Author: user

  • Daily Horoscope 01 August 2024: শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ, এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 August 2024: শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ, এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) কোনও ধর্মীয় কাজে দান করতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয়সঙ্কোচ করার ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন। 

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত কথা বলার জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে। 

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ২) বন্ধুরা আপনার পাশে দাঁড়াবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটতে পারে। 

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) শুভ কাজে বাধা পাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Midnapore: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী হাল! এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ মেদিনীপুর মেডিক্যালে

    Midnapore: স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী হাল! এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ মেদিনীপুর মেডিক্যালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একী অবস্থা! মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। আর সেটা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে  মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আর এই বিষয়টি জানাজানি হতেই মুখ পুড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

    এক সপ্তাহে ১২১ জন রোগী নিখোঁজ! (Midnapore)

    মেদিনীপুর (Midnapore) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। রোগীদের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেখার পরই রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা। কিন্ত,  বাস্তবে তা কিছুই হচ্ছে না। বরং, প্রতিদিন খাতায়কলমে বেড়ে চলেছে নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাত দিনে এই হাসপাতাল থেকে ১২১ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। বেশিরভাগই চিকিৎসাধীন ছিলেন পুরুষ বিভাগে। চলতি সপ্তাদের প্রথমদিন সোমবারই ২০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী সাফাই?

    এমনিতেই এই হাসপাতালের (Midnapore) পরিষেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ ছিল। এবার হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালের (Medical College) এক আধিকারিক বলেন, আসলে রোগীরা নিয়ম অনুযায়ী ছুটি না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে, আমাদের কাছে রোগীর তথ্য না থাকার কারণে আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে, নিরাপত্তারক্ষী থাকার পরও এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এর সমাধান হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের আমলে হাসপাতালের এই ঢিলেঢালা নিরাপত্তার অবস্থার কারণে মুখ পুড়েছে শাসক দলের। তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) শতাধিক রোগী নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি অন্যতম কারণ। আর এই হাসপাতালে চিকিৎসা হয় না বলেই রোগীরা পালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “কেন রোগীরা চলে যাচ্ছেন, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    RSS: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নামে রাজ্যসভায় কুকথা বরদাস্ত করলেন না রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) । বুধবার সংসদে মাল্লিকার্জুন খড়গে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামলালজী সুমনের বক্তব্যকে সমর্থন করলে পাল্টা ধনখড় বলেন, “আরএসএসের সমালোচনা যারা করছেন তাঁরা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন। আরএসএস দেশের সেবা করে। মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ ভাব নিয়ে কাজ করে। যারা দেশের কাজ করছেন, এমন সংগঠনের সমালোচনা করা সংবিধান বিরোধী। আরএসএসের মত সংগঠনের জন্য সকলের গর্ববোধ করা উচিত।

    সমাজবাদী সাংসদ রামলালজি সুমনের বক্তব্য (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম লালজি সুমন এনটিএ-র অধ্যক্ষের আরএসএসের (RSS) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন। তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শাসক দল সবসময় এটা দেখে যে ব্যক্তি পদে আছে, সে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত কি না। এর পাল্টা বক্তব্য রাখতে গিয়েই জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) আরএসএস-এর পক্ষে দাঁড়ান।

    কংগ্রেসের নেতাদের টার্গেট আরএসএস (RSS)

    এদিন রাজ্যসভায় স্পষ্টভাবে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বলেন, আরএসএসের (RSS)  নামে কুমন্তব্য করলে তা রেকর্ডে রাখা হবে না। প্রসঙ্গত এর আগেও মাল্লিকার্জুন খড়গের বিরুদ্ধে আরএসএস সম্পর্কে কুমন্তব্য করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব এর আগেও আরএসএস সম্পর্কে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে কুমন্তব্য করেছেন। এর আগে সংসদে মালিকার্জুন খড়গে বলেছিলেন, “আরএসএস এবং বিজেপি সম্মিলিতভাবে দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে ভেঙে ফেলার কাজ করছে।

    আরও পড়ুন: এসসি, এসটি, ওবিসি প্রশ্নে রাহুলকে ধুয়ে দিলেন নির্মলা

    পাল্টা সে সময় ধনখড় বলেন, “আরএসএস বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক সংস্থা, যারা মানব কল্যাণ এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে।” মল্লিকার্জুন খড়গের সেই মন্তব্যকে রেকর্ড থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Railline: বারাকপুর থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়েই ট্রেনে উঠতেন!

