Author: user

  • CV Ananda Bose: রাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার, রাজভবনে একটিও বিল আটকে নেই, বললেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার, রাজভবনে একটিও বিল আটকে নেই, বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পাঠানো বিল আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যের একাধিক বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সম্প্রতি  এই ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সোমবার রাজ্যের অভিযোগের পালটা মুখ খুললেন রাজ্যপাল। বললেন, ”রাজভবনে একটিও বিল নেই, এই অভিযোগ ভুল।” 

    সরকারের অভিযোগ

    রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, বিধানসভায় পাশ করা আটটি বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আদালতে রাজভবনে (Raj Bhavan) বিল আটকে রাখা নিয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী আস্থা শর্মা এই পিটিশন দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল ওই বিলগুলি আটকে রেখে সংবিধানের ২০০ নম্বর বিধি ভঙ্গ করছেন। এটা সংবিধান বিরোধী। 

    রাজ্যপালের মন্তব্য (CV Ananda Bose)

    রাজ্যের এই অভিযোগের পরেই এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ”রাজ্য সরকারের পাঠানো ৮টি মধ্যে ৬ টি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর কাছে সেই বিলগুলি এখনও রয়েছে। একটি এখনও বিবেচনা করা হচ্ছে, আর অষ্টম বিলটিতে বেশ কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। তার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভুল। কারণ রাজভবনে (Raj Bhavan) একটিও বিল আটকে নেই।”

    আরও পড়ুন: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার আধারে বায়োমেট্রিক যোগ!

    প্রসঙ্গত, যে ৮টি বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে সেগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ পশু এবং মৎসবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন(সংশোধনী) বিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন(সংশোধনী) বিল এবং পশ্চিমবঙ্গ নগর পরিকল্পনা এবং নগরোন্নয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন (সংশোধনী) বিল। এই সমস্ত বিলের মধ্যে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন ৬টি পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়। আর বাকি দুটি বিল সিভি আনন্দের (CV Ananda Bose) সময়ে পাশ হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, রাজ্যের দায়ের করা পিটিশন নিয়ে এতদিন চুপ ছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এদিন তিনি সমস্ত অভিযোগের জবাব দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WhatsApp: আসছে হোয়াটসঅ্যাপের ট্রান্সলেশন ফিচার, পছন্দের ভাষায় চ্যাট করা যাবে এবার

    WhatsApp: আসছে হোয়াটসঅ্যাপের ট্রান্সলেশন ফিচার, পছন্দের ভাষায় চ্যাট করা যাবে এবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিনিয়ত হোয়াটসঅ্যাপ মজাদার এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত, মেসেজিং অ্যাপের দুনিয়ায় সবথেকে বেশি ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম হল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। প্রতিদিনই কিছু না কিছু নতুন ফিচার (New Chat Translation Feature) যোগ হচ্ছে অ্যাপে। এবার সেরকমই একটি দারুণ অপশন যুক্ত হতে চলেছে চ্যাট অপশনে। এর ব্যবহারে আপনি যে কোনও ভাষায় চ্যাট অনুবাদ করে পাঠাতে পারবেন। হিন্দি, স্প্যানিশ, রাশিয়ান ইত্যাদি যেকোনও ভাষার চ্যাট সহজেই অনুবাদ করা যাবে। ইউজারদের জন্য চ্যাট ট্রান্সলেশন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ।

    কীভাবে কাজ করবে এই ফিচার (WhatsApp)? 

