Author: user

  • Sonarpur: চোপড়ার ছায়া সোনারপুরে, জেসিবির পর তৃণমূল নেতা জামাল, পায়ে শিকল বেঁধে মহিলাকে অত্যাচার!

    Sonarpur: চোপড়ার ছায়া সোনারপুরে, জেসিবির পর তৃণমূল নেতা জামাল, পায়ে শিকল বেঁধে মহিলাকে অত্যাচার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার ছায়া যেন সোনারপুরে (Sonarpur)! সালিশি সভায় ডেকে মহিলাদের বাড়িতে নিয়ে তালিবানি কায়দায় শিকল দিয়ে বেঁধে, পাশবিক অত্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে। অন্যের জমি হাতিয়ে প্রাসাদের মতো বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ। এই এলাকার প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঙ্গুরে বাড়ি এই তৃণমূল কর্মীর। কোনও কাজ না করে কীভাবে এই সুবিশাল বাড়ি বানিয়েছেন তিনি, সেই প্রশ্নও রয়েছে এলাকাবাসীর মনে। ‘সালিশ কি সফা’ করে এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নির্মম অত্যাচার করেছেন এই তৃণমূল কর্মী। এরপর এই নির্যাতিতা মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। বিজেপি নেত্রীকে কাছে পেয়ে সাহস পেলেন এলাকাবাসীও। এরপর মহিলা শোনালেন সেই নির্মম অত্যাচারের বিবরণ।

    ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম (Sonarpur)!

    নির্যাতিতা মহিলা রশিদা বিবি এই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “এলাকায় (Sonarpur) জমিজমা কেনাবেচা, দাম্পত্য কলহ থেকে পারিবারিক সমস্যা সবকিছুরই সমাধান করে থাকেন জামাল। তাঁর হাত ছাড়া কোনও কাজ হয় না। আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। তাঁর বাড়ির মধ্যে মেঝেতে জায়গায় জায়গায় শিকল বাঁধার স্থান করা আছে। কখনও কখনও আবার বেঁধে উপর থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। সেই সঙ্গে চলত মারধর। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তাঁর বিরাট ভালো সম্পর্ক। সেই ভয় দেখিয়েই এলাকায় শাসন কায়েম করতেন জামাল। বাড়িতেই সালিশি সভা বসিয়ে তিনি বিচার করতেন। যারা তাঁর প্রস্তাবে রাজী হত না, তাদের উপর অত্যাচার চালানো হতো। এলাকার কোনও মহিলারাই তাঁর অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি।”

    শেখ শাহজাহানের উত্তরসূরী শেখ জামাল

    বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের সামনে এই ভাবের মহিলাদের উপর তালিবানি কায়দায় অত্যাচার করা হচ্ছে আর তিনি চুপ! শেখ শাহজাহানের উত্তরসূরী শেখ জামাল। এলাকায় দুর্নীতি করে লোকের জমি দখল করে মানুষের উপর অত্যচার করছেন তিনি। পুলিশ সব জেনে শুনেও চুপ। বাড়ির (Sonarpur) মহিলাদের তুলে নিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে অত্যাচার করা হয়েছে। এই রাজ্যে নারী সুরক্ষা বলে কিছু নেই। এই এলাকার বিজেপি কর্মীদের উপর ভোট পরবর্তী হিংসার নায়ক এই জামাল। অবিলম্বে কঠোর শাস্তি চাই এই তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে।”

    আরও পড়ুনঃ ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের নেপথ্যে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠরা, বলছেন স্থানীয়রা

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Sonarpur) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক লাভলী মৈত্র মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, “জামাল সর্দার তৃণমূলের কেউ নন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। প্রশাসনকে বলব ব্যবস্থা নিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকেও থোড়াই কেয়ার, তৃণমূলকে ‘তোলা’ দিয়েই স্ট্যান্ডে টোটো দাঁড়ানোর ছাড়পত্র

    Jalpaiguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকেও থোড়াই কেয়ার, তৃণমূলকে ‘তোলা’ দিয়েই স্ট্যান্ডে টোটো দাঁড়ানোর ছাড়পত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের তোলাবাজি না করার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা দলনেত্রীর নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে রমরমিয়ে তোলাবাজি করছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িসহ একাধিক এলাকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। মোটা টাকা দিলে তবে মিলবে টোটো চালানোর ছাড়পত্র। টোটো চালকদের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিই খোদ এই অভিযোগ করেছেন। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে শাসক দল।

    টোটো চালানোর ছাড়পত্র পেতে ৫০০০ হাজার টাকা তোলা (Jalpaiguri)

    কেউ যদি নতুন টোটো কিনে স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে চান, প্রথমেই তাঁকে ১৫০০ থেকে ৫০০০টাকা পর্যন্ত তোলা দিয়ে ওই নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে নাম লেখাতে হবে। এরপর রুট পারমিট দেওয়া হবে। নইলে যাত্রী নিয়ে ওই রুটে যাতায়াত করতে পারবেন না। প্রতি মাসে চাঁদা দিতে হবে। ২১ শে জুলাই সহ তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে চাঁদা লাগবে। নইলে টোটো চালাতে পারবেন না। স্ট্যান্ডে দিনে ২০ টাকা করে দিতে হবে। ময়নাগুড়ির এক টোটো চালক বলেন, “আজ থেকে আট বছর আগে ঋণ নিয়ে টোটো রিক্সা কিনেছিলাম। এরপর স্ট্যান্ডে ১৬৫০টাকা চাঁদা দিতে হয়েছিল। নইলে টোটো চালাতে দেওয়া হতো না।” জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা সহ সব জায়গায় চলছে তোলাবাজির কারবার।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    ২১ জুলাইয়ের নামে টাকা তোলা হচ্ছে

    তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি তপন দে বলেন, “ময়নাগুড়ি, নাগরাকাটা (Jalpaiguri) প্রভৃতি ব্লকে টোটো চালক কাছ থেকে ২১ জুলাইয়ের নামে টাকা আদায় করা হচ্ছে। যা দলের নিয়ম বহির্ভূত। রাজ্য বা জেলা কমিটি কাউকে টাকা তুলতে বলেনি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ময়নাগুড়ির তৃণমূল (Trinamool Congress) টোটো ইউনিয়নের যে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অভিজিৎ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “হ্যাঁ আমরা টাকা নিয়েছি। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে টোটো চালকদের ওয়েলফেয়ার করা হয়।”

    কটাক্ষ বিজেপির

    বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “তৃণমূলের (Trinamool Congress) সারা বছর ২১ শে জুলাই। তাঁদের যে কোনও কায়দায় তোলা তুলতেই হবে। আমরা এইসব নিয়ে বহুবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 77: “মা আমায় এখানে আনালি কেন? আমি কি এদের বেড়ার ভিতর থেকে রক্ষা করতে পারব?”

    Ramakrishna 77: “মা আমায় এখানে আনালি কেন? আমি কি এদের বেড়ার ভিতর থেকে রক্ষা করতে পারব?”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ কথোপকথন

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়, নবানি গৃহ্ণাতি নরোহপরাণি

    তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যান্যানি সংযাতি নবানি দেহী।।(গীতা/২২)

    কেশব দেখিলেন, ঘরের মধ্যে অনেক লোক, ঠাকুরের (Ramakrishna) কষ্ট হইতেছে। বিজয় তাঁহাকে ত্যাগ করিয়ে গিয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজভুক্ত হইয়াছেন ও কন্যার বিবাহ ইত্যাদি কার্যের বিরুদ্ধে অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন, তাই বিজয়কে দেখিয়া কেশব একটু অপ্রস্তুত। কেশব আসন ত্যাগ করিয়া উঠিলেন, ঘরের জানালা খুলিয়া দিবেন।

    ব্রাহ্মভক্তেরা একদৃষ্টে চাহিয়া আছেন। ঠাকুরের সমাধি ভঙ্গ হইল। এখনও ভাব পূর্ণমাত্রায় রহিয়াছে। ঠাকুর আপনা-আপনি অস্ফুটস্বরে বলিতেছেন, মা আমায় এখানে আনালি কেন? আমি কি এদের বেড়ার ভিতর থেকে রক্ষা করতে পারব?

