Author: user

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই দিল্লি থেকে এলেন গোয়েন্দারা

    RG Kar Rape-Murder: আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই দিল্লি থেকে এলেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে বলেন, “রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দিতে হবে। সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ অবিলম্বে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে এবং সেই দিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা করতে হবে।” এদিকে আদালতের নির্দেশের পরই তদন্তভার নিতে সিবিআই পৌঁছে যায় টালা থানায়। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল (RG Kar Rape-Murder)?

    মঙ্গলবারের শুনানিতে মৃতার পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পরিবারের কাছে প্রথমে কেউ ফোন করে বলেছিল আপনার মেয়ে অসুস্থ। তারপর আবার আরেকজন ফোন করে বলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পাল্টা সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পরিবারের বক্তব্য সঠিক। দু’বার ফোন করা হয়েছিল। তবে হাসপাতালের সহকারী সুপারই ফোনে সংবাদ দিয়েছিলেন। তবে কেউ অভিযোগ না করায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর (RG Kar Rape-Murder) মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করে বলেন, “এটা আশা করা যায় না। মৃতদেহ কি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল। হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষ রয়েছেন। প্রিন্সিপালকে পুরস্কৃত করলেন। কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হল না? এই যুক্তি একদম দেখানো উচিত নয়।” উল্লেখ্য মামলাকারীদের অবশ্য দাবি ছিল রাজ্যের প্রভাব থাকবে না এমন কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হাসপাতালের প্রত্যকে তলার প্রবেশ পথে যেন সিসিটিভি লাগানো হয় সেই দাবিও তোলা হয়।

    কোর্টের গুঁতো

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অন্য কোনও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাক্ষের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। আজ হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সন্দীপের ভূমিকায় আদালত ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “সারানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কৃত করা হল অধ্যক্ষকে। পুরস্কৃত অধ্যক্ষকে ছুটিতে যেতে বলুন। তা না হলে আমরা নির্দেশ দেব।” কিন্তু আদালতের নির্দেশের কিছু সময়ের পর জানা যায় সন্দীপ ছুটির আর্জি করেছেন। ঘটনা ঘটার পর কেন হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি, এই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। সন্দীপ ছুটির আর্জি করলে নাকচ করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

    আরও পড়ুনঃ‘‘এত পাওয়ারফুল লোক’’! ‘পুরস্কৃত’ সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে পাঠাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    চাপে রাজ্য সরকার

    সন্দীপের সময়কালে কেন একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের শিকার হয়ে খুন (RG Kar Rape-Murder) হতে হল, এই নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনের চাপে পড়ে রাজ্য সরকার সোমবার অধ্যক্ষ পদ থেকে সরালেও আবার সঙ্গে বদলি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে। এরপর সেখানেও বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন সেখানকার পড়ুয়ারা। অবশেষে লাগাতার আন্দোলনের চাপে কলেজের দায়িত্ব সন্দীপকে না দিয়ে অজয় রায়ের হাতেই রেখেছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relations: দিল্লিতে হাসিনা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না, জানাল বাংলাদেশ

    India Bangladesh Relations: দিল্লিতে হাসিনা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না, জানাল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এর প্রভাব পড়বে না দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে। একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক স্বার্থের ওপর নির্ভর করে। হাসিনার ভারতে অবস্থানের প্রভাব পড়বে না দুই দেশের (India Bangladesh Relation) পারস্পরিক সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টার এই মন্তব্যে খানিকটা হলেও স্বস্তি পাবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ভারতের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ (India Bangladesh Relations)

    তৌহিদ হোসেন এদিন ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক (India Bangladesh Relations) অনেক কিছুর উপরে নির্ভর করে। এখানে বন্ধুত্ব দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশ তিন দিক থেকে ভারত দ্বারা বেষ্টিত। অনেক বিষয়েই প্রতিবেশী দেশটি ভারতের উপর নির্ভরশীল। দুই দেশের মধ্যে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্যিক আদান-প্রদান হয়। দুই দেশের সম্পর্কে ঘাটতি এলে তার প্রভাব পড়বে বাণিজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই কোনও পক্ষই এক্ষেত্রে চায় না সম্পর্কে তিক্ততা আসুক।

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি (Seikh Hasina)

    অন্যদিকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হোক, এই দাবি জোরালো হচ্ছে। বিএনপি’র তরফ থেকে তাঁকে (Seikh Hasina) দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি প্রক্রিয়ার সম্মুখীন করার দাবি তোলা হচ্ছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা এখনও এ বিষয়ে নীরব। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও (India Bangladesh Relation) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই মুহূর্তে দেশে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেওয়ায় দেওয়ার প্রচেষ্টায় মগ্ন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