    Sealdah Railline: বারাকপুর থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়েই ট্রেনে উঠতেন!

    হরিহর ঘোষাল

    হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইন দিয়ে ১৮৫৪ সালেই ট্রেন চলাচল শুরু করে দিয়েছে রেল কোম্পানি। পরে, সেই রেলপথ বর্ধমান হয়ে রানিগঞ্জ পর্যন্ত চলে যায়। আর গঙ্গার পূর্ব পাড়ের বাসিন্দাদের নৌকা করে গঙ্গা পার হয়ে হেঁটে বেশ কিছুটা পথ গিয়ে সুযোগ মিলত ‘কু ঝিক ঝিক’ ট্রেনে চড়ার। মানে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই রেলগাড়ির দেখা মিলত। ফলে, গঙ্গার পূর্ব পাড়ের বাসিন্দাদের আক্ষেপ ছিল। তাই, গঙ্গার পূর্ব পাড়ে ট্রেন চালানো নিয়ে সেকালের জমিদার থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই বিভিন্ন জায়গায় দরবার শুরু করলেন। পূর্ব পাড় দিয়ে আদৌ রেলগাড়ি চলবে কি না, তা নিয়ে এই সব এলাকার মানুষের মধ্যে রাস্তাঘাটে জোর চর্চা হত। তবে, সেই আক্ষেপ বেশি দিন বয়ে বেড়াতে হয়নি। ১৮৫৭ সালে বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহ। ঠিক তার পরের বছর, ১৮৫৮ সাল নাগাদ গঙ্গার পূর্ব পাড়ে শিয়ালদা (Sealdah Station) থেকে রেলগাড়ি চালানোর জন্য রেলপথ বসানোর উদ্যোগ শুরু হয়।

    শিয়ালদা রেলপথ তৈরির আদি কথা (Sealdah Station)

    শিয়ালদা (Sealdah Station) থেকে কুষ্টিয়া (এখন বাংলাদেশে) পর্যন্ত ১০৯ মাইল রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও এখন এই রেলপথের অনেকটা অংশ বাংলাদেশের দিকে রয়েছে। এই দেশের রেলপথের শেষ স্টেশন গেদে। আর ওপারে রয়েছে দর্শনা স্টেশন। মৈত্রী এক্সপ্রেস এখন সেই পুরানো রেলপথ ধরে চলাচল করে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন রেলপথ তৈরির জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির চুক্তি হয়। রেলপথ পাতার জন্য ২০০ ফুট চওড়া জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের ১৪ এপ্রিল ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজের সিঙ্গল লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ১৮৬২ সালে শিয়ালদা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেনটি (Train) ছিল দু’কামরার। প্রথম শ্রেণির যাত্রীবাহী একটি কামরা ছিল। অন্যটি ছিল মালবাহী কামরা। ১৮৬২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্পেশাল ট্রেন শিয়ালদা থেকে কুষ্টিয়া যায়।

    প্যাসেঞ্জার ট্রেন কবে থেকে চালু হল?

    গঙ্গার পূর্বপাড়ে রেলগাড়ি চালু হওয়ার সময় শিয়ালদা (Sealdah Station) স্টেশনের নাম ছিল কলিকাতা। সেই সময়কার রেলওয়ে টাইম টেবিলের তথ্য সেই কথা বলছে। কলিকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করত। কলিকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করা শুরু করেছিল ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। প্রথম এই ট্রেনটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। আর ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও গেদের পর থেকে এখন বাকি অংশটি বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছে।

    ১৬০ বছর আগে শিয়ালদা মেন লাইনে কোন কোন স্টেশন ছিল?

    ১৬০ বছর আগে রেলগাড়ি চালু হওয়ার সময় বহু স্টেশনের কোনও চিহ্নমাত্র ছিল না। হাতে গোনা কয়েকটি স্টেশনের ওপর দিয়ে রেলগাড়ি ছুটত। সেই সময়কার নথি থেকে পাওয়া যায়, শিয়ালদা (Sealdah Station) বা কলিকাতার পর ছিল দমদমা স্টেশন। আসলে তখন দমদম নাম ছিল না, বলা হত দমদমা। তারপর বেলঘরিয়া, সোদপুর, বারাকপুর, ইছাপুর, শ্যামনগর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, মদনপুর, চাকদা, রানাঘাট। অন্যদিকে, এই সব স্টেশন বাদ দিলে উল্টোডাঙা, আগরপাড়া, খড়দা, টিটাগড়, পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, হালিশহর, কল্যাণী, শিমুরালি, পালপাড়া, পায়রাডাঙা-এই সব স্টেশনের কোনও চিহ্নমাত্র ছিল না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নতুন এই সব স্টেশনের অনুমোদন মিলেছে। আর রানাঘাট থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। রানাঘাটের পরের স্টেশন ছিল আড়ংঘাটা, বগুলা, কৃষ্ণগঞ্জ, মতিয়ারি, রামনগর, জয়রামপুর, চুয়াডাঙা, মুন্সিগঞ্জ, আলমডাঙা, হিলসিয়া, পোড়াদহ, জাগটি, কুষ্টিয়া।