    ঠাকুর (Ramakrishna) কি দেখিতেছেন যে, সংসারী ব্যক্তিরা বেড়ার ভিতরে বদ্ধ, বাহিরে আসিতে পারিতেছে না, বাহিরের আলোকেও দেখিতে পাইতেছে না—সকলের বিষয়কর্মে হাত-পা বাঁধা। কেবল বাড়িতে ভিতরের জিনিসগুলি দেখিতে পাইতেছে আর মনে করিতেছে যে, জীবনের উদ্দেশ্যে কেবল দেহ-সুখ ও বিষয়কর্ম, কামিনী ও কাঞ্চন? তাই কি ঠাকুর এমন কথা বলিতেছেন, মা আমায় এখানে আনলি কেন? আমি কি এদের বেড়ার ভিতর থেকে রিক্ষা করতে পারব?

    ঠাকুরের ক্রমে বাহ্যজ্ঞান হইতেছে। গাজীপুরের নীলমাধববাবু ও একজন ব্রাহ্মভক্ত পওহারী বাবার কথা পড়িলেন (Kathamrita)।

    একজন ব্রাহ্মভক্ত (ঠাকুরের প্রতি)—মহাশয়, এঁরা সব পওহারী দেখেছেন। তিনি গাজীপুরে থাকেন। আপনার মতো আর-একজন।

    ঠাকুর এখনও কথা কহিতে পারিতেছেন না। ঈশৎ হাস্য করিলেন।

    ব্রাহ্মভক্ত (ঠাকুরের প্রতি)—মহাশয়, পওহারী বাবা নিজের ঘরে আপনার ফটোগ্রাফ দিয়েছেন।

    ঠাকুরের ঈষৎ হাস্য করিয়া, নিজের দেহের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিলেন (Kathamrita), খোলটা!

    আরও পড়ুনঃ “বৃন্দাবনে নতুন যাত্রী গেলে ব্রজ বালকেরা বলতে থাকে, হরি বোলো গাঁঠরী খোলো”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমে বিবাহের সময় বরের হাতে ছুরি থাকে, বাংলাদেশে জাঁতি থাকে”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

    TMC Clash: মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Clash)। অভিযোগ, উত্তর কলকাতার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের (Sunanda Sarkar) হাতে মার খেলেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার সরকার। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বড়তলা থানা ঘেরাও করেন কেদার অনুগামীরা। কাউন্সিলরও ঘটনা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেই খবর।

    ঠিক কী জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা? (TMC Clash)

    কানাঘুষো শোনা যায়, রাজ্যের মন্ত্রী তথা শ্যামপুকুর বিধানসভার বিধায়ক শশী পাঁজার ঘনিষ্ঠ যুবনেতা কেদার দাস। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল করেন। ২১শে জুলাইয়েরও সমস্ত দায়িত্ব কেদারের হাতেই ন্যাস্ত করেছিলেন শশী। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সুনন্দার দ্বন্দ্ব চলছিল। তবে এদিনের এই ঘটনা যেন সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে শোভাবাজারের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা শুরু হয় কাউন্সিলর ও যুবনেতার মধ্যে। কথা চলতে চলতেই অচমকাই সুনন্দা কেদারের গালে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছিলেন কেদার ও তাঁর অনুগামীরা। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সুনন্দা সেখানে যান। তারপর দুজনের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। এরপরেই ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ঠাঁটিয়ে চড় মারেন (TMC Clash) ওই ওয়ার্ডেরই যুব সভাপতি কেদার দাসকে। শাড়ি পরেই সুনন্দাকে কার্যত তেড়েমেড়ে ছুটে যেতে দেখা যায় কেদারের দিকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই যুবনেতা। আর তারই ফলস্বরূপ এই চড়। 

    কেদার দাসের বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে কেদার দাস বলেন, “এখানে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি বলে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আমায় মারা (TMC Clash) হয়েছে। এখানে প্রোমোটিং, গাঁজা, জুয়ার বেআইনি কারবার চলত। আমরা প্রতিবাদ করি। এরপর দুপুর নাগাদ কাউন্সিলর আমায় ফেলে মেরেছে।” 

