Author: user

  • Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    Gujarat: “ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও”! মুসলিম যুবকদের প্রাণঘাতী হামলা, গুরুতর আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র শ্রাবণ মাসে গুজরাটে (Gujarat) উৎসবের মরসুমও শুরু হয়েছে। দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করে পুজোর প্রস্তুতি চলছিল। আচমকা, দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে কয়েকজন মুসলিম যুবক। এতে ওই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় রাজকোটে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ ভীষণভাবে আতঙ্কিত। হিন্দু পরিবারে এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দোষীদের দ্রুত কঠিন শাস্তির দাবি করেছে হিন্দু সংগঠন।

    অভিযুক্ত মুসলিম যুবকদের পরিচয় (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, হিন্দু পরিবারের দুই সদস্য দশম ব্রত মণ্ডপ তৈরি করতে যাচ্ছিলেন। তখন সিকান্দার, আফজাল, সমির ও দারেড নামের ৪ মুসলিম যুবকদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর যুবকরা, ওই হিন্দু পরিবারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হিন্দু পরিবারের সদস্য জগদীশভাই ভাঘেলা ভগবতীপাড়া স্ট্রিটেই থাকেন। সেই সঙ্গে একটি মণ্ডপে পরিষেবা দিয়ে থাকেন৷ পাশেই মিহির ও আশিস নামে তাঁর ২ ছেলে ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। 

    এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করি!

    হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে মিহির অভিযোগ করে বলেছেন, “আশাবা পীরের দরগার কাছে বসবাসকারী হিন্দুদের পক্ষ থেকে দশম ব্রতের জন্য একটি প্যান্ডেল তৈরি করতে প্রধান সড়কে যাওয়া হচ্ছিল। পথে সিকান্দার, আফজাল, দারেড ও সমির নামে মুসলিম যুবকরা বাধা দেয়। সেই সঙ্গে আমার বাবাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, পরের বার যেন এই এলাকায় মণ্ডপ তৈরি না করা হয়। এরপর আমার বাবা অন্য একজনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। আমরা পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় চারজন মুসলিম যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে আচমকা হামলা চালায় বাড়িতে। সেই সঙ্গে আমার বাবা-মাকেও মারধর করে। আমার ভাই আশিসের (১৯) পেটে ছুরি দিয়ে পর পর কোপ মারা হয়। বর্তমানে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এরপর রাজকোট (Gujarat) বি বিভাগে একটি মামলা দায়ের করেছি।”

    পরিবারের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Gujarat)

    আক্রমণের শিকার এই হিন্দু পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাজকোটের (Gujarat) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা ইনচার্জ আশিস শেঠ বলেছেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে ভগবতীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা পরিবারের জন্য সবরকম সাহায্য করব। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। ভিএইচপি সহ সমস্ত হিন্দু গোষ্ঠী পরিবারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে। আমরা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। পরিবারের আহত ছোট ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্তরা তাকে নির্বিচারে ছুরিকাঘাত করেছে এবং চিৎকার করে বলেছে, ‘‘ওরা হিন্দু, ওদের শেষ করে দাও। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।”

    আরও পড়ুনঃ প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মামলা দায়ের

    পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অপরাধ গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে হালকা ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। কিন্তু আক্রান্ত পরিবার মামলার ধারা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে। এরপর পরিবার বি ডিভিশন থানায় গিয়ে ফের অভিযোগ দায়ের করে। এরপর উচ্চপদস্থ আধিকারিক জাদেজা, পরিবারকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর অভিযুক্ত চারজনকেই হেফাজতে নিয়েছে গুজরাট (Gujarat) পুলিশ। অভিযুক্ত চার মুসলিম যুবক সিকান্দার, আফজাল, দারেড (ডালিও নামেও পরিচিত) এবং সমির রউমার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ১১৮(২), ১১৫(২), ৩৫২ এবং ৫৪ এনএস ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার গুজরাট পুলিশ আইন (GPA) এর ১৩৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ কেন‌ বাড়ছে? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফি-বছর বর্ষাকালে রাজ্যের মানুষের ভোগান্তি বাড়ায় ডেঙ্গি। মশাবাহিত এই রোগে নাজেহাল সকলেই। কয়েক হাজার মানুষ মারাও যান। লাখখানেক মানুষ আক্রান্ত হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সচেতনতার অভাব এই রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে! আসুন, এক নজরে দেখে নিই এই মারণ রোগের খুঁটিনাটি।

    ডেঙ্গি কী?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি একটা ভাইরাস, যা মশার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেক জনের রক্তে সংক্রমিত হয়। মূলত স্ত্রী এডিস মশা ডেঙ্গির ভাইরাস বহন করে।

    কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Dengue)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। তার সঙ্গে গোটা শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব হয়। বিশেষত হাত ও পায়ের জয়েন্টে যন্ত্রণা বেশি হয়। মাথার যন্ত্রণা হয়। এর পাশপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে গোল দাগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত শুরু হলে, বুঝতে হবে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

    কেন ডেঙ্গি বিপজ্জনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি ভাইরাস সংক্রমণ (Virus Infection) হলে আক্রান্তের রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ কমতে থাকে। আর তা হলেই রক্ত সঞ্চালন থমকে যায়। তার ফলে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, মস্তিষ্ক সহ একাধিক অঙ্গের কার্যকারিতা বাধা পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহও কমে যায়। মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না। ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ হলে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই ডেঙ্গি বিপজ্জনক বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে ডেঙ্গি? (Dengue)