    আরও পড়ূন: বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর গ্রামের জমিও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা! হতবাক বাসিন্দারা

    পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে শেখ হাসিনার বিষয়ে তাঁরা ভাবলেও ভাবতে পারেন। যদিও শরণ দেওয়া কোনও ব্যক্তিকে তাঁর দেশে শাস্তি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়ার জন্য ফেরত পাঠানোর নজির নেই ভারতবর্ষে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হচ্ছেন ‘প্রভাবশালী’ সন্দীপ, ঘরে তালা ঝোলালেন পড়ুয়ারা

    Sandip Ghosh: ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হচ্ছেন ‘প্রভাবশালী’ সন্দীপ, ঘরে তালা ঝোলালেন পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই পদত্যাগ করেন আরজি করের (RG Kar Medical) অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা সামনে আসে, যেখানে দেখা যায় কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যালের (National Medical College) অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি হয়েছেন তিনি। এরপরে ন্যাশনাল মেডিক্যালের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ আন্দোলনে নামেন, তাঁরা তালা লাগিয়ে দেন অধ্যক্ষের জন্য নির্ধারিত ঘরে। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের একটাই দাবি, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হিসেবে মানবেন না।

    প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সন্দীপ ঘোষ। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বিবৃতি, চাপে নয়! স্বেচ্ছায় এমন পদত্যাগ। সকালে পদত্যাগ বিকালে আবার নতুন করে নিয়োগের ঘোষণা। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা প্রভাবশালী সন্দীপ ঘোষ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থাকা অজয় কুমার রায়কে নিমেষের মধ্যে বদলি করা হয় স্বাস্থ্য ভবনে। কারণ সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হতে হবে। কোনও কোনও মহল বলছে, ‘‘এখানেই বোঝা যাচ্ছে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ঠিক কতটা প্রভাবশালী! তাঁর জন্য বর্তমান অধ্যক্ষকেও বদলি করা হয়।’’

    বদলির ২১ দিনের মাথায় ফের আরজি করে (RG Kar Medical)

    তবে এই প্রথম নয়। সন্দীপ (Sandip Ghosh) ঠিক কতটা প্রভাবশালী, তা বোঝা যায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনায়। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন ও দুবাই সফরে গিয়েছিলেন। তার আগে, সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অস্থি বিভাগে বদলি করা হয়। ২১ দিনের মাথায় কোনও এক জাদুবলে তিনি ফের ফিরে আসেন আরজি করে (RG Kar Medical)। এমন বদলি কার্যত নজিরবিহীন। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় না। প্রসঙ্গত আরজি করে নৃশংস কাণ্ড ঘটার পর থেকেই আন্দোলনকারীরা নিশানা করছেন সন্দীপ ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠছে যে হাসপাতালে নানা দুষ্কর্মের মদত দেন তিনি। বেআইনি নিয়োগও করান। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় সন্দীপের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেন না। 

    উনি ইস্তফার নাটক করছেন! ফৌজদারি তদন্তের দাবি সন্দীপের বিরুদ্ধে

    আরজি কর (RG Kar Medical) কাণ্ড সামনে আসতেই নানা অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে, বাড়িতে ফোন করে বলার নেপথ্যেও সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) রয়েছেন বলে দাবি করে আন্দোলনকারীরা। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এমন ক্ষোভ অবশ্য শুধুমাত্র জুনিয়র ডাক্তারদেরই নয়, বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনেরও রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ‘‘উনি ইস্তফার নাটক করছেন! তার নাকি খুব দুঃখ হয়েছে, ওঁকে কোথাও বদলি নয়, ওঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী তদন্ত করতে হবে। উনি ঘটনার তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছেন।’’

    স্বাস্থ্য ভবনে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন

    প্রভাবশালী সন্দীপ (Sandip Ghosh) স্বাস্থ্য ভবনে নিজের সাম্রাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি করেন অনেকে। সন্দীপের দাপট-প্রভাবের সামনে টিকতে পারে না কেউই। কোনও ডাক্তারি পড়ুয়া তাঁর অপছন্দের হলে তাঁকে ফেল করিয়ে দিতেন নাকি সন্দীপ, এমন অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। আবার আরজি কর (RG Kar Medical) হাসপাতালে দুর্নীতি, অনিয়ম, বেনিয়ম যে রয়েছে তার পিছনে থাকতেন সন্দীপ, এমনটাই অভিযোগ। একাধিক বার তাঁকে বদলি করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী সন্দীপ বরাবরই ফিরে আসেন আরজি করের অধ্যক্ষ হয়ে। সমালোচকরা বলছেন, ‘‘আরজি করে কী আছে! সেটা হয়তো সন্দীপই বলতে পারবেন, এই হাসপাতালের প্রতি কেন সন্দীপের এত মোহ!’’

