Author: user

  • Jamaat-e-Islami: জামাত-ই-ইসলামিকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল মুসলিম সংগঠন

    Jamaat-e-Islami: জামাত-ই-ইসলামিকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল মুসলিম সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৩১ জুলাই মুসলিম সংগঠন ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি (Indian Muslim Association-Noori) একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে এবং সেখানে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে তারা, কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত-ই-ইসলামিকে। ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি আরও দাবি জানিয়েছে, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) শুধুমাত্র কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে না উপরন্ত গোটা দেশে তারা জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং দেশজুড়ে ভারত বিরোধী ও জিহাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যুবসমাজকে নিজেদের সংগঠনে তারা জুড়ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে।

    ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরির সভাপতি কী বলছেন?

    ইন্ডিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন-নুরি যার সংক্ষিপ্ত নাম হল ইমান (Indian Muslim Association-Noori), এই সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হামিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা শুধুমাত্র জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি না। এর পাশাপাশি সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, সেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে, যেগুলি থেকে নিজেদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করছে জামাত। তাদের কর্মসূচিগুলিকেও চিহ্নিত করতে হবে।

    প্রেস বিবৃতি

    নিজেদের প্রেস বিবৃতিতে ইমান বলেছে, ‘‘বিগত কয়েক মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। জঙ্গিরা আক্রমণ চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর ওপর। রাজৌরি, কুপওয়ারা, ডোডা প্রভৃতি জেলা থেকে মিলছে সন্ত্রাসবাদের একের পর এক খবর। এই ধরনের হামলাগুলিতে জয়শ-ঈ-মহম্মদ, কাশ্মীর টাইগার প্রভৃতি সংগঠনগুলির পাশাপাশি রয়েছে জামাত-ই-ইসলামিও। এদের লক্ষ্য হল ভারতকে অস্থির করে রাখা। সম্প্রতি জামাত-ই-ইসলামিকে (Jamaat-e-Islami) জম্মু-কাশ্মীরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংগঠনকে সম্পূর্ণ দেশে নিষিদ্ধ করা হোক।’’

    জামাতের (Jamaat-e-Islami) ইতিহাস

    প্রসঙ্গত, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৈয়দ-আবু-আল-মৌদাদী। কট্টরপন্থী ইসলামিক ভাবধারাকে বাস্তবায়িত করতে এই সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাকে সাহায্য করে এই সংগঠন। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচার চালায় জামাত। হাজার হাজার হিন্দুকে হত্যা করে তারা। মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। প্রসঙ্গত প্রথমদিকে অর্থাৎ ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানে জামাত-ই-ইসলামি একটা রাজনৈতিক দল ছিল এবং তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। পরবর্তীকালে তারা ছাত্র-যুবদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করে। যার নাম দেয় জামাত-ই-তালাবা। এই সংগঠন পাকিস্তানের বেশিরভাগ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের দখলে আনে ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে থাকে। সেই থেকেই শুরু হয় জামাতের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। আন্তর্জাতিক স্তরেও এই সংগঠন জাল বিছিয়েছে। প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিদের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুড নামের সংগঠনের সঙ্গেও এদের যোগাযোগ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haj Committee: হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়া, অভিযোগ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরও

    Haj Committee: হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়া, অভিযোগ সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হজ কমিটির (Haj Committee) নামে মারাত্মক অভিযোগ করলেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। হজ কমিটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগ হায়দ্রাবাদের সাংসদের। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

    ব্যবস্থাপনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Asaduddin Owaisi)

    হজ কমিটির (Haj Committee) বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা অনেক দীর্ঘ। অভিযোগ হজ কমিটির বাবুরা হজ যাত্রীদের প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আর্থিক তছরূপের সঙ্গে লিপ্ত। শুধু তাই নয়, হজ কমিটির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে হজযাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবক সেজে বিনামূল্যে হজ যাত্রা করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি হজ যাত্রার আগে হজ যাত্রীদের থাকা খাওয়ার জন্য বরাদ্দ অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ রয়েছে হজ কমিটির বিরুদ্ধে। হজ কমিটি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। একদা এই কমিটির হাতে অনেক ক্ষমতা ছিল। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি হচ্ছে আঁচ করতে পেরে সরকার এই কমিটির ডানা ছেঁটেছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের হজ কমিটি রয়েছে। তারাও একই পথের পথিক বলে অভিযোগ। বিশেষ করে হজ করতে গিয়ে সেখানেও নানান সমস্যায় পড়েন ভারতীয় মুসলিমরা। দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা অনেক গভীরে, অভিযোগ হজ যাত্রীদের।

