Author: user

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা! প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টি! তার পরে কয়েক দিনের রোদ! এই আবহাওয়া এখন উদ্বেগজনক। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এমনই আবহাওয়ার জেরে রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট আরও বাড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। চলতি বছরে ডেঙ্গি বঙ্গবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসনের একাংশ। কিন্তু সেই তুলনায় প্রশাসনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে এই মারণ রোগ মোকাবিলায় কোনও সমন্বয়ই নেই। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।

    উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোন জেলা? (Dengue)

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দফতরের বৈঠকে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, এবারে আক্রান্তের নিরিখে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। ইতিমধ্যেই ওই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র জুলাই মাসের শেষ দুই সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে ৫০০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর ২৪ পরগনার পরেই নদিয়া। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, নদিয়া জেলায় গত মাসে ৪০০-র বেশি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতিও নজরে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনিক (State Administration) সূত্রে দাবি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, গত বছরের মতোই চলতি বছরেও জুন মাস থেকেই কলকাতা ও হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতায় ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি ম্যালেরিয়ার দাপটও যথেষ্ট। মশার এই জোড়া আক্রমণে নাজেহাল কলকাতা তথা বঙ্গবাসী।

    কী পরিকল্পনা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকা পরিদর্শনের পাশপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতালেও পরিদর্শন জরুরি। এমনই নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। কর্তারা জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে বহু জায়গায় জল জমে আগাছা জন্মাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আর তার জেরেই মশার বাড়বাড়ন্ত। তাই স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন জরুরি। পাশপাশি হাসপাতাল চত্বরে যাতে জল না জমে, সে নিয়েও নজরদারি জরুরি। এক স্বাস্থ্যকর্তার (State Administration) কথায়, “ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তাদেরও এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।” 
    তবে, স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, গতানুগতিক ভাবে শুধু পরিকল্পনা যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অনেক সময়েই তা নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ডেঙ্গি যে ভাবে বাড়ছে, সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য কর্তাদেরই একাংশ।‌ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vinesh Phogat: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    Vinesh Phogat: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নভঙ্গ! তীরে এসে তরী ডুবল বিনেশ ফোগটের (Vinesh Phogat)। প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠেও খেলতে পারলেন না ভারতীয় এই কুস্তিগির। এবারের অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) মহিলাদের ৫০ কেজি বিভাগে নেমেছিলেন বিনেশ। বুধবার ছিল ফাইনাল। কিন্তু খেলা শুরুর আগে বুধবার সকালে তাঁর ওজন মাপা হয়। সেখানেই দেখা যায় ১০০ গ্রাম বেশি ওজন রয়েছে তাঁর। সেই কারণে ফাইনাল থেকে বাদ পড়ল বিনেশের নাম। 

    ফাইনালে উঠেও হৃদয়ভঙ্গ বিনেশের (Vinesh Phogat)

    বিনেশ সাধারণত ৫৩ কেজি বিভাগে লড়াই করেন। কিন্তু এ বারের অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) তিনি নেমেছিলেন ৫০ কেজি বিভাগে। সেমিফাইনালে কিউবার গুজমান লোপেজকে হারিয়ে ফাইনালে নিজের নাম পাকা করেছিলেন বিনেশ। ভিডিও কল করে মাকে জানিয়েছিলেন, “সোনা জিততে হবে। সোনা জিতে দেশে ফিরব।” কিন্তু সোনা জেতার স্বপ্ন আর পূরণ হল না তাঁর। আসলে প্রতিযোগিতার আগে নিয়ম মাফিক ওজন মাপা হয় তাঁর। সেখানেই দেখা যায়, প্রতিযোগীর ওজন ৫০ কেজির থেকে ১০০ গ্রাম বেশি। এই আবহে ভিনেশ সেই ওজন ঝড়ানোর জন্যে অতিরিক্ত কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। অলিম্পিক্স ফাইনাল থেকে বাতিল হয়ে যায় বিনেশের নাম। ফলে এবারের অলিম্পিক্সে কোনও পদকই আর জেতা হল না তাঁর।

    আরও পড়ুন: প্যারিসে দুরন্ত শুরু ‘সোনার ছেলে’র, প্রথম থ্রোতেই জ্যাভলিনের ফাইনালে নীরজ

    এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, কুস্তিতে মহিলাদের ৫০ কেজির ফাইনাল থেকে বিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) বাতিল হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে সারা রাত ধরে চেষ্টা করা হয়েছিল বাড়তি ওজন কমানোর। কিন্তু আজ সকালে ৫০ কেজির থেকে কিছু গ্রাম বেশি ওজন হয়েছে ওর। এখনই ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানানো হবে না।’’ 

    খেলার নিয়ম (Paris Olympics)

    আসলে অলিম্পিক্সে খেলার আগে নিয়ম অনুযায়ী, কুস্তিগীরদের দুদিন ওজন পরীক্ষা করা হয়। প্রথম দিন কুস্তিগীরদের ওজনের জন্য সময়সীমা থাকে ৩০ মিনিট, আর দ্বিতীয় দিন ওজনের জন্য সময় থাকে ১৫ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে যতবার ইচ্ছে খেলোয়াড়েরা ওজন পরীক্ষা করতে পারে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের সংক্রামক রোগের কোনও লক্ষণ আছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়। একইসঙ্গে হাতের নখ ছোট করে কাটা কিনা তাও দেখা হয়। এইসমস্ত পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই খেলার অনুমতি মেলে। তাই বুধবার খেলতে নামার আগে শেষ ওজন পরীক্ষার সময়ই মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী, অলিম্পিক্স (Paris Olympics)  থেকে বাদ পড়লেন বিনেশ (Vinesh Phogat)। যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও বাক্যব্যয় করেনি ভারতীয় দল বা বিনেশ ফোগট। বিনেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁকে বিরক্ত না করার জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 97: “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    Ramakrishna 97: “সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    মাঞ্চ যোহথব্যভিচারেণ ভক্তিযোগেন সবতে।

    স গুণান্‌ সমতীত্যৈতান্‌ ব্রহ্মভূয়ায় কল্পতে।।

    গীতা—১৪/২৬

    নিতাই কোনরকমে হরিনাম করিয়ে নিতেন। চৈতন্যদেব বলেছিলেন (Kathamrita), ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য (Ramakrishna)। শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু কখন না কখন এর ফল হবেই হবে। যেমন কেউ বাড়ির কার্নিসের উপর বীজ রেখে গিয়েছিল; অনেকদিন পরে বাড়ি ভূমিসাৎ হয়ে গেল, তখন সেই বীজ মাটিতে পড়ে গাছ হল ও তার ফলও হল।

    মানুষ্যপ্রকৃতি ও গুণত্রয়—ভক্তির সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ

    যেমন সংসারীদের মধ্যে স্বত, রজঃ, তমঃ তিন গুণ আছে; তেমনি ভক্তিরও স্বত্ব, রজঃ, তমঃ তিন গুণ আছে।

    সংসারীর স্বত্বগুণ কিরকম জানো? বাড়িতে এখানে ভাঙা, ওখানে ভাঙা—মেরামত করে না। ঠাকুরদালানে (Ramakrishna) পায়রাগুলো হাগছে, উঠানে শেওলা পড়েছে হুঁশ নাই। আসবাবগুলো পুরানো, ফিটফাট করবার চেষ্টা নাই। কাপড় যা তাই একখানা হলেই হল। লোকটি খুব শান্ত, শিষ্ট, দয়ালু, অমায়িক, কারু কোনও অনিষ্ট করে না।

    সংসারীর রজোগুণের লক্ষণ আবার আছে। ঘড়ি, ঘড়ির চেন, হাতে দুই-তিনটা আঙটি। বাড়ির আসবাব খুব ফিটফাট। দেওয়ালে কুইনের ছবি, রাজপুত্রের ছবি, কোন বড় মানুষের ছবি। বাড়িটি চুনকাম করা, যেন কোনখানে একটু দাগ নাই। নানারকমের ভাল পোশাক। চাকরদেরও পোশাক। এমনি এমনি সব।