    প্রথমে কত কামরার ট্রেন চালু হয়েছিল, কত ছিল ভাড়া?

    রেলগাড়ি চলাচল করার শুরুতে তিনটি কামরা থাকত-প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির। প্রথম শ্রেণির কামরায় শিয়ালদা থেকে দমদমের ভাড়া ছিল ৪ আনা। বেলঘরিয়া-৬আনা, সোদপুর-৯ আনা, বারাকপুর-১৪ আনা, ইছাপুর-১ টাকা ১ আনা। দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল দমদম-২ আনা, বারাকপুর-৬ আনা। তৃতীয় শ্রেণির কামরায় শিয়ালদা থেকে দমদম পর্যন্ত ১ আনা ভাড়া ছিল। আর বারাকপুর ছিল ৩ আনা ১০ পাই। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়ে ট্রেনে উঠতেন। সন্ধ্যা নামলেই গোরা সাহেবদের দাপাদাপির কারণে দেশিয় লোকজন ট্রেনে চড়তে ভয় পেতেন। এখন সবই ইতিহাস। এখন শিয়ালদার (Sealdah Station) এই লাইনে লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের ছড়াছড়ি। এখনও আদি রুট শিয়ালদা-গেদে লাইনে একাধিক লোকাল ট্রেন (Train) রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 91: “বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান”

    Ramakrishna 91: “বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    নবম পরিচ্ছেদ

    তস্মাদসক্তঃ সততং কার্যং কর্ম সমাচার

    অসক্তো হ্যাচরন্কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।।

    গীতা/১৯/

    পূর্বকথাশম্ভু মল্লিকের সহিত দানাদি কর্মকাণ্ডের কথা 

    কর্মযোগ (Kathamrita) বড় কঠিন। শাস্ত্রে যে-কর্ম করতে বলেছে, কালিকালে করা বড় কঠিন। অন্নগত প্রাণ। বেশি কর্ম চলে না। জ্বর হলে কবিরাজী চিকিৎসা করতে গেলে এদিকে রোগীর হয়ে যায়। বেশি দেরি সয় না। এখন ডি গুপ্ত! কলিযুগে ভক্তিযোগ, ভগবানের (Ramakrishna) নামগুণগান আর প্রার্থনা। ভক্তিযোগই যুগধর্ম। (ব্রাহ্মভক্তদের প্রতি) তোমাদেরও ভক্তিযোগ, তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান কর, তোমরা ধন্য! তোমাদের ভাবটি বেশ। বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা হরিনাম কর, মায়ের নামগুণগান কর, তোমার ধন্য! তোমাদের ভাবটি বেশ। বেদান্তবাদীদের মতো তোমরা জগৎকে স্বপ্নবৎ বল না। ওরূপ ব্রহ্মজ্ঞানী তোমরা নও, তোমরা ভক্ত। তোমরা ঈশ্বরকে ব্যক্তি (Person) বল, এও বেশ। তোমরা ভক্ত। ব্যাকুল হয়ে ডাকলে তাঁকে অবশ্য পাবে।    

    দশম পরিচ্ছেদ

    সুরেন্দ্রের বাড়ি নরেন্দ্র প্রভৃতি সঙ্গে

    জাহাজ কয়লাঘাটে এইবার ফিরিয়া আসিল। সকলে নামিবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন। ঘরের বাহিরে আসিয়া দেখেন, কোজাগরের পূর্ণচন্দ্র হাসিতেছেন, ভাগীরথী-বক্ষ কৌমুদির লীলাভূমি হইয়াছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের(Ramakrishna) জন্য গাড়ি আনিতে দেওয়া হইল। কিয়ৎক্ষণ পরে মাস্টার ও দু-একটি ভক্তের সহিত ঠাকুর গাড়িতে উঠিলেন। কেশবের ভ্রাতৃপুত্র নন্দলালও গাড়িতে উঠিলেন, ঠাকুর সঙ্গে খানিকটা যাবেন (Kathamrita)।