    কংগ্রেস নেতার অভিযোগ (Haj Committee)

    প্রসঙ্গত, গতবছর কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন সংখ্যালঘু বিভাগের মন্ত্রী আরিফ নাসিম খান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হজ যাত্রার ব্যবস্থাপনায় বিরাট দুর্নীতি হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন। এমনকি হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ জানান। সূত্রের খবর, প্রাইভেট ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে হজ কমিটির (Haj Committee) অবৈধ আঁতাত থাকে। প্রাইভেট ট্যুর অপারেটররা হজ যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। সেই টাকার একটা অংশ হজ কমিটির বাবুদের পকেটে যায় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে। সংসদে এই একই বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি (Asaduddin Owaisi) সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।

    আরও পড়ুন: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি!’ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি!’ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা, নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভায় এদিন স্লোগান তোলা হয় ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি?’ এর পাশাপাশি এদিন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের অভিনব বিক্ষোভও দেখায় গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে এদিন বিধানসভার সামনে প্রতীকী সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। তাঁদের দাবি, ৪০ টাকার আলু এদিন ১০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে

    বিধানসভার চলতি অধিবেশনে অনেকবারই বিজেপির বিধায়করা অভিযোগ তুলেছেন, বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে মুলতবি প্রস্তাব আনা হলেও, সে সব বিষয়ে আলোচনার সুযোগ দেননা স্পিকার। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও তুলেছে গেরুয়া শিবির। শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য মাত্র ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করেন স্পিকার। বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দলের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কালোবাজারি বন্ধ এবং ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়। পুরুলিয়ার জয়পুরের বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো প্রস্তাবটি বিধানসভায় পাঠ করেন।

    অভিনব নামতা পাঠ করলেন শুভেন্দু (BJP)

    বিজেপি (BJP) বিধায়কদের গলায় ছিল এদিন সবজির প্ল্যাকার্ড। অভিনব কায়দায় ২০-এর ঘরের নামতা পড়তে শোনা যায় বিরোধী দলনেতাকে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘২০ এক্কে পাউচ, ২০ দু’গুণে আলু, তিন ২০ টমেটো,  পাঁচ ২০ ক্যাপসিকম, সাত ২০ রসুন, আট ২০ আদা, নয় ২০ মটরশুটি, ২০ দশে মুরগি!’’ পরে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল অভিযোগ করেন, ‘‘চাষিরা দাম পাচ্ছেন না অথচ মানুষ বাজারে সব্জি কিনতে পারছেন না। কারণ, মাঝে ফড়েরা দালালি করছে। এই কারণেই ফসলের দাম বৃদ্ধি।’’
     

    আরও পড়ুন: বিজেপির লাগাতার বয়কটে ধর্ম নিয়ে নিজের মন্তব্য থেকে পিছু হটলেন ফিরহাদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    Ramakrishna 92: “কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    দশম পরিচ্ছেদ

    সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    গাড়ি চলিতে লাগিল। ইংরেজটোলা। সুন্দর রাজপথ। পথের দুইদিকে সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা। পূর্ণচন্দ্র উঠিয়াছে, অট্টালিকা যেন বিমল শীতল চন্দ্রকিরণে বিশ্রাম করিতেছেন। দ্বারদেশে বাষ্পীয় দীপ, কক্ষমধ্যে দীপমালা, স্থানে স্থানে হার্মোনিয়াম, পিয়ানো সংযোগে ইংরেজ মহিলারা গান করিতেছেন। ঠাকুর আনন্দ হাস্য করিতে করিতে যাইতেছেন। হঠাৎ বলিলেন (Kathamrita), আমার জলতৃষ্ণ পাচ্ছে; কী হবে? কি করা যায়! নন্দলাল ইন্ডিয়া ক্লাবের নিকট গাড়ি থামাইয়া উপরে জল আনিতে গেলেন, কাচের গ্লাসে করিয়া জল আনিলেন। ঠাকুর সহাস্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, গ্লাসটি ধোয়া তো? নন্দলাল বললেন, হাঁ। ঠাকুর (Ramakrishna) সেই গ্লাসে জলপান করিলেন।