    জানা গিয়েছে, চ্যাটে রিয়েল টাইম ট্রান্সলেশনের (New Chat Translation Feature) সুবিধা পাওয়া যাবে। চ্যাট অপশনেই যোগ হবে একটি আইকন। তাতে ক্লিক করলে ‘Read your message in your preferable language’ লেখা দেখা যাবে। এই জায়গাতেই একাধিক ভাষার বিকল্প থাকবে বলে জানিয়েছে মেটা। ইউজারের যে ভাষাটি পছন্দ সেটি সিলেক্ট করতে পারবেন। তারপর অপর প্রান্ত থেকে যা মেসেজ আসবে, তা আপনার সিলেক্ট করা ভাষায় অনুবাদ হয়ে যাবে। এরফলে ব্যবহারকারীদের অনেক সুবিধাই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ফিচারটি এখনই চালু হচ্ছে না

    তবে মেটা আরও জানিয়েছে, ফিচারটি (WhatsApp) এখনই চালু হচ্ছে না। বিটা ভার্সনে পরীক্ষা করা হচ্ছে এই ফিচার। প্রত্যেকটি ফিচার রোল আউট করার আগে তার পরীক্ষা করে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। তারপর পরবর্তী আপডেটের সঙ্গে এটি রোল আউট করা হয়। এই ফিচারটির সুবিধা নিতে চাইলে লেটেস্ট ভার্সনে হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট (New Chat Translation Feature) করে রাখতে হবে। তবে শোনা যাচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের সব আঞ্চলিক ভাষার সাপোর্ট থাকবে না। ভারতীয় ভাষার মধ্যে শুধুমাত্র হিন্দির অপশনই কেবল পাওয়া যাবে প্রথমে। এছাড়াও ইংরেজি, পোর্তুগিজ, স্প্যানিশ, রাশিয়ান, আরবি ভাষার অপশন থাকবে। পরে ধীরে ধীরে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলিক ভাষা যুক্ত হতে পারে অ্যাপে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vertical Lift Sea Bridge: এই ধরণের সেতু ভারতের এই প্রথম, জানুন নতুন পামবান সেতুর বৈশিষ্ট্য

    Vertical Lift Sea Bridge: এই ধরণের সেতু ভারতের এই প্রথম, জানুন নতুন পামবান সেতুর বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে একটি নতুন পামবান সেতু (Pamban Bridge) শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। এটি হবে ভারতের প্রথম ‘ভার্টিক্যাল লিফট ব্রিজ” (Vertical Lift Sea Bridge) । কেন্দ্র সরকারের তরফে পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, “প্রস্তাবিত ২.০৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন পামবান সেতু তীর্থযাত্রী এবং ভক্তদের জন্য একটি আশীর্বাদে পরিণত হতে চলে।ছে যারা তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরম ও ধনুষকোডি বেড়াতে কিংবা আধ্যাত্মিক সফর করতে যাবেন তাঁরা নতুন ব্রিজ চালু হলে উপকৃত হবেন।” জানা গেছে আগামী দু মাসের মধ্যে শুরু হবে এর ট্রায়াল রান।

    ৫৩৫ কোটি টাকায় তৈরি ভারতের প্রথম “ভার্টিক্যাল লিফট রেলওয়ে সি-ব্রিজ” (Vertical Lift Sea Bridge)

    নতুন সেতু (Pamban Bridge)  ভারতের মন্ডপম শহরকে পামবান দ্বীপ এবং রামেশ্বরমের সঙ্গে যুক্ত করবে। পুরোনো শতাধিক প্রাচীন ব্রিটিশদের নির্মিত ব্রিজকে প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করবে নয়া ব্রিজ। ভারতের প্রথম “ভার্টিক্যাল লিফট রেলওয়ে সি ব্রিজ” (Vertical Lift Sea Bridge) তৈরি করতে রেল বিকাশ নগম লিমিটেডের ৫৩৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ভার্টিকাল লেফট ব্রিজ বর্তমান ব্রিজের তুলনায় ৩ মিটার বেশি উচ্চতা সম্পন্ন হবে। এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত থাকবে। এই ব্রিজের কাজ প্রায় ৯০% সম্পন্ন হয়েছে বলে রেলসুত্রের খবর।

