Author: user

  • Mindspace Architects: এসি ছাড়াই ঠাণ্ডা হয় ব্যাঙ্গালুরুর এই অফিস! কীভাবে সম্ভব?

    Mindspace Architects: এসি ছাড়াই ঠাণ্ডা হয় ব্যাঙ্গালুরুর এই অফিস! কীভাবে সম্ভব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনে করুন আপনি অফিসে বসে ল্যাপটপে কাজ করছেন, আর কাজের ফাঁকে জানলার বাইরে তাকালেই ঘন সবুজে ঘেরা প্রকৃতি দেখতে পাচ্ছেন। না আমি কোনও অবাস্তব কথা বলছি না, আমি বলছি ব্যাঙ্গালুরুর মাইন্ডস্পেস আর্কিটেক্টসের (Mindspace Architects) কথা। ব্যাঙ্গালুরুর (Bengaluru) এই অফিসকে ঘিরে রয়েছে শতাধিক গাছ, যার ফলে এই অসিফে কোনও এসির প্রয়োজন হয়না, প্রাকৃতিক উপায়েই শীতল থাকে অফিসের পরিবেশ। 

    মাইন্ডস্পেস আর্কিটেক্টসের বিশেষত্ব (Mindspace Architects) 

    মাইন্ডস্পেস আর্কিটেক্টস আসলে ব্যাঙ্গালুরুতে (Bengaluru) অবস্থিত একটা স্থাপত্য। এর গঠন অনেকটা ভাসমান ক্রুজের মতো। অফিসটির পূর্ব দিকে ৬.৫ একর জায়গা জুড়ে একটি হ্রদ অবস্থিত। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সঞ্জয় মোহে, বাসুকি প্রকাশ, সূর্যনারায়ণন এবং স্বেতার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই মাইন্ডস্পেস আর্কিটেক্টস। তবে মাইন্ডস্পেস বর্তমানে সঞ্জয় মোহে, মেদাপ্পা, সূর্যনারায়ণন, অমিত সোয়াইন এবং স্বেতা সহ ২১ জন কর্মী নিয়ে গঠিত, যারা সকলেই এখন একটি দল হিসাবে কাজ করে।

    কী জানালেন মাইন্ডস্পেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্বেতা? 

    মাইন্ডস্পেসের (Mindspace Architects) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্বেতা জানিয়েছেন, তাদের এই স্থাপত্যে আবহাওয়ার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যেহেতু এই অফিসের আকার ক্রুজের মতো, তাই এর প্রত্যেকটা ফ্লোরের ছাদেই সবুজে ঘেরা বাগান রয়েছে। এর ফলে অফিসের কোনও ছাদেই সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে গরম করতে পারেনা। স্বাভাবিকভাবেই এর জন্য সব ফ্লোরই প্রাকৃতিক উপায়ে ঠাণ্ডা থাকে। অন্যদিকে, ছাদের ওপর সবুজ ঘাসের ৬৫০ মিটারের লম্বা রাস্তাও রয়েছে। মন চাইলে খালি পায়ে সবুজে ঘেরা ছাদ বাগানে ঘুরে আসাই যায়। অনেক ভাবনা চিন্তা করেই এমন একটি স্থাপত্যে বানিয়েছেন তাঁরা। এমনটাই জানালেন স্বেতা। বললেন, “আমরা সবসময়ই চেয়েছি চোখের শান্তির সঙ্গে যেন মনেও শান্তি আসে।” 

    আরও পড়ুন: চাঁদের মাটির নমুনায় জলের উপস্থিতি! নিশ্চিত করল চিনা বিজ্ঞানীরা

    জানা গিয়েছে, এই গোটা স্থাপত্যটি (Mindspace Architects) অপরিশোধিত গ্রানাইট ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। এর ফলে সূর্যের প্রচণ্ড তাপ দেওয়াল ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না, ফলে অফিসের ভেতরের তাপমাত্রা সবসময় বাইরের তাপমাত্রার তুলনায় অনেক শীতল থাকে। এই গোটা এলাকা জুড়ে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মধ্যে একাধিক মিটিং স্পেস বা বসার জায়গা রয়েছে। এছাড়াও লেকের ধারে মনোরম দৃশ্যের সঙ্গে ঠাণ্ডা হাওয়া সারাদিনের কর্ম ক্লান্তিকে এক নিমেষেই দূর করতে সাহায্য করে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assassination:  ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটা এসেছে মুসলমান গাঁজা সেবনকারীদের থেকে?

