Author: user

  • Gold Price: বাজেটের পর সোনার দামে বিরাট হ্রাস! প্রতি ১০ গ্রামে কমল ৫০০০ টাকা

    Gold Price: বাজেটের পর সোনার দামে বিরাট হ্রাস! প্রতি ১০ গ্রামে কমল ৫০০০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Budget 2024) সোনা-রুপোর (Gold Price) উপর শুল্ক কমানো ঘোষণার পর থেকে এই মূল্যবান ধাতুর দাম কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই বুলিয়ান বাজারে সোনার দাম ১০০০ টাকা কমেছে। প্রতি ১০ গ্রাম ৭০,৬৫০ টাকায় নেমে এসেছে। সরকার সোনার উপর প্রতি ১০ গ্রামে ৭ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০০ টাকা আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। একই ভাবে রুপোর দামও ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রতি কেজিতে ৩৫০০ টাকা কমে ৮৪০০০ হাজার দামে পৌঁছেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা এবার লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কেন কমে গেল সোনার মূল্য (Gold Price)?

    গত ২৩ জুলাই ২০২৪-এর বাজেটে (Budget 2024) দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামণ সোনার (Gold Price) উপর শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর তাই সোনার দাম গত তিন দিনে ১০ গ্রাম প্রতি ৫০০০ টাকা কমে গিয়েছে। ২২ জুলাই বুলিয়ন বাজারে সোনা প্রতি ১০ গ্রাম ৭৫,৬৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল। তারপর সোনার দাম কমেছে ৬.৬০ শতাংশ। একই ভাবে রুপোর দাম কেজি প্রতি ৯১ হাজার থেকে কমে ৮৪ হাজার টাকায় নেমেছে। ফলে গত তিন দিনে রুপোর দামও কমেছে ৭,০০০ টাকা।

    বিদেশের বাজারে সোনার দাম কমেছে

    শুল্ক কমানোর জন্য বিদেশের বাজারেও সোনা-রুপোর (Gold Price) দাম কমে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪২.২০ ডলার কমে ২,৪২১.৮০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। একই ভাবে রুপো আউন্স প্রতি ২৮.০৪ ডলারে বন্ধ হয়েছে। এই বুলিয়ান বাজারে সোনা-রুপোর দাম কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও প্রভাব পড়েছে। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের সিনিয়র কমোডিটি অ্যানালিস্ট সৌমিত্র গান্ধী বলেছেন, “ইউরোপের বাজারে সোনার দামে পতন ঘটায় বৃহস্পতিবারে সোনার দাম কমেছে। এ ছাড়া মার্কিন অর্থনীতির তথ্য প্রকাশের আগে সোনার দাম কমিয়ে আনা হয়েছে।” তবে সোনার বাজার বিশেজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক কামানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দাম কমার ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এই প্রবাহ চলবে। আর তাই সোনা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন।

    সোনা ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া

    এলকেপি সিকিউরিটিজের কমোডিটি এবং কারেন্সির ভিপি রিসার্চ-এর বিশ্লেষক যতীন ত্রিবেদী বলেছেন, “সোনার দামে (Gold Price) মৌলিক শুল্ক কমায় হলদে এই ধাতুকে সস্তা করে তুলেছে। খুচরো বিনিয়োগকারীরা সোনার এই আকর্ষণীয় মূল্যের দ্বারা উপকৃত হবেন।” অনুরূপ ভাবে ইউনিমোনি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের নির্দেশক ও সিইও কৃষ্ণান আর বলেছেন, “দাম কমের ফলে আরও বেশি লোক সোনার গহনায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহ পাবেন। সোনা আর্থিক সম্পদ হিসেবে প্রায়শই মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সোনার দাম কম হওয়ায় গহনার চাহিদা পুনরুজ্জীবিত হবে।”

    আরও পড়ুনঃ ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    পিসি জুয়েলারের বক্তব্য

    পিসি জুয়েলারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলরাম গর্গ বলেছেন, “সোনায় (Gold Price) শুল্ক হ্রাস হওয়ায় দেশীয় বাজারে গহনার চাহিদা এবং বিক্রির বাজার আরও চাঙ্গা হবে। বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে। ক্রেতাদের কেনাকাটার উপর দারুণ প্রভাব ফেলবে।” আবার মালাবার গ্রুপের চেয়ারম্যান এমপি আহমেদ বলেছেন, “এই মূল্য হ্রাস সোনা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সোনার চোরাচালান ব্যাপক হুমকি স্বরূপ ছিল। এবার সোনার চোরাচালান অনেকটা কম হবে বলে আমার মনে হয়।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন

    Meerut Police: নির্ভয়ার স্মৃতি ফিরল মেরঠে, গ্রেফতার হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের (U.P.) মেরঠ (Meerut Police) এলাকায় এক কিশোরীকে অপহরণ করে পরে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটল। তাঁর মুখ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর পর ওই কিশোরীর দেহ পাওয়া যায়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের পরিবার দেহ রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হাসিন, শাহরুখ, একরামউদ্দিন এবং মহসিন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় হাসিন মূল অভিযুক্ত বলে জানা গেছে। হাসিন ওই কিশোরীকে পছন্দ করত বলে জানা যায়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার কয়েকদিন আগে ব্ল্যাকমেলের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোরী হাসিনকে চড় মারে। এর পর প্রতিশোধ নিতেই হাসিন বন্ধুদের সঙ্গে মিলে এই কাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ।

    পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (U.P.)

    পুলিশ (Meerut Police) সূত্রে খবর, মৃতের পরিবার তাঁদের কাছে ওই কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ জানানোর কয়েক দিনের মধ্যেই নাবালিকার দেহ পাওয়া যায়। পরিবারের তরফেও ওই চার অভিযুক্তকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল। এরপর (U.P.) পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে চাকু এবং একটি স্কুটি পাওয়া যায়। পুলিশের অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্কুলে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নাবালিকা ও তরুনীদের কীভাবে বিপদে পড়লে বাঁচতে হবে সেই কৌশল শেখায়।

    নির্ভয়া কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি (Meerut Police)

    স্থানীয়রা জানিয়েছে প্রথমে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। ঠিক যেভাবে দিল্লির নির্ভয়াকে যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ওই নাবালিকার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। জানাজানি আটকাতে তারপর ওই চারজনে মিলে নির্মমভাবে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে। এবং তার দেহ চাষের জমিতে ফেলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে গোপনাঙ্গ থেকে তীব্র রক্তক্ষরণের জেরে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিচয় লুকানোর জন্য মুখে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঝড় উপেক্ষা করে চিনা নাবিককে উদ্ধার ভারতীয় নৌসেনার, প্রশংসা বেজিংয়ের

    ২০১২ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল দিল্লিতে। সেই নির্ভয়ার ঘটনাই যেন ফের পুনরাবৃত্তি হল ফের এক বার, এক দশক পর (U.P.) মেরঠে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ১০ বছরেও মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাট্টার জমি! তৃণমূলের ওপর চটে লাল ভূমিহীন পরিবার

    Bankura: ১০ বছরেও মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পাট্টার জমি! তৃণমূলের ওপর চটে লাল ভূমিহীন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পাট্টার কাগজ নেওয়ার পর এই হাল হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড়ের বহু ভূমিহীন পরিবার। গত ১০ বছরেও তাঁরা হাতে জমি না পাওয়ায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর অসহায় এই ভূমিহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    জানা গিয়েছে, সালটা ছিল ২০১৩ এবং ২০১৬। সেই সময় বাঁকুড়া জেলায় পৃথক দু’টি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে ঘটা করে বেলিয়াতোড়ের (Bankura) মোট ১৮ জন ভূমিহীনের হাতে সরকারি পাট্টার জমির নথিপত্র তুলে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমির এই পাট্টা তুলে দেওয়ার আগে সরেজমিনে কয়েকদফা সমীক্ষা করা হয়। ভূমিহীন উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ঠিক কোন এলাকায় জমি দেওয়া হবে তা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও সেরে ফেলা হয়। এরপর ভূমিহীনদের হাতে পাট্টার নথি হিসাবে যে বন্দোবস্তপত্র তুলে দেওয়া হয় তাতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে মৌজার নাম, জে এল নম্বর, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও জমির পরিমাণ। যে ১৮ জন ভূমিহীন পরিবারের হাতে পাট্টার নথি তুলে দেওয়া হয়েছিল তাতেও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয় পাট্টা প্রাপকরা ওই জমির দখল নিতে গেলে। অভিযোগ, যে সরকারি জমির পাট্টার নথি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, সেই জমি আগে থেকেই জবর দখল হয়ে যায়। বাস্তবে জমির দখল নিতে পারেননি পাট্টা প্রাপকরা। এক পাট্টা প্রাপক বলেন, “২০১৩ সালে পাট্টা পেয়েছিলাম। এখনও চোখে দেখিনি জমি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। জেলা প্রশাসনের কর্তারা সব জানেন। তবে, এখনও জমি পাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থেকে পাট্টা নেওয়ার পর এভাবে প্রতারিত হব তা ভাবিনি। আদৌ জমি পাব কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভূমিহীনদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বিজেপি (BJP) নেতা সোমনাথ কর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দেন। কাজের কাজ কিছুই করছেন না। তিনি শুধু ভাতা দেওয়ার রাজনীতি করেন। অপরদিকে, বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক  অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের পাট্টা দিয়েছেন তাঁরা সকলে জমি পেয়েছেন। তবে এটা ব্যতিক্রম। আমি খতিয়ে দেখব বিষয়টি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) অবশেষে ‘স্বস্তি’ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় দায়ের করা একটি পুরনো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ, দায়ের করা এই মামালকে খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।

    মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালে (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত মানিক বাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ আন্দোলেন ভাষণ দিয়েছিলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এই সভা থেকে থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর এই বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছাড়ানো, মারধর এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে এফএইআর দায়ের করেছিল থানার পুলিশ। সৌমিত্র যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাঁর মামলা এতদিন শুনানি চলছিল বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালতে। এই মামলায় একাধিকবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত ৯ জুলাই ছিল হাজিরার নির্দেশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    আগেও মামলা দায়ের হয়েছিল

    এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবার আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় পুলিশ বেআইনি অস্ত্র মামলা এবং বালি পাচার মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেয়ছিলেন। তবে সৌমিত্র পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে শাসক দল তৃণমূলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির (Siliguri) খড়িবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার সকালে খড়িবাড়ির চক্করমারি শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জগদীশ রায় (৬৫)। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিশিষ্ট লোকশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

     ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    জানা গিয়েছে, এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন ও জটিলতা দেখা দেওয়ায় অভিভাবকরা তাকে চেপে ধরতেই ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। তারপর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা খড়িবাড়ি থানায় (Siliguri) অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতার নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। মূলত, ওই তৃণমূল নেতা লোকশিল্পী ছিলেন। সেই সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে তিনি গান শেখাতেন। সেখানেই ওই ছাত্রীকে চাকরির টোপ দিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার  সকালে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছে?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাস চারেক আগে ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা এই অপকর্ম করেন। এতদিন পর জানাজানি হতেই অভিযোগ থানা (Siliguri) পর্যন্ত গড়ায়। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না ভেবেই ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    Assam Moidam: অবশেষে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ঠাঁই পেল ‘অসমের পিরামিড’ মৈদাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল অসমের অহম রাজবংশের কবরের ঢিবি ‘মৈদাম’ (Assam Moidam)৷ ফলে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’-এর  (UNESCO World Heritage Site) তালিকায় এ বার ঠাঁই পেল উত্তর-পূর্ব ভারত। প্রসঙ্গত, মৈদাম সমাধিক্ষেত্রকে গত বছর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৬তম অধিবেশনে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। 

    কী এই ‘মৈদাম’? (Assam Maidams) 

    অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের ‘কবরস্থান’ বা ‘মৈদাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান (UNESCO World Heritage Site) তকমা পেল। অনেকে এটিকে আবার ‘অসমের পিরামিড’-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। ভিতরে ঢোকার জন্য সুড়ঙ্গের মতো প্রবেশপথ থাকত। প্রাথমিকভাবে  অসমের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি দেখা যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে  ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর 

    এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল উদ্যোগ

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের ‘ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা’ ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। সেসময় মৈদামগুলি (Assam Moidam) ইউনেস্কো হেরিটেজ ক্ষেত্রের তালিকায় ঢোকানোর চেষ্টা শুরু করেছিল অসমের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শেষ পর্যন্ত এক দশক পরে ফলপ্রসূ হল সেই উদ্যোগ। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী এই পদক্ষেপের জন্য ইউনেস্কোকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’ 

    কী বললেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা?  

    এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে, ”মৈদাম ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক সম্পত্তি বিভাগের অধীনে, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি অসমের জন্য একটি দারুণ সাফল্য। কারণ, প্রথমবারের মতো উত্তর-পূর্ব থেকে কোনও স্থাপত্য (Assam Moidam) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তকমা পেল। কাজিরাঙ্গা ও মানস জাতীয় উদ্যানের পর এটি অসমের তৃতীয় বিশ্ব ইতিহ্যবাহী স্থান”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 87: “সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে, হলুদ গায়ে মেখে নামলে ভয় থাকেনা”

    Ramakrishna 87: “সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে, হলুদ গায়ে মেখে নামলে ভয় থাকেনা”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।

    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।

    গীতা—১৮৬৬

    ব্রাহ্মসমাজ ও জনক রাজা-গৃহস্থের উপায়—নির্জনে বাস ও বিবেক 

    কিন্তু ফস করে জনক রাজা হওয়া যায় না। জনক রাজা নির্জনে অনেক তপস্যা করেছিলেন। সংসারে থেকেও এক-বার নির্জনে বাস করতে হয়। সংসারের বাহিরে একলা গিয়ে যদি ভগবানের (Ramakrishna) জন্য তিনদিনও কাঁদা যায় সেও ভাল। এমনকি অবসর পেয়ে একদিনও নির্জনে তাঁর চিন্তা যদি করা যায়, সেও ভাল। লোক মাগছাগলের জন্য একঘটি কাঁদে, ঈশ্বরের জন্যে কে কাঁদছে বল? নির্জনে থেকে মাঝে মাঝে ভগবানের জন্যে সাধন করতে হয়! সংসারের ভিতর কর্মের মধ্যে থেকে, প্রথমাবস্থায় মন স্থির করতে অনেক ব্যাঘাত হয়। ফুটপাতের গাছ, যখন চারা থাকে, বেড়া না দিলে ছাগল-গরুতে খেয়ে ফেলে। প্রথমাবস্থায় বেড়া, গুঁড়ি হলে আর বেড়ার দরকার থাকে না। গুঁড়িতে হাতি বেঁধে দিলেও কিছু হয় না।

    রোগটি(Kathamrita) হচ্ছে বিকার। আবার যে-ঘরে বিকারের রোগী, সেই ঘরে জলের জালা আর আচার তেঁতুল। যদি বিকারের রোগী আরাম করতে চাও, ঘর থেকে ঠাই নাড়া করতে হবে। সংসারী জীব বিকারের রোগী; বিষয়—জলের জালা; বিষয়ভোগতৃষ্ণা-জলতৃষ্ণা। আচার তেঁতুল মনে করলেই মুখে জল সরে, কাছে আনতে হয় না; এরূপ জিনিসও ঘরে রয়েছে; যোষিৎসঙ্গ। তাই নির্জনে চিকিৎসা দরকার।

    বীবেক-বৈরাগ্য লাভ করে সংসার করতে হয়। সংসার-সমুদ্রে কামক্রোধাদি কুমির আছে। হলুদ গায়ে মেখে জলে নামলে কুমিরের ভয় থাকেনা। বিবেক-বৈরাগ্য—হলুদ। সদসৎ বিচারের নাম বিবেক। ঈশ্বরই সৎ, নিত্যবস্তু। আর সব অসৎ, অনিত্য; দুদিনের জন্য। এই বোধ আর ঈশ্বরে অনুরাগ। তাঁর উপর টান—ভালবাসা। গোপীদের কৃষ্ণের (Ramakrishna) উপর যেরূপ টান ছিল। একটা গান শোন;

    আর উপায়—ঈশ্বর অনুরাগ—গোপীদের মতো টান বা স্নেহ

    বংশী বাজিল ওই বিপিনে।

    (আমার তো না গেলে নয়) (শ্যাম পথে দাঁড়ায় আছে)

    তোরা যাবি কি না যাবি বল গো।।

    তোদের শ্যাম কথার কথা।

    আমার শ্যাম অন্তরের ব্যাথা (সই)