    ২০১৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালে এই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটিকে দুই দিকগামী রেল লাইন রেললাইন এবং ভবিষ্যতের বিদ্যুতায়নের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ব্রিজে ১৮.৩ মিটার লম্বা গার্ডার এবং ৯৯ টি স্পেন থাকবে। এর নেভিগেশনাল স্প্যান হবে ৬৩ মিটার। নতুন পামবান সেতুর সবচেয়ে অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এর উল্লম্ব লিস্ট সুবিধা (Vertical Lift Sea Bridge)। ফলে সময়-সময় নৌকা গুলি সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    নতুন সেতুটিকে আগের তুলনায় আরো মজবুত বলে দাবি করা হয়েছে। আগের সেতুটি এখন আর চালু নেই। ওই সেতুর (Pamban Bridge) সেন্সরগুলি রেড অ্যালার্ট পাঠানো শুরু করার পর, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সেতুর ওপর রেল চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CUET-UG: ১৯ জুলাই ১ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার পুনরায় সিইউইটি (ইউজি) পরীক্ষা নেবে এনটিএ

    CUET-UG: ১৯ জুলাই ১ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার পুনরায় সিইউইটি (ইউজি) পরীক্ষা নেবে এনটিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৯ জুলাই প্রায় ১,০০০-এরও বেশি পরীক্ষার্থীর জন্য পুনরায় সিইউইটি (CUET-UG) পরীক্ষা হবে। এমন রিটেস্টের সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA)। রবিবারই এমন ঘোষণা করেছে এনটিএ। জানা গিয়েছে, পছন্দের ভাষার প্রশ্নপত্র চেয়েও যে পরীক্ষার্থীরা পাননি তাঁদের জন্যই কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি) মোডে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।

    পরীক্ষার্থীদের (CUET-UG) বিভিন্ন রিভিউ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নিয়েছিল এনটিএ

    প্রসঙ্গত, এনটিএ (NTA) চলতি বছরের  ১৫-১৮ মে, ২১-২৪ মে, এবং ২৯ মে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে সিইউইটি  (CUET-UG) পরীক্ষা নিয়েছিল। জানা গিয়েছে, দেশের মোট ২৬টি শহরের প্রায় ১৩ লাখ ৪৮ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এরপর গত ৭ জুলাই পাবলিক নোটিফিকেশন জারি করে এনটিএ। ৭-৯ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন রিভিউ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নিয়েছিল এনটিএ। অনলাইন মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা যে সব অভিযোগ দায়ের করেছিল তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞদেরও দেখানো হয়। এরপরই চূড়ান্ত সমীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ফের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিএ ৷

    এনটিএ-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি 

    সিইউইটি (CUET-UG) – 2024 পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত এবং পরে ৭ জুলাই থেকে ৯ জুলাই অনলাইনে এবং মেইল মারফৎ পাওয়া যাবতীয় অভিযোগগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে বলেও সংস্থা জানিয়েছে। এনটিএ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ‘‘এই অভিযোগগুলির উপর ভিত্তি করে, ১৯ জুলাই, ২০২৪ শুক্রবার, কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (সিবিটি) মোডে ক্ষতিগ্রস্থ প্রার্থীদের জন্য পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে ৷’’ এনটিএ আরও জানিয়েছে, এই জাতীয় ক্ষতিগ্রস্থ প্রার্থীদের কাছে তাঁদের বিষয় কোড-সহ ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন চর্চা হবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে! কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 76: “সমাধিস্থ মহাপুরুষে কাহার ভক্তির না উদ্রেক হয়, কোন্‌ পাষাণহৃদয় না বিগলিত হয়!”

    Ramakrishna 76: “সমাধিস্থ মহাপুরুষে কাহার ভক্তির না উদ্রেক হয়, কোন্‌ পাষাণহৃদয় না বিগলিত হয়!”

    শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ কথোপকথন

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণসমাধি মন্দিরে

    সমবেত কেশব-প্রমুখ ব্রাহ্মভক্তগণ (Ramakrishna) জাহাজ হইতে ঠাকুরবাড়ি শোভা সন্দর্শন করিতেছেন। জাহাজের পূর্বদিকে অনতিদূরে বাঁধা ঘাট ও ঠাকুর বাড়ির চাঁদনি। আরোহীদের বামপার্শ্বে  চাঁদনির উত্তরে দ্বাদশ শিবমন্দিরের ক্রমান্বয়ে ছয় মন্দির, দক্ষিণপার্শ্বে ও ছয় শিবমন্দির। শরতের নীলআকাশ চিত্রপটে ভবতারিণীর মন্দিরে চূড়া ও উত্তরদিকে পঞ্চবটি ও ঝাউগাছের মাথাগুলি দেখা যাইতেছে। বকুলতলার নিকট একটি ও কালীবাড়ির দক্ষিণ-প্রান্তভাগে আর একটি নহবতখানা। দুই নহবতখানার মধ্যবর্তী উদ্যানপথ, ধরে ধরে সারি সারি পুষ্পবৃক্ষ। শরতের নীলাকাশের নীলিমা জাহ্নবীজলে প্রতিভাসিত হইতেছে। বহির্জগতে কোমলভাব, ব্রহ্মভক্তদের হৃদয় মধ্যে কোমলভাব। উর্ধে সুন্দর সুনীল অন্তর আকাশ, সম্মুখে সুন্দর ঠাকুরবাড়ি, নিম্নে পবিত্রসলিলা গঙ্গা, যাঁহার তীরে আর্য ঋষিগণ ভগবানের চিন্তা (Kathamrita) করিয়াছেন। আবার আসিতেছেন একটি মহাপুরুষ (Ramakrishna), সাক্ষাৎ সনাতন ধর্ম। এরূপ দর্শন মানুষের কপালে সর্বদা ঘটে না। এরূপ স্থলে, সমাধিস্থ মহাপুরুষে কাহার ভক্তির না উদ্রেক হয়, কোন্‌ পাষাণহৃদয় না বিগলিত হয়!

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়, নবানি গৃহ্‌ণাতি নরোহপরাণি।

    তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যান্যানি সংযাতি নবানি দেহী।।

    (গিতা—২/২২)

    সমাধিমন্দিরে—আত্মা অবিনশ্বর—পাওহারী বাবা

    নৌকা আসিয়া লাগিল। সকলেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দেখিবার জন্য ব্যস্ত। ভিড় হইয়াছে। ঠাকুরকে নিরাপদে নামাইবার জন্য কেশব শশব্যস্ত হইলেন। অনেক কষ্টে হুঁশ করাইয়া ঘরের ভিতর লাইয়া যাওয়া হইতেছে। এখনও ভাবস্থ—একজন ভক্তের উপর ভর দিয়া আসিতেছেন। পা নড়িতেছে মাত্র। ক্যাবিনঘরে প্রবেশ করিলেন। কেশবাদি ভক্তেরা প্রণাম করিলেন, কিন্তু কোন হুঁশ নাই। ঘরের মধ্যে একটি টেবিল, খানকতক চেয়ার। একখানি চেয়ারে ঠাকুরকে বাসনো হইল, কেশব একখানিতে বসিলেন। অন্যান্য ভক্তেরা যে যেমন পাইলেন, মেঝেতে বসিলেন। অনেক লোকের স্থান হইল না। তাঁহারা বাহির হইতে উঁকি মারিয়া দেখিতেছেন। ঠাকুর বসিয়া আবার সমাধিস্থ। সম্পূর্ণ বাহ্যশূন্য! সকলে এক দৃষ্টে দেখিতেছেন (Kathamrita)।

     

    আরও পড়ুনঃ “কেশব তাঁহার সাধুচরিত্র ও বক্তৃতাবলে মাষ্টারের ন্যায় অনেক বঙ্গীয় যুবকের মন হরণ করিয়াছেন”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar And Biometric Verification: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার আধারে বায়োমেট্রিক যোগ!

    Aadhaar And Biometric Verification: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার আধারে বায়োমেট্রিক যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। আসলে গৃহস্থের গ্যাস অনেক সময়ই বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়। একাধিকবার নানান ক্ষেত্রে উঠেছে এমন অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগের সুরাহা করতেই গ্রাহকদের আধার কার্ড নম্বর ও বায়োমেট্রিক যুক্ত (Aadhaar And Biometric Verification) করার কাজ শুরু করেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। 

    ঠিক কী জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক? 