    গাড়িতে সকলে বসিলে পর ঠাকুর (Ramakrishna) জিজ্ঞাসা করিলেন, কই তিনি কই–অর্থাৎ কেশব কই? দেখিতে দেখিতে কেশব একাকী আসিয়া উপস্থিত। মুখে হাসি! আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কে কে এঁর সঙ্গে যাবে? সকলে গাড়িতে বসিলে পর, কেশব ভূমিষ্ঠ হইয়া ঠাকুরের পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরও সস্নহে সম্ভাষণ করিয়া বিদায় দিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “কর্ম ত্যাগ করবে কেন? ঈশ্বরের চিন্তা, তাঁর নামগুণগান, নিত্যকর্ম—এসব করতে হবে”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে, তবুও একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা ওয়েনাড় (Wayanad Landslide)। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে রাস্তা। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ঠিক যেন মৃত্যুপুরী। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও একবারের জন্যও এলাকা পরিদর্শন করেননি কংগ্রেস নেতা। 

    বাতিল রাহুলের ওয়েনাড় সফর (Rahul Gandhi)

    ৩১ জুলাই বিপর্যস্ত ওয়েনাড় সফরের (Wayanad Landslide) কথা ছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। কিন্তু এখনও এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে ওয়েনাড়ে। আবহাওয়ার পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। এই পরিস্থিতিতে বিমান বা কপ্টার নামতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারপরেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর রাহুলের এই সফর বাতিলের পরেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

    আরও পড়ুন: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট রাহুল গান্ধীর

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা ওয়েনাড়ে যাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতির (Wayanad Landslide) উপর নজর রাখছেন তাঁরা। যাবতীয় সাহায্যের কাজও করা হবে। এই কঠিন সময়ে ওয়েনাড়ের জনগণের সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে ধসের ধ্বংসলীলা (Wayanad Landslide)। কেরলের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যু সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ প্রায় শতাধিক। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। সেনাবাহিনীর সঙ্গেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। তবে বারবার প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এরইমধ্যে ত্রাণ তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজেপি ও আরএসএস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rekha Patra: রেখা পাত্রের আবেদন শুনল হাইকোর্ট, বসিরহাট নির্বাচনের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    Rekha Patra: রেখা পাত্রের আবেদন শুনল হাইকোর্ট, বসিরহাট নির্বাচনের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের (Rekha Patra) আবেদন শুনল কলকাতা হাইকোর্ট। বসিরহাট লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিয়েছে আদালত। লোকসভা ভোটের ফলাফলকে নিয়ে আগেই ইলেকশন পিটিশেন দায়ের করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূল ব্যাপক ছাপ্পা এবং কারচুপি করেছে। সেই মামলার (Calcutta High Court) শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও ইভিএম, ব্যালট, সিসিটিভি, ডিভিআর এবং নির্বাচনী সমস্ত কাগজপত্র সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির চমক ছিল রেখা পাত্র (Rekha Patra)

    এই বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রার্থী ছিলেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী চরিত্র রেখা পাত্র। তাঁকে বসিরহাট লোকসভায় টিকিট দিয়ে নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনকে একটি ব্যাপক মাত্রা দিয়েছিল বিজেপি। তবে ভোটের দিন এলাকায় পুলিশ ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন রেখা। ফলাফলে দেখা যায় তৃণমূলের থেকে তিন লাখের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। কিন্তু সন্দেশখালি বিধানসভায় বাজিমাত করেছিলেন তিনি। আবার বিজেপির তরফ থেকে কোচবিহারের পরাজিত নিশীথ প্রামাণিক, ঘাটালে পরাজিত হিরণ চট্টোপাধ্যায়, আরামবাগে পরাজিত অরূপকান্তি দিগার এবং ডায়মন্ডহারবারের পরাজিত অভিজিৎ দাস ববি প্রত্যেকে মামলা দায়ের করেছেন হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এই কেন্দ্রগুলি মিলিয়ে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মোট ৫টি মামলা আদালতে করেছে বিজেপি। প্রার্থীদের প্রত্যেকের অভিযোগ ছিল, ভোটে কারচুপি হয়েছে। তৃণমূল ব্যাপক ভাবে ছাপ্পা এবং ইভিএম বদল করেছে। তাই এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট বাতিলের দাবি বিজেপির।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতার রাইস মিলই রেশন দুর্নীতির আখড়া! বাজেয়াপ্ত খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি

    পাঁচ পৃথক বিচারপতির এজলাসে মামলা

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিজেপির ইলেকশন পিটিশন জমা হওয়ার পরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, পাঁচটি মামলা পাঁচ পৃথক বিচারপতির এজলাসে পাঠিয়েছিলেন। এর মধ্যে রেখার (Rekha Patra) মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাওয়ের এজলাসে। এই মামলায় বুধবার সব পক্ষকে নোটিশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হল মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: অপচয় বন্ধে অভিনব উদ্যোগ রেলের! হাওড়া স্টেশনের ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কর্মযজ্ঞ

    Howrah Station: অপচয় বন্ধে অভিনব উদ্যোগ রেলের! হাওড়া স্টেশনের ছাদে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কর্মযজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী ওঠানামা করেন। স্টেশন জুড়েই রয়েছে বিশাল ছাদ। সেই ছাদের মধ্যে কী কর্মকাণ্ড চলে, তা সিংহভাগ যাত্রীই জানেন না। মূলত, জলের অপচয় বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রেল (Rail) দফতর। বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ করে তা পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক ফোঁটা জলও পরিবেশের জন্য মূল্যবান। তাই বৃষ্টির জল বাঁচাতে হাওড়া স্টেশনে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। বৃষ্টির জল এক ফোঁটাও নষ্ট করা যাবে না, এটাই রেলের অঙ্গীকার। রেলের এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে সকলে।

    কীভাবে বৃষ্টির জল বাঁচানো হচ্ছে? (Howrah Station)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) মোট ছাদের এলাকা ৭৮৮৩১.৬০ বর্গমিটার। আর এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৬৪.৯৫০ মিমি। স্টেশনের আশপাশের এলাকায় মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় ৯৭৫২৪.৫৪ ঘনমিটার। এই বিশাল পরিমাণ বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহার করে জল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বছরে মোট ৭৩ লক্ষ লিটার বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়। হাওড়া স্টেশনের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনে কনস্ট্রাকশন পিট নির্মাণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে পিভিসি ট্যাঙ্কে পাথর ও বালি ভরাট করে বৃষ্টির জল প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত করা হয়।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে কী করা হয়?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ৯০ শতাংশ এলাকা ছাউনি ও ছাদ দিয়ে ঢাকা রয়েছে, যা বৃষ্টির জল সংগ্রহের জন্য উপযোগী। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে পরিশোধনের পর সেই জল প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বর ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, স্টেশনে নতুন জল ব্যবহার না করে শুধুমাত্র পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করা হয়। ফলে, জলের অপচয় কমানো যায়। এই জল সংরক্ষণের ফলে স্টেশন প্রাঙ্গণে নতুন জলের ব্যবহার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। স্টেশন চত্বরে জলের অপচয় রোধ করা হচ্ছে। বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    রেল (Rail) আধিকারিকদের বক্তব্য, এই স্টেশনে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগটি পরিবেশ কল্যাণের উদাহরণ। এটি জল সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    Uttar Pradesh: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই এক হিন্দু কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার শ্রমিক দিলশাদের বিরুদ্ধে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁকে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করতে চায় বলেও জানিয়েছিল দিলশাদ। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বেরিলির ওই ঘটনায় তোলপাড় দেশ। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে উদ্যোগী হল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

    লাভ জিহাদের ক্ষেত্রে সাজা (Uttar Pradesh)

    এবার লাভ জিহাদের (Love Jihad Law) মতো ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব যোগী সরকারের। বিধানসভায় সরকার নিয়ে আসে ‘বেআইনি ধর্মান্তকরণ সংশোধনী আইন’ বিল, ২০২৪। বর্তমান বেআইনি ধর্মান্তকরণ আইন ২০২১-এর অধীনে থাকা একাধিক বিধি সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই বিলে। সংশোধনী বিলের প্রস্তাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির প্রস্তাবও রয়েছে। প্রথমবার লাভ জিহাদের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চায় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।

    কী বলছে সরকার?

    প্রস্তাবিত বিলে দশ বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। কঠোর করা হয়েছে জামিন পাওয়ার রাস্তাও। রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই ধরনের ঘটনায় যে কোনও কাউকে অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২ অগাস্ট বিলটি বিধানসভায় পাশ করাতে চায় যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, “এই সিদ্ধান্তকে সকলেরই স্বাগত জানানো উচিত।”

    ইউ-টার্ন মলদ্বীপের, ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান ফেলে দ্বীপরাষ্ট্রের গলায় ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়া’!