    সন্দীপের (Sandip Ghosh) দাবি

    একবার সন্দীপ ঘোষের বদলে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সনৎ ঘোষকে আরজি করে আনা হয়েছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে অল্প সময়ের মধ্যে ফের সন্দীপ আবার ফিরে আসেন আরজি করে (RG Kar Medical)। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা তাঁকে ‘কুকর্মের মাস্টারমাইন্ড’ বলছেন। তবে সন্দীপ দাবি করেন, তিনি দুষ্কর্ম রুখে দিয়েছেন! আরজি করে তিনি কেমন দুষ্কর্ম রুখেছেন তা সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সামনে আসার পরই বোঝা যাচ্ছে, নতুন করে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সন্দীপ দাবি করেন, আরজি কর ছিল ঘুঘুর বাসা, তোলাবাজি চলত দেদার এবং তাতে নাকি নেতাদের মদতও ছিল। তিনি এসে সবকিছু বন্ধ করেছেন। এখন নাকি আরজি করে তোলাবাজি হয় না, ঘুষ দিতে হয় না এবং রোগীরদের পরিষেবা যথেষ্ট! সন্দীপ আরজি কর কেমন নিজের হাতে সাজিয়েছেন? জুনিয়র চিকিৎসরা বলছেন, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের গায়ে লাথি মেরে অধ্যক্ষের রুমে ঢোকেন তিনি।

    সন্দীপের বিরুদ্ধে অনেকের ক্ষোভ, বলছেন তৃণমূল বিধায়কই 

    সন্দীপ (Sandip Ghosh) যে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ, একথা সকলেই জানেন। শাসক দলের বদান্যতায় তাঁর এত প্রভাব-প্রতিপত্তি। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন এন্টালির তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণ কমল সাহা। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে। জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ আগে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এমএসভিপির দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময়ে চিকিৎসক থেকে অনেক মহলই তাঁর ওপরে ক্ষুব্ধ থাকত বলে দাবি স্বর্ণকমলের। কারণ তিনি নিজের মতো করে চলেন, সহজে যে কোনও চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। অ্যাপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে কেউ দেখা করতে এলে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে বাইরে বসিয়ে রাখা হত। এরকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলতে চলতে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। সন্দীপকে (Sandip Ghosh) ন্যাশনালে বদলির বিষয়ে স্বর্ণ কমল সাহা রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন সাংবাদিকদের সামনেই। তাঁর মতে, ন্যাশনালের নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে আরজি করের (RG Kar Medical) মতো দুর্ঘটনা এখানে না ঘটে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    R G Kar Hospital: রাতের হাসপাতালে কী দেখেছিলেন ‘অভয়া’? কাদের আড়ালের চেষ্টা চলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনের বেলায় রোগীর ভিড়, ট্রলির আওয়াজ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যস্ততার ছবিটা সূর্যাস্তের পরেই দ্রুত বদলে যায়! রাত বাড়লেই একেবারে ভিন্ন ছবি! রাতের অন্ধকারে যেন এক অজানা হাসপাতাল চত্বর! এবার এমনই কথা জানালেন আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Hospital) এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক কুকীর্তি জানার জেরেই নিগৃহীতার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের তদন্ত নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আরজি করকাণ্ডে বারবার প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক অভিযোগ উঠছে। আর সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার একাধিক পথ থাকলেও পুলিশ কেন দেরি করছে! আর এখানেই অভিযোগ উঠছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তির সম্পর্ক থাকার জেরেই কি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন?

    যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনও ত্রুটি থাকবে না। দ্রুত সকলের সঙ্গে কথা বলা হবে। সব রকম পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ঘটনার সম্পূর্ণ কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশ তদন্তের (Police Investigation) দায়িত্ব থেকে সরে যাবে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, ঘটনার পরে ১০দিন পেরিয়ে গেলে একাধিক তথ্য ও প্রমাণ নষ্ট‌ হয়ে যাবে। তাই দশ দিন পরে অন্য তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্ব নিলে কতটা তথ্য জোগাড় করতে পারবে, সে নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।

    কী জানাচ্ছে হাসপাতালের একাংশ? (R G Kar Hospital)