    প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গি সংক্রমণ যে কোনও সময় বিপজ্জনক হতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডেঙ্গি মারাত্মক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে দ্রুত পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। মৃত্যুহার খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যদের তুলনায় বেশি। 
    তবে একবার ডেঙ্গি আক্রান্ত আরেকবার ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গিতে সংক্রামিত হলে বিপদ আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ডেঙ্গির মূলত চারটি প্রজাতি রয়েছে। এক প্রজাতির ভাইরাস এক ব্যক্তির দেহে একাধিক বার সংক্রমিত হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয় না। কারণ সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু এক ব্যক্তিকে বারবার এক ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি সংক্রমিত করলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। তখন আক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একাধিক অঙ্গের ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই একবার ডেঙ্গি সংক্রমণ হলে, তাকে আরও সতর্ক ভাবে থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) মশাবাহিত রোগ। তাই মশার দাপট রুখতে পারলেই ডেঙ্গির মোকাবিলা সহজ‌‌ হবে। নিয়মিত মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর পাশপাশি বাড়ির আশপাশ ও এলাকা পরিষ্কারের দিকে নজরদারি জরুরি। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার, যে কোনও জায়গায় জল জমতে না দেওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। এলাকার বিভিন্ন পার্ক ও বাগানে নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা সেটাও নজরদারি জরুরি‌। এলাকার কেউ জ্বর, সর্দিতে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকা দরকার। তবেই দ্রুত চিকিৎসা মাধ্যমে সুস্থ থাকা যাবে। আক্রান্তকে‌ আলাদা ভাবে রাখতে হবে। এলাকায় কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত (Virus Infection) হলে বাকিদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

    কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যকে (West Bengal) বঞ্চনা করছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রায়ই সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে একেবারে উল্টো কথা। দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ মোদি সরকারের তথ্য সিলমোহর দিচ্ছে মমতার মিথ্যাচার ও কেন্দ্রের উন্নয়নকেই, এমনটাই বলছে অভিজ্ঞ মহল।

    গ্রামোন্নয়নে বিপুল টাকা! (West Bengal)

    পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, খাদ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং সারের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় ভর্তুকিতে উপকৃত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী (West Bengal)। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যাচ্ছে, বিগত ৫ বছরে ৯৩ হাজার ১৭১ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়নে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে দিয়েছে ১১,৭৯২ কোটি টাকা, যা একটি অর্থবর্ষে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ। উল্লেখ্য, গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবারই সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিগত পাঁচ বছরে দেওয়া হয়েছে ২,১৫১ কোটি টাকা। নগর উন্নয়নে দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। শুধুমাত্র শহরের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯টি। 

    জনজাতি উন্নয়ন

    পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী জনজাতিদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বিগত ৬ বছরে বাংলাকে দিয়েছে ৮৩৪ কোটি টাকা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতি পড়ুয়াদের বৃত্তি প্রদান করেছে ২১ কোটি টাকারও বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃত স্টার্ট আপ বিগত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে, ৪ হাজার ২৬টি, এর মধ্যে মহিলা পরিচালিত স্টার্ট আপের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও ঢেলে অনুদান  

    স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত পাঁচ বছরে ইএসআইসি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আয়ুষ্মান যোজনার অধীনে হেলথ অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে ৩.২৪ কোটি। প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি প্রকল্পের মাধ্যমে অতি সুলভে উন্নতমানের ঔষধ প্রদানের কাজ চলছে বাংলায়। রাজ্যে এমন জন ঔষধি দোকান রয়েছে ৩৫৯টি। এই জন ঔষধির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের সাশ্রয় হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে ১,১৪৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে অবস্থিত এইম্‌সটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে কেন্দ্রের অনুমোদিত কর্মসূচি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ১১টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বীরভূম (রামপুরহাট), কোচবিহার, ডায়মন্ড হারবার, পুরুলিয়া এবং রায়গঞ্জে (উত্তর দিনাজপুর)। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বারাসত, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম এবং তমলুকে।

    বিপুল অর্থ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে

    কৃষি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে তিরিশ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি শুধুমাত্র সারে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৮,৪৯২ কোটি টাকা মোদি সরকার রাজ্যকে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অধীনে। এর পাশাপাশিকিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা মূল্যের ঋণ ধার্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনায় ২৩০ কোটি টাকার সহায়ক অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিগত ৬ বছরে ২৮৩ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে মোদি সরকার পশপালন ক্ষেত্রের উন্নয়নে। এর পাশাপাশি নীল বিপ্লব ও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    নারীশক্তির উন্নয়নে বিপুল টাকা

    নারীশক্তি উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গকে বিপুল অনুদান দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ৬ বছরে নারীশক্তির বিকাশে পশ্চিমবঙ্গকে মোদি সরকার দিয়েছে ৫,৭৪৪ কোটি টাকা। ১৭১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মিশন বাৎসল্য যোজনায়। অন্যদিকে মিশন সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি যোজনায় বাংলা পেয়েছ ৫,২৩৯ কোটি টাকা। মিশন শক্তি যোজনায় কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। জল জীবন মিশনের দ্বারা প্রতি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে বিগত ছয় বছরে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ১৯,৫৯৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে রাজ্য থেকে ১৪ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অটল পেনশন যোজনায় যুক্ত হয়েছেন ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

    ৭ লাখেরও বেশি আবেদন বিশ্বকর্মা যোজনায়, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেলুর মঠেও