    Assassination:  ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটা এসেছে মুসলমান গাঁজা সেবনকারীদের থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অ্যাসেসিনেশন’ (Assassination)। ছোট্ট এই শব্দটি নিয়েই বর্তমানে চলছে চুলচেরা (Muslims) বিশ্লেষণ। শব্দটির অর্থ ‘হত্যা’। ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ার বাটলারে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার সময় হত্যার চেষ্টা করা হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তার পর থেকেই ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটি নিয়ে চলছে জোর চর্চা।

    ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ

    গোটা বিশ্বের ইতিহাসে যুদ্ধ এবং স্পাইক্র্যাফ্টের ক্ষেত্রে ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শব্দটি প্রায়ই ব্যবহৃত হয় প্রধান চরিত্রগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। প্রতিপক্ষ যাতে সব সময় অস্থিতিশীল থাকে, সেজন্যও এই শব্দ ব্যবহার করা হয়। ইতিহাসে বহু সফল অ্যাসেসিনেশনের ঘটনা ঘটেছে। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন জুলিয়াস সিজার (৪৪ বিসিই), তেমনি রয়েছেন ৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিও। এই তালিকায়ই চলে এসেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পকে অবশ্য হত্যা করতে পারেনি দুষ্কৃতী। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পর থেকেই ব্যাপক চর্চায় চলে এসেছে ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটি।

    অন্ধকারের গর্ভ হতে জন্মানোর পরিচয়

    ঘাতকরা প্রাচ্য এবং প্রতীচ্য দুই অঞ্চলের ইতিহাসেই দীর্ঘস্থায়ী একটা ছাপ রেখে গিয়েছে। ‘অ্যাসেসিনেশন’ (Assassination) শব্দটি বয়ে বেড়াচ্ছে অন্ধকারের গর্ভ হতে তার জন্মানোর পরিচয়। এটি ইচ্ছাকৃত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হত্যার রীতিকে বোঝায়। যারা হত্যা করে, সেই ঘাতকদের গল্পটা ভয়ের স্থায়ী শক্তির স্মারক হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই মানুষ জানতে চায় ঘাতকদের সম্পর্কে। জানতে চায়, কীভাবেই বা তারা খুনটা করেছিল, খুন করতে গিয়ে তারা গঞ্জিকা সেবন করেছিল কিনা।

    আরও পড়ুন: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    শব্দটির অশুভ উৎস

    এই ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটির একটি আকর্ষণীয় (Muslims) এবং অশুভ উৎস রয়েছে। এটি নিহিত ছিল একটি মধ্যযুগীয় শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের ইতিহাসে। এই সম্প্রদায়টি ঘাতক হিসেবে পরিচিত। মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটিকে বলা হয় ‘নিজারি ইসমাইলিস’। একাদশ শতাব্দীর শেষাশেষি জনৈক হাসান-ই সাব্বাহের নেতৃত্বে পারস্য ও সিরিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে আবির্ভুত হয়েছিল এই গোষ্ঠী। বলা হয়, একাধিক মুসলমান সম্প্রদায় ভেঙে তৈরি হয়েছিল শিয়া ইসমাইলিসের। অষ্টম শতাব্দীর ষষ্ঠ ইমাম জাফর আল সিদ্দিকির বড় ছেলে ইসমাইলের প্রতি আনুগত্য দেখাতেই একাদশ শতাব্দীতে জন্ম হয়েছিল মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটির।

    গোঁড়া শিয়া

    এদিকে, গোঁড়া শিয়ারা সপ্তম ইমাম হিসেবে মেনে নিয়েছিল ইসমাইলের ভাই মুসা আল কাজিমকে। তখন ইসমাইলিদের সমর্থন জুগিয়েছিলেন মুহাম্মদ আল মাহদি। এই ইসমাইলিরা বিশ্বাস করত, মাহদি আসবেন এবং শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। ইসমাইলিদের এই জগৎ একেবারেই আলাদা গোঁড়া শিয়া এবং আলাদা বাগদাদ ভিত্তিক আব্বাসীয় খিলাফতের থেকে। একাদশ শতকে রাজবংশ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইসমাইলি সম্প্রদায় দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। এর পরেই আবু মঞ্জুর নিজারের সমর্থকরা (Assassination) নিজারি ইসমাইলিস নামে পরিচিত হয়। এরাই অতঃপর হত্যাকারীতে পরিণত হয়।