    বালকের স্বভাব। গাড়ি চালাইয়া দিলে ঠাকুর মুখ বাড়াইয়া লোকজন গাড়ি-ঘোড়া চাঁদের আলো দেখিতেছেন। সকল তাতেই আনন্দ।

    নন্দলাল কলুটোলায় নামিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) গাড়ি সিমুলিয়া স্ট্রীটে শ্রীযুক্ত সুরেশ মিত্রের বাড়িতে আসিয়া লাগিল। ঠাকুর তাঁহাকে সুরেন্দ্র বলিতেন। সুরেন্দ্র ঠাকুরের পরম ভক্ত।

    কিন্তু সুরেন্দ্র বাড়িতে নাই। তাঁহাদের নূতন বাগানে গিয়াছেন। বাড়ির লোকেরা বসিতে নিচের ঘর খুলিয়া দিলেন। গাড়িভাড়া দিতে হবে। কে দিবে? সুরেন্দ্র থাকিলে সেই দিত। ঠাকুর একজন ভক্তকে বলিলেন, ভাড়াটা মেয়েদের কাছে থেকে চেয়ে নে না। ওরা কি জানে না, ওদের ভাতাররা যায় আসে। (সকলের হাস্য)

    নরেন্দ্র পাড়াতেই থাকেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নরেন্দ্রকে ডাকিতে পাঠাইলেন। এদিকে বাড়ির লোকেরা দোতলার ঘরে ঠাকুরকে বসাইলেন (Kathamrita)। ঘরের মেঝেতে চাদর পাতা, দু-চারটে তাকিয়া তার উপর; কক্ষ-প্রাচীরে সুরেন্দ্রের বিশেষ যত্নে প্রস্তুত ছবি (oil painting) যাহাতে কেশবকে ঠাকুর দেখাইতেছেন হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকল ধর্মের সমন্বয়। আর বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব ইত্যাদি সম্প্রদায়ের সমন্বয়।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    Electoral Bonds Scheme: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি! সিট গঠনের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতির (Electoral Bonds Scheme) খোঁজে তদন্তে সিট গঠনের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এর আগে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতের নজরদারিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করেছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

    কী জানিয়েছে শীর্ষ আদালত?  

    এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bonds Scheme) সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুবিধে পাওয়ার জন্য বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়েছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। তাই নির্বাচনী বন্ডে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তার তদন্ত হোক। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে এবার শীর্ষ আদলত বলেছে, ”নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া এবং নেওয়ার সময় তা ‘কুইড প্রো কো’ (কোনও কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া) বা ‘ক্ষতিকারক’ ছিল কি না, তা নিয়ে এখন তদন্ত হতে পারে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।”   

    আরও পড়ুন: ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    এর আগে কী হয়েছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বন্ড (Electoral Bonds Scheme) কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই জনস্বার্থ আবেদনে বলা হয়, মূলত তিন ধরনের লেনদেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রথমত, কাজের বরাত, লাইসেন্স, কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য অনুদান। এই সব কাজের বরাতের মূল্য অনেক ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। দ্বিতীয়ত, ইডি, আয়কর দফতর বা সিবিআইয়ের অভিযানের ঠিক আগে বন্ডে অনুদান দিয়েছে অনেক সংস্থা। অনেক ক্ষেত্রে অনুদানের বিনিময়ে ড্রাগ কন্ট্রোলারের মতো সংস্থা উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণের কাজ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, সংস্থার পক্ষে অনুকূল নীতি তৈরির জন্য বন্ডে অনুদান দিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। ফলে এই সমস্ত অভিযোগের ভত্তিতেই সিট গঠনের আবেদন জানিয়েছিল ওই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে, এদিন মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই আবেদন খারিজ করে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Factory in Bengal: বেকারত্বের করুণ ছবি! বাংলার ২১ লাখ শ্রমিক কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে

    Factory in Bengal: বেকারত্বের করুণ ছবি! বাংলার ২১ লাখ শ্রমিক কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমল থেকেই রাজ্যের মানুষের একটা বড় প্রশ্ন ছিল, শিল্প-কলকারখানা (Factory in Bengal) কোথায়? কোথায় বিনিয়োগ? কোথায় কাজ? রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান কবে হবে? উত্তর আর সামধান, কোনওটাই জোটেনি এই রাজ্যের মানুষের কপালে। বাম রাজত্বের পতনে মিলেছে শুধু বিরাট ঋণের বোঝা। রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর শাসক বদলে গেলেও বেকারত্বের (Unemploymen) হার কমেনি, বরং দিন দিন বেড়েছে। মানুষ পেটের দায়ে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হয়েছে। করোনার অতিমারির সময় সারা দেশে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সব থেকে বেশি ছিল। এই নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাক্যবাণে শোরগোল পড়েছিল।

    বেকারত্ব নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর (Factory in Bengal)

    রাজ্যে মা-মাটি সরকারের আমলে একাধিকবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হলেও দেখা যায়নি কোনও আশার আলো। সম্প্রতি তারাতলায় ব্রিটানিয়ার কারখানা (Factory in Bengal) বন্ধ হওয়ায় কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীদের আরও তোপের মুখে পড়তে হয় মমতার সরকারকে। রাজ্যের বিধানসভায় সম্প্রতি আইএসএফ বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে কতগুলি কলকাখানা বন্ধ আছে, কত শ্রমিক বর্তমানে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? এরপর যা তথ্য উঠে এল, তাতে ‘এগিয়ে বাংলা’ কতটা বলা যায়, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

    রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যেই ভয়বহ অবস্থা (Factory in Bengal)

    বিধানসভায় প্রশ্ন-উত্তর পর্বে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “২০২২-২৩ সালে রাজ্যে মোট ১৭১টি কারখানা (Factory in Bengal) বন্ধ ছিল, আর ২০২৩-২৪ সালে অর্থাৎ বর্তমানে রাজ্যের ১৬৯টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। ভিন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক রূপে কাজ করছেন মোট ২১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৩৭ জন শ্রমিক। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যায় কাজ করছেন মহারাষ্ট্রে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “কেরলের ধসের ঘটনায় রাজ্য থেকে যাওয়া ২৪২ জন শ্রমিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আটকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব তথ্য সরকারের দফতরে জমা রয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট লুটের বিরুদ্ধে ফের আদালতে বিজেপি, এবার সাংসদ দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের

    রাজ্য সরকার উত্তর দেয়নি

    রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “২১ লক্ষের বেশি এই শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র এক বছরে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালে কলকারখানা (Factory in Bengal) নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্যের মা মাটি সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। ওয়েনাড়ে কর্মরত বাংলার অনেক শ্রমিক (Unemploymen) এখনও আটকে রয়েছেন। এখনও সবার সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করতে পারেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সমাজবাদী পার্টিকে কোণঠাসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি জানিয়েছেন, আগের সরকারের তুলনায় এই বছর অপরাধের হার (Crime rate in UP) উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির (এসপি) একজন কর্মী, অনগ্রসর শ্রেণির ১২ বছর বয়সি একটি মেয়েকে ধর্ষণে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বুঝতে পারছি না এই সব কী।” 

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য (Yogi Adityanath)

    এ প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ আরও বলেছেন, ”গতকালই হারদোইতে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে ২৮টি মামলা রয়েছে। আমরা যদি এই ধরনের অপরাধীদের শাস্তি না দিই, তাহলে কি গলায় মালা দেব? এইসব মানুষেরা সমাজের ব্যাধি। সমাজ থেকে এদের না সরালে উত্তরপ্রদেশের অবস্থার উন্নতি করা কঠিন হয়ে পড়বে।” 

    আরও পড়ুন: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য প্রকাশ (Crime rate in UP) 

    মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের পরেই (Yogi Adityanath) ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (NCRB) তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ”২০১৬ সালে যখন রাজ্যে সমাজবাদী পার্টির সরকার ছিল, তার তুলনায় ২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ৮৬.৪৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ৭৮.১৭ শতাংশ, খুনের ঘটনা ৪৩.২১ শতাংশ, দাঙ্গা ৬৭.৪২ শতাংশ এবং অপহরণের ঘটনা ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।” এছাড়াও আদিত্যনাথ এদিন আরও জানান, নারীদের যৌতুকের হার ১৭.৪৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে ২৫.৩০ শতাংশ, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ১৬.৫৬ শতাংশ এবং অপহরণের ক্ষেত্রে ০.১৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। 
    ফলে এ তথ্য আবারও প্রমাণ করল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) আসার পর থেকে সমগ্র রাজ্যে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের গর্বের অন্যতম কারণ।  
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের কেন্দ্রে ভোট লুট নিয়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর, করলেন আরটিআই

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের কেন্দ্রে ভোট লুট নিয়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ শুভেন্দুর, করলেন আরটিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার লোকসভা নির্বাচনের ভোট পর্ব মিটতেই ডায়মন্ডহারবার (Diamond Harbour) কেন্দ্র নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাপক ভোট লুটের অভিযোগ ওঠে এই কেন্দ্রে। ৭ লাখেরও বেশি ভোটে জেতেন অভিষেক, এনিয়েই উঠতে থাকে প্রশ্ন। ডায়মন্ডহারবারে প্রায় ১০ লাখ ভোটের ছাপ্পা হয় বলে অভিযোগ। এবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার কাজে যে সকল পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার এবং কাউন্টিং স্টাফ  যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলের নাম, পরিচয় প্রকাশের দাবিতে জন্য আরটিআই-এর আবেদন দাখিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, আরটিআই-এর উত্তর এলেই প্রকাশ্যে আসবে শাসক দলের সঙ্গে ভোটকর্মীদের আঁতাতের বিষয়টি।

    জোড়াফুল ছাড়া ইভিএমে বাকি প্রতীক চিহ্নে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়

    প্রসঙ্গত ডায়মন্ডহারবারে (Diamond Harbour) ভোট লুট, ওয়েব ক্যামেরাগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, জোড়াফুল ছাড়া ইভিএমে বাকি প্রতীক চিহ্নে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া-এসবই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল হয়। একাধিক সংবাদমাধ্যম এনিয়ে খবরও করে। এবার আরটিআই-এর মোক্ষম চাল দিয়ে সরকারি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ভোট লুট করেছে শাসক দল, তা সর্বসমক্ষে আনতে চাইছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত আগেই ডায়মন্ডহারবারের নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করে আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এই আবহে তাঁর করা আরটিআই যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট 

    সমাজ মাধ্যমে নিজের আরটিআই করার বিষয়টি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আরটিআই-এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে ভোটকর্মীদের সম্পর্ক এবং নির্বাচনে তারা কী ভূমিকা পালন করেছিল তা সর্বসমক্ষে আসবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shravan Shivratri: আজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    Shravan Shivratri: আজ শ্রাবণ শিবরাত্রি, কীভাবে করবেন পুজো? কখন লাগছে তিথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার শ্রাবণ শিবরাত্রি (Shravan Shivratri)। প্রতি মাসেই একটি করে শিবরাত্রি আছে কিন্তু মহাশিবরাত্রি ছাড়াও শ্রাবণ শিবরাত্রি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় হিন্দু ধর্মে। কিংবদন্তি অনুসারে, এই দিনেই শিব-পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল। আবার এই দিনেই সমুদ্র মন্থনে ওঠা বিষ দেবাদিদেব মহাদেব পান করেছিলেন বলে ভক্তদের বিশ্বাস। এই দিনটি শিব-শক্তির মিলন হিসাবে পরিচিত। শ্রাবণ হল ভগবান শিবের প্রিয় মাস। শ্রাবণ শিবরাত্রিতে (Shravan Shivratri) দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করলে জীবন সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে যায় বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিনে পড়ে শ্রাবণ শিবরাত্রি (Shravan Shivratri)

    শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিনে পড়ে শ্রাবণ শিবরাত্রি। এই বছর শ্রাবণ শিবরাত্রি (Shravan Shivratri) আজ অর্থাৎ ২ অগাস্ট। ভগবান শিবকে জল নিবেদনের জন্য এই দিনটিকে সবচেয়ে বিশেষ বলে মনে করা হয়। শ্রাবণ কৃষ্ণ চতুর্দশী তারিখ ২ অগাস্ট ২০২৪ দুপুর ৩ টে ২৬ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৩ অগাস্ট  ২০২৪ দুপুর ৩ টে ৫০ মিনিটে শেষ হবে। গঙ্গার জল ভরে নিয়ে আসা ভক্তরা শ্রাবণ শিবরাত্রির দিনেই ভগবান শিবের জলাভিষেক করেন। কথিত আছে যে এর দ্বারা ব্যাক্তি মোক্ষ লাভ করেন।

    কীভাবে করবেন পুজো?

