Author: user

  • Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    Ramakrishna 88: “কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ  কথোপকথন

    সপ্তম পরিচ্ছেদ

    সংনিয়ম্যেন্দ্রিনিদ্রয়গ্রামং সর্বত্র সমবুদ্ধয়ঃ।

    তে প্রাপনুবন্তি মামেব সর্বভূতিহিতে রতাঃ।।

    গীতা- ১২/৪/

    শ্রীযুক্ত কেশব সেনের সহিত নৌকাবিহার—সর্বভূতহিতে রতাঃ

    ভাট পড়িয়াছে। আগ্নেয়পোত কলিকাতাভিমুখে দ্রুতিগতিতে চলিতেছে। তাই পোল পার হইয়া কোম্পানির বাগানের দিকে আরও খানিকটা বেড়াইয়া আসিতে কাপ্তেনকে হুকুম (Kathamrita) হইয়াছে। কতদূর জাহাজ গিয়াছিল, অনেকেরই জ্ঞান নাই—তাঁহার মগ্ন হইয়া শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কথা শুনিতেছেন। কোন দিক দিয়া সময় যাইতেছে, হুঁশ নাই।

    এইবার মুড়ি নারকেল খাওয়া হইতেছে। সকলেই কিছু কিছু কোঁচড়ে লইলেন ও খাইতেছেন। আনন্দের হাট। কেশব মুড়ি আয়োজন করে এনেছেন। এই অবসরে ঠাকুর দেখিলেন বিজয় ও কেশব দুইজনেই সঙ্কুচিতভাবে বসিয়া আছেন। তখন ঠাকুর যেন দুইজন অবোধ ছেলেকে ভাব করিয়া দিবেন। সর্বভূতহিতে রতাঃ

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেশবের প্রতি)—ওগো! এই বিজয় এসেছেন। তোমাদের ঝগড়া-বিবাদ—যেন শিব ও রামের যুদ্ধ। (হাস্য) রামের গুরু শিব। যুদ্ধও হল, দুজনে ভাবও হল। কিন্তু শিবের ভূতপ্রেতগুলো আর রামের বানরগুলো ওদের ঝগড়া কিচকিচ আর মেটে না! (উচ্চ হাস্য)

    আপনার লোক তা এরূপ থাকে। লব কুশ জে রামের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। আবার জানো মায়ে-ঝিয়ে আলাদা মঙ্গলবার করে। মার মঙ্গল, আর মেয়ের মঙ্গল যেন দুটো আলাদা। কিন্তু এর মঙ্গলে ওর মঙ্গল হয়, ওর মঙ্গলে এর মঙ্গল হয়। তেমনি তোমাদের এর একটি সমাজ আছে। আবার ওর একটি দরকার। (সকলের হাস্য) তবে এ-সব চাই। যদি বল ভগবান নিজে লীলা (Kathamrita) করেছেন, সেখানে জটিলে-কুটিলে কি দরকার? জটিলে-কুটিলে না থাকলে লীলা পোষ্টাই হয় না! (সকলের হাস্য) জটিলে-কুটিলে না থাকলে রগড় হয় না। (উচ্চহাস্য)

    রামানুজ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী। তাঁর গুরু ছিলেন অদ্বৈত্যবাদী। শেষে দুজনে অমিল। গুরুশিষ্য (Ramakrishna) পরস্পর মত খণ্ডন করতে লাগল। এরূপ হয়েই থাকে। যাই হোক, তবু আপনার লোক।

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    পিতাহসি লোকস্য চরাচরস্য ত্বমস্য পূজ্যশ্চ গুরুর্গরীয়ান্‌।

    ন ত্বৎসমোহস্ত্যভ্যধিকঃ কুতোহন্যো, লোকত্রয়েহপ্যপ্রতিমপ্রভাব।।

    গীতা—১১/৪৩/

    কেশবকে শিক্ষা—গুরুগিরি ও ব্রাহ্মসমাজে—গুরু এক সচ্চিদানন্দ

    সকলে আনন্দ করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) কেশবকে বলিতেছেন, তুমি প্রকৃতি দেখে শিষ্য কর না, তাই এইরূপ ভেঙে ভেঙে যায়।