    নিজারি ইসমাইলি

    ১১৩০ থেকে ১১৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সম্প্রদায়টি প্রসার লাভ করে। এরা প্রথমে বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়ার দুর্গগুলির কয়েকটির দখল নেয়। পরে উত্তর সিরিয়ায় তারা বেশ শক্তিশালী একটি ঘাঁটি গড়ে তোলে। এর মধ্যে জাবাল আনসারিয়া অঞ্চলে এদের সংগঠন বেশ মজবুত ছিল। এই আনসারিয়া ছিল সিরিয়ার ক্রুসেডার রাষ্ট্রগুলির সীমান্ত এলাকা। সিরিয়ার ওরন্টেস উপত্যকার দুর্গযুক্ত শহর মাসয়াফকে নিজারি ইসমাইলিরা দখল করেছিল ১১৪১ খ্রিস্টাব্দে। এই শহরই হয়ে উঠেছিল, নিজারি ইসমাইলিদের রাজধানী। মুসলমানদের হাত থেকে এডেসার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে হয় দ্বিতীয় ক্রুসেড। এই ক্রুসেড ব্যর্থ হয়। 

    ক্রুসেডার রাষ্ট্রগুলিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

    নিজারি ইসমাইলিরা (যারা হাসান-ই সাব্বাহের অনুগামী হিসেবেও পরিচিত) কখনও কখনও তাদের পৃথক অস্তিত্ব বজায় রাখতে ক্রুসেডার রাষ্ট্রগুলিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিত। আবার এই হাসাশিনরা কখনও কখনও সুন্নি মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্রুসেডারদের সমর্থনও করেছিল। এই হাসাশিন থেকেই এসেছে ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দটি। ‘হাসাশিন’ নামটি হাসান-ই সাব্বাহের অনুগামীদের দেওয়া। এঁর অনুগামীদের হাসাশিন আখ্যা দেওয়া হত। কারণ কাউকে হত্যা করার আগে তারা সেবন করত গঞ্জিকা অর্থাৎ গাঁজা। হাসাশিন আরবি শব্দ। এর অর্থ হল, যে হাসিস বা গাঁজা খায়। কালক্রমে বিবর্তিত হতে হতে এই শব্দটিই প্রথমে ল্যাটিন ভাষায় হত্যাকারী এবং পরে ইউরোপীয় ভাষায়ও হত্যাকারীতে রূপান্তরিত হয়। যা থেকে আধুনিক ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দের জন্ম বলে অনুমান ভাষাতত্ত্ববিদদের। বর্তমানে ‘অ্যাসেসিনেশন’ শব্দের অর্থ ইচ্ছাকৃতভাবে একজন বিশিষ্ট বা গুরুত্বপূর্ণ (সাধারণত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব) ব্যক্তিকে (Muslims) হত্যা করা বোঝায় (Assassination)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।    

  • Powerful Passport Rankings: বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট ব্যবস্থায় প্রথম দশে কোন কোন দেশ?

    Powerful Passport Rankings: বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট ব্যবস্থায় প্রথম দশে কোন কোন দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ভ্রমণ অথবা কাজের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক বিশ্বে এক দেশ থেকে আরেক দেশে মানুষের যাতায়াত সংখ্যা দ্রুতভাবে বাড়ছে। ইতিমধ্যে কোন কোন দেশের পাসপোর্ট সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, তা নিয়েই সমীক্ষা চালিয়েছে হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স নামের একটি সংস্থা। কোনও দেশের পাসপোর্ট ব্যবস্থাকে সব থেকে বেশি শক্তিশালী (Powerful Passport Rankings) গণ্য করা হয়, সেই পাসপোর্ট নিয়ে কতগুলি দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া যেতে পারে তার ভিত্তিতে। প্রসঙ্গত, হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে ভারত ৮২তম স্থানে রয়েছে। আমাদের দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া শুধুমাত্র পাসপোর্ট নিয়েই সফর করতে পারেন ৫৮টি দেশে (India’s Passport Ranking)। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের এমন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট ব্যবস্থার (Powerful Passport Rankings) তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে এশিয়ার তিনটি দেশ, এগুলি হল, সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। যেকোনও দুটি দেশের মধ্যে কুটনৈতিক সম্পর্ক কতটা জোরালো তাও বোঝা যায় পাসপোর্টের ভূমিকা দেখে। সাধারণভাবে দুটি দেশের মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে, সেক্ষেত্রে ভিসার দরকার পড়ে না।

    প্রথম স্থান পেয়েছে সিঙ্গাপুর (Powerful Passport Rankings)