    শিবরাত্রিতে (শ্রাবণ শিবরাত্রি) চার প্রহর পুজো করতে হয়। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, প্রথমার্ধে দুধ, দ্বিতীয়ার্ধে দই, তৃতীয়ার্ধে ঘি এবং চতুর্থাংশে মধু দিয়ে পুজো করলে বিশেষ ফল মেলে। প্রতি পুজোতেই জল ব্যবহার করা উচিত, কারণ জল ভগবান শিবের খুব প্রিয় বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে শিব যখন সমুদ্র মন্থন থেকে বেরিয়ে আসা বিষ পান করেছিলেন, তখন কেবল জলের দ্বারাই তাঁর ব্যথা উপশম হয়। তাই শ্রাবণ মাসে যে ব্যক্তি মহাদেবকে (Lord Mahadev) জল নিবেদন করেন তাঁর সমস্ত কষ্ট ভোলেনাথ দূর করেন।

    শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিকে অহোরাত্রি কেন বলে?

    পুরাণে শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিকে (Shravan Shivratri) অহোরাত্রিও বলা হয়েছে। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের শিবরাত্রিতে ঘুমালে ভাগ্যও ঘুমিয়ে পড়ে। তাই এই শিবরাত্রিতে রাত্রি জাগরণ এবং শিব (Lord Mahadev) পুরাণের কাহিনি পাঠ করা উচিত ভক্তদের, এমনটাই জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা। এই বিশেষ দিনে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে পারেন। এর ফলে ভাগ্যোদয় হয় এবং পরিবারে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির আগমন ঘটে। রাত্রি জাগরণ করলে সমস্ত কষ্ট দূর হয়, পাশাপাশি মোক্ষ লাভ করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সৌরভকে ১ টাকায় ৩৫০ একর জমি লিজ! মমতাকে কাঠগড়ায় তুলে জনস্বার্থ মামলা

    Calcutta High Court: সৌরভকে ১ টাকায় ৩৫০ একর জমি লিজ! মমতাকে কাঠগড়ায় তুলে জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্পাত কারখানার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে  (Sourav Ganguly) জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এক টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য ৩৫০ একর জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। কেন বা কীভাবে ওই জমি সৌরভকে দিল রাজ্য তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। 

    কীসের ভিত্তিতে মামলা

    অতীতে পশ্চিম মেদিনীপুরে ‘ফিল্মসিটি’ তৈরির জন্য প্রয়াগ গোষ্ঠীকে ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য। ওই জমির জন্য এবং ‘ফিল্মসিটি’ প্রকল্পের কাজে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল প্রয়াগ গোষ্ঠী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ওই সংস্থার। আমানতকারীদের জমানো ২৭০০ কোটি টাকা ওই ‘ফিল্মসিটি’ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় সেই সময় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এসপি তালুকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এর পর আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর উদ্দেশ্যে রাজ্য ও প্রয়াগ গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায় ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরে সৌরভকে  (Sourav Ganguly) দেওয়া জমিও। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় মামলা। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শেখ মাসুদ নামে এক আমানতকারী।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা

     বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিই ফের হস্তান্তর

    আগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই কেন প্রয়াগ গোষ্ঠীর বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি আবার অন্যকে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। মামলাকারীর আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী আদালতে বলেন, “প্রয়াগ গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। সেই মতো ওই জমি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া উচিত।” কিন্তু তা না করে রাজ্য কী ভাবে সৌরভকে (Sourav Ganguly) কারখানা তৈরির জন্য এক টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য ওই জমি লিজে দিল? এর সঙ্গে কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের, তা নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share