    সংসারীর তমোগুণের লক্ষণ—নিদ্রা, কাম, ক্রোধ, অহংকার এই সব।

    আর ভক্তির (Ramakrishna) সত্ত্ব আছে। যে ভক্তের স্বত্বগুণ আছে, সে ধ্যানকরে অতি গোপনে। সে হয়তো মশারির ভিতর ধ্যান করে—সবাই জানছে, ইনি শুয়ে আছেন, বুঝি রাত্রে ঘুম নাই, তাই উঠতে দেরি হচ্ছে। এদিকে শরীরের উপর আদর কেবল পেটচলা পর্যন্ত; শাকান্ন পেলেই হল। খাবার ঘটা নাই। পোশাকের আড়ম্বর নাই। বাড়ির আসবাবের জাঁকজমক নাই। আর সত্ত্বগুণী ভক্ত কখনও তোষামোদ করে ধন লয় না।

    ভক্তির রজঃ থাকলে সে ভক্তের হয়তো তিলক আছে, রুদ্রাক্ষের মালা আছে। সেই মালার মধ্যে মধ্যে আবার একটি সোনার দানা। (সকলের হাস্য) যখন পূজা করে, গরদের কাপড় পরে পূজা করে।

    আরও পড়ুনঃ “ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য, শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন এখন সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের (Bangladesh Crisis) রূপ নিয়েছে। হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বহিন্দু পরিষদ ইতিমধ্যে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। গত সোম–মঙ্গলবার চলেছে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার। নির্বিচারে মন্দির ও মূর্তি ভাঙার ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। সামাজিক মাধ্যমে উঠে আসছে নিপীড়িত হিন্দুদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ছবি। এবার ‘হিন্দুদের ওপর নির্যাতন’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার করলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তিনি স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বলেছেন, “এটা খালি আমাদের সরকারের দায়িত্ব নয়, ওঁদের জীবনে যাতে শান্তি ফেরে তার জন্য সকলের ভাবা উচিত।”

    কী বললেন সোনু সুদ (Bangladesh Crisis)?

    রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা গণভবন লুট করার পর থেকেই টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রংপুর, ঢাকা, খুলনা, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জে চলছে নির্বিচারে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। সমাজিক মাধ্যমে লাইভ করে নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিবরণ দিয়ে ভেঙে পড়ছেন হিন্দুরা। ঠিক এমন এক মহিলার ওপর অত্যাচারের ভিডিও বিনিময় করে সোনু (Sonu Sood) বলেছেন, “আমাদের সবটা দিয়ে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ভারতীয় নাগরিকদের অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। অত্যাচারের শিকার হওয়া মানুষদের জীবন সুরক্ষিত করতে সকলকে একসঙ্গে কাজে নামতে হবে। শুধু ভারত সরকারের একক কাজ নয়। ওঁদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দেওয়ার প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন। ওঁরাও নিজের মতো করে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আমাদেরও একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। জয় হিন্দ।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    আইনের শাসন প্রয়োগে কি ব্যর্থ সেনা বাহিনী?

    বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের (Bangladesh Crisis) চূড়ান্ত রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং নাগরিকদের জান-মালের সুরক্ষার কথা জানিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। কিন্তু বাস্তবে আইনের শাসন প্রয়োগে ব্যর্থ হয় সেনাবাহিনী। পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা সারা দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আওয়ামি লীগের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-সমর্থক, প্রাক্তন ক্রিকেটার, অভিনেতা, সাংবাদিক কাউকেই রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তবে সব থেকে বড় টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, সম্পত্তি এবং মন্দিরকে। বাংলাদেশের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। একই ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার। এমনই দাবি জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার। হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা সেই দেশের হিন্দু মন্দির ও বাড়ি-ঘরে ব্যাপক আক্রমণ (Bangladesh Crisis) শুরু করেছে। দিল্লিতে তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “প্রত্যেক হিন্দুর সম্পত্তি, সম্মান এবং প্রাণের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছি।”

    কী বললেন অলোক কুমার (Bangladesh Crisis)?