    হেনলি ইন্ডেক্স সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট ব্যবস্থা রয়েছে সিঙ্গাপুরের। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সিঙ্গাপুর। ভিসা ছাড়া শুধুমাত্র পাসপোর্ট নিয়েই সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা যেতে পারেন ১৯৫টি দেশে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাঁচটি দেশ, এগুলি হল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান এবং স্পেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশগুলির নাগরিকরা শুধুমাত্র পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন ১৯২টি দেশে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাতটি দেশ, এগুলি হল, অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড আয়ারল্যান্ড, লুক্সেম্বার্গ, নেদারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেন। এই দেশগুলির নাগরিকরা ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৯১টি দেশে। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ছয়টি দেশ। এই দেশগুলি হল, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড ও ব্রিটেন। এই দেশগুলির নাগরিকরা ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৯০টি দেশে।

    পঞ্চম থেকে দশম স্থানে রয়েছে কোন কোন দেশ?

    পঞ্চম স্থানে রয়েছে দুটি দেশ অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। এই দুই দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া শুধুমাত্র পাসপোর্ট (Powerful Passport Rankings) নিয়ে যেতে পারেন ১৮৯টি দেশে। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে গ্রীস। এই দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৮৮টি দেশে। সপ্তম স্থানে রয়েছে মোট চারটি দেশ কানাডা, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি ও মালটা। এই দেশগুলি নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই শুধুমাত্র পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৮৭টি দেশে। অষ্টম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৮৬টি দেশে। নবম স্থানে রয়েছে ইস্টোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এই দেশগুলির নাগরিকরা ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৮৫টি দেশে। অন্যদিকে আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, স্লোভাকিয়া ও স্লোভানিয়া রয়েছে দশম স্থানে। এই চার দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন ১৮৪টি দেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: ৫০০ টাকা থেকে ৫ কোটির সাম্রাজ্য! কৃষ্ণার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই অনুপ্ররণা শত শত নারীর

    Success Story: ৫০০ টাকা থেকে ৫ কোটির সাম্রাজ্য! কৃষ্ণার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই অনুপ্ররণা শত শত নারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শত প্রতিকূলতাকে জয় করেও এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। তার জ্বলন্ত প্রমাণ উত্তর প্রদেশের গৃহবধূ কৃষ্ণা যাদব। স্বচ্ছল পরিবারে আচমকা নেমে এসেছিল ছিল চরম দারিদ্রতা। স্বামী, তিন সন্তানকে নিয়ে সেই দারিদ্রতা কাটাতেই তিনি ছুটে এসেছিলেন দিল্লি। দিনরাত এক করে কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনিই নজির গড়েছেন। তাঁর হাতের জাদুতেই গড়ে উঠেছে কোটি টাকার সাম্রাজ্য। তাঁর জীবনকাহিনী অনুপ্ররণা (Success Story) যোগাচ্ছে শত শত নারীকে।

    পরিবার নিয়ে পথে বসার মতো অবস্থা!(Success Story)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দৌলতপুরের ছোট্ট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন কৃষ্ণাদেবী। তিনি (Krishna Yadav) কখনও স্কুলে যাননি। বিয়ের পর তিনি (Success Story) বুলন্দশহরে চলে যান। তাঁর স্বামী একজন ট্রাফিক পুলিশ অফিসার ছিলেন। কোনও কারণে তাঁর চাকরি চলে যায়। স্বামী কাজ হারানোর পর পরিবারের সকলে ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। পরে, যানবাহনের ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, তাতেও প্রচুর লোকসান হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন হয়, তাঁদের দুটি বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছিল। একেবারে পরিবার নিয়ে পথে এসে বসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় কৃষ্ণা যাদবের।  

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    ৫০০ টাকা হাতে নিয়ে কৃষ্ণার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

    মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে তিনি পাড়ি দেন দিল্লি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান। এত বড় শহরে কোথায় চাকরি পাবেন, কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। তাছাড়া তাঁর পুঁথিগত ডিগ্রি না থাকার জন্য কোনও কাজ মিলছিল না। এরপর খানপুরের রেভলালা গ্রামে একজনের জমিতে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। জমির এক পাশে ঘর তৈরি করে তাঁরা সপরিবারে থাকতেন। কিন্তু, চাষ করে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছিলেন না। টিভিতে একটি অনুষ্ঠান দেখে অনুপ্রাণিত (Success Story) হয়ে ২০০১ সালে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। পরে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। ৩০০০ টাকা খরচ করে প্রায় ৫ কেজি লঙ্কার, আমের আচার বানিয়ে ফেলেন তিনি। রাস্তায় টেবিল পেতে সেই আচার বিক্রি করে ২,২৫০ টাকা লাভও হয় তাঁর। পরে, বিভিন্ন মেলায় আচার বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করেন তিনি। এরপর ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুরু করেন এই ব্যবসা। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই জমে ওঠে ব্যবসা। পরের কয়েক বছরে তাঁর আচারের চাহিদা বেড়ে যায়। এখন তাঁর বার্ষিক টার্নওভার ৫ কোটি টাকা।

