Author: user

  • Sarada Math: সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে

    Sarada Math: সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা, জেনে নিন তাঁর সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শ্রী সারদা মঠ (Sarada Math) এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা নির্বাচিত হলেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। চলতি বছরের মাসে এপ্রিলে প্রয়াত হন সারদা মঠ এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের পঞ্চম অধ্যক্ষা, মঠের প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া দায়িত্বই এবার কাঁধে তুলে নিলেন সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা  । 

    ১৯৬৪ সালে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাতৃভবনে যোগ (Sarada Math)

    প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণার জন্ম ১৯৪০ সালে। তাঁর (Sarada Mission) মিশনে যুক্ত হওয়ার আগের নাম ছিল রূপালি। প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার উদ্যোগে তিনি ১৯৬৪ সালে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের মাতৃভবনে যোগ দেন। এরপর ১৯৬৮ সালে প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণার মাতাজীর কাছে ব্রহ্মচর্য প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে প্রব্রাজিকা মোক্ষপ্রাণার কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন তিনি। এর আগে কয়েক বছর (Sarada Math) সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ কিছু দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এবার খোলা হবে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের ‘ভিতর রত্নভান্ডার’, ঘোষিত হল দিনক্ষণ

    ১৯৯০ সালে তিনি রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের (Sarada Mission) গঙ্গারামপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব নেন। নতুন কেন্দ্রে তুখোড় হাতে নানা দায়িত্ব সামলান তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ-অধ্যক্ষ হন প্রেমপ্রাণা।

    দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সন্ন্যাসিনীরা (Sarada Mission)

    ৩০ এপ্রিল আনন্দপ্রাণা মাতাজি দেহত্যাগ করেন। এরপর উল্টোরথের পুণ্যলগ্নে মঠের (Sarada Math) অধ্যক্ষার দায়িত্ব নেন প্রব্রাজিকা প্রেমপ্রাণা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত  ছিলেন সন্ন্যাসিনীরা। ভক্ত ও অনুগামীরা তাঁকে প্রণাম জানান। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সপ্তম অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শঙ্করানন্দজি মহারাজের মন্ত্রশিষ্যা ছিলেন প্রব্রাজিকা আনন্দপ্রাণা মাতাজি। প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণামাতাজির কাছে ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসদীক্ষা লাভ করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের স্বামীজীর শুভ জন্মতিথিতে সঙ্ঘাধ্যক্ষা পদে আসীন হন তিনি।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: নেই বিদ্যুৎ, সম্বল হাতপাখা-লণ্ঠনই! জানেন কি কলকাতার কাছেই রয়েছে এমন গ্রাম!

    North 24 Parganas: নেই বিদ্যুৎ, সম্বল হাতপাখা-লণ্ঠনই! জানেন কি কলকাতার কাছেই রয়েছে এমন গ্রাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই! প্রচণ্ড গরমে হাতপাখাই সম্বল। আলো নেই, তাই ভরসা একমাত্র লণ্ঠনই। রাতের বেলায় এলাকার মানুষ ঘরে ঘুমোতে পারেন না। বাইরে চাতালে শুতে হয়। সেই সঙ্গে অন্ধকারে সাপের আনাগোনা চলে। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই বলে আত্মীয়রাও থাকতে চান না। এমনকী বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের বাপের বাড়িতে আসতে পর্যন্ত দেন না শ্বশুর বাড়ির লোকজন। একবিংশ শতকে এমন একটি গ্রাম এই পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ভাবতেও অবাক লাগে। হ্যাঁ এই গ্রামটি পাণ্ডববর্জিত কোনও গ্রাম নয়, সমুদ্রের মাঝে দ্বীপ বা পাহাড়ের উঁচুতে কোনও জায়গা নয়, কলকাতার নিকটবর্তী বারসতের (North 24 Parganas) কাছেই বেড়াচাঁপার এক নম্বর পঞ্চায়েতের মির্জানগরের সর্দারপাড়া গ্রাম। এখানে ত্রিশটির বেশি পরিবার বসবাস করেন।

    গ্রামের ২০০ মিটারের মধ্যে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার (North 24 Parganas)!