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে নয়, ফের বলিউড ছবির সুবাদে মুম্বইয়ে পাড়ি প্রসেনজিৎ-এর

    সুনন্দার পালটা দাবি (Sunanda Sarkar) 

    কেদারের এই মন্তব্যের পর সুনন্দার পালটা দাবি, কখনওই কেদারকে থাপ্পড় মারা (TMC Clash) হয়নি। ‘‘কেদার আসলে একজন সমাজবিরোধী। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করছিল। তা জানতে পেরেই ওখানে যাই। কেদারের হাতে লাঠি ও ইট ছিল। আমি সেগুলো কেড়ে নিতে যাই। সেই কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যকেই ওরা থাপ্পড় মারা হিসাবে তুলে ধরছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেদার। ওর অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না। তাই প্রতিবাদ করেছি।’’ 
    এ প্রসঙ্গে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “এই আচরণ (TMC Clash) প্রকাশ্যে হওয়া উচিৎ নয়। এই দৃশ্য ঠিক নয়। একটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। যদি কেদারের দোষও থাকে, তবুও এটা হতে পারে না। জেলা নেতৃত্বকে বলব বিষয়টা দেখতে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের নেপথ্যে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠরা, বলছেন স্থানীয়রা

    Bhangar: ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের নেপথ্যে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠরা, বলছেন স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে (Bhangar) চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতারও করেছে। উল্লেখ্য সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের ঘটনায় তাদের দেখা গিয়েছে। এবার স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ভাঙড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন এই গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ। গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান থেকে শুরু করে চোপড়ার জেসিবি, কামারহাটির জয়ন্ত সিং-এর মতোই ভাঙড়েও তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের চিত্র আরও একবার সামনে উঠে এসেছে। রাজ্যের শাসক দলের দুষ্কৃতীদের পুলিশ প্রশাসনের একাংশ সংরক্ষণ দেয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

    বেঁধে মারধর করা হয়েছিল (Bhangar)!

    স্থানীয় ব্যক্তি কলিম শেখ গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায়, তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে বলেছেন, “ঘটনা ঘটেছিল ৭ জুলাই, মৃতের নাম আজগর মল্লিক। ভাঙড় (Bhangar) থানার অন্তর্গত ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তিনি। ভাঙড় বাজার এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। চোর সন্দেহে তাঁকে প্রথমে বেঁধে রাখা হয়। এরপর স্থানীয় বাজার সমিতির শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা তাঁকে মারধর করে। এরপর নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়, ঠিক তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতেই এই ভাবে একজনকে অকালে মরতে হল।”

    ফের চোর সন্দে গণপিটুনির ভিডিও ভাইরাল

    ভাঙড়ে (Bhangar) চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর পর ছেলে ধরা সন্দেহে এবার ফের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ৯ জুলাই মঙ্গলবার, ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের পেরানগঞ্জ অঞ্চলের সাইআইটি এলাকায়। মূল অভিযোগ, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বানিয়ারা এলাকার এক ব্যক্তি মহিবুল মোল্লা, তাঁর বোনের বিবাহর জন্য ঘোষপুর এলাকার এক ঘটকের সঙ্গে ছেলে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই এলাকার একটি ক্লাবের সামনে একটি গাছের তলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর সেই সময় কিছু মানুষ তাঁকে ছেলে ধরা সন্দেহে আটকে রাখে। এরপর এলাকার তৃণমূলের বুথের সেক্রেটারি শেখ হাবিব (পলাশ) সহ বেশ কয়েকজন এসে বেধড়ক মারধর করে। এই দৃশ্যের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আহত মহিবুল মোল্লার ভাই সাইদুর রহমান মোল্লা। এরপর তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত ভাঙড় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয় যাদবপুর সংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ারদার বলেছেন, “শুধু ভাঙড় (Bhangar) নয় গোটা রাজ্যজুড়েই এই ভাবেই চলছে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি। দিনের পর দিন এখানে পুলিশ প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বিরোধীদের মিথ্যে মামলা দিচ্ছে পুলিশ আর তৃণমূলের গুন্ডাদেরকে সহায়তা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সরকারি দফতরে তৃণমূলের মদতে নির্বিচারে কাটা পড়ল গাছের ডাল, প্রতিবাদে বিজেপি