    আরজি কর হাসপাতালের একাংশ জানাচ্ছে, রাতের হাসপাতাল চত্বরে চলে একাধিক বেআইনি কাজ। নানান নিষিদ্ধ ওষুধ পাচার থেকে যৌন কেলেঙ্কারির মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। রাতে কর্তব‌্যরত একাধিক চিকিৎসকের নজরেও পড়ে সেই ঘটনা। কলেজের ইন্টার্ন থেকে স্নাতকোত্তর ট্রেনি চিকিৎসক, রাতে পরিষেবার দায়িত্বে থাকা একাধিক পড়ুয়ার‌ চোখের সামনেই ঘটে এমন নানান অবৈধ ঘটনা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নানান ঘটনার অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তাই অবাধে চলত বেআইনি কাজ। 
    কলেজের এমবিবিএস-র শেষ বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) শাসক দলের একাধিক নেতার আত্মীয়রা পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে এই সব বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও রকম প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি বলেও তাঁরা অভিযোগ করছেন। পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, মাস দুয়েক আগে থেকেই প্রভাবশালী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে নিগৃহীতার বচসা শুরু হয়। নিগৃহীতা একাধিকবার তাদের কাজের প্রতিবাদ জানান। তাকে নানা রকম হেনস্থা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হয় বলেও অভিযোগ উঠছে। বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, নিগৃহীতা তাঁর বাবা-মাকে বারবার জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে তাঁর ভালো লাগে না। তাঁর মুখ বন্ধ করতেই এমন ভয়ানক অপরাধ ঘটল বলেও মনে করছেন আরজি কর হাসপাতালের অন্দর মহলের অনেকেই।

    তদন্ত নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে চিকিৎসক মহল?

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মৃতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যথাযথ ভাবে বিশ্লেষণ করলেই নানান প্রশ্নের জট খুলে যাবে। ঘটনার পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ (R G Kar Hospital)। চিকিৎসক সূবর্ণ গোস্বামী জানান, মৃতার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম রক্ত মিশ্রিত সিমেন স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ওই মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছে। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত আরেক চিকিৎসক-শিক্ষক বলেন, ঘটনার রাতে সেমিনার রুমের আশপাশে জনা চারেক ইন্টার্ন যাতায়াত করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ পুলিশের তদন্ত (Police Investigation) নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 August 2024: বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 13 August 2024: বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) রক্তচাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) অশান্তি থেকে দূরে থাকুন। 

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) সঙ্গীতে সাফল্য পেতে পারেন। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) গাড়ি একটু সাবধানে চালান।

    ২) অর্শ-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে। 

    ৩) সতর্ক থাকুন।

    কর্কট

    ১) কুসঙ্গ থেকে দূরে থাকুন।

    ২) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) বাতের যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) কাজের ব্যাপারে ভালো যোগাযোগ হতে পারে।

    ৩) সুখ লাভ।

    কন্যা

    ১) ভ্রমণের জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে পারেন। 

    ৩) অর্থ লাভ হবে।

    তুলা

    ১) বাড়িতে চুরির সম্ভাবনা, সাবধান থাকুন।

    ২) দাম্পত্য কলহ নিয়ে যন্ত্রণা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) শারীরিক কষ্টের কারণে কাজের সময় নষ্ট। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখতে হবে।

    মকর

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) সতর্ক থাকুন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে।

    ২) সামাজিক সম্মান পাবেন। 

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মীন

    ১) গানবাজনার প্রতি আগ্রহ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আত্মীয়কে নিয়ে বিবাদ হতে পারে। 

    ৩) পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    Paris Olympics 2024: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসার শহর থেকে ভাঙা হৃদয় নিয়েই ফিরতে হল ভারতকে। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের পদক সংখ্যা ছিল ৭। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সে সেই সংখ্যা টপকানো যায়নি। বরং একটি পদক কমে সেটি দাঁড়িয়েছে ৬-এ। মেলেনি সোনার মেডেলও। তবু অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন ভারতের অ্যাথলিটরা। সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রত্যেক পদকজয়ীকে যিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিয়েছেন বাহবা।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    রবিবার প্যারিস অলিম্পিক্সের (Paris Olympics) সমাপ্তি ঘোষণার পর রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘প্যারিস অলিম্পিক্স শেষ হওয়ার দিন আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রত্যেক অ্যাথলিটের প্রশংসা করছি। প্রত্যেক অ্যাথলিট নিজের সেরাটা দিয়েছেন। দেশের প্রত্যেকে তাঁদের নিয়ে গর্বিত। আগামী প্রতিযোগিতার জন্যেও আমাদের ক্রীড়াবিদদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।’ প্রত্যাশা, স্বপ্ন, টার্গেট—সব কিছু এক দিকেই ইঙ্গিত করেছিল। এ বার অলিম্পিক্সে নাকি দশের বেশি পদক জিতবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু পারেননি অ্যাথলিটরা। ৬ জন অ্যাথলিট চতুর্থ পজিশনে শেষ করেছেন। সেগুলিতে সাফল্য মিললে হয়তো চওড়া হত হাসি। কিন্তু হয়নি তবে পারব, লস অ্যাঞ্জেলসে ঠিক লক্ষ্যপূরণ হবে, এই আশাতেই বুক বাঁধতে চায় ভারতবাসী।