    তোদের বাজে বাঁশী কানের কাছে।

    বাঁশী আমার বাজে হৃদয়মাঝে।

    শ্যামে বাঁশী বাজে, বেরাও রাই।

    তোমা বিনা কুঞ্জের শোভা নাই।

    ঠাকুর (Ramakrishna) অশ্রুপূর্ণ নয়নে এই গান গাইতে গাইতে (Kathamrita) কেশবাদি ভক্তেদের বললেন, রাধাকৃষ্ণ মনো আর নাই মানো, এই টানটুকু নাও, ভগবানের জন্য কিসের এইরূপ ব্যাকুলতা হয়, চেষ্টা কর। ব্যাকুলতা থাকলেই তাঁকে লাভ করা যায়।

    আরও পড়ুনঃ “মা এই নাও তোমার পাপ, এই নাও তোমার পুণ্য, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মালদা-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    Murshidabad: মালদা-মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মালদা-মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত করার দাবি তুললেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। কারণ, স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে জেলায় কীভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে তা তিনি আঁচ করেই আগেও এই দাবির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এমনকী বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও এই বিষয় নিয়ে জোর সওয়াল করেছেন। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এবার সেই একই দাবি আরও একবার শোনা গেল বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্করের গলায়।

    কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? (Murshidabad)

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালেই এই একই দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “এই দাবি অনেক আগেই  আমি তুলেছিলাম। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলাম, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) -মালদায় যেভাবে অনুপ্রবেশ ঘটছে, তাতে আগামীদিন দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। যে শক্তি ভারতকে আবারও ভাঙতে চায়, বাংলাদেশ থেকে তারা মুর্শিদাবাদ-মালদা হয়ে ভারতে ঢুকছে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন দলদাসের মতো কাজ করে। এই রাজ্যের শাসকদল শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের নিরাপত্তার কথা তারা ভাবে না। তাই আমি বলেছিলাম, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে মালদা-মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়খণ্ড-বিহারের কিছু অংশ নিয়ে যদি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা যায়, তাহলে দেশকে সুরক্ষিত রাখা যাবে। আশা করি, আগামীদিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবিকে প্রাধান্য দেবেন এবং এই দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনা করে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করে দেশকে সুরক্ষিত করবেন।” আর বিজেপি সাংসদের মাধ্যমে লোকসভায় বিষয়টি ওঠায় সেই দাবি অনেকটাই মান্যতা পেল বলে মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তিপুরে (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সরাসরি ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। সেখানে দাঙ্গা লাগার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিজেপির (BJP) জেলা নেতাদের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের কারণে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে। আর বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করায়, অনুপ্রবেশ নিয়ে রাজ্য সরকার মুখ খুলছে না। ফলে, বিজেপি (BJP) সাংসদ লোকসভায় যে দাবি করেছেন, তার দাবি মেনে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দুই জেলার মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে বাড়ছে নানা রোগের দাপট। আর তার মধ্যে সব চেয়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস (Hepatitis)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেপাটাইটিসের সমস্যা বাড়ছে। লিভারের এই রোগে শিশু এবং বয়স্কদের ভোগান্তি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি বেশ জটিল হচ্ছে। বর্ষার জমা জলের জেরেই হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে হেপাটাইটিসের প্রকোপ? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষার মরশুমে জল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। একটানা বৃষ্টি হলেই রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় জল জমে যায়‌। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যায়। আর এর জেরে অনেক সময়েই পানীয় জল পরিশ্রুত থাকে না। নিকাশি নালা ফেটে যায়। কোথাও আবার পানীয় জলের পাইপও ফেটে যায়। পানীয় জল, নোংরা জলের সঙ্গে মিশে যায়। আর এই ধরনের ঘটনার জেরেই হেপাটাইটিসের মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি মরশুমে শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে‌। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে একটানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছে (Stagnant Water)। অনেক সরকারি স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। বহু শিশুকেই স্কুলে গিয়ে অপরিশ্রুত জল খেতে হচ্ছে। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কীভাবে চিনবেন হেপাটাইটিস?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জ্বর, ক্লান্তি বোধের পাশপাশি হেপাটাইটিস (Hepatitis) আক্রান্ত হলে রোগীর পেটে ব্যথা হয়, হাত ও পায়ের চামড়ায় হলদে ভাব আসে। চোখের সাদা অংশেও হলুদ ছোপ দেখা যায়। আবার রোগীর বারবার বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। কোন ধরনের হেপাটাইটিসে রোগী আক্রান্ত, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করতে হবে? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকা জরুরি। শিশুদের হেপাটাইটিস টিকাকরণ জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের হেপাটাইটিসের টিকা দেওয়া হলে এই রোগের ঝুঁকি কমে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো টিকাকরণ হলে এই রোগের দাপট যেমন কমবে, তেমনি ভোগান্তিও কমবে। এর পাশপাশি জল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশুদের সুস্থ রাখতে বর্ষার মরশুমে জল ফুটিয়ে খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পানীয় জল যাতে পরিশ্রুত হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জল ঢেকে রাখা কিংবা যে পাত্রে জল রাখা হচ্ছে, তা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। তবেই এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব (Stagnant Water)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    Sunita Williams: ৫০ দিন ধরে মহাকাশেই আটকে, বিপত্তির মধ্যেই ‘বাগান’ নিয়ে গবেষণা সুনীতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) মহাকাশে আটকে পড়ে ৫০ দিন অতিক্রম করেছেন। কিন্তু এই বিপত্তির মধ্যেই মহাকাশে বাগান নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি নাসার একটি সুপরিকল্পিত ১০ দিনের মিশনের জন্য বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে (Space) যাত্রা করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে আটকে রয়েছেন। তবে অ্যামেরিকা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, হিলিয়াম গ্যাস ফাঁস হওয়ার কারণে বোয়িং স্টারলাইনারটি প্রপালশন সিস্টেম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে সুনীতা এবং তাঁর সহযোগী নভশ্চর ব্যারি বুচ উইলমোর এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ নিরাপদে রয়েছেন।