    মানুষগুলি দেখতে সব একরকম, কিন্তু ভিন্ন প্রকৃতি। কারু ভিতর সত্ত্বগুণ বেশি, কারু রজোগুণ বেশি, কারু তমোগুণ। পুলিগুলি দেখতে সব একরকম। কিন্তু কারু ভিতর ক্ষীরের পোর, কারু ভিতর নারিকেলের ছাঁই, কারু ভিতর কলায়ের পোর। (সকলের হাস্য) ভিন্ন প্রকৃতি।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat: “ভেঙে দিলেও আবারও বসব”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে হুঁশিয়ারি দিলেন হকাররা

    Barasat: “ভেঙে দিলেও আবারও বসব”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে হুঁশিয়ারি দিলেন হকাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও হকার উচ্ছেদ শুরু হল উত্তর ২৪ পরগনার (Barasat) বারাসতে। শনিবার কোর্ট চত্বরে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হল রাস্তার পাশে ফুটপাতে তৈরি হওয়া  প্রায় ৮০টি দোকান। কান্নায় ভেঙে পড়লেন হকাররা। উচ্ছেদ হওয়া হকাররা (Hawker) প্রকাশ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    ভেঙে দিলেও আবারও বসব (Barasat)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ। যারা মূলত বেআইনিভাবে রাস্তার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন, তাঁদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য প্রথমে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পরে, তা থেমে যায়। হকারদের আশা ছিল, আর ভাঙা হবে না। এদিন সকালেই বারাসতের (Barasat) কোর্ট চত্বরে বুলডোজার নিয়ে এসে দোকান ভাঙা শুরু হয়। পুরসভার কর্মী, কাউন্সিলরদের পাশাপাশি বারাসত থানার পুলিশ কর্মীরা ছিলেন। স্বপন হালদার নামে এক হকার বলেন, আগেই দোকান ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু, ভাঙেনি। আমরা ভেবেছিলাম, দোকানে আর হাত পড়বে না। আমি নিজে তৃণমূল করি। এখানে অনেকেই আমার সঙ্গে ২১ জুলাইয়ের মিটিংয়ে গিয়েছিল। মিটিং শেষ হয়ে গেল। আর আমাদের কথা ভাবল না। দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। এখানেই ফের দোকান করব। রূপা মজুমদার নামে আর এক হকার বলেন, ২৫ বছর ধরে দোকান করছি। কিছুদিন আগেই পুরসভার কর্মীরা এসে তথ্য নিয়ে গেল। আমরা ভেবেছিলাম, আর ভাঙা হবে না। কিন্তু, এদিন সব শেষ করে দিল। আমরা মেনে নেব না। আমি এখানে আবার বসব।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

     পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে বারাসত (Barasat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ” জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতদিন আগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো এদিন দোকান ভাঙা হয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই। ওপর থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশ দিচ্ছে, আমরা তা শুধু পালন করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    Weather Update: উত্তাল সমুদ্র! বইছে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের উপর ঝোড়ো হাওয়া বইছে। নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাব এখনও কাটেনি। সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও ২৪ ঘণ্টা এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্নচাপটি ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির (Heavy rain) সম্ভাবনা রয়েছে।

    আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Weather Update)

    বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। শনিবার থেকে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিসের তরফে কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সর্তকতাও জারি করা হয়নি। তবে বৃষ্টি চলবে সর্বত্র। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একাধিক জেলায় আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি (Heavy rain) হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা

    একই ভাবে বৃষ্টি (Weather Update) চলবে উত্তরবঙ্গেও। সেখানে অবশ্য দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে আর কোথাও তেমন ভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    আবহওয়া দফতর সূত্রে খবর

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গপোসাগরের উপরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংগলগ্ন এলাকায় ঝড়ো (Weather Update) হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি হবে। তবে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারেও পৌঁছাতে পারে। সমুদ্রের পরিস্থিতি এখন উত্তাল। সেই জন্য আপাতত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।

    শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি কম। শনিবার দিনেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Biswanth Chowdhury: ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    Biswanth Chowdhury: ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্ৰাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল ও জেলাবাসী শোকাহত। জেলার এক রাজনৈতিক যুগের অবসান ঘটল বলে রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করছেন।

    টানা সাত বারের বিধায়ক

    বাম আমলের মন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ। টানা সাত বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৩৪ বছরের বাম শাসনকালের মধ্যে প্রায় আড়াই দশক ধরে মন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের কারা ও সমাজকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে প্রথম বার বিধায়ক হন বিশ্বনাথ। ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বালুরঘাটের একটি হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েকমাস আগে বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী মারা যান। তারপর গত কয়েকদিন আগে তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অসুস্থ থাকার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে

    এই বিষয়ে বামফ্রন্টের নেতা তথা বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর দত্ত বলেন, বিশ্বনাথদার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি আমাদের দলের এক অন্যতম মুখ ছিলেন। এই জেলার প্রতি তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কলকাতা থেকে বালুরঘাটে তাঁর নিজের বাড়িতে মরদেহ আনার ব্যাবস্থা চলছে। এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, বিশ্বনাথবাবু একজন বর্ষীয়ান নেতা, তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, রাজনৈতিক মহলে এক বড় নক্ষত্রের পতন হল। তিনি অন্য দলের হলেও তিনি তো আমাদের বালুরঘাট শহরের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন।

    বালুরঘাটবাসী কী বললেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের (Balurghat) বাসিন্দারা বলেন, বিশ্বনাথবাবু আমাদের বালুরঘাটের এক অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বালুরঘাটের প্রতি তাঁর অবদানের কথা আমরা কোনওদিন ভুলব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্টে ইউক্রেন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। তারপর এই প্রথম কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অগাস্টেই রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই মাসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করে ইউক্রেনও। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁকে আমন্ত্রণ জানায় ইউক্রেনও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই কিভ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি! (PM Modi)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দাঁড়ি টানতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েও সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জড়িয়ে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। ২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। কূটনৈতিক কৌশলেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

    বাতাসে বারুদের গন্ধ

    জুন মাসে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোদি। ইতালির ওই সম্মেলনে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেছিলেন মোদি। জাপানেও একান্তে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। ফোনেও কথা হয়েছে একাধিকবার। প্রত্যেকবারই উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তার পরেও যুদ্ধ চলছেই। মোদি-জেলেনস্কির এহেন কথোপকথনের আগে কিন্তু মোদি-পুতিনের আলিঙ্গনের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    জেলেনস্কি বলেছিলেন, “বৃহত্তম গণতন্ত্রের (PM Modi) প্রধানমন্ত্রী একজন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে এটা বিরাট একটা ধাক্কা।” উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, “আমরা ভারতকে বলছি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

    চলতি মাসেই ভারত-ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। ১৯ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনা (Russia Ukraine War) হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope 27 july 2024: এই রাশির জাতকদের বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

    Daily Horoscope 27 july 2024: এই রাশির জাতকদের বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন। 

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। 

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটা।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে। 

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ। 

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে। 

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organic Farming: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    Organic Farming: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষি কাজে কীটনাশকের ব্যবহার ভাবিয়ে তোলে দিল্লি এনসিআর-এর এমবিএ গ্র্য়াজুয়েট দীপক সবরওয়ালকে (Deepak Sabharwal)। কিভাবে এই কীটনাশক মাটি এবং ফসলকে বিষাক্ত করে তুলছে এবং প্রতিনিয়ত মানুষ তা খাচ্ছেন, এনিয়ে ভাবতে থাকেন দীপক। এরপরেই তিনি মনস্থির করেন যে তিনি জৈব চাষ (Organic Farming) শুরু করবেন। নিজের ভাবনাতে জৈব চাষ শুরু করে ২০২৩-২০২৪ আর্থিকবর্ষে তিনি ৪ কোটি টাকা আয় করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ২১ একর জমিতে জৈব চাষ (Organic Farming) শুরু করেন