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদনপত্র সংগৃহীত হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪টি, যার মধ্যে মহিলা আবেদনকারী সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩০ জন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্ফূর্তি যোজনায় ১৯টি নির্বাচিত গোষ্ঠী পেয়েছে ৪৫.৪৫ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সহায়তা। এর পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানের উন্নতিতেও নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেলুড় মঠের উন্নয়ন প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০.০৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ‘ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জীবনের মানোন্নয়ন, উন্নয়ন পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে রাজ্যকে দিয়েছে ৬৭.৯ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা বাড়ানো হবে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যকে বিপুল অর্থ বরাদ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫,৬৭৫ কোটি টাকা। ২,২১৬ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ভারতমালা পরিযোজনায় বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এবং খড়্গপুর-শিলিগুড়ি গ্রিনফিল্ড করিডর নির্মিত হচ্ছে। ভারতমালা পরিযোজনার প্রথম পর্যায়ের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আনুমানিক ৩২,৯৩৭ কোটি টাকার মূলধনী ব্যয়ে ৮৭৪ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ অনুমোদন করা হয়েছে। রেলওয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯,৪৮৩ কোটি টাকা।

    সাগরমালা প্রকল্পে ১৬,৩০০ কোটি টাকা

    সাগরমালা প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে ১৬,৩০০ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের সামুদ্রিক পরিকাঠামো নির্মাণেও বিপুল টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে ৫৫৪৫.১ কোটি টাকা মূল্যের ৩৯টি প্রকল্পের কাজ চলছে সামুদ্রিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে। এর মধ্যে রয়েছে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথ তৈরি করার প্রকল্পও। যার দৈর্ঘ্য হল ১,৩৯০ কিলোমিটার। পণ্য সম্ভার পরিবহণে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরেরও ক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদিকে ৩৭৪.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরাক্কায় নতুন নেভিগেশন লক গেট-এর উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

    ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও শিক্ষার উন্নয়নেও বিপুল টাকা

    রাজ্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণেও ব্যাপক জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত পাঁচ বছরে ৫৮.১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে গুরু-শিষ্য পরম্পরা প্রচারের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ৩৪.৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থাকে। বিজ্ঞানের প্রচারের জন্য ১৫.৬২ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা হয়েছে ৫.০৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তরুণ শিল্পীদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছে ৩.০৯ কোটি টাকা। বারাকপুরে গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়ের উন্নতি প্রকল্পে প্রদান করা হয়েছে ১৬.৩২ লাখ টাকা। শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৬৪৯ কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে। তফসিলি পড়ুয়াদের ৬৯ লাখ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ১,৯১৬ কোটি টাকা।

    এতকিছুর পরেও মমতা বলছেন, রাজ্য বঞ্চিত!!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    Jaisalmer Fort: প্রবল বৃষ্টিতে ধসে পড়ল রাজস্থানের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’-র দেওয়ালের একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়সলমেরে প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rains) দ্বাদশ শতকের বিখ্যাত ‘সোনার কেল্লা’র (Jaisalmer Fort) দেওয়াল ধসে পড়েছে। একে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে ছিল। তবে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরানো দেওয়ালগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আর অতিভারী বর্ষণে তা ভেঙে পড়েছে।

    দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ (Jaisalmer Fort)

    জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের (Heavy Rains) কারণে শহরের একাধিক এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা দিয়েছে ধস-জনিত সমস্যা। এই কারণেই দূর্গের প্রাচীরের একাংশে ফাটল দেখা দেয় এবং তা ধসে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে, প্রায় ১১টার দিকে এই কেল্লার শিব রোডের দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে। দুর্গের দেওয়ালের পাথর ধসে রাস্তায় স্তূপ হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই দেওয়ালে ধসজনিত ভাঙন প্রথম নয়। আগেও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) থেকে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছিল। এই বর্ষায় প্রাচীরের একাংশ ভেঙে পড়েছে, যা দুর্গের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। 

    রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর

    জয়সলমের পুরসভার কমিশনার লাজপাল সিং বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ একটি দল নিয়ে দুর্গে (Jaisalmer Fort) পৌঁছেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার দু’পাশে আটকে দিয়েছে। অন্যদিকে, আরও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে একটি দলকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করেছে পুরসভা। এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এএসআই-এর উপর ছিল। তাদেরকে ধসের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এই দুর্গটি অনেক পুরনো, সেইসঙ্গে জনবসতিপূর্ণ। প্রবল বৃষ্টির সময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।”

    বিশেষ দল পরিদর্শন করবে

    এএসআই রাজস্থান বিভাগের একজন আধিকারিক বলেন, “উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটি উচ্চপর্যায়ের দল পরিদর্শন করবে। আমরা দুর্গের (Jaisalmer Fort) ক্ষয়ক্ষতি মেরামত এবং যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করব।”

    স্থানীয় বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    স্থানীয় দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশেষজ্ঞ চন্দন ভাটি বলেন, “এএসআই-কে সোনার কেল্লায় এই ধরনের ক্ষতি সম্পর্কে আগেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা উপেক্ষা করেছে। গত কয়েক দিনে এই দুর্গে বেশ কিছু ছোটখাট ক্ষতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। আমরা বহুবার এএসআই-কে অনুরোধ করেছি। এমনকী, কেল্লার ঐতিহ্য রক্ষায় একাধিক স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন ছিল। আবারও বলছি দুর্গের দেওয়ালগুলি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে, যা অবিলম্বে সংস্কার করা দরকার, নয় তো আরও বড় বিপদ ঘটবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল দুর্গ