    ভিএইচপি নেতা অলোক কুমার (Vishwa Hindu Parishad) বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, “সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের পাশে আমরা রয়েছি। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, মন্দিরকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। সম্পত্তি লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত শুধুমাত্র পঞ্চগড় জেলায় ২২টি বাড়ি, ঝিনাইদহে ২০টি বাড়ি এবং যশোরে ২২টি দোকান মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে অনেক জেলায় শ্মশানও ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কোনও জেলা নেই, যা তাদের হিংসা ও সন্ত্রাসের শিকার হয়নি। এটি লক্ষণীয় যে বাংলাদেশে হিন্দুরা, যাদের সংখ্যা এক সময় ৩২ শতাংশ ছিল, এখন তারা ৮ শতাংশেরও কম। ক্রমাগত জিহাদি নিপীড়নের শিকার হয়ে চলেছে হিন্দুরা।”

    আরও পড়ুনঃ ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    “ভারত অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না”

    এই প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার আরও বলেন, “ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতিতে অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। ভারত ঐতিহ্যগতভাবে সারা বিশ্বের নিপীড়িত সমাজকে সাহায্য করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishwa Hindu Parishad) বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের বড় চেষ্টা চালানো হতে পারে। আমরা চাই, বাংলাদেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। মানুষের মানবাধিকারকে যেন সুরক্ষিত করা হয়। ভারতীয় সমাজ এই বিষয়ে সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    Bangladesh Crisis: ভারতেই হাসিনা, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর কেন্দ্রের, সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরেও নেভেনি হিংসার আগুন। হিংসার শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত। এখনও অবস্থা অতটা জটিল নয় তবে, প্রয়োজন পড়লেই বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে। কেন্দ্রে সর্বদল বৈঠকে এমনই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শেখ হাসিনা আপাতত ভারতেই গোপন ঠিকানায় রয়েছেন। তাঁকে সরকার সময় দিয়েছে জানান বিদেশমন্ত্রী।

    সর্বদল বৈঠক 

    মঙ্গলবার সংসদে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজেজু। এনডিএ-র সাংসদদের পাশাপাশি বিরোধী জোটের একাধিক সাংসদও উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে যোগ দেন রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে। গান্ধী ছাড়াও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল, ডিএমকে নেতা টি আর বালু, জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা লল্লন সিং, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মিশা ভারতী, শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে) অরবিন্দ সাওয়ান্ত, বিজু জনতা দলের সম্বিত পাত্র, এনসিপির (শরদ পাওয়ার) সুপ্রিয়া সুলে এবং তেলুগু দেশম পার্টির রাম মোহন নাইডু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারকে সব রকমের সমর্থন জানাবে বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত

     বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) এই অশান্তি-হিংসার পিছনে কি অন্য কোনও দেশ, বিশেষ করে পাকিস্তানের হাত রয়েছে? সর্বদলীয় বৈঠকে এই প্রশ্নই তুলেছেন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এর জবাবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কিছু জায়গায় ভারত-বিরোধী মনোভাব দেখা যাচ্ছে, যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ভারত সরকার সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।” জয়শঙ্কর জানান, বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতি কী, সে দিকে নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এখনই ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনা হচ্ছে না। প্রয়োজন হলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।

    ভারতীয়দের অবস্থা

    সর্বদল বৈঠকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়েছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা হয়েছে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত তাঁদের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে আনা হবে না। তবে ভারত যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকবে। প্রয়োজন হলেই দ্রুত যাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা যায়, সেই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে ভারতের। তবে সূত্রের খবর, জয়শঙ্কর সর্বদল বৈঠকে জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ‘তেমন গুরুতর নয়’। 

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    ভারতেই হাসিনা

    বৈঠকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়েছেন হাসিনার কথাও। তাঁর বক্তব্য, হাসিনা এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লিতে। তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই তাঁকে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে। হাসিনা নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা এখনও ভারত সরকারকে জানাননি। সময় নিয়ে তিনি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভারত সরকার তাঁর বক্তব্য শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে। জয়শঙ্করের তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কাছে হাসিনা আবেদন করেন এ দেশে আসার জন্য। আমরা তাতে সাড়া দিই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 07 August 2024: এই রাশির জাতকরা কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন

    Daily Horoscope 07 August 2024: এই রাশির জাতকরা কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন। 

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসাবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ রয়েছে। 

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে। 

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়। 

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। 

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ক্ষমতা ছাড়ার পরেও অরাজকতা থামছে না প্রতিবেশী দেশে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দেশের বিভিন্ন জেলায় হিংসা (Bangladesh Crisis) বাড়ছে। ইতিমধ্যেই লিটন দাস, মাশরাফি মুর্তাজা সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। দেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়িতে লুঠপাঠের পর অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে তালিবানি কায়দায় খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একের পর এক হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি টার্গেট হচ্ছেন হিন্দুরা। যদিও এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহ অন্যান্যদের সুরক্ষায় (Save Bangladeshi Hindus) তৎপর হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন জেলায় হেল্পলাইন নম্বর (Bangladesh Helpline) চালু করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যদিও তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে বলেছে সেনাবাহিনী।