    বিজেপি নেতা মহসিন রাজা বলেন, “আইনটি সংশোধন করা হলে এটি অবৈধ ধর্মান্তর মোকাবিলায় ব্যাবকভাবে সাহায্য করবে। কারণ অনেক লাভ জেহাদের ঘটনা সামনে আসছে, যেখানে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে মেয়েকে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “কেউ যদি মিথ্যে পরিচয় দিয়ে কোনও মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করে, তাহলে অপরাধীকে কেন জবাবদিহি করতে হবে না? একজন প্রতারক যদি তার পরিচয় গোপন করে ও বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যে কোনও মেয়েকে বিয়ে করে, তাহলে কেন এমন লোকদের আইনের আওতায় আনা যাবে না?”

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পাশ হওয়া আইনে এই জাতীয় অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ ছিল ১০ বছর। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা (Uttar Pradesh)। প্রস্তাবিত নয়া বিলে সাজার মেয়াদ এবং অপরাধের পরিধি, দুটোই বাড়ানো হয়েছে (Love Jihad law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে টি-২০ সিরিজে চ্যাম্পিয়ন ভারত  

    India vs Sri Lanka: শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে টি-২০ সিরিজে চ্যাম্পিয়ন ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ (India vs Sri Lanka) জিতে গিয়েছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচ (T20 Series) ছিল কার্যত নিয়ম রক্ষার। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে হতশ্রী পারফরম্যান্স হয় ভারতের। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের মোট রান হয় ১৩৭। প্রথম দিকে ভালই শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শেষ অবধি ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে মাত্র ২ রান হয় শ্রীলঙ্কার। প্রথম বলেই চার মেরে ভারতকে জয় এনে দেন সূর্যকুমার যাদব। প্রায় জিতে যাওয়ার ম্যাচ হাতছাড়া করে সিংহলিরা।

    নিয়মিত ব্যবধানে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উইকেট পতন (India vs Sri Lanka)

    টসে জিতে সিরিজ (India vs Sri Lanka) ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট পতন হয় ভারতের। সহ অধিনায়ক শুভমন গিল ছাড়া কোনও প্রথম সারির ব্যাটসম্যান রান পাননি এদিন। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও ৮ রান করে আউট হয়ে যান।  যশস্বী জয়সওয়াল (৯ বলে ১০), রিঙ্কু (২ বলে ১) পর পর আউট হয়ে যান। সুযোগ পেয়েও টানা দুই ম্যাচে রান করতে পারেননি সঞ্জু স্যামসন (৪ বলে শূন্য)। দলকে ভরসা জোগাতে পারেনি শিবম দুবেও। ১৩ রান করে আউট হয়ে যান দুবে। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ২২ গজের এক দিক আগলে রেখেছিলেন শুধু শুভমন গিল। জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ভাবে খেললেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ভারতের বোলারেরা তাঁদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেনি। প্রথম উইকেটের জুটিতে নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস ৫৮ রান তোলেন। নিশাঙ্কা করেন ২৭ বলে ২৬ রান।

    আরও পড়ুন: সিমেন্ট সংস্থার কর্তৃত্ব হারালেও শ্রীনিবাসনের হাতেই থাকছে চেন্নাই সুপার কিংস

    ৫টি চার আসে তাঁর ব্যাট থেকে। মেন্ডিসের অবদান ৪১ বলে ৪৩। ৩টি চার মারেন তিনি। নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন কুশল। তিনি ৩৪ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার। হাসরঙ্গ (৪ বলে ৩) এবং আসালঙ্কা (শূন্য)। 

    সুপার ওভারে জয় (T20 Series)

    পর পর আউট হওয়ায় শেষ দিকে চাপ বাড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। ১৮ তম ওভারে জঘন্য বল করে শ্রীলঙ্কাকে সিরিজ (India vs Sri Lanka) সুবিধাজনক জায়গা পৌঁছে দেন ভারতের খলিল আহমেদ। পাঁচটি ওয়াইড করলেন তিনি। ভারতের সফলতম বোলার রিঙ্কু সিং ৩ রানে ২ উইকেট নেন। ১৯ তম ওভারে বল করতে এসে ভারতকে আবার লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন তিনি। শেষ ওভারে বল করতে এসে ৫ রানে ২ উইকেট নেন সূর্যকুমারও। ওয়াশিংটন ২৩ রানে ২ উইকেট নিলেন। রবি বিষ্ণোই ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ টাই হওয়ায় লড়াই গড়ায় সুপার ওভারে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share