    ৪৮ বছর বয়সি দীপক সবরওয়াল ২১ একর জমিতে জৈব চাষ শুরু করেন এবং উৎপাদিত ফসলকে দিল্লি-এনসিআরে বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন। জৈব চাষকে আরও প্রচারের আলোয় আনার জন্য ২০১৭ সালে তিনি শুরু করেন আর্থি টেলস (Earthy Tales)। সাক্ষাৎকারে দীপক জানিয়েছেন, সারাদেশে পাঁচশোরও বেশি কৃষকের সঙ্গে কাজ করে তাঁর সংস্থা। এর পাশাপাশি ১৫ হাজারেরও বেশি উপভোক্তা রয়েছে তাঁর সংস্থার।

    জেনারেল ইলেকট্রিক দফতরে চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি

    জৈব চাষ (Organic Farming) সম্পর্কে জানার জন্য জেনারেল ইলেকট্রিক দফতরে চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি এবং মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ ও রাজস্থানে কৃষকদের সঙ্গে ঘুরতে থাকেন। তাঁদের চাষ পদ্ধতিকে দেখতে থাকেন। এভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। তারপরেই তিনি জৈব চাষে নিজেকে নিয়োগ করেন। মহারাষ্ট্রে বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের জৈব চাষের পদ্ধতি দেখে দীপক (Deepak Sabharwal) বুঝতে পারেন যে জৈব চাষ আসলে কী! প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষের সবুজ বিপ্লবের আগে কৃষকরা মূলত জৈব চাষের মাধ্যমেই ফসল উৎপাদন করতেন। সাধারণত জৈব চাষের জন্য মাটি পুনরায় তৈরি করতে হয় যে জমিগুলোতে আগে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।

    আমরা একজন কৃষকের সেরা বন্ধু হতে চাই 

    এক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমকে দীপক বলেন, ‘‘রাসায়নিকগুলি কয়েক দশক ধরে একই জমিতে ব্যবহার করলে সেই জমির মাটি তাতেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। জৈব চাষে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মাটির ওপর লক্ষ্য রাখা।’’ জৈব চাষে (Organic Farming) ব্যবহার করা হয় গোবর সারে। প্রসঙ্গত, জৈব চাষে এটা মনে করা হয় যে কীটপতঙ্গ চাষেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তা ফসলের সঙ্গে সহবস্থান করতে পারে। প্রতি সপ্তাহে দুবার দীপক পণ্য সরবরাহ করেন। দিল্লি এনসিআর ও অন্যান্য ১১ টি শহরে এই পণ্য সরবরাহ করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা একজন কৃষকের সেরা বন্ধু হতে চাই।’’
     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা

    BJP Protest: “অন্য ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের”, ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় বিধানসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে তুলকালাম বিধানসভায়। ফিরহাদের ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় ‘অন্য ধর্মের মানুষের দুর্ভাগ্য’ ও ‘ধর্মান্তকরন’ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে তুলকালাম হয়ে যায়। ওই ভিডিও-তে শোনা যায়, একটি অনুষ্ঠানে ইসলাম নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। তাতেই শোনা যায় ধর্মান্তকরণের প্রসঙ্গ, দাবি বিজেপির। ইতিমধ্যেই ফিরহাদের মন্তব্য নিয়ে তুঙ্গে তরজা। সমাজমাধ্যমে এবং মিডিয়ার তুলকালামের আঁচ এসে পড়ল বিধানসভায়। শুক্রবার, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তোলে বিজেপি।  গীতা হাতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিক্ষোভ (BJP Protest) প্রদর্শন করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। 

    ফিরহাদের বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় (BJP Protest)