    Nadia: সরকারি দফতরে তৃণমূলের মদতে নির্বিচারে কাটা পড়ল গাছের ডাল, প্রতিবাদে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও অফিসের ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে ফুটবল খেলার মাঠ। এই খেলার মাঠের চারিদিকে রয়েছে বড় বড় আমগাছ। সেই আম গাছের ডাল নির্বিচারে কাটা হয়েছে । এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অরণ্য সপ্তাহ চলছে। অরণ্য সপ্তাহ পালনের মধ্যে এইভাবে ব্লক প্রশাসনের ভিতর যেভাবে গাছের ডালগুলি কাটা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের (Trinamool Congress) মদতেই এসব হয়েছে। এমনই অভিযোগ বিজেপির।

    কাটমানি নিয়ে গাছ চুরির অনুমতি! (Nadia)

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠ পরিষ্কারের নামে যেভাবে কৃষ্ণগঞ্জের (Nadia) বিডিও অফিস চত্বরে গাছগুলির ডাল কাটা হয়েছে, এটা কখনও কাম্য নয়। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অমিত প্রামাণিক বলেন, কীভাবে অফিস ক্যাম্পাসের মধ্যে গাছগুলিকে কাটা হয়েছে, বন দফতর কীভাবে গাছগুলি ন্যাড়া করার অনুমতি দেয়। না আদৌ এই ন্যাড়া করার পিছনে অন্য কারণ লুকিয়ে আছে? তিনি আরও বলেন, তৃণমূল সরকারের আমলে কয়লা চুরি, বালি চুরি, চাকরি চুরির পর এবার গাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল নেতারা কাটমানি নিয়ে গাছ চুরির অনুমতি দিয়েছে। আমাদের দাবি, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    প্রতিবাদে সরব পরিবেশপ্রেমী

    পরিবেশপ্রেমী (Nadia) স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, কোনও অবস্থাতেই এইরকমভাবে ফলন্ত গাছের ডাল কাটা যায় না। গাছের ডাল যেভাবে কাটা হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই অধিকাংশ গাছ মারা যাবে। প্রতিবছর টেন্ডারের মাধ্যমে বিডিও অফিস থেকে এই আম গাছগুলির ফল বিক্রি করা হয় অর্থাৎ লিজ দেওয়া হয়। যে বা যারা এই গাছের ডাল নির্মমভাবে কাটার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত করে করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী তথা কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাকলি দাস বলেন, মাঠের সৌন্দর্যায়নের জন্য গাছের ডাল কাটা হয়েছে। বিজেপির লোকেরা উন্নয়ন দেখতে পান না বলেই তাঁরা এই সমস্ত অভিযোগ করছেন। যে ডালগুলি কাটা হয়েছে, সেগুলি আইন মাফিক করা হয়েছে। গাছের কাটা ডাল টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WBSSC: ২৬ হাজার চাকরি মামলায় সিদ্ধান্ত হল না সুপ্রিম কোর্টে, পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত

    WBSSC: ২৬ হাজার চাকরি মামলায় সিদ্ধান্ত হল না সুপ্রিম কোর্টে, পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির (WBSSC) মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া ২৬ চাকরি বহাল থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়েই মঙ্গলবার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে এ দিন দেশের শীর্ষ আদালতে কোনও রকম সিদ্ধান্ত হল না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মঙ্গলবার সকালে উঠেছিল এই মামলা। প্রধান বিচারপতি এদিন জানান, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে তারপরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে। সুপ্রিম কোর্টের এই পাঁচ পক্ষ হল, রাজ্য সরকার, এসএসসি (WBSSC), সিবিআই, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক চলছে তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে। অর্থাৎ অগাস্টের শুরুতেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, এ দিন সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হতে রাজ্য সরকার আবেদন জানায় যে তারা এ সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিতে চায়। এরপরে এসএসসিও সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, তারাও হলফনামা জমা দিতে ইচ্ছুক। পরবর্তীকালে দু পক্ষের বক্তব্য শুনে নোডাল কাউন্সিলার নিয়োগ করার কথা বলে দেশের শীর্ষ আদালত।