    সেনাবাহিনীর জারি করা হেল্পলাইন নম্বরের তালিকা (Bangladesh Crisis)

    ঢাকার জন্য

    মোহাম্মদপুরে ক্যাপ্টেন সৈকত: ১৭৬৯৫১০৫১৫

    মোহাম্মদপুরের ক্যাপ্টেন রিদনান সালেহ: ১৬৪১৯৬৮২৩৭

    সেগুন বাগিচায় ক্যাপ্টেন আশিক: ১৭৩৮৯৯৮৪৫৮

    উত্তরায় ক্যাপ্টেন আবরার: ১৭৪১৫৬৯৮৩২

    মিরপুরে ক্যাপ্টেন আতাহার ইশতিয়াক: ১৭৬৯৫১১১৪৪

    স্টেডিয়াম, পল্টনে ক্যাপ্টেন জাররাফ: ১৭০৮৩৭৫৩৭১

    বারিধারায় ক্যাপ্টেন নাসিফ: ১৭৬৯৫১০৮০৩

    আগারগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ইমরুল: ১৭০৫২৬০০১৯

    গুলশন/বনানীর জন্য: ০১৭৬৯০১৩০৯৪

    মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআই-এর জন্য ক্যাপ্টেন শিহাব: ০১৭৬৬০৪৭৩২৩

    ঢাকা (যাত্রাবাড়ি)

    ক্যাপ্টেন হিমেল (০১৭৬৬১৬২০৭৭)

    উত্তরা, বিমানবন্দর, দিয়াবাড়ির জন্য ০১৭৬৯০২৪২৮০, ০১৭৬৯০২৪২৮৪ এবং ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ (পারভেজ) (০১৭৬৯৫১০৪৫৭)

    মিরপুর এলাকায় ক্যাপ্টেন মাহমুদ (০১৮৩৩৫৮৫৭৩৬, ০১৭৬৯০২৪২৫৬) এবং (০১৭৬৯০২৪২৫২)

     

    জেলার হেল্পলাইন  (Bangladesh Helpline)

    দিনাজপুর

    কর্নেল রওশনুল ইসলাম (০১৭৬৯৬৮২৪৫৪)

    ময়মনসিংহ

    ক্যাপ্টেন ফয়সাল (০১৭৬৯২০৮১৭৪)

    সিরাজগঞ্জ

    ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত (০১৭৬৯৫১০৫২৪)

    রামপুরা

    কর্নেল রেহগির আল শহীদ (০১৭৬৯০৫৩১৫০)

    রংপুর

    ক্যাপ্টেন আশরাফ (০১৬১৫৩৩২৪৪৬) এবং ক্যাপ্টেন

    মারিজ় (০১৭৪৫২০৭৪৬৯)

    কিশোরগঞ্জ(ভৈরব)-এর জন্য ০১৭৬৯২০২৩৫৪ এবং

    ক্যাপ্টেন রায়হান (০১৭৬৯২০২৩৬৬)

    যশোর

    ক্যাপ্টেন সাবির (০১৮৮৬৯১০৫১৪)

    রাজবাড়ি

    ক্যাপ্টেন এনাম (০১৭৯৫-৬১৫৯৫০)

    কক্সবাজার

    ক্যাপ্টেন মুজতাহিদ (০১৭৬৯১১৯৯৮৮)

    ঠাকুরগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ফয়েজ (০১৭৬৯৫১০৮৬৬) এবং ক্যাপ্টেন মোহতাশিম (০১৭৬৯০০৯৮৫৫)

    হেল্পলাইনের কার্য নিয়ে প্রশ্ন 

    বাংলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভিডিও বার্তায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে হেল্পলাইনে নম্বরে (Bangladesh Helpline) ফোন করেও কাজের কাজ হয়নি। লুটপাট হয়েছে হাজারো সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, অফিস ঘর। আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকি বিএনপি করেন, তাদেরও বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। বাংলাদেশের শেরপুর এবং সাতক্ষীরায় ১২০০ বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ছাড়া পাওয়া আসামিরা ভিড়ের মধ্যে মিশে (Bangladesh Crisis) লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: এখনও থমথমে বাংলাদেশ! কার্ফু উঠলেও চালু হল না বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন

    এমতাবস্থায় সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের যে পরিমাণ হিংসা শুরু হয়েছে, তা ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 96: “ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য, শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু…”

    Ramakrishna 96: “ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য, শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু…”

    সিঁথি ব্রাহ্মসমাজ-দর্শন ও শ্রীযুক্ত শিবনাথ প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তদিগের সহিত কথোপকথন ও আনন্দ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    মাঞ্চ যোহথব্যভিচারেণ ভক্তিযোগেন সবতে।

    স গুণান্‌ সমতীত্যৈতান্‌ ব্রহ্মভূয়ায় কল্পতে।।

    গীতা—১৪/২৬।

    ভক্ত-সম্ভাষণে

    সহাস্যবদনে ঠাকুর শ্রীযুক্ত শিবনাথ আদি ভক্তগণের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। বলিতেছেন (Kathamrita), এই যে শিবনাথ! দেখ তোমরা ভক্ত, তোমাদের দেখে বড় আনন্দ হয়। গাঁজাখোরের স্বভাব, আর-একজন গাঁজাখোরকে দেখলে ভারী খুশি হয়। হয়তো তার সঙ্গে কোলাকুলি করে।(শিবনাথ ও সকলের হাস্য)

    সংসারী লোকের অভাব—নামমাহাত্ম্য

    যাদের দেখি ঈশ্বরে (Ramakrishna) মন নাই, তাদের আমি বলি, আমার একটু ওইখানে গিয়ে বস। অথবা বলি, যাও বেশ বিল্ডিং (রাসমণির কালীবাটির মন্দির সকল) দেখ গে। (সকলের হাস্য)

    আবার দেখেছি যে, ভক্তদের সঙ্গে হাবাতে লোক এসেছে। তাদের ভারী বিষয়বুদ্ধি। ঈশ্বরীয় কথা ভাল লাগে না। ওরা হয়তো আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে ঈশ্বরীয় কথা বলছে। এদিকে এরা আর বসে থাকতে পারে না, ছটফট করছে। বারবার কানে কানে ফিসফিস করে বলছে, কখন যাবে—কখন যাবে। তারা হয়তো বললে, দাঁড়াও না হে, আর-একটু পরে যাব। তখন এরা বিরক্ত হয়ে বলে, তবে তোমরা কথা কও, আমরা নৌকায় গিয়ে বসি।(সকলের হাস্য)

    সংসারী লোকদের যদি বল (Kathamrita) যে সব ত্যাগ করে ঈশ্বরের পাদপদ্মে মগ্ন হও, তা তারা কখনও শুনবে না। তাই বিষয়ী লোকদের টানবার জন্য গৌর নিতাই দুই ভাই মিলে পরামর্শ করে এই ব্যবস্থা করেছিলেন—মাগুর মাছের ঝোল, যুবতী মেয়ের কোল, বোল হরি বোল। প্রথম দুইটির লোভে অনেকে হরিবোল বলতে যেত। হারিনাম-সুধার একটি আস্বাদ পেলে বুঝতে পারত যে, মাগুর মাছের ঝোল আর কিছুই নয়, হরিপ্রেমে যে অশ্রু পড়ে তাই যুবতী মেয়ে কিনা-পৃথিবী। যুবতী মেয়ের কোল কিনা—ধুলায় হরিপ্রেমে গড়াগড়ি।

    নিতাই কোনরকমে হরিনাম করিয়ে নিতেন। চৈতন্যদেব বলেছিলেন, ঈশ্বরের নামে ভারী মাহাত্ম্য (Ramakrishna)। শীঘ্র ফল না হতে পারে, কিন্তু কখন না কখন এর ফল হবেই হবে। যেমন কেউ বাড়ির কার্নিসের উপর বীজ রেখে গিয়েছিল; অনেকদিন পরে বাড়ি ভূমিসাৎ হয়ে গেল, তখন সেই বীজ মাটিতে পড়ে গাছ হল ও তার ফলও হল।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share