    হোটেল-রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে ফুটপাতের রোল-চাইমিনের দোকান। দীর্ঘদিন ধরেই যত্রতত্র আম-জনতার রান্না ঘরের এলপিজি সিলিন্ডার (Domestic Lpg Cylinder) দেদার ব্যবহারের রয়েছে অভিযোগ। তাই এবার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গৃহস্থের এলপিজি রান্নার গ্যাসের ব্যবহার আটকাতে এই বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে ভর্তুকি প্রাপ্ত উপভোক্তাদের এলপিজি সংযোগের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্ত (Aadhaar And Biometric Verification) রয়েছে। সেই রান্নার গ্যাস কোথায়, কী ভাবে ব্যবহার হচ্ছে, এবার তা জানতে বায়োমেট্রিক যুক্ত করা হচ্ছে। সব তথ্য হাতে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।  

    এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরদের মন্তব্য (Domestic Lpg Cylinder) 

    এই ধরনের অভিযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতার কারণ হিসাবে নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছেন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরেরা। তাঁদের বক্তব্য, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ডিজেল, পেট্রল বা এলপিজি বরাদ্দ করে ঠিকই। কিন্তু সেই বরাদ্দ কোন রাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরে কোনও নজরদারি নেই। ফলে গৃহস্থালির জন্য বরাদ্দ এলপিজি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যত্রতত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এবার এসমস্ত অভিযোগের কারণেই গ্রাহকদের আধার কার্ড নম্বর-সহ বায়োমেট্রিক যুক্ত (Aadhaar And Biometric Verification) করার কাজ শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    বেয়াইনি গ্যাস ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা 

    এ প্রসঙ্গে গত ৯ জুলাই নিজের এক্স হ্যান্ডলে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী বলেছেন, ‘‘তেল বিপণন সংস্থাগুলি এলপিজি গ্রাহকদের জন্য ই-কেওয়াইসি আধার যাচাইকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে। যাতে ভুয়ো গ্রাহকদের ছাঁটাই করা যায়। এমন এলপিজি সিলিন্ডার সংযোগ সাধারণ গ্রাহকদের নামে নেওয়া আছে, যে সিলিন্ডারগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে কোনও বাণিজ্যিক কাজে।’’ গত আট মাস ধরে এই কাজ (Aadhaar And Biometric Verification) চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে ব্যক্তিগত এলপিজি গ্যাস বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। 
    উল্লেখ্য, আম জনতার হেঁসেলের রান্নার গ্যাসের অপব্যবহার রুখতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সতর্কতা অবলম্বন করছেন ডিস্ট্রিবিউটাররাও। এবার নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে উপভোক্তাদের ডেকে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। ডিস্ট্রিবিউটারদের মাধ্যমেই হচ্ছে বায়োমেট্রিকের সংযুক্তিকরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি! আটক দুই মহিলা, শোরগোল কুলতলিতে

    South 24 Parganas: দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি! আটক দুই মহিলা, শোরগোল কুলতলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি (Shooting) চালানোর ঘটনা ঘটেছে। দুজন মহিলাকে ইতিমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুলতুলি (South 24 Parganas) থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাটে। এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    সোনার মূর্তি বিক্রির ফাঁদে চলত প্রতারণা (South 24 Parganas)!

    সোমবার সকালেই এই গুলিকাণ্ড ঘটেছে। উল্লেখ্য, কুলতলি (South 24 Parganas) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সোনার ঠাকুর বিক্রির নামে একাধিক প্রতারণার চক্র সক্রিয় ছিল। অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন দিনের পর দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রলোভন দেখিয়ে ঠাকুরের সোনার মূর্তি বিক্রির ফাঁদ পেতে চলত এই কাজ। ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে ক্রেতারা হাজির হলে, সেই টাকা লুঠ করে পালাতো দুষ্কৃতীরা। তবে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রতিমা নেওয়ার জন্য ডাকা হতো ক্রেতাদের। এরপর ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করত প্রতারকরা। এরকম ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে লুটপাট চালাচ্ছিল একটি বড় দুষ্কৃতীদের দল। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতি নিয়ে আজ অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর ঘটে বিপত্তি।