    এপ্রিলে গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ২০১৬ সালের এসএসসির (Supreme Court) নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রশিদের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের ফলে চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর। সুপ্রিম কোর্ট গত ৭ মে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সে সময়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধেও তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকল।

    যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার কথা বলেছিল এসএসসি (WBSSC)

    প্রসঙ্গত, সে সময়ে এসএসসির (WBSSC) তরফে সুপ্রিম কোর্টে মৌখিকভাবে জানানো হয়, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯ হাজার যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এসএসসির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিভাবে আলাদা করছেন আপনারা? এটা করার মতো কোনও তথ্য বা নথি আপনাদের কাছে রয়েছে কি? এর উত্তরে এসএসসির আইনজীবী জানান, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডেটা দেখা সম্ভব হলেই যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব। এখন তাই ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, এতদিনে কি যোগ্য আর যোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হয়েছে? কারণ তার ওপরে নির্ভর করছে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। ফলে আগামী শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Singur: সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    Singur: সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আরও একটি বর্ষার মরসুম চলছে, কিন্তু সিঙ্গুরের (Singur) জমির একাংশে এখনও চাষের কাজ শুরু হয়নি। জমির মালিকরা এখনও চাষ করতে পারেননি। উল্লেখ্য এই জমিতে সিপিএম টাটার কারখানা করতে চেয়েছিল, কিন্তু জমি আন্দোলনের চাপে তা হয়নি। ক্ষমতায় এসে তৃণমূল নেত্রী ওই জমিতে সর্ষে ফেলেছিলেন, দিয়েছিলেন জমি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। এখন জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল নেতারাই চাষের যোগ্য জমি এবং শিল্প চেয়ে সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই বিস্ফোরক দাবিতে সিঙ্গুরে উলট পুরাণ!

    তৃণমূল নেতা ‘শিল্প’ চান (Singur)!

    সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পরিচিত মুখ তথা তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধাড়া বলেছেন, “জমিকে চাষযোগ্য করার জন্য কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ থমকে গিয়েছে। এবার এই কাজ শুরু হোক। এই নিয়ে ঘরোয়া ভাবে আমরা ইতিমধ্যে পাঁচটি বৈঠক করেছি। বৈঠকে সকলে একমত হয়েছেন যে ওই জমির একাংশে আর চাষ করা সম্ভব নয়। তাই ওই অংশে কোনও শিল্পোদ্যোগী শিল্প করুক আর বাকি অংশে চাষ হোক। এই জমি চাষযোগ্য করে দিতে রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন করব।” উল্লেখ্য এই তৃণমূল নেতারা কারখানা চাইছেন আবার চাষযোগ্য জমিও চাইছেন। অপরে সিঙ্গুরের মাটিতে কারখানা চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জমি বাঁচাও আন্দোলনের নামে কারখানার বিরোধিতা করেছিলেন তখন, ফলে চাষ বা শিল্প কোনটাই জোটেনি সিঙ্গুরবাসীর কপালে।

    ১২টি কালভাট ছাড়া কোনও কাজ এগোয়নি

    সিঙ্গুরের চাষিরা বলেছেন, “গোপাল নগর, খাসেরভেড়ি এবং সিংহেরভেড়ির ওই জমিতে মূল কারখানা (Industry) হয়েছিল। ওই অংশের জমি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। সরকার জমির চেহারা ফেরাতে ডিনামাইট ফাটিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। ফলে জমিতে কোঁদলে উঠে আসছে কংক্রিট। একই ভাবে সেচের জন্য নিকাশি ১২টি কালভাট তৈরি হলেও আর কোনও কাজ এগোয়নি। তাই এই বর্ষায় জমিতে চাষ করতে না পারায় সকলের মনে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।” আবার সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলছেন, ‘‘যাঁরা এই আবেদন করবেন, নিশ্চিত ভাবে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কর্তা বলেছেন, “সিঙ্গুরের (Singur) ওই জমিতে যে সমস্যা আছে তা দূর করতে আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথমে বর্ষা ও পরে নির্বাচনের কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। সেই কাজের পরিকল্পনা এখনও রয়েছে। তবে কেউ পরামর্শ দিলে ভেবে দেখার সুযোগ রাখব।”