    সরকারের সাহায্য (Paris Olympics 2024) 

    মোদি সরকারের অধীনে, ভারতীয় ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, বিশেষ করে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য। সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে ভারতের ক্রীড়াবিদরা বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা প্রদর্শন করতে পারেন। 

    অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম (TOPS): ২০১৪ সালে শুরু হওয়া লক্ষ্য অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম, একটি প্রধান উদ্যোগ যা সম্ভাব্য অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের চিহ্নিত করে এবং তাদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং উচ্চমানের কোচিংয়ের ব্যবস্থা করে। এই স্কিমের আওতায় ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা, পুষ্টি এবং মানসিক সুস্থতার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

    খেলো ইন্ডিয়া স্কিম: ২০১৮ সালে চালু হওয়া খেলো ইন্ডিয়া স্কিমটি ভারতের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে বিকশিত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল ও কলেজ স্তর থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের জন্য বৃত্তি, প্রশিক্ষণ সুবিধা, এবং প্রতিযোগিতার সুযোগ প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নত করা হয়েছে, যা নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

    আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি: মোদি সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে উন্নত প্রশিক্ষণ, সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে এলিট ক্রীড়াবিদদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, যাতে তাঁরা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

    অবকাঠামো উন্নয়ন: সরকার সারা দেশে ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। এতে উচ্চ কর্মক্ষমতা কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ সুবিধা, এবং স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে, যা ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

    ভারতের পদক

    নীরজ চোপড়া, মনু ভাকেরদের হাত ধরে প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে মোট ৬টি পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। তার মধ্যে ৫টি ব্রোঞ্জ এবং একটি রুপো। মনু ভাকের প্যারিস অলিম্পিক থেকে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। ব্যাক্তিগত বিভাগে ব্রোঞ্জেই থেমে থাকেননি মনু ভাকের। তিনি সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড টিম ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) শুটিং থেকে ব্যাক টু ব্যাক তিনটি পদক পায় ভারত। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ পান স্বপ্নিল কুশালে। টোকিও অলিম্পিকের পর প্যারিস গেমস থেকেও ভারতীয় পুরুষ হকি টিম দেশকে পদক দিয়েছে। এ বার পিআর শ্রীজেশরা প্যারিসে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। নীরজ চোপড়া জ্যাভলিন থ্রো-তে টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। প্যারিস গেমসে তিনি পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো-তে রুপো পেয়েছেন। এ বারের গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থে এটিই ভারতের একমাত্র রুপো। প্যারিস গেমসে শেষ বেলায় কুস্তি থেকে ব্রোঞ্জ এনে দেন আমন শেরাওয়াত। তিনি প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল ইভেন্ট থেকে দেশকে ব্রোঞ্জ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অলিম্পিক্স পদকের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন! ব্রোঞ্জজয়ী অ্যাথলিটের পোস্ট নিয়ে জল্পনা

    মানসিকতার ফারাক (Paris Olympics 2024)

    এখন ভারতীয় অ্যাথলিটদের জন্য অর্থ বা পরিকাঠামোর অভাব খুব একটা নেই। দেশে পরিকাঠামোর অভাব থাকলেও প্রথম সারির অ্যাথলিটরা বিদেশে গিয়ে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পান। তবে কোথাও একটা মানসিকতার উন্নতি প্রয়োজন। এমনটাই মনে করছেন অভিজ্ঞরা। লক্ষ্য সেন যে ভাবে এগিয়ে গিয়েও হেরে যান ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে, যে ভাবে অঙ্কিতা-ধীরাজরা মোক্ষম সময়ে তির মারেন সাতে, ট্প থ্রি-র মধ্যে থেকেও কয়েকটা গড়পড়তা শট মেরে চার নম্বরে পিছিয়ে পড়েন, তা আসল সময়ে টেনশনে ভোগার জন্যই। তাই যাঁরা চতুর্থ হয়েছেন, তাঁরা সবাই একটুর জন্য পদক খোয়াননি। বেশিরভাগই হারিয়েছেন মানসিক ক্ষমতায় অনেকটা পিছিয়ে থেকে। ঠিক চার বছর পর, ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের আগে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সেই দূরত্ব অতিক্রম করতেই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Bharat: দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতা হ্রাস করছে আয়ুষ্মান ভারত! প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