     প্রধানমন্ত্রীর হাতে থেকে তিনি পুরস্কার নেন

    ‘শ্রী কৃষ্ণ পিকলস’ নামে একটি কোম্পানি চালু করেন। এই ব্র্যান্ডের নামে রমরমিয়ে চলতে থাকে ব্যবসা। তবে, কেবলমাত্র আচার নয়, মোরব্বা ও চাটনির ব্যবসাও শুরু করেন তিনি। বর্তমানে বেড়েই চলেছে এই ব্র্যান্ডের বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা। বর্তমানে প্রায় কোটি টাকার সাম্রাজ্য তৈরি ফেলেছেন কৃষ্ণা যাদব। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে বৈচিত্র্যময় কৃষির জন্য মর্যাদাপূর্ণ এন জি রাঙ্গা কৃষক পুরস্কার নেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি (Success Story) জিতে নেন মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক কর্তৃক নারী শক্তি পুরস্কার। এই সমস্ত পুরস্কার পেয়েও তিনি থেমে থাকেননি। বরং, দিনের পর দিন তিনি তাঁর ব্যবসার সাম্রাজ্য ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছেন।

    ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই নিয়ে কী বললেন কৃষ্ণা যাদব?

    ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই প্রসঙ্গে কৃষ্ণা যাদব (Krishna Yadav) বলেন, আমাদের আর্থিক সঙ্কটের জন্য এটি একটি ছোট পদক্ষেপ ছিল। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি এতদূর আসতে পারব। আমার স্বামী এবং বড় ছেলে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আর অন্য দুই সন্তান উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশুনা করছে। এখন আমার কাছে গাড়ি, বাংলো রয়েছে। ছোটবেলায় আমি টেলিভিশনে মুখ দেখানোর খুব ইচ্ছা ছিল। সেই স্বপ্ন আমার ব্যবসার মাধ্যমে সত্যি হয়েছে। তবে, এই সাফল্যের জন্য ধারাবাহিক কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather update: জমা জলে প্লাবিত কলকাতা বিমানবন্দর! আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত

    Weather update: জমা জলে প্লাবিত কলকাতা বিমানবন্দর! আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata airport) বৃষ্টির জলে প্লাবিত (Weather update) হয়ে গিয়েছে। রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ে উভয়ই প্লাবিত হয়ে রয়েছে। জলাবদ্ধ ট্যাক্সিওয়েতে বিমানগুলিকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তবে বিমান চালাচলে ব্যাঘাতের তেমন খবরাখবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। বিমানবন্দরের অন্দরে একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, “রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়ে উভয়ই জলমগ্ন এবং সেখানেই ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি (Kolkata airport) লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।” অপর দিকে হাওড়া, সল্টলেক এবং বারাকপুর সহ কলকাতা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলি অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টির জমা জলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।

    দক্ষিণবঙ্গে আরও ১২ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত (Weather update)

    এই বৃষ্টিপাত নিম্নচাপের (Weather update) জন্য সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমেই তা আরও গভীরে পরিণত হয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপটি বর্তমানে বিহার এবং উত্তর প্রদেশের দিকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস অনুসারে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সারা দিন ধরে চলতে পারে বৃষ্টি। হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে আরও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার বেশ কয়েকটি অংশ থেকে জলমগ্ন পরিস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার কিছু অংশে ভারী বর্ষণের ফলে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত শহরের কয়েকটি এলাকায় ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে এই ভারী বৃষ্টি সত্ত্বেও, শুক্রবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৪ ডিগ্রি কম। একই ভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক মাত্রা থেকে ০.৬ ডিগ্রির সামান্য কম।