    রাজস্থানের এই দুর্গ (Jaisalmer Fort) বিশ্বের খুব কম জীবন্ত দুর্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এটি রাজস্থানের দ্বিতীয় প্রাচীনতম দুর্গ। দুর্গটি ১৫০০ ফুট (৪৬০ মিটার) দীর্ঘ এবং ৭৫০ ফুট (২৩০ মিটার) চওড়া এবং এটি একটি পাহাড়ের উপর নির্মিত, যা পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের তুলনায় ২৫০ ফুট (৭৬ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত। দুর্গে রয়েছে একটি ১৫ ফুট (৪.৬ মিটার) দৈর্ঘ্যের প্রাচীর, যা দুর্গের বাইরের বলয়কে ধরে রেখেছে। আনুমানিক ১১৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা রাওয়াল জয়সওয়াল নির্মাণ করেন এই দুর্গ। এরপর তাঁর নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়েছে। মুসলমান পাঠান, মুঘল ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার গৌরব গাথা এই দুর্গ বহন করছে। দুর্গের বিশাল দেওয়ালগুলি হলুদ বেলেপাথরের তৈরি। দিনের বেলায় এই দেওয়াল সিংহের রঙের মতো ছোপ ছোপ দেখায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে মধু-সোনা হয়ে যায় এবং তা হলুদ মরুভূমিতে মিশে যায়। এটি সোনার কেল্লা, সোনার দুর্গ বা স্বর্ণ দুর্গ নামেও পরিচিত। রাজস্থানের অন্য পাঁচটি দুর্গের মতো জয়সলমেরের এই দূর্গটি পার্বত্য দুর্গেরই অংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রযোজক-পরিচালক ও তাঁর অভিনেতা ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রযোজক-পরিচালক ও তাঁর অভিনেতা ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সোমবারই হত্যা করা হল খ্যাতনামা পরিচালক-প্রযোজক সেলিম খান ও তাঁর ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে। সেলিম খান (Producer Selim khan) চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও ছিলেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মহম্মদ শেখ মহসিন আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘তাঁদের মৃত্যুর বিষয় আমরা জেনেছি।” তিনি স্বীকার করেন, “আমাদের প্রাণের নিরাপত্তার কারণে ঘটনাস্থলে যাইনি।’’

    বাগাড়াবাজারে পিটিয়ে হত্যা 

    সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। ওইদিন বিকেল নাগাদ বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) ফরক্কাবাদ বাজারে সেলিম খান ও শান্ত খানের ওপর হামলা চালায় একদল উন্মত্ত জনতা। সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মরক্ষা করেন সেলিম। এরপরই পার্শ্ববর্তী বাগাড়াবাজারে এসে ফের জনতার আক্রমণের শিকার হন তাঁরা। সেখানেই বিক্ষোভকারীরা পিটিয়ে হত্যা করে সেলিম খান (Producer Selim khan) ও তাঁর ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে।

    সিনেমা বানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে (Bangladesh Crisis)

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) খ্যাতনামা চিত্র পরিচালক ছিলেন সেলিম খান। পশ্চিমবঙ্গেও তিনি কাজ করতেন বলে জানা যায়। তাঁর সংস্থার নাম ছিল শাপলা মিডিয়া। এই সংস্থা অনেকগুলি ছবি পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘শাহেনশা’ এবং ‘বিদ্রোহী’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়েও ছবি করেন সেলিম খান।

    কী বলছেন টলিউডের প্রযোজক?

    জানা গিয়েছে, সোমবার মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও সেলিম খান কথা বলেন টলিউডের প্রযোজক অরিন্দম দাসের সঙ্গে। একটি ভবিষ্যতের প্রজেক্ট নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ খানিকক্ষণ কথা হয়। এ বিষয়ে অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘আমি সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে সোমবারই কথা বলি। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরেই শামিম আহমেদ রনি যিনি বাংলাদেশের এক চিত্রপরিচালক, আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন করে জানতে চান, সেলিম খান সম্পর্কে কোনও খবর আমি শুনেছি কি না। এর পরেই জানতে পারি, সেলিম ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 08 August 2024: এই রাশির জাতকদের ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে

    Daily Horoscope 08 August 2024: এই রাশির জাতকদের ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাধার আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) বুকের সমস্যা বৃদ্ধি। 

    ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে কোনও ক্ষতি হতে পারে, একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক অবসাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বৃদ্ধি, তবে খরচও বাড়বে। 

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে। 

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) দিনটি ভালো-খারাপ মিশিয়ে কাটবে।

    ২) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ২) বিবাহ নিয়ে অশান্তি হতে পারে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) শিক্ষাগত যোগ্যতার কারণে ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

    ২) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) মধুর ভাষণের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ২) দাম্পত্য কলহের অবসান। 

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে কাজের জন্যে শুভ যোগাযোগ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে। 

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) অন্যের জিনিসের উপর লোভ সামলাতে না পারলে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) চাকরির জায়গায় বিরোধী ব্যক্তির সঙ্গে মিত্রতা হয়ে যেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়। 

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আজ গঠন অন্তর্বর্তী সরকারের, প্রধান নোবেল জয়ী ইউনূস

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আজ গঠন অন্তর্বর্তী সরকারের, প্রধান নোবেল জয়ী ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা (Bangladesh Crisis)। সংসদ ভেঙে দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এদিকে অশান্তি অব্যাহত দেশে (Interim Government)। অশান্তির আগুন নেভাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে চলেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাতেই গঠিত হবে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়ে দিলেন সে দেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে ফিরবেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। তাঁকেই প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন রাত আটটা নাগাদ শপথ নিতে পারেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্যারিস থেকে ঢাকায় ফিরছেন ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভার তালিকা প্রকাশিতও হওয়ার কথা। ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করে দেশের চলা অরাজক অবস্থায় ইতি টানতে চাইছে বাংলাদেশ।

    ইউনূসের আবেদন (Bangladesh Crisis)