    Ayushman Bharat: দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতা হ্রাস করছে আয়ুষ্মান ভারত! প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের (India) মানুষ যাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন সেই জন্য কেন্দ্র সরকার চালু করে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্প। দেশের একেবারে গরিব এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের সুবিধার জন্য আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্পের দ্বারা ২০১১-১২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের দরিদ্রদের আর্থিক দুর্বলতার একটি বিরাট অংশ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। 

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল (Ayushman Bharat) 

    এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ শমিকা রবির সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই দেশের (India) বেশিরভাগ পরিবারই প্রতি বছর বেশ ভালো মাত্রায় চিকিৎসা ব্যয়ের সম্মুখীন হন, কিছু কিছু  ক্ষেত্রে  গুরুতরভাবে আর্থিক চাপের সম্মুখীনও হন। এমত অবস্থায় কঠিন রোগে হসপিটালে ভর্তি রেখে রোগীর চিকিৎসাভার বহন করাও একপ্রকার দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে দরিদ্র শ্রেনির রোগীর পরিবারের পক্ষে। তবে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড থাকলে ক্যান্সার, কার্ডিয়াক সার্জারি ও অন্যান্য মারণ রোগের চিকিৎসা করানো যায় সহজে। একইসঙ্গে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইউরোলজিস্টদের পরামর্শ ও পরিষেবা মেলে বিনামূল্যে। এর ফলে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষগুলো আর্থিক দিক থেকে অনেকটা স্বস্তি পায়। সমীক্ষায় প্রকাশিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জানা গিয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ২০১১-১২ সালে ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ সালে ২২ শতাংশে পৌঁছেছে।  

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, সুরক্ষার দাবিতে বর্ধমানে প্রতিবাদ মিছিল সনাতনীদের

    ফলে ২০১১-১২ সাল থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যয়ের পরিমাণ মাসিক ব্যয়ের ১০.৮ শতাংশ থেকে ৯.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। আর্থিক চাপের এই হ্রাস মূলত আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) যোজনার মতো জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের জন্য সম্ভব হয়েছে, যা দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে তুলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা দিতে ময়দানে প্রশাসন

    Hijab Row: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষা দিতে ময়দানে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরের বিলহৌর এলাকায় এক সরকারি কলেজে তিন ছাত্রী কলেজের পোশাক বিধি না মেনে হিজাব পরে (Hijab Row) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসায় জেলাশাসক রাকেশ সিং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সহকারী জেলাশাসক রশ্মি লাম্বা। ১৭ অগাস্টের মধ্যে তাঁকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    হিজাবের নামে স্বচ্ছাচারিতা (Hijab Row)

    সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই চলছিল। কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী পোশাক বিধি মেনেই কলেজে আসছিলেন। হঠাৎই বেঁকে বসে তিন মুসলিম ছাত্রী। জানা যায় তাঁরা পোশাক বিধির বাইরে গিয়ে হিজাব পরে (Hijab Row) কলেজে আসার জন্য গোঁ ধরে বসেন। এতে কলেজের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও পোশাক বিধি ভঙ্গ করার মানসিকতা দেখা দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারণ করার পরেও অনড় ছিল ওই তিন ছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, এই পোশাক বিধি ধর্মীয় আচরণের অংশ। তদন্ত তিনটি বিষয়ের উপরে কেন্দ্রীভূত। এক, ছাত্রীরা কী স্বেচ্ছায় হিজাব পরেছিলেন? দ্বিতীয়, ছাত্রীরা কী কলেজের পোশাক বিধি সম্পর্কে অবহিত ছিল। তৃতীয়, পোশাক বিধি না মানার জন্য তাঁদের উপরে বহিরাগত কোনও শক্তি চাপ দেয়নি তো।

    ইউনিফর্মে আপত্তি তিন ছাত্রীর (Uttar Pradesh)

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনা ৩ আগস্ট সামনে আসে, যখন ওই তিনজন মুসলিম ছাত্রী কলেজের ভিতরে পোশাক বিধি মান্য না করে হিজাব পরে (Hijab Row) প্রবেশ করে। জ্যোতি নামে এক শিক্ষিকা প্রথমে ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। তিনি ওই ছাত্রীদের কলেজের পোশাক বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। শিক্ষিকার বলার পরেও, ছাত্রীরা হিজাব পরেই কলেজে আসে। এরপর হিজাব পরে কলেজ আসায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়। অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরাও এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জানতে চায়, পোশাক বিধি না মানলে সকলেই কি ছাড় পেয়ে যাবে? নাকি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বী বলে পোশাক-বিধি ভঙ্গ করার জন্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভের জেরে কলেজের অধ্যক্ষ পোশাক বিধির বাইরে কোন পোশাক পরে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদেরকে ডেকে পাঠান। অভিভাবকরা আশ্বাস দেন, এরপর থেকে কলেজের ইউনিফর্ম পরেই ছাত্রীরা কলেজে আসবে।