    এলাকার মানুষ অভিযোগের সুরে বলেছেন, “আমাদের গ্রামের (North 24 Parganas) পাশেই ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার। পাশেই রয়েছে বিদ্যুৎ (Electricity) অফিস। তবুও গ্রাম আঁধারে ডুবে রয়েছে। আমরা বারবার একাধিক দফতরে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এই সর্দারপাড়ার চারিদিকে রয়েছে চাষের জমি। জমির একাধিক মালিক নিজের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসুক চান না। ফলে সন্ধ্যের সময় আশেপাশের গ্রামে আলোকিত হলেও এই গ্রামে যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার হয়ে আছে।”

    নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন

    আবার বাসন্তী মুণ্ডা নামে এক মহিলা বলেছেন, “ভোট এলে নেতারা পরিশ্রুতি দিয়ে যান, কিন্তু ভোট হয়ে গেলে আমাদের সেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে হয়। সন্ধ্যের পর থেকেই গ্রামে (North 24 Parganas) লম্ফ, হ্যারিকেন, লণ্ঠন, মোমবাতি জ্বালাতে হয়। এখানে বুঝতেই পারিনা স্বাধীন দেশে রয়েছি কিনা।” আবার রীতা কাহার বলেছেন, “আমার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। জামাই বা শ্বশুরবাড়ির অন্য কেউ আসতে চায় না। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন সকালে আসলে বিকেলেই বাড়ি ফিরে যান। খুবই লজ্জার।”

    আরও পড়ুনঃ সুইমিং পুল, কচ্ছপ, সিসিটিভি কী নেই! জামালের বাড়ি না রিসর্ট বোঝাই মুশকিল

    প্রশাসনের বক্তব্য

    দেগঙ্গার (North 24 Parganas) বিডিও ফাহিম আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, “এই খবর আমার কাছে জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে সবটা বলতে পারব।” বারাসত মহকুমার বিদ্যুৎ (Electricity) দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সমীরকান্তি গায়েন এই বিষয়ে বলেছেন, “অভিযোগ শুনেছি, তবে জমিজটের কারণে কোনও রকম সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধান করব আমরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিডিওর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রয়োজন হলে জমির আলে পোস্ট বসানো যেতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্কুলে ছুটি হলেই বসত মদের আসর! তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিকের পর্দাফাঁস করলেন শিক্ষক

    Nadia: স্কুলে ছুটি হলেই বসত মদের আসর! তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিকের পর্দাফাঁস করলেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলে স্কুল ছুটি হলেই চালাতেন মদের আসর। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) বগুলা বাজার জিএসএফটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, বগুলার (Nadia) এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৮। আর শিক্ষক রয়েছেন চারজন। স্কুলের চাবি থাকে পাশের একটি দোকানদারের কাছে। ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পর সমস্ত শিক্ষক বাড়ি চলে যান। স্কুলের কিছু কাজের জন্য পুনরায় ফিরে আসতে হয় শিক্ষক বিমান মিদ্দাকে। বিমানবাবু স্কুলে ঢুকতেই থ হয়ে যান। তিনি  বলেন, “ওইদিন স্কুলের ছুটি হয়ে গেলে আমি কিছু কাগজপত্র জেরক্স করার জন্য বেরিয়েছিলাম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিস ঘরে তালা মেরে চাবি পাশের একটি দোকানে রেখে যান। পরবর্তীকালে আমি জেরক্স করে স্কুলে ঢুকতেই দেখি, একজন সিঁড়ি দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে আসছেন। অফিস ঘরে ঢুকেই দেখি, সেখানে মদের আসর বসেছে। টেবিলের ওপর কিছু খাবারও রাখা ছিল। আমাকে দেখেই ওরা মদের আসর ছেড়ে সকলেই অফিস থেকে পালিয়ে যান। সেখানে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। আমি পুরো বিষয়টি পরবর্তীকালে ভিডিও করি। প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    প্রধান শিক্ষক কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ঠাকুর বলেন, “আমি কিছুদিন আগে এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। চাবি আগে থেকেই ওই দোকানে রাখা হত।” নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তন্দ্রা ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আমিও জানি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।” স্কুল থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য বিজেপির আনন্দ কবিরাজ বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর আছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার ছেলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত ওই স্কুলে মদের আসর বসাত। এর থেকে লজ্জার আর কী থাকতে পারে।” তৃণমূলের (Trinamool Congress) হাঁসখালি-২ সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: শিশু শ্রমিক উদ্ধারের ঘটনায় সমস্ত কসাইখানা পরিদর্শনের নির্দেশ যোগী সরকারের