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই দেশবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানালেন নোবেলজয়ী এই অধ্যাপক (Bangladesh Crisis)। তিনি বললেন, “হিংসার মাধ্যমে কোনও কিছুর সমাধান সম্ভব নয়। মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা যাতে এই জয়ের সুফল কুড়োতে পারি, সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। আমাদের কোনও ভুলের কারণে যেন এই জয়কে পরাজয়ে পরিণত না করি।” তিনি বলেন, “আমি বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার, সব ধরনের হিংসা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

    কী বললেন বাংলাদেশের হবু প্রধান

    ইউনূস বলেছেন, “আমাদের প্রিয় এই সুন্দর ও বিপুল সম্ভাবনাপূর্ণ দেশটিকে আমাদের নিজেদের (Interim Government) ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রক্ষা করা ও একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন আমাদের প্রধান কাজ। একটি নতুন পৃথিবী বিনির্মাণে আমাদের তরুণরা প্রস্তুত। অকারণে হিংসা করে এই সুযোগটি আমরা হারাতে পারি না। হিংসা আমাদের সকলেরই শত্রু। দয়া করে শত্রু সৃষ্টি করবেন না। সকলে শান্ত থাকুন। দেশ পুনর্গঠনে এগিয়ে আসুন। অনুগ্রহ করে নিজে শান্ত থাকুন এবং আপনার আশপাশের সকলকে শান্ত থাকতে সহায়তা করুন।”

    অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবউদ্দিন ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেটাই জানিয়ে দেন সেনা প্রধান। তিনি বলেন, “ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুরে আসবেন। আমরা সকলে তাঁকে সরকার গড়তে সাহায্য করব। আশা করছি, সব ভালো হবে। আমরা এখন চমৎকার পরিবেশে কাজ করছি। আপনারা কেউ গুজবে কানা দেবেন না। নিজেরাও গুজব ছড়াবেন না।” তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবারই যাতে সরকার গঠিত হয়, সেজন্য যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা করছি। ইউনূস দুপুর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ দেশে ফিরবেন। ৪০০ জনের উপস্থিতিতে রাত আটটা নাগাদ সরকারের শপথ গ্রহণ হতে পারে।”

    পুলিশ কর্তার অনুরোধ

    পুলিশ কর্মী খুনের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পুলিশ। সে প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, “পুলিশে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। আশা করি, পুলিশের মনোবল ফিরবে। তারা দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা সকলে মিলে কাজ করব। দেশকে উপহার দেব সুন্দর ভবিষ্যৎ।” এদিকে, পুলিশকে কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন পুলিশের এআইজি শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, “পুলিশ জনগণের বন্ধু। সাধারণ মানুষকে এটা বুঝতে হবে। পুলিশ ছাড়া সমাজ চলে না। পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করছি, গুজব উপেক্ষা করে কাজে ফিরুন।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    নোবেল শান্তি পুরস্কার

    গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তৈরি করে ক্ষুদ্র ঋণের পরিচিতি দেওয়ায় ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান অর্থনীতির অধ্যাপক ইউনূস। যাঁরা সাধারণ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের সুবিধা নিতে পারেন না, যাঁরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য এই ক্ষুদ্র ঋণের প্রথম পথ দেখান (Bangladesh Crisis) তিনিই। এহেন ইউনূসকে উপদেষ্টা রেখেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন ছাত্রদের একাংশ। অন্যদিকে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দণ্ড বাতিল হল ইউনূসের। বুধবার কারাদণ্ড থেকেও মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

    ইউনূসের মুক্তি

    ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লা আল মামুন বলেন, “ইউনূস-সহ মামলায় প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া চারজনকেই বুধবার বেকসুর খালাস করেছে আদালত।” উল্লেখ্য, ইউনূসের সংস্থা গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্খন করে বেআইনিভাবে কাজ চালানোর মামলা চলছিল। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী, যে কোনও সংস্থায় কর্মীদের কল্যাণমূলক তহবিল তৈরি করতে হয়। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকমে ওই তহবিলের ব্যবস্থা ছিল না। শ্রম আইন লঙ্খনের অভিযোগ দায়ের হয় ইউনূস ও তাঁর সংস্থার তিন কর্মীর নামে। গত পয়লা জানুয়ারি চারজনেকই দোষী সাব্যস্ত করে ঢাকা আদালত। প্রত্যেককে ছ’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। নানা সময় হাসিনা সমালোচনা করেছেন ইউনূসের। তাঁকে ‘গরিবের রক্ত চোষা’ও বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর লাইন দিয়ে ট্রেনে যেতে যেতে সকলেরই নজরে পড়ে রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশন। এই স্টেশনের বুক চিড়ে প্রথম ট্রেন গেদে হয়ে কুষ্টিয়া (বাংলাদেশ) চলে গিয়েছিল। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই শহর। নদিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ রানাঘাট। বহু মনীষীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই রানাঘাটে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন রানাঘাটেরই বীর সন্তানেরা। রানাঘাট রত্নগর্ভা এক বনেদি শহর। লিককের পথ ধরে তাই অনায়াসেই বলা যায়, “যার আছে পুঁজিপাট, সে থাকে রানাঘাট”। পুঁজি মানে অর্থের পুঁজি শুধু নয়, শিক্ষা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আভিজাত্য, ইত্যাদি সব কিছুতে পুঁজিপতি মানুষ আছেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে।

    ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! (Ranaghat)

