সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন। চিকিৎসকরাও এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন। এবার প্রতিবাদী চিকিৎসকদের মুখ বন্ধ করতে তড়িঘড়়ি বদলির (Doctors Transfer)  সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। আচমকাই ৪২ জন চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সরকারের এহেন স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার সরব হল বিজেপি। পদ্ম-পার্টির (BJP) অভিযোগ, প্রতিবাদে শামিল হওয়ার মাশুল গুণতে হল ওই চিকিৎসকদের।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Doctors Transfer)  

    আরজি করকাণ্ডের জেরে গত ৯ দিন ধরে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। এহেন আবহে, শুক্রবার দুপুরে আরজি করের নার্সদের নার্সিং সুপারের দফতর থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে যাঁরা আন্দোলনে যাচ্ছেন, তাঁদের ভিডিও করে রাখা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরই বিকেলের দিকে দেখা যায় একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে ৪২ জনের বদলির কথা বলা হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। লেখেন, ১৬ অগাস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট হেল্থ মিনিস্ট্রি ৮ পাতার একটি ট্রান্সফার (Doctors Transfer) অর্ডার বের করেছে। সিনিয়র ডাক্তারদের বশ্যতা স্বীকারে ভয় দেখানোর একটি মরিয়া চেষ্টা। কী আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?  

    তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্রের

    শুধু অমিত মালব্যের পোস্টই নয়, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালাও বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই তালিবানি ফতোয়া মিডিয়া থেকেই পেয়েছি আমি। কীভাবে ন্যায়ের পক্ষে কণ্ঠ ছাড়ায় ৪২ জন ডাক্তারকে বদলি (Doctors Transfer) করে দিল। কারও কারও তো দূর দূরান্তেও বদলি হয়েছে। বাংলার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশ রাগে ফুটছে। সবাই পথে নেমেছেন এবং সবার একটাই দাবি বিচার চাই।”

    তিনি বলেন, “কিন্তু বিচার দেওয়ার বদলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অ্যাজেন্ডা হল সুবিচার করো না, মহিলাদের বাঁচতে দিও না, শুধুমাত্র ধর্ষণকারীদের বাঁচাও। তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘তালিবানি মুঝে চাহিয়ে’ ও ‘তানাশাহি মুঝে চাহিয়ে’ সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে, বিচার দেওয়ার পরিবর্তে, যারা এই জঘন্য অপরাধ নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিভিন্নভাবে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে। আজ যদি ইন্দিরা গান্ধী, স্ট্যালিন, কিম জং ইল এবং হিটলারের মতো স্বৈরাচারীরাও থাকতেন, তাঁরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাহবা দিতেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদেরও ছাপিয়ে গিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durand Derby: আরজি করকাণ্ডের জেরে বাতিল কলকাতা ডার্বি, দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ

    Durand Derby: আরজি করকাণ্ডের জেরে বাতিল কলকাতা ডার্বি, দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত শহর থেকে রাজ্য। সারা দেশে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সরকারের গাফিলতি ঠেকাতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তাই পর্যাপ্ত পুলিশের অভাবে বাতিল হয়ে গেল রবিবারের ডুরান্ড কাপের ডার্বি (Durand Derby)। রবিবারের ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) ডার্বিতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা করছে পুলিশ। ডার্বির স্রোতে আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চাইবেন ভেবেছিলেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। তাতে বাধ সাধল কলকাতা পুলিশ।

    কেন বন্ধ ডার্বি

    রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে শনিবার ডুরান্ড কাপের আয়োজক কমিটির দফায় দফায় বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) জেরে আয়োজকদের সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তাদের বৈঠকে ডার্বি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে ডার্বি (Durand Derby) আয়োজনের ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। বৈঠক এখনও শেষ হয়নি। বড় ম্যাচের সমস্ত টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই ডার্বি ম্যাচ বাতিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। পুলিশের অনুমান, আরজি কর ঘটনার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে গ্যালারিতে। যে কারণে বাতিল করে দেওয়া হল ডুরান্ড ডার্বি।

    পুলিশের যুক্তি

    শহরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুলিশের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় এত পরিমাণে পুলিশকর্মী দেওয়া হয়েছে, যে ডার্বির (Durand Derby) জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। আসলে,গত কয়েক দিন ধরে সমাজমাধ্যমে দু’দলের সমর্থকেরাই আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। ফুটবল সমর্থকদের একাংশ আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ টিফোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কয়েকটি সমর্থক দলের তরফে ঘোষণাও করা হয়, ম্যাচের দিন ব্যানার, টিফোর মাধ্যমে ঘটনার প্রতিবাদ করা হবে। এই ধরনের টিফো পরিস্থিতি জটিল করতে পারে বলেও আশঙ্কা পুলিশ-প্রশাসনের। সব মিলিয়েই রবিবার ডুরান্ডের ডার্বি নিয়ে আপত্তি জানানো হয় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    জামশেদপুরে সরছে অন্য ম্যাচ

    ম্যাচ না হওয়ায় দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দু’দলই পাচ্ছে এক পয়েন্ট করে। প্রতিযোগিতায় গ্রুপগুলির পয়েন্ট তালিকায় যা অবস্থা, তাতে দু’দলই চলে যাচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালে। বিক্রি হওয়া টিকিটের পুরো টাকা ফুটবলপ্রেমীদের ফেরত দেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতায় প্রতিযোগিতার আর কোনও ম্যাচ হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।  শোনা যাচ্ছে জামশেদপুরে ডার্বির (Durand Derby) বাকি ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share