    বিজেপির দাবি, ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে  ইসলাম সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধর্মান্তকরণে উৎসাহ দেন। তিনি বলেন, “ভিন্ন ধর্মে জন্মানো দুর্ভাগ্যের।”  ফিরহাদকে ওই ভাইরাল ভিডিও-য় বলতে শোনা যায় ,  “আমরা নিজেরা মুসলিম। মুসলিম ঘরে জন্মেছি, বড় হয়েছি আমাদের নমাজ, আদব-কায়দা বেশিরভাগই মানুষের জানা। কিন্তু যারা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে, যারা ইসলাম নিয়ে জন্মায়নি।” এই মন্তব্যের পর ফিরহাদ হাকিমকে ক্ষমা চাইতে হবে এই দাবি ওঠে। যদিও তাঁর মন্তব্য, সাম্প্রদায়িক নয় বলে দাবি করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ” এটা বিতর্কিত মন্তব্য নয়। আমি একজন সেক্যুলার মানুষ। নিজ ধর্ম পালন করি। অন্য ধর্মেকে সম্মান দিই। দুর্গাপুজোর আয়োজনে অংশ নিই। এটা বিজেপির চক্রান্ত।” এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি গিয়ে দেখা করার পর এক সাংবাদিক তাঁকে এনিয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি জানেন না বলে জানান। এবং বষয়টি ফিরহাদের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে এড়িয়ে যান।

    বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভ

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন অধিকারী বলেন, “ফিরহাদ হাকিমের কোনও অধিকার নেই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্শি, শিখদের অপমান করার। স্পিকারকে বলেছিলাম, ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। ফিরহাদ হাকিমকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করতে হবে। নইলে আমরা বাংলা জুড়ে আন্দোলন করব।” শুক্রবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনে ফিরহাদের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার দাবি জানায় বিজেপি। যদিও তাতে অনুমোদন দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন

    এর পর বিধানসভা কক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরেও গীতা হাতে বিক্ষোভ (BJP Protest) দেখান তাঁরা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CESC Abhiyan: ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবি! সিইএসসিকে চরম সময়সীমা বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    CESC Abhiyan: ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবি! সিইএসসিকে চরম সময়সীমা বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সিইএসসিকে (CESC Abhiyan) চরম সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘সিইএসসি থেকে নির্বাচনী বন্ডে টাকা নিয়েছে তৃণমূল এবং সেই টাকা তুলতেই জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।’’ শুক্রবারে কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সিইএসসি দফতরের কাছে ঊর্ধ্বমুখী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্না কর্মসূচি করে রাজ্য বিজেপি। ধর্নায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এই বিক্ষোভ (CESC Abhiyan) থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। তার মধ্যে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল না কমালে কীভাবে প্রত্যাহার করাতে হয় বিজেপি জানে!’’

    শুক্রবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চড়ালেন সুর শুভেন্দু অধিকারী

    এরপরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘অগাস্ট মাসে সিইএসসি এলাকায় (CESC Abhiyan) সাক্ষর অভিযান করুন। তারপর প্রত্যাহার না করলে আবার আদালতের অনুমতি নিয়ে একদিন ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ নয়, সোম থেকে শুক্র টানা ৫ দিন লাগাতার বিক্ষোভ করব।’’ শুক্রবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চড়ালেন সুর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বললেন, ‘‘১৫ দিন আগে আমাদের প্রতিনিধি এই বিল্ডিংয়ে এসে বলেছিলেন প্রত্যাহার করার কথা। সিইএসসি তৃণমূলের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়েই বিদ্যুতের বিল বাড়িয়েছে। এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে শুধু মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ফুটো সরকার, দেউলিয়া সরকার পেট্রোল, ডিজেলে টাকা বাড়িয়েছে, ইলেকট্রিকের ট্যারিফ বাড়িয়েছে।’’

    প্রয়োজন হলে আবার আদালতের অনুমতি নিয়ে লাগাতার ৫ দিন এখানে বিক্ষোভ করব 

    বিরোধী দলনেতার আরও সংযোজন, ‘‘প্রয়োজন হলে আবার আদালতের অনুমতি নিয়ে লাগাতার ৫ দিন এখানে বিক্ষোভ করব। ১৫ অগস্ট পর্যন্ত সিইএসসিকে (CESC Abhiyan) সময় দিলাম। মডেল ইলেকট্রিক অ্যাক্ট চালু হয়ে গেলে বুঝতে পারবে! মনোপলি ব্যবসার বীজ বপন করেছিল সিপিএম। ৪০০ কোটিতে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল।’’ এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে এনিয়ে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিদ্যুৎমন্ত্রীকে বলেছি। উনি কথা দিয়েছেন, মডেল ইলেকট্রিক বিল শীঘ্রই পাস হয়ে যাবে। তখন আর রাজ্যের এই মনোপলি ব্যবসা চলবে না।’’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে ডিআর লটারির কাছ থেকে ৬০০ কোটি আর হলদিয়া এনার্জির নাম করে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে আরেকটা পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’

    পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় (CESC Abhiyan) মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে

    এদিনের সভায় হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা তাপস রায়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এক মাসে  বাড়িতে ২০ হাজার ৪০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। পুরো মনগড়া বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হচ্ছে। এই জিনিস মেনে নেওয়া যায় না।’’ রাজ্যজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে ধর্নার জন্য পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। গত শুক্রবারই ওই মামলায় শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু অধিকারীদের কর্মসূচি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। প্রসঙ্গত, এদিন দুপুর আড়াইটের পর মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের হয়ে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সিইএসসি অফিসের সামনে এসে পৌঁছয়। তমোঘ্ন ঘোষ, সজল ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, রাহুল সিনহা, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়রা হাজির ছিলেন এদিনের কর্মসূচিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Potato Price: ধর্মঘট উঠলেও দাম কমেনি আলুর! হেলদোল নেই রাজ্যের, ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যবাসীর

    Potato Price: ধর্মঘট উঠলেও দাম কমেনি আলুর! হেলদোল নেই রাজ্যের, ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ঘটা করে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্মঘট তোলার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যবাসীর আশা ছিল, এবার হয়তো আলুর দাম (Potato Price) নাগালে আসবে। কিন্তু, দুদিন হতে চলল আলুর দাম কমার কোনও নাম গন্ধ নেই। তৃণমূল সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যবাসীর।

    আলুর কেজি প্রতি দাম ৪০-৫০ টাকা (Potato Price)

    বুধবার, কৃষি দফতরের সচিব, জেলাশাসক ও পুলিশকর্তাদের বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, “হিমঘরে ২০ শতাংশ আলু রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। সেই শতাংশ আলু বাজারে (Market) এনে আলুর জোগান বাড়াতে হবে। এরপরও প্রয়োজন হলে, রাজ্য সরকার ২৬ টাকা কিলো দরে আলু কিনে সুফল বাংলা ও সেলফ হেল্প গ্রুপের মাধ্যমে বিক্রি করবে।” কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খোলা বাজারে শুক্রবারও রাজ্যের বহু জায়গাতেই কিলো প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ঘুরছে। আর চন্দ্রমূখীর দাম ৪৫-৫৫ টাকার আশপাশে রয়েছে। অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে চড়া দামে আলু বিক্রি করছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। সরকারের কোনও হেলদোল নেই।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    ১০০টি আলু বোঝাই গাড়ি আটক

    পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় শ’খানেক আলু বোঝাই ট্রাক আটক করেছে পুলিশ। মূল্যবৃদ্ধির (Potato Price) রুখতে ভিন রাজ্যে আলু ট্রাক যাওয়ার সময় আটকে দিল পুলিশ-প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বামুনপুকুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকগুলিকে আটকে দেওয়া হয়। প্রায় শতাধিক আলুর ট্রাক চলে যাচ্ছিল ভিনরাজ্যে। আলুর এই নেই-নেই পরিস্থিতিতেও যদি চুপিসাড়ে অন্য রাজ্যে পাচার হয়ে যায় আলু, তাহলে বাজারে দাম আরও চড়বে। গাড়ি চালকরা জানান, চন্দ্রকোনা থেকে গাড়িতে আলু তোলা হয়। রাতেই তারা দাঁতনে আসেন। দাঁতন থানার পুলিশ আটক করেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের বাজারে (Market) জেলাশাসক অভিযানে নামেন। আলুর দাম চড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আসানসোলের মতো রাজ্যের সব জায়গায় অভিযান চালিয়ে দাম কমানো দরকার। কারণ, এদিনও চড়া দামেই আলু বিক্রি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share