    আরও পড়ুন: বন্দে ভারত-লোকাল ট্রেন! বিভ্রান্তি ছড়ানোয় ব্যবস্থা নিতে চলেছে রেল

    একাধিক জায়গায় জারি লাল সতর্কতা

    ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) আবহাওয়া (Weather update) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির জন্য ‘হলুদ’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাগুলির জন্য ‘কমলা’ সতর্কতা এবং ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সংকেত দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় ‘লাল’ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • London: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    London: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজন মুসলিম ছাত্রকে বহিষ্কার করল লন্ডনের স্প্রিংওয়েল স্কুল (London)। মুসলিম পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এক হিন্দু সহপাঠীকে তারা জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Forced Conversion) করার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। এরপরই মূলত অভিভাবকদের চাপে ওই মুসলিম পড়ুয়াদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে ওই মুসলিম ছাত্ররা জোর করে ওই হিন্দু ছাত্রকে নিজের নাম রাখতে বলে মহম্মদ এবং তাকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হতে থাকে এই বিষয়ে। এর পাশাপাশি ওই হিন্দু ছাত্রের হাতের ধাগাও কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে চেয়েছিল ওই মুসলিম ছাত্ররা, এমনটাই অভিযোগ।

    হিন্দু ছাত্রকে হালাল মাংস খাওয়ারও পরামর্শ (London) 

    শুধু তাই নয়, ওই হিন্দু ছাত্রকে (Forced Conversion) হালাল মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দেয় তারা। মুসলিম ছাত্ররা জানিয়েছিল যে হালাল মাংস খেলে হিন্দু ছাত্রটি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, হিন্দু ছাত্রটি একজন নিরামিষ ভোজী জানার পরেও এমন কাজ করতে থাকে ওই মুসলিম পড়ুয়ারা (London)। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন ওই হিন্দু ছাত্রটি বাড়ি ফেরে এবং তার ব্যবহারে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার অভিভাবকরা।

    ফোন করে বাড়িতে একদিন ওই ছাত্র জানায় সে নিজের নাম মহম্মদ রাখতে চায় 

    ওই হিন্দু ছাত্রের মা জানিয়েছেন যে এক দিনে ফোন করে হঠাৎই তাঁর ছেলে বলে যে আমার নাম পরিবর্তন করে মহম্মদ রাখব। এরপরেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, মুসলিম বন্ধুরা ওই হিন্দু পড়ুয়াকে ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছিল ইসলাম ধর্মান্তরিত হতে (London)। এরপরে ওই হিন্দু ছাত্রের অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো বিষয়টি জানান। আরও অভিযোগ করেন অভিভাবকরা যে এ ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে হিন্দু ছাত্রটিকে উত্যক্ত করা হচ্ছে। এরপরেই ওই ঘটনার ওপর তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা সামনে আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এরপরেই ওই তিন মুসলিম ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Highway: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে ৫০,০০০ কোটি টাকার ৮টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন মোদির

    National Highway: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে ৫০,০০০ কোটি টাকার ৮টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগকে আরও উন্নত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ৮টি জাতীয় মহাসড়ক (National Highway) প্রকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য ছাড়পত্রের কথা জানিয়েছে শুক্রবার। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশের জন্য আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সরকার বিশ্বাস করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে আনুমানিক ৪.৪২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

    কী বলেলেন মোদি (National Highway)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, “মোট ৯৩৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আটটি জাতীয় মহাসড়ক (National Highway) উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সড়ক প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর বহুগুণ প্রভাব ফেলবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে। ভারতের যোগাযোগ পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৫০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে জাতীয় হাই-স্পিড রোড করিডর নির্মিত হবে। সরকার ন্যূনতম জমি অধিগ্রহণ করে প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করবে।”

    ৮ টি জাতীয় মহাসড়কের নাম

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে সরকারের এই ৮টি জাতীয় সড়ক (National Highway) প্রকল্পের বিষয়ে বিশদ জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের জাতীয় সড়কগুলি হল, ৬-লেনের আগ্রা-গোয়ালিয়র মহাসড়ক, ৪-লেনের খড়্গপুর-মোরগ্রাম, ৬-লেনের থারাদ-দিসা-মেহসানা-আমেদাবাদ, ৪-লেনের পথালগা-রায়পুর-রাঁচির গুমলা, ৬-লেন কানপুর রিং রোড, ৪-লেন উত্তর গুয়াহাটি বাইপাস, এবং পুনের কাছে ৮-লেন এলিভেটেড নাসিক ফাটা–খেদ করিডোর।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ঘোষণা, সেনা-গোয়েন্দাদের তথ্য দিলে মিলবে ৩ হাজার, আগে ছিল ৫০ টাকা