    গাছের বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা (Sunita Williams)

    গত ৬ জুন থেকে এক্সপিডিশন ৭১ ক্রুদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাজ চলছে। নাসা জানিয়েছে, সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এই তৃতীয় মহাকাশ মিশনের একজন অভিজ্ঞ মানুষ। মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটিতে গাছকে জল দেওয়া, বৃদ্ধি এবং পুষ্টি সাধন করে সুপরিপক্ক করার মতো সমস্যাকে দূর করতে তরল পদার্থ অন্বেষণ করার কাজ করছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে মহাকাশে বাগান করার জন্য এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ হবে। তাঁদের সফলতা একটি বিরাট নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    ভূ-মণ্ডলের রিয়েল-টাইম নিয়ে গবেষণা

    সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং উইলমোর একটি আল্ট্রাসাউন্ড ডিভাইস ব্যবহার করে শিরা বা নাড়ী স্ক্যান করার পরিচালনা করছেন। একই ভাবে ভূ-মণ্ডলের ডাক্তারদের দ্বারা রিয়েল-টাইম বিষয়েও পর্যবেক্ষণের কাজ করছেন। তাঁরা নিজেরা একে অপরের ঘাড়, কাঁধ এবং পায়ে শিরাগুলিকে ছবি তুলেছেন। সুনীতা, মহাকাশচারী ম্যাথিউ ডমিনিকের শিরাগুলি স্ক্যান করেছে। এই গবেষণা মানবদেহে মাধ্যাকর্ষণজনিত আকর্ষণ বা মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুনঃ মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস! কী সমস্যা, কীভাবে ফিরবেন পৃথিবীতে?

    জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে চলছে গবেষণা

    আইএসএস এখন উন্নত জীববিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণার কাজ করে চলেছে। মহাকাশ (Space) কীভাবে মানব জীববিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান চলছে। সুনীতারা আইএসএস জল ব্যবস্থা থেকে জীবাণু শনাক্ত করতে ডিএনএ বের করেছেন, যা ভবিষ্যতের মিশনে ক্রু স্বাস্থ্য এবং মহাকাশযানের পরিচ্ছন্নতা উন্নত করতে পারে। ইতিমধ্যে, ইঞ্জিনিয়ররা বোয়িং স্টারলাইনারের সমস্যাগুলি ঠিক করছেন। নাসা আরও জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দলগুলি সম্প্রতি নিউ মেক্সিকোতে হোয়াইট স্যান্ডস টেস্ট ফ্যাসিলিটিতে একটি স্টারলাইনার থ্রাস্টারের গ্রাউন্ড হট ফায়ার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তবে কবে সুনীতাদের (Sunita Williams)  ফিরিয়ে আনা হবে এই নিয়ে খুব দ্রুত ঘোষণা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share