    Uttar Pradesh: শিশু শ্রমিক উদ্ধারের ঘটনায় সমস্ত কসাইখানা পরিদর্শনের নির্দেশ যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে শিশু শ্রম র‌্যাকেটের পর্দা ফাঁসের ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh)। সম্পতি নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে রাজ্যের সমস্ত কসাইখানা পরিদর্শন করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Child Labourers Issue) 

    গত ২৯ মে গাজিয়াবাদে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR) উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh) সঙ্গে যৌথ অভিযানে একটি শিশু শ্রম র‌্যাকেটের পর্দা ফাঁস করেছিল। সেই অভিযানে ৫৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩১ জন মেয়ে এবং ২৬ জন ছেলে রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবন্ধী। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি গাজিয়াবাদে ইয়াসিন কুরেশির মালিকানাধীন একটি কসাইখানায় ঘটেছে। সেখানেই বেয়াইনিভাবে শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ওই ৫৭ জন শিশুকে। খবর অনুযায়ী, উদ্ধার করা নাবালকদের গাজিয়াবাদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউপি, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হত। এরপর তাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কসাইখানায় তাদের দিতে অমানবিক কাজ (Child Labourers Issue) করানো হত। মূলত পশু জবাই ও প্যাকিংয়ের কাজেই তাদের নিয়োগ করা হত। দৈনিক ৩০০ টাকার বিনিময়ে তাদের দিয়ে এই কাজ করানো হত। 

    আরও পড়ুন: এবার খোলা হবে পুরী জগন্নাথ মন্দিরের ‘ভিতর রত্নভান্ডার’, ঘোষিত হল দিনক্ষণ

    প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর মন্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে, এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে খবর পাচ্ছিলেন। তবে নিশ্চিত খবর না পাওয়ায় এতদিন কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে সম্প্রতি গাজিয়াবাদের মুসৌরি এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল এগ্রো ফুড কসাইখানায় উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই র‍্যাকেটের পর্দা ফাঁস করা হয়। জানা গিয়েছে, এই গোটা ঘটনায় ইয়াসিন কোরেশি নামে একজন ব্যক্তি জড়িত, যিনি এই চক্রের মূল মাথা। আসলে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী কঠোরভাবে পশু জবাই করার নিয়ম রয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মিশর, দক্ষিণ এশিয়া এবং সুদূর পূর্বের দেশগুলি সহ বেশিরভাগ দেশেই বিশ্বব্যাপী এই মাংস পণ্য হিসেবে রপ্তানি করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 79: “আকাশ, নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য, পর্বত, সমুদ্র, জীবজন্তু—এ-সব ঈশ্বর করেছেন”

    Ramakrishna 79: “আকাশ, নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য, পর্বত, সমুদ্র, জীবজন্তু—এ-সব ঈশ্বর করেছেন”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    যৎ সাংখৈঃ প্রাপ্যতে স্থানং তদ্‌যোগৈরপি গম্যতে।

    একং সাংখ্যঞ্চ যোগঞ্চ যঃ পশ্যতি স পশ্যতি।।

    (গীতা—৫/৫)

    জ্ঞানীরা ওইরূপ বলে—যেমন বেদান্তবাদীরা। ভক্তেরা কিন্তু সব অবস্থাই লয়। জাগ্রত অবস্থাও সত্য বলে, জগতকে স্বপ্নবৎ বলে না। ভক্তেরা বলে, এই জগৎ ভাগবানের ঐশ্বর্য। আকাশ, নক্ষত্র, চন্দ্র, সূর্য, পর্বত, সমুদ্র, জীবজন্তু—এ-সব ঈশ্বর করেছেন। তাঁরই ঐশ্বর্য। তিনি অন্তরে হৃদয়মধ্যে আবার বাহিরে। উত্তম ভক্ত বলে, তিনি নিজে এই চতুর্বিংশতি তত্ত্ব—জীবজগৎ হয়েছেন। ভক্তের সাধ যে চিনি খায়, চিনি হতে ভালোবাসে না। (সকলের হাস্য)