    আরও পড়ুনঃ নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার এন্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    পুলিশের বক্তব্য(South 24 Parganas)

    বারুইপুর (South 24 Parganas) জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি বলেছেন, “এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত সাদ্দাম লস্করকে গ্রেফতার করার জন্য গিয়েছিল পুলিশ। অনেকদিন ধরে সাদ্দাম সোনার ঠাকুর বিক্রি করার নামে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ ছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে তল্লাশি অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি (Shooting) করা হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ২ জন মহিলাকে আটক করা হয়েছে। ধৃত দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে আরও অতিরিক্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhojshala Survey Report: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    Bhojshala Survey Report: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ভোজশালা মন্দিরের ওপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) তাদের রিপোর্ট জমা করল সে রাজ্যের হাইকোর্টে। সোমবারই এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে এএসআই। জানা গিয়েছে, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে সমীক্ষা চলাকালীন ভোজশালাতে (Bhojshala Survey Report) হিন্দু দেবদেবীদের মোট ৩৭টি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগামী ২২ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভোজশালার মামলার শুনানি শুরু করতে পারে। 

    এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর অলোক ত্রিপাঠী গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন (Bhojshala Survey Report)

    প্রসঙ্গত, ভোজশালা (Bhojshala Survey Report) হল একাদশ শতকের একটি স্থাপত্য। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের চলতি বছরের ১১ মার্চ নির্দেশ দেয় এই স্থাপত্যের সমীক্ষা শুরু করে করার জন্য। অভিযোগ ওঠে, বাগদেবী সরস্বতীর মন্দির ভেঙেই তার ওপরে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এএসআইয়ের (ASI) তরফে চলতি বছরের ২২ মার্চ শুরু করা হয়েছিল সমীক্ষা। ২৭ জুন পর্যন্ত সমীক্ষা চলে। অর্থাৎ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি ইত্যাদির মাধ্যমে সমীক্ষা চালায় এএসআই। সমীক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল রাউন্ড পেনিটরেটিং রাডার বা জিপিআর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস। এএসআইয়ের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডক্টর অলোক ত্রিপাঠী গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছিলেন।

    সমীক্ষা চলাকালীন ১৭০০-এর বেশি ধ্বংসাবশেষ সেখান থেকে মিলেছে

    জানা গিয়েছে, সমীক্ষা চলাকালীন ১৭০০-এর বেশি ধ্বংসাবশেষ সেখান থেকে মিলেছে। যার মধ্যে দেবী সরস্বতীর একটি (Bhojshala Survey Report) ভগ্ন মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে। হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয় যে ভোজশালা আসলে একটি মন্দিরই ছিল। অন্যান্য মূর্তির মধ্যে এখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি, জটাধারী ভোলেনাথের মূর্তি, হনুমানের মূর্তি, শিবের মূর্তি, ব্রহ্মার মূর্তি, ভৈরবনাথের মূর্তি, গণেশের মূর্তি। এর পাশাপাশি মিলেছে দেবী পার্বতীর মূর্তিও। দেশের অন্যতম বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক কেকে মহম্মদ এর আগেই দাবি করেছিলেন যে ভোজশালা চত্বর আসলে ছিল একটি সরস্বতী মন্দির এবং পরে তা মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। মামলা অবশ্য অনেকটাই পুরনো। ২০০৩ সালে ভোজশালা নিয়ে একটি মীমাংসা (Bhojshala Survey Report) হয়, যার মারফত সেখানে প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুরা পূজা অনুষ্ঠান করার অধিকার পায় এবং মুসলমানরা শুক্রবারে নামাজ পড়ার অধিকার পায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kakdwip: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    Kakdwip: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় নাসার (NASA) গবেষণাগারে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে যোগ দিতে চলেছেন কাকদ্বীপের (Kakdwip) সুভাষনগরের বাসিন্দা ঋত্বিকা মাইতি। বর্তমান তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রসায়নবিদ্যা নিয়ে স্নাতকস্তরে পড়ছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর আলোচনা সভাতেও ঋত্বিকা ডাক পেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরেছিলেন।