    আরও পড়ুনঃইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    মমতার প্রতিশ্রুতি ছিল চাষযোগ্য করে দেবো

    বাম আমলে টাটার গাড়ি কারখানার (Industry) জন্য সিঙ্গুরে (Singur) প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালে এই অধিগ্রহণকে অবৈধ জানিয়ে জমি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই জমিকে চাষযোগ্য করে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজ শুরু হলেও অর্ধেকের বেশি জমি এখনও চাষের অযোগ্য বলে চাষিদের একাংশের দাবি। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন এই দাবি ঠিক নয় বলে মানতে নারাজ। প্রশাসনের দাবি মাত্র অল্প পরিমাণ জমি চাষের আওতার বাইরে আছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস

    South 24 Parganas: খাটের নীচেই মিলল গোপন সুড়ঙ্গ, কুলতলিতে সাদ্দামের পর্দাফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকল সোনা বিক্রির চক্রের পান্ডা কুলতলির পয়তারহাটে সাদ্দাম সর্দারের ডেরায় হানা দিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। খাটের নীচে হদিশ মিলল বিশাল সুড়ঙ্গের। অতীতে রাজা বাদশাহ, সুলতানদের বাসভবনে এই ধরনের সুড়ঙ্গের কথা শোনা যেত। সেসব সুরঙ্গে আজও অনেকের কাছে কৌতুহল জাগায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পয়তারহাটে বসেই দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নকল সোনার কারবার চালাচ্ছিল প্রতারক সাদ্দাম সর্দার, তার ভাই সায়রুল-সহ গোটা পরিবার। কিন্তু, শুধুই কি সোনা পাচার? নাকি তলায় তলায় চলত দুর্নীতির এক বিরাট চক্র ? উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে জাল টাকার ব্যবসার আশঙ্কার কথাও।

    কেন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল? (South 24 Parganas)

    পুলিশ সূত্রে খবর, নকল সোনা বিক্রির পাশাপাশি, জাল নোট চক্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল কুলতলির (South 24 Parganas) সাদ্দামরা। খাটের নীচেই তাই কাটা হয়েছিল সুড়ঙ্গ। যাতে লোকচক্ষুর আড়াল দিয়েই বেরিয়ে যাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর ধরে নকল সোনার মূর্তির কারবারে হাত পাকিয়ে ফেলেছিল তারা। ক্রেতাদের টোপ দিয়ে কুলতলির ডেরায় ডেকে মারধর করে টাকা লুট করায় সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিল এই পরিবার। ছিল জাল নোটের কারবারও। গ্রেফতারের পর এই সব তথ্য স্বীকার করেছে সাদ্দাম ও সায়রুলের স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    কীভাবে খোঁজ মিলল এই সুড়ঙ্গের?

    সাদ্দামের বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানো হয়। ঘরের ভিতরে খাট সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গের মুখটা খুব একটা বড় নয়। তবে, সেই সুরঙ্গের মুখে একটি গেটও রয়েছে। সেই সুরঙ্গ সোজা গিয়ে পড়েছে খালের জলে। আর সেই খালে রাখা থাকত ডিঙি নৌকা। পুলিশ তাড়া করলে সেই খাল পথেই পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল অভিযুক্তদের। সেই খালের সঙ্গে যোগ রয়েছে মাতলা নদীর। সেই পথে বাংলাদেশে বা অন্য দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এদিকে ঘরের মধ্যে এই সুরঙ্গ দেখে কার্যত হতবাক পুলিশ কর্তারাও। সূত্রের খবর, কুলতলিতে নকল সোনার কারবার চলছে বলে পুলিশ খবর পেয়েছিল। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশ ওই গ্রামে গেলে পুলিশের ওপর সাদ্দামের লোকজন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে সাদ্দামের ভাই গুলি চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে, বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। ততক্ষণে বেপাত্তা সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা। এরপর সাদ্দামের বাড়িতে যায় পুলিশ। আর সেখানে সাদ্দামের খাট সরাতেই বেরিয়ে এল সুড়ঙ্গ। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে সুড়ঙ্গ একদিনে তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। দিনের পর দিন সময় লেগেছে কংক্রিটের সুড়ঙ্গ তৈরি করতে। কিন্তু, তারপরেও কেন জানতে পারল না পুলিশ? আর সেই সুড়ঙ্গে মুখটা খোলা রয়েছে। তারপরেও তা জানতে পারল না পুলিশ।