    কর্ণাটকের পরিস্থিতি চায়না উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)

    কানপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, “আপাতত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা ভাবা হচ্ছে না। ছাত্রীদের ভবিষ্যতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই দিকটি ভাবা হচ্ছে। তবে কলেজের এবং যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুশাসন সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মেনে চলা উচিত। তদন্তের উদ্দেশ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়া। প্রসঙ্গত ২০২১ সালে কর্নাটকে একইভাবে এক ছাত্রীর হিজাব পরে আসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন চায় না কর্নাটকের পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) সৃষ্টি হোক। সেই কারণে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু পড়াশোনার জায়গা, সেখানে ধর্মীয় গোঁড়ামির কোনও স্থান নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের চলতে হবে।

    আরও পড়ুন: অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একরকম পোশাক হয়। তার অর্থ, সকলকে এক সমান চোখে দেখা। পোশাক বিধির পিছনে নিহিত অর্থ সকলের বোঝা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    Ramakrishna 102: “ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি?”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্ত্যা ত্বনন্যায়া শক্য অহমেবংবিধোহর্জুন।

    জ্ঞাতুং দ্রষ্টাং চ তত্ত্বেন প্রবেষ্টুং চ পরন্তপ।।

    গীতা—১১/৫৪/

    ঈশ্বরদর্শন—সকরা না নিরাকার

    ব্রাহ্মভক্ত—মহাশয়! ঈশ্বরের স্বরূপ নিয়ে এত মত কেন? কেউ বলে সাকার—কেউ বলে নিরাকার—আবার সাকারবাদী নিকট নানারূপের কথা শুনতে (Kathamrita) পাই। এত গণ্ডগোল কেন?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—যে ভক্ত যেরূপ দেখে, সে সেইরূপ মনে করে। বাস্তবিক কোনও গণ্ডগোল নাই। তাঁকে কোনরকমে যদি একবার লাভ করতে পারা যায়, তাহলে তিনি সব বুঝিয়ে দেন। সে পাড়াতেই গেলে না—সব খবর পাবে কেমন করে?

    একটা গল্প শোনঃ

    একজন বাহ্যে গিছিল। সে দেখলে যে গাছের উপর একটি জানোয়ার রয়েছে। সে এসে আর একজনকে বললে, দেখ অমুক গাছে একটি সুন্দর লাল রঙের জানোয়ার দেখে এলাম। লোকটি উত্তর করলে, আমি যখন বাহ্যে গিছিলাম আমিও দেখেছি—তা সে লাল রঙ হতে যাবে কেন? সে জে সবুজ রঙ! আর-একজন বললে (Kathamrita), না না—আমি দেখেছি হলদে! এইরূপে আরও কেউ কেউ বললে, না জরদা, বগুনী, নীল ইত্যাদি। শেষে ঝগড়া। তখন তারা গাছতলায় গিয়ে দেখে, একজন লোক বসে আছে। তাকে জিজ্ঞাসা করাতে সে বললে, আমি এই গাছতলায় থাকি, আমি সে জানোয়ারটিকে বেশ জানি—তোমার যা যা বলছ, সব সত্য—সে কখন লাল, কখন সবুজ, কখন হলদে, কখন নীল আরও সব কত কী হয়! বহুরূপী। আবার কখন দেখি, কোন রঙই নাই। কখন সগুণ, কখন নির্গুণ।

    অর্থাৎ যে ব্যক্তি সদা-সর্বদা ঈশ্বরচিন্তা (Ramakrishna) করে সেই জানতে পারে তাঁর স্বরূপ কি? সে ব্যক্তিই জানে যে, তিনি নানারূপে দেখা দেন, নানাভাবে দেখা দেন—তিনি সগুণ, আবার তিনি নির্গুণ। যে গাছতলায় থাকে, সেই জানে যে বহুরূপীর নানা রঙ—আবার কখন কখন কোন রঙই থাকে না। অন্য লোক কেবল তর্ক ঝগড়া করে কষ্ট পায়।