    প্রবন্ধ লিখে পাঠিয়ে ছিলেন মার্কিন সংস্থায় (Kakdwip)

    এবার নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের সামনে মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে ঋত্বিকা (Kakdwip) তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরবেন। জানা গিয়েছে, মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে তরুণ ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে শিক্ষাদান করবেন। পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মৌলিক ভাবনার কথাও শুনবেন। ইতিমধ্যেই ঋত্বিকা মহাকাশ গবেষণার বিষয় নিয়ে তাঁর মৌলিক ভাবনাকে তুলে ধরে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেই প্রবন্ধ মার্কিন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রবন্ধটি পড়ে মার্কিন সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে মনোনীত করেছেন। এরপরই মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা অনলাইনে ঋত্বিকার ইন্টারভিউ নেন। সেই ইন্টারভিউতেও তিনি সাফল্য লাভ করেন। এরপরই তাঁকে মার্কিন মুলুকে নাসার গবেষণা কেন্দ্রের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।                  

    উচ্ছ্বসিত ঋত্বিকা

    এবিষয়ে ছাত্রী ঋত্বিকা মাইতি (Kakdwip) বলেছেন, “আমি খুব উচ্ছ্বসিত, এই বিষয়ে আমি পড়াশুনা করছি। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে নিজে নিজে যতটা পেরেছি কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবে একটা সমস্যা হল আর্থিক সমস্যা। একসঙ্গে এত টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। তবে সরকার বা কোনও সংস্থা সহযোগিতা করলে অ্যামেরিকা যেতে পারব। এটা যেমন বিরল সুযোগ, তেমনি যাতায়াতের খরচও অধিক। তাই আনন্দের মধ্যেও একটা বিষণ্ণতা রয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    পরিবারের বক্তব্য

    তবে কীভাবে নাসার (NASA) এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ঋত্বিকা, তা নিয়ে চিন্তিত মাইতি পরিবারও (Kakdwip)। ঋত্বিকার বাবা বিশ্বজ্যোতি মাইতি বলেছেন, “এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে কমপক্ষে সাত লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। আমি পেশায় একজন শিক্ষক। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এই খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য। জানিনা কীভাবে ঋত্বিকার স্বপ্ন পূরণ হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে আবগারি দুর্নীতি মামলা। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আম আদমি পার্টির (APP) বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত তদন্ত সমাপ্ত করল ইডি। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার কথা এখনও জানায়নি। ২২ মাস ধরে চলা এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ইডি (ED) মাত্র ২৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে এই মামলায় যুক্ত ১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে, এবং ৪০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৮টি চার্জশিট এবং ৪ ডজনেরও বেশি অভিযান হয়েছে৷ 

    কী জানিয়েছে ইডি? (ED) 

    এ প্রসঙ্গে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আপের বিরুদ্ধে ৩৭ এবং ৩৮ অভিযুক্ত নম্বরের বিষয়ে আমাদের তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আদালত আমাদের দাখিল করা আটটি চার্জশিটের সবকটি গ্রহন করেছে এবং সেই চার্জশিটের বেশিরভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে কেজরিওয়াল এবং আপ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একইসঙ্গে এই গোটা ঘটনাকে তারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক তখনকার “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেছে।  

    আগে কী ঘটেছিল? (Arvind Kejriwal) 

    গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরি। এর মঝেই আবার আবগারি দুর্নীতিতে ইডি ১৭ মে কেজরিওয়াল এবং আপের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে দাবি করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী, তার তৎকালীন ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়া এবং দলের প্রাক্তন মিডিয়া ইনচার্জ বিজয় নায়ার কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    এর পরে গত ২৫ জুন তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জেলবন্দি কেজরিকে (Arvind Kejriwal) রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেজরি এখন সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথক ভাবে জামিন নিতে হবে তাঁকে। আগামী ১৭ জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। তার আগে তিহাড় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share