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অভিনন্দন

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দ্বারা অনুমোদিত গুয়াহাটি রিং রোড (National Highway) প্রকল্পের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “খুব চমৎকার খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ ৫৭২৯ কোটি টাকার গুয়াহাটি রিং রোড প্রকল্পকে অনুমোদন করেছে। তাই অসমবাসীর পক্ষ থেকে এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করিজিকে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

    উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হল গুয়াহাটি। এখানে ১২১ কিমি একটি রিং রোড তৈরি করা হবে। ৪ লেন উত্তর গুয়াহাটি বাইপাস ৫৬ কিলোমিটার হবে। এনএইচ ২৭কে ৪ লেনের এবং বাইপাসকে ৬ লেন করা হবে। একই ভাবে প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর একটি বড় সেতুও নির্মাণ করা হবে। গুয়াহাটি রিং রোড জাতীয় মহাসড়ক ২-এর যানজটকে নির্মূল করে নির্বিঘ্ন সংযোগ প্রদান করবে। এই রিং রোডটি গুয়াহাটির আশেপাশের প্রধান জাতীয় মহাসড়কগুলির যানজট কমিয়ে দেবে। আর সেইসঙ্গে শিলিগুড়ি, শিলচর, শিলং, জোড়হাট, তেজপুর, জোগিগোফা এবং বারপেটাড় মতো শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chinese Scientists: চাঁদের মাটির নমুনায় জলের উপস্থিতি! নিশ্চিত করল চিনা বিজ্ঞানীরা

    Chinese Scientists: চাঁদের মাটির নমুনায় জলের উপস্থিতি! নিশ্চিত করল চিনা বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের বুকে এবার জলের খোঁজ (Water In Lunar Soil) মিলল। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস (CAS) অনুসারে, চিনের চন্দ্রযান চাং’ই ৫ (Chang’e 5) অভিযান থেকে আনা নমুনায় চাঁদের বুকে জলের অণুর খোঁজ পেয়েছেন চিনের বিজ্ঞানীরা (Chinese Scientists)। চাঁদের বুকে পাথরের নীচে জলের অণু চাপা পড়েছিল বলেই তাদের অনুমান। এই প্রথম হাতেকলমে চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্বের খোঁজ মিলল। চাঁদ থেকে আনা নমুনা পরীক্ষা করে যা মিলেছে, সেই গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ (Nature Astronomy) জার্নালে। 

    ঠিক কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? (Chinese Scientists)

    মঙ্গলবার চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস জানিয়েছে, ২০২০ সালে চাং’ই ৫ মিশন থেকে নিয়ে আসা চাঁদের মাটির নমুনার উপর ভিত্তি করেই চিনা বিজ্ঞানীরা একটি হাইড্রেটেড খনিজ খুঁজে পেয়েছেন। চাঁদের মাটি নিয়ে পরীক্ষা করা চিনা বিজ্ঞানীরা ১,০০০টিরও বেশি খনিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষকরা বলেছেন, ”এইসব খনিজ পদার্থের মধ্যে একটি স্বচ্ছ পদার্থ ছিল, যাকে “অজানা চন্দ্র খনিজ” (ULM-1) বলা হয়েছে, এর মধ্যেই জলের অণু রয়েছে।”

    মিলেছে অ্যামোনিয়ার খোঁজও

    গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, চাঁদের বুকে যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে, সেখানেও জলের অণুগুলি লবণের আকারে বিরাজ করে। শুধু জলের অণুই নয়, চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করে আনা পাথরের টুকরোর মধ্যে অ্যামোনিয়ার খোঁজও পেয়েছেন চিনা বিজ্ঞানীরা (Chinese Scientists), যা রকেট জ্বালানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজ্ঞানী (Chinese Scientists) বলেছেন, ”আমি আশা করেছিলাম এই গবেষণায় চাঁদের মাটিতে জলের অস্তিত্বের (Water In Lunar Soil) প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যাবে। যদি এই জল বহনকারী খনিজটি চাঁদের নমুনায় থাকে, তবে চাঁদের মাটিতে এমন একাধিক টুকরো পাওয়া উচিত।” 

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালে, ভারতের চন্দ্রযান-১ চাঁদের সূর্যালোক অঞ্চলে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন, অণুর আকারে হাইড্রেটেড খনিজের সন্ধান পেয়েছিল। এর পরেই নাসা মুন মিনারোলজি ম্যাপার (M3) ও একটি ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার দিয়ে চাঁদে খনিজ পদার্থে জলের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল। যদিও সেবার হাতে কলমে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এরপরেই চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনতেই অভিযান চালায় চিন।
     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Home Ministry: কেন্দ্রের ঘোষণা, সেনা-গোয়েন্দাদের তথ্য দিলে মিলবে ৩ হাজার, আগে ছিল ৫০ টাকা