    ভক্তের ভাব কিরূপ জানো? হে ভগবান, তুমি প্রভু, আমি তোমার দাস, তুমি মা আমি তোমার সন্তান, আবার তুমি আমার পিতা বা মাতা। তুমি পূর্ণ, আমি তোমার অংশ। ভক্ত এমন কথা বলতে ইচ্ছা করে না যে আমি ব্রহ্ম।

    যোগীও পরমাত্মাকে সাক্ষাৎকার করতে চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য—জীবাত্মা ও পরমাত্মার যোগ। যোগী বিষয় থেকে মন কুড়িয়ে লয় ও পরমাত্মাতে মন স্থির করতে চেষ্টা করে। তাই প্রথম অবস্থায় নির্জনে স্থির আসনে অনন্যমন হয়ে ধ্যানচিন্তা করে।

    কিন্তু একই বস্তু। নাম-ভেদমাত্র। যিনিই ব্রহ্ম, তিনিই আত্মা, তিনি ভগবান। ব্রহ্মজ্ঞানীর ব্রহ্ম, যোগীর পরমাত্মা, ভক্তের ভগবান।

    চতুর্থ পরিচ্ছদের

    তমেব সূক্ষ্ম ত্বং স্থূলা ব্যক্তাব্যক্তস্বরূপিণী

    নিরাকারপি সাকারা কস্তাং বেদিতুমর্হতি।।

    (মহানির্বাণতন্ত্র, চতুর্থোল্লাস, ১৫)

    বেদ তন্ত্র সমন্বয়আদ্যাশক্তি ঐশ্বর্য

    এদিকে অগ্নেয়পোত কলিকাতার অভিমুখে চলিতেছে। ঘরের মধ্যে শ্রীরামকৃষ্ণকে যাঁহারা দর্শন ও তাঁহার অমৃতময়ী কথা শ্রবণ করিতেছেন তাঁহারা জাহাজ চলিতেছে কিনা, এ-কথা জানিতেও পারিলেন না। ভ্রমর পুস্পে বসিলে আর কি ভনভন করে!

    আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 78: “জ্ঞানীরা যাকে ব্রহ্ম বলে, যোগীরা তাঁকেই আত্মা বলে, আর ভক্তেরা তাঁকেই ভগবান বলে”

    Ramakrishna 78: “জ্ঞানীরা যাকে ব্রহ্ম বলে, যোগীরা তাঁকেই আত্মা বলে, আর ভক্তেরা তাঁকেই ভগবান বলে”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ ও কথোপকথন

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    যৎ সাংখৈঃ প্রাপ্যতে স্থানং তদ্‌যোগৈরপি গম্যতে।

    একং সাংখ্যঞ্চ যোগঞ্চ যঃ পশ্যতি স পশ্যতি।।

    (গীতা—৫/৫)

    জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ কর্মযোগের সমন্বয়

    বালিশ ও তার খোলটা—দেহী ও দেহ। ঠাকুর কি বলিতেছেন যে, দেহ বিনশ্বর, থাকিবে না? দেহের ভিতর যিনি দেহী তিনিই অবিনাশী, অতএব দেহের ফোটগ্রাফ লইয়া কি হইবে? বরং যে ভগবান অন্তর্যামী মানুষের হৃদয় মধ্যে বিরাজ করিতেছেন তাঁহারই পূজা (Ramakrishna) করা উচিত?

    ঠাকুর একটু প্রকৃতিস্থ হইয়াছেন। তিনি বলিতেছেন–

    তবে একটি কথা (Kathamrita) আছে। ভক্তের হৃদয় তাঁর অবস্থান। তিনি সর্বভূতে আছেন বটে, কিন্তু ভক্তহৃদয়ে বিশেষরূপে আছেন। যেমন কোন জমিদার তার জমিদারির সকল স্থানেই থাকিতে পারে। কিন্তু তিনি তাঁর অমুক বৈঠকখানায় প্রায়ই থাকেন, এই লোকে বলে। ভক্তের হৃদয় ভগবানের বৈঠকখানা। (সকলের আনন্দ)

    এক ঈশ্বর (Ramakrishna)তাঁর ভিন্ন নামজ্ঞানী, যোগী ভক্ত

    জ্ঞানীরা যাকে ব্রহ্ম বলে (Kathamrita), যোগীরা তাঁকেই আত্মা বলে, আর ভক্তেরা তাঁকেই ভগবান বলে।