    রানাঘাট শহরের নাম নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে, কোনটা প্রামাণ্য, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, এক সময় রানাঘাটের নাম ছিল ব্রহ্মডাঙা। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজস্ব সচিব রানা টোডরমল তৎকালীন ব্রহ্মডাঙায় জমি জরিপের কাজে এসেছিলেন বলে ব্রহ্মডাঙার নাম রানাঘাট হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাসবিদ প্রিঙ্গিলের দাবি, অষ্টাদশ শতাব্দীতে রণ বা রানা নামে এক দুধর্ষ ডাকাত এই এলাকাকে তাঁর ঘাঁটিতে পরিণত করেন। সেই ডাকাত রানার নামেই রানাঘাট। এই তথ্যটিকে বেশির ভাগ মানুষ সঠিক বলে মনে করেন। আবার নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর দ্বিতীয় রানির বাড়ি রানাঘাট সংলগ্ন নোকাড়ি গ্রামে ছিল। তাই রানির ঘাট থেকেও রানাঘাট হতে পারে।

    রানাঘাটে রবীন্দ্রনাথ

    জানা গিয়েছে, কবি নবীনচন্দ্র সেন রানাঘাটের (Ranaghat) মহকুমা শাসক থাকাকালীন ১৮৯৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং তাঁর বাংলোয় এসেছিলেন। সেই স্মৃতি আঁকড়ে ফি-বছর ওই তারিখে এখনও কবিমিলন  উৎসব হয় রানাঘাটের মহকুমা শাসকের বাংলোয়। রবীন্দ্রনাথের প্রথম সঙ্গীত-শিক্ষাগুরু বিষ্ণুচরণ চক্রবর্তী রানাঘাটের কায়েতপাড়ায় জন্মেছিলেন। রাজা রামমোহন রায় তাঁকে ব্রাহ্মসমাজের গায়ক হিসেবেও নিয়েছিলেন। বিদ্যাসাগরের পৃষ্ঠপোষকতায় পন্ডিত কালীময় ঘটকের ‘চরিতাষ্টক’ বই এক সময় স্কুলের পাঠ্যপুস্তক হয়েছিল। কালীময়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল এখানকার ‘গুরুমশাই’ পাঠশালায়। নদিয়া বিষয়ক প্রামাণ্য একটি বই ‘নদিয়া কাহিনী’। এই আকর গ্রন্থটির লেখক কুমুদনাথ মল্লিক রানাঘাটের সুসন্তান। এখনকার কবি জয় গোস্বামীর নিজের শহর রানাঘাট। সব মিলিয়ে গুণী মানুষের ভিড় ও বনেদিয়ানায় সমৃদ্ধ এ শহর।

    রানাঘাটে রামকৃষ্ণ!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার রানাঘাটের (Ranaghat) চূর্ণী তীরবর্তী কলাইঘাটায় এসেছিলেন। রানি রাসমণির জামাতা মথুরচন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে তিনি আদিবাসী অধ্যূষিত কলাইঘাটা বটতলায় যান। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীরা ঠাকুরকে দেখতে সেখানে সমবেত হন। তিনি শিশুদের হতদরিদ্র রূপ দেখে ব্যথিত হন। ঠাকুর মথুরচন্দ্রকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এদের অন্ন এবং পোশাকের ব্যবস্থা না হচ্ছে, বটগাছের নীচে তিনি বসে থাকবেন। মথুরবাবু ঠাকুরের কথামতো অসহায় শিশুদের জন্য অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করেন। ঠাকুর তাতে খুশি হয়ে মথুরবাবুর সঙ্গে কলকাতায় ফিরে আসেন। রামকৃষ্ণ ভক্তরা এই তীর্থস্থানে একটি রামকৃষ্ণ স্মৃতিভবন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষের বিরোধিতায় সেটা সফল হয়নি। বর্তমানে কলাইঘাটার প্রায় বিপরীত দিকে অবকাশ পার্কের কাছে রামকৃষ্ণ ভক্তবৃন্দের অনুরোধে রানাঘাট পুরসভার উদ্যোগে ভবন তৈরি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, রামকৃষষ্ণালয়।

     রানাঘাট পুরসভার অতীত-বর্তমান

    ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ সেপ্টেম্বর রানাঘাট (Ranaghat) পুরসভার প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে ১৪ জন কমিশনার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই মনোনীত। পদাধিকার বলে ৫ জন পুরসভার কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য হন। পুরসভার গৃহীত উপবিধি অনুমোদন করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এখন পুরসভার কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। রানাঘাট মহকুমার মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা রানাঘাটের থেকেও পুরানো। জেলার প্রথম পুরসভা শান্তিপুর ১৮৫৩ সালে তৈরি হয়। এর ১১ বছর পর রানাঘাট পুরসভার প্রতিষ্ঠা।

    রানাঘাটের রসগোল্লা

    রসগোল্লার উদ্ভাবক কে? বিরোধ শুধু বাংলা-ওড়িশায় নয়, বিরোধ বাংলার মধ্যেও। বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসকেই রসগোল্লার উদ্ভাবক বলে ধরা হয়। ১৮৬৮ সালে নবীনচন্দ্র রসগোল্লা তৈরি করেন। কিন্তু অনেকের মতে, রসগোল্লার আসল উদ্ভাবকের নাম হারাধন মণ্ডল। হারাধন মণ্ডল শান্তিপুরের ফুলিয়ার মানুষ। রানাঘাটের পালচৌধুরীদের হালুইকর ছিলেন। তিনিই রসের মধ্যে ছানার ডেলা ফেলে একটি অভিনব মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেন। পালচৌধুরীরা তার নাম দেয় রসগোল্লা। রসগোল্লা ছাড়া, রানাঘাটে অনেক কাল ধরে চলে আসা মিষ্টান্ন দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে পান্তুয়া, গজা, অমৃতি প্রভৃতি।