    আরও পড়ুনঃ “মহাশয় ঈশ্বরকে কি দেখা যায়? যদি দেখা যায়, দেখতে পাই না কেন?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    Port: ভারতের জন্য গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেট নিকোবরে ৪১০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে নির্মিত হচ্ছে ট্রান্স-শিপমেন্ট পোর্ট (Port)। ভারত সরকার গালাথিয়া উপসাগরে গ্রেট নিকোবর দ্বীপে আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চলেছে। এই বন্দর প্রকল্পটি শুরু করার সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার মতো একটি বিষয় প্রথমে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) থেকেও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। ফলে বাস্তবায়নে আর কোনও বাধা নেই। এই বন্দর ভারতের আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    বন্দর সচিবের বক্তব্য (Great Nicobar Transhipment Port)

    সংবাদ মাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথ সচিব টি কে রামচন্দ্রন বলেছেন, “এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের ডিপিআরও চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আমরা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটির আরও বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করব। এই সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির জন্য অনুমানিক ব্যয় হবে প্রায় ৪১,০০০ কোটি টাকা। তবে সরকার এবং ব্যক্তিগত-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) দ্বারা প্রকল্পের অর্থ অনুমোদন করা হবে।”

    পিপিপি মডেলে তৈরি হবে

    গত বছর, বন্দর (Port), নৌপরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, ১১টি সংস্থা এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, লারসেন অ্যান্ড টুব্র লিমিটেড, অ্যাফকান ইন্সুরেন্স লিমিটেড, জেএসডবলু ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মতো কোম্পানি। বাজার ও ব্যবসার মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে স্টোরেজ এলাকা, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম এবং অন্যান্য কাঠামো গঠন করা হবে। ৩০ থেকে ৫০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী সময়ের জন্য পিপিপিকে ছাড় দেওয়া হবে। বন্দর পরিষেবা প্রদানের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহ এবং সামগ্রিক পরিচর্চার বিষয়ে তাদের বিশেষ অধিকার দেওয়া হবে।

    দুটি ধাপে সম্পন্ন হবে

    এই সমুদ্র বন্দরের (Great Nicobar Transhipment Port) প্রকল্পটি ২টি ধাপে তৈরি করা হবে। প্রথম পর্যায়ের জন্য আনুমানিক খরচ করা হবে প্রায় ১৮০০০ কোটি টাকা। এই পর্বে ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, ড্রেজিং, পুনরুদ্ধার, বার্থ, স্টোরেজ এলাকা, বিল্ডিং এবং ইউটিলিটি, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, ইনস্টলেশন এবং বন্দর কলোনির উন্নয়নের কাজ করা হবে। মূল অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি সহায়তা করা হবে। দ্বিতীয় পর্বে বন্দরের জন্য পৃথক দরপত্র প্রণয়ন করা হবে। তবে প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের মধ্যে সর্বাধিক সাত বছরের ব্যবধানের থাকবে। তবে যদি চাহিদা বাড়ে তবে এই সময়ের ব্যবধানটি কমিয়ে আনা হতে পারে।

    প্রকল্পের তাৎপর্য

    বর্তমানে, ভারতের ট্রান্সশিপড কার্গোর প্রায় ৭৫ শতাংশ ভারতের বাইরের বন্দরে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কলম্বো, সিঙ্গাপুর এবং ক্ল্যাং-এই বন্দরগুলিতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে থাকে৷ তবে এই ট্রান্সশিপড কার্গোর অর্ধেকের বেশি কলম্বো বন্দর দ্বারা পরিচালিত হয়। ভারতের এই বন্দর প্রকল্প অত্যন্ত কৌশলগত, কারণ এটি সিঙ্গাপুর, ক্ল্যাং এবং কলম্বোর মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে মধ্যে অবস্থিত। বৈদেশিক আমদানি-রফতানি এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক নিরাপত্তা-সুরক্ষার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে এই বন্দরের সঙ্গে। তাই ভারতের জন্য এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    আরও পড়ুনঃ অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনকে নির্দেশ আদালতের

    ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বন্দর

    আন্তর্জাতিক জাহাজ বাণিজ্য পথের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত এই বন্দর (Great Nicobar Transhipment Port)। ২০ মিটারের বেশি প্রাকৃতিক জলের গভীরতায় জাহাজের আমদানি-রফতানির জন্য খুব সহায়ক হবে এই বন্দর। এই প্রস্তাবিত বন্দরটি সম্পূর্ণরূপে চালু হলে প্রতি বছর ১৬ মিলিয়ন কন্টেইনার ওঠা-নামানোর পরিকাঠামো নির্মিত হবে। যার প্রথম ধাপ ২০২৮ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বন্দরের (Port) সঙ্গে একযোগে বিকাশ ঘটাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share