    একই ব্রাহ্মণ। যখন পূজা করে, তার নাম পূজারী; যখন রাঁধে তখন রাঁধুনি বামুন। যে জ্ঞানী, জ্ঞানযোগ ধরে আছে, সে নেতি নেতি—এই বিচার করে। ব্রহ্ম এ নয়, ও নয়, জীব নয়, জগৎ নয়। বিচার করতে করতে যখন মন স্থির হয়, মনের লয় হয়, সমাধি হয়, তখন ব্রহ্মজ্ঞান (Ramakrishna)। ব্রহ্মজ্ঞানীর ঠিক ধারণা ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা, নামরূপ এ-সব স্বপ্নবৎ, ব্রহ্ম কি যে, তা মুখে বলা যায় না; তিনি যে ব্যক্তি তাও বলবার জো নাই।

    আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়ির ফুটপাথ দখল করছেন মেয়র! ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

    Siliguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়ির ফুটপাথ দখল করছেন মেয়র! ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে শিলিগুড়িতে ফুটপাথ দখল করে দোকান বসানোর অভিযোগ উঠল খোদ শহরের মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সেখানে শিলিগুড়ির (Siliguri) গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা স্টেশন ফিডার রোডে ফুটপাথ ফুড লেন তৈরির নিয়ে বিতর্কে মেয়র। এক্ষেত্রেও কাটমানির অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা টাকার বিনিময়ে এই স্টল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    কেন বিতর্ক? (Siliguri)

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো শিলিগুড়িতেও (Siliguri) পুরসভা শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথ সরানো হয়েছে। এনিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসা গরিব মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। একদিকে গরিব মানুষ বেকার করে দেওয়া, অন্যদিকে ফুটপাথে ফুডলেন বানানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করার অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

      স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও প্রতিবাদে সরব

    শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা স্টেশন ফিডার রোড। এই রাস্তাতেই রয়েছে দমকল কেন্দ্র, একাধিক স্কুল, শিলিগুড়ি থানা। এহেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ফুটপাথে ফুডলেন তৈরি করতে ২২ টি স্টল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা। সেই মতো ২২ টি চলমান স্টলও আনা হয়েছে। সেই স্টল বসাতে গিয়ে কার্যত বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের মুখে পড়েন মেয়র। ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ফুটপাথ ছেড়ে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এখানে দোকান করে আসছি।  এখন সেখানে ২২ টি স্টল বসিয়ে ফুডলেন করা হলে আমাদের দোকান আড়ালে চলে যাবে। ব্যবসা মার খাবে। ফুডলেনের জন্য অযথা যানজটে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। এর প্রতিবাদ জানাতে আমরা একদিন ওই এলাকার ব্যবসা বনধ রেখেছিলাম। তাতে সাময়িক পিছু হটলেও এখানে ফুডলেন করার সিদ্ধান্তে অনড় মেয়র। এবার ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।

    ফুডলেনের নামে চলছে তৃণমূলের কাটমানির খেলা!

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ফুড স্টল বসানোর উদ্যোগে শিলিগুড়ি পুরসভা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ নিয়ে কার্যত দ্বিচারিতা করছে। একদিকে ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হচ্ছে গরিব মানুষকে পথে বসিয়ে,আর একদিকে ফুডলেন তৈরির নামে ফুটপাথে স্টল বসানো হচ্ছে। ফুডলেন করতে হলে অন্য কোথাও ফাঁকা জায়গায় করা যেত। আসলে এই দোকান বসানোর পিছনে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের মোটা টাকার খেলা রয়েছে। গরিব মানুষকে পথে বসিয়ে  ফুটপাথ দখলমুক্ত করার চেয়ে সবার আগে বন্ধ করা উচিত জাতীয় সড়কের  ধারে বিভিন্ন জায়গায় নয়ানজুলি বুজিয়ে পেট্রল পাম্প, হোটেল তৈরি করা।  তৃণমূল নেতাদের মদতে এসব চলছে। 

      শিলিগুড়ির মেয়র কী বললেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ফুডলেন করা নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশে অনেকেই অনেক অভিযোগ করছেন। আমি রাজ্য সরকারকে জানিয়েই এই ফুডলেন তৈরি করছি। সব কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। ২২ টি স্টল সবার সামনে লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হবে। কাটমানির কোনও প্রশ্ন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ধুঁকছে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীরা

    Murshidabad: ধুঁকছে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর পরই রাজ্যে হাসপাতালের শ্রী ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এরপরই রাজ্যজুড়ে হাসপাতালের ভিতরে-বাইরে বাহারি রং করা হয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালে পরিষেবা সেই আগের মতো কঙ্কালসার। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে তিতি বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। আর বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা।

    রোগীর পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    এই হাসপাতালের ওপর বড়ঞাসহ (Murshidabad) আশপাশের লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল। মনোজ ঘোষ নামে এক রোগী বলেন, “শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু, হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে, আমাদের মতো বহু রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। পরিষেবা না পেয়ে রোগীরা কান্দি হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।” সুকুমার ভল্লা নামে রোগীর পরিবারের লোকজন বলেন, “আমার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাবার রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু, এই হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা নেই। তাই, আমরা খুব দুশ্চিন্তাই রয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি বলেছি। হাসপাতালে পরিষেবা নেই বলে তাঁরা জানিয়েছেন।” রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, “এই হাসপাতালে মেলেনা অক্সিজেন, মেলেনা রক্ত, হয় না কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। হাসপাতালের ভর্তি হওয়ার পর অক্সিজেনের অভাবে হাঁসফাস অবস্থা হচ্ছে বয়স্ক রোগীদের। অথচ লোক দেখানো করে হাসপাতালের বিশাল বিল্ডিং রয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোনও রোগী এই হাসপাতালে (Hospital) আসলে রক্ত, অক্সিজেনের অভাবেই মারা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নজরই নেই।” অবিলম্বে পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    হাসপাতালের বিএমওএইচ কী বললেন?

    হাসপাতালের (Hospital) বিএমওএইচ সৌমিক দাস বলেন, “আমাদের পরিকাঠামোর মধ্যে যতটা পারা যায়, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, যে ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আর অক্সিজেন অনেক সময় না থাকলে পরিষেবা দিতে একটু সমস্যা হতে পারে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sonarpur: সুইমিং পুল, কচ্ছপ, সিসিটিভি কী নেই! জামালের বাড়ি না রিসর্ট বোঝাই মুশকিল

    Sonarpur: সুইমিং পুল, কচ্ছপ, সিসিটিভি কী নেই! জামালের বাড়ি না রিসর্ট বোঝাই মুশকিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনেই একটি ঝাঁ-চকচকে গেট, তাতে মার্বেল দিয়ে মোড়ানো। পাঁচিলে ঘেরা বিশাল জমি, তাঁর মধ্যেই নীল-সাদা রঙের সুবিশাল বাড়ি। বাড়ির গা ঘেঁষে আরও একটি বাড়ি। প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে ৫০টি সিসিটিভিতে মোড়ানো রয়েছে গোটা এলাকা। এই বাড়ির মালিক হলেন সোনারপুরকাণ্ডের (Sonarpur) মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিনের। বাড়িটি তাঁর শুধু বসত বাড়ি বললে ভুল হবে। বাড়ির ভিতরেই রয়েছে সুইমিং পুল, দেখে মনে হয় রিসর্ট। পাশের জলা জমিতে ঘোরা ফেরা করছে কচ্ছপ। শখ করে মাত্র কয়েকদিন আগেই এই প্রাণীটিকে নিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু এই তৃণমূল কর্মীর পেশা কী? কোথায় কাজ করেন? এত আয়ের উৎস কী? এই সব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    জমির দাদালি করেন জামাল(Sonarpur)

    তবে এলাকায় (Sonarpur) জামালের (Jamal Uddin Sardar) বিচার ছাড়া নাকি কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সালিশি সভার মূল বিচারক হিসেবে নিদান দিয়ে থাকেন তিনিই। নির্দেশ না শুনলে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন এক সময় মহুরির কাজ করতেন। কাজের সূত্রে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। তবে এখন আর মুহুরির কাজ করেন না। মূলত জমির দালালি করেন। জমি প্রোমোটিং, ফেরাজি জমি বিক্রি করা, বিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি এবং একই সঙ্গে স্থানীয় রাস্তাঘাট নির্মাণের সরকারি প্রকল্পের কাজে পরিচালনার কাজ করে থাকেন। কিন্তু কোন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা এই কাজের বরাত দিতেন, তা কেউ জানে না। তবে গ্রামের মানুষের অভিযোগ, টাকাপয়সা, প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলেন না। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে একাধিক বিয়ে জামালের। এক পুত্র এবং এক মেয়ে রয়েছে। পরিবারের আয় কে কে করেন, সেই বিষয়ে সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে সবরকম বেআইনি কাজ করে থাকেন জামাল।

    আরও পড়ুনঃ খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস

    এখনও অধরা জামাল!

    শিকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচারের ঘটনায় প্রথম মুখ খুলে প্রতিবাদী হয়েছেন রুজিনা বিবি। রুজিনার স্বামীকে শাস্তি স্বরূপ সারারাত উল্টো করে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করেন জামাল (Jamal Uddin Sardar)। স্বামীকে বাঁচাতে জামালের হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলে তাঁকেও পাল্টা অত্যাচার করা হয়। এদিকে ঘটনায় মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সরকার নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বারুইপুর (Sonarpur) আদালতে তোলা হয়েছে তাদের। অপর দিকে জামাল এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যে ভূরি-ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে এই জামালের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ঝোপ-জঙ্গলের আড়ালে রেজিনগর শিল্পতালুক! বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ জেলাবাসী

    Murshidabad: ঝোপ-জঙ্গলের আড়ালে রেজিনগর শিল্পতালুক! বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) রেজিনগর শিল্পতালুকে প্রবেশের পর অবস্থা দেখে যেন ঠিক চেনাই যাচ্ছে না। ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে যেন ঢেকে পড়েছে সাইন বোর্ড। প্রবেশ পথের লোহার গেটে মরিচা ধরে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের অনুমতি নিয়ে শিল্পতালুকের ভিতরে ঢুকে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম। করা হয়েছিল এখানে কর্মতীর্থ বাজার, কিন্তু একটিও দোকান চালু হয়নি। যাতায়েতের জন্য তৈরি হয়েছিল চার লেনের রাস্তা, কিন্তু তা এখন আগাছায় ঢেকে গিয়েছে। চারিদিকে পথবাতিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শিল্পতালুকের এই বেহাল দশায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী।

    ই-বাস কারখানা করার কথা ছিল (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সাধারণ সম্পাদক স্বপনকুমার ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রেজিনগরে ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ই-বাস কারখানা করার কথা ছিল। তাতে আমাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তারপর অবস্থার কোনও বদল ঘটেনি। আমরা চাই এখানে ভারী শিল্প আসুক।” আবার রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের এক আধিকারিক বলেছেন, “৩২০টি প্লটের মধ্যে ১৭০টি প্লট ফাঁকা রয়েছে। সেগুলি দেখে অনলাইনে অনেকে আবেদন করেছেন। এখনও পর্যন্ত চারটি ইউনিট কাজ চলছে। বাকিটা পুরোদমে চালু করার কাজ চলছে।”

    যদিও ২০২২ সালের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ‘কৌশিস ই মোবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেডে’ নামে একটি সংস্থা, প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘ই বাস’ কারখানা গড়ার কথা বলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এরপর দু’টি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে কিন্তু ‘ই বাস’ কারখানার কিছুই হয়নি। এই কারখানা বাস্তবে হবে কিনা তাই নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুনঃ রাইস পুলারই সাদ্দামের চোরাকারবারের মূল উৎস! অদ্ভুত ধাতব ব্যবসা কীভাবে চলত জানেন?

    কর্মসংস্থানের কোনও গতি হয়নি!

    শিল্পতালুকের (Murshidabad) পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে চকচকে জাতীয় সড়ক। কিছুটা দূরেই রয়েছে লালগোলা-শিয়ালদা রেলপথ। ২০০৮ সালে তৎকালীন বাম আমলে এই রেজিনগর এলাকায় পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম শিল্পতালুক গড়ে তুলে ছিল। ২০১১ সালের পরিবর্তনের পর তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও অবস্থার কোনও উন্নতি বা বিনিয়োগ দেখা যায়নি। এই ১৬ বছরে মাত্র দুটি ইউনিট ছাড়া আর কোনও প্রগতি দেখা যায়নি। আর তাই এই জেলার কর্মসংস্থানেরও কোনও গতি হয়নি বলে মনে করছেন জেলাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share