     রানাঘাটের সংস্কৃতি

    রানাঘাট শহরে এক সময় প্রতিটি বাড়িতে সন্ধ্যাপ্রদীপ প্রজ্বলনের মতো সঙ্গীতের রেওয়াজ হত। মার্গ সঙ্গীতের পীঠস্থান ছিল রানাঘাট। মূলত, পালচৌধুরী পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং পালচৌধুরীদের সভাগায়ক নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে দেশ-বিদেশের উচ্চাঙ্গ শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হত। শ্রীজান বাঈ, দিলজান, ইমন বাঈ, লালাকুন্দ, আহম্মদ খাঁ সাহেবের মতো উত্তর ভারতের সেরা গায়কেরা এই আসরে নিয়মিত আসতেন। এই ভাবেই নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাঁর দুই প্রখ্যাত শিষ্য নগেন্দ্রনাথ দত্ত ও নির্মলকুমার চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রানাঘাট ঘরানার জন্ম দেন। নিধুবাবু প্রবর্তিত বাংলা টপ্পা ধারার সঙ্গে লখনউ ঘরানার মিলনে এক বিশেষ টপ্পা ধারার সৃষ্টি হয়। এই ঘরানার পরবর্তী বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন শিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং ডাঃ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। নগেন্দ্রনাথ দত্তের শিষ্য ছিলেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়।

     রানা ডাকাতের কালীমন্দির

    রানাঘাটের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি হল-পালচৌধুরীদের পূর্বতন ভদ্রাসনের প্রাচীরের মধ্যে একই ভিতের উপর প্রতিষ্টিত জোড়া শিবমন্দির। মন্দিরে টেরাকোটার কাজ আছে। চূর্ণী নদীর তীরে বড়বাজারে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামের মন্দির। জমিদার রতন পালচৌধুরীর বিধবা পত্নী উজ্জ্বলমণি দাসীর প্রচেষ্টায় ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিস্তারিণী মন্দির, রানা ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির রয়েছে। সেখানে পুরানো ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়। এছাড়া রানাঘাট শহরের স্কুলমোড়ে প্রতিষ্ঠিত চিন্ময়ী ও মৃন্ময়ী মন্দির, ব্রজবল্লভ মন্দির জহুরা কালীবাড়ি এবং রাধাবল্লভ মন্দির রয়েছে।

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন রানাঘাটে!

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়েছিল এই শহরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম-সহ বিশিষ্ট মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এই শহর। সঙ্গীত, নাটকের পাশাপাশি খেলাধুলাও সুনাম কুড়িয়েছে রানাঘাট। এই শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পণ্ডিত কালীময় ঘটক, নদিয়া (Nadia) কাহিনীর রচিয়তা রায়বাহাদুর কুমুদনাথ মল্লিক,কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য ভবতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। 

    রানাঘাটে সংবাদপত্র

    ব্রিটিশদের সময় রানাঘাটে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে। কবি গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘বার্তাবহ’। রানাঘাট রেল স্টেশন কাছে গিরিজানাথের পত্রিকা অফিসে বসত সাহিত্য-আড্ডা। নানা সময়ে এই শহর থেকে পল্লিচিত্র, অশনি, ছাত্রবাণী, ফ্ল্যাশ, খেলাধূলা, শ্রমিক ও সমাজ, টর্চ, সীমান্তবাণী, বাংলা বাজার, ঝড়, ফ্লিক, চ্যালেঞ্জ, সবুজসোনা, চুর্ণী, নদিয়া গৌরব, রাতু-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশ পেয়েছিল।

    স্বাধীনতা সংগ্রামে রানাঘাট

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসেও জড়িয়ে রয়েছে রানাঘাটের নাম। নীলবিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাটের মানুষ। অসহযোগ আন্দোলনে শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কেশবচন্দ্র মিত্র, নেপালচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, রেণুমাধব দাস, শিশিরকুমার বসু, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে সহায়রাম দাস, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসীমকুমার মজুমদার, বিমলকুমার চট্টোপাধ্যায়, নৃসিংহ চৌধুরী, কুমারেশ বিশ্বাস, মহ হবিবুল্লহ, মহম্মদ কালু শেখ, শ্রীধর মুখোপাধ্যায়,পটল মুস্তাফি-সহ অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়।” সব মিলিয়ে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে রানাঘাটের। আর সেই ঐতিহ্যকে সমানে আগলে চলেন রানাঘাটবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitin Gadkari: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, বিটুমিন ও জৈব শক্তির ইন্ধন দাতাও, বললেন গড়করি

    Nitin Gadkari: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, বিটুমিন ও জৈব শক্তির ইন্ধন দাতাও, বললেন গড়করি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, তাঁরা শক্তিদাতা, বিটুমিনদাতা এবং জৈব শক্তির ইন্ধনদাতা। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এমন কথাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। বায়ো এভিয়েশন ফুয়েল বা গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন অফসেট এবং খড় থেকে তৈরি জৈব বিটুমিন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরে এনএইচ সেভেন জিরোনাইনএডি-এর শামলি-মুজাফ্ফরনগর রুটে রাস্তা নির্মাণে জৈব-বিটুমিন (Bio-energy fuel) উৎপাদনের জন্য তিন বছরের একটি পরীক্ষামূলক বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। জ্বালানি খরচ কম করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Nitin Gadkari)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) বুধবার রাজ্যসভায় প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের বিমান চলাচলে ২০ শতাংশ জৈব-বিমান জ্বালানি ব্যবহার করা হবে। ফসলের অবশেষ বা খড় থেকে এই জৈব জ্বালানি উৎপাদন করা হবে। কৃষকরা তার জন্য প্রতি টন ২৫০০ টাকা করে পাবেন। কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক রাস্তা নির্মাণে বায়ো-বিটুমিনকে বেশি করে ব্যবহার করছে। ফলে দেশীয় উৎপাদন বাড়লে ভারতকেও বিদেশি আমদানি কম করতে হবে। বায়ো-বিটুমিন হল একটি জৈব-ভিত্তিক উৎপাদন। ফসলের খড় বা পরিত্যক্ত অংশ থেকে উৎপাদন করা হয়। পাকা রাস্তার উপরিভাগ নির্মাণ কাজে তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক যোগাযোগের ৯০ শতাংশ সড়ক নির্মাণে আমরা বিটুমিনকে ব্যবহার করছি। ২০২৩-২৪ সালে বিটুমিনের (Bio-energy fuel) ব্যবহার ছিল ৮৮ লাখ টন, ২০২৪-২৫ সালে যা ১০০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন মোট বিটুমিনের ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয় এবং যার বার্ষিক আমদানি ব্যয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    কোথায় কোথায় উৎপাদন করা হচ্ছে

    কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) আরও বলেছেন, “সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিআরআরআই) নয়াদিল্লি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম (আইআইপি) দেরাদুনের সহযোগিতায় খড় থেকে বায়ো বিটুমিন তৈরি করেছে। জ্বালানি খাতে অবদান রেখে কৃষকরা এখন ‘শক্তিদাতা’ হয়ে উঠেছেন। আমাদের কৃষকরা এখন শুধু অন্নদাতা নয়, তাঁরা একই সঙ্গে শক্তি উৎপাদকও বটে। এনএইচএআই জাতীয় সড়ক ৪০-এর জোরাবত-শিলং রুটে বায়ো-বিটুমিন দিয়ে একটি ট্রায়াল করার কথাও ভাবা হয়েছে। বায়ো-বিটুমিনের সুবিধা হল জ্বালানির (Bio-energy fuel) খরচ কম করে, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণকে হ্রাস করা এবং সেই সঙ্গে কৃষকদের জন্য আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা। ফলে কৃষিতে উদ্যোগ  ও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করার বড় লক্ষ্য রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের উপর হিংসা অব্যাহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের উপর হিংসা অব্যাহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে জুড়ে হিংসা (Bangladesh Crisis) মারাত্মক আকার নিয়েছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা-কর্মীদের উপর ব্যাপক হামলা অব্যাহত। সোমবার থেকেই সেদেশে হিংসার ঘটনায় বহু লিগ কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। কোথাও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে আবার কোথাও চলছে সম্পত্তির লুটপাট। এমনকী রেহাই পাচ্ছেন না দলের কর্মীদের পরিবারও। বুধবার হাসিনার দলের ২৯ জনের নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত হিংসার বলি ৪০০-র বেশি। একইভাবে, হাসিনার সহকর্মী মন্ত্রী, সাংসদদের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে সেনাশাসিত বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, হামলা চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে।

    বগুড়া-লালমনিরহাট-সাতক্ষীরায় চলছে হত্যালীলা (Bangladesh Crisis)!

    দ্য ঢাকা ট্রিবিউন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সাতক্ষীরায় উন্মত্ত জনতার হাতে নিহত হয়েছেন ১০ জন আওয়ামি লিগ (Awami League) কর্মী। একই দিনে কুমিল্লায় নিহত কমপক্ষে ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কিশোর। হাসিনার দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ শাহ আলমের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে। এই বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন আরও ৬ জন। আবার মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাড়িতে। সেখানেও চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলায় যুব লিগের আরও দুই নেতার দেহ পাওয়ার খোঁজ মিলেছে। লালামনিরহাট থেকে সেই জেলার আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের বাড়ি থেকে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বগুড়াতে আরও দুই যুবলিগের নেতাকে কুপিয়ে খুন করেছে বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, মনে করা হয়েছিল হাসিনার পদত্যাগের পর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কিছুটা বদল ঘটবে, কিন্তু সেনাপ্রধান দেশের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে ভাঙচুর, লুটপাট। গত তিন দিন ধরে দেশজুড়ে শয়ে শয়ে মানুষ হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। একই ভাবে হামলাকারীদের থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সংখ্যালঘু হিন্দুরাও। ভারতের অভ্যন্তরেও একাধিক সামজিক সংগঠন বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

    বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা আগুন দিয়েছে

    অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে কার্যত জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা। এই ভবনের মূল প্রবেশদ্বারের কাছে বঙ্গবন্ধু কর্নারেও চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। একই ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানকার বইপত্রে। পুড়িয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি। সূত্রের খবরে আরও জানা গিয়েছে, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওনের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় তাণ্ডবকারীরা। সেই দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপরের পর থেকে ঢাকায় আওয়ামি লিগের (Awami League) সদর দফতরে চলছে ব্যাপক লুটপাট, সেই সঙ্গে লাগানো হয়েছে আগুন।

    আরও পড়ুনঃ অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন একাধিক মন্ত্রী

    ঢাকা টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং সাংসদরা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, সমবায়মন্ত্রীও বিদেশে চলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই ভাবে সেনাশাসিত গোয়েন্দারা আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছে। রীতিমতো তীব্র রাজনৈতিক এই সঙ্কটের মধ্যে উত্তেজিত আক্রমণকারীদের রোষানলে পড়েতে হচ্ছে লিগ সমর্থিত লোকজনকে। আইনের শাসন সম্পূর্ণভাবে নেই বললেই চলে।

    উদ্বিগ্ন ভারত সরকার

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত শত বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর করছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বক্তব্য রেখেছেন। পরিস্থিতি অত্যন্ত  উদ্বেগজনক এবং তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইভাবে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেছেন, “শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসার কথা জানিয়ে অল্প সময়ে আবেদন করলে, ভারত সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share