    সাদ্দামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল যন্ত্র

    কুলতলির (Kultuli) সাদ্দামদের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে একটি যন্ত্র। মনে করা হচ্ছে, এই যন্ত্র দিয়ে ধাতু গলানো হত। আসলে লোক ঠকানোর জন্য নানা পদ্ধতি নিত সাদ্দামরা। বড় টিম কাজ করত। সোনা বলে ভুল বুঝিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করত তারা। সোনার মূর্তি, সোনার কয়েনের নাম করে এরা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিত। এরপর পুলিশ বিরাট বাহিনী নিয়ে কুলতলি (Kultuli) এলাকায় যায়। আর সেই অভিযানে মিলল সুড়ঙ্গ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath temple: দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়! জানালেন কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি

    Kedarnath temple: দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়! জানালেন কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে খাড়াই-বন্ধুর পথ অতিক্রম করে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ (Kedarnath temple) যান ভক্তরা। তবে এবার থেকে আর মহাদেবের দর্শনের জন্য কেদারনাথ পাড়ি দিতে হবেনা, কারন এবার দিল্লিতেই দর্শন হবে কেদারনাথের। গত বুধবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ঘোষণা করেছেন, এবার দেশের রাজধানীতেই কেদারনাথ দর্শন সম্পন্ন হবে। দিল্লির বুরারিতে ৩ একর জমির ওপর মন্দির তৈরি করছে কেদারনাথ দিল্লি ধাম ট্রাস্ট। ধামীর মতে, দিল্লির কেদারনাথ মন্দির ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করবে। 

    দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়

    এ প্রসঙ্গে রবিবার কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি সুরিন্দর রাউতেলা বলেছেন, ”দিল্লিতে তৈরি করা কেদারনাথ মন্দিরটি (Kedarnath temple) একটি মন্দির হিসেবে তৈরি হবে, এটি কোনও ধাম নয় এবং এর সাথে উত্তরাখণ্ড সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। পুষ্কর সিং ধামী এই মন্দিরের ভূমি পুজোর জন্য আমাদের অনুরোধে দিল্লি এসেছিলেন। এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। মন্দিরটি ট্রাস্টিদের সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে। উল্লেখ্য এই ট্রাস্টিদের মধ্যে অনেকেই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।”   
    এছাড়াও তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন শহরে বিখ্যাত ধামের নামে ইতিমধ্যেই অনেক মন্দির তৈরি করা হয়েছে, তা ইন্দোরের কেদারনাথ মন্দির হোক বা মুম্বইয়ের বদ্রিনাথ মন্দির। এই মন্দিরগুলিও উদ্বোধন করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত।”

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প! নিজেই ঘোষণা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম

    সুরিন্দর রাউতেলার বার্তা 

    উল্লেখ্য, ১০ জুলাই, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বুরারির কাছে হিরাঙ্কি পাড়ায় এই মন্দিরের ভূমি পূজায় অংশ নিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। ওইদিন সেখানে নতুন কেদারনাথ মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। নয়া এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath temple) পুরোহিতরা। এ প্রসঙ্গে  সুরিন্দর রাউতেলা বলেছেন, “দিল্লিতে নির্মিত মন্দিরের নাম শ্রী কেদারনাথ ধাম রাখার বিষয়ে ইতিমধ্যেই যে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা এড়ানো উচিত। কিছু নেতা তাদের রাজনৈতিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ধাম ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। আমরা শুধু দিল্লিতে একটি মন্দির তৈরি করছি। এর আগে ভারতের বিভিন্ন শহরে এরকম বিভিন্ন মন্দির তৈরি রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share