    Union Home Ministry: কেন্দ্রের ঘোষণা, সেনা-গোয়েন্দাদের তথ্য দিলে মিলবে ৩ হাজার, আগে ছিল ৫০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধা সামরিক বাহিনী, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্ষেত্রগুলিতে তথ্যদাতাদের (Informers) পুরস্কারের আর্থিক মূল্য অনেকটাই বাড়াল কেন্দ্র সরকার (Union Home Ministry)। স্থানীয়রা এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে আরও উৎসাহিত হবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। একবারের জন্য তথ্য দিলেই মিলবে ৩ হাজার টাকা, আগে যা ছিল ৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ), অসম রাইফেলস, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস (এনএসজি), ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এবং ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমি (এনপিএ)-এর আধিকারিকদের তথ্যদাতাদের পুরস্কার মূল্য বাড়ানোর (Union Home Ministry) ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

    জুন মাসেই এই মর্মে একটি আদেশনামা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Union Home Ministry)

    চলতি বছরের জুন মাসেই এই মর্মে একটি আদেশনামা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেখানে বলা হয়েছে যে এতদিন পর্যন্ত তথ্যদাতাদের (Informers) পুরস্কার দেওয়া হত একবারের জন্য ৫০ টাকা এবং এক বছরের জন্য ৫০০ টাকা। এই সীমা বাড়িয়ে একবার যাঁরা তথ্য দেবেন তাঁদের জন্য পুরস্কার মূল্য করা হয়েছে ৩,০০০ টাকা এবং বার্ষিক এই পরিমাণ করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, এই আদেশনামা সংশোধিত হয়েছিল শেষবারের মতো ২০০২ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে।

    দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তথ্যদাতারা

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের আন্তর্জাতিক সীমানার (Union Home Ministry) ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিজেদের আওতায় নেয়। আগে এই সীমা ছিল ১৫ কিমি। এই বৃত্তের মধ্যে বিএসএফ যে কোনও ব্যক্তিকে তল্লাশি চালাতে পারবে অথবা গ্রেফতারও করতে পারবে। প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছ থেকে এই ক্ষমতা নিয়ে নেয় বিএসএফ। দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তথ্যদাতারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা বজায় রাখতে তাঁরা সেনাবাহিনী সমেত গোয়েন্দাদের সাহায্য করেন। ২২ বছর পরে তাঁদের পুরস্কার মূল্য বাড়া, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার পর এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কবে জানেন?

    S Jaishankar: রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার পর এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এবার ভারত- মলদ্বীপ সম্পর্কে (India-Maldives Relationship) বরফ কিছুটা গলতে শুরু করেছে। এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দেশে তৃতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রী। সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরিখে তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    কবে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী? (S Jaishankar)

    গত তিন থেকে চার মাসে মলদ্বীপের প্রচেষ্টার কারণেই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের (S Jaishankar) মলদ্বীপ সফরের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। মে মাসে বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির ভারত সফরে এসেছিলেন। তারপরে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু নিজে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল ভারতে রয়েছেন। মূলত, ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে যাওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে সবথেকে বড় বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হয় মলদ্বীপে। আর এতদিন ভারতীয়রা মলদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পরের মাসে মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে দুই থেকে তিন দিন তিনি থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি মলদ্বীপের প্রতিপক্ষ মুসা জমির এবং রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর সঙ্গে দেখা করবেন।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড়!

    মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী এবং ভারত-বিরোধী হিসাবে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India-Maldives Relationship) অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মুইজ্জুর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মুইজ্জু তার ভারত-বিরোধী এজেন্ডার অধীনে, ভারতের সঙ্গে একটি হাইড্রোগ্রাফিক চুক্তি বাতিল করে। ভারত বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও চিনা গুপ্তচর জাহাজগুলিকে মলদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ চালানোর অনুমতি দেয়। তারপরই ভারতের সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে। ভারতীয়দের অনেকেই মলদ্বীপে যাওয়ার টিকিট বাতিল করে দেন। যার ফলে দেশটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে চিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। এমনকী, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশও দেন তিনি। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই আবহের মধ্যে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ভারত সফর, পর্যটনমন্ত্রীর মলদ্বীপ যাওয়ার জন্য ভারতীয় পর্যটকদের আহবান জানানোর ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share